জীবনে একটা মাত্র চাকরি বা একটা মাত্র ব্যবসা করার জন্য আমার জন্ম হয় নি"।
❤️আমার জীবনের গল্প ❤️
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুললহ
পরম করুনাময় অসিম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুস্থ রেখেছেন।
সেইসাথে ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা জানায় আমার বাবা মার প্রতি। যারা আমাকে এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন এবং ছোট থেকে বড় করে তুলেছেন।
এই পর্যায়ে আমি আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা গ্যাপন করছি। যিনি না থাকলে হয়তো আজ আমরা কেউ কাউকে চিনতাম না,জানতাম না,জীবনের নতুন মানে খুঁজে পেতাম না। স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও দোয়া রইল।
👉আমার জন্ম ও বেড়েওঠাঃ
আমার আব্বা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। আমার মা গৃহিণী। আমরা চার ভাই বোন। আমি তিন ভাই এর আদরের একমাত্র ছোট বোন। আমি আর পাঁচ জনের মতো গ্রামের একটি সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। আর সেখানেই আমার বেড়ে ওঠা।
👉আমার শিক্ষা জীবনঃ
আমার শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি আমার আব্বার কাছে থেকে। আমার আব্বা একজন আদর্শ শিক্ষক। লালপুর উপজেলায় ওনার খুব ভালো একটা পরিচিতি আছে ভালো শিক্ষক হিসেবে। আমি পড়াশোনায় খুব একটা ভালো ছিলাম না। মোটামুটি টাইপের ছিলাম আরকি। আমি উদ্ভিদ বিজ্ঞান থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করি রাজশাহী থেকে।
👉বিবাহিত জীবনঃ
আমার বিয়ে হয় ২০২০ সালে। আমার বর আলহামদুলিল্লাহ একজন ভালো মনের মানুষ। উনি একজন উদ্দোক্তা। উনিই আমাকে এই গ্রুপে যুক্ত করেছেন।এই জন্য আমি ওনার প্রতি চির কৃতজ্ঞ।আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমরা যেন পৃথিবীতে ও জান্নাতে একসঙ্গে থাকতে পারি।
👉আমার সপ্নঃ
আমি সারাজীবন সপ্ন দেখেছি আমি আমার আব্বার মতো একজন আদর্শ শিক্ষক হবো।ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে থাকবো।সবাই বলবে একদম বাপের মতো হয়েছে। আমি যে বলছি আমার আব্বা একজন আদর্শ শিক্ষক।কিন্তু কেন বলছি?আমার আব্বার আসলে কি কি গুণ থাকার কারনে ওনাকে আমি আদর্শ শিক্ষক মনে করি? এই বিষয়টা নিয়ে অন্য কোন দিন আপনাদের সঙ্গে গল্প করবো।
তো যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলছিলাম।
আমার আব্বা শিক্ষক হবার কারনে আমার পোষ্য কোটা থাকে। আর পোষ্য কোটা বিয়ে হয়ে গেলে আর থাকে না।সরকারি জব পাবার আশায় আমি খুব ভালো করে পড়াশোনা করছিলাম। প্রতিদিন ১০-১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম। তারপরেও চাকরিটা আমার হলোনা। এদিকে আমার চাকরির বয়সও শেষ। কে জানতো এটাই আমার শেষ সুযোগ। আসলে করোনা কালিন ২টা বছর কোন চাকরির সার্কুলার না পাওয়ায় এটাই আমার শেষ সুযোগ ছিল। আমার এতোদিনের আশা আমার সপ্ন সব ভেঙে চুরে শেষ হয়ে গেল। আমি এটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না।আমি কেমন জানি ডিপ্রেশনে চলে গেছিলাম। ঠিক এই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে এই গ্রুপে এ্যাড করে দিলেন।সে বললো গ্রুপটা অনেক ভালো বিজনেস সম্পর্কে অনেক শিক্ষা দেয় অনেক কিছু শিখতে পারবে জানতে পারবে। আর আমার ইচ্ছা ছিল একটা চাকরির পাশাপাশি বিজনেস করার। তাই খুব সহজেই এই অপশানটা নিয়ে নিলাম।
আমি এখন অনেক সপ্ন দেখি আমাকে সপ্নবাজও বলতে পারেন।তবে আগে এমনটা ছিলাম না। এই গ্রুপে যুক্ত হবার পর স্যারের প্রত্যেকটা সেশান আর স্যারের প্রত্যেকটা দিক নিরদেশনা আজ আমাকে প্রতি নিয়ত সপ্ন দেখাচ্ছে ও সপ্নবাজ করে তুলছে। আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারি,ধীরে ধীরে আমার সব সপ্ন গুলো পুরন করতে পারি এবং একজন সফল উদ্দোক্তা হতে পারি।
আমি ব্লক, বাটিক,বুটিক, কুশিকাটার কাজ, বিভিন্ন ওয়ালমেট,ক্লে দিয়ে তৈরি শোপিচ এছাড়াও আচার ও আরও কিছু সখের রান্না পারি।এছাড়াও আমার মাশরুম নিয়ে কাজ করার খুব ইচছা।আমার হাজবেন্ডও মাশরুম নিয়ে কাজ করতে আগ্রহি। এবং এটাও জানি প্রতিটা কাজেই আমি দক্ষতার সাক্ষর রাখতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
আমাদের স্যার বলেছেন "জীবনে একটা মাত্র চাকরি বা একটা মাত্র ব্যবসা করার জন্য আমার জন্ম হয় নি"।
পরিশেষে , আমার আব্বা মা এর জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন ওনাদের সুস্থ রাখেন এবং ভালো রাখেন।আর আমি আর আমার হাসবেন্ড যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে সারা জীবন একসঙ্গে হাতে হাত রেখে চলতে পারি।
আমার জীবনের এই ছোট্ট গল্প এতক্ষণ ধৈর্য ধরে শোনার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
আল্লাহ আপনাদের সকলের মনের নেক আশা পুরন করুন। আমিন।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে
তারিখ ২৯-০৯-২০২২ইং
আলতাফুন আরা আয়না
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের
একজন আজীবন সদস্য
লালপুর,নাটোর
ব্যাচঃ ১৯
রেজিষ্ট্রেশন১০৫৪৭০