এই প্লাটফর্ম আমাকে বাঁচিয়েছে হতাশার এক সমুদ্র থেকে।
জীবনের গল্প
,,গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো,
আসসালামু আলাইকুম
ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাত
সকল প্রসংশা সৃষ্টিকর্তা মহান রব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন ও সুস্থ রেখেছেন।
দুরুদ ও সালাম প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি। যিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন সমস্ত মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের দূত হিসেবে।
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রিয় বাবা-মাকে। যাদের উছিলায় সুন্দর এই পৃথিবীতে এসেছি। বড় হয়েছি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়। যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয় এবং কোন কিছুর বিনিময়ে শোধ হবে না।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর @Iqbal_Bahar_Zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা পেয়েছি এই ভালবাসার প্লাটফর্ম । যিনি এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক, শিক্ষক, মোটিভেশনাল স্পিকার, লক্ষ তরুণ-তরণীর হৃদয়ের স্পন্দন, পথহারা বেকারদের পথের দিশারি। যার জন্য আজ আমি এই প্লাটফর্ম পেয়েছি এবং পেয়েছি অগনিত ভাই বোন
আশা করি প্লাটফর্মের সকল ভাই ও বোনেরা ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন।
আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রথমেই শুকরিয়া মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের প্রতি আমাদেরকে সৃষ্টি জীবের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন
এবং সুস্থ রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ
আজকে
আপনাদেরকে শোনাবো আমার জীবনের গল্প
স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন ও লেগে থাকুন
আমি নিজের সাথে শপথ করিতেছি যে আমি আমার ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার বাস্তব জীবনের কিছু গল্প সততার সাথে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ।
✅শৈশব কাল
এই পৃথিবীতে একজন নতুন অতিথি হিসাবে আমার জন্মগ 2 এপ্রিল 1995 সালে
পিতা-মাতার আনন্দের কোনো শেষ নেই তিন কন্যা সন্তানের পরে এক পুত্র সন্তান জন্ম দিয়ে তাদের আনন্দ আকাশ ছোঁয়া সেই পিতা-মাতার প্রতি দোয়া ও ভালোবাসা সবসময়
বড় বোনদের আদরে বেড়ে ওঠা আমার শিশুকালের জীবন
কিছুটা বুঝার বয়স হয়েছে বা মনে রাখার বয়স হয়েছে সে সময় পেয়েছি আমি আমার আরো দুটি বোন মোট পাঁচটি বোনের আমি একটি ভাই পরিবারের আদরের কোন শেষ নাই
✅শিক্ষা জীবন
বাড়ির সাথে মসজিদ চাচাত ভাই মুয়াজ্জিনি করত প্রত্যেকদিন ভোর সকালে আমি মসজিদে চলে যেতাম সেখান থেকেই শুরু আমার শিক্ষা জীবন
শুরু হয়েছে মক্তব দিয়ে আরবি শব্দগুলো ও
আরবি হরফ গুলোই ছিল শিক্ষা আমার ।
