জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একজন ভালো মানুষ হিসেবে কাটাতে চাই।
আসসালামুয়ালাইকুম,
#আমার #জীবনের_গল্প
✍️🧕✍️ গল্পের শুরুতে শুকরিয়া আদায় করছি মহান
আল্লাহতালার প্রতি যিনি আমাকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এবং যিনি আমাকে, আমার পরিবারকে এবং পৃথিবীর সকল মানুষকে , সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করেন। একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সূস্হ আছি ,ভালো আছি এবং বেঁচে আছি , আলহামদুলিল্লাহ।
🌺 গল্প শুরু এজন্যই বলা কারণ জীবনটাই তো একটা গল্প। হাজারো স্বপ্নের গল্প, হাজারো ব্যস্ততার গল্প রয়েছে জীবনে।
#নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন তাইতো সবার সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি আমার জীবনের গল্প।
🟥আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের সকলের প্রিয় ,মেন্টর #জনাব_ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারের প্রতি। যিনি
হাজারো হতাশা আক্রান্ত মানুষের, হাজারো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে। স্বপ্ন দেখিয়েছেন উদ্যোক্তা হবার। আশার আলো জাগিয়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে।
🟩বাংলাদেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন যিনি, তিনি হচ্ছেন আমাদের জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। ভেঙ্গে পড়া স্বপ্ন গুলো জোড়া লাগিয়েছে কথার তীর দিয়ে। ফেলে আশা স্বপ্ন গুলো নতুন করে দেখতে সাহায্য করেছেন , আমাদের প্রিয় মেন্টর। অন্তর থেকে আপনার জন্য সব সময় দোয়া থাকবে।
✍️এভাবে যেন আপনার দেখানো পথে হাঁটতে পারি। একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।
🤲🤲 দোয়া ও ভালোবাসা থাকবে সকল আজীবন সদস্য ও দায়িত্বশীল সদস্যদের জন্য। শ্রদ্ধা নিয়ে স্মরণ করতে চাই আমাদের মিরপুর জোনের জোন এম্বাসিডর জেসমিন আক্তার জুঁই আপুর কথা। যিনি প্রতি মূহুর্তে আমাকে দিক নির্দেশনা দিয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
আর বলতে চাই পটুয়াখালী জেলার এম্বাসিডর সাথী আক্তার আপুর জন্য ও শুভকামনা থাকবে সব সময়। এছাড়াও আমার মিরপুর মডেল জোনের সকলের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। যাদের ভালোবাসা ও সাপোর্ট পেয়ে এগিয়ে চলছি প্রতি মূহুর্তে।
সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে #শুরু করছি আমার জীবনের গল্প -
🟥#জীবনের_গল্প
✍️মধ্যবৃত্ত পরিবার ছিল আমাদের। বাবা ছিলেন ব্যাংকার । মা গৃহিণী আর আমরা ছিলাম তিন বোন। বোনদের মধ্যে সবার ছোট আমি।
🟥ছোট বেলা-
🛑🛑দাদার বাড়ি কাহালু, নানার বাড়ি বগুড়া সদর। আর আমাদের বাড়ি বগুড়া শহরের সেউজগাড়ি তে। সবকিছু মিলিয়ে হাসিখুশি আনন্দে ভরপুর একটা পরিবার।
🛑জীবনের সব সময় তো আর এক রকম থাকে না 😭।
বাড়ির সবার ছোট মানেই আদুরে আর জেদী। এটাই তো হবার কথা তাই নয় কি!
