কথাটি শুনে কৌতুহল জাগলো। কি ধরনের ভিন্ন?
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম
--------------শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অসিম দয়ালু--------------
____কেমন আছেন প্রিয় ফাউন্ডেশনের ভাই ও বোনেরা আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি।
🔰 স্বপ্ন ভাঙার গল্প 🔰
👉 আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার জীবনে ঘটে যাওয়া হাঁসি-কান্না এবং আনন্দ-বেদনার কিছু স্মৃতি বা ঘটনা প্রবাহ। আশা করি সবাই ধৈর্য্য সহকারে আমার জীবনের ঘটনাটি পড়বেন। এটা ঠিক গল্প নয় আমার জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে কিছু স্মৃতিবিজড়ীত কথামালা।
💚 💚_💚________ প্রথমে শুরু করছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নামে যিনি সৃষ্টিজগতের প্রতিপালক। যার দয়ায় এবং কৃপায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়েছি এবং লাখো কোটি দুরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি সৃষ্টির স্রেষ্ঠ মহামানব, নবীকুলের শিরোমনি, আমার নবী-আপনার নবী, দু”জাহানের বাদশা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর প্রতি ।
💚 💚 💚______কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার পরম শ্রদ্ধেয় মা ও বাবার প্রতি, যাদের উচিলায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে এই পৃথিবীতে এনেছেন। স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে লালন পালন করেছেন নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে এবং শিক্ষিত করে পৃথিবীর বুকে বড় করে তুলেছেন। 💚 💚 💚 _________________ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই শতাব্দীর অন্যতম সেরা মানুষ, লাখো তরুণ-তরুণীর আইডল প্রিয় মেন্টর, প্রিয় শিক্ষক জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের মতো একটা সুবিশাল প্লাটফর্ম । 🌹 🌹 🌹 ________________ আমার ছেলেবেলাঃ
একটি সম্ভ্রান্ত ইসলামিক পরিবারে ১৯৯০ সালের ৫ মে আমার জন্ম। পাবনা জেলার বেড়া উপজেলায়। আমার বাবা, মৃত আবুল হোসেন একজন সফল ব্যবসায়ি ও ভাল মানুষ ছিলেন। –মা ছিলেন গৃহীনি। আমি এস এম ওবায়দুল্লাহ তারেক সহ পরিবারে আমাদের ১০ ভাই বোনের বসবাস।
🌹 🌹 🌹 ________________ শিক্ষা জীবনঃ
২০১০ সালে এস এস সি ২০১৫ সালে এইচ এস সি, ও বর্তমান উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রাম সিটি কলেজ এ ডিগ্রিতে অধ্যায়নরত আছি। 🌹 🌹 🌹 ________________
দুঃক্ষ বেদনার দিন গুলোঃ
