__কারো কথায় কান দেওয়া যাবে না।
✍️ আমার জীবনের গল্প ✍️
🥀 আসসালামুয়ালাইকুম 🥀
💞 দয়াময় পরম করুণাময়, আমার আল্লাহ মহান রাব্বুল আলামীনের নামে শুরু করছি যিনি আমাকে সৃষ্টি করছেন এবং এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।🌸
🥀 সৌভাগ্য আমার একজন মুসলিম নারী হিসেবে , আমার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত হয়ে নবীজির সবচেয়ে প্রিয় জায়গা সৌদিতে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছি বলে। আলহামদুলিল্লাহ 🌸
ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রান প্রিয় বাবা মায়ের প্রতি। কারন তারা না থাকলে আমি এই পৃথিবীতে আসার সুযোগ পেতাম না। বাবা মায়ের ঋণ কখনো পরিশোধ করা যাবে না।💞
💞 কৃতজ্ঞতা প্রিয় শিক্ষক। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রিয় শিক্ষক লাখো তরুণ তরুণীর , প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানুষের আইডল, পথপ্রদর্শক প্রিয় স্যার Iqbal Bahar Zahid 💞 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি স্যারের প্রতি। আপনি আমাদের একটি প্লাটফর্ম দিয়েছেন। শুধু তাই নয় দিয়েছেন বড় ভাই , বোন ও অনেক স্নেহের মানুষদের। যেখানে পেয়েছি অনেক ভালোবাসা । এই প্লাটফর্ম পরিবারের মতো । একে অন্যের সঙ্গি হয়ে পথ চলতে পারছি। সত্যি বলতে স্যার ফাউন্ডেশন থেকে যা পেয়েছি এই ভালোবাসাগুলো লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না । 🥰
স্যার আপনার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক দোয়া রইল। আল্লাহ যেন আপনাকে সবসময় সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করুক এবং পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে আজীবন রাখুক। আল্লাহ আপনার বালা মুসিবত থেকে সকল বিপদ আপদ থেকে আপনাকে রক্ষা করুক। আমীন ,🌸
🥀🥀 জীবনের কিছু না বলা কথা তুলে ধরলাম । আশা নয় বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত পড়বেন। 🥀🥀 এবং আমাকে অনুপ্রেরণা দিবেন।🥀
🔥🔥 আমার ছোট্ট পরিচয় 🔥
আমি তানহা সুলতানা তন্নী, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানায় আমি বসবাস করি।
আমরা ১ভাই ২ বোন। বাবা বিগত ২৭-২৮ বছর সৌদিতে ছিল এখন বয়স হয়াতে ৪ বছর যাবত দেশে অবস্থান করছেন। মা গৃহিণী।
🌸 বিস্তারিত
প্রথমেই ২ জন মানুষের কথা না বললেই নয় যাদের ছাড়া আমি অপূর্ণ, আমার ছায়া হয়ে ছিল আমার বাবা আর মা। এই দুটি মানুষ আমার জীবনের একটি বড় অংশ। যাদের ছাড়া আমি কিচ্ছু কল্পনা ও করতে পারি না 🥀🔥
আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমি প্রথমেই আমার কষ্টের কথা গুলো বলি। কারন শেষ টুকু আনন্দ ও খুশি দিয়ে শেষ করবো ইনশাআল্লাহ।🔥🥰
