আমার মাধ্যমে অনেকে উদ্যোক্ত হতে পারে সেই প্রচেষ্টা
............…জীবনের গল্প......................
......গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো.........
.....বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম...........
.......সবার প্রতি আমার সালাম.............
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
🌿🌿প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রব্বুল আলামীনের প্রতি যিনি আমাকে এখন প্রর্যন্ত সুস্থ রেখেছেন ভালো রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ ।
🌿🌿তারপরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার মা ও বাবার প্রতি তারা না হলে হয়তো আমি এই পৃথিবীতে আসতাম না।তারা আমাকে পরম যত্ন করে ও ভালবাসা দিয়ে বড় করেছেন। মা- বাবা হচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে মহা মূল্যবান সম্পদ।
🌿 🌿আমি আরো ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রাণপ্রিয় ভালোবাসার গ্রুপ "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের" প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, সকলের ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু, নয়নের মনি, লাখো বেকার যুবক-যুবতীদের হৃদয়ে আলো প্রজ্জ্বলনকারী, কথা হতাশাগ্রস্থদের আশার আলো প্রদানকারী প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। তিনি না থাকলে হয়তো আপনাদের মতো ভালোমানুষগুলোর সাথে সাক্ষাৎ হতো না। তাহার কারনেই ভালোমানুষ হিসেবে নিজেকে নতুন করে গঠন ও উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। প্রাণপ্রিয় স্যারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।
🌿🌿চলে যাচ্ছি মূল গল্পে....................
🌿🌿আমার ছেলেবেলা ও গ্রাম্য জীবন
কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত দৌলতপুর থানাধীন কামালপুর গ্রামে ১৯৮৪ সালের ৪ঠা নভেম্বর মাসে আমার যৌথ পরিবারে জন্ম। আমরা দুই ভাই-বোন। আমি বড় এবং আর বোন ছোট। আমার বাবারা পাঁচ ভাই, ছয় বোন। যেহেতু আমার বাবা সামান্য বেতনে চাকরি করতেন তাই আমার মাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। আমার মায়ের এই কষ্ট দেখে আমার খুব খারাপ লাগতো। একটা সময় আমার বাবা চিন্তা করলেন আমরা গ্রামে থাকলে মানুষ হতে পারব না তাই তিনি আমাদেরকে শহরে নিয়ে আসলেন।
🌿🌿আমার স্কুল জীবন
আমার বাবা খুলনা শহরে সামান্য ৯০০ টাকা বেতনে কাজ করতেন। ঐ ফ্যাক্টরির মধ্যে স্কুল ছিল যার কারণে আমাদের দুই ভাই বোনকে ওই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। আব্বুর ইনকাম কম হওয়ার কারণে আমাদের সংসারে সব সময় অভাব লেগেই থাকতো। একবার বাৎসরিক ছুটিতে আমরা সবাই গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলাম। আমাদের বাড়ির একটা কুকুরটা ছিল, ওর নাম ছিল বাঘা। ওর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নতুন মানুষকে দেখলে কামড়াবে যেহেতু আমি গ্রামে তখন থাকতাম না যার কারণে আমি নতুন মানুষ। তাই তখন ঐ কুকুরটা আমাকে তাড়া করে কামড় দিল। কবিরাজ আমার চিকিৎসা করলেন। তারপর আমি আবার ছুটি শেষে খুলনায় চলে আসলাম। আমার ২য় শ্রেণীতে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলছিল। ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ আমি স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরীক্ষা না দিয়েই স্কুল থেকে বাসায় আসার পথে ৩/৪ বার বমি হয়। বাসায় আসার পর আমার প্রচুর পরিমাণে জ্বর আসলো ১০৪ ডিগ্রী জ্বর। এলাকার ফার্মেসি থেকে ঔষধ নিয়ে খাওয়ানো হলো কিন্তু জ্বর কোন মতেই কমেনা। তারপরে এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে নিয়ে যাওয়া হল আমাকে ঝাড়ানোর জন্য। ইমাম সাহেব আমাকে দেখে বললেন যে, তার ছেলে গত মাসে এই জ্বরে মারা গিয়েছে। তখন উনি বলল এই জ্বরকে বলা হয় টাইফয়েড। আব্বুকে বলল আপনি দ্রুত ভালো কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। তখন টাকা ধার করে আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো, উনি অনেক টাকার পরীক্ষা দিলেন। এভাবে এক ডাক্তারের কাছ থেকে আর এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। কিন্তু কোন ডাক্তারই আমার জ্বর নামাতে পারছিল না। জ্বর ১০৪ ডিগ্রীর নিচে কখনোই নামত না। একটা পর্যায়ে আমার সমস্ত শরীর শুকিয়ে গেল। হাত-পা সব চিকন হয়ে গেল। আমার ঘাড় সহ মাথা বাঁকা হয়ে গেল। আমার বাবা-মা সব সময় খুব কান্নাকাটি করত আমাকে নিয়ে। এভাবে টানা তিন মাস বিছানায় ছিলাম। সবশেষে ডাক্তার নাজমুল হাসানের কাছে আমার চিকিৎসা হলো এবং আল্লাহর রহমতে তার চিকিৎসা নিয়ে আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকলাম। ওই তিন মাসে আমার বাবার প্রায় ৫০০০০ থেকে ৬০০০০ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল।
যখন আমি ক্লাস সিক্স এ তখন আমার আব্বুর চাকরি ছাঁটাই হয়। আমাদেরকে গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গ্রামে যাওয়ার পরে দাদা বাড়িতে আমাদের অনেক বাজে কথা শুনতে হয়। আমার আম্মুকে বাড়ির সব কাজ করাতো তারপর সব সময় আম্মুকে কথা শুনাতো। এভাবেই কয় এক মাস যাওয়ার পর আব্বুর আবার চাকরি হয় ঐ একই কোম্পানিতে। আবার আমরা শহরে চলে আসি। দেখতে দেখতে ২০০০ সালে এস এস সি পরীক্ষা চলে আসল। পরীক্ষা খুব ভালো দিলাম। যেদিন রেজাল্ট বের হবে ঐ দিন সারাদিন টেনশনে খায় নি। বিকালে যখন রেজাল্ট শুনতে পাই তখন কি যে আনন্দ। এভাবেই আমি এস এস সি পাশ করলাম প্রথম বিভাগে। আব্বু আম্মু খুব খুশি হলো।
🌿🌿আমার কলেজ ও ইউনিভার্সিটি জীবন
এস এস সি পাশের পর আমি এইচএসসিতে খুলনা এম এম সিটি কলেজে ভর্তি হই। আলহামদুলিল্লাহ এইচএসসিতেও ফাস্ট ডিভিশন নিয়ে পাস করি।
তারপর অনার্সে খুলনা সরকারী বিএল কলেজে ইকোনমিক্স এ ভর্তি হয়। আমার পরিচিত কোন বন্ধু ইকোনমিক্স এ না থাকার কারণে আমার তেমন ভালো লাগতো না তাই তিন মাস পরে সেখান থেকে আমি গ্রুপ চেঞ্জ করে ম্যানেজমেন্টে আসি। এই ম্যানেজমেন্ট এ আসাটা আমার একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তারপর ম্যানেজমেন্টে এক বছর পড়ার পরে আমি সরকারী বি এল কলেজ থেকে সরকারি আজম খান কমার্স কলেজে বদলি হয়ে আসি। সেখান থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ম্যানেজমেন্ট এ কমপ্লিট করি। অনার্সে দ্বিতীয় বিভাগ ও মাস্টার্সে প্রথম বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়।
