চলছে এখনো উদ্যোক্তা জীবন সফল করার প্রচেষ্টা।
🌺🌺আমার জীবন গল্প🌺🌺
🌹🌹আসসালামু আলাইকুম। 🌹🌹
পরম করুণাময় মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি আমার আজকের এই লিখা।শুকরিয়া মহান রবের যিনি সুস্হ ভাবে এখনো পর্যন্ত এ পৃথিবীর আলো বাতাসে বাঁচিয়ে রেখেছেন।দরুদ ও সালাম পেশ করছি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর প্রতি,যার উম্মত হিসেবে গর্বিত।
🌺শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই আমার প্রিয় বাবার প্রতি যিনি আমাদের এতিম করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন,আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশতবাসী করেন।আমার মায়ের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা,যার পরম মমতায় লালিত হয়েছে আমার এ জীবন।🌺
🌼কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি যার অক্লান্ত পরিশ্রম আজ এ প্লাটফর্ম পেয়েছি নিজেকে সবার কাছে পরিচিত করার মাধ্যম হিসেবে।🌼
সবার জীবনেই কিছু গল্প থাকে,যা লিখতে গেলে এক একটা উপন্যাসের সৃষ্টি হবে।এটা সবার পক্ষে সম্ভবও নয়,তবুও কিছু কথা আজ শেয়ার করার নিমিওে আমার এই লিখাটুকু।ধৈর্য্য সহকারে পাঠককুল পড়লেই আমার সার্থকতা।
🏵️আমার জন্ম🏵️
চট্টগ্রাম জিলার, সাতকানিয়া উপজেলার অন্তর্গত, এঁওচিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আমার জন্ম।যেখানে ছিল শান বাঁধানো পুকুর ঘাট,ঘাটে খোদাই করা ছিল আব্বুর নাম,দাদীর ছিল অনেকগুলো গরু,বিশাল গোয়াল ঘর,চাষের জমির ধান,ধানের গোলা,আলুর ক্ষেত আরও অনেক ঐতিহ্য। আমাদের চাষা ছিল ৮জন।যারা অনেকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন,অনেকে আছেন যাঁরা এখনো আমাদের দেখে চোখের পানি মুছেন।
💖ভাইবোন💖
আমরা দু বোন চারভাই।
বড় ভাইঃব্যরিস্টার(রিয়াদে কর্মরত)
মেঝোভাইঃ সি এ(লন্ডনে কর্মরত)
বড়বোনঃস্কুল টিচার (চট্টগ্রামে কর্মরত)
আমিঃ(একজন গৃহিনী সাথে একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা)
৩য় ভাইঃ(কোরানে হাফিজ)
ছোট ভাইঃ(ইন্জিনিয়ার ঢাকায় কর্মরত)
🌼🌼আমার শৈশব🌼🌼
আমার শৈশব কেটেছে শহরে।আমার বয়স যখন ৭মাস তখন আম্মুর সিদ্ধান্তে আমাদের চার ভাইবোনকে নিয়ে শহরে বাসা নেয়া হলো আমাদের ভালো স্কুলে ভর্তি করানোর উদ্দেশ্যে।চট্রগ্রামের প্রিয় জায়গা ডিসি হিলের পাদদেশে একটি কলোনীতে আমার শৈশবের পুরো সময় এবং বিয়ের আগ পর্যন্তই কেটে যায়।সেখানে আমার অনেক আনন্দের,দুঃখের, ভয়ের,অর্জনের স্মৃতি রয়েছে।
মনে পড়ে প্রতি বর্ষায় রাত হলেই একহাঁটু পানিতে ভাসতো পুরো এলাকা।কত আদরের পুতুল,ভেসে যাওয়া দেখে কেঁদেছি তার ইয়ওা নেই।৯০এর ঘূর্ণিঝড়ে পানি উঠে নষ্ট হওয়া আম্মুর জমানো নতুন টাকার বান্ডিলের জন্য এখনো মায়া লাগে।এমন হাজারো স্মৃতি আছে,সব লিখা সম্ভব নয়।
