একজন মানুষের জীবনে অসংখ্য ঘটনা থাকবে কিন্তু
<<<জীবনের গল্প>>>
🕋 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 🕋
🌹সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ
শুরুতে মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া যিনি আমাদেরকে আাশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন এবং অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন।
🤲তারপর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আমার পরলোকগত পিতা-মাতাকে যাদের জন্য পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখার এবং ভোগ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আল্লাহ যেন আমার মাতা-পিতাকে ক্ষমা করেন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস নছিব করেন।
🌹🌷শ্রদ্ধা জানাচ্ছি অসংখ্য তরুণের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর মত বিশাল বড় একটা পরিবার।
সেই সাথে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর সকল আজীবন সদস্যদের।
🌱জন্ম এবং শৈশবঃ
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার এক প্রত্যন্ত গ্রামে আমার জন্ম, ৫ছেলে এবং ১মেয়ের পর কৃষক মোহাম্মদ আলী এবং গৃহিনী সাজেদা বেগমের কোল জুড়ে ১৯৮৫ সালে আমার আগমন। শৈশব এবং কৈশোর সেখানেই কাটে আমার।
🌳পারিবারিক শিক্ষা এবং বেড়ে ওঠাঃ
সবার ছোট হওয়ায় আমি ছিলাম যেমন সকলের আদরের তেমনি আবার সবার আজ্ঞাবহ। যাহোক শৈশবটা সকলের ভালোবাসায় খুব আনন্দে কেটেছে আমার কিন্ত আমার কৈশোর.....
আমার সরলতা আর কিছুটা মেয়েলি কণ্ঠস্বরের জন্য বিভিন্ন সময় বুলিংয়ের স্বীকার হই যা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারতাম না। এজন্য আমার এই সময়টা কেটেছে বন্ধুহীন। অনেক রাত আমার নির্ঘুম কেটেছে, অনেক রাত নিরবে অশ্রুপাত হয়েছে। যা কখনো কোনদিন কাউকে বলতে পারিনি, এত বড় একটা পরিবারে থেকেও আমি ছিলাম ভীষণ একা। শুধু আমার এ অব্যাক্ত যন্ত্রণা অনুভব করেছিল আমার মা।
আমি ছোটবেলায় খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম
আমাদের একটা পারিবারিক শিক্ষক ছিলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম স্কুলে যাওয়া শুরু করিনি আমার বইও ছিলনা তখন ওই সময় ওই স্যারের কাছে সবাই পড়তো আমি বসে সবার পড়া শুনতাম। তখনই ক্লাস ফাইভের কবিতাগুলো শুনে শুনে আমি মুখস্ত করে ফেলতাম। কিন্তু আমার কৈশোরে সবার সাথে মিশতে পারতাম না তাই সবাই যখন খেলাধূলা করতো আমি তখন চুপচাপ খালের ধারে বসে ফুল, পাখি, প্রজাপতি, ঘাসফড়িং এগুলো দেখতাম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়া শেষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে আমি মরিয়া হয়ে উঠলাম সমাজের উপযোগী হয়ে উঠতে, আর তখন আমি পড়াশোনায় খারাপ হতে শুরু করলাম। ওই সময় আমি ক্লাসের পড়া বাদে উপন্যাস পড়তাম বেশি বেশি। চুরি করে ক্লাসের বইয়ের মধ্যে উপন্যাস পড়তাম, ক্লাস সেভেনে থাকতেই রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা পড়েছি,নাইনে থাকাকালীন সময়ে ম্যাক্সিম গোর্কির মা বইটা পড়েছি। বই পড়ার জন্য আমার ভাইয়ের হাতে অনেক মার খেতে হয়েছে আমার। এই সময়টা আবার হলে গিয়ে সিনেমাও দেখতাম এবং আজেবাজে বন্ধুর সাথে মিশতাম। ফলাফল কি হলো এস এস সি পরীক্ষায় আমি ফেল করলাম। তবে পরিবার থেকেই শিষ্টাচার এবং ভদ্রতাবোধ গড়ে ওঠে আমার। আমার এইট পাশ পিতা আমার মেজ ভাই এবং নোয়া ভাই বই পড়তেন। আব্বা পড়তেন মাসুদ রানা, নোয়া ভাই পড়তেন হুমায়ুন আহমেদ, মেজভাই রবীন্দ্রনাথ, শরৎ আর আমি সব পড়তাম।সেখান থেকেই আমার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। এর পর এস এস সি ও এইচ এস সি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে অর্থনীতিতে অনার্স ভর্তি হই।
❌জীবনের দুর্ঘটনাঃ
অনার্সে ভর্তির আগেই মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার মত কোন যোগ্যতা আমার হলো না এটা ভেবে।সেই সময়টা একাকী বোধ করতাম, আমার বন্ধু জালালের সাথে সবকিছু শেয়ার করতাম।২০০৭ সালে হঠাৎ আমার আব্বা মারা যায়, তখন মনে হয়েছিল আমার জীবন থেকে কিছু একটা হারিয়ে গেল। কয়েকমাস আমি খাবার খেতে পারতাম না আব্বার কথা মনে পড়তো। আমার আব্বা খুব ভালো স্টুডেন্ট ছিলেন কিন্ত আমার দাদা অসুস্থ ছিল পরিবারের হাল ধরার জন্য লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় তার। আমার দাদার দুই বিঘা জমি থেকে বাবা ২৫ বিঘা জমি কেনেন এবং এতোগুলো সন্তানকে মানুষ করেন শুধুমাত্র চাষ করে। কিন্তু তার শরীরটা যখন একটু খারাপ হয়ে যায় তখন খাবার চাইলে আমার ভাবিদের কেউ কেউ তাকে বকাঝকা করতো। এজন্যই আমি খেতে গেলে আব্বার কথা মনে পড়তো। আমার বড়ভাই কৃষক, মেজভাই টেইলারিং করেন,সেজভাই কৃষক, নোয়া ভাই ইন্জিনিয়ার আর আমার ইমিডিয়েট বড়টা আর্মি বোনটা বিয়ে হয়ে গেছে সে গৃহিণী। কিন্তু বাবা মারা যাবার পর আমার পড়াশোনার টাকা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়ে গেল কে দিবে আমার টাকা।আমি তখন কুষ্টিয়া থাকি। যাহোক এভাবেই সবার বকা শুনেও আমি পড়াশোনা চালিয়ে যাই।
ছোটবেলা থেকেই মানুষের জন্য কিছু করার একটা অদম্য ইচ্ছা আমার মধ্যে ছিল।অনার্সে উঠেই তাই একটা সংগঠনের সাথে যুক্ত হই। সংগঠনের লক্ষ্য ছিল সামাজিক সাংকৃতিক ভিত্তিমুলকে বদলে দিতে নতুন একটা অহিংস মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা। আর ওই সময়ে পেলাম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।তখন মার্ক্সীয় মতাদর্শ, সেমেটিক মতাদর্শ,ভাববাদী, বস্তুবাদী সকল মতাদর্শ নিয়ে চর্চা করা পাঠচক্রের আড্ডা গড়ে তোলা এবং সাংগঠনিক বিস্তারে ছিলাম নিবেদিত প্রাণ। তখন মা, ভাই, বোন, বন্ধু সহ বর্তমান সমাজের সবাই ছিল আমার বিরোধী। নতুন আদর্শ প্রতিষ্ঠার নেশা আমাকে পেয়ে বসেছিল। তাই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়, শ্রম এমনকি পৈতৃকসুত্রে পাওয়া সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে সংগঠনে তুলে দিয়েছিলাম। মনে হত পুরো পৃথিবীটাইতো আমার, এখানে আমার ব্যক্তিগত বলে কিছু থাকতে পারে না। সে সময় বাড়িতে আসলে কেউ আমাকে খেতে দিত না শুধুমাত্র আমার মা লুকিয়ে আমাকে খাবার দিতেন, কারন মায়ের ভালোবাসায় কোন স্বার্থ থাকে না।