ফাউন্ডেশনে এসে অনেক ভাই, বোন পেয়েছি, অনেক আত্নার আত্নীয় বন্ধু বান্ধব পেয়েছি
🌷🌷আমার জীবনের গল্প🌷🌷
❤❤️পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত হওয়ার গল্প❤️❤️
🌷🌷আশাকরি সবাই মনোযোগ দিয়ে সময় নিয়ে লেখাগুলো পড়বেন।
আসসালামু আলাইকুম
🌷সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি যিনি এখনো পর্যন্ত আমাকে সুস্থ রেখেছেন।
🌷লাখো কোটি দরুদ ও সালাম মহামানব, আমাদের দয়ার নবী হযরত মোহাম্মদ( সাঃ) আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি।
🌷অনেক অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা আমার বাবা, মায়ের প্রতি যাদের ওছিলাতে পৃথিবীতে এসেছি। যারা আমাকে লালন,পালন করেছেন।বড় করে তুলেছেন।
🌷কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার সকল শিক্ষক, শিক্ষিকার প্রতি যাদের সুশিক্ষায় দেশের একাডেমিক সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেছি।
🌷কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি আমার বেটার হাফ,অর্ধাঙ্গের প্রতি যার সাপোর্ট না থাকলে বিয়ের পর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হত না।
🌷অনেক অনেক সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রিয় শিক্ষক, প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।যার কারনে এত সুন্দর, বিশাল জ্ঞানভান্ডার পেয়েছি। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত শিখতে পারছি।
❤️❤️আমার পরিচয় ও পারিবারিক জীবন❤️❤️
আমার জন্ম টাংগাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার খরুরিয়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আমার নানাবাড়িতে। আমার মা আমার নানা,নানুর বড় সন্তান। আমিও আমার বাবা, মায়ের বড় সন্তান।নানা,নানুর বড় নাতনী হওয়াতে আদর, ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি পেয়েছি।
❤️❤️আমরা ৩ ভাই, বোন।আমার এক ভাই ও এক বোন।
❤️❤️আমার বাবা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই সচ্ছল পরিবারে বড় হয়েছি আল্লাহর রহমতে।
আমি আল্লাহর কাছে অলটাইম শুকরিয়া আদায় করি আমার বাবা,মা,পরিবারকে পেয়ে।
❤️❤️আমার ৬ বছর বয়স পর্যন্ত নানা বাড়িতে একমাত্র ছোট সদস্য আমিই ছিলাম।আমার ছোট খালামনি,ছোট মামা আমরা কাছাকাছি বয়সের হওয়াতে খুব আনন্দে দিন কাটতো।
❤️❤️আমার নানা ছিলেন গোপালপুর সুতী ভি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।আমার নানাকে সবাই দেবতার মতো সম্মান করতো।যে কোন বিষয়ে সবাই পরামর্শ নিত।দল, মত নির্বিশেষে সবাই সম্মান করতো।আমি আমার নানাকে কখনো কাউকে ধমক দিতে দেখিনি। লেখাপড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমার নানার থেকে। নানা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হবার সুবাদে স্কুলের বিভিন্ন সাময়িকীতে বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা লিখতেন,শিক্ষামূলক কবিতাও লিখতেন।
❤️❤️স্কুলে যখন ইদ, পূজার বন্ধ দিত। বিশেষ করে পূজার বন্ধ তখন নানা বাড়ি যেতাম। ওই প্রাইমারী স্কুলে পড়া অবস্থায় আমি আমার নানা,নানুর থেকে জীবনবোধ শিখেছি। আমার অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস ছিল আমার বাবা,নানা,আমার ছোট চাচা।
❤️❤️এত আদর ভালোবাসার মাঝেও কিছু কিছু বিষয় ছোট বয়সেই খুব মনে দাগ কাটতো।
