জাতির কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দিতে
#আমার_জীবনের_গল্প
🌺বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম🌺
নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের সম্মানিত দ্বায়িত্বশীল ভাই বোনেরা এবং আজীবন সদস্যবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন।
আশা করছি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
💐শুরুতেই শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহর তাআলার উপর যিনি আমাকে এত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন।
যার রহমতে পৃথিবীর আলোতে নিঃশ্বাস নিয়ে বেচে আছি এবং সুস্থ আছি।
💐তারপর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি সেই স্নেহমহী মা,বাবা প্রতি
যাদের জন্য এই পৃথিবীর আলো বাতাস এবং স্নেহ আদর পেয়ে বড় হয়ে ওঠেছি।
💐এরপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রাণ প্রিয় মেন্টর, ভালো মানুষ গড়ার কারিগর, এ যুগের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার, জীবন্ত কিংবদন্তি জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি যার অনুপ্রেরণা লক্ষ লক্ষ তরুন তরুনী নতুন করে বাচার স্বপ্ন দেখছে এবং স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করছে তারই দিকনির্দেশনায়। যার মহৎ অবদানে আমরা পেয়েছি এই ফাউন্ডেশন এবং ভালোবাসা ঘেরা বিশাল এক পরিবার এবং লক্ষ লক্ষ ভালমানুষ।
🍃🍃🍃আজকে আমি আমার জীবনের গল্প শেয়ার করতে চাই ভালোবাসার এই পরিবারে।
☘️☘️☘️জীবনের গল্পের শুরু ঠিক কোথা থেকে তা আমার জানা নেই তবে নিজের জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য ছোট্ট বেলা থেকেই শুরু করছি
🌸আমার জন্ম ও শৈশব🌸
আমি ১৯৯২ সালের ০৬ ই জুন ঢাকা জেলার অবস্থিত ঢাকা মেডিক্যাল হসপিতালে আমার জম্ম হয়।
আমার জম্ম হয় মধ্যবিত্ত পরিবারে
আমার বাবার নামঃ মোঃ জানে আলম
মায়ের নামঃ শাহানাজ আক্তার
যেহেতু আমার জম্ম ঢাকাতেই এবং ছোট থেকেই আমি ঢাকাতেই বসবাস করি কারন আমার বাবার জব ছিল ঢাকা ডেমরাতে।
আর আমার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে।
আমরা দুই ভাই ।আমাদের কোন বোন ছিল না।আমরা দুই ভাই মা বাবার খুব আদরের ছিলাম।
🌺মা ও বাবা🌺
আমার মা বাবা দুইজনই পরিশ্রমী ছিলেন।আমার মার বিয়ে হয় অল্প বয়সে। বিয়ের পর আমার মাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তখন আমার জম্ম হয়নি। শত কষ্টের মধ্যেও মা আমার বড় ভাইকে নিয়ে ভালো থাকার জন্য সংগ্রাম করেছেন মুখ বুঝে সব সহ্য করেছেন। আর আমার বাবাও টিউশনি করে সংসার চালাত কারন আমার বাবারা ভাই বোন বেশি ছিল।
আমার বড় আম্মা ঢাকায় আমার আব্বুর জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। জব পেয়ে আব্বু ঢাকায় চলে যায় ।
আম্মু ভাইয়াকে নিয়ে গ্রামেই ছিল। এর কিছুদিন পর যখন আমি আম্মুর গর্ভে আসলাম তখন আব্বু আমাদের মানুষ করার জন্য ছোট একটা বাসা ভাড়া করে আমাদেরকে ঢাকা নিয়ে যায়। এর কয়েকমাস পর আমার জম্ম হয়। ঢাকা এসেও মা বাবা আমাদের নিয়ে অনেক কষ্ট করে। এই ভাবেই দিন পার হতে থাকে।
☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️☘️
🌺ছাত্র জীবন🌸 এবং চাকরি জীবন🌺