বড় আপু এবং ছোট আপুর সাথে বয়সের ব্যবধান টাও অনেক আর আব্বুর ছিলাম চোখের মনি তাই বাস্তবতা কি সেটা তো সম্পূর্ণ অজানা।
✅ হয়তো জীবনের অনেক বড় ধাক্কা গুলো আসবে তাই সুখের ছিল শৈশব টা।
✅ বড় আপু যখন সবে মাত্র মাস্টার্স এ ভর্তি, ছোট আপু অনার্স এ ভর্তি শেষ করল । আর আমি 😭 ক্লাস সেভেন থেকে এইটে উঠলাম। জীবনের চরম ও নির্মম সত্য অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য।
😭 ৩ জানুয়ারি ২০০২ হঠাৎ বিকাল ৩ টায় আব্বু অফিস শেষে বাড়ি চলে আসেন। আব্বু কে দেখেই আম্মু আর বড় আপুর সেকি ছোটাছুটি। আজ হয়তো সেগুলো বুঝতে পারলেও সেদিন কিন্তু কিছু ই বোঝার বয়স ছিল না 😭😭।
বাসায় বেশ লোকজনের সমাগম, সবাই বলছে হাসপাতালে ভর্তি করাই ভালো হবে।
😭🟥😭 বড় আপু আর আম্মু ৪ জানুয়ারি ২০২২ আব্বুকে হাসপাতালে ভর্তি করলেন। আমি খুব বেশি বাবা ভক্ত ছিলাম তাই আমাকে আব্বু বারবার করে বলল , তুমি কিন্তু ভালো হয়ে বাসায় থাকবা। ছোট আপুর সাথে ঘুমাবা। আমি যে আব্বুর কাছে ছাড়া ঘুমাতে পারতাম না। তাই সেদিন ও জেদ করলে আব্বু কিন্তু বলে গিয়েছিলেন, এই তো মা যাব আর আসব😭😭😭😭
🟩🛑🟩 আমি কিন্তু বিশ্বাস করেছিলাম আব্বুর কথা। কোন জেদ করি নি সেদিন। কিন্তু আব্বু কথা রাখে নাই😭।
" এই যাওয়া তার শেষ যাওয়া হবে তাহা কি জানিত কেউ"
১৩ জানুয়ারি ২০০২ আব্বুর অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। ঢাকায় আনা হয়, ১৬ জানুয়ারি আব্বু চিরতরে চলে গেলেন। আব্বুর হেপাটাইটিস বি হয়েছিল।
😭 একটি সুখের নীড় একটি দমকা হাওয়ায় ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
ভাই ছিল না, আমাদের তিন বোনকে নিয়ে শুরু হলো আমার আম্মুর জীবন যুদ্ধ।
🛑 জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু। বাবা ছাড়া শূন্য জীবন 😭। কি যে হাহাকার কি যে অসয্য এক কষ্ট এটা হয়তো এই সামান্য লিখনির মাধ্যমে বোঝানো সম্ভব নয়।
আমার মা একজন সংগ্রামী নারী। সেদিন ই হয়তো থেমে যেতে পারত আমাদের জীবন। কিন্তু তিনি তা হতে দেন নাই , শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন আমার বাবার রেখে যাওয়া তিন সম্পদ কে নিয়ে।
🛑 আব্বুর খুব ইচ্ছে ছিল আমি কমার্স নিব তাই তার ইচ্ছে রাখতে কমার্স নিলাম। দিন কিন্তু দিনের মতো কাটছিল কিন্তু এক একটা দিন কতটা কষ্টের ছিল তা আজো মনে পড়লে গায়ের লোম শিওরে ওঠে। SSC পরীক্ষা দিয়েছি বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ( vm school)। বরাবর ই আমি এবং আমরা তিন বোন মাকে খুব শ্রদ্ধা করতাম, আব্বু চলে যাওয়ার পর সে তো ছিল আমাদের বটগাছ। তাই সব কিছু মিলিয়ে রেজাল্ট ভালো ই ছিল আলহামদুলিল্লাহ।
🟩আব্বু চলে যাওয়ার পর কেউ কিন্তু কখনো আমাদের একটু সাহায্য ও করে নাই। কখন আদর করে একটু সুন্দর কথাও হয়তো বলে নাই। হুম একটা কথা না বললেই নয়। আমার বড় আব্বু এবং দাদু বাড়ির সবাই কিন্তু বরাবরই সাপোর্ট করেছেন। আমার মাকে কখনো ভেঙ্গে পড়তে দেখি নাই শত ঝড়েও। শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন বলেই হয়তো আজ আমরা এতদূর আসতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।
🟥আজো মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে কেন মিথ্যা বলেছিলে আব্বু😭 । ২০ বছর পড়েও ঘা শুকায় নাই কেন বলতে পারেন!!!!!
