নিজেকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার....
জীবনের গল্প.....
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো,,,,,,,,,,,,,,,
আসসালামু আলাইকুম
সকল প্রসংশা মহান রব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে এবং একটি সুস্থ জীবন দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ ।
দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি।
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রিয় বাবা-মাকে। যাদের উছিলায় সুন্দর এই পৃথিবীতে এসেছি। বড় হয়েছি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়। যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর , শ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক, শিক্ষক, লক্ষ তরুণ-তরুনীর স্বপ্নদ্রষ্টা , পথহারা বেকারদের পথের দিশারি জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে ভালোবাসার প্লাটফর্ম "নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন" তৈরি হয়েছে।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি প্রিয় #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প প্লাটফর্মের সকল দায়িত্বশীল ও আজীবন সদস্য ভাইবোনদের প্রতি। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
---------- ----------
জীবনের গল্পঃ
জীবন জীবনের মতই, আমরা চাইলেই কেউ গল্পটা পরিবর্তন করতে পারবোনা। দুঃখ -সুখ জীবনের অংশ। হাঁসি -কানা, আনন্দ - বেদনা, পাওয়া -নাপাওয়া এসব নিয়েই মানুষের জীবন
২০০০ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকার কেরানিগন্জ থানার জাজিরা নামক গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে বাবা মায়ের প্রথম এবং একমাত্র সন্তান হিসেবে আমার জন্ম। প্রথম সন্তান হিসেবে আমি অনেক আদরের ছিলাম ।দাদা,দাদি,বাবা-মা আর আমাকে নিয়ে ছিল আমাদের ছোট পরিবার । আমার বাবা ছিল দাদা-দাদির একমাত্র ছেলে । আমার বাবা ছিলেন একজন বোট চালক এবং অনেক সংগ্রাম করে সংসার চালাতেন এবং মা সংসারটাকে সুখী করে রাখতেন । বেশ ভালোই চলছিল ,,,
,কিন্তু হঠাৎ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ২০০৩ সালে ডাকাতরা আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়।
দুইদিন পর নদীর পাড়ে লাশ পাওয়া যায়,, তারপর ঢাকা জাজিরাতেই দাফন করা হয়। এরপর আমাদের পরিবারে নামে শোকের ছায়া,, দাদা দাদী তাদের এক মাত্র ছেলেকে হারিয়ে প্রায় পাগল হয়ে গেছে,,। আমিও তখন ছোট আমার কি হবে আমার মায়ের কি হবে এই টেনশন সব দাদার মাথায়,,,,। তারপর দাদা সিদ্ধান্ত নিলো আমার মাকে তার আপন ভাগ্নের সাথে বিবাহ দিবে,,। এবং আরো সিদ্ধান্ত নিলো দাদার ভাগ্নে আমাদের বাড়িতে ই থাকবে,,, কারণ আমার দাদার আর কোনো ছেলে নাই,,।, এবং আমিও আমার মায়ের কাছে থাকতে পারবো,,,। এই সিদ্ধান্ত আমার মা এবং দাদার ভাগ্নে এবং আমাদের আত্মীয়স্বজন সবাই মেনে নিয়েছে,,,। তারপর আমার মায়ের সাথে দাদার ভাগ্নের সাথে বিবাহ হয় আমার চাচা হয়ে গেল বাবা,,,।
