জীবনে ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে তার মোকাবিলা করতে হয়।
🌹আমার জীবনের গল্প 🌹
🌹আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ 🌹
🌹আল্লাহর নামে শুরু করছি,যিনি পরুম করুনাময় অসীম দয়ালু।🌹
🌹সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামিনের জন্য,লাখো কোটি দরুদ ও সালাম প্রেরন করছি বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 🌹
🌹 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার মা ও বাবার প্রতি তারা আমাকে জন্ম দিয়েছে ও সঠিক ভাবে লালন পালন করছেন,🌹
🌹আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনের, ফাউন্ডার, চেয়ারম্যান,, লাখ লাখ তরুণ-তরুণী আইডল শতাব্দীর আবিষ্কারক আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি যার প্রতিটি শিক্ষায় প্রতিনিয়ত নিজেকে তৈরি করছি,, এবং আজকে তার শিক্ষা বুকে ধারণ করে নিজের জীবনের গল্প বুক ফুলিয়ে লিখতে ও বলতে পারছি,, স্যারের সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি 🤲 এত সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য স্যারের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।🥰 সেই সঙ্গে আমার সকল শিক্ষকদের প্রতি,কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করছেন 🌹
☘️ আমার জীবনের গল্প🍀
👉আপনাদের সাথে আমার জীবনের কিছু কথা শেয়ার করতেছি👈
👉আমার পরিবার👈
👉আমি আমার মা, বাবা বড় সন্তান আমার ছোট একটা বোন আছে👈
🌹মোঃ রহমত আলী 🌹
👉নওগাঁ জেলা, নওগাঁ সদর উপজেলা, ২ নং কীর্তিপুর ইউনিয়নে,আলেদাদপুর গ্রামে,১৯৯৮ সালে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করছি👈
🌹পিতা, মোঃ মিজানুর রহমান
🌹মাতা,মোছাঃপান্না সুলতানা
👉আমার বাবারা ছিলো ৫ ভাই ৩ বোন, আমার বাবা ছিল ৪ নাম্বার, আমার বাবা ছিলো একটু অলস কোয়ালিটির ছিল কখনো কোন কাজ করতে চায় না, আমার মা ছিল অনেক ধৈর্যশীল সে সব সময় সব কাজ করতো মা গরু লালন পালন করে আমার বাবাকে আমাদের বাজারে একটা কসমেটিকসের দোকান নিয়ে দিল, বছর খানেক চালানোর পর সেই দোকান ও বন্ধ করে দিল। তারপর অনেক কষ্ট করে আমার বাবাকে আমাদের এলাকার মসজিদের মোয়াজ্জেম হিসাবে নিযুক্ত করাতে পারলেন। আমি যখন জন্মগ্রহণ করি, তখন আমার বাবা কোন কাজ করতো না, তখন আমার খরচ আমার দাদা আর আমার বড়আব্বা দিতো।
🌿ছাত্র জীবন🌿
শুরুর দিকটা ছিল অনেক কষ্টদায়ক 😭
আমার মা অনেক কষ্ট করে আমাকে স্কুলে ভর্তি করান, স্কুলে ক্লাস টু পর্যন্ত পড়তে পারি।। তারপর আমাকে আমার বাবা নিয়ে গিয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করান,, মাদ্রাসার খরচ না দিতে পারার কারনে,,আমার হুজুর আমাকে একটা জাগির ঠিক করে দিল, আমার জাগিরদারের কোন ছেলে নাই সেই জন্য আমাকে ছেলের মত ভালোবাসতে লাগলো তারা আমার লেখাপড়ার সকল খরচ দিতে লাগলো, মাদ্রাসার লেখা পড়া শেষ করলাম, আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিলাম অনেক কষ্ট করে দাখিল পরিক্ষা দিলাম, আলিমে ভর্তি হওয়ার পর পড়ালেখা চালানো অনেক কষ্ট হয়ে গেল।
পারিবারিক জীবনে এই যুদ্ধ বিভিন্ন রকম হতে পারে। কখনো মা–বাবার ভালোবাসা ভাইবোনদের সঙ্গে ভাগে বেশি পাওয়ার যুদ্ধ, কখনো স্কুলের সহপাঠীদের হারিয়ে ভালো ফলের জন্য যুদ্ধ। আবার কখনো খেলার মাঠে সাফল্য অর্জনের যুদ্ধ। এমনি করেই সংগ্রাম করতে করতে একসময় চলে আসে বয়ঃসন্ধিকাল আর তখন সামনে এসে দাঁড়ায় অন্য রকম যুদ্ধ। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেরা তাদের পরিবারের সঠিক লালনপালন অথবা যথার্থ বন্ধু নির্বাচনে ব্যর্থ হলে একরকম বখে যেতে শুরু করে। পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগী হয়ে বন্ধুদের প্ররোচনায় পড়ে সমাজের নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত হয়। আর তখন তাদের নিজেদের জন্য ও পরিবারের জন্য অপেক্ষা করে থাকে এক বিশাল যুদ্ধ।
