প্রতিদিন নিজের সাথে কথা বলি নিজেকে ভালোবাসি।
❄️ছোট্ট পরিসরে আমি আমার জীবনে গল্প তুলে ধরলাম:
"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম"
"আসসালামুআলাইকুম"
❄️সর্বপ্রথম লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহ পাকের নিকট যিনি আমাকে এতো সুন্দর করে পৃথিবীতে সৃষ্টি করছেন এবং এখনো সুস্থ রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
❄️দুরুদ ও সালাম প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি।যিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন সমস্ত
মানবজাতির মৃক্তি ও কল্যাণের দূর হিসেবে।
❄️অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের লাখো লাখো মানুষের প্রান প্রিয় মেন্টর ও শিক্ষক জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি।
যিনি এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, মোটিভেশনাল স্পিকার,হাজারো পথহারা বেকারদের পথের দিশারী। যার সুন্দর পরিকল্পনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
❄️আপনাদের সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও মোবারকবাদ।
নিজেকে অনেক বেশি ধন্য মনে করছি এই প্ল্যাটর্ফমের একজন কর্মী ও আজীবন সদস্য হিসেবে যুক্ত হতে পেরে।
❄️আশাকরি আপনাদের নিজেদের মূল্যবান কিছুটা সময় ব্যয় করে কাছে বা দূরের যে যেখান থেকে আমার লেখাটি পড়ছেন সবাই আমার জীবনের গল্পটি পড়বেন এবং পড়ে আপনাদের মনের অনুভূতি শেয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ।
❄️আমার পরিচয়:
আমার নাম জামাল উদ্দিন নিয জেলা নোয়াখালি উপজেলা সোনাইমুড়ি বর্তমান স্থাই ঠিকানা ঢাকা সাভার আমরা তিন ভাই বোন দুই ভাইয়ে মধ্যে আমি বড় এক বোন বিয়ে হয়েগেছে বাবা কুয়েত প্রবাসি মা গৃহিনী এইতো আমাদের এই ছোট পরিবার,
❄️আমার শিক্ষা জীবন
গ্রামের মধ্যেই মাদ্রাসা শুরুতে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত গ্রামের মাদ্রাসা পড়াশোনা শেষকরি এর পরে বাজারে পাশের বড় মাদ্রাসা বাবা ভর্তি করে দেয় দ্বিতীয় শ্রেণিতে আবার চতুর্থ শ্রেণিতে ওখানে দুই বছর পড়াশোনা করি। চলতেছে মোটামুটি ভালোই হুট করেই কয়েক দিন পরে আবার প্রামাইরি ইস্কুলে ভর্তি করে দেয়
শুরু হয়ে গেলো ইস্কুল লাইনে পড়াশুনা প্রামাইরি শেষ করে হাই ইস্কুলে উঠার পরে ভর্তি হয় সবার লাস্টে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ফেল করে বসি। আমার সাথে সবাই পাশ করলো।মা বাবা ও ফ্যামিলির সবাই বলতেছে একে দিয়ে কিছুই হবেনা। যাই হউক অনেক কথা গ্রামের বাড়ির ইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করি পরবর্তীতে ফ্যামিলির সবাই চলে আসি ঢাকায়। নবম শ্রেণিতে ভর্তি হই ঢাকা সাভার হাজ্জি ওয়ায উদ্দিন ইস্কুল থেকে এস এসি পাশ করি। কলেজে ভর্তি হয়েছি আর যাওয়া হয়েনি।
❄️আমাদের ফ্যামিলিতে বাবার ভূমিকা:
