যে সেলারি পাই তা দিয়ে নিজের খরচ শেষে বাড়ীতে ২/৩ হাজার টাকা দিতে পারি।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
⭕⭕🌷আমার জীবনের গল্প🌷⭕⭕
আসসালামু আলাইকুম।
🌷সর্ব প্রথম আমি শুকরিয়া আদায় করছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের, যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সৃস্টি করেছেন এবং সুস্থ রেখেছেন।
লক্ষকুটি দরুদ ও সালাম প্রেরন করছি প্রিয় নবী সাঃ এর রওজা পাক মোবারকে।
⭕চিরকৃতজ্ঞ মা,বাবার প্রতি যাদের উছিলায় আজ এতো সুন্দর পৃথীবির আলো বাতাস উপভোগ করতেছি।
❣️❣️❣️ কৃতজ্ঞতা, সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক জ্বনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, তিনি তার মেধা শ্রম দ্বারা কিভাবে একজন ভালো মানুষ হবো, কিভাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হবো দিনের পর দিন আমাদেরকে সেই শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
এবং কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি অদম্য টাঙ্গাইল জেলা টিমের সকল ভাই এবং বোনদের প্রতি।
👇👇👇
🌺✅আজ আমি আমার জীবনের গল্প বলব ✅🌺
⏱️দয়া করে সকলেই একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন⏱️
🎀গল্প শুরু 🎀
🔻
মধ্যবৃত্ত পরিবারের ছেলেদের উপন্যাসের বই কিনে পড়তে হয়না।কারণ তারা নিজেরাই উপন্যাসের এক একটা চরিত্র।
🎤🎤🎤
🌷জন্ম ও পরিচয়ঃ আমি মোঃ আরিফুল ইসলাম (আরিফ) আমার জন্ম ১৯৯৬ সালে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার লাহিড়ীবাড়ী গ্রামে একটা মধ্যবৃত্ত মুসলিম পরিবারে। আমরা বাবা একজন কৃষক, মা গৃহিনী।
আমরা দুই ভাই আমি ছোট আমার কোন বোন নেই,
আমি, বাবা, মা, ভাই, ভাবী,ছোট একটা ভাতিজী এই নিয়ে আমার সুখের ঠিকানা।।।
🎄🎄🎄শৈশব ও প্রাথমিক শিক্ষাঃ আমার শৈশব কালটা বেশ ভালোই ছিল।প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে মসজিদের মাইকে হুজুরের ডাক শুনে, (মক্তবের ছাত্র ছাত্রীরা তোমরা তারাতারী মক্তবে চলে আসো) বাড়ীর পাশেই ছিল মসজিদ, মক্তব,ঘুম থেকে উঠেই দৌরে চলে যেতাম মক্তবে।হুজুরের পাশে বসতে হবে বেশি বেশি পড়া দিতে হবে। মক্তব শেষ করে বাড়ীতে এসে রেডি হয়ে গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে যেতাম বাড়ীর সকল চাচাতো ভাইয়েরা মিলে দলবেঁধে। স্কুল থেকে এসেই খেলাধুলা ছুটাছুটি। এভাবেই চলে যায় প্রাথমিক শিক্ষার সময়।প্রাথমিক শিক্ষা।
🔜মাধ্যমিক শিক্ষাঃপারিবারিক অবস্থা👇
