আমি টার মধ্যে জড়তার পাহাড় ছিল
🌺আসসালামু আলাইকুম🌺
🌼আশা ও বিশ্বাস আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন 🌼
🌷আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক বেশি ভালো আছি।🌷
🌼প্রথমেই শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এই সুন্দর পৃথিবীতে। এবং সকল নবীর শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মত করে পাঠিয়েছেন কোন দরখাস্ত করা ছাড়া ।লাখো কোটি শুকরিয়া আমাদের সুস্থ রেখেছেন এবং এখনও পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখেছেন🌼
💜 আমি শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার জন্মদাতা পিতা মাতার প্রতি। যাদের দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে লালন-পালন করেছেন এবং ভালো মানুষ হওয়ার জন্য চেষ্টা ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন 💜
🌼শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকলের প্রিয় শিক্ষক প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যিনি আমাদের জন্য এত সুন্দর একটি প্লাটফর্ম উপহার দিয়েছেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের একজন ভালো মানুষ এবং উদ্যোক্তা হওয়ার অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। 🌼
🌼আজকে চলে এসেছি আপনাদের আমার জীবনে থেকে নেয়া কিছু গল্প বলতে।🌼
আশা করি সকলে একটু সময় ব্যয় করে আমার গল্পটি পড়ে যাবেন।
ইনশাআল্লাহ।🌼
🌼আসুন শুরু করা যাক🌼
নিজের জীবন থেকে নেয়া কিছু কথা🥀
🖤গল্প🤎
👇👇👇
🌼জন্ম পরিচয় ও শৈশব🌼
আমি সাদিয়া মুহসিনাত আফিয়া। ৫ই এপ্রিল ২০০৪সালে চাঁদপুর জেলায় বাবা-মায়ের কোল জুড়ে এসেছিলাম এই সুন্দর পৃথিবীতে। আমি পরিবারের বড় সন্তান। আমার একজন ছোট ভাই এবং বোন আছে । পরিবারের বড় সন্তান হওয়ার সুবাদে পরিবারের সবাই কম বেশি ভালোবাসে,আদর করে। আমার ছোট থেকে বেড়ে উঠা চার দেয়ালের মাঝে । বাসা থেকে স্কুল পর্যন্তই আমি সীমাবদ্ধ ছিলাম। প্রতি দিন স্কুলে থেকে ফিরে নিয়ম করে নিজের রুমেই সময় কাটাতাম ।বই পড়া , খেলাধুলা এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম।আমি কখনও মানুষ দের সাথে মিশতাম না । মানুষ দের সামনেও যেতাম না।শুনেছি বাচ্চা দের অনেক বন্ধু থাকে কিন্তু আমার সে সময় কোনো বন্ধু ছিল না ।আমি ক্লাসের কারো সাথে কথা বলতাম না , ক্লাসের কারো সাথে খেলতাম না । স্কুল জীবনে সবাই আমাকে শান্তশিষ্ট বলেই জানতো ।স্যার-ম্যাম রা অনেক আদর করতো আমাকে ।৪ বছর বয়সে আমাকে আমার আম্মু যখন স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিল তখন থেকেই আমার লেখাপড়া ভালো লাগতো।(যদি ও এখন আর লেখাপড়া ভালো লাগে না)।আমি ছোট থাকা কালীন সময় থেকেই বাবা চাইতেন আমি একজন আর্টিস্ট হই আর আম্মু চাইতেন আমি একজন উদ্যোক্তা হই ।যেটাকে আমার আম্মুর ভাষায় বলা হয় আমি নিজে কিছু করবো । কিন্তু আমি কখনও এসব নিয়ে ভাবিনি।আমার সব সময় বই পড়া আর টেডিবিয়ার নিয়ে মগ্ন থেকেছি।
🌼বাবা-মা কে নিয়ে কিছু কথা 🌼
