অবশেষে আমি একটি কথা বলতে চাই,,,,,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
আসসালামুয়ালাকুম
💖আপনারা দয়া করে আমার জীবনের গল্পটা একটু পড়ে যাবেন 💝
*******💖আমি প্রথমে সালাম জানাই এই ফাইন্ডেশনের মেন্টর ভাল মানুষ গড়ার কারিগর আমার প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবল বাহার জাহিদ স্যারকে। 💖
💖***তার পর সলাম জানাই এই ফাইন্ডশনের যারা যুক্ত আছেন তাদের কে।
💖**** নিজের জীবনের গল্প ****💖
আমি জন্ম গ্রহন করি ১৯৯১ সালের ১৪ নভেম্ববর, রোজ. বৃহস্পতিবার আমার মায়ের কোল জুড়ে আসি। আমি জন্ম গ্রহণ করি নানার বাড়িতে। 😭আমার বয়স যখন তিন বছর আমার বাবা আমার মাকে ডিভোর্স দেন।😭 তারপর আমার নানার বাড়িতে আমি বড় হয়। আমি জন্মের পর আমার বাবার আদর স্নেহ পায় নাই।😭বাবা বেঁচে আছে তার পর যখন বাবার স্নেহ না পায়া যায় এর মত কষ্ট এই পৃথিবীতে নাই।😭
তার পর ধীরে ধীরে আমি বড় হতে থাকি। নানার বাড়ির অবস্থা বেশি ভালছিল না।😭আমার বাবা আমার আর খোজ খবর নেন না। আমার মা আমাকে মানুষ করার জন্য খুবই কষ্ট করছে জীবনে অনেক।😭 নানার বাড়ি থেকে মানুষ হবার মত কষ্ট আর কিছু হয় না। একটি কথা না বললে নয়,
😭😭 আমি যখন বড় হয় তখন আমার মায়ের মুখে আমি শুনছি, আমি যখন আমার মায়ের পেটে ছিলাম আমার বাবা আমার মাকে ডাক্তার দেখাবার নাম করে নাকি হাসপাতালে নিয়ে যায় বাচ্চা নষ্ট করে দেবার জন্য এই কথা গোপনে ডাক্তার আমার মাকে বলে, সাথে আমার খালা আম্মা ও ছিল ওনার সাথে ।😭
😭😭 আমার খালা আম্মা আর আমার মা ডাক্তারের পা ধরে কাদতে কাদতে নাকি বলে ছিল ডাক্তার সাহেব আপনি যেন এটা করেন না, আর ওই দিন আমার বড় খালা আম্মা আমার বাবাকে বলে ছিল এই বাচ্চা মানুষ করার দায়িত্ব আমার তোমার মানুষ করা লাগবে না তাই বলে বাচ্চা নষ্ট করা যাবে না, তাই ওই হাসপাতালে ঝামেলা করে আমার বাবা রাগ করে চলে যান আর ওই কারনে নাকি আমার বাবা আমার মাকে ডিভোর্স দিয়ে ছিলেন।😭😭
**😭***আমার শৈশব কাল******😭
নানার বাড়ি আমার শৈশব কাল কাটে, বাবা না থাকলে তো বুঝতে পারছেন জীবন কেমন কাটে। খুবই কষ্ট করে আমার মা আমাকে মানুষ করছে।
*💖***** আমার ছাত্র জীবন *******💖
++++++******প্রাথমিক শিক্ষা শুরু********
আমার মা আমাকে আমার গ্রামের স্কুলে ভর্তি কে করে দেন
উভাকুড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রীণিতে, তার পর আমার স্কুল জীবন শুরু হয়।😭আমার নানাদের আর্থিক অবস্থা বেশি ভাল ছিল না তাই ওই সময় একটা প্রাইভেট টিচারের বেতন ৩০ টাকা ছিল তাই পাঁচ ছয় মাস বেতন বাকি পড়ে যেত এত কস্ট ছিল আমার।
****🥰** মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু*******🥰
প্রাইমারি শিক্ষা শেষ করে আমার মা আমাকে মৌতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন। আমি ছাত্র হিসাবে মোটামোটি ভাল ছিলাম। 😭আমি জীবনে অনেক দিন না খেয়ে স্কুলে গিয়েছি।