আল্লাহর অশেষ রহমতে লেখাপড়ার প্রতি আমার ভীষণ ভালোলাগা কাজ করতো ছোট থেকেই।সেই সুবাধে ঘরে থেকেই মায়ের হাত ধরেই আমার হাতেখড়ি। আমার বয়স যখন ৪ বছর তখন বেবি শ্রেণীতে আমার মা বাবা স্কুলে আমাকে ভর্তি করে দেয়।
স্কুলে ভর্তি হতে যেয়ে হয় এক বিপত্তি স্কুলের ম্যাডাম প্রধান শিক্ষক বললেন এই ছেলেতো ঠিকমত কথা বলতে পারে না তাকে এখন ভর্তি করা যাবে না। প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছু প্রশ্ন করে আমাকে স্কুলে ভর্তি করে ।
ছোট থেকেই আমার কথা বলার জড়তা ছিল আমার উচ্চারণ শুদ্ধ ছিল না।
কিন্তু স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর নিয়মিত ক্লাস করতাম এবং প্রতিদিনের পড়া শিখে যেতাম। একদিন আমার শ্রেণী শিক্ষিকা আমাদের একটা পড়া লিখতে দেয় আমি সবার আগেই লিখে দেওয়ার ম্যাডাম আমার খুব প্রশংসা করে যেই ম্যাডাম আমাকে স্কুলে ভর্তি করতে নিষেধ করেছিলেন সেই ম্যাডাম
লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি মাদ্রাসার কোরআন শিখতাম।
লেখাপড়ার আমি মোটামুটি ভালো ছিলাম।
আমাদেরকে আমাদের এক আত্বীয়ের পারিবারিক অবস্থা খারাপ থাকায় আত্বীয়ের ছেলেকে আমাদের পড়াতে বলে। উনি আমাদেরকে নিয়মিত পড়াতে থাকে ।উনি তখন ক্লাস নাইনে
পড়তেন।উনাকে আব্বু আর বাদ দেননি আমাদের S.S.C পরীক্ষার পর্যন্ত উনি আমাদের পড়িয়েছেন। মাস শেষে আব্বু ঠিকমত বেতন দিয়ে দিতেন এবং প্রতিদিন নাস্তা থাকত স্যারের জন্য। ভালো কোন খাবার করলেও স্যারকে খেতে বলত আব্বু।
আমাদের পড়ানোর পাশাপাশি স্যারকে আরও কয়েকটা টিউশনির ব্যবস্থা করে দেন আমাদের পরিচিতদের মধ্যে।
আস্তে আস্তে স্যারদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। এর কিছুদিন পর স্যার বিদেশ চলে যায়।
আমি ক্লাস এইটে বৃত্তি পরীক্ষা দেই কিন্তু সেই বছর আমরা কেউ বৃত্তি পাইনি এতে করে আমাদের সবার খুব মন খারাপ হয়। তখন এক স্যার আমাদেরকে বলেন এটাই শেষ নয় সামনে আরও অনেক পরীক্ষা আছে তার জন্য প্রস্তুতি নাও।
আমার আরও মন খারাপ ছিল আমি নাইনে বিজ্ঞান বিভাগ পাইনি পেয়েছিলাম ব্যবসায় শিক্ষা। আব্বুর ইচ্ছা ছিল আমি যাতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়ি কিন্তু তা আর হল না বৃত্তি পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়াই।
এটা নিয়েই প্রত্যেক বিষয় নোট করে পড়তাম বাহিরে কোন প্রাইভেট পড়তাম না।
টেস্ট পরীক্ষার আগে দিয়ে ইংরেজী এবং হিসাববিজ্ঞান প্রাইভেট পড়তাম স্কুলের স্যারের কাছে।
S.S C পাশ করলাম ২০০৮ সালে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে। আমার আব্বুর স্বপ্ন ছিল আমাকে ইন্জিনিয়ার বানাবে।সেই জন্য জেনারেল কলেজ থেকে ফর্ম উঠানো হয়নি । আব্বু আমাকে নিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম ফেনী কুমিল্লা ময়মনসিংহ নিয়ে যায় পলিটেকনিকে ভর্তি করানোর জন্য। শেষমেষ আমি ফেনী পলিটেকনিকে মেরিট লিস্টে সিভিল ডিপার্টমেন্টে চান্জ পাই।এইসময় আমি বাবা মা ছাড়া আমাকে হোস্টেলে একা রেখে চলে আসে আমার খুব কান্না পেত একা থাকতে। কষ্ট করে হোস্টেলের খাবার খেয়ে বড় ভাইদের নানা অত্যাচার সহ্য করে আমি ২০১২ সালে ডিপ্লোমা পাশ করে বাসায় চলে আসি ।
ডিপ্লোমা পড়াকালীন আমি অটোক্যাড এবং ডিজাইনের কাজ শিখি আর সবসময় আয়ত্তে রাখার জন্য বড় ভাইয়া আমাকে একটা কম্পিউটার কিনে দেয়।