আমার বাবারা চার ভাই বোন ছিলো। তার মধ্যে আমার বাবা সবার ছোট বুদ্ধি হওয়ার আগেই আমার দাদা মারাযান। শুরু হয়ে গেলো কষ্টের জীবন বাবা না থাকলে যা হয় আরকি। কোনো রকমে গ্রামের মানুষের কাজ করে দিন যাচ্ছিলো, আমার বাবা পড়াসুনা করতে পারেনি শুধু দরিদ্র বলে ছোট বেলা থেকে মানুষের কাজ করতো কিন্তু মানুষ কাজে নিতে চায়না এতটাই ছোট ছিলো। মাটি কাটার কাজে যেতো সবাই প্রতিদিন কাজ করে আমার বাবাকে কাজে নেয়না ভালো ভাবে কাজ করতে পারেনা। আস্তে আস্তে করতে করতে এটু বড় হলে ছলে আসে ঢাকাতে। প্রথমদিন আমার বাবা ঢাকা শহরে যার্তা বাড়িতে মামার বাসায় আসে কিছু দিন থাকার পরে রাগ করে চলে যায় গুলিস্তানে পুটপাতে গুমানোরজন্য। কষ্ট কাকে বলবে বাবার পরিচিত এক জন লোক গুলিস্তানে পলিথিন বিক্রি করতো বাবাও ওনার সাথে শুরু করলো কয়েক দিন করার পরে দেখে তেমন একটা ভালোনা শুরু হলো অন্য রকম এক জানি ঢাকা চিটাগাং রোডে গাড়ির হেলপার অনেক দিন করেছিল এক সময় গাড়ি চলন্ত অবস্তায় আমার বাবা গাড়ির থেকে পড়ে যায় কোনো এক ব্রিজের উপর এক দম ছিটকে রটের সাথে ধাক্কা আর অল্পের জন্য ব্রিজের নিছে পড়েনি, আল্লাহ্ কোনো রকম রক্ষা করলো পরে মোটর লাইন ছেড়ে দেয়। দাদার কিছু সম্পিতি বিক্রি করে মালিশিয়া গেলো, নতুন অবস্ততে ভালোই ছিলো মোটা মুটি ভালো কিছুই করলো। এর মধ্যে ওনার ভাইকেও নিয়ে গেলো হটাৎ কম্পানি বন্ধ হয়ে গেলো। কম্পানি দেশে পাঠিয়ে দেয়। আমার বাবা যা কিছু করছে সব ফ্যামিলির জন্য, নিজের কাছে কানা করিও রাখিনি। যখন দেশে আশে আমার চাচা আমার বাবাকে পৃথক করে দেয় আমার বাবার মাথায় হাত এত কষ্ট এত পরিশ্রম সব কিছুই বৃথা। শূণ্য হাত হতাশায় পড়ে যায় কোনো কিছু না দেখে আবারো গাড়ি চালাতে শুরু করলো। কয়েক বছর পরে কুয়েতে যায় প্রবাসের বাড়িতে ১৬ বছর এখনো করতেছে।।২০১৪ সালে আমার বাবা প্রবাসের মাটিতে অসুস্থ হয়ে পড়ে বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা করলো ১৮ লাখ টাকা অপারেশোন করতে লেগেছে, ডাক্তার বলেছিল উনি কখনো বিদেশে যেতে পারবেনা। ১৫ দিনের ইমারজেন্সি ছুটি ৪ মাস হয়ে গেলো, কিছুটা সুস্থ হলো। আমরা তিন ভাই বোন সবাই ছোট আমাদের কথা চিন্তা করে আবারো চলে গেলো। আমি তখন চিন্তা করলাম আমি এসএসসি পাশকরে আর পড়াশুনা করবোনা। বাবার হালটা আমি ধরবো। আমার বাবা পড়াশুনার করার জন্য খুবই আগ্রহ ছিলো, আমি বললাম আর পড়াশুনা করবোনা বিদেশ যাবো।
পরিশেষে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়।
❄️আমার কর্ম জীবন:
পড়াশুনা এসএসসি শেষ করে কলেযে ভর্তি হয়েছি, তার কয়েক দিন পর বাবাকে বলাম বিদেশে যাবো। আমার বাবা অনেক বার বললো প্রবাসের কষ্ট পরিশ্রম করতে পারবিনা। আমাকে বলে দেশে কিছু একটা করতে তখন পরিচিত এক ভাইয়ের মাধ্যমে মোবাইলের কাজ শিখতে একটা দোকানে ৬-৭ মাস কাজ করি কাজ শিখায় না শুধু দোকান দারি করায়, পরে চলে এসে এসি ফ্রিজের সার্ভিসিং এর দোকানে ডুকি। ওখানে প্রায় কাজ শিখি ১ থেকে দেড় বছর পরে অনেক দেশের জন্য লাইন দি হয়না, শেষে আমার বাবার কম্পানিতে কুয়েতে নিয়ে এলো।কুয়াতে আসার ১৪ দিন পরে করোনাতে সবকিছু লকডাউন দিয়ে দেয়,
আসার পর থেকে পায় ৬ -৭ মাস বসে ছিলাম। আমার কোম্পানিতে ম্যানেজমেন্ট ভালোনা টাকা দিলে ভালো চাকরি না দিলে তাদের মনমত এক জায়গায় দিবে, যাক বাবা থাকাতে বাবার পরিচিত একজনকে দিয়ে মোটামুটি ভালো একটি চাকরি দেয়, ১ থেকে দেড় বছর করার পর ওই চাকরি থেকে বদলি করে দেওয়া হয়। এখন যেই জায়গা আছি মোটা মুটি আছি ভালোই আলহামদিল্লাহ,
আমার বিদেশের বয়স তিন বছেরের কম হবে