খুব মনে পড়ে HSC পরীক্ষার কথা গুলো। বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে HSC পরীক্ষা দিয়েছিলাম। হঠাৎ অসুস্থ, একটা অপারেশন করতে হবে ডাক্তার বললেন। তাও ঠিক পরীক্ষার আগে। পাশে ছিল না সেদিন কেউ। একদিকে টাকা র টেনশন অন্য দিকে ফাইনাল পরীক্ষা। কত রাত ব্যথায় কেঁদেছি । দাঁতে দাঁত দিয়ে বলেছি আম্মু একটুও কষ্ট হচ্ছে না 😭। কোথায় থেকে মা এত গুলো টাকা জোগাড় করবেন! ( কি বিভীষিকাময় সময়) । দিন পড়ে ছিল না, শুধু স্মৃতি গুলো আজো তাজা।
🟩হাসি কান্না আনন্দের মাঝে জীবন বয়ে গিয়েছে। অনার্স শেষ করলাম, বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে। বিষয় ছিল বাংলা। এর মাঝে কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে গিয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ ❤️।
🥰 ৩.৫ বছরের চাকুরী ছিল আমার। ছেড়ে দিয়েছিলাম চাকুরী টা। এত কষ্টের পর সরকারি চাকরি ছেড়ে দিলাম কেন সেটা বলব সেই গল্প।
🌺❤️🌹 একটা কথা বলা হলো না, মাস্টার্স করেছি সরকারি বাংলা কলেজ ঢাকা থেকে। বাংলাতেই মাস্টার্স শেষ করেছি আলহামদুলিল্লাহ।
🟩#বিয়ে
এবার বলি বিয়ে নিয়ে কথা। ২০১৪ সাথে বিয়ে হলো আলহামদুলিল্লাহ। জীবনের সব চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসে এমন একজন মানুষের সঙ্গে জীবন শুরু করলাম, তার সম্পর্কে যত বলব হয়তো কম হবে। আলহামদুলিল্লাহ একজন ভালো মানুষের সঙ্গ পেলাম। শুরু হলো নতুন জীবন। বরের চাকরি সূত্রে ঢাকায় শুরু করলাম নতুন সংসার । এরপর তার হাত ধরে পাড়ি জমালাম প্রবাসে। তিন বছর প্রবাস জীবন শেষ করে আবার ও নিজের মাতৃভূমিতে , আলহামদুলিল্লাহ।
👭দুইটা রাজকন্যার জননী কিন্তু আমি। জীবনের যত কষ্ট ছিল , পাশে থাকা মানুষ টি সব কিছুর উপর তার পরশ বুলিয়ে দিয়েছেন। আমার হ্যাসবেন্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। হয়ত ছোট্ট বেলার সেই কষ্টের ফল স্বরূপ আল্লাহ আমাকে এমন একজন মানুষের জীবন সঙ্গী হিসেবে পাঠিয়েছেন। দোয়া করি সব সময় ভালো থেকো। আল্লাহ তোমাকে নেক হায়াত দান করুন আমীন।
🟥 যে মহীয়সী নারীর জন্য জীবনের সব কষ্টের পরেও আজ এখানে দাঁড়িয়েছি তিনি হলেন আমার মা। দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার মা কে নেক হায়াত দান করেন আমীন।
🟥🟩🟥 #চাকরি ছেড়ে ব্যবসা
✍️২০১২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো একটা বিদ্যালয় পেয়েছিলাম। কলিগ হিসেবে পেয়েছিলাম ৩ জন্য শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কে। দীর্ঘ ৪০ বছর পর আমি ই ছিলাম সেই স্কুলের প্রথম মহিলা শিক্ষক। তাই ভালোবাসা এবং সম্মান দুইটাই ছিল অফুরন্ত।