🏅আমার শিক্ষাজীবন🏅
ডিসিহিলের পাশেই অনেক প্রসিদ্ধ স্কুল,পাহাড়িকা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে আমার প্রথম স্কুল জীবন শুরু।
তিনবছর সেখানে পড়ার পর একবছর আমাকে বাসায় পড়তে হয়েছিল,এরপর ক্লাশ ফাইভে ভর্তি করানো হয় মাদরাসায়।সেখান থেকেই ২০০০সালে তিনটি বিষয়ে লেটার মার্কস সহ ৭৬৫ নম্বর পেয়ে স্টার মার্কস অর্জন করি।২০০২সালে আলিম পাশ করি ১ম বিভাগে।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রাম হতে ২০০৬ এ অনার্স এবং ২০০৭ এ মাস্টার্স সম্পন্ন করি আলহামদুলিল্লাহ। আমার সব একাডেমিক অর্জনের পিছনে আমার বান্ধবীদের অবদান,শিক্ষকদের গাইড মা বাবার দুআ অবশ্যই সবকিছুর উর্ধ্বে ছিল।
😪শৈশবের দুঃস্বপ্ন😪
আমি তখন স্কুলে ভর্তি হয়েছি।আমার ছোট ভাই দুটি তখনও অনেক ছোট।সবচে ছোটজনের বয়স হয়তো ১বছরের মতো হবে।একরাতে আমরা দাওয়াতে গেলাম আমাদের বাসার কাছেই আব্বুর বন্ধু ইসলাম চাচার বাসায়।যিনি চট্টগ্রামের একজন নামকরা ব্যবসায়ী এবং আমাদের খুব আপনজন।আমাদের সব বিপদ আপদে সেই চাচাকে সবার আগে পেয়েছি।তো রাতে আমরা দাওয়াত থেকে ফিরে কলোনীর দারোয়ানের কাছে শুনলাম দুজন লোক এসেছিল আব্বুকে খুঁজতে।যাক আব্বু তেমন আমলে নেয়নি,হয়তো কেও খুঁজেছিল, যেহেতু আব্বু খুব শান্ত টাইপ মানুষ ছিল,ওনার সাথে কারও শএুতাও ছিলনা তাই তিনি বিষয়টি এত গভীর ভাবে নেননি।
পরদিন সকালে আব্বু গোসল সেরে রেড়ী হচ্ছিলেন দোকানে যাবেন,,আমরা বড় চারভাইবোন স্কুলের জন্য রেড়ী হচ্ছি,,আব্বুর গোসলের পানি চুল থেকে তখনও টপটপ পরছিল,জানালা দিয়ে কেও একজন আব্বুকে খুঁজছে,, আমার বড় ভাই ও বলে দিল আব্বু বাসায় আছে,সে তো জানতোনা এরপর আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। তো আব্বুকে ডেকে দিল ওই লোকের সাথে কথা বলতে,আমরা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখলাম,এখনো স্পষ্ট মনে আছে সেই লোকের চেহারা,গোঁফ ছিল,চোখ দুটো লাল,ঘাড় পর্যন্ত চুল,দেখতে কেমন যেন রাগী রাগী ভাব।সেই লোকটি বললো আব্বুকে আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে কমিশনার সাহেব একটু ডেকেছেন।অথচ জীবনে আমার আব্বুকে কমিশনার সাহেব চিনতেন ও না,,আম্মুর সাথে পরিচয় ছিল কারণ বিভিন্ন বিষয়ে আম্মুই কমিশনার কার্যালয়ে যেতেন।যাই হোক আব্বুও আর কোনো কথা না বলে কিছু না খেয়ে ওই ভাবেই শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে চলে গেলেন,,কয়েকগজ সামনে আরও দুজন দাঁড়ানো ছিল যাদের একজন আমাদের পাশের গ্রামের লোক।তারা আব্বুকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেলো এত বড় একটা কলোনী থেকে কেও কিছু বুঝতেও পারলোনা।