তারপর নর্দান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ কমপ্লিট করি। এরপর ২০১৭ সালে আই সি এম এ বি তে ভর্তি হয় প্রফেশনাল ডিগ্রি অর্জনের জন্য কিন্তু সাংসারিক গণতন্ত্র ও অন্যান্য সমস্যার কারণে এটা আর সামনে এগোতে পারিনি।
🌿🌿 স্টুডেন্ট পড়ানো
যেহেতু আমাদের আর্থিক সমস্যা ছিল তাই সংসারে সহযোগিতা করার জন্য যেদিন আমি এসএসসি পাস করি ঐ দিন বিকাল থেকে আমি স্টুডেন্ট পড়ানো শুরু করি অর্থাৎ সেই ২০০০ সাল থেকে। ঐ সময় আমার প্রথম ব্যাচের স্টুডেন্ট ছিল মাত্র ৯ জন এবং ৯ জনই ছিল মেয়ে এবং সবাই ছিল দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আলহামদুলিল্লাহ তারা সবাই খুব ভালো রেজাল্ট করেছিল। এরপর আমার একে একে অনেকগুলো ব্যাচ তৈরি হতে থাকে। সংসারে সহযোগিতা করার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি আমি তখন প্রাইভেট পড়াতে থাকলাম প্রাইভেট পরিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৩০হাজার টাকা ইনকাম করতাম এভাবে প্রায় ১৪ বছর আমি স্টুডেন্ট পড়াই আমি টোটাল এই ১৪ বছরে সাড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ ছাত্রছাত্রী পড়িয়েছি। স্টুডেন্ট পড়াতে আমার খুব ভালো লাগতো আমার এটা খুব ভালো লাগতো যে আমি কাউকে কিছু শিখাতে পারছি এটাই আমার সার্থকতা। আমি একটা কোচিং সেন্টার দিয়েছিলাম যার নাম ছিল "শেষ প্রস্তুতি কোচিং সেন্টার"। এমন নাম দেয়ার কারণ হলো এসএসসি ও এইচএসসি তে টেস্ট পরীক্ষার দেয়ার পরে অধিকাংশ স্টুডেন্ট আমার কাছে আসতো এবং আল্লাহর রহমতে আমার কোচিং সেন্টারের শতভাগ পাস ছিল এবং কোন ফেল ছিল না। আমার কাছে খুলনা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্র-ছাত্রী পড়তে আসতো। সবচেয়ে ভালো লাগতো যখন কোন প্রকাশনা থেকে সৌজন্যমূলক কপি আমার কাছে তারা দিয়ে যেত। এটা বুঝতে পেরেছিলাম শিক্ষকতা হচ্ছে খুবই সম্মানের একটি পেশা কিন্তু আমি এটা দায়িত্ববোধ ও মনের শান্তি থেকে করতাম।
🌿🌿 চাকরির জীবন
যখন স্টুডেন্ট পড়তাম তখন খুব ভালোই ছিলাম, স্বাধীনতা কাজ করতাম কিন্তু অনেকেরই কথা ছিল যে স্টুডেন্ট পড়ায় কি জীবন চলে তখন চিন্তা করলাম তাহলে চাকরি করতে হবে। শুরু করলাম চাকরির ইন্টারভিউ, প্রত্যেক মাসে ৪-৫ বার ঢাকা যেতাম ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য।
অনেক টাকা খরচ হতো। সবশেষে ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকে দুটো দিয়েছিলাম এবং পরীক্ষা আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো হয়েছিল কিন্তু নিজের মামা-খালু না থাকার কারণে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চাকরি হলো না আর অগ্রণী ব্যাংকের পরীক্ষাটা এক মাস পরে রেজাল্ট আসলো বাতিল হয়ে গেছে প্রশ্ন ফাঁসের কারণে। তারপর ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এম এম ইস্পাহানি লিমিটেড অফিসার হিসেবে যোগদান করি। এখানে আমি স্টোর ইনচার্জ হিসাবে সততার সাথে কাজ করছি। ঢোকার পরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করার কারণে আমার প্রাইভেট পড়ানো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অবশেষে আমার নিজের হাতে তৈরি করা ১৪ বছরের কোচিং সেন্টারটা বন্ধ করে দেয়া হলো। মাঝে মাঝে চিন্তা করলে খুব কষ্ট হয় নিজের হাতে তৈরি করা এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম নষ্ট করে ফেললাম।