❤️❤️আমার শিক্ষাজীবন ❤️❤️
আমার প্রাথমিক শিক্ষাজীবনের শুরু রাজাফৈর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।সেখানে কিছুদিন স্কুল করেছিলাম।৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে। তখন দাদু বাড়ি থাকতাম স্কুলে যেতে চাইতাম না। স্কুল বাড়ি থেকে অনেক দূরে ছিল। সবসময় ভ্যান পাওয়া যেত না তখন।ওই বয়সে হেটে যাওয়াও কষ্টকর ছিল।
❤️❤️আমার এখনো মনে আছে আমার মেঝ চাচা আমাকে কাধে বসিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতেন।
প্রথম স্কুল, দূরত্ব ওইসময়ে ছেলেধরার ভীতি ছিল সবমিলিয়ে স্কুলে যেতে ভালো লাগতো না।
❤️একটা ঘটনা এখনো মনে আছে একদিন স্কুলে যাবার পর প্রডন্ড ঝড়বৃষ্টি, বজ্রপাত শুরু হলো। স্কুলের কাউকে কিছু না বলে একা একা বাড়ি চলে আসি।আসার পর সবার থেকে বকা খেলাম।হেটে আসতেও ২০ মিনিট লাগে বাড়িতে।
[ ] ❤️❤️এরপর আমরা ১৯৯৪ সালে কালিহাতী চলে আসি।এসে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হই ৫৪ নং বেতডোবা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।এখানকার স্কুলের পরিবেশ অনেক ভালো লাগে।অল্পদিনেই বন্ধুত্ব হয়ে যায় কয়েকজনের সঙ্গে। স্কুলের ধরাবাঁধা নিয়ম কিছুদিন যাবার পর মানিয়ে নেই। যখন ক্লাস টু, থ্রিতে পড়ি তখনই মনে দাগ কাটে।
[ ] আমার ক্লাসের অনেক ছেলেমেয়েরা আর্ট, পারতো, গান পারতো,কবিতা পারতো আমি পারতাম না।
[ ] আসলে আমার গার্জিয়ানের এসবের প্রতি আগ্রহ ছিল না। কখনো বলেননি শেখাবেন।কিন্তু আমার মনতো খোলা আকাশ।তখনতো ছোট ছিলাম বাবা,মাকে বলতেও পারতাম না আমি আর্ট শিখতে চাই।আমাকে ভর্তি করে দাও।গার্জিয়ানদের জানালাম একসময় তারা বললেন ভালোভাবে লেখাপড়া করো।ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে গান,কবিতা,আর্ট শিখতে না করতেন😥
[ ] কিন্তু আমার মনে ওই ছোট্র বয়সেই চিন্তা ছিল আমি যেভাবেই হোক আর্ট শিখবো।তো আমার যে ফ্রেন্ডরা আর্ট করতো ওদের খাতা দেখতাম,ওদের দেখে দেখে অনেক কিছু শিখতে পারি।
[ ] ❤️❤️আমি মনে করি প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে জীবন গড়ার ফাউন্ডেশন একজন মানুষের। আমি আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ তারা আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। একটা সময় আমি মোটামুটি ভালো আর্ট শিখে গেলাম। আসলে আমার মনে ছোট থেকেই জেদ যা জানতে চাই,শিখতে চাই তা যে কোন ভাবেই শিখতে হবে।
এরপর ক্লাস ফোর,ফাইভে স্কুলের বিভিন্নধরনের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতাম অভিনয়, স্পোর্টস, আর্ট ইত্যাদিতে।
হাইস্কুলে উঠে পড়াশোনার পাশাপাশি রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তিতে প্রতি বছরই অংশ নিতাম।বিশেষ করে রচনা প্রতিযোগিতায় উপজেলায় প্রথম হতাম সবসময়ই। তো যারা উপজেলা লেভেলে ভালো করতো তাদের টাংগাইল সদরে প্রতিযোগিতা হতো।সকল উপজেলায় যারা প্রথম হয়েছে শুধু তারা অংশ নিতো।
আবার জেলা লেভেলে ভালো করলে বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়ে যেত তাদের।
কিন্তু আমাকে কে নিয়ে যাবে😥গার্জিয়ানের সাপোর্ট না থাকার কারনে আমি টাংগাইল গিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারি নি। তখন মনে হতো কবে যে বড় হবো একা একাই টাংগাইলে যেতে পারবো।আসলে যে কোন কাজে পরিবারের সাপোর্ট সবার আগে। আমার মনে হয় আমি এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে সাপোর্ট পেলে আরো ভালো কিছু করতে পারতাম।
