এখন সপ্ন দেখি একদিন আমার উদ্যোগকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাব
⭐ জীবনের গল্প⭐
🙏আমার জীবনের গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইল🙏
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
🤲সকল প্রশংসা করুনাময় মহান রব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত করে সৃষ্টি করেছেন ও সুস্থ্যতার সাথে ওনার ইবাদত করার সুযোগ দিয়েছেন।
সালাম আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:)এর প্রতি।যার উম্মত হবার পরম সৌভাগ্য হয়েছে আমাদের ।
⭐শুরু করার আগে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্বরন করছি আমার বাবা ও মাকে।যাদের রৃন কখনও শোধ করা সম্ভব না।
⭐সাথেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি।যার অকৃত্রিম প্রচেষ্টার এই বিশাল পরিবার আমরা পেয়েছি।যিনি এ সময়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক,পথপ্রর্দশক,লক্ষ তরুন তরুণীর হ্নদয়ের স্পন্দন ও সপ্নের সুন্দর সূচনা করার অনুপ্রেরণাদানকারি।
ভালোবাসা রইল #নিজেরবলারমত গল্প ফাউন্ডেশনের সকল দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গের প্রতি।সকলের সুস্থ্যতা ও দীর্ঘআয়ু কামনা করছি।আশা করি সবাই ধৈর্য্য সহকারে পাশে থাকবেন।
🔷::জীবনের গল্প::🔷
প্রতিটি মানুষের জীবন একটা হাঁসি আর কান্নার সাথে হেরে যাওয়ার কথা থাকেকিন্তু লুকিয়ে থাকে নানান গল্পকথায়।
যেখানে সুখ-দুঃখ,আনন্দ-বেদনা,ব্যার্থতা-সফলতার বাধা থাকে প্রতিটি সুর ও ছন্দ।যেন এক একটা রুপকথা।আমিও তার ব্যাতিক্রম নই।
সঃক্ষিপ্ত আকারে কিছুটা অংশ ভালোবাসার মানুষদের সাথে শেয়ার করব।
🔷::পারিবারিক পরিচয় ::🔷
১৯৯১সালের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ ঢাকার শেমলিতে আমার জন্ম।৩ বোন ও ২ ভাই নিয়ে একটা সুন্দর সাজানো পরিবার আমার।যেহেতু মেজো ছিলাম আর মেয়েই ছিলাম আবার ও তাই সবার অবহেলা আর লানছোনা সবসময়ই একটু বেশি পেয়েছি।আমার মা ছিলেন একজন গৃহিনী এবং বাবা একজন চাকরিজীবি।
🔷শৈশবের দিন🔷
জন্মের প্রায় আরাই মাস পর থেকেই জীবনের জটিল তা শুরু হয়।কোন এক সমস্যার কারনে।মা পেরালাইস্ট হয়ে যায়।বন্ধ হয়ে যায় মায়ের দুধ পাওয়ার ভাগ্য টাও। শুরু হয় বাবার কর্মজীবন আর একা ঘড়ে আমার বেরে ওঠা।
🔷আমার কথা🔷
বাস্তবতার নির্মমতায় প্রতিটি মেয়ের যখন জন্ম হয় তখনই শেখান হয় তুমি অন্যের ঘরের সম্পদ।যেন বাবার ঘরের দুলালি হয়েও নিজেকে বর একা ও অসহায় মনে হওয়া ।তিরপর স্কুল গন্ডি পার করতে আমাকে হতে হয় নানা রকম কষ্টের সম্মুখীন।এর মাঝে আমার এপান্ডিছ ধরা পরে।কোন রকম অপারেশন তো করা হয় , কিন্তু সে সময় যত্নের জন্য ও আল্লাহ কাউকে দিতে ছিলেন উদাসিন।মাএ কলেজে পা দেই তখন বাবার চাকরি চলে যায়।কিন্তু পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছায় তখন থেকেই চাকরি করার মাধ্যমে কর্মজীবনের পর্দাপন।যখন খুব সখ করে নার্সিং পড়া শুরু করি। চাকরির পাশাপাশি পড়াশুনা চালানোটা খুব কষ্ট ই হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু মনে শপ্ন নিয়ে সামনে আগাচ্ছিলাম ঠিক তখন পড়ার ইতি টানতে হয়। বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায় আর ৭ দিনের মাথায় বাবার গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়ে যায়।সেই এক্সিডেন্টে আমার বাবার অনেক বড় খতি হয়েযায়। পড়ালেখা বন্ধ করে শুরু হয় পরিবারের দেখাশোনা। কিন্ত তবুও চেয়েছিলাম লাস্ট ইয়ারের পরীক্ষাটা দিতে কিন্তু কেউ তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিলনা এমনকি নিজের অতি আপন জনরাও না।😔 দুই বোন ও দুই ভাইয়ের সংসার পুরো অচল।
তখন আমি ই ছিলাম পরিবারের ভরসা।
এই সমস্যার প্রায় ১৫ দিনের মধ্যেই মার লিভারে পাথর ধরা পরে অপারেশন করাতে হয়।
🌱চারদিক যেন অন্ধকার লাগছিল।কি করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।তখন প্রিয় মানুষ গুলো আস্তে আস্তে সব দূরে চলে গেলো।তখন পরিবারের খরচ সামলাতে পারছিলাম না তখন এক বন্ধু বললো তুমি তো খুব ভালো দর্জির কাজ পারো তাহলে সেটা কে কাজে লাগাও । তুমি চাইলে বিউটির পর কাজ করার ব্যবস্তা করে দিতে পারি। শুরু হলো আমার আর একটা নতুন জীবন।এভাবে চলতে থাকলো।জামা বানানোর সাথে সাথে হাতের কাজ করে দিতাম এক্সট্রা পারিশ্রমিক পেতাম।
তখন থেকেই শুরু হয় আমার ২য় পর্যায়ের কাজ/উদ্যোগের কাজ।
পরিচিত বান্ধবীদের মধ্যে বিক্রি শুরু করি।
জীবনে ভালোবাসার পাটটাও এসেছিল কিন্তু দূরভাগ্য এত জটিল তার মাঝে আমি তাকে হারিয়ে ফেলি। খুব কষ্টে ভেঙেও পরে ছিলাম।মত ই হোক আমি তো একটা মানুষ, আমার তো কষ্ট হয়। তখন বন্ধু ও জীবন সাথী হয়ে পাশে দাঁড়াতে আল্লাহ মানুষের রূপে ফেরেশতা পাঠিয়ে দেন আমার জীবনে। ভাবলাম এই বুঝি সুখ এলো জীবনে।সে আমার কাজ দেখে একটি কারখানা দিয়ে দেয় আমাকে। কিছু টা সময় সুখেই কাটছিল আমার।কিন্তু কথায় আছে না অভাগা যেদিকে যায় নদিও শুকিয়ে যায়।এর মানে , আমার স্বামী এসটক করে এবং কিছু দিন পর তার মাথা বড় একটা অসুখ ধরা পরে। জীবন আবার সেই শুরুতে এনে দার করিয়ে দিল আমাকে।
চলে আসলাম স্বামী কে নিয়ে আমার শশুর বাড়ী তে। এখানে এসে মনে হলো যেনো নতুন কোন যুদ্ধ আবারো আমাকে জয় করতে হবে।
🔷পাসে সবাই বলতে শুরু করলো এভাবে কি সঙসার চলবে , তোমাকে তো কিছু করতে হবে। কিন্তু করব যে টাকা কোথায় পাবো। নিজের শেষ অবল্মলটুকু মানে একটি চেইন বিক্রি করে মুরগির ফার্ম দিলাম। কিন্তু কিছু বুঝতে পারছিলাম না যে কিভাবে করব।
🌱 সংসারের সব দায়িত্বের চাপে একদমই তখন আমার দিশেহারা অবস্থা। হটাৎ রাস্তায় আমার এক্সিডেন্ট হয় তাতে আমার মিছকেরেজ হয় সাথে আমার একটা হাত ভেঙে যায়। খুবই অসহায় হয়ে যাই আমি। শশুর বাড়ী তেও তেমন কেউ নেই আমার। আমার শশুর, আমার স্বামী ছোট থাকতেই মারা যায়।আর শাশুড়ি আমার স্বামীর উপরে রাগ আমাকে বিয়ে করা নিয়ে তাই আমাদের সাথে থাকেনা।
🔷(পার্ট - ২)🔷
এরপর আমার এক আপু আমাকে এই গ্রুপের সন্ধ্যান দেয়। আগষ্ট মাসে২০২২ আমি এই গ্রুপে যুক্ত হই।শুরুতে আমি নিজের পরিচয় পোস্ট করি এবং সবার পোস্ট পড়া শুরু করি।নতুন নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করি।
🌱এরপর কুষ্টিয়া কুমারখালী দুর্গাপুর উপজেলা থেকে যুক্ত হয়ে
ওখানে যখন শুনলাম এই গ্রুপে প্রতিদিন সেশন চর্চা ও ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে সেশনের বিষয় বোঝান হয়।তখন প্রতিদিন সেশনে যুক্ত থাকার চেষ্টা করি।
যেন প্রতিদিন মনে হচ্ছিল আরও আগে কেন এই গ্রপে আসলাম না।প্রতিটি সেশন যেন আমার এক একটা সমস্যার সহজ সাবলীল সমাধান।
এখানে সবাই এতটা আন্তরিক যে এই অল্প সময়ে সবার সঙ্গে একটা সখ্যতা গরে ওঠে।
🌱কিন্তু সংসারের সকল কাজ ও উদ্যোগের কাজের চাপে আমি এতটা অসুস্থ হয়েও চেষ্টা করছি ঘুরে দাঁড়াতে
তখনও থেমে থাকিনি প্রতিনিয়ত স্যারের সেশন দেখতাম এবং স্যারের পরামর্শ গুলো মনে আটকে রাখার চেষ্টা করছি।
🌱বাসায় পরিবারকে সময় দেয়ার পাশাপাশি কাজে মনোযোগ দেই।
তখনও স্যারের সেশনের বিষয়বস্তু যেন আশার আলোদেখাচ্ছে।
স্যারের সেশন যেন আমার মধ্যে আত্ববিশ্বাস এতটাই বারিয়ে দিয়েছিল সব বাধাগুলো যেন আমার কাজের গতি আরও বারিয়ে দিত।
এখন আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহর রহমতে ভালোই সুস্থ হয়ে উঠছি। আশাকরি ৯০দিনের সেসন আমার জীবন আরো বদলে দেবে।হাতের ব্যান্ডিজ খুললেই ফার্মে মুরগির উঠবে।আর হাতে বেশ কিছু হাতের কাজের ওঠার আছে ।দোয়া করবেন আমি যেন আমার স্বামীর পাশে দাঁড়াতে পারি।আর আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমার স্বামী অনেক টা সুস্থ হয়েছে।আর হাতের কাজের টাকায় আর আমার স্বামীর সহায্যে পরিবার ভালোই চলছে।
🌼এখন সপ্ন দেখি একদিন আমার উদ্যোগকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাব।সবাই দোয়া করবেন।
🌼আর এইসব কিছুই সম্ভব হয়েছে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যারের দিকনির্দেশনার জন্য।সত্যিই এই পরিবারের একজন আজীবন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত।
অসংখ্য ধন্যবাদ এই পরিবারের সকল দায়িত্বশীল ভাই ও বোনেরা,যারা সব সময় একজন ভালো মানুষের মত আমার পাশে ছিলেন।আরও ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় সোনিয়া সালমান আপুকে --ওনার পরামর্শে এখানে আসা ।
🙏পরিশেষে আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ভালোবেসে আমার লেখা পড়ে পাশে থাকার জন্য।সাথেই আমার লেখায় যদি কোন ভূল এুটি থাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৬২
তারিখ ৩১-০৮-২০২২ইং
👉 মাছুমা আক্তার কাজল
👉ব্যাচ-১৯
👉রেজি-১০৪৫২৪
👉 কুষ্টিয়া কুমারখালী দুর্গাপুর উপজেলা
👉