আমাদের গ্রামে থেকে এক গ্রাম পরে একটা দাখিল মাদ্রাসায় ভর্তি হই,বাড়ী থেকে পায়ে হেটে ক্লাস করি। ছাত্র হিসেবে ভালোই ছিলাম,নিয়মিত ক্লাস করতাম ঝড় বৃষ্টি যাই হোক,ক্লাস মিস করার অভ্যাস ছিলনা। আমার বাবা তখন গেন্জি ছোটদের জামা কাপড়ের ব্যাবসা করেন,পাশাপাশি কৃষিকাজ করেন। নিজেদের জমিতে ধান, পাট, শাক সবজি চাষ, গোয়ালে গরু, সব মিলিয়ে ভালোই চলছে পরিবার। আমরা দু ভাই পড়াশুন করছি।এমতাবস্থায় বাবার ব্যাবসাতে বেশ কিছু টাকা বাকী পরে কাষ্টমারের কাছে, বাকী টাকাগুলো ঠিকমতো উঠাতে পারছিলনা, বাবা ছিলেন সহজ সরল একজন মানুষ কাউকে চাপ দিয়ে কৌশল করে টাকা উঠাতে পারতেননা।তাই ডিসিশন নেন ব্যাবসা বাদ দিয়ে কৃষিকাজটাই করবেন তাই শুরু করেন।এই ডিসিশন টা হয়ত আমাদের পরিবারে একটা দুঃস সময় টেনে আনে।⤵️
বড় ভাই এস এস সি পরিক্ষা দিয়েই লেখা পড়ার ইতিটানে, বাড়ীতেই থাকে তাকে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে বললে তিনি জানিয়ে দেন আর পড়াশুনা করবেননা।বেকার অবস্থায় চলতে থাকে তার জীবন, এদিকে বাবার ইনকাম শুধু সংসার থেকে।যা ইনকাম হচ্ছে তা দিয়ে পরিবার চালনো কষ্টসাধ্য হচ্ছে।
কিছুদিন পর ভাই বাবার সাথে মাঝে মাঝে সংসারের কাজ কাম করেন বাকী সময় ঘুরাফিরা খেলাধুলা করে সময় কাটিয়ে দেন, কয়েকমাস এমন চলতে থাকে পরিবারে সমস্যাও বাড়তে থাকে,,, পরে ভাই কিছু একটা করবে এমন চিন্তা করে তার এক পরিচিত জনের সাথে সিলেটে যান একটা মোবাইল সিম কোম্পানির নেটওয়ার্কের কাজে, সেখানে কাজ করেন কিন্তুু যার অধিনে কাজ করেন সে মাসিক টাকা ঠিক মতো পরিশোধ করেনা তাই তিন চার মাস কাজ করে সেখান থেকে চলে আসে বাড়ীতে, পরে গাজীপুরে একটা টেক্সটাইল কোম্পানিতে চাকুরী নেন।
😅😅😅দেখতে দেখতে আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি,তখন আমাদের পরিবারে পিছুটান চলছে।এমন সময় আমাদের জমিজমা নিয়ে অন্য লোকের সাথে কিছু জামেলা ছিল যার সমাধান করতে অনেক টাকা খরচ হয়, পরিবার থেকে এতো টাকা দিতে না পেরে নিরুপায় হয়ে বেশ কিছু টাকা অন্যলোকের কাছ থেকে ধারদেনা ও ব্যাংক লোন করতে হয়েছিল।এমনিতেই বাবার অল্প ইনকাম ভাইয়ের নতুন চাকুরী দিয়ে পরিবার চালাতে কঠিন হচ্ছে সেখানে আবার ব্যাংক লোন ধারের টাকা সব মিলিয়ে বাবার চোখে মুখে কেমন যেন হতাশার ছাপ দেখা যাচ্ছিল,এগুলো দেখে আমার আর ভালো লাগতনা, যেখানে আমি ছোট সময় দেখেছি আমাদের প্রায় সব কাজই কাজের লোক দিয়ে করানো হতো সেখানে এখন বাবাই সব করছে, আমিও বাবার সাথে আমাদের জমিতে কাজ করি তখন আর কাজের লোক নেয়া হয়না তেমন।
😅 বাবা খুব পরিশ্রম করা শুরু করে, তখন আমাদের পরিবারে আর হাঁসি আনন্দ দেখা যায়না,বড় ভাই যা ইনকাম করে তার খরচ চালিয়ে তেমন কোন ভুমিকা রাখতে পারেনা পরিবারে।এমন সময় আমিও কিছুই করতে পারছিনা পরিবারের জন্যে। কারণ আমার তখনও পড়াশুনা আর বাবার সাথে বাবার কাজে একটু সাহায্য করা ছারা দুরে কোথাও যাওয়া নিশেধ।অনুমতি ছারা কোথাও গেলে আম্মার আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হতো। তাই ভয়ে কোথাও যেতামনা।
🎀🎀🎀এস এস সি পরিক্ষা দিয়ে বাড়ীতে আসিঃ