১৯৯৮ সাল আমার স্পষ্ট মনে আছে ভয়ানক বন্যা ও নদী ভাঙুনে বিলিন হয়ে যায় অনেক পরিবার। সে বছর নিঃস্ব হয়ে যায় আমাদের সুখের সংশার । নদীর তীব্র ভাঙন কি ভাবে গ্রাস করে মানুষের ভাগ্য তা নিজ চোখেই দেখেছিলাম সেদিন। সেই মহা সংকটের সময় মারা যান আমাদের পরিবারের বটবৃক্ষের মত ছায়া দানকারী আমার শ্রদ্ধেয় বাবা। বাবা সহ ঐ বছর হারালাম, মাঠে থাকা সব জমি,বাজারে থাকা ৪ টি দোকান, বাড়ীতে থাকা তাত কারখানা, ও ঘরবাড়ী। সব হারিয়ে 🌻 মা 🌻 যেন পাগল প্রায়। জীবিকার তাগিদে বড় ৪ ভাই চলে গেলেন ঢাকায়। সারাদেশে ভয়ানক বন্যার কারনে কোন কাজ পাচ্ছিলেন না তারা। সৌভাগ্যক্রমে তিন বোনের বিবাহ হয়েগিয়েছিল আগেই। এখন ঘরবাড়ী শুন্য মা ও আমরা ৩ ভাই বোন পরে রইলাম গ্রামে। অনেকের কাছেই অস্থায়ী আশ্রয় চেয়েও কারো কাছে আশ্রয় পাইনি আমরা। তবে কাওকে দায়ি করার কিছু নেই কারন বন্যা ও নদী ভাঙুনের কবলে পরে অধিকাংশ পরিবারই ছিল অভাব গ্রস্থ। তাই আমার মা চলে গেলেন পাশের গ্রামে তার বাবার বাড়ী, আমার এক মাত্র মামা অনেকটাই ধনী ছিলেন। মামাকে সব খুলে বললেন আমার মা। কিন্তু কি যেনো ভেবে মামা অস্থায়ী ভাবেও কোনো আশ্রয় দিলেন না আমাদের। অত্যান্ত ভরাক্লান্ত মনে মা আমাদের ৩ ভাই বোনকে নিয়ে আমাদের নিজ গ্রামের দিকে রওয়ানা হলেন। আমি মায়ের পিছন পিছন হাটতেছিলাম আর ভাবছিলাম মানুষের আত্নীয়-স্বজন থেকে লাভ কি? এই মহা বিপদে কেউ আমাদের পাসে দারালোনা? হঠাৎ পথিমধ্যে দেখা হয় আমার চাচাতো ভাইয়ের মামার সাথে। সব কথা তাকে খুলে বললো আমার মা। আমাদের মলিন মুখ এবং সবকিছু শুনার পর, তিনি তার পরিত্যাক্ত একটি জমিতে আমাদের আশ্রয় দিলেন। সেখানে থাকার মত করে আমি নিজ হাতে একটা ঘর তৈরি করে ৩ ভাই বোন ও আমার মা থাকতে শুরু করলাম। আমি ৯/১০ বছর বয়সে লোকের জমিতে কাজ করতাম। রাজ মিস্তিরির সাথে কাজ করে লেখাপড়া ও সংসার চালিয়েছি। দেখতে দেখতে ৩ বছর কেটে গেলো। এর মধ্য আমার বড় ভাই গুলোর সাথে যোগাযোগ হয়েছে, কিন্তু তাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে তারাই চলতে পারেনা। আমার ৪ নং ভাই সে আবার আমাদের সাথে থেকে হেল্প করতো। হঠাৎ একদিন আমার মায়ের চাচাতো ভাই এসে আমার মা কে বললো আপা আমি একটু যায়গা বিক্রি করতে চাই , তোদের তো বাড়ীঘর নেই তাই অল্প টাকায় জায়গাটা পেয়ে যাবে, পরের জায়গায় আর কতোদিন থাকবে। তোমরা তো একসময় ধনী ছিলে।মা কথাটি সুনে আমাকে জানালেন। সরল মনে ৭০ হাজার টাকায় ১০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করলাম ২০০২ সালে । ছোট্ট একটি ঘরতুলে সেখানে বসবাস করতে শুরু করলাম । যৌতুকহীন বিয়ে হয়ে গেল আমার আপুর। সুখেই কাটছিলো বর্তমান দিন গুলো । কিন্তু এতো মিষ্টি করে কথা বলে এতোবড় জালিয়াতী করলো আমার মামা। ভাবতেই চোখে জল চলে আসে।২০২২ সালে আমার মায়ের চাচাতো ভাই এসে বললো, তোমরা যে জায়গায় বাড়ি করেছো সে জয়গাটার ঝামেলা ছিল। তাই এখন আমি যায়গাটা টাকা খরচ করে সব জামেলা ক্লিয়ার করেছি, আর এখন এই জায়গা আমার। তাই তোমরা আমার যায়গা ছেড়ে দাও নয়তো বা ১০ লাখ টাকা দিয়ে পুনরায় রেজিস্টারি করে নাও। আমাদের মাথায় যেন আবার আকাশ ভেঙে পড়লো। মা এবং পরিবারের বাকিদের সাথে কথা বলে, খোজ-খবর নিয়ে দেখি সত্যই আমরা প্রতারিত হয়েছি নিজেদের অসাবধানতা এবং মানুষের মুখের কথা বিশ্বাস করার জন্য। এখন এতো টাকা কোথায় পাবো? কিন্তু ১২ তম ব্যাচে যে দিন রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম সে দিন একটা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমি নিজের মতো একটা গলৃপ তৈরি করবো। আমার নিজের একটা ব্যবসা থাকবে যার মাধ্যমে সবাই আমাকে চিনবে।