📒তারপরে ভর্তি হলাম কদম বাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা নামক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, শিক্ষকদের আদর ও ভালোবাসা শুরু হল আমার নতুন শিক্ষাজীবন আরবিতে যদিও একজন ভাল স্টুডেন্ট হিসেবে পরিচিত হয়েছিলাম তবে ইংলিশ ও অংকেতে খুবই কাঁচা ছিলাম এমনকি ইংলিশ জানতামই না দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল কয়েকটি বছর
আলিয়া থেকে চলে গেলাম কমি মাদ্রাসায় তবে বাবা মা আর বোন দের ভালোবাসা এমনই ছিল যে কোন মাদ্রাসায় একা একা থাকতে আর ভালো লাগত না
কওমি মাদ্রাসা ও আলিয়া মাদ্রাসায় ছোটাছুটি করতে করতে নষ্ট হয়ে গেলো কইএকটি বছর সকলের আদরের ছিলাম যার কারণে শিক্ষকদের শাসনটা ছিল একটু কম
ভালোবাসি প্রিয় স্যারদেরকে
এভাবেই কেটে গেল কয়েকটি বছর উঠে গেলাম ক্লাস ফাইবে মোটামুটি বেশ ভালই চলছিল তখন
হঠাৎ বড় বোনের বিয়ে হলো
বিয়ের পরেই শুরু হলো সংসারের অভাব, তখন আমি কিছুটা বুঝতে শিক্ষেছি
লাখ লাখ টাকার সম্পদ থাকলেও ছিলনা নিত্য ইনকাম গ্রামের একটি সম্মানিত পরিবারে অভাব কি দেখতে ভালো লাগে
কিছুদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় বোনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেল কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আমার বাবা পরিবারের খুশি ও মেয়েদের খুশির জন্য ঋণ করে বিয়ে সম্পন্ন করে সকলের মুখে হাসি ফোটালো কিছুদিন পরে ঋণের বোঝা পরিশোধ করতে হিমশিম পরিবেশ পরিবারে অশান্তি নেমে এসলো
ঠিক তারই এক বছর পরে তৃতীয় বোনের বিয়ে হল অশান্তির বুঝা আরো বৃদ্ধি পেল
(টাকার পিছনে ছুটা)
আমি তখন ক্লাস সেভেন এ পড়ি পরিবারের এই অশান্তি যাতে বাইরে না যাই আমিও টুক টাক করে ইনকাম করতে শুরু করি ক্লাস সেভেন থেকে ক্লাস এইটে যায় কিছুদিন মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে ইনকামের দিকে মনোযোগ টা একটু বেশিই দি তখন 2006 সাল। আফিল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিছ নামক একটি কোম্পানিতে আমি পেইন্টিং এর কাজ শুরু করি।
বাবা মায়ের অনুমতি ছাড়াই আমি পুরোপুরি কাজ করতে থাকি বেতনটা ছিল সাপ্তাহিক প্রতি সপ্তাহে যখন টাকাটা এনে মায়ের হাতে দিতাম তখন বুকভরা কষ্ট নিয়ে
টাকাটা বাবার কাছে দিত তখন বাবার বুকটা কষ্টে ফেটে যেত এইভাবে চলতে থাকলো দুই বছর
আস্তে আস্তে ঋণের বোঝা কিছুটা কমে গেল সবার মুখে হাসি ফুটে গেল। টাকার নেসা ভুলিয়ে দিয়েছে আমার শিক্ষা জিবন।
তখন ভাবলাম ভালো কিছু করার দরকার ছুটে গেলাম ঢাকা শহরে
মনডোল গুরুপ নামক একটি শিল্প বাইংহাউজে চাকরি নি সেখানেও অল্প সেলারি নিজের খরচ মিটিয়ে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে না পারার কারণে ফিরে আসলাম আগের জায়গায়।
🖌শুরু করলাম পেইন্টিং এর কাজ
কয়েকদিনের মধ্যে গুছিয়ে নিয়েছি বাড়ির পরিবেশ খুব ভালোই চলছিল
(উদ্যোগতা জীবন)
হঠাৎ একদিন সেজো বোনের পরামর্শে শুরু হলো উদ্যোক্তা জীবন
নিজের রাখিমালের বিজনেস আমাকে দিয়ে দিল যশোর চাঁচড়া কাঁচা বাজারে আমার দুকান নতুন রুপে সাজিয়েছি সেখান থেকেও খুব ভালো ইনকাম পাচ্ছিলাম।
দুর্ভাগ্যবশত বওনার ছোট ভাইয়ের সাথে মনু দ্বন্দ্ব শুরু হয় বোনের পরিবারের দিকে তাকিয়ে ছেড়ে দিলাম বিজনেস।
(ফিরে আসা)