আমার ভাইয়া তখন ইলেকট্রিক কাজের উপর দুইবছরের কোর্স করে জীবনের তাগিদে বিদেশে চলে যান।
ডিপ্লোমা পাশ করার পর শুরু হল আরেক যুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধ । আমাদের ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারদের জন্য একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছিল গাজিপুরে। আমার ইচ্ছা ছিল না সেখানে যাওয়ার কারন সেখানে ১২০০ ছাত্রছাত্রী মধ্যে থেকে ১২০ জন ছাত্র চান্জ পাবে কিন্তু আমার ফ্যামিলির তেমন সাধ্য ছিল না আমাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর তাই বাধ্য হয়ে গাজিপুরে একটা কোচিং সেন্টারে ভর্তি হই ২০১২ সালে এবং কোচিং সেন্টারের একটা ম্যাচে আমার থাকার ব্যবস্থা হয়। এক সময় ভর্তি পরীক্ষা চলে আসে ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা ছিল । প্রথমে ১৫০ এবং পরে ১৫০ দুই পাঠে পরীক্ষা হত।
দুই বছর পরীক্ষা দিয়েও আমি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চান্জ না পেয়ে বাসায় চলে আসার পর আমাকে অনেক বকাঝকা করে আমার ফ্যামিলি কারন এই দুইবছর কোন জবের জন্য আবেদন করিনি কোন জায়গায়।
আমি তখন সম্পূর্ণ বেকার হয়ে পড়ি । আব্বু তখন বলেছিল নিজের টাকাই যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়তে পার তাহলে পড়বা আমি আর তোমাকে পড়াতে পারব না। আমি আর কিছুই বলতে পারি নি। জব খুঁজতে থাকি।
এর কিছুদিন পর মানে ২০১৫ সালের দিকে এলাকার এক চাচার সাথে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য একটা বিল্ডিংয়ে কাজে যেতাম সকাল থেকে সারাদিন কাজেই থাকতাম সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতাম। কোন বেতন ছিল না শুধু হাত খরচের টাকাটা দিত। এই ভাবেই চলতে থাকে কয়েক বছর। এরপর ২০১৫ এর শেষের দিকে ৬৫০০ টাকা বেতনে একটা কোম্পানিতে চাকরি হয় । এখানে ৪ বছর জব করার পর কোম্পানির কাজ শেষ হয়ে যাওয়াই আমি আবারও বেকার হয়ে পড়ি। বেকার হওয়ার কারন ছিল আমি আমার কাজকে ভালবাসতাম তাই যেখানে জব করতাম সেখানে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতাম ।কোম্পানির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জব ছেড়ে দিতাম না। এই জব চলাকালিন ২০১৬ সালে আমি ছুটির দিনে ঢাকার একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু করি। ক্লাস শুরু করার পর কোম্পানি ছুটির দিনেও অফিসে কাজ করার জন্য প্রেসার দিতে থাকে। আমি বসকে সব বুঝিয়ে বললে স্যার আমাকে সুযোগ করে দেয়। আমি ছুটির দিনের কাজ আগের দিন শ্রমিকদের বুঝিয়ে দিয়ে যেতাম এবং শনিবার এসে সব কাজ বুঝে নিতাম।
প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা দিতাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আর বাকি টাকা আমার হাত খরচে চলে যেত। এইভাবে জবের পাশাপাশি পড়ালেখাটাও চালিয়ে গেলাম। এখান থেকেও ডিজাইনের কাজ শিখলাম। বিল্ডিং ডিজাইন এবং এনালাইসিস এর কাজ। বিএসসি করার শেষ পর্যায়ে এসে এই জবটা চলে যায়। তখন কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না এক মাসের বেতন আব্বুর কাছ থেকে চেয়ে নিলাম ভয়ে ভয়ে।