🔥 আমার বাবারা ছিলেন ৫ ভাই। আব্বু ছোট থাকতেই আমার দাদি মারা যায়। সন্তানদের কথা চিন্তা করে দাদা আবার বিয়ে করলেন। আমার বাবার ভাগ্যে বাবর আদর ও ছিলোনা কয়েক বছর পর দাদা ও মারা যান। বাবা কে বড় করেছেন তার বড় ভাই ও আমার দাদি মিলে । যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হলো সৌদিতে পাঠিয়ে দিয়েছিলো। আমার বাবা প্রথম যখন সৌদিতে যায় তখন মাথায় দেওয়ার মতো বালিশ ছিল না ।।মাথার নিচে ইট দিয়ে ঘুমাতো। 😭
এই কথা শুনে কতো যে কেঁদেছি । এখনো লিখছি আর কাদছি। একটা মানুষ কতটা কষ্ট করছে। 😭 আল্লাহ আমার বাবাকে সুস্থ রাখুক আমীন। আমার বাবাকে নিয়ে লেখা শুরু করলে শেষ হবেনা। আমার বাবা মানুষের জন্য অনেক করেছে । উনি কষ্ট করে উপার্জন আরু ওনার সেজো ভাইরে দিয়েছে। জেঠা বলছিলো ভাই আমি ওজায়গা কিনবো তোরে ও কিনে দিবো । কিন্তু উনি বেইমানি করেছিলো আমার বাবা কষ্টের টাকা দিয়ে উনি ওনার নাম এ অনেক জায়গা কিনে পরবর্তীতে আমার বাবা দেশে আসলে যখন বলে ভাই আমার জায়গা আমাকে বুঝাই দেন। তখন তিনি উল্টায় যায় এবং তিনি বলে যে তোর কিছু নাই সব আমার। তখন আমার বাবা বলে আপনি না বলছেন আমার জন্য আপনি জায়গা রাখছেন তখন আমার জেঠা বলে যে তুই পারলে বুঝে নে তোর কিছু নাই। 😭 আমার বাবা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। তারপর ও ভাইরে কিচ্ছু বলেনাই । কিন্তু তারা অনেক কষ্ট দিয়েছে আমাদের।
🥰আমার মা কে নিয়ে কিছু কথা বলি।🥰
খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল। এতো প্যাচ বুঝতো না ।যখন জায়গা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল তার মাঝে আমার বাবার ফ্লাইটের তারিখ পড়ে গেছিল ।আমার বাবা সৌদিতে চলে গেছে ।কিন্তু আমার আম্মুর সাথে আমার জ্যাঠা ,জ্যাঠার স্ত্রী খুবই খারাপ ব্যবহার করেছে ।আমার আম্মুকে মারতে এসেছে তারপরও আমার আম্মু অনেক কষ্টে ছয় মাস ছিল ।এরপর যখন বেশি থেকে বেশি হয়েছিল আমার আব্বু ছয় মাস পরে এসে আমার আম্মুকে ভিসা পাসপোর্ট করে সৌদিতে আব্বুর কাছে নিয়ে গিয়েছিল। এবং আলহামদুলিল্লাহ সৌদিতে আমাদের জন্য হয় ।আমারও আমার বোনের তারপর যখন তিন বছর বয়সে দেশে ফিরে আসি ।আমরা ভেবেছিলাম তারা ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু তারা আবারো আগের মত ব্যবহার শুরু করেছিল ।প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করত ।আমাদের হুমকি দিতে তো তোদেরকে মেরে ফেলবো এরকম করে এমনকি আমাদের বাসার কারেন্টের লাইনও কেটে দিত অনেক কষ্টের পর এক বছর থেকে আমরা চলে গেছিলাম। মোট কথা তারা আমার মাকে এত কষ্ট দিয়েছে যে আমার মা এখনো মনে পড়লে কান্না করতে করতে আল্লাহর কাছে বিচার দেয়। 😭
🥀🔥এইবার আসি নিজের জীবনী নিয়ে 🥀🔥
ছোট বেলাটা সবার ই এক একটা স্মৃতির মেলা। ছোট বেলা খুব সুন্দর ও হেসে খেলে কাটিয়েছি।