দাখিল এস এস সি পরিক্ষা শেষ করে যখন বাড়ীতে আসি, তখন থেকে আমি যেন মুক্ত পাখির মতো হয়ে যাই। ইচ্ছে মতো ঘুরাঘুরি, খেলাধুলা, কোন কিছুতেই যেন আর বাধা নেই চলছি আমার মতে করে । আমারও মনে হয় আমাকে আর কোন শাষন বারন করবেনা কোন কিছুতে কারণ তাদের বিশ্বাস হয়ে গেছে আমার দ্বারা এমন কোন কাজ হবেনা যার ফলে তাদের খেসারত দিতে হবে। এই বিশ্বাসটা হয় মুলত এই কারনে যে আমি ছোট সময় থেকেই নম্র ভদ্র স্বভাবের ছিলাম। বরাবর ক্লাসে ভদ্র ছেলে দু একজন থাকলে আমি ছিলাম তাদের একজন।
আমার কিছু কাজ এখনো কেউ কেউ বিশ্বাস করেনা।
১/আমি কোন দিন বিড়ি সিগারেট খাইনি, বাজে কোন আড্ডায় মিশিনি।
২/সিনেমা হল তথা নতুন কোন মুভি মুক্তি পেলে পাড়ার ছেলেরা টিকেট কেটে গিয়ে ছবি দেখে আসত,আমি এটা করিনি কখনো।
৩/আমার নামে এখন পর্যন্ত কারও কোন অভিযোগ নেই। বাবা,মা, এমনকি স্কুলের স্যারদের কাছেও দিতে পারেনি কেউ (আলহামদুলিল্লাহ)
✳️আর একটা বিশেষ গুণ আমার মাঝে আছে, আমার সাথে কারও সাক্ষাৎ হলে আমার আগে কখনও সালাম দিতে পারেনা।
😅😅আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন আমার দাদা মারা যান (আল্লাহ তাকে বেহেস্তনসীব করুক)একজন ভালো মানুষ ছিলেন,এলাকাতে দাদার শুনাম ছিল সবাই তাকে খুব সম্মান করতেন। দাদার উপকার আর ভালো মানুষিকতার কথা এখনও মানুষের মুখে শুনা যায়।এলাকার অনেকে বলেন আমার মাঝে দাদার অনেক গুণ আছে।তাই কেউ কেউ আমার দাদার নামে আমাকে সম্বোধন করেন।আর আমিও চাই দাদার গুন গুলো আমার মাঝে প্রতিষ্ঠিত করতে। আমি যখন থেকেই ভাল মন্দ বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই আমি মনে মনে পণ করেছি জীবনে এমন কিছু করবনা যাতে কেউ কোন দিন বলতে পারে ছেলেটা খারাপ। এটা আমি কখনও চাইনা।আর আমার দ্বারা কেউ কোন দিন কষ্ট পেয়েছে কারও কোন ক্ষতি হয়েছে এমনটা আমার মনে পরেনা। আলহামদুলিল্লাহ্
🌴🌴🌴আলিম তথা ইন্টারমিডিয়েট ভর্তি,
আমাকে পরিবার থেকে বলা হলো এখন কোথায় পড়াশুনা করবা।
আমার খুব ইচ্ছে ছিল ডিপ্লোমা করব মেকানিক্যাল বিষয়ে। কিন্তুু পরিবারের কথা চিন্তা করে, পরিবার খরচ চালাতে পারবেনা তাই ডিপ্লোমা করার স্বপ্ন টাকে মাটিচাপা দিয়ে দেই,অনেক স্বপ্ন দেখেছি কিন্তুু পুরন হয়নি কোন কিছুই। খুজতে শুরু করলাম কোথায় পড়াশুনা করলে খরচ কম হবে। পরিবার খরচ চালাতে পারবে এই চিন্তা করে ভর্তি হলাম মধুপুর আদর্শ ইসলামিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রসায়।
আমরা এক সাথে ৫ চাচাতো ভাই এস এস সি পাস করি ওদের দুজন মধুপুর শহীদ স্মৃতি কলেজে আর দুজন মধুপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। ওরা সবাই মেচে থেকে পড়াশুনা করবে,আমি বাড়ী থেকে আমার এক বন্দুর সাথে সাইকেল নিয়ে দুজনে ক্লাস শুরু করি।অনেক দুর তাই কষ্ট হয় কয়েক দিন ক্লাস করার পর আর সাইকেল নিয়ে যেতে ইচ্ছে করেনা,বাড়ীতেই বেশি থাকি বাবার সাথে কাজে সময় দেই। বাড়ী থেকেও তেমন কিছু বলেনা আমি যা করি তাই তারা মানতে রাজি। আমি টানা ৬ মাস ক্লাস করিনা কোন সেমিস্টার পরিক্ষা দেইনা।কিন্তুু আমার পরাশুনা করার খুব ইচ্ছে বাড়ীর সবাই পড়াশুনা করছে আমি কেবল টাকার জন্যে ভালো করে পড়া শুনা করতে পারছিনা।