যাহোক নিজের একার চেষ্টায় যা করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।
[ ] হাইস্কুল শেষ করে কালিহাতি কলেজে ভর্তি হলাম।ওখানে এসে মনে ইচ্ছে হলো এখন বিতর্ক করা শিখতে হবে। প্রাইমারী,হাইস্কুলে আগে কখনো বিতর্ক করি নি।কলেজের যে কোন প্রোগ্রামে স্টুডেন্টদের পক্ষ থেকে আমি স্পিচ দিতাম।কথা বলাটা খুব উপভোগ করতাম তখন।আমার ছোট চাচা আমাকে এ কাজে হেল্প করতেন।চাচা স্ক্রিপ্ট লিখে দিতেন কিভাবে কি বলতে হবে স্টেজে, মনে সাহস রাখতে হবে এগুলো বলতেন।
[ ] স্যার,ম্যামদের থেকে অনেক প্রশংসা পেয়েছি কলেজ লাইফে।কলেজে বিতর্ক করেছি।
[ ] ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা দিব কিন্তু সব জায়গায় পরীক্ষা দিতে পারি নি।
[ ] আমার দাদু স্ট্রোক করে প্যারালাইজড ছিলেন ৩ মাস। যে সময়টাতে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা ছিল ওই সময়টাতে দাদুকে নিয়ে সবাই দৌড়ের উপর ছিল এই হসপিটাল থেকে ওই হসপিটাল। আমার ছোট চাচা তখন অনেক বিজি দাদুকে নিয়ে বলতেও পারিনি পরীক্ষার কথা।
[ ] খুব ইচ্ছে ছিল ঢাকায় ভর্তি হবো ইডেন,তিতুমীর কলেজে।
[ ] কিন্তু পরিবার থেকে বললেন মেয়েদের এত দূরে থাকার দরকার নেই। নিজের জেলার মধ্যে যে কলেজ কাছাকাছি আছে সেখানেই ভর্তি হও।
[ ] যেদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাস্ট ডেট ফর্ম তোলার সেদিন ফর্ম উঠাই।সা'দত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য। আমার এক মামা পড়তেন ওখানে। ওনার সাথে আমার ছোট খালামনিকে সাথে নিয়ে প্রথমবার ক্যাম্পাসে যাই।
আসলে মামা আমার ছোট খালামনিকে ফোনে বলেছিলেন আগামীকাল ফর্ম উঠানোর লাস্ট ডেট। পরেরদিন খুব সকালে খালামনি কালিহাতী চলে আসেন আমাকে করটিয়া নিয়ে যাবার জন্য। আমি অনেক কৃতজ্ঞ মোশারফ মামা আর আমার ছোট খালামনির প্রতি ওইদিন ফর্ম না উঠালে আমার ১ বছর গ্যাপ যেত😥
অনার্স,মাস্টার্স খুব আনন্দের সাথে কমপ্লিট করেছি সা'দত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
আমাদের ৫ জনের একটা গ্রুপ ছিল ক্লোজ ফ্রেন্ডদের। লাইফে সবচেয়ে বেশি আনন্দ, ঘুরাঘুরি ক্যাম্পাস লাইফে করেছি।হলে ছিলাম আড়াই বছর। রুমমেটদের সাথে খুব মজা করে দিন কাটতো।হলে ২,১ জনের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল❤️
[ ] ❤️❤️হলে থাকার সময় ভ্যালেন্টাইনস ডে,বিভিন্ন অকেশনে প্রোগ্রাম হতো ওখানে অভিনয়ে অংশ নিতাম।সবার থেকে অনেক
[ ] প্রশংসা পেয়েছি ❤️
[ ] কিন্তু আফসোস এক জায়গায় রয়েই গেছে অনার্স, মাস্টার্স কোনটাতেই ফাস্ট ক্লাস পাইনি😥😥
[ ] অনার্সে ১২ মার্ক কম ছিল ফাস্ট ক্লাস থেকে, মাস্টার্সে ২ নম্বর এই আফসোস এখনো আছে 😥😥
❤️❤️আমার পেশাগত ও কর্মজীবন
বলে রাখা ভালো আমার যখন বিয়ে হয় তখন আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে ফাইনাল পরীক্ষা দিব।পরীক্ষার পর থার্ড ইয়ার,ফোর্থ ইয়ার,মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। বিয়ের পর লেখাপড়া করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। বিয়ের পর পর অনেক রিলেটিভ আমার বরকে বলতো বউকে কেন লেখাপড়া করতে দিবা,কেন পড়াতে হবে? পরে অন্যরকম হয়ে যাবে।চলে যাবে😁😁