🌿🌿বিবাহিত জীবন প্রবেশ
অনেক আশা নিয়ে ২০২০ সালে পারিবারিক ভাবে আমি বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করি। কিন্তু বিয়ে সবার জীবনে সুখ বয়ে নিয়ে আসে না। ঠিক আমার জীবনে বিয়ে ধ্বংস বয়ে নিয়ে আসল। আমি যাকে বিয়ে করেছিলাম তার পরিবারের কাছ থেকে শুধুমাত্র তাকে ছাড়া একটা সুতাও নেয় নি। কারণ একটা সংসারে যা প্রয়োজন তা আল্লাহর রহমতে আমার সবই আছে। বিয়ের পর আমার স্ত্রীর কাছে একটাই চাওয়া ছিল সে যেন আমার বাবা-মাকে তার সাধ্যমত সেবা করে। কিন্তু না অধিকাংশ মেয়েদের একটাই সমস্যা বিয়ের পরে শ্বশুর-শাশুড়িকে তারা দেখতে চায় না। সে আমাকে নিয়ে আলাদা হতে চায়। আর তার এ চাওয়াটা শুরু হয় বিয়ের ঠিক দুদিন পর থেকে। কিন্তু এটা ছিল আমার পক্ষে অসম্ভব। কারণ আমার জ্ঞান থাকতে আমি আমার বাবা মাকে আলাদা রাখতে পারবো না। যখন দেখল যে আমি তার কথায় সাড়া দিচ্ছি না ঠিক বিয়ের দু মাসের মাথায় রাগারাগি, এক পর্যায়ে এ দিন রাতে তার বাবার সাথে তাদের বাড়ি চলে যায়। তার বাড়িতে যেয়ে নানাভাবে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে। একটা পর্যায়ে তাদের সাথে আলোচনায় বসতে চাই কিন্তু তারা তা মানতে নারাজ। আমার বাবাকে তারা অপমান করে তা আমি কখনোই মেনে নিতে পারি নাই। তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই জীবনে যাই হোক এভাবে সংসার হবে না। শেষ পর্যন্ত আমার ওয়াইফ এর সাথে আমার ডিভোর্স হয়।
এই ঘটনাটি আমাকে এখনো কুড়ে কুড়ে খায়, মাঝে মাঝে মনে হয় আমার বেঁচে থাকাটা অর্থহীন।
🌿🌿নতুন সমস্যা
২০২২ সালের এপ্রিলের ৬ তারিখ আব্বু চেয়ার থেকে পড়ে যেয়ে মাঝার হাড় ভেঙে যায়। অনেক দেনা করে ২,৫০,০০০ টাকা খরচ করে অপারেশন করাই কিন্তু কিছুদিন আগে এক্সরে করাই সেখানে দেখা যায় হাড় জোড়া লাগছে না। এখন সমস্যা থেকেই গেল।
এদিকে আম্মুও বেশ অসুস্থ। আমার জীবনের ঐ ঘটনার পর থেকে সে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে যার জন্য তার ডায়াবেটিস ও প্রেসার বেড়েই থাকে।
আমি সন্তান হিসেবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
🌿🌿 উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা
চাকরির পাশাপাশি খুব ছোট পরিসরে আমি কাজ করছি ছেলেদের শার্ট, টি-শার্ট, পলো শার্ট, প্যান্ট
**মেয়েদের থ্রি পিস, গাউন, লেহেঙ্গা, শাড়ী
**অর্গানিক ফুড (সকল ধরনের মধু, গাওয়া ঘি, খেজুরের গুড়, তালের গুড়, ইত্যাদি), কাঠের খানিতে ভাঙ্গানো সরিষার তেল এবং
**চাইনিজ প্রোডাক্ট নিয়ে।
🌿🌿 নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর যুক্ত হওয়ার গল্প
