অনেকের কাস্টমার হবার সুযোগ হয়েছে,অনেকেই আমার কাছে কাস্টমার হয়েছে।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম।
🌷🌷 আমার জীবনের গল্প 🌷🌷
🤲 সর্বপ্রথম শুকরিয়া আদায় করছি মহান
আল্লাহতালা রব্বুল আলামীনের প্রতি যিনি আমাদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পাঠিয়েছেন। এবং যিনি আমাদেরকে পৃথিবীতে সকল বিপদ আপদ থেকে এখন পর্যন্ত সুস্থ রেখেছেন নিরাপদ রেখেছেন। 🤲আলহামদুলিল্লাহ 🤲
💘হাজারো দরুদ ও সালাম ফেরন করছি মানবতার শান্তির দূত প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উপর। তার শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে আমাদেরকে দুনিয়াতে পেরন করেছেন মহান আল্লাহতায়ালা এ জন্য আল্লাহর দরবারে আবারো শুকরিয়া জানাই আলহামদুল্লিলাহ।
✍️নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর সম্মানিত সকল দায়িত্বশীল ও আজীবন সদস্য প্রিয় ভাই ও বোনেরা আশা করছি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে যার যার অবস্থানে ভালো আছেন, সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।
💞✍️লেখার শুরুতে পরম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে চাই আমার প্রিয় মমতাময়ী মা ও বাবাকে যাদের উছিলায় এই সুন্দর পৃথিবীর বুকে এসে পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালবাসা জ্ঞাপন করছি। ❤️
✍️আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের সকলের প্রিয় 💞মেন্টর প্রিয় শিক্ষক তরুণ প্রজন্মের আইডল উদ্যোক্তা গড়ার কারিগর বাংলাদেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা যার মাধ্যমে আমরা এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি,পেয়েছি লক্ষ লক্ষ ভালো মানুষের পরিবার। যার শিক্ষা বুকে ধারণ করে লক্ষ শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীরা সাহস করে তার বাস্তব জীবনের সফলতার গল্প ব্যর্থতার গল্প ও কষ্টের গল্প অনায়াসে লিখে থাকেন। যিনি আমাদেরকে একজন সফল উদ্যোক্তা ও স্বাবলম্বী করে তুলতে বিনা স্বার্থে দিনরাত সময় দিয়ে সবার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, প্রিয় স্যারের এই মহৎ উদ্যোগের জন্য আমি প্রিয় স্যার কে স্যালুট জানাই।
✍️নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর সকল ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে আজকে আমার জীবনের গল্প লেখা!
❤️আমার পরিবারের বাহিরেও এটা আমার আরেকটা পরিবার। সবার জন্য আমার হৃদয়ের গভীর থেকে অনেক বেশি দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
✍️আমার গল্পের শুরুটা কোথায় থেকে করবো বুঝতে পারছিনা, আমার জানা মতে জীবনের গল্পের শুরু আছে কিন্তু শেষ নাই। মানুষের জন্মের পরপরই জীবনের গল্প শুরু, আর শেষ হয় মৃত্যুর মাধ্যমে।
