আমার অন্ধবিশ্বাস আমার মায়ের প্রতি ভালোবাসা
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই।
আশাকরছি সবাই ভালো আছেন।
আজ আসলাম নাটক সিনেমা কে হারা মানানো আমার জীবন এর ছোট একটা অধয় নিয়ে। আমি উত্তর বাড্ডা পূর্বাচল নামা পাড়া এলাকায় বেড়ে উঠি। আমি ঐ এলাকার এক সুনামধন্য পারিবার এর বড় হয়। নবম শ্রেণিতে পড়া কালিনী আমাকে ২০০৯ সালে অক্টোবর এর ৩০ তং পারিবারিক ভাবে খুব ধুমধামে বিয়ে দেয়।
আমার লেখাপড়া এখানে ইতি টানতে হয়। আমি যেহেতু অনেক বিলাসিতায় বড় হয় বাবার বাড়ির। আর আমার বিয়া টা হয় এখন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের সঙ্গে। আমি যেহেতু অনেক কাজ করতে জানতে না সেহেতু এমনটা মনে হলো হঠাৎ আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে দিলে যাহয় আর কি আমার ও ঠিক তেমন টা হইলো। তারপর ও নিজেকে সামলে নিয়ে সংসার গোছাতে শিখতে লাগলাম।হাজার ঝুটঝামেলা পেরিয়ে বিবাহিত জীবন এর ১০ বছর পার করলাম এর মধ্যে আমার না আমার বাবার দেয়া যায়গা টা আপনার পরিবার আমার অজন্তে বিক্রির চেষ্টা করে যেহেতু আমি লিগাল প্রপার্টি মালিক তাই তার বিক্রি করতে ব্যার্থ হলো।তারপর আমার শুরু হলো ফোনে আমার মায়ের মন গড়া মিথ্যা কাহিনির ইমোশনাল ব্লকমেইল। আমার বাবার সে সময় দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে যায় তিনি তখন খুব অসুস্থ আর আমার মা সে সুযোগ টা নিয়ে আমাকে ইমোশনাল ব্লকমেইল করা বাবার কাছে না মানুষ ধারের টাকা নিতে আসে বাবা দিতে পারছে যেহেতু আমার তখন খুব অসুস্থ। তারপর বলছিল বড় চিকিৎসার জন্য টাকা দিচ্ছে না ব্যাংকের সব কাগজ আটকে রাখছে এসব মিথ্যা কাহিনি আমি শুনে আমার মন গলে গেলো। যেহেতু আমার বর মধ্যবিত্ত ছিল আমার পক্ষে বাবার চিকিৎসার খরচ টানা অভাব ছিল না। তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই আমার জায়গা টা বিক্রির। আমি তখন আমার জায়গা টা পাওয়ার এফএ টনি আমার বাবাকে দেই এবং জায়গা টা তার মাধ্যমে বিক্রি করি।বাবা টাকা টা আমার নামে রাখতে বললো আমি বাবাকে বলাম তুমি তোমার নামে সঞ্চয় পত্র কর, আমাকে নমিনি দাও। এটা থেকে যা আসবে তুমি তোমার চিকিৎসায় খরচ করিও।আমাকে সঞ্চয় পত্রের মেয়াদ শেষ হলে আমার নামে দিও এখন তুমি তোমার নামে কিনো। তোমার চিকিৎসা আগে জরুরী। আর ডাক্তার এর সাথে কথা বল একটা কিডনি লাগলে আমি দিবো।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবসতো আমার সঙ্গে আমার বাবার ব্লাডগ্রুপ ম্যাচ করলো না ডাক্তার বললো সেইম ব্লাডগ্রুপ লাগবে। তা-না হলে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা যাবে না। যখন টাকা জায়গা বিক্রি হলো টাকা বাবার নামে হলো তারপর থেকে শুরু হলো নানা অজুহাত এ আমাকে বাসায় না যেতে বলা। বাবা লুকিয়ে লুকিয়ে কিছু করে টাকা পাঠাতেন আমার জন্য। আর নানা অজুহাত দেখিয়ে বলতো বাসায় যাতে না আসি। বেস বুঝতে পারছিলাম বাবা কারো ভয়ে আমাকে বাসায় যেতে বারন করছে। তার কথা মতো আমি বাসায় যা-ও প্রায় ছেড়ে ই দিলাম। হঠাৎ একদিন সকালে খবর আসলো বাবা অসুস্থ আমাকে দেখতে চাইছে। আমি যেনো তারাতাড়ি বাসায় আসি। আসলে বাবা অসুস্থ ছিল না। তিনি ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন।আমাকে মারা যাওয়া কথা না বলে বলো অসুস্থ আমি তরিঘরি করে বরের অফিস গেলাম। পা চলছিলোনা দুই ছেলে কে নিয়ে তারপর হাজির হলাম বরের কাছে। আমার অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আমায় নিয়ে গেলো বাসায়। বাসা গেইট এ বাইক থেকে নামতে আমি আঁতকে উঠল লাশের খাটিয়া দেখে।আমার দুনিয়ায় তো উজাড় হয়ে গেলে। মার কাছ পর্যন্ত দোতলায় কোনোরকমে উঠলাম। মা বললো তুমি এতিম হয়ে গেলি এমন এতিম হবো বুঝতে পারিনি। বাবাকে দাফন শেষ করতে প্রায়রাত ১১টা ৩০ মিনিট হয়ে গেলো। তখন বড় ভাই বাসায় আসলো আর আমার বড় ছেলে(৭বছর বয়স) ও ছোট ছেলে (৪মাস এর কোলে) কে সহয় আমাকে বাসা থেকে বেড় করে দিচ্ছিল । আমার খালাও খালাতো ভাই বোন রা আমাকে সারারাত পাহারা দেয়। এতো ছোট দুটো বাচ্চা নিয়ে এতো রাতে আমি কিভাবে যাবো। আমাকে তারা বাসায় একপ্রকার জোর করে রেখে দিল। আমি আমার বর কল দিয়ে সব বলি তিনি আমাকে বলে সকাল পর্যন্ত একটু কষ্ট করে থাকো আমি সকালে এসে নিয়ে আসবো তোমাদের। সকালে বর গিয়ে নিয়ে আসলো আমাদের। তারপর লুকিয়ে লুকিয়ে মাকে দেখতে যেতাম। এভাবে ৯ মাস কাটালো।হঠাৎ মা কল দিলো ছোট ভাই এর মাথা ফেটে গেছে বলতে। শুনে কান্নাকাটি করলাম। বর বললো রাতে যেয়ে চর কাজ নেই। সকালে যেও। তারপর দিন সকালে গেলাম যখন বাসায়। বড় ভাই বাসায় ছিল না ছোট ভাই তার বিছানা পরে আছে। মাথায় ২৮ টা সেলাই লাগছে। বাসায় ঢুকার ১/থেকে ২ মিনিট এর মধ্যে আমার বড় ভাই কোথা থেকে যেনো চলে আসলো। ছোট ভাই এর হাত টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। এক হাতে ছিল বড় ছেলে টা আরেক হাত ছোট ভাই এর হাত। কোলে বেবিকেয়ার ব্যাগে ছোট ছেলে টা। বড় ভাই দৌড়ে এসে আমার বড় ছেলে টার গেঞ্জির কলার টা চেপে ধরে বাসা থেকে বেড় করে দিতে চাইছি। আর অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছিল। বড় ছেলে টা খুব ভায় পেয়ে যায়। এটা দেখে আর মা ও ভাই এর বউ আমার ছেলে টা কে তার হাত থেকে ছাড়ায়।আমার মাকে আমার বড় ভাই টেনেহিছড়ে অন্য রুমে নিয়ে যায় কিছু একটা বলার জন্য। কি বলে ছিল আমি তা জানিনা। তবে আমার মনে হচ্ছিল আমি আর বেশি ক্ষন থাকলে মা'র কোনো সমস্যা হবে। ব্যাগ থেকে মোবাইল টা বের করি ২/৩ ছবি তুলি বরকে দেখাবো বলে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিলনা। বাসায় চলে আসলাম তারপর বর বাসায় আসতে আমার বর ছেলে সব বলে দিল।আমাকে সে খুব বকা দিলো। আমি ও বকা শুনে রাগ করে। খালামুনিকে কল দিয়ে বলাম ও ছবি দিলাম। তারা নাকি ব্যাথা পাওয়ার বিষয় কিছু জানে। বিষয় টা গোপন কেন করছিল আমার পরিবার তা জানি না। ব্যাথা পাওয়ার ১৬ এর মাথায় ছোট ভাই সেন্সলেস হয়ে যায়। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল এ ভর্তি করা হয় আমি আমার বাসায় ছিলাম না বেড়াতে যায়। ছোট এর এমন অবস্থা আমাকে আমার মা আমার বরকে জানাতে বারন করে।আমি যদি হাসপাতালে যাই আর আমি যাওয়া তে যদি বড় ভাই ছোট ভাই এর চিকিৎসা না করায়। তাই আমার বর আমকে কিছু জানায় নি। হঠাৎ খাবার টেবিল বসা অবস্থায় কল আসলো ছোট ভাই আর নেই। তিনি আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। যে ভাই বলছি বাবা নাই তো কি হয়েছে আমি আছি তো। আমার সব তোর অনেক দুরে বাসা নিয়ে চলে যাবো আমি চাকুরী করবো তুই বাসায় রান্না করবি ভাইয়ার জন্য দুজন এক থাকবো।