আমার বর আমার সাথে এগুলো শেয়ার করতেন আর হাসতেন।আসলে বিয়ের আগে সবাই বলে জব করতে দিবে কিন্তু পরে সন্তান হবার পর কেউ করতে দিতে চায় না। এটাই আসল চিত্র।
বিয়ের পর আমি স্ট্রাগল করে লেখাপড়া করেছি। বিয়ের আগে হলে থাকতাম কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি,বাবারবাড়ি থেকে ক্লাস করতাম।সকাল বেলা সবাইকে খাবার সার্ভ করে খাইয়ে ভার্সিটিতে যেতাম।একেকজন একেক টাইমে খাবার খেত এভাবে আমার ১-১ঃ৩০ ঘন্টা সময় লাগতো সবাইকে খাওয়াতে।
নিজের সাথে নিজে পাল্লা দিতাম এই সময়ের মধ্যে সব কাজ কমপ্লিট করবো।তখন অধিকাংশ সময়ই আমার শ্বাশুড়ি মা অসুস্থ থাকতেন।চিকিৎসার জন্য ঢাকা গিয়ে অনেকদিন করে থাকতেন।আমি, আমার দাদী শ্বাশুড়ি,আর এক গৃহপরিচারিকা নিয়ে আমরা ৩ জন বাড়িতে একা থাকতাম কোন পুরুষ লোক ছাড়া।
এভাবেই দিন কেটেছে।লেখাপড়া এভাবেই করেছি।
ছোটবেলা থেকেই খুব ইচ্ছে ছিল নিজের পায়ে দাড়াবো, প্রতিষ্ঠিত হবো।
❤️ডিপ্রেশনের শুরুর আরেকটা প্রধান কারন হলো আমার মেয়ে হবার আগে আরেকটা সন্তান মিসক্যারেজ হয়ে যায়।
তখন আমি কুমিল্লার দাউদকান্দি থাকতাম। দাউদকান্দি থেকে জার্নি করে টাংগাইল আসি। তখন জানতাম না আমি প্রেগন্যান্ট।আসার কদিন পরেই মিসক্যারেজ হয়ে যায়।
ওই সময়টা লাইফের সবচেয়ে খারাপ সময় কেটেছে।কারো সাথে কথা বলতে ভালো লাগেনি তখন, কিছু ভালো লাগতো না,বিষণ্ণ থাকতাম তখন।ওই সময় কিছু কিছু মানুষের কথা বেশি কষ্ট দিত।তাদের থেকে মানসিক সাপোর্ট পাইনি।
মিসক্যারেজ হবার পর ৩ মাস পর আবার জানতে পারি মা হবো।
পুরো সময়টা খুব সাবধানে থাকতাম।প্রথম ৫ মাস কিছু খেতে পারিনি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।অনেক কষ্ট করার পর ১৯ নভেম্বর, ২০১৫ আল্লাহর রহমতে কন্যা সন্তানের জননী হই।
❤️❤️মেয়ে হবার আগ পর্যন্ত মেয়ের বাবার আগ্রহ ছিল জবের প্রতি কিন্তু মেয়ের হবার পর বলে কি দরকার।শ্বশুরবাড়ির লোকজনও বরকে বলে কি দরকার জব করার জব করলে মেয়ে লালনপালন করবে কে😥😥
তারপরও মেয়ে হবার আগে ও পরে আমি অনেকগুলো চাকরীর পরীক্ষা দিয়েছি।পরীক্ষার আগে বাবার বাড়ি চলে যেতাম তারপর ঢাকা গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসতাম।মেয়ে কিছুটা বড় হবার পরও কিছু পরীক্ষা দিয়েছি। খুব ইচ্ছে ছিল প্রাইমারী জব করার। কারন, সরকারী প্রাইমারী স্কুলের অবস্থা খুব শোচনীয় আকার ধারণ করেছে তখন।আমি যখন প্রাইমারী স্কুলে পড়তাম তখনকার মতো পরিবেশ কয়েকবছর আগে আর ছিল না। তখন ভাবতাম নিজে জয়েন করে যদি পরিবেশটা পাল্টাতে পারি।
বাট হলো না। আমার বর প্রাইমারী স্কুলে জব করতে দিবে না। বলে প্রাইমারীতে জব করলে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হবে।আসলে সে এটা বুঝতে পারে নি যে, সংসার,সন্তান সবকিছু সামলিয়ে অন্য জবের জন্য প্রিপারেশন নেয়া অনেক টাফ ছিল আমার জন্য। আর অন্যান্য জব অনেক চ্যালেঞ্জিং মেয়েদের জন্য। আমি কয়েকটি গর্ভমেন্ট চাকরীতে টিকেছি ভাইবাও দিয়েছি কিন্তু ফাইনালী টিকি নি।তখন মনে হতো আমার বর যদি সাপোর্ট করতো তাহলে কিছু হতো।
❤️❤️পেশাগত জীবনে একজন হোমমেকারই রয়ে গেলাম।তখন থেকেই ডিপ্রেশনের শুরু।মেয়ে হবার পর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভুগছিলাম।একেতো জব করতে পারিনি। একা মেয়ে সামলাতে হতো।মেয়ের সব কাজ। যখন বাবারবাড়ি থাকতাম আম্মা,ছোটবোন অনেক হেল্প করতো।আসলে আমার মেয়ে হবার পর আমার আম্মা অনেক কষ্ট করেছেন।যখন ও ছোট ছিল নাতনীকে গোসল করানো,ওর সব কাপড়,কাঁথা ধুয়ে দেয়া কোলে নিয়ে থাকা সবই আম্মা করতো।রাতে কান্না করলে কোলে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতো।আমার মা,আমার ছোট বোন,আমার ভাই আমার বেস্ট সাপোর্টার।