আমার বাবা একজন সৌদি আরব প্রবাসী।আম্মু গৃহিণী।ছোট থেকেই দেখে এসেছি বাবা প্রবাসে থাকেন ।এ নিয়ে আমার মনে ছিল হাজার ও অভিযোগ।না চাইতেই বাবা আমার সব ইচ্ছে পূরণ করতেন। কিন্তু তাতেও বাবা আমাকে খুশি করতে পারতেন না । কারন আমি চাইতাম বাবা আমার সাথে থাকুক।ছোট্ট আমি টাকে নিয়ে বাবা পুরো শহর টা ঘুরুক। কিন্তু আমার এই ইচ্ছে গুলো প্রায় সময় ইচ্ছেই থেকে যেতো।আমি ভাবতাম হয় তো আমার বাবা আমাকে ভালোবাসে না তাই আমার সাথে থাকে না ।বাবা যখন দেশে ফিরতেন তখন আমার খুশির সীমা থাকতো না । সারাবছর রুম থেকে না বেরুলেও বাবা দেশে আসলে আর ওনার পিছু ছাড়তাম না। ভাবতাম হয় তো বাবা আমার কাছে চলে এসেছে আর কোথাও যাবেন না । কিন্তু আমার ধারণা ভুল করে দিয়ে বাবা কয়েকমাস থেকে আবার চলে যেতেন ।যাওয়ার সময় আমাকে জড়িয়ে ধরে প্রচুর কান্নাকাটি করতেন।বাবা চলে যাওয়ার পরেই আমি আবার নিজেকে রুম বন্দি করে ফেলতাম।কারো সাথে কথা বলতাম না ঠিক মত খাবার খেতাম না ।নিজেকে নিয়ে মগ্ন থাকতাম।বাবা আমাকে সব সময় একটি কথা বলতেন তুমি যখন বড় হবে তখন বাবা তোমার কাছে চলে আসবো ।তবে সেটা শুধুই শান্তনা ছিল মাত্র কারন আমি তো এখন বড় হয়ে গেছি কই বাবা তো এখন আমার থেকে দূরে থাকে । এখনও তো শুধু আমি বাবাকে ফোনেই দেখতে পাই ।
🌼শিক্ষা জীবন🌼
প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া চাঁদপুর ছোট হাসান আলী স্কুলে। প্রতি ক্লাসেই প্রথম স্থান অধিকার করতাম ।এটা আমার কাছে ভালো লাগার বিষয় হয়ে উঠেছিল।৫ম শ্রেনীতে GPA 5 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হলাম চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৬ষ্ঠ শ্রেনী তে।বলে রাখা ভালো আম্মু অসুস্থ থাকায় আমার ৫ম শ্রেনী তে পরীক্ষার আগেই নানু বাড়ি চলে যায় ।আমার দেখাশোনার জন্য একজন আন্টি রাখা হয়েছিল তাই আমি আম্মুর সাথে নানু বাড়ি যাইনি।৭ম শ্রেনীতে পড়া কালীন সময় বাবাকে বলে নানু বাড়ি চলে আসি। সেখানে আসার পর মামা আমাকে নানুদের এলাকার একটি স্কুলে ভর্তি করায়।কিন্তু আমার আম্মু চাইতো আমি যাতে শহরের স্কুল গুলো তে লেখাপড়া করি তাই ওনি আমাকে চাঁদপুর জেলার হাজিগন্ঞ্জ উপজেলা একটি স্কুলে ভর্তি করায়। আমি জেদ করেছিলাম আমি শহরের কোনো স্কুলে লেখাপড়া করবো না গ্রামে লেখাপড়া করবো ।আম্মু কেও আমার জেদের কাছে হার মেনে নিতে হয়। মামার ভর্তি করানো স্কুল থেকেই S. S. C পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে হাজীগন্ঞ্জ মডেল কলেজে ইন্টারে ভর্তি হলাম। সেখান থেকেই ২০২১ সালে সকলের দোয়ায় ইন্টার শেষ করলাম। এখন ক্রিয়েটিভ কিছু নিয়ে লেখাপড়া করার ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ।
🌼আর্টিস্ট হয়ে উঠার গল্প 🌼
প্রথমেই বলেছিলাম আমার বাবা চাইতেন আমি একজন আর্টিস্ট হই ।কিন্তু এটার প্রতি আমার কোনো আগ্রহ ছিল না। আমি কখনও আঁকার জন্য পেন্সিল ধরিনি। আঁকিবুকি জিনিস টা ঠিক আমার সাথে যেতো না। কিন্তু আমার বাবা ওনার বিশ্বাসে অটুট ছিল ।ওনি বিশ্বাস করতেন আমি একদিন বেষ্ট আর্টিস্ট হবো।