স্বপ্ন পূরণের জন্য একটু একটু করে টাকা জমাতে শুরু করলাম। ভাগ্যর নির্মম পরিহাস, তিল তিল করে ৯ লাখ টাকা জমিয়েছিলাম ব্যবসা করবো বলে। কিন্তু পুনরায় আবার ঐ জায়গা ক্রয় করতে ১০ লাখ টাকা চলে গেলো ব্যবসা শুরু করা আর হলো না। আবারও একটা স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো। আপন মানুষগুলো এভাবে বুকে ছুরি মারতে পারে ভাবতেও অবাক লাগে। একটা সময় আমি একেবারে ভেঙে পরেছিলাম। কিন্তু এটাই আমার মুল শক্তি যে,আমি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন আজীবন গর্ভিত সদস্য। তাই সবার প্রিয় জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে জানাই অন্তরের অন্তস্তল থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। সেই সাথে ধন্যবাদ যানাই প্রিয়, Mahfujur Rahman Sujan ভাই, ও প্রিয় Bithi Hossain আপুকে। যারা আমার এই দুঃসময়ে আমার পাসে থেকে সাহস জুগিয়েছেন।
🌹 🌹 _______যে ভাবে যুক্ত হলাম প্রিয় প্লাটফর্মের সাথে ,,,,,, 🌹🌹
আমার খুব নেসা ছিল এফ এম রেডিওতে জীবনের গল্প শুনার। কোন একদিন রাতে হটাৎ আর জে কিবরিয়া ভাই বলছেন আজ এমন একজন মানুষের গল্প সুনাবো যে মানুষটি পৃথিবীর সবচেয়ে ভিন্ন ধরনের একজন মানুষ । কথাটি শুনে কৌতুহল জাগলো। কি ধরনের ভিন্ন? ধর্য্য ধরে শুনতে লাগলাম। যতই শুনছিলাম ততই যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম তার কথার মাঝে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো ঘটনা শুনে,স্যারকে ভেবে ভেবে সারারাত যেগে ছিলাম একটুও ঘুমোতে পারিনি সে রাতে। সেই রাত থেকে আমার জীবনের এক নতুন অধ্যয় শুরু হলো। পাগলের মতো চেষ্টা করলাম, রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য। কিন্তু কিছুতেই পারছিলাম না। ৭ম থেকে ১১ তম ব্যাচ পর্যন্ত শুধু চেষ্টাই করে গেলাম কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন করতে পারলাম না। ১২ তম ব্যাচে এসে ইউটিউব দেখে দেখে রেজিষ্ট্রেশন করতে সক্ষম হলাম।
🌹🌹,,,,,আমার সপ্ন🌹🌹
একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবন গঠন করবো। চাকরি নয় ব্যবসা করবো। মানুষের সেবা করবো। নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে যা কিছু শিখেছি সারাজীবন হৃদয়ে ধারন করে বাকী জীবন পার করবো। ইনশাআল্লাহ!
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৮৮
তারিখ ২০-১০-২০২২ইং
🌷🌷শুভেচ্ছান্তে🌷🌷
⚜️ নামঃ এস এম ওবায়দুল্লাহ তারেক
⚜️ ব্যাচঃ ১২
⚜️ রেজিষ্ট্রেশন নং ৪০০৯৬
⚜️ নিজ জেলাঃ পাবনা।
🌹 যুক্ত আছি সবার সেরা চট্রগ্রাম পতেঙ্গা জোনের সাথে।🌹