আর উল্টোদিকে কিছু লোকজন বলতো মেয়ে একটু কাঁদে কেন সামলাতে পারো না।মেয়ের ঠান্ডা লাগে কেন কি কর? কয়টা সন্তান মানুষ করছো, আমরা ছোট বাচ্চা নিয়ে এই এই কাজ করেছি।এটা করতে পারো না তাহলে সন্তান জন্ম দিয়েছো কেন??আরো অনেক কথা সেগুলো বলার মত নয়।আর আমি নেগেটিভ কথা বলতে পছন্দ ও করি না বাট পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য বললাম।
❤️❤️যারা এসব কথা বলতো তারা কেউ কখনো ১০ মিনিট সময়ের জন্য কোলে নিয়েও রাখেনি,খাইয়েও দেয়নি,গোসলও করিয়ে দেয়নি মেয়েকে,রাত জাগতাম যখন তখন কোলে নিয়ে রাখেনি।আমি শুধু চুপ করে কথা হজম করতাম।
আসলে সবকিছু মিলিয়ে অনেক বিপর্যস্ত ছিলাম তখন।
মনে হতো দূরে কোথাও যদি চলে যেতে পারতাম।কিছু ভালো লাগতো না তখন।মনে হত জীবন বৃথা। আবার মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবতাম মেয়েকেই সময় দিব চাকরী করার দরকার নেই।
❤️পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন খুব ভয়ংকর একটা রোগ।যারা এর ভুক্তভোগী তারাই বুঝতে পারে এই অবস্থা। ওই সময়টাতে কারো থেকে মেন্টাল সাপোর্ট পাইনি জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এসে গেছে।কেরিয়ার, সন্তান,সংসার সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত ছিলাম।
মনে হতো জীবনটাই বৃথা। কিছু করতে পারলাম না।
❤️❤️উদ্যোক্তা জীবনের শুরুঃ
মেয়ে অনেকটা বড় হবার পর তখন ভাবতাম কি করা যায়। তখন ফেসবুক স্ক্রল করতাম সবার পোস্ট পড়তাম, সবার পিক দেখে কমেন্ট করতাম।
[ ] অনেকগুলো ফেসবুক গ্রুপের সাথে এড ছিলাম।উদ্যোক্তাবিষয়ক অনেক গুলো গ্রুপে এড ছিলাম।অনেক আপুদের পোস্ট পরতাম তখন।সবার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগতো আমার।সবাই কত সুন্দর সুন্দর কাজ করতো।তখন ভাবলাম আমিও কিছু করবো।আমি যেহেতু টাই ডাইয়ের কাজ জানতাম অনেকটা তাই ভাবলাম আমিও টাই ডাই বাটিকের ড্রেস নিয়ে কাজ করবো।
[ ] কিন্তু তখন মনে হলো আগে কাজটা আরো ভালো ভাবে শিখে নেই। ২০১৯ এর ডিসেম্বরে বাসায় চলে আসি মেয়েকে স্কুলে দেয়ার সুবাদে। প্রতিটি উপজেলায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীনে আই জি এ প্রোজেক্টের আওতায় বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ৩ মাস মেয়াদি। বাসায় আসার পর একদিন উপজেলাতে গিয়ে খোজ নেই কবে নতুন সেশন চালু হবে।উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অফিস থেকে জানতে পারি আগে আবেদন করতে হবে ওখান থেকে সিলেক্ট করা হবে।
[ ] ওইদিনই আবেদন করি। ২ দিন পর ভাইবা দেই।কিন্তু যে স্যার ভাইবা নিচ্ছিলেন ওনি বলেন আপনি তো বাইরেও কোর্স করতে পারবেন। কিন্তু আমার জানামতে ঘাটাইল উপজেলায় কোন প্রতিষ্ঠান ব্লক,বাটিকের কাজ শেখায় না। শিখতে হলে ৩৫ কিলোমিটার দূরে টাংগাইল শহরে গিয়ে শিখতে হবে।
[ ] তখন আমি এই কথাগুলো যে স্যার ভাইবা নিচ্ছিলেন ওনাকে বলি।আমার কথা শুনে ওনি বুঝতে পারেন আমার কাজের প্রতি আগ্রহ আছে।তখন আমাকে সিলেক্ট করা হয়।