আর যদি তারা অসচ্ছল অথবা দরিদ্র পরিবারের হয়, তাহলে সংসারের অসচ্ছলতার প্রতিক্রিয়া তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখনই ছেলেদের মনে শুরু হয় অগণিত প্রশ্নে জর্জরিত দারিদ্র্যমুক্তির অন্বেষণে এক মানসিক যুদ্ধ। কেন তারা দরিদ্র? কেমন করে অর্থ উপার্জন করে সংসারের অসচ্ছলতা দূর করা যায় ইত্যাদি। এ অবস্থায় কেউ কেউ কষ্ট করে শিক্ষার আলোকে সঙ্গে নিয়ে এ যুদ্ধে জয়ী হয়ে যায় আবার কেউবা ভুল পথে গিয়ে সমাজের কলুষিত ব্যক্তি হয়ে অমানুষ হয়ে গড়ে ওঠে। এই রকম যুদ্ধে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের মোটামুটি জয়ের সম্ভাবনা বেশির দিকে থাকে, তবে এরও যে ব্যতিক্রম নেই তা নয়, কথায় বলে ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ!’ এসব ক্ষেত্রেই মা-বাবা এবং পরিবারকে এক অসাধারণ কঠিন যুদ্ধের মোকাবিলা করতে হয়। এমন অবস্থায় আমার দিকে আবারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়,,,,
আমার এক বড়আব্বা আমাকে একটা খেজুরের দোকান ঠিক করে দিল,, সেই দোকানে চাকুরী করে নিজের পড়া লেখা চালিয়ে গেলাম আলিম পরিক্ষা দেওয়ার জন্য খেজুরের দোকানে চাকুরী করার সময় একটু বেচা কেনা কমে গেল তখন আমাকে কয়েক দিন বসে রাখলো, আর ওদের নিজের যারা ছিল তাদের রাখছিল। পরে নিজে চিন্তা করলাম ওখানে কতদিন চাকুরী করবো,, আমাকে নিজে কিছু করতে হবে, তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম নিজেকে কিছু করতে হবে, তখন জুতা নিয়ে ব্যবসা শুরু করলাম কিছু দিন চালানো পর করোনা শুরু হল, কারোনার কারনে জুতার ব্যবসা বন্ধ করে দিলাম।।।
করোনার ভিতর বসে থাকলাম, পড়ে আবার খেজুরের দোকানে আসলাম,,, কিছুদিন আবার সবাইকে রেখে আমাকে বসে থাকতে বললো, তারপর চিন্তা করলাম, হাতের কাজ শিখতে হবে। তারপর আমার এক মামা আমাকে একটা ফ্রিজ এসির দোকান ঠিক করে দিল, সেখান থেকে কাজ শিখলাম।।। ওখানে কাজ করতে লাগলাম, এখন আমি ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওভেন, রাইচকুকার,ও গ্যাসের চুলার কাজ করতেছি। ও পড়া লেখা চালিয়ে যাচ্ছি।।
এর মাঝে দেখা পেয়েছি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর মতো ভালো মানুষের একটি পরিবার সেখানে নওগাঁ জেলার এরশাদ আলী সাহেব ভাইয়ের মাধ্যম দিয়ে আমি ফাউন্ডেশনের এর রেজিস্ট্রেশন টা কমপ্লিট করি, এবং প্রিয় শিক্ষকের দেওয়া প্রতিটি সেশন ফলো করি এবং সেগুলো বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ব্যাপক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি নওগাঁ জেলার ভালো মানুষ ভাই-বোনদের কাছে থেকে তারা প্রতিনিয়ত ও আমাকে দিক নির্দেশনামূলক কথা বলে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। নতুন করে কিছু শুরু করার সাহস পাই। এবং যে রকম যুদ্ধ বা সংগ্রামই আসুক না কেন, জীবনে ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে তার মোকাবিলা করতে হয়। তা আমি আমার প্রিয় নওগাঁ জেলার ভাই বোনদের কাছে থেকে শিখেছি।
পুরো জীবন কাহিনী তো এক দিনে লিখে শেষ করা বা বলা যাই না এর মাঝে কিছু অংশ তুলে ধরলাম,,, আমাদের নওগাঁ জেলার এম্বাসেডর @Hasnat Hena আপুর অনুপ্রেরণায়,,,
☘️আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা☘️
👉এস এস সি(দাখিল)
👉এইচ এস সি( আলিম)
👉অনার্স( চলমান)
🤲সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সঠিক ভাবে লেখা পড়া শেষ করতে পারি,,, আমার লিখায় যদি কোনো ভুল এুটি হয়ে থাকে মাফ করবেন
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৮৪
তারিখ ১১-১০-২০২২ইং
❤️❤️ধন্যবান্তরে❤️❤️
আমি মোহাম্মদ রহমত আলী
ব্যাচঃ ১৭
রেজিষ্ট্রেশনঃ ৯০১৪৩
থানাঃ নওগাঁ
জেলাঃ নওগাঁ
বর্তমান অবস্থানঃ নওগাঁ সদর নওগাঁ