২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে বিয়ে হয়, কাঙ্ক্ষিত সেই মানুষটির সাথে। মানুষটির সাথে নতুন জীবন নতুন ভাবে শুরু করব, সেই ইচ্ছা থেকেই নিমিষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম চাকরি টা এবার ছেড়ে দিব🥺।
❤️ আশেপাশের মানুষ গুলো সেদিন বলেছিলেন আমি নাকি পাগল হয়ে গেছি। তাই সোনার হরিণ ছেড়ে দিচ্ছি।
সাপোর্ট পেয়েছি আমার আম্মুর, সাপোর্ট ছিল শ্বশুর বাড়ির প্রতিটি মানুষের। সবচেয়ে বড় সাপোর্ট ছিল আমার হ্যাসবেন্ডের । শুধু একটা কথাই সেদিন সে বলেছিল তুমি ভালো থাকবা যেভাবে ঠিক সেটাই করো।
🧕 আজ বলব আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত ছিল আমার চাকরিটা ছেড়ে দেয়া। আলহামদুলিল্লাহ আজ আমি খুব ভালো আছি।
ঘরে বসে কিন্তু কখনো থাকি নাই। ঢাকায় এসে খুব নামকরা দুইটা প্রাইভেট ফার্মে জব করেছি, আলহামদুলিল্লাহ। তবে প্রথম সন্তানের মা হবার পর সেটার ও ইতি টেনেছিলাম। এরপর জীবনের অন্য গল্প শুরু।
ধীরে ধীরে একজন উদ্দ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখা শুরু ❤️
"জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর মতে- চাকরি করবনা, চাকরি দিব ইনশাআল্লাহ।"
🟥এবার তাহলে বলি কিভাবে একজন উদ্দ্যোক্তা হবার চিন্তা করলাম, শুরুটাই বা কিভাবে হলো-
✍️✍️২০১৮ সালে হ্যাসবেন্ডের চাকরি সূত্রে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমালাম। যেহেতু ডিপেন্ডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাওয়া তাই ওখানে গিয়ে চাকরি করার কোন সুযোগ ছিল না , তার উপর মেয়ে তখন খুব ছোট। খুব কাছের একজন মানুষের অনুপ্রেরণায় শুরু করলাম ভ্লগিং করা। একটা ইউটিউব চ্যানেল খুললাম এবং সেখানে ভিডিও আপলোড করা শুরু করলাম।
আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো ভাবে চলছিল দিন গুলো। আমি গল্পের শুরুতেও বলেছি, আমার হ্যাসবেন্ড খুব সাপোর্টিভ একজন মানুষ। তাই সব সময় তাকে পাশে পেয়েছি এবং পাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।
✅🪴 এবার ধরেই নিয়েছিলাম হয়তো ঘরে বসে ভ্লগিং করব এবং মন দিয়ে সংসার করব এটাই ঠিক আছে। তবে ভাগ্য হয়তো অন্যকিছুই ঠিক করে রেখেছিল। ভ্লগিং করি সাথে আমি খুব গোছানো একজন মানুষ। সাথে রান্না করতে ভালোবাসি সব সময়। তাই রান্না ঘরের একটু ভিন্ন ধরনের হাঁড়িপাতিল আমাকে সব সময় আকর্ষণ করত।
এটাই ছিল জীবনের টার্নিং পয়েন্ট, আলহামদুলিল্লাহ।
🌺❤️🌺 দীর্ঘ ২.৫ বছর ভ্লগিং এর সুবাদে দেশে এবং বিদেশে অনেক অনেক মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলাম আমি মেজবা জান্নাতি ❤️।
ঠিক সেই আস্হা এবং ভালোবাসায় হঠাৎ একটা দমকা হাওয়ায় শুরু করে দিলাম Rufaida Closet, হুম ঠিক শুনেছেন, আমার আরেক সন্তান আমার ভালোবাসার পেজ হচ্ছে Rufaida Closet.