এক মাস পর ১০ হাজার টাকা বেতনে ৬ তলা একটা বিল্ডিংএ সাইট ইন্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি পাই। তাদের কাজ সুন্দর ভাবে করে দেই। কিন্তু কয়েকমাস পর তাদের আর্থিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আমাকে মাসিক বেতনে না রেখে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যখন যেতে বলত তখন কিছু টাকা দিত।
এরপর ২০২০ সালে মিরপুরে ভাসানটেকে ১৫০০০ হাজার টাকা বেতনে ১০ তলা বিল্ডিংএর কাজ করি এক বছর। সেখানে থাকাকালীন ২০২১ সালে ঢাকা এয়ারপোর্ট টার্মিনাল ৩ তে ২৮ হাজার টাকা বেতনে সিনিয়র ইন্জিনিয়ার হিসেবে নতুন চাকরি পাই । এই জব হওয়ার পর আগের মালিক আমার এক মাসের টাকা আর দেয়নি আমার কষ্টের টাকা ছিল।
ভালই চলছিল সব কিছু রাতদিন পরিশ্রম করে চাকরি করতাম।বেতনও খুব ভালো ছিল ফ্যামিলিকে প্রতি মাসে টাকা দিতাম আব্বুর হাতে।
হঠাৎ আমি খুব অসুস্থ হয়ে যাই নতুন বছরের শুরুতেই মানে ২০২২ সালে আবার বেকার হয়ে যাই। বাড়িতে বসে আমাদের বিল্ডিংয়ের প্লান এবং ডিজাইন করে গ্রামে এসে বিল্ডিং এর কাজে হাত দেই।
🌺আমার উদ্যোক্তা জীবনে পদার্পন🌺
আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন আমাদের ছোট একটা মুদির ব্যবসা ছিল। আমরা দুই ভাই স্কুল শেষ করে সময় পেলে দোকানদারি করতাম। আস্তে আস্তে বড় দোকান নিয়ে ব্যবসা করত আমার বাবা এবং আমার মেঝ চাচা পাশাপাশি উনারা জবও করত।
ব্যবসা ভালোই চলছিল। কিন্তু বাবা এবং চাচার মধ্যে মতের মিল না হওয়াই আমার বাবা দোকান ছেড়ে চলে আসে। বাবা চলে আসার পর সেই ব্যবসাটাও ধিরে ধিরে বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর আমি বিএসসি শেষ করে মিরপুরে চাকরির জন্য যায়। তখন থেকে আবার শুরু করার চেষ্টা করি।
আমি যখন মিরপুর এ চাকরি করতাম তখন উই গ্রুপে যুক্ত হই নিয়মিত লাইক কমেন্ট করতাম। আমাদের ডেমরার জামদানি শাড়ি নিয়ে উই গ্রুপে পোস্ট করতে থাকি এবং আমার ফেসবুক এ পোস্ট করি আমার বন্ধু এবং এলাকার অনেকে দাম জানতে চায়।
যেহেতু আমি শুধু শাড়ির ছবি তুলে নিয়ে এসে পোস্ট করতাম আর অর্ডার আসলে কিনে নিয়ে এসে সেল করতাম।
মোবাইলে অনেকগুলো শাড়ির ছবি থাকায় আমি দাম বলার সময় এলোমেলো হয়ে যেত কম দামি শাড়ি বেশি দাম বলে ফেলতাম আর বেশি দামেরগুলো কম দামে। এইজন্য অনেক অর্ডারও ক্যানসেল হয়ে যায় । এমনকি এক বন্ধুকে একটা বেশি দামের শাড়ি কম দাম বলি বন্ধুর বউয়ের জন্য যখন শাড়িটি আনতে যাই তখন দেখি শাড়িটির কেনা দাম বন্ধুকে বলা দামের চেয়ে অনেক বেশি। শাড়িটি আনার পর বন্ধুকে বর্তমান দাম বলি তখন বন্ধু আর শাড়িটি নেয়নি আমার কিছু টাকা লস হয়।
সাথে কষ্টও হয় তবুও শাড়িটি আর ফেরত দেইনি। আমার ব্যবসা ক্ষতি হবে সেজন্য । আমি এটা থেকে শিক্ষা গ্রহন করি।
কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখি এইভাবেই চলতে থাকে।
এরপর কউমি গ্রুপে যুক্ত হয়ে পান্জাবি গজ কাপড় নিয়ে নতুন করে আবার শুরু করি।
এই বছর রোজার ঈদের আগে কিছু পান্জাবি গজ কাপড় সেল করি আর খেয়াল করি রেডিমেট পান্জাবির চাহিদা বেশি হওয়ার আমি কম দামে ভালো পান্জাবির খোঁজ করতে থাকি। এই সময়
প্রিয় ফাউন্ডেশনের এক ভাইয়ের তৈরি করা পান্জাবি কউমি গ্রুপে পোস্ট করে সেল করতে থাকি। এখনও অল্প অল্প সেল আসে আলহামদুলিল্লাহ।
🌸 প্রিয় ফাউন্ডেশনে আসার গল্প 🌸
এর মধ্যে আমি খুলনা যাই জবের জন্য আমার এক বন্ধুর কাছে তখন FakrUdin MaWa বন্ধুর মাধ্যমে প্রিয় ফাউন্ডেশনে যুক্ত হই। জব না হওয়াই ঈদের আগে আমি ঢাকা চলে আসি।
কিন্তু ফাউন্ডেশনের সম্পর্কে কিছু জানতাম না সেশন চর্চা , রেজিস্টেশন , ব্যাচ নম্বর এগুলো। চিন্তা করতাম এগুলো কিভাবে পাব? রেজিস্টেশন করতে টাকা পয়সা লাগবে নাকি? এইভাবে অনেকদিন চলে যায়। একদিন এক ভাইয়ের রেজিস্টেশন সম্পর্কিত একটা পোস্ট দেখি পোস্টের লিংক ঢুকে দেখি একটা ফর্ম সেই ফর্ম পূরন করতে থাকি ব্যাচ নম্বর কত দিব সেটা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই তখন রেজিস্টেশন টিমের সহায়তায় ১৮ তম ব্যাচে রেজিস্টেশন করি। কিন্তু সেশন চর্চা ক্লাসে কিভাবে যুক্ত হব সেটা জানতাম না। ১৮ তম ব্যাচের সেশন ক্লাস শেষ হয়ে ১৯ তম ব্যাচ শুরু হয়ে যায়। ১৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে Atiur Rahman ভাইয়ের পোস্টে কমেন্ট করি সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত করে দেওয়ার জন্য। ভাই আমাকে ইনবক্সে মেসেজ দিতে বলে। আমি ভাইকে নাম ঠিকানা দিয়ে মেসেজ দেই। পরে ভাই Jannatul Mawa আপুকে এবং ইনায়া ইসলাম বৃষ্টি আপুকে আমার কথা বলে। বৃষ্টি আপু আমাকে যাত্রাবাড়ী ডেমরা থানা এবং ওয়ারী জোন মেসেন্জার গ্রুপে যুক্ত করে দেন। তখন থেকে এই পর্যন্ত সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত আছি । এই সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত হয়ে অনেক কিছু শিখেছি কিভাবে উপস্থাপনা করতে হয় , কিভাবে সবার সাথে কথা বলতে হয়, একজন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে কিভাবে গড়ে তুলব ইত্যাদি। প্রথম প্রথম সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত হতে ভালো লাগত না কিন্তু এখন প্রতিদিন সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করি
🌹আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাইয়া এবং আপুদেরকে । এছাড়া আমার ক্লাসমেট প্রিয় বন্ধুকে যার মাধ্যমে এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হতে পেরেছি।🌹
🌺আমার স্বপ্ন 🌺
আমার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে একজন ভালো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দিতে এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেশের বেকারত্ব দূর করা, মা বাবাকে সারাজীবন সেবা করতে পারি।
আমি পারবো ইনশাআল্লাহ। প্রিয় স্যারের অনুপ্রেরণায় আমি আজ আত্নবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে ওঠেছি। আমি পারবো কারণ আমার মা বাবার দোয়া আমার পাশে আছে, আর আছে প্রিয় এই পরিবারের লক্ষ লক্ষ ভাই বোনের দোয়া ও ভালোবাসা।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৯২
তারিখ ০৩-১১-২০২২ইং
আমি মজিদ হোসেন রুমেল
বিএসসি ইন সিভিল ইন্জিনিয়ার
ব্যাচঃ ১৮
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারঃ ৯৫৮০৩
জেলাঃ ঢাকা
থানাঃ ডেমরা
জোনঃ ওয়ারী
পেইজঃ www.fb.com/engineershop01843731440
ভালবেসে সবাই আমার পেইজে লাইক দিয়ে পাশেই থাকবেন।
সবাই ভালো থাকবেন আমার জন্য দোয়া দোয়া রাখবেন। আমার গল্প থেকে যদি কেউ বিন্দু মাত্র অনুপ্রেরণা পান তবেই আমার সার্থকতা।
আল্লাহ হাফেজ