৩ মাস ট্রেনিং করার পর কাজ কিছুটা শেখা হয়। আসলে টাই ডাইয়ের সিলেবাস অনেক বড় আর ওখানে মূলত ভ্যাট রং দিয়ে বেশিরভাগ কাজ শেখানো হয়। ট্রেনিং নেয়ার কয়েকমাস পর ২০২০ এর শেষের দিকে ৩০০০ টাকার কাপড়,রং কিনে আমার বিজনেস শুরু করি আমি।শুরুতে নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য ড্রেস করতাম। তখন আশপাশের অনেকেই ড্রেস নিতো। মাঝে মাঝে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিতাম।হঠাৎ হঠাৎ সেল হতো।কিন্তু লেগে ছিলাম সেল না হলেও নিয়মিত পোস্ট দিতাম পরিচিতি বাড়ানোর জন্য। কিন্তু কাজ সবসময় করতাম না। দেখা যেত একমাসে কয়েকটা ড্রেস করতাম ওগুলাই পোস্ট দিতাম।আবার ২ মাস কোন কাজ করতাম না এভাবে কাজ করতাম।
❤️❤️❤️নিজের বলার মত একটা প্লাটফর্মে আসা এবং এখানে আসার পর আমার পরিবর্তনঃ
২০২১ এর ১২ ফেব্রুয়ারী ইউটিউবে বিভিন্ন উদ্যোক্তা বিষয়ক ভিডিও দেখছিলাম ভিডিও দেখতে দেখতে একপর্যায়ে স্যারের একটা ভিডিওতে আমার চোখ পরে। স্যারকে পরিচিত লাগছিল অনেকটা তখন মনে হলো স্যারকে টিভিতে খবর পরতে দেখেছি আগে।তারপর স্যারের পুরো ভিডিও দেখলাম দেখে খুব ভালো লাগলো।
বিশেষ করে স্যারের কথা বলার ধরনটা আমার ভালো লাগলো। কত সুন্দর করে ধীরে ধীরে স্যার কথা বলেন। এরপর সাথে সাথে ভিডিও যে গ্রুপ থেকে প্রচার করা হচ্ছিল আমাদের নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন তাতে সদস্য হিসেবে এড হই।
[ ] ❤️আমি যখনই ফ্রী সময় পেতাম তখনই স্যারের ভিডিওগুলো দেখতাম নিয়মিত।খুব অনুপ্রেরণা পেতাম।কিন্তু তখনো রেজিষ্ট্রেশন করে আজীবন সদস্য হই নি।
[ ] ❤️২০২২ এর ফেব্রুয়ারী মাসে তখন ১৭ তম ব্যাচ চলছে।১৬ ই ফেব্রুয়ারিতে এক আপু পোস্ট করেছিল ওনি রেজিষ্ট্রেশন করতে চান।তখন আমিও ওই পোস্টে কমেন্ট করি আমিও রেজিষ্ট্রেশন করতে চাই।তখন ইনায়া ইসলাম বৃষ্টি আপু রিপ্লে দেন ওনি রেজিষ্ট্রেশন করে দিবেন।তারপর ওইদিন রাতেই রেজিষ্ট্রেশন নম্বর পেয়ে যাই।
[ ] এবং ওইদিন ১৭ তম ব্যাচের ২০ তম সেশন চলছিল, প্রথম অংশ নেই সেশন চর্চা ক্লাসে।
[ ] প্রথম কয়েকদিন গ্রুপটা সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝতাম না যেমন এসওডি,কমিউনিটি ভলান্টিয়ার সহ অন্যান্য পদবী।সবাই বিশাল বড় বড় পোস্ট লিখতো অবাক হয়ে ভাবতাম এটা কতদিনে লিখেছে এত বড় পোস্ট 🙄🙄🙄
[ ] বিভিন্ন টিম সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।
[ ] তখন শুধু সবার পোস্ট পড়তাম আর নিয়মিত সেশন চর্চায় সময় দিতাম।আমি ১৭ তম ব্যাচে সবচেয়ে বেশি দিন উপস্থিত ছিলাম।২ দিন ছাড়া প্রতিদিন উপস্থিত থেকেছি সেশন চর্চায়।
[ ] ❤️❤️আমার পরিবর্তনসমূহঃ
[ ] ❤️১৭ তম ব্যাচে সবচেয়ে বেশি দিন উপস্থিত থাকার জন্য পেয়েছি সেরা উপস্থিতির পুরস্কার।
[ ] ❤️কথা বলার জড়তা কাটিয়ে ১৭ তম ব্যাচের সেরা স্পিকার নির্বাচিত হয়ে পেয়েছি সেরা স্পিকারের পুরস্কার।
[ ] ❤️ আগে কনটেন্ট লিখতে অনেকক্ষন ভাবতে হতো কি লিখব কি লিখব,এখন আর তেমন একটা ভাবতে হয় না। লেখা অটোমেটিক্যালি চলে আসে ভেতর থেকে।
[ ] ❤️যে কোন টপিক নিয়েও কথা বলতে পারি ঘন্টার পর ঘন্টা। বিরতি ছাড়াই।
[ ] আমাকে যদি বলা হয় সারাদিন রাত যে কোন টপিক নিয়ে বা কোন টপিক ছাড়া যা মন চায় তা নিয়ে কথা বলুন। আমি বলতে পারবো অনর্গল কথা। এই পরিবর্তনটা আমার নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে হয়েছে।
[ ] টপিক ছাড়াও এমনিতেও কথা বলতে পারি।
[ ] ❤️যে কোন বিষয়ে লিখতে পারি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা। এখন আর দাঁত কেটে ভাবতে হয় না আমাকে কি লিখবো।
[ ] ❤️ফাউন্ডেশনে যুক্ত হবার আগে কোনদিন বাবা,মাকে বলিনি তোমাদের ভালোবাসি এখন প্রতিদিনই বলার চেষ্টা করি বাবা,মা তোমাদের অনেক ভালোবাসি। আমার বাবা,মা, ভাই, বোন আমার বেস্ট সাপোর্টার ওনাদের জন্যই আজ আমি এখানে ❤️❤️❤️
[ ] ❤️১৭ ব্যাচে যুক্ত হবার পর হয়েছি উপস্থাপিকা।এটা আমার প্যাশন এককথায়।
[ ] সেশন চর্চায় উপস্থাপনা করেছি। ৩৬৫ তম সেশন চর্চা মেগা মিট আপ স্যারের উপস্থিতিতে উপস্থাপনা করেছি।
[ ] টাংগাইলের অফলাইন মিট আপে উপস্থাপনা করেছি।
[ ] ❤️❤️ফাইন্ডেশন থেকে সবচেয়ে বড় যে পাওয়া তা হচ্ছে অদম্য টাংগাইল জেলার ২য় সম্মেলন ও উদ্যোক্তামেলার উপস্থাপিকা হিসেবে ছিলাম। এটা আমার সবচেয়ে বড় অর্জন ফাউন্ডেশন থেকে। অনেক ফাইট করে এটা পেতে হয়েছে।
[ ] এজন্য সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো টাংগাইল জেলা প্রতিনিধি ও সেশন চর্চা ক্লাসের ও উদ্যোক্তা ক্লাবের সমন্বয়ক Kh Istiak Ahmed Shajib ভাইয়া,কোর ভলান্টিয়ার, জেলা প্রতিনিধি ও মডারেটর আমার প্রিয় লিডার ইবনে সাইম রানা ভাইয়া,টাংগাইলের প্রথম জেলা প্রতিনিধি আশিক আহম্মেদ ভাইয়া,জেলা প্রতিনিধি Md Jahir Islam ভাইয়া, জেলা প্রতিনিধি Md Iqbal Hossain, জেলা প্রতিনিধি Majedul Islam সহ অন্যান্য জেলা প্রতিনিধিরা।
[ ] আপনাদের সাপোর্টেই আমি উপস্থাপনার সুযোগ পেয়েছি।
[ ] প্রতিনিয়ত পাচ্ছি অদম্য টাংগাইল জেলা টিমের পক্ষ থেকে ভালোবাসা ও সম্মান।এজন্য টাংগাইল টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। টাংগাইলের বাইরের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে যাদের সাথে পরিচয় হয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
[ ] ❤️❤নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন কি নেই এখানে। এখানে সবই আছে এখানে এসে পেয়েছি প্রিয় মেন্টরকে,ট্রেইনার শিক্ষকদের, ব্যাচমেট বন্ধু, সহযোগী, লাখো ভাই, বোন কে।
[ ] যাদের থেকে অনবরত সম্মান পাচ্ছি। এখানে এসে জীবনের আনন্দকে খুজে পেয়েছি।
[ ] ❤️❤️প্রিয় ফাউন্ডেশনে যুক্ত হবার পর আমার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হচ্ছে আমি আগের চেয়ে অনেক বেশি সাহসী হয়েছি।আগে বিজনেসের জন্য বা যেকোন বিষয়ে রিস্ক নিতে ভয় পেতাম। কিন্তু এখন রিস্ক নিতে ভয় পাই না।
[ ] আগের চেয়ে উদ্যমী,সাহসী হয়েছি।নিজের ডিপ্রেশন দূর করতে পেরেছি। পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত হয়েছি।এখন হাজারো বাধা আসলেও ভেঙে পড়ি না।
[ ] আসলে এই প্লাটফর্মে এসে নিজের পরিবর্তন বলে শেষ করা যাবে না। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হয়ে যাবে। তাও লেখা শেষ হবে না।
🌷ইংরেজিতে নিজেকে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য আমাদের ফাউন্ডেশনের ইংরেজি ট্রেইনার Kamrul Riyad স্যারের থেকে শিখছি স্পোকেন ইংলিশও।
ভালো কন্টেন্ট যাতে লিখতে পারি সেজন্য কন্টেন্ট রাইটিং শেখার প্রতিও সময় দিচ্ছি।
🌷নিজের স্কিল ডেভেলপ করার জন্য যতটা সময় ব্যয় করি ততটা সময় অন্য কোন কাজে দেই না।
❤️❤️প্রিয় প্লাটফর্মে আসার পর যেভাবে ঘুরে দাড়াচ্ছিঃ