আসার পর থেকে আমি পার্ট টাইম কাজ করতেছি। আসার পরে একজন বাংলাদেশি ভাইয়ের দোকানে কাজের জন্য যাই এসি সার্ভিসিংএ। যেহেতু আমার কায জানা আছে দোকানের মালিক বলো কাজ যানো আমি বলাম মোটামুটি তখন উনি বলছে লোক লাগবে কিন্তু, বেতন একদম কম তার পরেও চিন্তা করলাম কাযটা জানি আস্তে আস্তে পরে হয়তো বেতন বাড়াবে,কিন্ত না উনি বেতন বাড়াবেন না, এক বছরের মতো করেছি পরে ছেড়ে দিছি। এখন একটি সুপার মারকেটে পাট টাইম কায করেছি,
এখন স্বপ্ন দেখছি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য।
❄️নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়া:-
ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটা বাণী
স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন ও লেগে থকুন - সফলতা আসবে ইউটিবে বিড়িও দেখার সময় স্যারের এই কথাটা শুনার পরে আমি এই ফাউন্ডিশনে যুক্ত হই ,
❄️ফাউন্ডেশন থেকে আমার শিক্ষা এবং প্রাপ্তি:
আমি এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার পর থেকে স্যারের শিক্ষা এবং সেশন পড়ে নিজের ভুলগুলো শুধরিয়ে নিচ্ছি, স্যারের থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের
জীবন পরিবর্তন করতেছি আরো অনেক কিছু এই ফাউন্ডেশন থেকে শিখার বাকি আছে আমি প্রতি নিয়ত শিখতেছি এবং সবসময় এই ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত থেকে নিজেকে অনেক দৃর এগিয়ে নিয়ে যেতে ছাই ইনশাআল্লাহ, আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমি ভালো মানুষদের পরিবারে যুক্ত হতে পেরে।
❄️আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বা আমার স্বপ্ন:-
আমি যেই দিন থেকে এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়েছি সেই দিন থেকেই উদ্যোগতা স্বপ্ন দেখা শুরুকরি
ইনশাআল্লাহ আশাকরি প্রবাসে থাকা অবস্থায় নিজে একটি প্রতিষ্টান করবো, আগে বড় কোনো স্বপ্ন দেখতামনা এখন স্বপ্ন দেখি স্বপ্নকে কিভাবে বাস্তবে রুপ দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করেছি, এখন প্রতিদিন নিজের সাথে কথা বলি নিজেকে ভালোবাসি।
❄️✍️✍️ ধন্যবাদ জানাই প্রিয় ফাউন্ডেশনের NRB কুয়েত টিমের প্রার্ণ আমার প্রিয় শ্রদ্ধেয় বড় ভাই কোর ভলান্টিয়ার ও মডারেটর মোঃ মাহমুদুল ইসলাম (মাহমুদ) ভাইকে,
NRB কুয়েত টিমের সকল সদস্যের জন্য আনন্তিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো।
✍️✍️আরো কৃতজ্ঞতা জানাই নোয়াখালীর কৃতি সন্তান ও নোয়াখালী কোর ভলান্টিয়ার ও মডারেটর প্রিয় ভাই জনাব,আবদুল করিম মুন্না ভাইকে, নোয়াখালীর সকল সদস্যের জন্য আনন্তিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো।
❄️🤲প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা এবং দোয়া। সৃষ্টিকর্তা যেন স্যারকে সুস্থ রাখেন। যেন আমাদের মাঝে হাজার বছর বেঁচে থাক।
❄️🙏পরিশেষে আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের মহা মূল্যবান সময় ব্যায় করে আমার জীবনের গল্প পড়ার জন্য।
❄️এই গল্পটা আমার বাস্তব জীবন নিয়েই লেখা। যদি আমার গল্প পড়ে আপনাদের ভালো লাগে তাহলে সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য আশা করবো।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৬৮
তারিখ ১০-০৯-২০২২ইং
ধন্যবাদান্তে_____
🙋আমি: জামাল উদ্দিন
🌱ব্যাচ নং: ১৭
🌱রেজিস্ট্রেশন নং:৮৯৫০৪
🌱জেলা:নোয়াখালী
🌱উপোজেলা : সোনাইমুড়ি
🌱স্থাই ঠিকানা: ঢাকা,সাভার
🌱বর্তমান অবস্তান: কুয়েত
🌱ব্লাড গ্রুপ : A+