বেশ কিছু সময় পরেও আব্বু ফিরে না আসায় আম্মু পাশের বাসার আন্টিদের ডেকে বিষয়টি বললেন,,তখন ওনারা সহ কমিশনারের অফিসের দিকে গেলেন,,আমাদের বাসার মূল রাস্তার ও পাড়েই ছিল অফিস।গিয়ে জানতে পারলেন আব্বুকে কেও ডাকেনি এবং আব্বুকে রাস্তায় কয়েকজন লোকের সাথে টেক্সিতে উঠতে দেখেছে।তখন আসল ঘটনা টের পেলো সবাই।স্হানীয় কিছু প্রভাবশালী আংকেলরা আশ্বস্ত করলেন ওনারা বিষয়টি দেখবেন।তখন ইসলাম চাচাকে খবর দেয়া হলো যার বাসায় আগের রাতে দাওয়াত ছিল,,আব্বুর বন্ধু আরও অনেকে এবং আমার চাচারা সবাই আমাদের বাসায় জটলা হতে শুরু হলো কয়েকঘন্টা পর,,সেদিন আমাদের আর স্কুলে যাওয়া হলোনা।
সারাদিন আর কোনো খবর পেলোনা কেও।তখন তো এত মোব এর প্রচলন ছিলনা।এশার নামাজের পর খবর এলো ইসলাম চাচার বাসার সামনে আব্বুকে কারা নামিয়ে দিয়ে গেছে।আব্বু আসার পর জানা গেলো,তিনটা খালি স্ট্যাম্পে সাইন এবং একলাখ টাকা ক্যাশ দিবে এই মর্মে তারা আব্বুকে ছাড়েন।আব্বুর তিনটা দোকান তাদের নামে করে নিতেই সেই স্ট্যাম্প নেয়া হয়েছিল। যখন আব্বু আমাদের মাঝে ফিরে আসেন ওনার বিধ্বস্ত চেহারা,মাথার উপরে কাটা দাগ যেখানে কিছুটা রক্ত শুকিয়ে ছিল এবং বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের নখ উপড়ানো ছিল।
হয়তো অনেক কিছুর বিনিময়ে সেদিন আব্বুকে ফিরে পেয়েছিলাম আমরা।তবে আব্বুর মুখের হাসি চিরতরে চলে গেলো।সে থেকে আব্বু ব্যবসায় মন বসাতে না পেরে কয়েকবছর পর ঢাকায় চলে গেলেন।এই ঘটনা আমি কখনো ভুলিনি ভুলবোওনা আজীবন।
পৃথিবীর খারাপ রূপ সেদিন প্রথম জানলাম।
🍀🍀আমাদের অসময়গুলো🍀🍀
আমরা খুব একটা অভাব ছোট বেলা থেকে দেখিনি,কারণ আব্বু ছিলেন অনেক বড় ব্যবসায়ী।রেয়াজউদ্দীন বাজারে ওনার চারটা দোকান ছিল বিশাল গোডাউন সহ।ক্রোকারীজের প্রতি আমার আসক্তি সে থেকেই।আব্বুর দোকানে দেখতাম কত সুন্দর সুন্দর ক্রোকারীজ সামগ্রী।আব্বুর দোকানেই প্রথম ল্যান্ড ফোন দেখেছিলাম। ফোনের নম্বর গুলি এদিক থেকে ওদিক পর্যন্ত পুরোটা ঘুরিয়ে ডায়াল করা হতো,এটা মজা লাগতো তাই যখনই যেতাম শুধু ফোনের নম্বর গুলি ঘুরাতেই থাকতাম,আব্বু কখনো বকতেননা আমাদের।
৯৪ বা ৯৫এর দিকে আব্বু ঢাকায় চলে গিয়েছিলেন,সে থেকে একটু একটু অস্বচ্ছলতা শুরু হয়। আম্মু হাতের কাজ জানতেন খুব ভালো।চাদর,শাড়ী,পান্জাবী কাঁথা এসবে নকশীর কাজ করতেন।সাথে আমি এবং আপুও সাহায্য করতাম।টুকটাক আয় হতো।আমি এবং আপু পাশের বাসার ছোট কয়েকটা বাচ্চা পড়াতাম,নিজেরাও খুব একটা বড় হয়েছি তা নয়।
আব্বু যখন ১৯৯৯সালে অসুস্হ হয়ে ঢাকা থেকে চলে আসলেন,তখন তিনি বিছানা ছেড়ে উঠতে পারলেননা,,হাঁটলেও দু তিনজনের সাহায্য লাগতো,,৯৯ এবং ২০০০সালে দুবার ইন্ডিয়ার ভেলোরে নিয়ে চিকিৎসা করানো হলো অনেক ধার দেনা করে,কিছুটা ভালো হলেও পুরোপুরি আর ভালো হলেননা।আস্তে আস্তে বিছানায় ওনার সঙ্গী হলো,,টানা ১৮বছর বিছানা এবং হুইল চেয়ারে কাটাতে হলো।ওনার অসুস্হতার আগে থেকে বড় দুভাই টিউশন করতেন ২/১টা,,আব্বুর অবর্তমানে চাচারা বিজনেস টিকিয়ে রাখতে পারলেননা।ভাইয়ারা পড়াশোনা চালিয়ে গেলেন বিজনেসের চিন্তা না করে।মেঝো ভাই কোচিং সেন্টারে এবং বাসায় ব্যাচ পড়াতেন।বড় ভাইয়া ভার্সিটি এবং দুটা টিউশনি করতেন।অবশেষে ২০০১সালে বড় ভাইয়া ইংল্যান্ডে পাড়ি জমালেন ব্যারিস্টারী পড়ার সুপ্ত বাসনা নিয়ে।সেখানে অমানুষিক পরিশ্রম করে ২০০৩সাল থেকে পরিবারের হাল ধরলেন।আজ অবধি আলহামদুলিল্লাহ আমাদের আর দূর্দিন দেখতে হয়নি।
আব্বুর চিকিৎসা, ভাইবোনদের পড়াশোনা সংসারের যাবতীয় সবকিছু বড় ভাই আর মেঝো ভাই চালিয়ে নিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। তবে যে কয়েকটা বছর আমরা আর্থিক দৈন্যতায় কাটিয়েছি সে বছরগুলোতে আমরা জেনেছি জীবনের মানে কি?তখনই চিনেছি আত্নীয় স্বজনদের আসল চেহারা।সব কিছুকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টায় ছিলাম আমরা,আম্মু আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে ছিলেন।ভাইয়াদেরকে কখনো পড়াশোনা বন্ধ করতে দেননি।আম্মু আব্বুর দুআয় তারা আজ উচ্চ পদে প্রতিষ্ঠিত।
🌹🌹আমার সংসার জীবন🌹🌹
২০০৪সালে ২৬শে অগাস্ট নতুন অধ্যায় শুরু করি,অসম্ভব আন্তরিক,দয়ালু এবং পরোপকারী একজন হাস্যোজ্জ্বল মানুষের সাথে কালেমা পড়ানো হয় আমার।দেখতে দেখতে আজ শেষ হলো আমাদের যুগল জীবনের ১৮টি বছর।অনার্স ৪র্থ সেমিষ্টারে ১৯বছর বয়সে মাএ বিয়ে হয়।সে থেকে তার ইচ্ছাতেই বাকি পড়াশোনা হাজার সমস্যার মাঝেও শেষ করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমাদের সংসারে দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে আল্লাহ পাকের নেয়ামত হিসেবে দিয়েছেন।
🌻🌻উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প🌻🌻
সবার মতো আমারও ইচ্ছে ছিল পড়াশোনার পর ভালো একটা জব হবে।কিন্তু আমার অনার্স শেষ হওয়ার আগেই কোলজুড়ে আসে আমার প্রথম মেয়ে।তাকে ৬/৭মাসের কোলে নিয়ে ই অনার্স শেষ করি।বছর ঘুরতেই আসে ২য় সন্তান আমার বড় ছেলে।তার বয়স যখন দু বছর তখন জানতে পারি সে অন্য বাচ্চাদের মত স্বাভাবিক বাচ্চা নয়।তখন মনে হচ্ছিল আকাশ ভেঙ্গে পরেছে মাথায়,,কাংখিত ব্যংকের চাকরী পেয়েও সে চাকরী আর করা হলোনা।ছেলেকে নিয়ে শুরু হলো নতুন যুদ্ধ। এবিষয়টি জানার কয়েকমাস আগে হারিয়েছি আমার শ্বশুরকে যিনি আমাকে অনেক বেশি সাপোর্ট দিয়েছেন সব ব্যপারে,অনেক বেশি স্নেহ পেয়েছি ওনার কাছে।আমার পরীক্ষার সময় উনি বাচ্চাদের রাখতেন। উনিও নাই,আর সে দুঃসময়ে এ যুদ্ধ আমার জন্য অনেক ভারী মনে হলো।২/৩বছর তার চিকিৎসার জন্য দৌড়ের উপর ছিলাম।ডাঃ বললো তাকে সার্জারী করানো হলে সে কানে শুনবে এবং কথাও বলতে পারবে।তার মুখে মা ডাক বের হবে এ আশায় ডাঃ এর পরামর্শে ২০১০সালে ইন্ডিয়ার চেন্নাইতে কানের সার্জারী করে হিয়ারিং এইড দেয়া হলো।স্পিচ থেরাপি চললো কয়েকবছর।ঢাকা চিটাগাং দৌড়তে হতো থেরাপির জন্য।এসব কাহিনী লিখতে গেলে শেষ হবার নয়।অবশেষে নিজেকে মানসিক ভাবে সুস্হ রাখতে ভাবলাম ঘরে বসেই কিছু করি।