তারপর মা চলে গেল আমাদের গ্রামের বাড়িতে আমি থাকলাম দাদা দাদীর সাথে ঢাকায়,,, শুরু হয়ে গেল দাদা দাদীর কষ্ট,,,,,তার কিছুদিন পরে আমিও গেলাম মায়ের কাছে মাকে ছাড়া থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল কারণ তখন আমি ছোট ছিলাম,,,। কয়দিন মায়ের কাছে থাকতাম আবার কেউ ঢাকা গেলে তার সাথে দাদা দাদীর কাছে যাইতাম,,, এভাবেই কাটে কয়েক বছর,,,,। তারপর দাদা আমাকে জাজিরাতে স্কুল এ ভর্তি করে দেয় কয় মাস পড়ার পর চলে গেলাম মায়ের কাছে,, মা ভর্তি করে দিলো গ্রামের স্কুল এ,,,
এই শুরু হলো আমার পড়ালেখা,,, কয়েক মাস পরে দাদা অসুস্থ হয়ে পরলো,,, দাদা দাদী ও গ্রামের বাড়িতে চলে আসলো, কিন্তু তারা কিভাবে চলবে খুবই কষ্ট,,,, ছেলে নাই একটা মেয়ে আগেই বিয়ে দিয়ে দিছে,,,, দাদা দাদীর করুন অবস্থা দেখার কেউ নেই,,
দাদার ভাগ্নে যার সাথে মায়ের বিয়ে হয়েছিল,, আমি তাকে তখন বাবা বলেই ডাকতাম সম্পর্কে আমার চাচা হতো,, লোকটা খুবই ভালো সরল সোজা খুব ভালো মনের মানুষ,,,,, কিন্তু সেও ছিল আমাদের মতো গরীব
একদিন কাজ না করলে সংসার চলতো না এই অবস্থা,,
তখন আবার আমার একটা বোন জন্ম নেয়
যার কারনে,,, সেও,,,আমার দাদ দাদীকে সাহায্য তেমন একটা করতে পারতো,, না,,,,,আমি কি করবো কয়দিন মায়ের কাছে কয়দিন দাদা দাদীর কাছে,কি করবো, সব দিকেই অভাব,,,, আবার কয়দিন মামার বাড়িতে গিয়ে থাকতাম তবে শত অভাবের মাঝে ও আমার মা আমাকে খুব আদর করতেন ভালোবাসতেন,,অন্যের ঘরে থেকেও আগলে রেখেছেন
এভাবেই কাটে আমার শৈশব,,,
আমি যখন ক্লাস থ্রি তে পরি তখন আমার দাদাও মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়,,,খুবই কষ্ট পাই তখন বাবা নাই দাদাও চলে গেল,,,। একা হয়ে গেল আমার দাদী,ও,,,,,,তারপর আমার আরো একটা ভাই জন্ম নেয়,,,
এরপর, আমার মা এবং দ্বিতীয় বাবা,, আমাদের বাড়িতে চলে আসলো,,,তখন থেকে মায়ের সাথেই থাকতাম ,,, দাদী একা একা খুব কষ্টে দিন কাটাতো
দেখতে খুব খারাপ লাগতো,,,খুবই খারাপ লাগতো,,, শেষ করলাম প্রাইমারি ভর্তি হলাম মাধ্যমিক এ,, কিন্তু চারদিকে শুধু অভাব ওইদিকে দাদী কষ্ট করে
এইদিকে মা অন্যের ঘরে সেখানে ও অভাব,, সেখানে একটি বোন ও একটা ভাই, ও আছে,,
, সব দিক বিবেচনা করে দেখলাম পড়ালেখা সামনের দিকে আগানো সম্ভব না মাকে বললাম পড়ালেখা করবো না দাদীকে বললাম,, তাদের সবার কথা কেন পড়বি না,, পড়তে হবে যত কষ্ট হোক পড়তে হবে, মামারা ফুফু সবার একটাই কথা কেন পড়বি না,,
আমি বললাম পড়বো না কারণ আমার ভালো লাগে না
সবার কষ্ট আমার দেখতে ভালো লাগে না,,পড়ালেখা বাদ,,,,
শুরু হয়ে গেল কর্ম জীবন,,,
চলে আসলাম ফুফুর কাছে ঢাকায় কাজ করার উদ্দেশ্যে ফুফু একটা অটোর,গ্যারেজে কাজের ব্যাবস্তা করে দেয়,,, কয়দিন করলাম ভালো লাগে না,, ওই কাজ বাদ দিয়ে অন্য কাজ নিলাম সেটা হলো মেশিনারীজ স্টোর এ, সেখানে কয়েক মাস কাজ করার পর বাদ দিলাম তারপর গেলাম গার্মেন্টসে,,,।যখন আমার পড়ালেখা খেলাধুলার বয়স তখন আমি শ্রমিক,,
যাইহোক কপালে আছে,,, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য ই করে,,,। গার্মেন্টসে ই অনেক দিন যাবত চাকরি করতেছি,,,
তারপর ফুফুর কাছ থেকে চলে গেলাম ম্যাচ এ,,,
ম্যাচ এর জিবন ভালো কাটতেছে ভালোই লাগছিলো
কাজ করতাম আর রান্না করে খেতাম শুরুতে আমি রান্না করতে পারতাম না আস্তে আস্তে শিখে গেলাম,,
বেশ ভালোই যাচ্ছে দিন হঠাৎ এক আত্মীয় বিদেশে গেছে,, আমাকেও যাওয়ার জন্য বলতেছে সবাই,, মা মামা সবাই যাওয়ার জন্য বলতেছিলো,,,,,,
বাধ্য হয়ে,, আমি আর আমার মামাতো ভাই,, পাসপোর্ট করলাম বিদেশ যাওয়ার জন্য,,, দালাল কে টাকাও দিলাম,,,,
তখন আমি আমার মামাতো বোনকে পছন্দ করতাম,,
এটা আমার মামাতো ভাই বুঝতে পারে,, সে সবার কাছে জানিয়ে দেয়,,, তখন সবাই বিষয় টা মেনে নেয় আমার মাকে বললাম মাও মেনে নিয়েছে,,,।
তবে সবার একটাই কথা বিদেশ যাওয়ার আগে বিয়ে করে যেতে হবে,,,,আমি বললাম বিদেশ থেকে এসে বিয়ে করবো,, এটা কেউ মানে না সবার একটাই কথা বিদেশ যাওয়ার আগে বিয়ে করতে হবে আমার মায়ের ও এক ই কথা,,,,বাধ্য হয়ে,,,,
২০১৯ এ বিয়ে করে ফেললাম,,, শুরু হয়ে গেলো বিবাহিত জীবন,,, আমার বউ তখন পড়ালেখা করতো,
কথা ছিল আমি বিদেশ থেকে আসবো তারপর আমার স্ত্রী কে আমার কাছে আনবো,,,,
কিন্তু ভাগ্যের খেলা,, বিদেশ যেতে পারলাম না দালাল পাঠাতে পারলো না,, তারপর টাকাগুলো অল্প অল্প করে দেয় এখনো কিছু পাবো,,,,যাইহোক বিদেশ যাওয়া আর হলো,,, মাঝখান থেকে বিয়ে করা হলো,,,
তারপর আমার স্ত্রী ইন্টার কমপ্লিট করলো,,,
২০২১ এ আমার কাছে ঢাকায় নিয়ে আসলাম,, বেশ ভালোই কাটছে আমাদের দিন,, তবে হতাশ বিদেশ যেতে পারলাম না যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য ই করে,,, কাটছে আমাদের দিন
তারপর,, ২০২২ এর জানুয়ারিতে আমার এক বন্ধু বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিছে এক দালালের কাছে,,, আমাকেও বললো তুই যাবি আমি চিন্তা করলাম আগে একবার লস খাইছি দেখি আর একবার চেষ্টা করে,,,, এই চিন্তা করে পাসপোর্ট জমা দিলাম মেডিকেল করলাম টাকাও জমা দিলাম,,,,
কিন্তু আবারও ও প্রতারণার শিকার হলাম দালাল এর কাছ থেকে দালাল পাঠাতে পারলো না এখানে ও ধরা খেলাম বেশ ভালোই লস হলো,,, দালাল টাকা এখনো দেয় নাই শুধু বলে দিবো দিবো,,,, বিদেশ যাওয়া আর হলো না,,,,,,,,
২০২২ এর রমজান মাসে আমার দাদী ও মারা গেলো
অনেক কষ্ট করেছে জীবনে,,, যতটুকু ভালো রাখার দায়িত্ব আমার ছিল, আমি ততটুকু করতে,,,পারি নাই দাদীর,,জন্য,, তবে চেষ্টা করেছি কিছু করার জন্য যে সময় যতটুকু পারছি করছি,,,,,,আল্লাহ দাদীকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক,,, আমিন,,,
তারপর ২০২২ এর কোরবানির পর আমার বোনকে বিয়ে দিয়েছি,,,, দ্বিতীয় ঘরের,,, হলেও আমাকে বড় ভাই হিসাবে ই,,মানে সন্মান করে,,,,আমিও ওদের কে আদর করি ভালোবাসি,,,,খুব ভালো মিল,,, আমাদের আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমত বোঝার কোনো উপায় ই নাই যে আমি আরেক বাবার সন্তান,,,, এমন ভাবে আমার মা আমাদের কে আগলে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ,,,
আমার মা আমাকে অনেক ভালোবাসেন এবং আমিও আমার আম্মুকে অনেক বেশি ভালোবাসি,,আমার পৃথিবী আমার মা,,,, আমার বাবা মা,, সবই আমার মা
আমার যে বাবা নাই এটা আমার মা আমাকে কখনো বুঝতেই দেয় নাই আলহামদুলিল্লাহ এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া আমার জন্য বিশেষ রহমত,,,,
আমি অনেক দেখেছি যার বাবা অথবা মা মারা যায় ওই সন্তানের কতটা কষ্ট হয় কতটা অবহেলায় কাটে তার দিন,, সেই জায়গা থেকে আমি অনেক ভালো আছি,,,, কষ্ট হয়তো করেছি পড়ালেখা করতে পাড়ি নাই,, আর্থিক সংকট এর কারণে,,, কিন্তু মায়ের যে ভালোবাসা আলহামদুলিল্লাহ,,,,আমার মায়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন,, এবং আমার জন্য ও দোয়া করবেন,, যেন লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে পারি,,,,,, একজন ভালো মানুষ হতে পারি
,,,,একজন উদ্যোক্তা হবো
না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকবো,,, মানবিক কাজ করবো
মানুষের জন্য কাজ করবো,,,,মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মায়ের সেবা করবো ইনশাআল্লাহ,,,,
এবং কিছু স্বপ্ন আছে,,
সবচেয়ে বড় স্বপ্ন আমি আমার আম্মুকে নিয়ে মক্কা ও মদিনায় যাবো ইনশাআল্লাহ ,,,,, আল্লাহ যদি তৌফিক দান করে
এবং মা বাবা ছাড়া অসহায় শিশুর জন্য কিছু করতে চাই,,,,, এবং আমার দাদীর মতো অসহায় যারা আছে তাদের জন্য ও কিছু করার ইচ্ছে আছে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা যদি তৌফিক দান করে,,,
সবাই দোয়া করবেন,,,, দোয়ার দরখাস্ত
প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার গল্প,,
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ফেসবুক গ্রুপ এ প্রথম যুক্ত হই আমি নিজেই কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন যে করতে হয় তা আমি যানতাম ই না,,,, গ্রুপ এর পোস্টগুলো প্রতিদিন ই দেখতাম,, একদিন চোখে পরলো একটা পোস্ট। পোস্টে লেখা ছিল আপনি কি রেজিষ্ট্রেশন করেছেন না করলে কমেন্ট করেন,,,
ওই পোস্টে আমি কমেন্ট করি যে আমি রেজিষ্ট্রেশন করতে চাই,,, তখন আমার ইনবক্সে নক দেয় জেসমিন আক্তার জুই আপু। আপু আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করে দেয় ১২ তম ব্যাচ,এ ,, অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,,,, তারপর শুধু গ্রুপ এর পোস্ট দেখি,,,, জেলা মেসেঞ্জার সম্পর্কে কিছু ই জানতামই না,,তারপর গ্রুপ থেকে একবারে আনএক্টিভ হয়ে গেলাম,,,১২-তম ব্যাচ থেকে ১৮তম ব্যাচ পর্যন্ত।,,,হঠাৎ একদিন জেলা মেসেঞ্জার সম্পর্কে একটা পোস্ট চোখে পরলো। তখন আমি কমেন্ট করলাম। তখন আমার ইনবক্সে নক দিয়েছেন চাপাইনবাবগন্জের @fahim akter আপু।।
আপু আমার পরিচয় নিলো,, আমার নিজ জেলা বরগুনায় ,, আপু আমার পরিচয় নিয়ে দিলো বরগুনার @রফিকুল ইসলাম খোকন ভাইকে ভাই আমাকে যুক্ত করে বরগুনা জেলা মেসেঞ্জারে,,,অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই
এবং বরগুনার সকল ভাই বোন খুব সুন্দর করে প্লাটফর্ম সম্পর্কে আমাকে বিস্তারিত জানায় এবং খুব সুন্দর করে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন,,,,
এবং স্যারের সেশন গুলো প্রতিনিয়ত পরি,,,এবং সেশন চর্চা ক্লাস মিট আপ এ যুক্ত হই,,, অনেক কিছু শিখতে পারি
স্যারের বিশেষ করে কয়েকটি কথা,,মনে গেথে গেছে
যেমন
জীবনের বলার মতো একটা গল্প থাকা দরকার
স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন,, সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ
সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে সততা ও কমিটমেন্ট
বৃষ্টি সবার জন্যই পড়ে তবে ভিজে কেউ কেউ
মানুষের জন্য কাজ করলে জীবিকার অভাব হয় না এই কথাটাও আমাকে খুব বেশি অনুপ্রাণিত করেছে
চাকরি করবো না চাকরি দেবো। এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি । নিজের পরিচয়ে বাঁচবো ইনশাআল্লাহ।,,, দোয়া করবেন সবাই,,,
প্রিয় প্লাটফর্ম থেকে প্রাপ্তি
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে নিয়মিত হওয়ার পর যে শিক্ষা গুলো পেয়েছি,,,
নিজেকে এবং অন্যকে ভালবাসতে শিখেছি।
একজন পজিটিভ মানুষ হওয়ার শিক্ষা পেয়েছি।
কিভাবে একে অপরের সহযোগী হয়ে চলা যায় তা শিখতে পেরেছি।
আত্মবিশ্বাস বেড়েছে নিজের পায়ে দাঁড়াবার।
একজন ভালোমানুষ হয়ে বেঁচে থাকার আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
ভুল ধারণা ও সংশয় গুলো কেটে গেছে।
রাগ কন্ট্রোল করতে শিখেছি আগের মতো
যখন তখন রেগে যাই না।
মানবিক কাজ করার ইচ্ছে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
মনের ভিতর সাহস ফিরে পেয়েছি,,,,,
ভালো মানুষের পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
বিশেষ ভালোবাসা প্রকাশ করতে চাই বরগুনা টিমের ভাই বোনদের প্রতি। যাদের ভালোবাসায় আমি নিজেকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছি।
ভালোবেসে লেগে আছি প্রিয় ফাউন্ডেশন এর সাথে থাকবো একজন সফল উদ্যেক্তা না হওয়া পর্যন্ত এবং নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি না হওয়া পর্যন্ত।
ইনশাআল্লাহ,,,,
সকলের দোয়া ও ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করি সবাই সহযোগী হয়ে পাশে থাকবেন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এতো সময় ধরে আপনার মুল্যবান সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে আমার অগোছালো জীবনের,,,
অগোছালো গল্পটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,,,।
আমার লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,,,, ভালো থাকবেন,,,,
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৯১
তারিখ ২৯-১০-২০২২ইং
ধন্যবাদান্তে,,,,,
🍀নামঃ মহিম হোসাইন
🍀নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য
🍀ব্যাচঃ ১২
🍀রেজিঃনং৪৬৮৭৮
🍀নিজ জেলাঃ বরগুনা
🍀থানাঃ আমতলী
🍀অবস্থানঃ নারায়ণগঞ্জ