একদিন আমি একটি গ্রুপে পোষ্ট দেখলাম কেউ একজন ছবি এঁকে থাকেন। আমার খুব ইচ্ছে হলো নিজের ছবি টা আঁকানোর। তাই ওনাকে নিজে থেকে নক করে প্রেমেন্টের মাধ্যমে নিজের ছবি টি আঁকিয়ে নিলাম। সেটা আমি আমার বাবা কে দেখালাম বাবা আর্টিস্টের ফোন নাম্বার আমার থেকে নিয়ে নিল।আর্টিস্ট ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর আর্ট বিভাগের প্রশিক্ষক। বাবা ওনার সাথে কথা বলে অনলাইনে ওনাদের ৩ মাসের একটি কোর্সে আমাকে জয়েন করিয়ে দেয়। আমি তখনও বিষয় টা জানতাম না কারন বাবা বা স্যার তখনও আমাকে বিষয় টা জানাননি। একদিন সন্ধ্যায় বাবা আমাকে একটি গুগল মিকআপ লিংক দিয়ে সেখানে জয়েন করতে বলেন। আমি লিংক এ জয়েন করে দেখি সেখানে কত মানুষ আর কেউ একজন ছবি আঁকা সম্পর্কে কথা বলছেন। আমি এটা দেখেই লিভ নিয়ে নেই। বাবাকে বললাম বাবা আমাকে ভুল লিংক দিয়েছেন। তখন বাবা আমাকে বললো যাতে প্রতিদিন আমি ক্লাসে জয়েন। ওনি জানেন আমি চেষ্টা করলে অবশ্যই পারবো। কিন্তু আমি বাবাকে বলেছিলাম আমি জয়েন করবো না আমাকে দিয়ে এত কঠিন কাজ হবেন না। তারপর থেকে আমি আর ক্লাসে জয়েন করিনি। তখন আমার স্যার আমাকে বললেন ক্লাসে জয়েন করতে হবে না আমি যাতে প্রতিদিন এর দেয়া কাজ গুলো একটু চেষ্টা করি। কথা টা অতটা বেশি গুরুত্ব দেই নি। একদিন দেখলাম স্যার গাছে পাতা কুড়িয়ে এনে হুবহু কপি করে আঁকতে বলে দিয়েছেন। তখন বাবাকে বললাম এটা কি আদৌ সম্ভব, আমাকে দিয়ে তো জীবনেও এসব হবে না। বাবা বললেন না হলে না হবে চেষ্টা করে দেখতে তো কোনো সমস্যা নেই। সেদিন প্রথম বাবার কথা শুনলাম। কুড়িয়ে আনলাম কিছু পাতা ।সেটা দেখে দেখে আঁকা শুধু করলাম ।কিন্তু কিছুতেই আমি আঁকতে পারছিলাম না। তখন আমার স্যার আমায় বললেন তুমি তোমার লক্ষ ঠিক রাখো, তোমার মনোযোগ, তোমার ধ্যান সব টা দিয়ে কিছুক্ষণ পাতা টার দিকে তাকিয়ে থাকো। একই কথা আমার বাবাও বললেন। ওনাদের দেয়া সাহস নিয়ে আমি আবার ও আঁকতে শুরু করলাম তাও আমি ব্যর্থ হলাম। বাবা আমাকে তখনও বললেন ওনার বিশ্বাস আমি পারবো। ভুল হলে কাগজ ছিড়ে ফেলার পরিবর্তে ভুল টাকে মুছে একই জায়গায় আবার আঁকার জন্য পরামর্শ দিলেন। আমিও ঠিক তাই করতে থাকলাম। সেদিন পুরো রাত আমি একটা পাতা নিয়েই পরেছিলাম। যতবার ভুল করেছি ওটা মুছে একই জায়গায় আবার আঁকার চেষ্টা করেছি। একটা সময় ভাড়ি একটা কাগজ কে মুছতে মুছতে একদম পাতলা বানিয়ে ফেলছিলাম। সেই কাগজ টাতে আর একবার ও আঁকার সুযোগ ছিল না। কাগজ টি ছিড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল। আর সেই সময় টা তেই আমি গাছের পাতা টি হুবহু আঁকতে সফল হয়েছিলাম ।কাজ কমপ্লিট করে আমি স্যার কে সাবমিট করলাম। ৩০-৩৫ জন স্টুডেন্ট এর মাঝে আমি ৩য় হলাম ।সেদিন আমার বাবা খুব খুশি হয়েছিল ।তখন থেকে স্যার এর দেয়া প্রতি দিন এর কাজ আমি কমপ্লিট করে সাবমিট করে দিতাম কিন্তু ক্লাসে জয়েন করতাম না। এত মানুষ এর মাঝে আনইজি ফিল করতাম। প্রায় এক মাস যাওয়ার পর মানুষ এর শরীরের বিভিন্ন পাঠ আঁকতে দেয়া হলো আমাদের। তখন আমি হতাশ হয়ে গেলাম। বাবা আবার আমাকে সাহস দিলেন ।আম্মু বলতেন তুমি এত কঠিন কাজ পারবে না শুধু শুধু কষ্ট করছো তবে বাবা বলতেন তুমি চেষ্টা করো তুমি পারবে। শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে পা আঁকা শুরু করলাম, সে বার ও ব্যথ হলাম। স্যার অনেক রেগে গেলেন আমার উপর। আমাকে ক্লাসে যাওয়ার জন্য ডাকলেন।