যেই মুহূর্তে আমি আমার জীবনটা নিয়ে পুরোপুরি হতাশার মধ্যে ডুবে আছি ঠিক তখনই সিলেট জেলার উপজেলা এম্বাসেডর উজ্জ্বল ভাইয়া আমাকে মানসিকভাবে অনেক সাপোর্ট দেয়া শুরু করে। তখন তিনি আমাকে এই গ্রুপের কথা বললেন এবং তার সহযোগিতার মাধ্যমে আমি এখানে রেজিস্ট্রেশন করলাম আর রেজিস্ট্রেশন করাতে সহযোগিতা করেছিলেন আমাদের খুলনা বিভাগের ডুমুরিয়া উপজেলা এম্বাসেডর রোজি রাফিন আপু, কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার মেহেদী হাসান ভাইয়া। খুলনা মেসেঞ্জার এর যুক্ত হয়ে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি এখানে প্রত্যেক সদস্য খুবই আন্তরিক।
🌿🌿ফাউন্ডেশন থেকে আমার পাওয়াঃ
১। প্রিয় স্যারের মতো একজন ভালো ও মানবিক মানুষ পেয়েছি।
২। প্রিয় প্লাটফর্মে বিভিন্ন জেলা সহ নিজের জেলার কিছু প্রিয় ভাই ও বোন পেয়েছি যারা সবসময় পাশে থাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে।
৩। নিজেই নিজেকে প্রতিদিন তৈরি করতে পারছি, হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারছি।
৪। নতুন করে জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার শক্তি ও সাহস অর্জন করতে পারছি।
৫। প্লাটফর্মে স্যারের সেশন ও ১৬ টি স্কিলস অর্জন করার চেষ্টা করছি।
৬। নিজের পরিচিতি ও নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে পারছি।
৭। প্রাণপ্রিয় স্যারের জ্বালাময়ী একটা উক্তি "স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন, লেগে থাকুন, সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ"। স্যারের এই উক্তির উপরে চলার চেষ্টা করছি।
৮। মনের মধ্য থেকে সকল ধরনের নেগেটিভিটি দূর হয়ে যাচ্ছে এবং যতদিন বেঁচে থাকব কাউকে কোনদিন ঠকাবে না এটা নিজের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
৯। সর্বপরি একজন ভালো মানুষ হবার চেষ্টা করছি।
আর এইসব অসাধ্য সাধন করতে পারছি, প্রতিদিনে আমাদের যে সেশন চর্চা হয় সেখানে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে।
🌿🌿ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও আমার স্বপ্ন
আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও স্বপ্ন হল
১। আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন আমার মা-বাবাকে কোনরকম অসম্মানিত হতে দেব না। আমার সাধ্যমত তাদের সেবা দান করব,
২। আমি উদ্যোক্তা হই বা ব্যবসায়ী যেটাই হয় না কেন, কোনদিন কোন মানুষকে ঠকাবো না, কখনো কাউকে কোন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিব না, কখনো কারো কোন ক্ষতি সাধন করব না, কাউকে কখনো কোন খারাপ পণ্য দিব না,
৩। ভবিষ্যতে আমার নিজস্ব একটা ব্র্যান্ড থাকবে এবং সেই ব্রান্ড দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে সর্বত্র তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়বে,
৪। আমার মাধ্যমে অনেকে উদ্যোক্ত হতে পারে সেই প্রচেষ্টা সবসময় চালিয়ে যাব।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার চাহিদ স্যারের আদর্শ বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৯২
তারিখ ০৩-১১-২০২২ইং
শুভেচ্ছান্তে
মোঃ আমিনুজ্জামান
ব্যাচ নম্বরঃ ১৬
রেজিস্ট্রেশন নম্বরঃ ৭৬৬৫২
নিজ জেলাঃ কুষ্টিয়া
বর্তমান অবস্থানঃ খুলনা সদর
ব্লাড গ্রুপঃ A+
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য।