আমার বাবা ছিলো আমার বন্ধু, আমার জীবন। আমার পৃথিবী আমার বাবা। আব্বু যখনি কল দিত দৌড় দিয়ে গিয়ে এই যে ফোন ধরতাম আর কাউকে দিতাম না। আমার বাবার ও ছোখের মনি আমি । কল দিয়ে কে কি করছে জিগ্গেস করলেই সবার আগে আব্বুর কাছে বিচার দিতাম । আব্বু আজকে ভাইয়া আমারে মারছে। আর ভাইয়ারে কি বকা দিতো 😁😁 আমি হাসতাম। সেই স্মৃতিময় আনন্দময় দিনগুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে গেল। আস্তে আস্তে বড় হয়ে গেলাম তারপরও বাবার প্রতি টান আর ভালোবাসা কোন অংশে কমেনি।
এখন আমি বড় হয়েছি । বর্তমান ডিগ্রি পড়তেছি। সাথে টুকটাক টিউশন আর আমার বিজনেস। আমার কাজ ই আমার ভালোবাসা।
যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন সৌদিতে কি যেন প্রবলেম হয়েছিল আমার বাবা নয় মাস যাবত টাকা পাঠায় নাই ।😭বেতনও দেয় নাই যেহেতু আমার বাবা কোন সুদ ঘুষ খেতো না এবং কি ব্যাংকে টাকা জমা রাখা পছন্দ করত না ।তখন আমাদের খুবই সমস্যা হয়েছিল তারপরও আম্মু কিছু টাকার জমিয়ে ছিল বলে আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালোভাবে চলতে পেরেছিলাম । তবে আমি আগে থেকেই কিছু টিউশন করতাম নিজের হাত খরচের জন্য।
তার কিছু সময় পরে আমার বাবা দেশে চলে আসছিল ।আজ সেই সময়টা ছিল আমাদের জন্য সবচেয়ে কষ্টের সময়। সেই সময় আমাদের প্রথম ২-৩ মাস ভালোই কেটেছিল কিন্তু তারপরে যেহেতু তিন ভাই বোন আমরা পড়াশোনার মধ্যেই ছিলাম পড়াশোনার খরচ প্লাস সংসার করার সব মিলিয়ে চলা হিমশিম হয়ে পড়ে। কোন ইনকাম সোর্স না থাকায় আমাদের অনেক চিন্তা বেড়ে গিয়েছিল ।তার উপরে আমার আম্মু অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে সব মিলিয়ে টেনশন এর মধ্যে আল্লাহকে স্মরণ করছিলাম। সেই সময়টাতে ২০১৮ সালের জুন মাসের দিকে আমি অনলাইন জগতে আসি আর তখন থেকে আমার অনলাইনে পথ চলা শুরু হয় প্রথমদিকে আমি কিছুই বুঝতাম না ও পারতাম না কিন্তু একজন বড় আপু ছিল মৌ আপু আমাকে ধরে ধরে সব বুঝিয়ে দিয়েছিলো।
কিন্তু প্রথম থেকে বড় ভাই হওয়া সুবাদে ভাই কখনো মোবাইল চালাইতে দিতো না ।এবং অনলাইনের এইসব কাজ কর্ম তেমন বিশ্বাস বা আগ্রহ দেখাতো না। তখন কেউ পাশে ছিল না সবাই বলেছিল যে পারবোনা ।হ্যাঁ একটা মেয়ে হয়ে এগুলো কি করতেছ ?এগুলা কি কোন মেয়ের কাজ একটা মেয়ে কিভাবে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ডেলিভারি দিতে পারে। কিভাবে মানুষের থেকে টাকা নিতে পারে এগুলো কোন ধরনের কাজকর্ম বিশেষ করে নিজের ভাই এবং আশেপাশের কয়েকজন এইভাবে বলতো কিন্তু আমার মা , বাবা সবসময় আমাকে খুবই সাপোর্ট করেছিল।
