শুধু একটাই আফসোস, আগে কেন এই ফাউন্ডেশনের দেখা পেলাম না।
🌹আমার জীবনের গল্প🌹
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম।
প্রথমে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি জানাই লাখো কোটি দরুদ ও সালাম। বাবা-মা'র প্রতি অফুরন্ত সালাম ও কৃতজ্ঞতা।
এরপর শ্রদ্ধা, সালাম,ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই--- এ-যুগের লাখো তরুণের হৃদয়ের স্পন্দন, সাফল্যের স্বপ্নদ্রষ্টা, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্যে যিনি রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে।
👉পারিবারিক অবস্থানঃ
যশোর জেলার সদর উপজেলার,একটি নিভৃত গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম।পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আমি ছিলাম সবার ছোট, এবং সবার আদরের।
মা-বাবা এবং তিন ভাই, দুই বোন মিলে ছিল আমাদের পরিবার।
দাদা-দাদিকে কখনো চোখে দেখিনি, আমার জন্মের অনেক আগে দাদা-দাদি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান, তাই দাদা-দাদি'র আদর ভালোবাসা কেমন হয় কখনো বুঝতে পারনি।ছোট বেলায় যখন বারবার দাদা-দাদি সম্পর্কে জানতে চাইতাম তখন মা আমাকে দাদির কবর দেখিয়ে দিতেন, আমি কবরের কাছে গিয়ে নিজে নিজে দাদির সাথে কথা বলতাম।
আমাদের বাড়ি এবং নানাবাড়ি কাছাকাছি হওয়ায়, সেই সুবাদে ছোট বেলার খেলার সাথী ছিল মামাতো ভাই-বোনেরা, সুযোগ পেলেই মামা বাড়ি চলে যেতাম, মা যদি কোন প্রয়োজনেও পাঠাতেন, আমি ভুলে গিয়ে মামাতো ভাই-বোনেদের সাথে সারাদিন খেলা করতাম। এর জন্য মাঝে মাঝে বকাও খেতাম মা'য়ের।
❤️ ❤️আমার মা এর সম্পর্কে অল্প কিছু বলে শেষ করা যাবে না। আমি নিজেও একজন মা হয়ে এতটুকু বুঝতে পেরেছি, আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। "মা" আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি❤️❤️
❤️আমার বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কখনো অন্যের ক্ষতি হোক এমন কিছু করার চিন্তাও ককনও করতেন না, তবে নিজে ঠকেছেন অনেক বার। বাবা বাইরে থেকে বেশ রাগী সেই জন্য অন্য ভাই-বোনেরা কিছুটা ভয় করতেন , কড়া শাসনের মধ্যেই বড় হতে হয়েছে সবার। আমি জানি আমার বাবার ভিতরটা কতো নরম, কিন্তু প্রকাশ করতে পারতেন না। বাবারা হয়তো এমনই হয়।
তবে আমি সবার ছোট হওয়ায় তেমন ভয় পেতাম না, কারণ আমার উপর বাবা রাগ করতেন না। এখনও বাবা-মা আমাকে একটু বেশিই ভালোবাসেন।
👉শিক্ষা এবং দাম্পত্য-জীবনঃ
খুব ছোট থাকতে সুন্দর করে ছড়া এবং কবিতা মুখস্ত করতাম, আমার যতটুকু মনে পড়ে, অনেকেই ছোট বেলায় আমাকে আদর করে ধরে ছড়া শুনতে চাইতেন। ৫ বছর বয়সে আমার স্কুলে যাওয়া, ছোট থেকেই পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী এবং ভালো ছিলাম। সেই জন্য শিক্ষদের কাছেও অনেক আদরের প্রিয়পাত্র ছিলাম। ছোটবেলা থেকে সবার প্রশংসায় বড় হয়েছি এই জন্য হয়তো নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটাও একটু বেশি।