বর্ষপরিবর্তন পরিক্ষা ২ মাস আছে ভাইকে বললাম দুই হাজার টাকা হলে পরিক্ষা টা দিতে পারতাম, ভাই বলে তুই পরিক্ষার জন্যে রেডি হ আমি দিব টাকা। আমি সব রেডি করে পরিক্ষার জন্য প্রস্তুুত হতে শুরু করলাম, আর ভাই আমাকে আরো বলল এখন থেকে প্রতি মাসে তোকে দুই হাজার করে টাকা পড়ার খরচ দিব তুই পারলে ম্যাচে থাকার ব্যাবস্থা কর। আমি ভাইকে আর কিছু বললামনা বুঝতে পারলাম হয়ত ভাই চাকরীতে আগের চেয়ে একটু বেশি বেতন পাচ্ছে। আমি খুশি হলাম ভাইর কথা শুনে, আমি এক চাচাতো ভাইয়ের ম্যাচে উঠলাম সাথে সিনিয়র তিন জন ছিল একসাথে থাকতে শুরু করলাম,বাড়ীর অবস্থা ভালো নেই তখন, এর মাঝে ব্যাংক লোন ও ধেনা টাকা পরিশোধ করার জন্যে জমি বন্দক লাগানো শুরু করে৪/৩অংশ বন্দক রেখেও শোধ হয়না।
ভাই আমাকে ২ হাজার করে টাকা দিত আমার ম্যাচে খরচ হতো সব টাকাই হাত খরচ লাগত কিছু আম্মা হাঁস মুরগি ডিম ইত্যাদি বিক্রি করে দু চারশ টাকা দিত মাঝে মাঝে যখন বাড়ীতে যেতাম।বাকী দু একশ টাকা লাগলে চাচাতো ভাই চালাতো ওর বাবা বিদেশ থাকত সব সময় টাকা থাকত ওর কাছে, কয়েক মাস পর ভাই যখন কিছু টাকা বেশি দিত তখন পরিশোধ করে দিতাম।
তখন খুব আফসোস হতো, চাঁনমিয়া স্যার, আজমত কাকা স্যার, বাবলু কাকা ওরাও ম্যাচের সদস্য, কিন্তুু ওরা মাস্টার্স এ পড়ত পাশাপাশি টিউশনি করে নিজেদের ইনকামে পড়াশুনা করত বাড়ীতেও টাকা পাঠাত।
তখন মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হতো আমি ওদের মতো করতে পারলে আপাতত ভাইর টাকাটা বাড়ীতে দিতে পারত। মুলত তখন থেকেই নিজেই কিছু করে পড়াশুনা করব পরিবারের কিছুটা দায়িত্ব নিব এমন আইডিয়া আসে। আলিম ফাইলাল পরিক্ষা শুরু হয় পরিক্ষা দেই আর চিন্তা করি পরিক্ষা শেষ হলে মধুপুরেই থাকব একটা কাজ বের করব বাড়ীতে গিয়ে কি করব। কোন কাজ পাইনি চলে আসি বাড়ীতে ২ মাসের মতো বাড়ীতে থাকি পরে আমার ফুপুর সাথে কথা বলে ফুপুর ভাতিজা নারায়ণগঞ্জ থাকে তিনি আমাকে ওখানে যেতে বলে একাই চলে যাই, আমাকে আদমজী ইপিজেডে একটা কোম্পানিতে রিপোটার হিসেবে চাকরী নিয়ে দেন।তার সাথেই রাখেন আমাকে তিনিও ওখানে জব করেন, তিনি ঔ অফিসের একজন বস ছিলেন। জয়েন করি চাকরীতে ১ম মাসে সেলারি পাই সাথে ঈদুল আজহার ছুটি ৯ দিন বাড়ীতে আসব জীবনে ১ম ইনকামের টাকা হাতে পেয়েই আমি অনেক খুশি বাসায় গিয়ে ঔ ভাইকে বলি আমার সাথে একটু মার্কেটে যাবেন, ওনি প্রথমে আমাকে একটা দমক দেন টাকা পেয়েই মার্কেট করতে হবে ওনি বুঝতে পারেনি মনে করেছে আমি আমার জন্যে মার্কেট করব। তখন বলে কি কিনবা, বললাম আম্মার জন্যে একটা কাপড়,এক জোরা জুতা, আব্বার জন্যে একটা লুঙ্গি আর একটা গামছা। তখন বলে আগে বলবাতো আমি মনে করছি তোমার জন্যে কিনবা।