প্রথম দিকে বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে সবাই হাসি ঠাট্টা করত ।এভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করত যেহেতু আমার বাবা একেবারের জন্য দেশ চলে এসেছিল আমার বাবাকে তার ভাইরা কোন হেল্প করেনি কখনো বলে নাই যে তুই খেয়ে আছস নাকি না খেয়ে আছস । আমাদের এমনও সময় গিয়েছে যখন আমরা খুব কষ্ট করে চলেছি আমরা শুধুমাত্র ডিম ডাল ভাত খেয়েছি ।অনেক সময় বাসায় মাছ ছিল না অনেক কষ্ট করে আমরা চলেছি তারপরও কখনো নিরাশ হয়নি আল্লাহর উপর ভরসা করেছি।
তারপর মাঝখানে সময়টাতে আমি কারো কথায় কান না দিয়ে নিজের মতো করে কাজ করতে থাকলাম। আলহামদুলিল্লাহ অনেকটাই পরিচিতি পেয়ে গেলাম।তবে এর মাঝে আমার আইডি এবং একটা পেজ একদমই ডিলিট হয়ে গেল তখন এত কিছু বুঝতাম না যার কারণে ডিলিট হয়ে যাওয়াতে অনেক সমস্যা হয়েছিলো।তারপরও আমি নতুন করে আইডি এবং পেজ খুলে ছিলাম নতুন করে নিজেকে দাঁড় করিয়েছিলাম। এর মাঝে ২০২১ সালে আমার বিয়ে হয়ে গেল।
স্বামী হিসেবে জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি একজন সৎ মানুষকে পেয়েছিলাম ।🥰যে সব সময় আমার পাশে ছিল। আমাকে বুঝেছিল ।আমাকে শত কষ্টের মাঝেও একা ছেড়ে দেয়নি ।যখন তার পরিবার আগে থেকে জানতো আমি অনলাইন বিজনেস করি তারপরও তার ফ্যামিলি আমাকে বিয়ের পরে বলেছিল ।তোমাকে কোন বিজনেস করতে দেওয়া হবে না কিন্তু আমার একটাই কষ্ট লেগেছিল আমি এত কষ্ট করে এতটুকু আসছি।
আজ এত কষ্ট করে এতটুকুই এসে হেরে যাবো ?তাহলে কি আমার আর নিজের কিছু হবে না ।নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলাম না এভাবে খুবই কষ্ট লাগছিল আর কান্না করতে থাকলাম ।আর তখন আমার স্বামী সান্তনার হাত আমার মাথায় রেখে বলল তুমি চিন্তা করো না ।আমি তোমার পাশে আছি ।তুমি তোমার মত করে কাজ করো ।সেই কথার কারণে বাবা ছেলের মাঝে পরিবারের মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলো ।আর সেই দ্বন্দ্বের থেকে তার বাবা আমার সাথে খুব খুব খারাপ ব্যবহার করেছিল এবং আমাকে অনেক যা তা কথা বলেছিল। তারপরও আমি চুপ করে ছিলাম শুধুমাত্র স্বামীর দিকে তাকিয়ে ।কিন্তু তারা আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছিল। অনেক অত্যাচার করেছিল ।খারাপ কথা দিয়ে আমাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করেছিল। তারপরও আমি চুপ ছিলাম ।এমনকি ওই সময় কিছু মানুষ আমাকে বলেছিল আমি ভালোনা আমি বাজারের মেয়ে ।বেয়াদব খারাপ মেয়ে আমি অনলাইনে বিজনেস করি। এমনকি আমার শ্বশুর বলেছিল একদিন এই মেয়ে তোকে ছেড়ে চলে যাবে আমার হাজব্যান্ড কে বলেছিল তখন আমার হাজব্যান্ড চুপ করেছিল কিছু বলে নাই আসলে আমার একটাই কষ্ট ছিল আমি নিজে কিছু করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারা এই জিনিসটা বুঝতে না পেরে আমাকে যা তা কথা বলেছিল। তবে আমি আজকে বলতে পারি, আমি বুক ফুলিয়ে বলতে পারি যে আমি তাকে ছেড়ে যাই নাই তাকে পাশে রেখে আমি আজকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। 🌸💞আমার উপার্জিত টাকা দিয়ে কি করেছি একটু বলি আমি যখন কষ্ট করে ইনকাম করেছিলাম তখন কিন্তু কেউ পাশে ছিল না যখন ইনকাম করার টাকা আমার হাতে ছিলো নিজের পড়ার খরচ চালিয়েছি মাঝে মাঝে বোনের পড়ার খরচও দিয়েছি যখন আমার বাবা দেশে ফিরে এসেছিলেন। নিজের খরচ বোনের খরচ পাশাপাশি সংসারের টুকটাক করেছ সাহায্য করেছিলাম আমি চেষ্টা করেছিলাম আমার বাবা মায়ের পাশে দাঁড়াতে।
বাট কথা হচ্ছে যে তারা আমাকে কিছুই দেয় নাই যা করেছি । এবং যা এখন পর্যন্ত করেছি সব আমার এবং আমার স্বামীর টাকা আমাদের দুজনের কষ্টের ফল।
🌸আসলে আমি এত কষ্টের মাঝেও স্যারের প্রতিটি সেশন গুলা দেখতাম এবং নিজের মধ্যে সাহস সঞ্চয় করতাম।
,💞🌸 আনন্দের কিছু কথা।
সবচেয়ে কাছের মানুষ বাবা মা পাশে ছিলো।
স্বামী কে পাশে পেয়েছি। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা বলে শেষ করা যাবে না । আলহামদুলিল্লাহ যারা একসময় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে আজকে তারাই আমাকে বলছে তুমি কিভাবে সব শিখছো আমাদের ওশিখাও।
বড় ভাই যে কিনা কখনো সাহস দেয়নি সে এখন বলে তন্নী একদিন অনেক বড় হবে। আমার কথা শুনে বড় ভাই আপুরা বলে তুমি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছো ।এত সুন্দর ভাবে কথা বলছ ।কোন জড়তা নেই আমি চেষ্টা করি সব সময় ফাউন্ডেশনের মুখ উজ্জ্বল করতে।
🔥🔥 প্রিয় ফাউন্ডেশন এ যুক্ত🔥
২০২১ সালের দিকে বিয়ের পরপরই প্রিয় বড় ভাই মেজবাহ আহমেদ ভাইয়ের হাত ধরে এর ফাউন্ডেশনে যুক্ত হলাম ।তখন এমনিতেই ফাউন্ডেশনে ঘুরাঘুরি করতাম ।দেখতাম কে কে পোস্ট করে তাদের ।সেশন গুলো দেখতাম কিন্তু রেজিস্ট্রেশন করা আর হয়ে উঠলো না। তারপরে হঠাৎ করে ১৬ তম ব্যাচের ।রেজিস্ট্রেশন করে ফেললাম তারপর থেকে ফাউন্ডেশনের সাথে পথ চলা শুরু হলো পেয়েছি হাজারো ভাই বোন যারা দিয়েছে ভালোবাসায় স্নেহ বিপদে সাহায্য করেছিল ভুল হলে শিখিয়ে দিয়েছিল ।এবং তারা আমার পাশে থেকে আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।
একজন মানুষের কথা না বললেই নয় বড় ভাইয়ের দায়িত্বটুকু আমার প্রিয় মেজবাহ ভাই পালন করেছিল ।তাকে আমি শত বিরক্ত করলেও সে হাসি মুখে আমার প্রতিটি কথার উত্তর দিত। আমি তাকে আমার বড় ভাইয়ের মতোই মানি তাকে আমি আমার যে কোন কথার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তাকে একবার হলেও জিজ্ঞেস করি ।যে এই কাজটা করব কিনা আসলে আমি কৃতজ্ঞ এমন একজন ভালো ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে বিধায় আমি আজকে এতটুকু আসতে পেরেছি।
🔥🌸 উদ্যোক্তা জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি ।
🌸তার মধ্যে দুটি সমস্যার কথা বলি
🌸প্রথমত অনেক পরিচিত কাস্টমার প্রডাক্ট নি তো কিন্তু টাকা দেওয়ার বেলায় মোবাইল অফ করে রাখত বা কোন যোগাযোগই করত না এভাবে অনেক টাকায় লস গেল তারপরও আলহামদুলিল্লাহ।
🌸দ্বিতীয় সমস্যাটা হলো ডেলিভারি দিতে যাওয়াটা কেউই ভালো চোখে দেখত না ।আসলে আমি চেয়েছিলাম আমি আমার প্রতিষ্ঠানের সকল সার্ভিস দিতে । আমি শুধু আমার প্রতিষ্ঠানের ওনার না ,আমি আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আমি আমার প্রতিষ্ঠানের সব আমি চেয়েছিলাম আমার প্রতিষ্ঠান টাকে আমার সন্তানের মত করে বড় করতে। তবে আলহামদুলিল্লাহ শত বাধা বিপত্তির পরও আমি পেরেছি আমার পরিচয়টুকু তুলে ধরার জন্য মোটামুটি ১০ জনের কাছে না হোক অন্তত নয় জনের কাছে আমি পরিচিত একজন। আলহামদুলিল্লাহ।🔥🔥
♥️সবার উদ্দেশ্যে কিছু কথা♥️♥️
নারী মানেই যে কিছু করতে পারবো না ।এইটা কিন্তু মোটেও ভাবা যাবে না। এই চিন্তা সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে নারী মানেই হচ্ছে শক্তি ।কারন নারীরাই পারে ঘরের পাশাপাশি বাহিরে জগৎটাকেও সামলাতে। পুরুষের পিছনে একজন নারীর অবদান সবচেয়ে বেশি। তাই বলে নারীরা একা কিছু করতে পারবে না ।তা না নারীরা অবশ্যই একা করতে পারবে ।শুধু ভরসা করার মত একটি হাত ই যথেষ্ট ভরসা করার মতো একটি প্ল্যাটফর্মে যথেষ্ট ।একজন নারী জীবনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে যা যা করা দরকার সব করতে পারবে আমি মনে করি। যারা সত্যিকার অর্থে কিছু করতে চাও
🌸 প্রথমত__ নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হও নিজে নিজেকে অনুপ্রেরণা দাও 🌸দ্বিতীয়ত ----- বাবা-মায়ের সাথে ভালো ব্যবহার করো বাবা-মার থেকে অনুপ্রেরণা নেও দোয়া নেও । কারণ তোমার সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে তোমার বাবা-মা ।তোমার বাবা-মা যদি তোমাকে অনুপ্রেরণা দেয় পৃথিবীর আর কারো কোন অনুপ্রেরণা দরকার নাই ।কারণ তুমি যে তোমার শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা নিয়ে চলছো।
🌸তৃতীয় __কারো কথায় কান দেওয়া যাবে না। নিজে যা করছো চুপচাপ করে যাও খারাপ মানুষরা পিছনে অনেক কথাই বলবে কিন্তু সামনে এসে কথা বলার সাহস পাবে না। কিন্তু কখনো কখনো দেখা যায় যে কিছু মানুষ সামনে এসে অনেক কিছু বলে যাবে চুপ করে নিচের দিকে তাকিয়ে চলে এসো ।একটা সময় ওই মানুষটাই তোমার সামনে এসে বলবে তুমি এতটুকু পরিবর্তন হলে কিভাবে ঠিক এই প্রশ্নটার উত্তর দেওয়ার জন্য যেদিন আপনাকে অপমান করেছিলো সেদিন চুপ থাকুন।
🌟🌟বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ♥️
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৯০০
তারিখ ১৩-১১-২০২২ইং
আমি তানহা সুলতানা তন্নী
ব্যাচ ১৬
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ৭৭০৭৮
চাঁদপুর,হাজীগঞ্জ
কাজ করছি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ও মেকআপ আইটেম নিয়ে।
প্রতিষ্ঠান Little Wish By