আবারও ফিরে এলাম পেন্টিং এর জীবনে কিছুটা ভিন্ন রূপে চাকরির পাশাপাশি আশেপাশে ছোট ছোট কন্টাক নিয়ে শুরু করি কাজ খুবই ভালোই চলছিল।
(🌷আবারও শিক্ষা🌷)
হঠাৎ বড় বোওনার পরামর্শে স্টিল ফার্নিচার তৈরীর ট্রেনিং শুরু করলাম 6 মাস ট্রেনিং শেষে আবারও উদ্যোক্তা জীবনে প্রবেশ করলাম ফ্যারনিচার সামগরি মালামাল ইনভেস্ট টা ছিল খুবই অল্প তার পরেও গুছিয়ে নিয়েছিলাম।
বেশ কয়েক বছর পরে চতুর্থ বোনের বিয়ের সম্বন্ধ চলছে হয়ে গেলাম একজন দায়িত্ববান ভাই ছয় মাসের আগ্রহ কে সমর্থন কোরে ব্যবসার টাকা বিয়েতে খরচ করলাম বোনের সুখের জন্য
ব্যবসা জীবনে টানাটানি শুরু হলো
যোগ করে নিলাম কাজকে।
🌱 দিনের কিছু সময় কাজ
🌱 কিছু সময় বিজনেস
🌱রাতের কিছু সময়ে ড্রাইভিং কিছু সময় ঘুম
এইভাবেই চলতে থাকল বেস কয়েকটি মাস।
আর্থিক সহযোগিতা কারোর কাছে না পেলেও পেয়েছি তাদের ভালবাসা ও দোয়া দোয়ায় আমার সঙ্গী স্বপ্নের চাবিকাঠি
(উপকার)
মানুষের উপকারে সবসময়ই এগিয়ে আসার চেষ্টা করতাম এবং উপকার করতার বিনিময় পেতাম কষ্ট
2013 সালে কিছু ভদ্র পরিবারের সন্তানদের উপকার কোরে পেয়েছিস ছুরির আঘাত রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি
13 দিন পরে ফিরলাম বাসায় পরিবারের হতাশার কোনো শেষ নেই একমাত্র সন্তানের শরীরে (13 ইনচি )খতোর চিন্নো তারা মেনে নিতে পারে না 😪😪
আমি তখন খুঁজতে থাকি আঘাতের কারণটা কি, কি ছিলো আমাই আঘাতের কারোন😔
(🌷প্রবাসী জিবন 🌷)
নোংরা রাজনীতির আভাস বুঝতে পেরে মা-বাবা সিদ্ধান্ত নিলো,
দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া আমি রাজি না থাকলেও কিছুদিন পরে নাম লিখেছি প্রবাসীর খাতাই -2016 সালের শুরুতেই,
শুরু হয় আমার প্রবাস জীবন তবে প্রবাসী জীবনে ও হতাশার নেই কোন শেষ, হতাশার মধ্য দিয়েই নিজেকে পাল্টানোর ভাবনা চিন্তা নিয়ে বিভিন্ন ইউটিউব গুগল থেকে বিভিন্ন শিক্ষামূলক পোস্ট দেখতে দেখতে চোখে পড়ে সোলাইমান সুখন স্যার এর বিভিন্ন প্রোগ্রাম খুবই ভাল লাগত তারপরেই চোখে পড়ে ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ইউটিউব প্রোগ্রাম
সেখান থেকে শুরু হয় আমার উদ্যোক্তা শিক্ষা জীবন প্রতিটি ভিডিও দেখতাম, আমার সিনিয়রদের কিছু সাজেশনের সাথে মিলাতাম,
চাকরি করব না চাকরি দেব এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
🌷 প্রিয় স্যার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার সংগঠনের নাম দিয়েছে নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন,
🌷প্রশিক্ষণ দিচ্ছে উদ্যোক্তা জীবনে প্রবেশ কিভাবে কোরবে
🌷ভালো মানুষের চর্চা করা
🌷সমাজের বেকারত্ব দূর করা
🌷নিজের পরিচয় সমাজের কাছে বুক ফুলিয়ে তুলে ধরা
🌷 এই কথাগুলো আমার হৃদয়ে ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে। আমি স্যারের শিক্ষার পেমে পোরলাম,আমি আর দেরি না করেই এই প্ল্যাটফর্ম এর সাথে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।
এবং আমার শ্রদ্ধেয় ভাইপো, মালয়েশিয়া কান্ট্রি এম্বাসাডর বেলাল এইচ সাহিদ এর সহযোগিতায় 18তম ব্যাচের রেজিস্ট্রেশন করে প্লাটফর্মের একজন আজীবন সদস্য হয়ে যায়?
আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
মালয়েশিয়া কান্টি এম্বাসাডর বেলাল এইচ সাহিদ ও যশোরে জেলার সুপার একটিফ সদস্য ও কমিউনিটি ভলান্টিয়ার ,ফাতেমা আজাদ আপু ও ডিস্টিক এম্বাসেডর ও উপজেলায় এম্বাসেডর সহ সকল ভাইয়া ও আপুরা
আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা 💓
✍️"নিজের বলার মত একটা গল্প " ফাউন্ডেশন, যুক্ত হবার পর আমার পরিবর্তন
👉নিজেকে বেশী করে ভালোবাসতে শিখেছি। একটা সময় নিজে বেঁচে থাকার মাঝে শুধু ছিল হতাশা। এখন আমি নিজেকে খুব বেশি ভালোবাসি।
👉পরিবারকে ভালোবাসতে শিখেছি। পরিবারকে সবসময়ই ভালোবাসি তবে, এই গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর আরো বেশী করে ভালোবাসি
👉প্ল্যাটফর্ম আমাকে চিনিয়েছে একজন সফল উদোক্তা ও ভালো মানুষ হতে হলে পজিটিভিটি চিন্তার কোনো বিকল্প নেই।
👉এই প্লাটফর্ম আমাকে বাঁচিয়েছে হতাশার এক সমুদ্র থেকে।
👉শিখেছি প্রচুর ধৈর্য ধারণ করতে।
👉আমার আয়কৃত অর্থে আমার পরিবারের বাহিরে অসহায় মানুষের হক রয়েছে। এই কথাটা নিজের ভিতরে খোদাই করা লিখা হয়ে গেছে, আর এটা স্যারের কথা থেকেই শিখেছি।
👉 নিজের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি । প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মিট-আপে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় শুনছি এবং নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি হচ্ছে যা পরবর্তীতে আমার বিজনেসে সহায়ক হবে।
👉 নিজের ভিতর একটা অকল্পনীয় পরিবর্তন এসেছে যা কখন চিন্তা করিনি। আজকে তা বুঝতে পেরেছি।
কৃতজ্ঞ জানাই আমাদের প্রিয় মেন্টর প্রিয় শিক্ষক ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে।
ধন্যবাদ জানাই এই প্লাটফর্মের সকলকে
কারন এই প্লাটফর্মে যুক্ত না হলে সকলের এতো ভালোবাসা কখনো পেতাম না।
✍️ প্রিয় স্যারের প্রতিটা কথা বুকে ধারন করে চলতে থাকবো ইনশাল্লাহ। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য ।আমি যেন একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে আমার প্রিয় স্যার এর সামনে গিয়ে নিজের "ঘুরে দাড়ানোর গল্পটা " তুলে ধরতে পারি।
🙏আমার লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৭৫
তারিখ ২৫-০৯-২০২২ইং
💐 শুভেচ্ছান্তে💐
🌱আমি :মাসুদুর রহমান 🌷
🌱জেলা : যশোর
🌱থানা : মণিরামপুর
🌱বর্তমান: মালয়েশিয়া থেকে
🌱 ব্যাচ নং :১৮
🌱 রেজিস্ট্রেশনং: ৯৭০৮১