😭😭তিন টাকার একটি কলম কেনার জন্য আমার অনেক তারিখ কেঁদে কেঁদে নিতে হয়েছিল। আমার মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন খুব কষ্টে শেষ করি। আমি ২০০৯ সালে এসএসসি মানবিক বিভাগ থেকে পাশ করি। রেজাল্ট করি ৪.০০💖
💖******কলেজ জীবন******❤️
দক্ষিণ শ্রীপুর কুশলিয়া স্কুল & কলেজে ভর্তি হয়। খুবই কষ্ট করে আমি এইচ.এস. সি শেষ করি ২০১১ সালে। রেজাল্ট ৪.২০, মানবিক বিভাগ থেকে ।
💖**** বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ****** 💖
এখানে এসে আবার আমার জীবনের মোড় টা ঘুরে যায়, আমার যারা বন্ধু ছিল সবাই HSC পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা বা খুলনাতে কোচিং করতে যায়,😭 আর আমি টাকার জন্য কোথায় কোচিং করতে পারি নাই ,আমার বন্ধুরা আমার থেকে রেজাল্ট খারাপ ছিল তারা সবাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে গেল। আর আমি একটা জাতীয়বিশ্ববিদ্যালের একটি ভর্তি গাইড কিনে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাসে চান্স পায়। আর ওই বিষয়ে ওই কলেজে ভর্তি হয়ে যায়। ২০১৭ সালে আমার অনার্স শেষ হয়। ২০১৮ সালে আমি মাস্টার্স শেষ করি।
*****সরকারি চাকরির চেষ্টা *******
২০১৯,২০২০ সালে সরকারি চাকিরর জন্য পরীক্ষা দেয় বিভিন্ন যায়গায়। যখন ভাল একটা প্রস্ততি নিলাম তখন করোনা মহামারি শুরু হলো। ২০২১,২০২২ সালে ছিল আমার বয়স ২৯,৩০ বছর। আর বয়স বাড়ালো না।
😭😭 দুই বছর পরীক্ষা হলো না, আমার জীবনের খুব ক্ষতি হয়ে গেল।😭 আমার সরকারি চাকরির আশা শেষ হয়ে গেল।
****** আর এক দুঃকের ঘটনা ঘটে আমার জীবনে ***** *******
২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে আমার এক আত্মীয়র সাথে একটি সরকারি চাকরির জন্য যোগাযোগ করি, তার জন্য আমার নানা ২৫ কাটা জমি বিক্রয় করে দেয়। কিন্তু চাকরিটা হয় নাই। পরে খোজ নিয়ে দেখি ওনি কোনো যোগাযোগ করেন নি , আমাদের টাকা নিয়ে ওনি বাড়ি সহ একটা জমি কিনছে। ওই জমি টা আমার নানা আমাকে দিয়ে ছিল। ওই জমিটাতে বছরে ৩০ বস্তা করে ধান হত।
ওই ফসল দিয়ে আমাদের সংসার চলত। দ্রুত টাকার জন্য জমি টা ৪,৫ লক্ষ টাকা লস খেয়ে জমি বিক্রয় করছিলাম।
এই টাকাটা খুব কষ্ট করে ফিরে পাইছি। তাই এখন নিয়াত করছি ওই টাকা আর কারোর হাতে দেব না। ওটা দিয়ে ব্যবসা করতে চায়
💖****** কিভাবে এই ফাইন্ডশনে যুক্ত হয় ****💖
আমার এক কাছের ভাইয়ের মাধ্যমে এই ফাইন্ডেশনে যুক্ত হয় ।
💖**** যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করি*******❤️
সাতক্ষীরা জেলার এই গ্রুপের সদস্য বদরুজ্জামান ভাই সাথে রুবেল ভাইয়ের সহযোগিতায়, অবশেষে আমার শ্রদ্ধের আপু জান্নাতুল মায়া আপুর দ্বারা রেজিষ্ট্রেশন করি।
💖****অবশেষে আমি একটি কথা বলতে চাই, এই ফাইন্ডেশনের মেন্টর জনাব ইকবল বাহার জাহিদ স্যার সহ আপনারা যারা এই ফাইন্ডেশনে যুক্ত আছেন আপনারা দয়া করে, আমার পাশে আপনারা থাকবেন, এটা আপনাদের কাছে আমার বড় চাওয়া।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৮৮
তারিখ ২০-১০-২০২২ইং
ধন্যবাদান্তে,
মো.আলমগীর হোসেন
ব্যাচ নং-১৭
রেজিষ্ট্রেশন নং-৮৭৪১৭
নিজ জেলা-সাতক্ষীরা