পঞ্চম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ভর্তি হই হাইস্কুলে, আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছু ভালো ভাবেই চলছিল, প্রত্যেক শ্রেণিতে ভালো ফলাফল করতাম, তারপর যখন নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপে দিশেহারা ছিলাম। ঠিক তখনই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করলাম।
উল্লেখ্য, গ্রামে ভালো কোন শিক্ষক ছিল না, যিনি সব গুলো বিষয় ভালো করে বুঝিয়ে পড়াবেন। প্রাইভেট পড়তে ৪-৫ কিলো দূরে যেতে হতো।
এমনিতেই নিজে হতাশায় ভুগছিলাম পড়াশোনা নিয়ে। তার উপর পরিবারের অতিরিক্ত শাসনে আমি অনেকটা দিশেহারা অবস্থা! সবদিক সামলিয়ে চলতে হিমসিম খাচ্ছি ঠিক,সেই সময় আল্লহর রহমতে এমন একজনকে পেলাম, যিনি আমার একদিকে পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন, অপরদিকে, যার সাথে আমি বাকী জীবন ভালোভাবে কাটাতে পারবো,এমনটা মনে হয়েছে আমার।
👉সত্যি, মাত্র ১৬ বছর বয়সে নেওয়া সিদ্ধান্তটা মহান আল্লাহতায়ালা কবুল করেছেন। এই বয়সে অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। যাকে আমি চিনি না, কখনো দেখিনি, শুধু তারসাথে কথা হয়েছিল, তাকেই আমার কেন জানি সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে হয়েছিল।
২০০৬ সালে এস, এস, সি পরীক্ষার পর , অনেক ঝড় ঝাপটা শেষ করে দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিবাহ সম্পূর্ণ হয়।শ্বশুর বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে। তারপর শুরু নতুন প্রতিকূলতার মুখোমুখি টিকে থাকার যুদ্ধ। তবে যুদ্ধটা নিজের সাথে, নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার যুদ্ধ। বিয়ের পর নতুন পরিবেশ, ভাষা, সংস্কৃতি সবকিছু আমার জন্য অভিজ্ঞতা। (উল্লেখ,আমার স্বামী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত আছেন। চাকুরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেছি, বর্তমানে ৭ বছর যাবৎ রাজশাহী শহরে আছি এখানেই আমার দুই ছেলে পড়াশোনা করে)
👉এই অভিজ্ঞতা প্রায় প্রতিটি মেয়ের জীবনেই ঘটে থাকে। তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিজ গোত্রের, নিজ অঞ্চলের মধ্যে বিবাহকে বেশি সমর্থন করি।
সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, আমার স্বামী বিয়ের ছুটি শেষ করে চাকরিতে জয়েন্ট করলেন, আমি থাকলাম ঈশ্বরদীতে শ্বশুর বাড়িতে।পরিবারের সবাইকে অনেক মিস করতাম, কিন্তু খুবই ব্যস্ত সময় পার করেছি সংসারের কাজ শেখা আর দায়িত্ব নেওয়া। আমি ছিলাম বাড়ির বড় বউ। অনেক দায়িত্ব, যে মেয়ে কিনা বিয়ের আগে নিজের চুলে শ্যাম্পু পর্যন্ত করতে পারতো না একা। সে এখন বাড়ির বড় বউ, মানে সবকিছু তার উপর। তবে এগুলো আমি নিয়েছিলাম চ্যালেন্স হিসেবে। আমাকে পারতেই হবে।
পরীক্ষার রেজাল্ট হলো, সময় এলো কলেজে ভর্তি হওয়ার, আমি ঈশ্বরদীর একটি ভালো কলেজে ভর্তি হলাম, তারপর ক্লাস শুরু করার আগেই আমাকে আমার স্বামীর কাছে নিয়ে গেলেন। খাগড়াছড়িতে ৩ মাস ছিলাম, নতুন জায়গা, পাহাড়ি এলাকা ঘুরে দেখতে অনেক ভালো লাগছে, খুব সুন্দর কিছু সময় কেটেছে আমাদের পাহাড়ে। তারপরও আমি ক্লাস করতে পারচ্ছি না, পড়াশোনাটা হয় তো আর হবে না এটা ভেবে আমি স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। আমার মনে সবসময় একটা জিদ কাজ করতো,তা হলো,চাকরি করি আর নাই করি,আমাকে লেখাপড়া করতেই হবে। আর এই জিদটাই আমাকে শেষ পর্যন্ত মাষ্টারস পাস করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