রান্নাঘরের সেই ভিন্ন ধরনের হাঁড়িপাতিল নিয়ে যাত্রা শুরু হলো আমার উদ্দ্যোক্তা জীবনের।
✅🪴 এত সহজ ছিল না এই আঁকা বাঁকা পথ। মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল। সাথে ছিল ৬০ জন মানুষের প্রবল আস্হা এবং আমার প্রতি বিশ্বাস। আর ছিল আমার হ্যাসবেন্ডের অগাধ সাপোর্ট। তাই তো শুরু টা করতে পেরেছিলাম শূন্য হাতে।
✅ ঠিক শুনেছেন একদম শূন্য হাতে শুরু করেছিলাম Rufaida Closet.
মানুষের বিশ্বাস ছিল আমার উপর আর আমার বিশ্বাস ছিল নিজের উপর, তাই তো শুরু করতে পেরেছিলাম। প্রতি মূহুর্তে যে মানুষটি ছায়া হয়ে সাথে ছিল এবং আছেন তিনি হলেন আমার হ্যাসবেন্ড। আমি সত্যিই ভাগ্যবতী নারী, তাইতো এমন একজন মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।
✅🪴 আলহামদুলিল্লাহ আজ আমার Rufaida Closet হাজারো মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। শুধু দেশ নয় বিদেশেও আজ আমার Rufaida Closet এর পণ্য যায় আলহামদুলিল্লাহ।
জীবনের গল্প কখনো ই এত অল্প করে লিখা সম্ভব নয়। তারপর ও ক্ষুদ্র চেষ্টা।
🟥🟩 #বর্তমান
✍️✍️ আজ খুব ভালো আছি। একজন ভালো জীবন সঙ্গী পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু মিলিয়ে আজ অনেক অনেক সুখী মানুষ আমি। তবে আজো সেই একটি কষ্ট তাড়িয়ে বেড়ায়। চোখ বন্ধ করলেই দেখি বাবা ছাড়া শূন্য জীবন। এই ঘা তো শুকিয়ে যাবার নয় 😭।
জীবন হয়তো জীবনের মতো চলে যায়। দুঃখের পর সুখ ও আসে, কিন্তু সময় গুলো কতটা কঠিন হয় এটা হয়তো শুধু সেই পথিক ই জানে।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একজন ভালো মানুষ হিসেবে কাটাতে চাই।
🌺🛑🌺
#১৯ তম ব্যাচে রেজিস্ট্রেশন করেছি প্রিয় ফাউন্ডেশনে। নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করতেই যুক্ত হয়েছি প্রিয় ফাউন্ডেশনে। ভালো মানুষের সঙ্গে থেকে একজন ভালো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
❤️ভালোবাসার এই ফাউন্ডেশনের সকলের জন্য অবিরাম ভালোবাসা রইলো। জীবনের গল্প সেতো বহমান নদীর মতো। চলতেই থাকবে,,,,,,,,,
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৮৮৫
তারিখ ১২-১০-২০২২ইং
🪴✅🪴আমার পরিচয় -
🧕 মেজবা জান্নাতি
🟥বগুড়ার মেয়ে, বর্তমানে মিরপুর ১৫ নাম্বারে বাস করছি স্বপরিবারে ।
🟩ব্যাচঃ ১৯
🟥রেজিঃ ১০৭১৪৮
🟩আমি কাজ করছি রান্নাঘরের খুব প্রয়োজনীয় ও ব্যতিক্রমী পণ্য নিয়ে ।আমার সিগনেচার পণ্য কালো কড়াই। এছাড়া ও আছে মশলা বক্স, মশলা জার, Spatula set, মিনি চাপার, Dry cranberry, Boba pearl, Honeycomb Frypan পাওয়া যায়।
🧊 পেজ লিঙ্ক: https://www.facebook.com/RufaidaCloset/
#নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন