শুধু একটাই আফসোস, আগে কেন এই ফাউন্ডেশনের দেখা পেলাম না।
🌷🌷 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 🌷🌷
🌹আমার জীবনের গল্প🌹
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম।
প্রথমে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি জানাই লাখো কোটি দরুদ ও সালাম। বাবা-মা'র প্রতি অফুরন্ত সালাম ও কৃতজ্ঞতা।
এরপর শ্রদ্ধা, সালাম,ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই--- এ-যুগের লাখো তরুণের হৃদয়ের স্পন্দন, সাফল্যের স্বপ্নদ্রষ্টা, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্যে যিনি রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে। যার অনুপেরনায় আমার মতো অনেকে ব্যবসা করা শুরু করে দিয়েছেন।
👉পারিবারিক অবস্থানঃ 👨👩👦👦
নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার,একটি দীপ হলো আমাদের কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন। সেই ইউনিয়নের একটি নিভৃত গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম।পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আমি ছিলাম সবার বড় এবং সবার আদরের।
মা-বাবা এবং তিন বোন ও দুই ভাই মিলে ছিল আমাদের পরিবার।
দাদা আমার জন্মের পরপর মারা যায় এবং দাদি মারা যায় আমার বয়স যখন ৯ বছর দাদি আমাকে অনেক ভালোবাসতেন যা এখনো আমাকে নীরবে কাদায়, তাই দাদি'র আদর ভালোবাসার কথা কখনো ভুলতে পারনি পারবোনা।তবে দাদী মারা যাওয়ার সময় আমার বাবা বাংলাদেশে থেকেও দাদিকে জানাযা ও কবর দিতে পারে নাই। তা আমাকে এখনো কাঁদায়। যা কোন দিন ভুলবার নয়।
কিন্তু আমার নানা ও নানি আমার মাকে ছোট রেখে মারা যান। তাই নানা ও নানির ভালোবাসা ও আদর ভাগ্যে ছিলোনা।কিন্তু আমার মায়ের পালিত মা এবং যাকে সব সময় নানি বলে জানতাম সেই নানির ভালোবাসা ছিলো মনে রাখার মতো যা আমি আজও ভুলতে পারি না। নানি মারা গেলো অনেক দিন হলো আজও নানিকে মনে পরে।নানি উপারে ভালো থাকবেন ।
👨👨👦 মা বাবাকে নিয়ে কিছু কথা :👈
❤️ ❤️আমার মা এর সম্পর্কে অল্প কিছু বলে শেষ করা যাবে না। আমি নিজেও একজন বাবা। সন্তানের জন্যে মা কি করে তা বলে শেষ করা যাবে না। আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা। "মা" আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি❤️❤️
❤️আমার বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কখনো অন্যের ক্ষতি হোক এমন কিছু করার চিন্তাও করতেন না, তবে নিজে ঠকেছেন অনেক বার। আমার মনে আছে ১৯৯৬ সালে আমার গ্রামের একজন বাবাকে বিদেশ পাঠানোর কাথা বলে অনেক টাকা নিয়েছিলেন।আর বাবার ফ্লাইট হবে বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। আমরা জানতাম বাবা বিদেশে আর তখন দাদি মারা যায়। আর ঠিক ১৫ দিন পরে বাবা ফিরে আসে বাংলাদেশে থেকেও দাদি কে মাটি দিতে পারেন নাই। বাবার সেই দিনের কান্না গুলো আমি ভুলতে পারনাই আজও।
তবে আমি সবার বড় হওয়ায় বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। এখনও বাবা-মা আমাকে একটু বেশিই ভালোবাসেন।👉👉শিক্ষা-জীবনঃ👈👈
খুব ছোট থাকতে সুন্দর করে ছড়া এবং কবিতা মুখস্ত করতাম, আমার যতটুকু মনে পড়ে, অনেকেই ছোট বেলায় আমাকে আদর করে ধরে ছড়া শুনতে চাইতেন। ৫ বছর বয়সে আমার স্কুলে যাওয়া, ছোট থেকেই পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী এবং ভালো ছিলাম। সেই জন্য শিক্ষদের কাছেও অনেক আদরের প্রিয়ছাত্র ছিলাম। ছোটবেলা থেকে সবার প্রশংসায় বড় হয়েছি এই জন্য হয়তো নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটাও একটু বেশি।
পঞ্চম শ্রেণিতে ৫তম হয়ে ভর্তি হই হাইস্কুলে, আলহামদুলিল্লাহ, সবকিছু ভালো ভাবেই চলছিল, প্রত্যেক শ্রেণিতে ভালো ফলাফল করতাম, তারপর যখন নবম শ্রেণিতে ব্যবসায় শাখা নেই স্বপ্নছিলো বড় হয়ে ব্যবসা করবো।আজ স্বপ্ন পুরোন হতে চলছে সবাই দোয়া করবেন।
👉প্রবাস জীবন এবং দাম্পত্য জীবন :👈👨👩👦👦
২০০৩ সালে এসএসসি পাশ করে ভর্তি হই ঢাকা লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
কিন্তু দূরভাগ্যের বিষয় তখন আমার পরিবারে নেমে আসে এক অজানা বিপদ।
আমার একবোনের স্বামী প্রবাসী ছিলো আমার বাবাও তখন প্রবাসি কাছাকাছি থাকতো দুজন কিন্তু একটা এক্সিডেন্টে আমার বোনের স্বামী মারা যায় আর আমার বাবা তা দেখে সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে যায় একমাত্র উপার্জন করা বাবা যখন অসুস্থ তখন আমাদের পারিবারিক অবস্থা অনেক বিপদের মাঝে অতিবাহিত হতে লাগলো। আর পড়া হলো না কোন মতে এইচএসসি পাস করে পারি দিলাম প্রবাসে।
৯ টি বছর পার করে আসলাম প্রবাস থেকে।
আজও ভুলতে পারি নাই সেই দিনগুলোর
কথা।
আমি ৭ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে ছুটিতে বাড়ী আসি এসে বিয়ে করি পাশের গ্রামে।৪ মাস থেকে চলে যাই বিদেশে তারপর শুরু হয় আরেক জীবন। ওখানে গিয়ে আগের মতো কাজ নাই ঠিক মতো বেতন পাইনা কি যে অবস্থা বলে বুঝানো সম্ভব না। তারপরে ৩ মাস পর আমার অনাগতো সন্তান মায়ের গর্ভে নষ্ট হয়ে যায়। মনে অনেক কষ্ট পাই জীবনে কি আছে যদি একজন সন্তান না থাকে।এভাবে জীবনে চলে আসে অনেক সমস্যা যা সমাধান করার মতো সামর্থ্য আমার ছিলনা। প্রায় ২ বছর কষ্ট করে চলে আসি দেশে ধরতে গেলে শূন্য হাতে। কিছু দিন অপেক্ষা করে একটা ফার্মেসী চালু করার চেষ্টা করি কিন্তু পুজির অভাবে একটা সময় বন্ধ করে দেই ফার্মেসী। বাবার সাথে জমিতে চাষাবাদ করতে থাকি তখন আমি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন সাথে যুক্ত হই।কিন্তু নিয়মিত ছিলাম না মাঝে মাঝে দেখতাম বুঝতে পারছিলাম না কিছু ই।একটা সময় নিয়মিত সেশন পাঠ করতে থাকি এবং সেশন চর্চা ক্লাস করতে থাকি অনেক কিছু বুঝতে পারছিলাম।
👉 নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন
👉প্রিয় ফাউন্ডেশনের দেখা,,,,
সারাবিশ্ব যখন নতুন এক মহামারীতে থমকে গেছে ঠিক তখন আমি নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। আমার সময় যেন শেষ হচ্ছিল না, অলস সময়ে ফেসবুক, ইউটিউব ভিডিও দেখতে গিয়ে চোখে পড়তো গ্রুপের পোস্টগুলো। আর আমার চিন্তা ধারা পরিবর্তন হতে লাগলো আমার পুরনো স্বপ্ন মনের ভীতর ওকি মারলো। আমি যখন বেকারত্ব নিয়ে দিন পার করছি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না।আমি অনেকটা একাকিত্ব ভাবে দিন পার করতে থাকলাম দিন কোন ভাবেই যাচ্ছিলো না। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম একজন উদ্দোক্তা হবো। লেগে গেলাম কাজে কি করবো ভেবে পাচ্ছি না অনেক চিন্তা করে নারায়ণগঞ্জ রিয়ারভিউ মার্কেট থেকে ১৭ হাজার টাকার শীতের কাপর নিয়ে বিক্রি করতে গেলাম গাউছিয়া মার্কেট এর ছাদে মঙ্গলবার অল্প টাকা বিক্রি করলাম। পরিচয় হলো অনেকের সাথে তাদের মাঝ থেকে একজন ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়। ওনার কাজ থেকে ১০ হাজার টাকার টি-শার্ট নিয়ে আসি এবং জানতে পারি ওনার একটা মিনি গার্মেন্টস আছে। গিয়ে অবসর সময় বসে বসে মেশিন চালাইতে থাকি
এবং ইন্টারনেটে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলি তার মাঝ থেকে আমাদের নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর এক আজীবন সদস্য ভাইয়ের একটা মিনি গার্মেন্টস চালু আছে উত্তরা সেখানে চলে যাই এক মাস ট্রেনিং দিয়ে আসি এবং এদিকে অনেক মার্কেটে খুচরা টি-শার্ট বিক্রি করতে থাকি আমার লজ্জা ও ভয় কেটে যায়। নিয়মিত সেশন চর্চা ক্লাসে উপস্থিত থাকি সবাই উদ্যোগ নিতে বলে। আমি সাহস করে ৫ টা মেশিন নিয়ে শুরু করলাম মিনি গার্মেন্টস ব্যবসা প্রথমে অনেক সমস্যা হচ্ছিলো আলহামদুলিল্লাহ যেনো সফল হতে পারি। ধন্যবাদ
👉"নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে "না আসলে হয়তো অনেক কিছু অজানাই থেকে যেত। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং দোয়া স্যারের প্রতি। এমন চমৎকার একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করার জন্য।
আমরা নারায়নগঞ্জ জেলা টিমের দায়িত্বশীল এবং আজীবন সদস্য সবাই একহয়ে কাজ করছি, একে অপরের সহযোগী হয়ে ঠিক যেন আমাদের দ্বিতীয় পরিবার মনে করে।
ফাউন্ডেশন থেকে সবচেয়ে বড় পাওয়া হচ্ছে, নিজের পরিচয়, নিজেকে নিয়ে কিছু করার সুযোগ, নিজের নামের বর্হিপ্রকাশ।
শুধু একটাই আফসোস, আগে কেন এই ফাউন্ডেশনের দেখা পেলাম না।
সবশেষে আমাদের সবার প্রিয় স্যারের মূল্যবান বাক্য দিয়ে শেষ করছি।
" স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন, লেগে থাকুন, সাফল্য আসবেই - বাণীতে প্রিয় স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ।
"নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন"
আমার লেখার মধ্যে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৯৯
তারিখ ১২-১১-২০২২ইং
🤚আমি মোঃ আলী হোসেন । নারায়ণগঞ্জ থেকে কাজ করছি টি-শার্ট নিয়ে ।
পেজঃ https://www.facebook.com/profile.php?id=100063980684810
নামঃ মোঃ আলী হোসেন
ব্যাচ নম্বরঃ ১৩
রেজিষ্ট্রেশন নম্বরঃ ৫১৩৩৬
জেলাঃ নারায়নগঞ্জ
থানাঃ আড়াই হাজার