খুব বেশি না হলেও যেন একজন মানুষের ভাগ্য বদলাতে সাহায্য করতে পারি।
✍️শুরু করিতেছি মহান সৃষ্টিকর্তা পরম করুণাময় আল্লাহর নামে যিনি অত্যন্ত দয়ালু এবং মহান ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আশা ও বিশ্বাস সকলেই ভাল আছেন, আমি ও আলহামদুলিল্লাহ চমৎকার ভালো আছি।
✍️আমি আমিনা খাতুন ১৪তম ব্যাচ থেকে প্রিয় প্লাটফর্মের সাথে ভালোবেসে যুক্ত আছি । আসলে আমার জীবনের গল্পটা কখনও লিখা হয় নি তাই এখন প্লাটফর্মের প্রিয় আপু ও ভাইয়াদের অনুপ্রেরণায় আজ কিছু লেখার সাহস পেলাম আমি হার না মানা এক হতভাগিনী।
📖আমার জীবনের ছোট গল্পটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।🔰
✍️প্রথমেই মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি যিনি আমাকে এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। এবং সৃষ্টির সেরা আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে। এবং এতো মহামারীর মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত আমাকে যে সুস্থ রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।🤲
হাজার ও দুরুদ ও সালাম আমাদের প্রিয় নবী সর্ব শেষ ও শ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
__________________
✍️কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার মা-বাবার প্রতি যাদের কারণে এই সুন্দর পৃথিবীতে আসার সুযোগ হয়েছে।
✍️ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর লাখো তরুণ তরুণীর আইডল, উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর।
জনাব,ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। হাজার হাজার ঝড়ে পড়া তরুণ তরুণীর নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দ্রষ্টা যিনি
যার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা সবাই পেয়েছি এতো বড় একটি পরিবার । পেয়েছি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন।যেটা না পেলে আজ আপনার ও আমার মতো হাজার হাজার তরুণ তরুণীর নতুন নতুন সব স্বপ্ন দেখা সু্যোগ হত না।
🤲 আল্লাহর কাছে সর্বদা দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের স্যারকে সব সময় সুস্থ রাখেন। নেক হায়াত দান করেন। আমীন 🤲
✍️যার কারণে আমাদের সুখ দুঃখের কথা শেয়ার করার সুযোগ পেয়েছি।
আমার জীবনের ঘটে যাওয়া কিছু কথা, যা কোন দিন ও কাউকে বলার সুযোগ হয় নি। আজ সেটা সম্ভব হয়েছে শুধু আমাদের প্রিয় অভিভাবক শ্রদ্ধেয় জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের এত সুন্দর চিন্তা চেতনার কারনে।স্যারের কথা বলে এবং লিখে শেষ করার মত নয়। এ যুগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক । স্যারের জন্য মন থেকে সব সময় দোয়া করি। আল্লাহ যেন আমাদের স্যারকে নেক হায়াত দান করেন।
✍️ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের প্রিয় প্লাটফর্মের সম্মানিত মডারেটর ও কোর ভলান্টিয়ারদের প্রতি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা সবাই ভালোবাসার পরিবারে যুক্ত হতে পেরেছি। এবং নিজে একজন আজীবন সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
⭐ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় প্লাটফর্মের শ্রদ্ধেয় আপু ভাইয়া ও সহপাঠীদের প্রতি যাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ ও অনুপ্রেরনা পেয়ে যাচ্ছি।
আসলে একজন মানুষের জীবনে জন্ম থেকে জীবন চলার পথে অনেক সুখ দুঃখের মধ্যে দিয়ে পাড়ি দিতে হয় । যেমনটা আমার ক্ষেত্রে ও হয়েছে। আমি চেষ্টা করবো আমার জীবনের অধ্যায় থেকে অল্প কিছু তুলে ধরার।
👉 সবাইকে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি ।
✍️গল্পের শুরু এখনেই
এই প্রতিজ্ঞা করিতেছি যে,এখানে কোন মিথ্যা ও কাল্পনিক কিছু লিখব না।🌹
🌺শৈশব ও জন্ম🌺
✍️আমার জন্ম সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা। আমার বাবার বাড়িতে। কিন্তু বাবার বাড়িতে থাকার আর ভাগ্য ছিল না আমার। জন্মের এক মাস হওয়ার আগেই আমার মামারা নিয়ে আসেন মামার বাড়িতে। তখন অনেক আদরের একমাত্র ভাগ্নি ছিলাম। ছোট বেলা অনেক চঞ্চল ছিলাম। মামার বাড়িতেই আমার বড় হওয়া। আমার নানু ছিলেন ছোট বেলার সাথী। নানু ছিলেন আমার সবকিছু। নানুর অবদানের কারণে আজ হয়তো লিখতে পারতেছি। কারণ সবাই বলে বাবার আদর্শে গড়ে উঠেছে।আর আমি বাবার আদর্শ পাব কোথা থেকে। বাবার আদর কি জিনিস সেটাই তো আমাকে স্পর্শ করেনি। তবুও মা বাবার জন্য সব সময় দোয়া করি। বিশেষ করে আমার মায়ের জন্য অনেক কষ্ট হয়। বর্তমানে আমার আম্মা অনেক অসুস্থ সেই সময় আমি পাশে নেই এবং মায়ের একটু সেবা করতে পারতেছি না।
🤲আমার মায়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
ছাত্র জীবন
=========
✍️গ্ৰামের একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশ করি মোটামুটি ভালো ছিলাম পড়াশোনায়। মেধা তালিকায় ২য়/৩য় ছিলাম সবসময় সে হিসেবে আমার প্রাইমারীর প্রধান শিক্ষিকা আমাকে "জালালাবাদ এসোসিয়েশন" নামে এক সংস্থা সৌদি আরব রিয়াদ থেকে
৩৬০০/-টাকা স্কলরশিপের ব্যাবস্থা করে দেন। সেটা আমার অনেক উপকারে আসে যখন হাজী মোঃ উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ট শ্রেনীতে ভর্তি হলাম।তার পর ৭ম,৮ম ও ৯ম আলহামদুলিল্লাহ ভালো যাচ্ছিল কিন্তু মাধ্যমিক শেষ করার আগেই আমার জীবনের ঝড় নেমে আসে টেষ্ট পরীক্ষা দেয়ার আগে আমি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ি। একটানা একুশ দিন স্কুলে যেতে পারি নাই।তখন সবাই আমাকে নিষেধ করে যেন পরীক্ষা না দেই। কারণ আমি এতোটা অসুস্থ ছিলাম কথা বলতে সমস্যা হত। টাইফয়েড জ্বর এবং ম্যালেরিয়া একসাথে।কারো নিষেধ না শুনে অমি পরীক্ষা দেই । তারপর রেজাল্ট খারাপ হয়। একটা কথা বলি, আমি যে দশম শ্রেনী পর্যন্ত আসলাম মামা আমাকে একটা গাইড বই ও কোন দিন কিনে দেননি। কোন দিন প্রাইভেট ও পড়িনি।
আবার মামা সব সময় বলতেন যেদিন ফেল করবা সে দিন পড়া শেষ। রেজাল্ট যখন খারাপ তখন অভিভাবক মিটিং ডাকা হয় মামা গেলেন না সেখানে। তখন আর *এসএসসি* পরীক্ষাটা আর দেয়া হল না । তার কিছু দিন পর নানু ও আমাদেরকে ছেড়ে চলে যান।না ফেরার দেশে। আমার নানুকে যেন আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। সবাই দোয়া করবেন।
✍️শুরু হল কঠিন জীবন:
তখন সময় বোঝাতে পারলাম যে আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়ল মনে হল এই তো মনে হয় আমার জীবনের শেষ। তখন মামারা ও সাথে নেই । শুধু আমার মা ও আমরা দুই বোন। শুরু করলাম বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানো। সকাল বেলা আরবী, তার পর থেকে বাংলা প্রথম শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাইভেট পড়াতাম। মজার ব্যাপার হলো একটা ভাতিজা ও একটা ভাতিজি আমি ছাড়া কারো কাছে পড়তে চাইত না তখন এদের মা-বাবা আমাকে কিছু বাড়তি টাকা দিয়ে হলে বলতেন আমি যেন পড়ানো বন্ধ না করি। আমি তখন ভাবতাম যাহোক সেখান থেকে কিছু টাকা পেলে আমার মা তো ভালো ভাবে চলতে পারে।
আমার মা সবসময় বলতেন আমি ওর ছেলে।
👉তখন আম্মা সমিতি থেকে কিছু টাকা লোন নেয় । তারপর আমি সে টাকা দিয়ে একটা মুদি দোকানের যা যা থাকে এগুলো এনে বিক্রি করতাম ঘরে বসে। কিছু দিন ভালোই চলছিল। হঠাৎ করে এক সময় আমি আমার বড় মামার বাসায় চলে যাই তখন আম্মা আরো টাকা আনতে শুরু করলেন বিভিন্ন সমিতির কাছ থেকে। কারণ তিনি চলতে তো হবে , রোজগার করার একমাত্র অবলম্বন আমি সেই আমি যখন চলে যাই মামার বাসায়। সত্যি বলতে কি মামার বাসায় যাবার পেছনেও আমার দুটো স্বপ্ন ছিল, কোনটাই তখন সময় আর পূর্ণ করা হলনা । তবে পরবর্তীতে একটা পূরন করতে সক্ষম হই কিন্তু আরেকটা এখন পর্যন্ত স্বপ্নই রয়ে গেছে। আমি কিন্তু এখন ও নিরাশ হইনি। সবাই দোয়া করবেন হাল ছাড়ার মানুষ আমি না।
যাইহোক আম্মা তখন কিভাবে পরিবারের খরচ যোগাবে ।এভাবে তিনি অনেক টাকা লোন আনেন যেগুলো চক্রবৃদ্ধির আকার ধারণ করে।এসব লোন আবার আমার বিয়ের পরে আমি পরিশোধ করি।
✍️ চাকরি জীবন💯
এস এস সি তো পাশই করি নাই আবার চাকরি। আলহামদুলিল্লাহ সেটা ছিল একটা প্রজেক্ট তাই , এস এস সির রেজিস্ট্রেশন কার্ড দিয়ে একটা চাকরির সুযোগ পেলাম এবং সেখানে মাত্র ১২৫০ টাকা ছিল স্যালারি। আবার পাশাপাশি প্রাইভেট ও পড়ানো চলছে।
✍️ বৈবাহিক জীবন
তিন মাস মাত্র চাকরি করার পর মা বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। আমি তখন কি করব কিছু বলতেও পারতেছি না । আমার বলার মত কোন ভাষা ছিলনা। আমি তখন ভাষা হারিয়ে ফেলেছি কি বলবো। কারণ আমার তো কোন অভিভাবক নেই তখন। সেই সময় আমার এক খালাত ভাই ও দূরসম্পর্কের একটা মামা যাদের কথা কখনো ভুলার মত না। কারণ তারা আমার আম্মা কে নিজের পরিশ্রম দিয়ে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন। আমি কখনও তাদের ঋণ শোধ করতে পারবোনা। যাইহোক আম্মা অনেক ঝড় ঝাপটা পার করে আমার মামাদের রাজি করান এবং বিয়ের ব্যাবস্থা করেন । তারপর মামারা আমার বাবাকেও উপস্থিত করান। তারপর আমার বাবা বিয়ের সকল জিনিসপত্র দেন।আর মামারা বাকিটা চালিয়ে নেন। বিয়ে হয়ে গেল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়।
✍️ শুরু হলো নতুন পথচলা
==================
🛖পারিবারিক জীবন
==================
যদি ও সামাজিক ভাবে আমাদের বিয়ে হয় তার পর ও আরো ও দু চারটা মেয়ের মত ছিল না আমার জীবন।
বিয়ের দুই মাস পর আমরা দুজনের ছোট পরিবার চলতে থাকে। কিন্তু মা বোনের জন্য সারাক্ষন মন খারাপ করে থাকতাম। কারণ আমি ছাড়া তো আমার মা বোনকে দেখার মত কেউই ছিল না। এখন ও এই যে লিখতেছি কিন্তু আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি না । খাবার খেতে বসলেই মা আর বোনের কথা মনে পড়ে যেত তখন আর খেতে পারতাম না। মনে হত গলা দিয়ে খাবার যাচ্ছে না। সেই বোন আমাকে আজ কত কিছু বলে । এগুলো আর নাই বা বলি ।শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ির সঙ্গে থাকাটা আমার ভাগ্যে নেই। কিন্তু উনারা সবাই দূরে থেকেও আমাকে অনেক আদর করে এবং আমার জন্য দোয়া করেন।
আমার মা বিয়ের আগে আমার হাজব্যান্ড কে বলেছিলেন আমার মেয়ে পড়তে চায়। তখন উনি রাজি হন। কিন্তু তখন তো আর জেনারেলে সম্ভব ছিল না। কারণ বিয়ের পরে আবার আমি নবম শ্রেণীতে পড়ব সেটা তো সম্ভব ছিল না। সে সময় বিকাল বেলা আরেকটা কাজের ও সুযোগ পেলাম ব্রাকে। ছোট বাচ্চাদের পাড়াতাম । সে বিষয় গুলো মাথায় রেখে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হই। এদিকে আবার আমি প্রথম কনসিভ করি। তারপর ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকি। আলহামদুলিল্লাহ সেখান থেকে এস এস সি পাশ করি।তারপর আমার কোল জুড়ে আসে আমার নয়নের মনি ''আহসানুল করিম সাদী" ছেলের জন্ম হল। চাকরি ও করি। তখন প্রতি মাসে একবার একদিনের ট্রেনিংয়ে যেতে হত তখন আমার আম্মা আমার ছেলেকে সাথে করে নিয়ে ওয়েটিং রুমে বসে থাকতেন। কারন সেখানে মাতৃত্বকালীন কোন ছুটি ছিল না। ছেলের জন্মের পর আমি মাত্র এক সপ্তাহ ছুটি কাটাই। সাথে সাথে সংসার ও চলছে। পাশাপাশি আবার ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন শুরু হয়। সপ্তাহে এক দিন গিয়ে কিছু জন্ম নিবন্ধন ফরম নিয়ে আসতাম আর বাড়িতে বসে রাত্রে লিখতাম। তারপর একসাথে নিয়ে জমা দিতে হত। সবাই বলাবলি করে কিভাবে আমি এতো কিছু সামলাতে পারছি। আসলে তখন সময় আমি নিজেও জানি না কিভাবে যে সবকিছু অনেক সুশৃঙ্খল ভাবে আমি চালিয়ে যেতে সক্ষম হই । এস এস সি পাশ করার পর প্রাইমারীতে অনেক বার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি । কারণ মামা খালু আর টাকা না থাকলে চাকরি আর বোঝাতেই পারছেন। চাকরি যেন সোনার হরিণ। তখন স্বামীর আত্মীয় স্বজনেরা বলা বলি করে আর পড়ে কি লাভ এখন সংসার করতে হবে। আমি তখন বলতাম আমার সংসার ও চলবে পড়াশোনা ও চলবে ইনশাআল্লাহ সবই ঠিক থাকবে । তখন আবার ভর্তি হলাম এইচএসসিতে। এইচএসসি পরীক্ষা তখন দেব তখন আবার দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে চলেছি। তখন আবার চাকরি শেষ। প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যায়। তারপর এক ভাই দলিল লেখকের সাথে থাকতেন তিনি একদিন বলেন এখন তো চাকরি নেই আমি কিছু কাজ দিব করতে পারবি। আমি তো অনেক খুশি। বললাম কি কাজ বলেন, তিনি বললেন আমি তোকে কিছু দলিল এনে দেব সেগুলো দেখে দেখে আবার লিখে দিতে হবে। যাকে নকল বলে। আলহামদুলিল্লাহ আমি তো মহা খুশি। তখনকার কথা মনে পড়লে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনা। যাইহোক এবার আরেকজন কন্যা সন্তানের মা হলাম।।এটি আমার অনেক সাধনা। ওর নাম "হুমায়রা করিম "সাবা,, বর্তমানে আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। এবং ছেলে নবম শ্রেণীতে পড়ে সবাই আমার ছেলেমেয়েদের জন্য দোয়া করবেন।
তার পরও বাদ দেইনি পড়াশোনা। যখন পরীক্ষা শুরু হয় তখন মেয়ের বয়স মাত্র দুই মাস। ওকে ওর আব্বু তখন সাথে করে নিয়ে যেত কলেজে যতক্ষন পরীক্ষা চলত তিনি মেয়েকে নিয়ে ততক্ষণ ওয়েটিং রুমে বসে থাকতেন। অনেক কষ্টে যাচ্ছে আমাদের দিন গুলো যাচ্ছিল কিন্তু কাউকে বোঝাতে চাইনি । তখন মেয়ের জন্মের পরপরই ওর আব্বুর একটা চাকরি হয় সে থেকে অবস্থা কিছুটা হলেও ভালোর দিকে আলহামদুলিল্লাহ । তারপর পর আবার বিবিএ তে ভর্তি হই। তখন ও সবাই বলত আমি কিভাবে একসাথে এসবকিছু করব।
আরো কতকিছু যে আমার জীবনে পার করে এসেছি।এত কিছু আসলে বলা সম্ভব না। সবশেষে , ভাগ্যটা খারাপ তাই বিবিএ ফাইনাল পরীক্ষা টা আর দেওয়া হয় নি। প্রথম চাকরিটাও চলে যায়। তার পর দুই মাস পর আবার হীড বাংলাদেশে একটা চাকরি পাই। সেই সুবাদে হীড বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প আবার কিছু লোন ও কিছু লেয়ার মুরগির বাচ্চা দেয় প্রায় ১৪০টি ।এগুলো দিয়ে ছোট পরিসরে একটা খামার শুরু করি । আলহামদুলিল্লাহ ভালোই চলছিলো। যখন মুরগিগুলোর ডিম পাড়া প্রায় শেষের দিকে তখন বিক্রি করে দেই আবার বড় আকারে শেড তৈরি করব বলে। কিন্তু আর হল না। যে দিন মুরগি বিক্রি করে দেই সেই দিন আমার হাজব্যান্ডের একটা এক্সিডেন্ট হয় সিলিং ফ্যানে ওর মাথা কেটে যায় এমন অবস্থা তিনি প্রায় তিন ঘন্টা অজ্ঞান ছিলেন প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং মাথার তিন জায়গায় কেটে যায় অনেক গুলো সেলাই দেওয়া হয় । তারপর আর কি করা সিন্ধান্ত পাল্টে যায়।।শুরু হয় প্রবাসে আসার ঝড়।
আলহামদুলিল্লাহ সেই ফার্ম করাতে থেকে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে । যদিও সেটা অনেক ছোট পরিসরে ছিল।আসলে আরো কত চড়াই উৎরাই পার করে এপর্যন্ত আসা এগুলো বলে শেষ করা যাবে না। বাকীটা অন্য একদিন বলব। ইনশাআল্লাহ।
✍️ প্রবাস জীবন
প্রবাসে আসার পিছনে ও অনেক কারণ রয়েছে । আসলে আমি জীবনে কখনও ভাবিনি যে আমি কোন দিন প্রবাসে আসব। যাইহোক অনেক সময় ভাগ্যকে মেনে নিতে হয়।যদিও বর্তমানে অবস্থা এতটা ভালো না তারপর ও যা কিছু করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। এ সবই মহান আল্লাহর অশেষ রহমত। না হলে সম্ভব হতো না। এমনি অনেক বেশি হয়ে লিখা হয়ে গেছে।
🥀আমার স্বপ্ন🥀
আমি কিছু জায়গা কিনেছি । আপনাদের দোয়ায়। সেখানে খামার করার ইচ্ছা। আগামী পাঁচ বছরে যেন কমপক্ষে অন্তত দশজন লোকের কাজের ব্যাবস্থা করতে পারি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আর খুব বেশি না হলেও যেন একজন মানুষের ভাগ্য বদলাতে সাহায্য করতে পারি।
আসলে আর কথা বাড়াতে চাচ্ছিনা ।
আমাদের স্যারের অসাধারণ সেই বানী দিয়ে শেষ করলাম।
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
সফলতআসবেই।
============
সবশেষে,, আমার লেখাটি আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।
✍️আমার লেখার মধ্যে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৬৫
তারিখ ০৫-০৯-২০২২ইং
আমিনা খাতুন
ব্যাচ:১৪
রেজিঃ ৬০৪০১
জেলা: মৌলভীবাজার।
থানা : কমলগঞ্জ ।
বর্তমান অবস্থান সৌদি আরব।