ইন্ডিয়া বারবার আসা যাওয়া করতে হতো,তাই সেখান থেকে এিপিস নিয়ে শুরু করলাম একা,সাথে বেবী নকশী কাঁথার কাজ ও করতাম।এরপর ছোটভাই এবং আম্মুর সাহায্যে ঢাকা থেকেও কাপড় আনতাম।২০১১সালে বেকিং এন্ড কনফেকশনারী কোর্স করেছি।তখন থেকে অল্প অল্প অর্ডার নিতাম নাস্তার।২০১৬সালে সেলাই শিখি এবং একমাসে ট্রেইনার হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করি।২০১৭সালে আব্বুকে হারিয়ে বছর কয়েক আবার কাজ অফ করে দিই।কোভিড ১৯ এ অনলাইনের সুবাধে আরও কিছু কোর্স করি বেইকিং এবং রান্নার।এ সময়টাতে আর্থিকভাবে এবং মানসিক ভাবে একজন বন্ধুর সাপোর্ট পেয়েছি যার পরিচয় তিনি আড়ালে রাখতে চান।তার জন্য আমৃত্যু দুআ করি।আলহামদুলিল্লাহ চলছে এখনো উদ্যোক্তা জীবন সফল করার প্রচেষ্টা।
🌷🌷🌷ফাউন্ডেশনে এসে কি পেলাম?🌷🌷🌷
গত মার্চ মাসে প্রিয় ছোট ভাই Mhr Harun ভাইয়ের মাধ্যমে স্পন্সর হয়ে পরিচিত হলাম এই সুন্দর প্লাটফর্মের সাথে।তখন সেশনে যুক্ত হতামনা।ইউটউবের ভিডিও এবং পোস্টগুলো পড়তাম।স্যারের একটা উক্তি খুব পছন্দ হয়।"বৃষ্টি সবার জন্য পড়ে তবে ভিজে কেও কেও"।
সে থেকে সেশন গুলো একবসাতেই কয়েকটা পড়ে ফেলতাম,,পরে সেই ভাই আমাকে বললো সেশনগুলো জয়েন হতে।সাহস করে জয়েন হলাম একদিন খুলশী জোনে।তবে কথা বলতাম না প্রথম প্রথম।কয়েকদিন পার হতেই দেখলাম কথা বলার ইচ্ছে জাগলো।নিজের পরিচয় জানাতে লাগলাম।এখন আলহামদুলিল্লাহ স্পিকার নিয়ে কথা বলতে আর হাত কাঁপেনা।পেয়ে গেলাম অসংখ্য প্রিয় ভাইবোন যাদের ভালোবাসা ভুলবার নয়।আলহামদুলিল্লাহ।
🌿🌿পরিশেষে এসে বলতে চাই,জীবন বহতা নদীর মতো।এ জীবনে ঘটনার শেষ হবেনা।তবে থেমে থাকা যাবেনা।স্যারের প্রতিটা সেশন এ কথাগুলোই বারবার মনে জাগিয়ে দেয়।
প্রিয় স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং দুআ।স্যার যেন সুস্হ ভাবে পরিবারের সাথে আমাদের মাঝে দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকেন।আমিন
আমার লিখায় কোন ভুলএুটি হয়ে থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।যারা ধৈর্য্য সহকারে পুরো লিখাটা পড়েছেন এতক্ষণ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৫৯
তারিখ ২৫-০৮-২০২২ইং
জেবুন্নিসা কলি
ব্যাচঃ১৭
রেজি নংঃ৯১৩১৫
জোনঃকর্ণফুলি
জন্মস্হানঃসাতকানিয়া
রক্তের গ্রুপঃ B +
নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনের এগ্রো ফোরাম সদস্য এবং আজীবন গর্বিত সদস্য