জানেন তো এগুলো আমাকে দুঃখ দিত না, কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার সেই লাইনের মত "আমি সহসা আমারে চিনেছি আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ।" এই সময়ের মধ্যে আমার অনার্স ও মাস্টার্স শেষ হয়। যা হোক ফিরে আসি সংগঠনের কথায় অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো যে শর্ষে দিয়ে ভুত তাড়াবো তার মধ্যেই ভুত ছিলো। আমার মত এরকম অনেক তরুণের রক্ত ঘাম আর শ্রম দিয়ে গড়া যে সংগঠন তার প্রতিষ্ঠাতা নিজের স্বার্থে এটাকে ব্যবহার করেছেন। সমস্ত টাকা নিয়ে কিছুই না করে বসে বসে শুধু খেয়ে আর বিলাসিতা করে ধ্বংস করেছে। ১০বছর পর যখন জানতে পারলাম তখন আর কিছুই করার ছিল না। স্বপ্ন আর বিশ্বাস সব ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। নতুন কিছু করার মত সাহস শক্তি কিছুই আমার ছিল না। অনেকবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছি কিন্তু পারিনি কারন জীবনটাকে অনেক বেশি ভালোবাসি মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে। কিন্তু জীবনটা এতো বেশি অসুন্দর আর গ্লানিময় হয়ে উঠেছিলো যে শামুকের মত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। জমিজমা সব বিক্রি করে দিয়েছি শুধু তাই নয় অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার করেছি, বোনের গয়না বন্দক রেখেছি, সমিতি থেকে লোন করে সংগঠনে দিয়েছি আবার বিশ্বাসটাও হারিয়ে ফেলেছি তাই একদম পাগলপ্রায় অবস্থা আমার। সে সময় আবারো পাশে পেয়েছিলাম আমার মমতাময়ী "মা"কে। ভাইয়ের সাথে কথা বলে ছোট একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দেন। তারপর আস্তে আস্তে ধারদেনাগুলো পরিশোধ করি। তারপর ২০১৮ সালে বিয়ে করি এবং ১০১৯ সালের ডিসেম্বরে আবার চাকরি পরিবর্তন করে মার্কেটিং এ চাকরি শুরু করি ঢাকা।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখানে আমার যে সেলারি দেওয়ার কথা তারচেয়ে ১১০০০টাকা কম দেয়। বিষয়টা নিয়ে প্রতিবাদ করায় এরা নানারকম শর্ত দেয় যা পুরন করা অসম্ভব।
🚼একটুখানি সুখের ছোয়াঃ
২০২০সালের ডিসেম্বরে আমার আঁধার জীবনে বহ্নিশিখা হয়ে আসে আমার একমাত্র কন্যা আভা।
এরপর যখন সংসার চালাত হিমশিম খাচ্ছি তারপর আবার করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করেছে তখন কোন দিশা পাচ্ছিলাম না। করোনা পরিস্থিতি ভালে হলে নতুন করে অনেক চাকরি খুঁজেছি কিন্তু পছন্দসই হয়নি।
🍀নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরুঃ
এরপর আমার পরিচিত সেই দাদা যে আমাকে ওই সংগঠনে সম্পৃক্ত করেছিলেন
(তিনি অনেক আগেই সংগঠন ছেড়ে দিয়েছিলেন আমার মত কিছুই তাকে হারাতে হয়নি এবং তিনি আমাকেও সংগঠন ছেড়ে দিতে বলেছিলেন)।
তিনি আমার দুঃখগাথা শুনে বলেছিলেন আপনার এ অবস্থার জন্য আমি দায়ী। আমি আপনাকে আর কোন কিছু দিতে পারবো কিনা জানি না তবে কিছু লিংক আপনাকে পাঠাচ্ছি আপনি এখান থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। তিনি আমাকে Utv Live এর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পের কিছু লিংক দিলেন।
কথায় আছে না আগুনে যার ঘর পুড়েছে সিঁদুর রাঙা মেঘ দেখেও তার ভয় করে।যাহোক সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও আমি তখন থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে দুইটা করে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প শুনেছি। এর প্রায় মাসখানেক পর নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন রেজিষ্ট্রেশন করেছি। ম্যাসেন্জার গ্রুপে যুক্ত হয়েছি। এরপর নিয়মিত সেশন চর্চা ক্লাস করি। কিন্তু মনের মধ্যে একটা সন্দেহ থেকেই যাচ্ছিল। মিরপুর মডেল জোনের অফলাইন মিটআপ তারপর খুলনা বিভাগীয় উদ্যোক্তা সম্মেলনে গেলাম এবং আস্তে আস্তে নতুন স্বপ্নের বীজ অংকুরিত হতে শুরু করলো। এজন্য আবারো আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে।
মা বাবার দোয়া সম্পর্কে স্যারের সেশনটা পড়ার পর মাকে ফোন করে বলেছিলাম চাকরি করে সংসার চালানো যাচ্ছে না তাই নতুন করে কিছু একটা করতে চাচ্ছি।
মা বলেছিলেন এজন্য তো টাকা লাগবে তোমার তো টাকা নাই। টাকা আগে ম্যানেজ করো তারপরে শুরু করো। ভেবেছিলাম এবার বাড়িতে গিয়ে সবার আগে মাকে জড়িয়ে ধরে বলবো মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি তারপর নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের কথা জানাবো এবং নতুন উদ্যোগ শুরু করার আগে মায়ের দোয়া নেব।
🌑আবারো দুঃসংবাদঃ
গত ৮ নভেম্বরে আমার ছোট্ট মেয়েটা আমার মাকে ভিডিও কলে ছড়া শুনিয়েছিল মা বলেছিলেন বাড়িতে এসো ভালো করে শুনবো। ১০নভেম্বর রাত্রে শুনলাম মা অসুস্থ জ্বর কিছু খেতে পারছে না কথাও বলতে পারছে না। ১১তারিখ শনিবারে সকালে আমার ভাইয়ের সাথে পরিবার নিয়ে বাড়িতে গেলাম, পরদিন রবিবারে মা আমাদের সবাইকে ছেড়ে পরপারে চলে গেলেন। মাকে সেবা করার এবং তার দোয়া নেয়ার সৌভাগ্য আমার আর হলো না। আজ নিজেকে বড় বেশি একা লাগে মনে হয় আমার মাথার উপর আর কোন ছায়া রইলো না। এখন প্রতিদিনই মাকে খুব বেশি মিস করি।
☀️নতুন করে বোধোদয়ঃ
একজন মানুষের জীবনে অসংখ্য ঘটনা থাকবে কিন্তু সময় থেমে থাকবে না, তা প্রতিনিয়ত বহমান। নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে আবারও নতুন করে ভাবনালোকের দ্বার উন্মোচিত হলো। এই ছোট্ট জীবন বড় হয়ে উঠবে তখনই যখন আমার মৃত্যুর পরেও মানুষের অন্তরে আমার ঠাই হবে। প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার প্রতিদিন যে পরিশ্রম করছেন সমাজের জন্য বিশেষ করে তরুণদের জন্য তা আমাকে নতুন করে বোধোদয় ঘটিয়েছে। এতকাল শুধু নিজের চাকরি নিয়ে ভেবেছি এখন চাকরির ক্ষেত্র তৈরির কথা মাথায় আসছে। আল্লাহ সহায় থাকলে আর বাবা মা বেঁচে না থাকলেও আপনাদের দোয়া থাকলে স্বপ্ন সত্যি হবে ইনশাআল্লাহ ।কারন সাহসী বা আত্মবিশ্বাসী হতে শিখে গিয়েছি প্রাণের এই ফাউন্ডেশন থেকে। এখন কাজ শুরু করে লেগে থাকা।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৯০৭
তারিখ ২৫-১১-২০২২ইং
🌷ফাউন্ডেশনে আমার পরিচয়🌷
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার পরিচয় দিচ্ছি, আমি
আতিকুর রহমান
১৯তম ব্যাচে যুক্ত হয়েছি
রেজিষ্ট্রেশন নং ১০৭৬৪৪
নিজ জেলা ঝিনাইদহ
বর্তমানে আছি মিরপুর মডেল থানাতে।
কাজ করছি আমার গ্রামের আখের গুড় নিয়ে।