আর আজ সেও আমাকে ছেড়ে চলে গেলো।বর কে বললাম ছোট ভাই তো আর নেই তিনি বলে উঠলো কি বলো আধাঘন্টা আগেই তো ভাই কে ঔষধ খাইয়ে আসলাম। আমি বললাম আপনি যানতেন আমাকে বলেন নি।তিনি বললো মা বারন করছে বারবার তারা বলেনি।কারণ আমার জানার থেকে বেশি তার চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল। বাসায় আত্মীয় স্বজনরা যখন রাগারাগি চেঁচামেচি করছিল। কে বা কারা পুলিশ কে খবর দেয় কারণ আমাদের সবার মনে হয়ে ছিল এটা মেরে মাথা ফাটানো হয়েছিল।আর তারপর সঠিক চিকিৎসা ততক্ষণিক দেয়া হয়নি।
তাই মস্তিষ্কের রক্ত ক্ষরনে ছোট ভাই এর মৃত্যু হয়।পুলিশ লাশের গায়ে আঘাত এর চিহ্ন পায়।আর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় বড় ভাই কে জেল হাজতে পেরন করে। ঠিক তখন ভরা মজলিশে আমাকে আমার মা পালিত সন্তান বলে জানায়। বাবা আমাকে ৪ মাস বয়স এ দত্তক নেয় বলে জানায়।আমি না-কি টাকা সম্পত্তির লোভে মিথ্যা বলছি। বড় ভাই আগে থেকে ই বাসায় সবাই কে টর্চার করতো মা একটা বার শিকার করলো না। আমি যেটা সত্যি সেটা বললাম ও সবাকে মারধর করতো কিছু না কিছুর জন্য। লাশ ময়নাতদন্তের পর বাসায় আনা হলো কিন্তু আমার মা ও ভাবি লাশ টা বাসায় ঢুকাতে দিলো না ছেলে লাশ টা পর্যন্ত শেষ বার দেখলো না। আমাকে না হয় গর্ভে ধারণ করে নি তাই অস্বীকার করতে পারলো। ছেলে টা তো পেটে ধরেছিল ছেলে টা শেষ বারের জন্য মুখটা দেখলো না😓 এর মধ্যে আমি ব্যাংক এ খোঁজ নিয়ে জানতে পারি টাকা একাউন্ট নেই। তুলে ফেলা হয়ছে বড় ভাই তুলে তার একাউন্ট নিয়ে নিছে। আমি জানলাম সরকার নিয়ম করছে যে নমিনি থাকবে সে কিছু ই পাবে না। পাবে বক্তারাধিকা। মনে বড় ছেলে। আইন অনুযায়ী সেই পায়ছে। এটা পাওয়ার জন্য আম্মু কে দিয়ে ২ টা এপিটএপিট করছে যে আমি পালিত সন্তান। বাবার ওয়ারিশ বাতিল আমার। আমি এ-তো টাই বোকা ছিলাম আর মাকে বিশ্বাস করছিলাম কোনো কিছুর ফটোকপি পর্যন্ত নিজের কাছে রাখিনি। ভাব ছিলাম মা তো কখনো বেইমানি করবে না আর কেউ করলেও। মানুষক শারীরিক নির্যাতন ডিপ্রেশন ভাবলাম সুইসাইড করবো। কেনজানি মনে হলো সুইসাইড এর পারে কষ্ট গুলো কিভাবে সহ্য করবো। দুনিয়ায় কষ্ট যেখানে সহ্য করার ক্ষমতা নেই। এতো কিছু করে ও আমার বড় ভাই শান্তি পাইনি সব নিও শান্তি পাইনি। ২ ধরে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তারপর থেকে নিজের পরিচয় তৈরী করতে হবে নিজের উদ্যোগ দিয়ে। শুরু হলো উদ্যোক্তা হওয়ার যুদ্ধ। এখন পর্যন্ত চলছে সেই যুদ্ধ। ১ মাস হলো মা মারা গেছে সে বারের জন্য একটা বার তার মুখ দেখাতে পারিনি সবাই জিতে গেল আর হেরে গেলাম আমি। হেরে গেলো আমার অন্ধবিশ্বাস আমার মায়ের প্রতি ভালোবাসা। ভালোথেকো মা ওপর অনেক অভিযোগ নেই তোমার প্রতি 🙂 আশা করছি এই এতিমের পাশে থাকবেন সবসময় সবাই।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৫৭
তারিখ ২০-০৮-২০২২ইং
নিখুঁত রায়হানা।
হোমডিস্ট্রিক্টঃ চট্টগ্রাম।
বর্তমান ঠিকানাঃ পশ্চিম নাখালপাড়া।
জেলাঃ ঢাকা।
থানাঃ তেজগাঁও।
পেশাঃ গৃহিণী।
ব্যাচঃ১৮.
রেজিষ্ট্রেশন নংঃ৯৮৭২০.
অনারঅফঃ নিখুঁত ফ্যাশন কালেকশন হাউজ
আমি ঢাকার শাহিন বাগ থেকে কাজ করছি হেন্ড পেইন্ট কাঠের গহনা মেটাল গহনা আর্টিফিশিয়াল গহনা গামছা গহনা নানারকম দেশি শাড়ী পাঞ্জাবি ও ড্রেস নিয়ে। ও সকল প্রকার গহনা তৈরির সামগ্রী নিয়ে।