আমাদের ফ্লাটের সামনেই সোনামিয়া মার্কেট ১ মিনিট লাগে ওনি বললেন আমি যাবোনা কাপড় কিনতে পারিনা আমি।পাশের বাসার দুই ভাবীকে পাঠালেন আমার সাথে,মার্কেট শেষ করে রাতে বাড়ীতে আসব দুই জন একসাথে ঔ ভাইটার বাড়ী গোপালপুরে,।
পরদিন মা বাবার হাতে সে গুলো তুলে দিলাম মা বাবা দুজনেই বলল এসব আনতে বলছে কে, তোর জন্য কি কিনছস বললাম শার্ট কিনছি শুধু। 👇👇
🔻🔻🔻ঈদের ছুটি কাটিয়ে আবার চলে আসলাম এসে ডিউটি শুরু করলাম, কিন্তুু চাকরীটা ভালো লাগছে না সারাদিন শুধু খাতা কলম নিয়ে ফ্লোরে ঘুরাঘুরি চিন্তা করি অন্য কিছু করব ভর্তি হই কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে চাকরী ট্রেনিং দুটাই চলে ছয় মাস এমন সময় অন্য একটা জব হয় গাজীপুরে ১২ তারিখে জয়েন তাই রিজাইন দিয়ে আগের মাসের ৩০ তারিখ ডিউটি শেষ করে চলে আসি
কয়েক দিন বাড়ীতে থাকব সময় মতো জয়েন করব। কিন্তুু আমার কপাল খারাপ আমার সাথে পতারনা করে আমার জাগায় অন্যলোক নিয়ে নেয়। তাই জয়েন করা হয়না।
আবার শুরু হয় বেকার জীবন, বাড়ীতেই থাকি আগের চাকরীতে আবার ডাকা হয় কিছুদিন পরেই ফাযিল ডিগ্রি ১ম বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা তাই আর যাবোনা না করে দেই। পরিক্ষা শেষ করে চলে আসি ঢাকা। কয়েক জায়গায় সিভি জমা দেই কয়েক জাগায় ইন্টারভিউ দেই পরে ঢাকা ইপিজেড এর একটা চায়না কোম্পানিতে টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টে জব হয় শুরু করি নিজেকে নতুন করে তৈরি করার চেষ্টা।
যে সেলারি পাই তা দিয়ে নিজের খরচ শেষে বাড়ীতে ২/৩ হাজার টাকা দিতে পারি।এদিকে পরাশুনা চালু রাখি মাঝে মাঝে স্যারদের সাথে যোগাযোগ রাখি সাজেশন কালেকশন করি, এভাবে চলছে পড়াশুনা। নিয়মিত ডিউটি করছি পরিক্ষার সময় হলে অফিসে দরখাস্ত দিয়ে ছুটি নেই পরিক্ষা শেষ করে আবার ডিউটি শুরু করি, এ বিষয়ে ম্যানেজার স্যার,আমার ইনচার্জ আমাকে ভালো সাপোর্ট দেয়।
এটা হয়ত আমার ভালো ব্যাবহার আর ভালো কাজের ফল।👇👇👇
🔴🔴🔴প্রায় দু বছর অনেক কষ্ট হয় জব করা কারণ সেলারি যা পাই তাতে কোন রকম চলে পরিবারের তেমন কোন উপকার করতে পারিনা। আমাকে আমার অনেক কলিগরা মাঝে মাঝে বলত তুমি ভালো একটা ছেলে তুমিতো আরো ভালো জব করতে পারো এখানে পরে আছো কি জন্যে আমি কিছু বলতামনা চুপ থাকতাম বুঝতে দিতামনা কাউকে আমার অবস্থা, আমি কারও কথা কানে নেইনি, আমি বিশ্বাস করতাম এখানেই আমার জীবনের পরিবর্তন হবে। আড়াই বছর পর ঠিক তাই হয়। আমার এক বস চলে যায়, তার কিছু দিন পর আরেক বস চলে যায় অন্য জাগায়।কপাল খুলে যায় আমার, আমাকে এবং আমার এক কলিগ দু জনকে কাজের দক্ষতা দেখে দুই বসের দায়িত্ব দেয়া হয়, সাথে সেলারিও বাড়িয়ে দেয়া হয়।দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বাসের সাথে কাজ করে যাচ্ছি আশা করি আরোও ভালো কিছু করতে পারব আমার কাজের মাধ্যমে, এখন দুই ভাই মিলে পরিবারের সব ব্যাংক লোন ও ঋণ পরিশোধ করে জমি বন্দক ছারিয়ে নিজেরাই আবাদ ফসল করছি।
এবং আমার পড়াশুনা কামিল মাষ্টার্স শেষ করেছি। (আলহামদুলিল্লাহ্)
🔜🌷✅ফাউন্ডেশনে কি ভাবে যুক্ত হলাম। ✅🌺
চাকরী করার পরও চাচ্ছিলাম আরো কিছু করব তাই অফিস ছুটির পর বন্দুর স্টুডিওতে বসে মাঝে মাঝে কম্পিউটার টাইপিং চর্চা করি এবং ফটোসপের কাজ শিখি, হঠাৎ করে একদিন প্রিয় ইকবাল বাহার স্যারের (ইউ টিভি লাইভ) দেখতে পাই, আমার ভালো লাগে স্যারের কথা ঔ দিনই ভালোবেসে যুক্ত হই প্রিয় ফাউন্ডেশনে। স্যারের দু একটা সেশন পড়ি আরো ভালো লাগে স্যারের লেখা কথা গুলো মনে হয় আমাকেই বলা হচ্ছে তাই আর দেরি করিনা ❣️@ নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ১৮ তম ব্যাচে রেজিষ্টেশন করে ফেলি নিয়মিত সেশন ক্লাস করি ❣️এখন সপ্তাহে এক দিন সেশন ক্লাস পরিচালনাও করি, এবং টাঙ্গাইলের ২য় সম্মেলনে কন্টেন্ট রাইটিং টামে কাজ করছি এতে সাহস এবং ইচ্ছে শক্তি অনেক বাড়ছে বারছে দিন দিন, প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে প্রিয় স্যারের শিক্ষা ও সাহস নিয়ে আমার ইচ্ছা ও বাবার স্বপ্নটাকে প্রাধান্য দিয়ে ছোট করে গরুর ফার্মের কাজ শুরু করেছি এখন পরিপূর্ণ করার পালা,,, ভবিষ্যৎ এ বড় করার পরিকল্পনা আছে।যেন দু চারজন লোকের কর্মসংস্থান করতে পারি।
🌺🌺আর ফাউনন্ডেশন থেকে শিক্ষা নিয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চাই। নিজের বলার মতো একটা সফলতার গল্প যেন সবার মাঝে বলতে পারি।
সকলের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করছি।
যাদের কথা শুনে বেশি মুটিভেটেড হই।
১,❣️প্রিয় শিক্ষক ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার
২,❣️ইবনে সাইম রানা ভাই
৩,❣️খঃ ইসতিয়াক আহমেদ সজীব ভাই
গ্রুপে কাজ করতে যারা বেশি উৎসাহ দেয়।অদম্য টাঙ্গাইল জেলা টিমের দায়িত্বশীল ভাই বোন সকলেই সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এবং দোয়া কামনা করছি।
যাদের কাজ দেখে আমি বেশি সাহস পাই আমার কাজের আগ্রহ বেরে যায়।
দেওয়ান মামুন আব্দুল্লাহ ভাই
মোঃ আসলাম হোসাইন ভাই
অসংখ্য ধন্যবাদ সকলকে সময় নিয়ে গল্পটা পড়ার জন্যে। সকলের দির্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করছি। সকলের তরে রইল আমার দোয়া ও অফুরন্ত ভালোবাসা।
আল্লাহ সকলকে ভালো রাখুক।
আল্লাহ হাফেজ।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৯৩
তারিখ ০৪-১১-২০২২ইং
🌷ধন্যবাদান্তে🌷
মোঃ আরিফুল ইসলাম (আরিফ)
ব্যাচঃ১৮
রেজিঃ১০০০৩৩
উপজেলাঃ ঘাটাইল
জেলাঃ টাঙ্গাইল
ফাউন্ডারঃ এ এম এগ্রো