সত্যিকার অর্থে আমি ফাউন্ডেশনে রেজিষ্ট্রেশন করার কিছুদিন আগে থেকেই কাজ শুরু করে উদ্যোক্তা হয়েছি।তবে তখন কাজ করতাম শখের বসে।সিরিয়াসলি করতাম না। দেখা যেত এক মাসে টাই ডাইয়ের কাজ করতাম আবার ১ মাস কোন অর্ডার নিতাম না।আসল কথা তখন নিয়মিত ছিলাম না আমি। এখানে আসার পর আমি নিয়মিত হয়েছি।আগের থেকে বেশি সময় দিচ্ছি এখন।নিজের পণ্যে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছি।আনকমন ডিজাইন করার চেষ্টা করছি।পণ্যের গুনগতমান বজায় রাখার চেষ্টা করি সবসময়।
আলহামদুলিল্লাহ সেলও আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। আশাকরি, একসময় আমার নিজস্ব কর্মী দিয়ে আমি আমার সকল কাজ করাবো। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান করবো। আমি যখন একা কাজ করে হাপিয়ে যাই তখন আমার কাজে হেল্প করার জন্য ২ জন সহযোগী রয়েছে। ওরা ছাত্রী পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করছে।
আমার দ্বারা ২ জন মানুষ উপকার পাচ্ছে এতে আমার খুব ভালো লাগে।২ জন মানুষের ভাগ্য বদলাতে পারবো একদিন নিশ্চয়ই।
❤️❤️স্বপ্ন দেখি একদিন আমার সকল আশাই পূর্ণ হবে। সে লক্ষকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছি সামনের দিকে। চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজে ঘুরে দাড়ানোর জন্য, নিজের ভাগ্যকে বদল করার জন্য।
স্যারের একটা শ্লোগান"""স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন, লেগে থাকুন,
সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ।
এই শ্লোগানটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই আমি মূলত ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। এখনো করে যাচ্ছি।
[ ] জানি না কতটা সফল হতে পারবো আমি।
🌷🌷তবে আমি হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্রী নই।যে কোন পরিস্থিতিতে লেগে থাকার মানসিকতা আমি রাখি।অল্পতেই এখন আর ভেঙে পড়ি না। আমার ভীত আমি অনেক মজবুত করে ফেলেছি অলরেডি।
[ ] আমি চাই আমার"RK Boutiques-আর কে বুটিকস একদিন ব্র্যান্ড হবে সারাদেশের মানুষ একযোগে চিনবে।শত মানুষের কর্মসংস্থান করবো একদিন ইনশাআল্লাহ।
[ ] প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের শিক্ষাকে বুকে ধারন করে আজীবন বেঁচে থাকতে চাই আমি।
[ ] আজ আমি আমার ডিপ্রেশন দূর করে একটা সুন্দর লাইফ পেয়েছি এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমার ফাউন্ডেশন থেকে।
[ ] ফাউন্ডেশনে এসে অনেক ভাই, বোন পেয়েছি, অনেক আত্নার আত্নীয় বন্ধু বান্ধব পেয়েছি। পেয়েছি জীবনের সেরা বন্ধুদেরকে যাদের উৎসাহে আজ আমার এই পোস্ট লেখা।যারা প্রতিনিয়ত আমাকে ভালো কাজের জন্য সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন।
[ ] ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আমি আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
[ ] সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমারো তৈরি হবে একটা""""নিজের বলার মত একটা গল্প""""""
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৯০৭
তারিখ ২৫-১১-২০২২ইং
[ ] রোকসানা খান রুনা
[ ] ব্যাচঃ১৭
[ ] রেজিষ্ট্রেশন নম্বরঃ৮৭৯১৮
[ ] জেলাঃ টাংগাইল
[ ] বর্তমান অবস্থানঃ ঘাটাইল উপজেলা।
[ ] কাজ করছি টাই ডাইয়ের যাবতীয় পণ্য, হাতের কাজের ড্রেস,এপ্লিকের ড্রেস ও গ্লাসপেইন্টিং নিয়ে।
ওনারঃ@RK Boutiques-আর কে বুটিকস।