আমি ক্লাসে যাওয়ার পর ক্লাসের সবার সামনে আমাকে বকাঝকা করলেন। ওনি আমায় বললেন আমি কখনও আমার বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে পারবো না। আমাকে দিয়ে কখনও কিছু হবে না। এই কথা গুলো আমি নিতে পারিনি। খুব কান্নাকাটি করেছিলাম সেদিন। রাগ হয়েছিল স্যারের প্রতি। এবং সেদিন নিজের মধ্যে জেদ চেপে বসে ছিলাম যে আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করবো ওনাকে দেখিয়ে দিব আমি পারবো। প্রায় ২ মাস আমি রাতের ঘুম ছেড়ে দিলাম। সারাদিন রাত পেন্সিল এবং কাগজ নিয়ে পরে থাকতাম। একটা সময় অসুস্থ হয়ে পরলাম। ডক্টর আমাকে বেড রেস্টে দিয়ে দিলেন । আর্টিস্ট হওয়ার জেদ আমাকে মাইগ্রেন এর রোগী বানিয়ে দিল । যা আমি আজও বহন করে বেরুই। তবুও আমি থেমে যাইনি। মনে করিনি আমি অসুস্থ। পরিশেষে আসলো ফাইনাল পরীক্ষা। লাইভ ক্লাসে ফাইনাল পরীক্ষা দিলাম। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে সবাইকে পিছিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে নিলাম। সেদিন বাবা, আম্মু এবং স্যার সবাই খুব খুশি হয়েছিলেন। আমার বাবা কে সেদিন প্রান খুলে হাসতে দেখিলাম আমি। তারপর সেখান থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করলাম। তারপর থেকেই আমার জার্নি শুরু। ঢাকায় ২ বার আর্ট প্রতিযোগিতা দিলাম সেখানে ২ বারই প্রথম স্থান অধিকার করলাম। উত্তর বঙ্গে আর্ট প্রতিযোগিতা দিলাম সেখানে প্রথম স্থান অধিকার করলাম। ATN বাংলা টেলিভিশননে আর্ট প্রতিযোগিতা হলো সেখানে ব্যাস্ট আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিতি অর্জন করলাম। পরিশেষে আমি সফল। আমি পেরেছি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে ।স্যার আমাকে সেদিন আঘাত করে কথা গুলো না বললে হয় তো আজ এই জায়গায় টায় আসতে পারতাম না। ওনার প্রতি সম্মান কৃতজ্ঞতা যা প্রকাশ করার মত নয়। বাবার স্বপ্ন পূরণ করলাম এখন আম্মুর স্বপ্ন টাও একদিন পূরন করবো। একদিন সফল উদ্যোগতা হয়ে আম্মুর মুখেও তৃপ্তির হাসি টা দেখবো ইনশাআল্লাহ ।
🌼নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন থেকে আমি কি পেলাম 🌼
প্রিয় পরিবারে ভালোবেসে যুক্ত হয়েছিলাম ১৬-০৬-২০২২ ইং তারিখে। হয় তো কখনও কোনো ভালো কাজ করেছিলাম, মা-বাবা ও অন্যান্য দের দোয়া ছিল আমার জন্য তাই এই প্রিয় পরিবারে দেখা পেয়েছি আমি।প্রিয় পরিবারে এসেছি একজন ভালো মানুষ, সৎ ও স্বচ্ছ উদ্যোগতা হওয়ার লক্ষে ।স্যারের দেয়া নিয়মিত সেশন গুলো যখন আমি কয়েক বার পাঠ করি তখন মনে হয় উপদেশ গুলো আমাকেই দেয়া হচ্ছে ।আমি স্যারের থেকে শিখেছি কথা দিয়ে কিভাবে কথা রাখতে হয়, কি ভাবে রাগ কে প্রাধান্য না দিয়ে জেদ কে প্রাধান্য দিতে হয়,কীভাবে স্বার্থ ছাড়াই মানবসেবা করে যেতে হয়, কীভাবে একজন ভালো সন্তান /ভালো মানুষ এবং উদার মনের মানুষ হওয়া যায় 🥀
প্রিয় পরিবারে যুক্ত হওয়ার পর থেকে আমি মানুষ দের সাথে মেশার চেষ্টা করছি। যে আমি টার মধ্যে জড়তার পাহাড় ছিল । কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ প্রিয় পরিবারে যুক্ত হয়ে এবং নিয়মিত সেশন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার ফলে সেই জড়তা অনেক টাই কমে গিয়েছে।
আমার অগোছালো কথার মাঝে ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল 🌼
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৬২
তারিখ ৩১-০৮-২০২২ইং
সাদিয়া মুহসিনাত আফিয়া
১৮/১০০৭৮৭
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর