শিখেছি কিভাবে একজন ভালো মানুষ হওয়া যায়
👉 #জীবনের_গল্প
🖊️🖊️🖊️🖊️🖊️🖊️
সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা
প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি সফলতা ব্যর্থতা নিয়ে আমাদের এই ছোট্ট জীবন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রতিটা মানুষের জীবনকে নানা সুরে বেধেছেন। আমার এই ছোট্ট জীবনের কিছু গল্প । আপনাদের মাঝে,শেয়ার করলাম আপনার মহা মূল্যবান সময় থেকে অল্প একটু সময় দিয়ে আমার জীবনের গল্পটা পড়ে আসবেন আশা করছি।
👉জন্ম ও পারিবারিক বৃত্তান্ত
👉 ১৯৮৮ সালে জানুয়ারি মাসে ১ তারিখে কিশোরগঞ্জ জেলা পাকুন্দিয়া থানা নমা লকখিয়া ইউনিয়নে আমার জন্ম হয় বাবা-মা আর তিন ভাই তিন বোন নিয়ে আমার পরিবার ভাই-বোনদের মাঝে আমি ছিলাম পাঁচ নাম্বার আমার ছোট এক বোন আমার বাবা ছিলেন একজন কৃষক আমি একজন কৃষকের সন্তান আমি নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান আমার মা ছিলেন একজন আদর্শ মা ও গৃহিণী আমি বাবা-মার খুব আদরের সন্তান।
শৈশবে অনেকটা সুন্দর কেটেছে আমার, জীবনে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির কাছে মসজিদে যাইতাম আরবি পড়ার জন্য। আমি ছাত্র হিসাবে মোটামুটি ছিলাম এক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত আমার রোল নাম্বার ছিল তিন।
আমার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাকুন্দিয়া বাজারে কিন্টার গার্ডেন এন্ড স্কুলে আমি পড়তে যেতাম প্রতিদিন। একা একাই বাড়িতে চলে আসতাম কারণ আমার বাবা কৃষি কাজে সব সময় ব্যস্ত থাকতো আমার বড় ভাই ও আপুরাও তাদের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো কিন্তু চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর আর আমার পড়া হলো না।
কারণ কিন্ডারগার্টেন এন্ড স্কুলের যাবতীয় খরচ আমার বাবার দ্বারা চালানো সম্ভব ছিল না যেহেতু ভাই বোন সবাই পড়াশোনা করতাম বাধ্য হয়ে তারপর আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়।
তারপর বাড়িতেই থাকি বাবার সাথে কাজে কিছুটা হেল্প করি কিন্তু আমার মন বসতো না কাজে প্রায় এক বছর গ্যাপ হয়ে গেল, এক বছর পরে আবারো বাড়ির কাছে এক প্রাইমারি স্কুলে আমি ক্লাস পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হই। ভাগ্যের কি পরিহাস অভাব আমাদের পিছু ছাড়লো না কোনরকম ক্লাস অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করলাম। তারপর আবারো পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়, প্রায় এক বছর আবারও গ্যাপ কিন্তু কোন কাজে যে আমার মন বসছিল না কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না বাবা বলতো কাজ কর কাজ কর কোন একটা কিছু কর কিন্তু কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। আবারো এক বছর পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আমি একটি হাইস্কুলে ক্লাস নাইনে ভর্তি হই কিছুদিন যাওয়ার পর দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা আসলো পরীক্ষার ফিসের জন্য স্যারে খুব তাগিদ দিচ্ছিল। সেই অভাব যে আমাদের পিছু ছাড়লো না ফিসের টাকা রেডি করতে না পেরে আবারো পড়ালেখা আমার বন্ধ হয়ে যায়। আর পড়ালেখা হলো না, সারাক্ষণ ভাবতাম যে কি করব কোন একটা কিছু করতে হবে ভেবে পাচ্ছিলাম না পড়ালেখা তো বন্ধ হয়ে গেল।😭
👉 এবার আসি কর্মজীবনে
🖊️🖊️🖊️🖊️
অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম যে আমার কিছু না কিছু করতে হবে কিন্তু কি করব কিছুই তো ভেবে পাচ্ছিলাম না। একদম দিশেহারা আমি আর বাবা বলতো যে এভাবে বসে থাকলে কি হবে, কিছু একটা কর বসে বসে কতদিন। আর না হয় বাড়িতে কাজ কর কিন্তু কৃষি কাজে আমার ভালো লাগে না তারপর চলে গেলাম আমাদের পাকুন্দিয়া বাজারে প্রতিদিন বাজারে গিয়ে বসে থাকতাম আর ভাবতাম যে কি করব কি করা যায়, তারপর হঠাৎ একদিন চিন্তা করলাম যে আমি একটা কাজ শিখব আমাদের পাকুন্দিয়া বাজারে অনেকগুলা মোটরসাইকেল গ্যারেজের দোকান ছিল। তারপর মোটরসাইকেলের গ্যারেজের মালিকের সাথে কথা বললাম যে আমি গ্যারেজের কাজ শিখতে চাই। মালিক বলল যে শিখবা সমস্যা নাই কিন্তু আমি কোন টাকা পয়সা দেব না আমি বললাম যে ঠিক আছে সমস্যা নাই এই বলে কাজে জয়েন হয়ে যায় ভালোই যাচ্ছিল আমি বাড়ি থেকে সকাল বেলা নাস্তা করে চলে যেতাম তারপর দুপুর বেলা আবার বাড়িতে আসতাম খাবারের জন্য এভাবেই যাচ্ছিল। আমার দিন ছয় সাত মাস যাবার পর একটু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কারণ আমার বাড়ি থেকে ওই গ্যারেজের দূরত্বটা প্রায় এক কিলোমিটার, কিন্তু গ্যারেজের মালিক আমাকে কোন টাকা পয়সা খাবার দিত না আমি ফ্রিতে কাজ করতাম শিখার জন্য প্রতিদিন সকাল বেলা চলে যেতাম আমার মা আমাকে নাস্তার রেডি করে দিতেন নাস্তা খেয়ে চলে যেতাম আবার দুপুর বেলা বাড়িতে এসে লাঞ্চ করতাম আমি যখন আবার লাঞ্চের সময় বাড়িতে আসতাম তখন বাবা একা একা কৃষি কাজ করে এই বলে নানান কথা শুনতে হতো। 😭
👉আমাকে আর বলতো এই কাজ করে কি হবে এটা সেটা অনেক কিছু ওকে দিয়ে কিছুই হবে না যাইহোক পারিবারিকভাবে এসব কিছু হয়ে থাকে তা না হয় বাদই দিলাম। তারপর ভাবলাম কি করব বাড়িতেও আসা যায় না নানান কথা শুনতে হয় তারপর চিন্তা করলাম আর বাড়িতে আসবো না গেরেজেই থাকবো যে কথা সেই কাজ আর বাড়িতে আসি না গ্যারেজেই থাকি কিন্তু, আমাকে খাওয়াবে কে তারপর কিছু টাকা হাওলাত নিয়ে হোটেলে খাইতাম আমি প্রায় দুই মাস কোনরকম খুব কষ্ট করে নিজেকে চালিয়ে নিই তারপর ভাবলাম যে এভাবে তো হবে না আমি টাকা হাওলাত করে কতদিন চলব। কিন্তু একটা সময় তাও আর পেরে উঠছিলাম না তারপর আমার কাজ শেখা আবারো বন্ধ হয়ে যায় আবারও চলে আসলাম বাড়িতে।
👉 আবারো প্রায় এক বছর বেকার হয়ে পড়লাম কিন্তু অভাব যে আর পিছু ছাড়লো না তারপর আমাদের পাকুন্দিয়া ডাইভিং সেন্টার নামে একটি সংগঠন আসে বলে যে ড্রাইভিং শিখিয়ে গাড়ি দিয়ে দিবে, চাকরি দিবে কিন্তু আমি না বুঝেই আমার বোনকে টাকার জন্য,বলি যে আমাকে কিছু টাকা ম্যানেজ করে দাও আমার বোন আমাকে এক সপ্তাহ পর ৭০০০ টাকা ম্যানেজ করে দেয় আমি সেই টাকা নিয়ে ওই ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হয় কিন্তু বাবাকে কিছুই জানাই ছিলাম না।
👉তারপর বাবা জানার পর বলে যে এর দ্বারা কিছু হবে না এই টাকা টিও বিফলে যাবে প্রতিদিন ওই ট্রেনিং সেন্টারে আধা ঘন্টা করে ড্রাইভিং শেখানো হতো কিন্তু, কি শিখায়তো এক সপ্তাহেও আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই এক সপ্তা যাবার পর প্রায় ১০০ জনের টাকা নিয়ে ওই সংগঠন ট্রেনিং সেন্টার উধাও। আবারো সেই সমস্যা বিপদ আমার পিছু ছাড়লো না। বাবা এবং ভাই বোনরা সবাই নানান কথা বলতে শুরু করলো যে ওকে দিয়ে কিছু হবে না টাকাটি বিফলে গেল, কি করব তারপর ভেবে পাচ্ছিলাম না। আর কি করব তারপর আবারও মনের মাঝে একটা জিদ বাসা বাধলাম মনের মাঝে জিদ নিয়ে চলে যায় আবারও পাকুন্দিয়া, মাইক্রো স্ট্যান্ডে রেন্ট এ কার গাড়ি ভাড়া হয়। ওখানকার রেন্ড একার গাড়ির স্ট্যান্ডডে থাকতে শুরু করলাম আর বাড়িতে আসতাম না। সেখানেই থাকতাম এবং সারাদিন যে মাইকো গাড়িগুলা আসতো প্রাইভেট কার গাড়িগুলো আসতো সব গাড়িগুলা আসার পর আমি ধুয়ে দিতাম আর বিনিময়ে আমাকে তারা খাওয়াতো আর আমি বলতাম যে আমাকে ড্রাইভিং শেখান সবাই বলতো শিখাইবো কিন্তু কেহই গাড়ি আমাকে দিত না। ড্রাইভিং ও শেখানোর জন্য বলতো না এভাবে আবারো প্রায় এক বছর চলে যায়।
👉এক বছর পর ভাবছিলাম যে আর স্ট্যান্ডে থাকবো না বাড়িতেই চলে যাব কেউ তো আমাকে গাড়ি শিখায় না শুধু কাজ করায়, এর চেয়ে ভালো আমি বাড়িতেই চলে যাই সেই সময় একটি ভালো মানুষের দেখা পাই। আর সেই মানুষটাকে আমি আমার সমস্যাগুলো সব খুলে বলি খুব ভালো মনের মানুষ ভালো একটা ড্রাইভার আমার প্রিয় বড় ভাই। তাকে বলার পর বলে যে সমস্যা নাই তুই আমার সাথে থাকিস আমি তোকে ডাইভিং শিখাবো তারপর আমি আর কারো গাড়ির কাছে যায় না। বড় ভাইয়ের সাথেই থাকি তারপর বড় ভাই প্রতিদিনই আমাকে অল্প অল্প করে চালানো শিখাতো।
আর আমি ড্রাইভিং শিখে ফেললাম তারপর প্রাই ৬ মাস আমি ফ্রিতে গাড়ি চালিয়ে যত টাকা পয়সা আসে ওই বড় ভাইকে দিয়ে দেই আর বড় ভাই আমাকে তিন বেলা খাবার দিত। একটা সময় আমি বুঝতে পারলাম যে আমি এখন কিছু না কিছু করতে পারবো তখন ওই বড় ভাইকে বললাম যে আমি আর এখানেই থাকবো না বড় ভাই বলল যে কেন? আমি বললাম যে আমার বাড়িতে খুব সমস্যা আমি ঢাকায় যাব চাকরি করব বললো যে ঢাকায় গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে। লাইসেন্স কে দিবে তোমাকে আমার সাথে থাকো আমি পরে তোমাকে লাইসেন্স করে দেব কিন্তু আমি না শুনে বাড়িতে চলে যাই যেহেতু টাকা পয়সার সমস্যা তাই আমি বাড়িতে চলে আসি তারপর আবার পরের দিন বড় ভাইর কাছে যাই যাইয়া বলি কি করবো বাড়িতে তো সমস্যা অনেক আমার একটা চাকরি দরকার বলে ঠিক আছে যাও সমস্যা নাই। তবে চাকরি করলে আগে লাইসেন্স করতে হবে আমি বললাম যে ঠিক আছে আমি লাইসেন্স বানিয়ে নেব।
👉এ বলে পরের দিন আবারো বাড়িতে চলে আসলাম কিন্তু কোনভাবেই আমি লাইসেন্স করার জন্য টাকা ম্যানেজ করতে পারলাম না প্রায় তিন মাস চলে গেল, তারপর আবারো আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে এক ভাইয়ের কাছ থেকে দুই জায়গা থেকে ৭ হাজার টাকা ম্যানেজ করি আর চিন্তা করলাম যে ঢাকায় যাব লাইসেন্স করার জন্য তারপর আমার বোনের কাছ থেকে আরও তিন হাজার টাকা নিয়ে আমি ঢাকা চলে যাই।
👉 সত্যি কথা বলতে এই ছোট্ট জীবনের গল্পগুলো বলে শেষ করা যাবে না তাই সংক্ষিপ্ত করে দিলাম ঢাকা যাবার পর এক বড় ভাইয়ের কাছে পরিচিত আমি লাইসেন্সের টাকা জমা দেয়। উনি বলেছিল এক সপ্তাহ লাগবে। কিন্তু তিন মাস হয়ে গেল কোন কাগজ আমাকে দেয় নাই, তারপর বুঝতে পারলাম যে এই টাকাটাও মনে হয় বিফলে গেল, তারপর চিন্তা করলাম এখানে তো আর থাকা যাবে না কিন্তু কি করব বাড়িতে তো যাওয়া যাবে না এই চিন্তা করে ভাইয়ের কাছ থেকে চলে আসলাম তারপর বাসস্ট্যান্ডে মসজিদের সামনে স্কুলের বারান্দায় কত জায়গায় থাকতে হয়েছে। আমার
আবার কত বিভিন্ন কাজ করেছি কিন্তু কোন কাজেই আমি সাফল্য হতে পারি নাই। তারপর একটা সময় ব্যর্থ হয়ে আবার বাড়িতে চলে আসি বাবাকে বুঝিয়ে বলি ঢাকায় যে টাকা পাইছি সব খাওয়া দাওয়া করছেই চলে যেত।
👉কিন্তু ঢাকা থাকা অবস্থায় ভালো টাকায় পাইতাম এক ভাইয়ের মাধ্যমে গার্মেন্টসে চাকরি করি সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে দোকানে রেস্টুরেন্টে বহুত কাজ করেছি অনেক চাকরি করি আবার কিছুদিন গাড়িও চালাই কিন্তু যা টাকা পয়সা আসতো সব খরচ হয়ে যেত,
কারণ আমি একটু পর ওপাকারি ছিলাম যেমন মানুষের কোন সমস্যা দেখলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারতাম না নিজের সমস্যার কথা চিন্তা করতাম না মানুষের বিপদ আমার কাছে অনেক বড় মনে হতো আর সেই কারণে আমার যা টাকা আস্ত সব খরচ হয়ে যেত। একটা সময় চিন্তা করলাম এভাবে চলবে না আমার কাছে তো কোন টাকা পয়সা থাকে না আমি বিদেশে চলে যাবো।
👉আবার চলে আসি বাড়িতে কিছু টাকা হাতে করে নিয়ে আসি বাড়িতে আসার পর পাসপোর্ট করে ফেলি আর বাবাকে বলি যে ঢাকা থাকা অবস্থায় যে কিছু টাকা ছিল তা দিয়ে আমি পাসপোর্ট করছি আমাকে বিদেশে যাবার ব্যবস্থা করে দাও তারপর বাবা-মা আমার মেজু ভাইকে বলে টাকা ম্যানেজ
করে দেয়ার জন্য। আমার মেজো ভাই বিদেশে সব টাকা ম্যানেজ করে দেয়
তিন লক্ষ টাকা পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর এক সপ্তাহের ভিতরে আমার ভিসা চলে আসে আমি চলে যাই দুবাইতে, ওখানে তিন বছর থাকার পর কাজ তেমন ভালো ছিল না কোম্পানির বেতন খুব সীমিত ছিল বাংলাদেশি টাকা ১০ হাজার টাকা সেখানে যা টাকা পেতাম সব খরচ হয়ে যেত।
তিন বছর পর আবার চলে আসি বাড়িতে।
তিন লক্ষ টাকার জন্য পারিবারিক কিছু সমস্যা হয়ে যায় আবারও চিন্তা করলাম ঢাকায় চলে যাবো। বিদেশে আর যাওয়া হলো না আবারও কিছু টাকা দুবাই থেকে আনা একটা samsung মোবাইল নিয়ে আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যাই।
প্রাণ কোম্পানিতে ড্রাইভিং এর ইন্টারভিউ দেই এবং টিকে যায় টঙ্গীতে আমাকে পোস্টিং করে সেখানে যাওয়ার পর সিকিউরিটি বলল যে আপনার ব্যাগটা গেস্ট রুমে রেখে আসেন আমি গেস্ট রুমে রেখে আসার পর অফিসে ঢুকছি স্যারের সাথে কথা বলার পর আবার গেস্ট রুমে যাই যাইয়া দেখি আমার ব্যাগটা নাই টাকা পয়সা মোবাইল কিছু জামা কাপড় ছিলও সবই নিয়ে গেছে আবারো হতাশ হয়ে পড়লাম। 😭
👉তারপর স্যারকে বলে এই দিনেই গাড়ি নিয়ে নিলা তারপর ভালোই যাচ্ছিল দিন। ২০১৫ সালে হরতালের কারণে আর গাড়ি ঠিকভাবে চালাইতে পারছিলাম না ঢাকা থেকে ওই গাড়ি চালিয়ে সব টাকা ঋণ শোধ করি ২০১৫ সালে যখন পুরাপুরি হরতালে সমস্যা হয়। তারপর চাকরি না ছেড়ে আবার চলে আসি বাড়িতে বাবাকে বললাম যে ঢাকার সমস্যার কথা বাবা বলল যে আবার বিদেশে চলে যাও বাবা আমাকে আবারও বিদেশের জন্য কিছু টাকা ধার নিয়েছে কিছু টাকা জমি বন্ধক দিছে আবারও তিন মাসের মধ্যে আমার কুয়েতের ভিসা চলে আসে। 😁
👉তারপর মেডিকেলের জন্য সিলেট চলে যায় প্রায় ৫০ জন মানুষ আমরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় সিলেট থেকে আসার সময় প্রচুর কুয়াসা থাকার কারণে রাস্তা দেখা যাচ্ছিল না আমার একটু সমস্যা হয়েছিল বসে থাকতে একদম ড্রাইভারের পিছন সিটে বসছিলাম সমস্যার কারণে একটু উঠে দাড়াইছিলাম।
সেই সময় ড্রাইভার একদম হার্ট ব্রেক মারে আর আমি উলটে একদম দরজার সামনে পড়ে যায়। সিঁড়ির নিচে কিন্তু ৫০ জন মানুষ আমার পরিচিত কেউ আমাকে একটু ধরে নাই হেল্প করে নাই পাঁচ মিনিট পর আমি নিজেই উঠে আমার সিটে বসি আর বলি যে আল্লাহ তুমি ৫০ জন মানুষের ভিতরে একজনের ভিতরে কোন মানুষসত্যবোধ দেও নাই এই বলে আমি চুপ করে বসে থাকি। তারপর গাড়ি থেকে নামার পর আমি চলে যাই বাড়িতে এক সপ্তাহ পর আবারো ভালোভাবে চলে আসলাম। কুয়েতে 😆
👉কুয়েতে দুই বছর প্রায় ভালোই গেছিল করোনা ফ্রেন্ডমিক আসার পর এখানেও সমস্যা হয়ে গেল কোম্পানি ঠিক করে বেতন দেয় না আকামা দেয় না কোম্পানির ৮ ঘন্টা ডিউটি করি আর বাকি আট ঘন্টা পার টাইম জব করি এখন আছি আলহামদুলিল্লাহ ভালোই।
👉 আমাদেরই প্রিয় ফাউন্ডেশনের দেখা কিভাবে পেলাম।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন। করুনার সময় রুমে বসে থাকতাম আর youtube ভিডিও দেখতাম তখনই হঠাৎ করে আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটি ভিডিও আমার সামনে চলে আসে। আর ভিডিওটি দেখে অনেক ভালো লেগে যায়। আর ভাবতে শুরু করলাম যে কিভাবে জয়েন হবো অনেক ভাই কে বলছিলাম কিন্তু কেউ সাড়া দেয় নাই। হঠাৎ করে মোহাম্মদ সামিউল ভাইকে বলি নীল ফামারী জেলায় উনার বাড়ি ভাইয়ের প্রতি" অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভাই আমাকে নক করে যে আপনি তথ্য দেন আমি রেজিস্ট্রেশন করে দিচ্ছি। সাথে সাথে আমি পাঠিয়ে দেই সব তথ্যগুলো এবং রেজিস্ট্রেশন করে দেয়। & কুয়েত টিমের মেসেঞ্জার গ্রুপের সাথে আমাকে যুক্ত করে দেয়। এন আর বি কুয়েত টিমের সকল বড় ভাই এবং লিডারদের প্রতি" আমার শ্রদ্ধা সালাম ও ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সকলেই খুব ভালো মানুষ
সবার প্রতি" আমার অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা আছে &আজীবন থাকবে ইনশাল্লাহ।
প্রিয় পরিবারের সাথে যুক্ত হয়ে আমি কি পেলাম।
👉 পেয়েছি ভালো মানুষের একটা পরিবার।
👉 এখানে সব পজেটিভ মানুষ ভালো মানুষ।
👉 শিখতেছি কিভাবে পজিটিভ থাকতে হয়।
👉 কিভাবে সৎ ভাবে বেঁচে থাকা যায়।
👉 কিভাবে মানুষের সাথে কথা বলতে হয়।
👉 পেয়েছি হাজারো মানুষের পরিবার।
,👉 নিজেকে কিভাবে ব্রেন্ডিং করতে হয়।
👉কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়।
👉 কিভাবে নিজে একজন উদ্যোক্তা হওয়া যায়।
👉 এবং আমি উদ্যোক্তা হওয়ার পথে হাঁটছি
👉 শিখেছি কিভাবে একজন ভালো মানুষ হওয়া যায়
👉আমি আপনার জীবনের মহা মূল্যবান সময় থেকে অনেক সময় আমার এলোমেলো হাতের লেখাগুলো পড়ার জন্য নিয়ে ফেলেছি।এর জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ যে আপনি আমার লেখা শেষ পর্যন্ত পড়ে এসেছেন।অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো আপনার প্রতি ""
পরিশেষে আবারো কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছ। আপনার আমার সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আপনার প্রতি ""🌹🌹🌹🌹🌹
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৬৭
তারিখ ০৭-০৯-২০২২ইং
মোঃ আবদুল্লাহ্
থানা পাকুন্দিয়া
জেলা কিশোরগঞ্জ
ব্যাচ ১৮
রেজিস্ট্রেশন ১০১৮৫৮
বর্তমান অবস্থান কুয়েত প্রবাসী