তারপর আবার ফিরে আসি ঈশ্বরদীতে। এসে সংসারের কাজের পাশাপাশি পড়াশোনায় মনোযোগ দিই। এভাবেই অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিই এবং ভালো রেজাল্ট করি, আলহামদুলিল্লাহ। ততদিনে আমি আমি প্রথম সন্তানের মা হতে চলেছি।
২০০৮ সালের ১০ ডিসেম্বর আমার বড় ছেলের জন্ম।
জন্মের পর থেকেই খুব বেশি অসুস্থ থাকতো ছেলেটা, বড় ছেলের বয়স তিন বছর তখন আমার ছোট ছেলের জন্ম, আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমানে দুই সন্তানের জননী।
অনেক কষ্টে ছোট ছোট দুই টা বাচ্চাকে নিয়ে আমার সাংসারিক কাজের পাশাপাশি রাতে বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে নিজের পড়াশোনাটা চালিয়ে গেছি।
আলহামদুলিল্লাহ, ২০১৫ সালে যশোর এমএম কলেজ থেকে আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পূর্ণ করি। আমার একটাই লক্ষ্য ছিল নিজে কিছু করবো, এতো কাজের মধ্যেও নিজেকে বেকার বেকার মতো হতো।
কোথায়ও যেন মনে হতো, আমিতো কিছুই করছি না, আমার মেধা মননশীলতাকে কোন কাজে লাগাচ্ছি না, তারপর শুরু চাকরির প্রস্তুতির জন্য পড়াশোনা। কঠিন একাগ্রতার সাথে চেষ্টা করছি, কিছু করার জন্য, ঠিক সেই মূহুর্তে আমার ছোট ছেলে প্রচন্ডভাবে অসুস্থ। ছেলে সুস্থ হয়ে না উঠতেই আমার হাসবেন্ড অসুস্থ। আমি তখন সবকিছু বাদ দিয়ে স্বামী আর সন্তানের সেবায় মনোযোগ দিলাম।পড়া করতেই হবে। আর এই জিদটাই আমাকে শেষ পর্যন্ত মাষ্টারস পাস করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
👉দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস পরে আল্লাহর রহমতে ছেলে এবং স্বামী সুস্থ হয়ে উঠলেন। এর মধ্যে আমার চাকরির পরীক্ষার এডমিট হাতে আসে, আমার মনে আছে সেদিনের কথা, আমার দুচোখ জলে ভেসে যাচ্ছিল আর আমি আমার আবেদনের কপিগুলো ছিঁড়ে ফেলেছিলাম। সেদিন থেকে মনে মনে সংকল্প করেছিলাম আগে আমার সন্তান কারণ আল্লাহ আমার সন্তানের দায়িত্ব আমার উপর দিয়েছেন।
আমাদের অনেক কর্মজীবী মা আছেন, তারা আসলেই অনেক কষ্ট করে ঘর বাহির দুই দিক সামলিয়ে চলছেন। আমার পক্ষ থেকে তাদেরকে অনেক অনেক সালাম এবং শ্রদ্ধা।
👉তারপর কেটে গেল বেশ কয়েকটি বছর, আমি হারিয়ে গেলাম আমার সংসার এবং ছেলেদের বড় করার মাঝে। আমার অস্তিত্ব শুধু ছিল আলিফ-জিসানের আম্মু। আমজাদ ভাইয়ের বউ হিসেবে।
বাবার বাড়িতে না গেলে হয়তো নিজের নামও ভুলে যেতাম। কারণ, স্বামীর চাকরি সূত্রে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেছি সেখানে সবাই ভাবী বলে ডাকতেন অথবা আলিফের আম্মু।
শ্বশুর বাড়ির প্রিয় বউ, প্রিয় ভাবী,প্রিয় মামি, প্রিয় চাচি, স্বামীর কাছে প্রিয়তম স্ত্রী সবকিছুই ঠিক ছিল আলহামদুলিল্লাহ। শুধু নিজের মাঝে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না, এই আকুতি নিয়ে কাটছিলো আমার জীবন।
👉প্রিয় ফাউন্ডেশনের দেখা,,,,
সারাবিশ্ব যখন নতুন এক মহামারীতে থমকে গেছে ঠিক তখন আমি নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। আমার সময় যেন শেষ হচ্ছিল না, অলস সময়ে ফেসবুক, ইউটিউব ভিডিও দেখে সময় কাটতো, তখন চোখে পড়তো গ্রুপের পোস্টগুলো। পোস্ট পড়ে, ঘরে বসে অনলাইনে যে কিছু করা যায়, এবং সেটা সফলভাবে অনেকেই করছেন দেখে নিজে নিজে অনুপ্রাণীত হয়েছি। তখনো আমি ফাউন্ডেশনে রেজিষ্ট্রেশন করা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
এভাবেই শুরু করলাম আমার উদ্যোগ, আমি প্রথমে কিছু থ্রীপিচ দিয়ে শুরু, তারপর শাড়ি, পাঞ্জাবি, আর কিছু সিজনাল খাদ্য পণ্য নিয়ে। আমার ছোট ছেলের নামে নাম দিলাম "জিসান ফ্যাশান"। আলহামদুলিল্লাহ, এগিয়ে যাচ্ছে আমার উদ্যোগ। সফলতায় কোন তাড়াহুড়া নেই,, তারপর আস্তে আস্তে অনেকের সাথে পরিচয় হলো।
👉একদিন একটা মেলাতে দেখা হয়েছিল আমাদের রাজশাহীর জেলা প্রতিনিধি মোঃ কাউসার আলী ভাইয়ের সাথে, তখন জানতে পারি আমাদের রাজশাহী জেলা টিমের কথা, সেশন চর্চা ক্লাসের কথা। সাথে সাথে যুক্ত হয়ে গেলাম জেলা ম্যাসেনজার গ্রুপে,, তারপর থেকে একটানা ৯০ দিন, ৯০ টা সেশন চর্চা ক্লাস করেছি আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিটি মিটআপে অংশ গ্রহণ করেছি, রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলনে আমি স্টল নিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ।
স্যারের সেশন পড়ে অনেক অনেক কিছু নতুন করে জানতে এবং শিখতে পাচ্ছি, মানবিক মানুষ হিসেবে কাজ করার আগ্রহ থেকে রাজশাহী ব্লাড ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রধান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি, সবাইকে সাথে নিয়ে।
👉"নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে "না আসলে হয়তো অনেক কিছু অজানাই থেকে যেত।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং দোয়া স্যারের প্রতি। এমন চমৎকার একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করার জন্য।
আমরা রাজশাহী জেলা টিমের দায়িত্বশীল এবং আজীবন সদস্য সবাই একহয়ে কাজ করছি, একে অপরের সহযোগী হয়ে ঠিক যেন আমাদের দ্বিতীয় পরিবার মনে করে।
ফাউন্ডেশন থেকে সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে, নিজের পরিচয়, নিজেকে নিয়ে কিছু করার সুযোগ, নিজের নামের বর্হিপ্রকাশ।
👉জোছনা আপু হিসেবে আপনারা আমাকে চিনেন বা চিনবেন এটাই আমার কাছে অনেক ❤️
শুধু একটাই আফসোস, আগে কেন এই ফাউন্ডেশনের দেখা পেলাম না।
সবশেষে সবার প্রিয় স্যারের মূল্যবান বাক্য দিয়ে শেষ করছি।
" স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন, লেগে থাকুন, সাফল্য আসবেই - বাণীতে প্রিয় স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ।
"নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন"
আমার লেখার মধ্যে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।
🤚আমি জোছনা খাতুন। রাজশাহী থেকে কাজ করছি রাজশাহী সিল্কের শাড়ি,সব ধরনের থ্রি পিস, এক কালার পান্জাবি, খাঁটি নারকেল তেল, খাঁটি খেজুরের গুড় এবং পাবনার গাওয়া ঘি নিয়ে।
পেজঃ জিসান ফ্যাশান
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৮৮
তারিখ ২০-১০-২০২২ইং
নামঃ জোছনা খাতুন
ব্যাচ নম্বরঃ ১৬
রেজিষ্ট্রেশন নম্বরঃ ৮১৬৩০
জেলাঃ রাজশাহী
থানাঃ রাজপাড়া
ব্লাড ম্যানেজমেন্ট টিম প্রধান রাজশাহী জেলা।