🧕তাই চলুন চেষ্টা করি আপনাদের সাথে আমার পরিচয় এবং জীবনী সম্পর্কে শেয়ারের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো আত্মবিশ্বাসী ও মজবুত করে নেয়ার।
🤔জীবনটা খুবই ছোট কিন্তুু এই ছোট জীবনের গল্পগুলো লিখে বা বলে কখনই শেষ করা যায় না। ছোট জীবনের গল্পগুলো লিখতে গেলে হাজারো কলম ফুরিয়ে যাবে কিন্তু জীবনের গল্প শেষ হবেনা আশা করছি সবাই পুরো গল্পটা পড়বেন। এবং লাইক কমেন্ট করবেন।
🧕আমার জন্ম, পড়া লেখা ও বেড়ে ওঠা 👇👇
💞✍ফেনী জেলার সন্তান আমি। জন্ম ও কৈশোর প্রিয় ফেনীর মাটিতেই।
আমরা 7 ভাই বোন। 4 বোন 3 ভাই। ভাই বোনের মধ্যে আমি 6 নাম্বার।আমরা সাত ভাই বোনের মধ্যে আমরা দুই বোন ছোট ছিলাম,সবার আদরের ছিলাম। শিশু কাল আমার বেশ ভালোই কেটেছে, আলহামদুলিল্লাহ ।
👉 আমাকে 2000 সালে মাদ্রাসায় ভর্তি করায় আমার বাবা। আমার বাবা আমাদের পড়ালেখার ব্যাপারে খুবই টেক কেয়ার করতো।আমিও ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ছিলাম। সে ছোটবেলা থেকে আমার স্বপ্ন ছিল। আমি টিস্যার হবো। 2001 সালে আমি তখন ২য় শ্রেণীতে পড়ি।
দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে আমি টিউশনি করি। আমাদের সবকিছু ভালই চলছিলো। 2003 সাল 31 শে জানুয়ারি হঠাৎ নেমে আসলো আমাদের জীবনে কালো অন্ধকার।রাত 11টায় আমার বাবা বাসায় আসল। আসার সময় প্রতিদিনের মত ওইদিনও আমি ও আমার ছোট বোনের জন্য পকেট এ করে বিস্কুট নিয়ে আসছিল। তবে দেওয়ার সময় টা পাই নাই। রাত ৩ টায় বাবার রুম থেকে কেমন একটা আওয়াজ আসছিল।তখন দেখি বাবার অবস্থা খুবই ক্রেটিক্যাল। আমরা সবাই বসে বাবার পাশে কোরআন শরীফ পড়তেছি। সকাল ৭ টায় মোহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের কাছ থেকে তুলে নিল আমার বাবাকে।
আমার বাবা আমার বড় দুই বোনকে বিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। যখন আমার বাবা মারা গিয়েছিল তখন
বড় ভাইয়া দাখিল ১০ম শ্রেণীতে পড়ে।
মেজু ভাই ৮ম অষ্টম শ্রেণীতে।
ছোট ভাইয়া ৭ম শ্রেণীতে পড়ে।
আমি ৩য় শ্রেণীতে পড়ি।
তখন ছোট বোনের পড়াশুনা করার বয়স হয় নাই তবুও বাবা আমার সাথে মাদ্রাসায় নিয়ে দিয়ে আসতো।বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা রাতে খুবই ভয় পাইতাম।আমার মা আমাদেরকে আগলিয়ে রাখতো।
আমাদের কোন চাচা জ্যাঠা মামা ছিলনা।মা আমাদেরকে নিয়ে একাই সাগরের মাঝখানে সাঁতার কাটতেছে। সাথে আমার বড় দুই বোন আমাদের পাঁচ ভাই-বোন কে আগলিয়ে রেখেছে। আমাদের খাওয়া পরানোর জন্য মায়ের সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। হেল্প করার মত কেউ ছিলনা আশেপাশের সবাই বলতো তোমার ছেলেদেরকে কাজে দিয়ে দাও। আমার মা এবং আমার দুই বোন তা কখনো হতে দেয়নি। আলহামদুলিল্লাহ সবার পড়ালেখা চলতেছে। আমরা আমাদের শিক্ষকদের কাছে অনেক হেল্প পাইছি, আলহামদুলিল্লাহ। শিক্ষকদের জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো। আমার ভাইয়ারা অনেক ভালো স্টুডেন্ট ছিল। ভাইয়াদের রেজাল্ট অনেক ভালো ছিল তাদের পিছনে পিছনে আমরাও ছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ। নূরানী মাদ্রাসায় আমার একজন টিচার খুবই ভালো ছিল।আমাকে এবং আমার ছোট বোনকে অনেক আদর করতো আমাকে একটা কলম দিয়ে বলল। নিলুফা তুমি একদিন অনেক বড় হবে।আমাদের নূরানী মাদ্রাসায় শুধুমাত্র চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ছিল। আমার চতুর্থ শ্রেণীর পড়া শেষ। আমাদের বাড়ি থেকে আমাদের মাদ্রাসা এক কিলোমিটার এর চেয়েও বেশী দুরে ছিল। আমাদের একেবারে গ্রাম্য এলাকা, আশেপাশে কোন মাদ্রাসা ইস্কুল হাট-বাজার ছিল না। 2016 সালে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ আসে।
💞✍️ 2004 জানুয়ারির 1 তারিখ আমার এক বান্ধবীর সাথে আমি মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য গিয়েছি।সেটা মহিলা মাদ্রাসা ছিল।
যাওয়ার পর হুজুর আমার থেকে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। তারপর হুজুর আমাকে নিজে থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করে ফেলে।পঞ্চম শ্রেণী আমার আর পড়া হয়নি। ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার তিন দিনের মাথায় শ্রেণি শিক্ষক আমাকে ফাস্ট ক্যাপটেন বানিয়ে দিল।
🥰 প্রতিদিনই ফার্স্ট বেঞ্চে বসতাম। আমার শিক্ষক&সহপাটি রা আমাকে খুবই ভালবাসত,আমিও তাদের কে অনেক ভালবাসতাম। এখনো আমি আমার শিক্ষক দের সাথে ফোনে কথা বলি। আলহামদুলিল্লাহ।
🥰ষষ্ঠ,, সপ্তম,, অষ্টম,, নবম,, দশম চোখের পলকে কেটে গেল পাঁচটি বছর। সেই দিনগুলি এখনো মিস করি।
💘✍️এসএসসি পাশ করলাম 2009 সালে। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি ও চলছে। প্রতিমাসে 700 থেকে 1000 টাকা পাই টিউশনি করে। টিউশনির টাকা দিয়ে হাত খরচের টাকা সেরে যেত।
🥰ভাই বোনের মধ্যে আমি আমার বোন ছোট ছিলাম।আমার বড় ভাই ও বোনেরা আমরা দুই বোন যা চাইতাম তাই দিতো বাবার অভাব বুঝতে দেয়নি কোনদিন।
✍️এসএসসির রেজাল্ট আসলো পাস করলাম আলহামদুলিল্লাহ। তারপর আলিম ভর্তি হলাম আলিম ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার পর চারদিক থেকে বিয়ের জন্য সমন্ধ আসতেছে। বিয়ের জন্য আমি একেবারেই প্রস্তুুত ছিলাম না, আমার ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা করে শিক্ষক হবো। হঠাৎ আমাকে একদিন দেখতে আসলো আমার হাজবেন এবং ননদ। তারা আমাকে দেখার পর পছন্দ হলো। তবে আমি তাদের দিকে এক বারের জন্য তাকায়নি নাই। আমার একটা ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা করা।
🎇ওদের ও ৭ ভাইবোন ছিল অনেক বড় জয়েন ফেমেলি ছিল। আমার শ্বশুর & হাজব্যান্ড কথা দিয়েছে পড়াশোনা করাবে। যাইহোক দেখার চার দিন পর আমার বিয়ে হয়ে গেল (05/02/2010) সালে।
💞✍️বিয়ের পর সবার জীবনে যে রকম ঝড় তুফান আসে আমারও এসেছে। যেহেতু আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার আর ওদের উচ্চবিত্ত পরিবার ছিল । আর তখন আমার 3 ভাই সবাই অনার্স/মাস্টার্সে পড়াশোনা করে। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে ছোটখাটো জব করে। বড় ধরনের কিছু করা আমাদের পরিবার থেকে সম্ভব ছিল না। প্রথম প্রথম ঘরের মানুষ কিছু বলতো না। ঘরের মানুষ না বললেও বাইরের মানুষ বললে বাধা দিত না। আশেপাশের এমন কিছু মানুষ ছিল যারা আমার জীবনকে একেবারে জাহান্নাম বানিয়ে দিয়েছিল😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭
✍️আমাকে জারা কষ্ট দিয়েছে তাদেরকে আমি কোনদিন বুলতে পারব না। আমি তাদেরকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিয়েছি।
💞✍️বিয়ের পর আমি আলিম সেকেন্ড ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা দিলাম।কখনো আমার বাড়ি থেকে কখনো শ্বশুরবাড়ি থেকে ।ওখানেও কুটনামি🥺বুঝান রিক্সা ভাড়া দিয়ে আপনার ছেলের সব টাকা শেষ হয়ে যাবে। আপনার ছেলের বউ কারো সাথে ভাগি যাবে। তখন আমি কোন কিছুই জানতাম না বুঝতাম না। কে আপন! কে পর। এটা আমি বুঝতাম না। যাকে আপন ভাবতাম সেই আমাকে ঠকাইতো । ওকে পরীক্ষা টা দিলাম পাস করলাম।
🎇তারপর আমাদের আলিম টেস্ট পরীক্ষা তখন আমি 7 মাসের পেগনেট ছিলাম। আমার বাবার বাড়ি থেকে আমার মাদ্রাসা ছিল প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার।বাবার বাড়ি থেকে পরীক্ষা দিচ্ছি, হেটে আসতাম হেঁটে যেতাম। আবার আমাদের ক্লাস ছিল তিন তালাতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে আমার খুবই প্রবলেম হইত। টেস্ট পরীক্ষা দেওয়া আমার জন্য আরেকটা পরীক্ষা ছিল। টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট ভাল ছিল। আলহামদুলিল্লাহ।
এরপর আমার একটি শুভ সংবাদ ১৮/০২/২০১১ সালে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাকে একটা পুত্র সন্তান দান করেছে।
🤲🤲আলহামদুলিল্লাহ।🤲🤲
💥ছেলের বয়স মাত্র 40 দিনের মাথায় আমার আলিম পরীক্ষা। আমার বড় দুই বোনই ফেনীতে থাকতো ওদের বাসা থেকে আমি আলিম পরীক্ষা সম্পন্ন করলাম।2011 সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর আমার হাজব্যান্ড দেশের বাইরে চলে যায়।
✍️এর মাঝে আমার ভাই আমাকে ডিগ্রিতে ভর্তি করাইলো, ডিগ্রি তে পড়াশোনা চলছে লুকোচুরি করে । আমার থেকেও আমার পড়ালেখা নিয়ে মানুষের বেশি চুলকানি ছিল। প্রাইমারি স্কুলের চাকরির জন্য অ্যাপ্লিকেশন করলাম। আমি না বোঝে আমার এড্রেস দিলাম আমার শ্বশুরবাড়ির। আমি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। ফেনীতেই ছিলাম তবে আমার এডমিট কার্ড চলে গেছে আমার শ্বশুরবাড়িতে, আমি সবার থেকে খোঁজ নিলাম আমার এডমিট কার্ড টা কী কারো কাছে আসছে? আপনারা কেউ জানেন? কেউ আমাকে সঠিক তথ্য দিতে পারল না। পরীক্ষাটা দিতে পারলাম না। আমি বাড়িতে আসার দুই দিন পর 1 জন বলে তোমার নামে একটা অ্যাডমিড কার্ড আসছে।তখন আমি নির্বাক। কিছুই বলার সাহস ছিল না আমার। যিনি আমাকে এডমিন কার্ড টা এনে দিলো তিনি খুব ভালো করেই জানত এটা আমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। তার মেয়েও ওই দিন পরীক্ষা দিয়েছে। ইচ্ছা করে আমাকে এডমিন কাট টা দে নাই।
✍️ তারপর কান্না হাসি আনন্দ সুখ-দুঃখে কেটে গেল বিবাহিত জীবনের 7 টি বছর। কোথায় থেকে না জানা এক দমকা হাওয়া এসে আমাকে আর বাড়িতে থাকতে দেয় নাই।🤣🤣😭😭
✍️চলে আসলাম ফেনীতে ভাইদের পাশে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিলাম। তবে এখানে আমি বেশ ভালোই আছি। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারো সামনে যেতে হয়না। আলহামদুলিল্লাহ।আমার মাথার উপর আছে তিনটা বটবৃক্ষ আমার তিন ভাই।
এখন আমার 3 ভাই প্রতিষ্টিত,তিন ভাই শিক্ষক। আলহামদুলিল্লাহ 🤲
💗 আমার সাথে আছে আমার মা আমার সুখ দুঃখের সাথী।
✍️💞মা🫶 উনি শুধু আমার মা না আমাদের 7 ভাই বোনদের জন্য একজন ওস্তাদ, ডাক্তার, উকিল, ইত্যাদি। রাত বারোটা দিন বারোটা আমার মায়ের জন্য সমান। নিজে না খেয়ে অন্যকে খাওয়াই তে হয় এটা আমার মায়ের থেকে আমরা শিখেছি।
আমার মা অসুস্থ! সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমার মাকে সুস্থতার সহিত নেক হায়াত দান করে। আমিন🤲
✍️💞তারপর আল্লাহর আরো একটা অশেষ দান ০৪/১১/২০১৭ সালে মহান আল্লাহ আমাকে আরো একটা পুত্র সন্তান দান করে। আলহামদুলিল্লাহ।
✍️২০১৯ সালের 25 শে অক্টোবর একেবারে আমার হাজব্যান্ড ওমান থেকে দেশে চলে আসে। বিদেশ থেকে আসার ৭ মাস পর আমার হাজবেন আমাদের বাসার পাশে একটা মুদি দোকান দিয়েছে মোটামুটি চলছে আলহামদুলিল্লাহ।
✍️💞তারপর ২২/১১/২০২০ সালে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে ফুটফুটে একটা কন্যা সন্তান দান করে এবার আমি বেশি খুশি আলহামদুলিল্লাহ। ❤️❤️❤️❤️
✍️বিজনেস এর শুরুটাঃ
💞হঠাৎ আমার একদিন মাথায় আসলো টিচার হতে পারি নাই কি হয়েছে আমি বিজনেস করবো।
আমি তখন অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতাম। অনলাইন থেকে একদিন আমার জন্য একটা ড্রেস নি।আমার ভাইয়ের মেয়ে বোনের মেয়ে ভাবি সবাই আমাকে উৎসাহ দেয় আপনি নিয়ে আসেন আমরা আপনার থেকে 2/3 টা করে নিবো। তখন আমি কিছু না বুজে অনলাইনে 20000 টাকার ড্রেস অর্ডার করে দিলাম।
ওখান থেকে আমার 10 টা ড্রেস সেল হইছে, আমি আরও 30 হাজার টাকার ড্রেস অর্ডার করেছি অনলাইনে। 50 হাজার টাকা দিয়ে আমার বিজনেস শুরু। বিজনেস সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া ছিল না। এজন্য আমি অনেক হোচট খেয়েছি অনেক টাকা নস্ট হইছে। আমার জানাশোনা কিছুই ছিল না। দেখা গেছে আমি অনলাইনে চল্লিশটা ড্রেস অর্ডার করছি ওখানে 15 টাই রিজেক্ট দিয়েছে।এক্সচেঞ্জের এর জন্য পাঠালে তারা লাপাত্তা হয়ে যায়।কোরিয়ারে ড্রেস পাঠাতে কোরিয়া থেকে ড্রেস উঠায় আনতে অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। একটা পেইজ খুললাম Fatima Fatima Food & Fashion নামে।আমার একটাই স্মার্টফোন ছিল,লাইভ করার জন্য আরো একটা ফোন নিলাম। একটা ফোন দিয়ে লাইক কমেন করা সম্ভব না। রিং লাইট নিলাম। বড় একটা গ্রুপে 1000 টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলাম চার মাস লাইভ করলাম চার মাসে প্রতিদিন ২/৩ ঘণ্টা করে লইভ করতাম, প্রথম চার মাসে ৪টা ড্রেস সেল হয়।প্রথম প্রথম একেবারে সারা পাই নাই তাবুও লেগে ছিলাম। 3 হাজার টাকা দিয়ে পেজ প্রমোট করাইলাম। প্রায় ৫ থেকে ৬ বার ফেসবুস্ট করলাম। এখন আমার পেইজে 2100 ফলোয়ার্স। আশাকরি পোস্টটা পড়ার পর সবাই পেজে লাইক দিবেন ফলোয়ার বাড়বে।
🕋🕋আমার বিজনেস করার একটাই উদ্দেশ্য আমি নিজে উপার্জন করে পবিত্র হজ্জ পালন করতে চাই, সবাই দোয়া করবেন আমি যেন হজ্জ পালন করতে পারি। 🕋🕋
✍️💞বিজনেস শুরু করার তিন মাস পর হঠাৎ আমার হাজব্যান্ড অসুস্থ হয়ে যায় উনার টিউমার হয়েছিল। এক বছরে আমার হাজবেন্ডের তিনবার অপারেশন হয়েছে। উনার মলদ্বারের পাশে টিউমার হয়েছিল এজন্য আমাকে প্রতিদিন ৪ বার ডেসিং করেদিতে হয়েছে। ওর অপারেশনের সময় গুলোতে হসপিটালে যাওয়ার সময় আমার তিনটা বাচ্চা; বাচ্চাদেরকে বাসায় রেখে যেতাম আমার আম্মুর কাছে। হসপিটাল থেকে এসে বাচ্চা সামলানো রান্নাবান্না ঘরের কাজ প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা লাইভ করা,এগুলো করে আমার দিন যেতো। দিন ১২ টা রাত ১২ টা আমার জন্য সমান ছিল।এখনও তাই আছে। প্রায় দেড় বছর আমি বিজনেস করতেছি দেড় বছরই আমার হাজবেন অসুস্থ। অসুস্থতার মাঝে আমার ড্রেস ডেলিভারি দেওয়া কোরিয়ার থেকে আনা সবকিছুতেই আমাকে হেল্প করেছে। ওনার শারীরিক আর্থিক সাপোর্টে আমি আজ পর্যন্ত বিজনেস এ টিকে আছি। সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমার হাজব্যান্ড কে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে, সুস্থতার সহিত দীর্ঘ হায়াত দান করে আমীন।
💞💞মা💞💞
💞💞আমার মমতাময়ী মা যার কথা না বললেই নয়, আমার মা শুধু আমাকে পৃথিবীর আলো দেখার নি,এখন পর্যন্ত প্রতিটা মুহূর্তে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। আমার হাজব্যান্ড যখন অসুস্থ হসপিটালে ভর্তি ছিল, আমার তিন ভাই এবং আমার মা আমাকে সাপোর্ট দিয়ে গেছে এখনো দিচ্ছে।আমি যখন লাইফ শেষ করি,তখন আমার আম্মু জিজ্ঞেস করে আজকে কোন অর্ডার আসছে। যখন আমার অর্ডার আসে তখন আমার আম্মু মনেকরে আমি পৃথিবী জয় করে ফেলেছি। রমজান মাসে গ্রামের বাড়িতে ইতেকাফ করেছে ওখান থেকেও খোঁজ নিচ্ছে তোর কয়টা ড্রেসের অর্ডার হইছে ।আমার আম্মুর চোখের অপারেশন হইছে,হসপিটালের বেডে শুয়ে ও আমাদের জন্য টেনশন করতেছে আমি এবং আমার বাচ্চারা ঠিক আছি কিনা।আমার সেই মমতাময়ী মা এখন অসুস্থ অপারেশন হইছে, সবাই দোয়া করবেন আমার মায়ের জন্য।
💞💞আমার বড় ছেলে ❤️ MD Hasan Al Banna 🥰
আমাকে অনেক হেল্প করেছে। আমার ছেলে যদি আমাকে হেল্প না করতো বিজনেস করা আমার জন্য অসাধ্য হয়ে যেত। আলহামদুলিল্লাহ আমার ছেলে এখন ও আমাকে অনেক হেল্প করে। আমার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আমার ছেলে যেন বড় হয়ে বিশ্ব সেরা আলেম হতে পারে, দ্বীনদার হতে পারে,মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার ছেলেকে যেন বিশ্ব সেরা আলেম হিসেবে কবুল করে।
💞🤲পৃথিবীর চারপাশে যা কিছু সুন্দর মহৎ তার মাঝে বিকশিত হোক তোমার জীবন শুভ কামনায় তোমার মা আমিন🤲❤️
✍️💞অবশেষে; নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনে আশার মাধ্যম হচ্ছে S M Shafiqur Rahman আমাকে এই গ্রুপের লিঙ্কটা দিয়েছে।শফিকুর রহমান আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই গ্রুপের লিং আমাকে দেওয়ার জন্য। চারো দিকে যখন আমার পথ বন্ধ হয়ে গেছে শুধু লস আর লস খাচ্ছি তখনই আমাকে এই গ্রুপের লিং টা দিছে। নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত আমি আনন্দিত। দেড় বছরে আমি যে পরিচিতিটা পাইনি মাত্র 4/5 মাসে আমি তার থেকে বেশি পরিচিত। আলহামদুলিল্লাহ।এই গ্রুপের ভাইবোনেরা আমাকে অনেক হেল্প করতেছে। আমি এ পর্যন্ত তিনবার পণ্য প্রদর্শনী করার সুযোগ পেলাম আমাদের ফেনীতে, বরগুনাতে, ডুবাইতে। আলহামদুলিল্লাহ।সবচাইতে বড় কথা আমরাই ক্রেতা আমরাই বিক্রেতা। অনেকের কাস্টমার হবার সুযোগ হয়েছে,অনেকেই আমার কাছে কাস্টমার হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। আমার প্রিয় দায়িত্বশীল ভাই বোন দেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। উনারা আমাকে অনেক হেল্প করেছেন। উনাদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
💞যারা কষ্ট করে আমার পোস্টটা পড়েছেন তাদেরকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৮৩
তারিখ ০৮-১০-২০২২ইং
💞💞 আমি আপনাদের প্রিয় বোন🌷🌷
💘নামঃ নিলুফা আক্তার
💘থানা/জেলাঃ ফেনী সদর
💘পেইজ ফাতেমা ফুড এন্ড ফ্যাশন
💘ব্যাচঃ ১৮
💘রেজিস্ট্রেশনঃ ৯৯০৫২
💘স্বত্বাধিকারীঃ Fatima Food & Fashion
💘 Nilufa's vlog
💘আমি ভালবেসে কাজ করতেছি থ্রি পিস, বেডশীট পর্দা,খিমার, হিজাব, হাতমোজা, জায়নামাজ, চায়না ম্যাজিক মশারি মশারি কভার অর্গানিক সরিষার তেল, হলুদ, মরিচ ও মসলার গুঁড়ো ভালবেসে সবাই পাশে থাকবেন।
কন্টাক্ট নাম্বারঃ( ০১৯৭৬৪৬৭১১৮)
❤️❤️❤️❤️❤️
🌷ধন্যবাদ সবাইকে🌷