,আমি এখানে লেগে থাকলে অবশ্যই কিছু একটা অর্জন করতে পারবো।
💗নিজের ছোট্ট একটি গল্পঃ 💗🌹 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
❤️আসসালামু ওয়ালাইকুম ❤️
💐💐 নিজের বলার মতো গল্পে 💖💖আপনাদের স্বাগতম।💐💐
💖💖আল্লাহর গুণাবলি:
প্রথমে আমি আমার "মহান রব্বুল আলামিন" এর প্রতি কোটি কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।যিনি আমাকে এত সুন্দর পৃথিবীতে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।তিনি আমাকে সুস্থ রেখেছেন ।"আলহমদুলিল্লাহ"।💖💖
দরুদও সালাম:
💗💗দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী সাঃ এর প্রতি ও তার সাহাবী গণের প্রতি। যার অনুসরণে আমরা চলতে চেষ্টা
করছি। ইনশাআল্লাহ।💗💗
বাবা ও মায়ের কৃতজ্ঞতা :
💕💕বাবা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি, যারা আমাকে এই দুনিয়ার আলো দেখিয়েছেন এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।অনেক যত্ন করে লালন পালন করেছেন।💕💕
স্যারের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ:
🌷🌷কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মিন্টর, প্রিয় শিক্ষক,তরুণ তরুণীর আইডল জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।যার অক্লান্ত পরিশ্রম
করে ও বিনা স্বার্থে আজকে ভালোবাসার প্লাটফর্মে নিজের বলার মতো গল্পঃ তৈরি হয়েছে।🌷🌷
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা:
💐💐 নিজের বলার মতো গল্পে এই প্ল্যাটফর্মের সকল দায়িত্ব শীল ও আজীবন সদস্য হিসেবে কাজ করছেন সকল ভাই বোনদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। তাদের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইল।💐💐
শৈশবকাল:
🥺🥺আমি আমার বাবা মায়ের প্রথম সন্তান।
আমার জন্ম রাজবাড়ী,লক্ষিকুল গ্রামের মেয়ে। আমার জন্ম গ্রামে হলেও আমি ঢাকা তে বড় হয়েছি। আমি কিন্ডার গার্ডেন ৪বছর পড়াশোনা করেছি ।তারপর দক্ষিণ মুঃসেন্দি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করি।তবে আমি অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করি, আমার কোনো টিচার ছিলো না ।আমি যখন এস এস সি পরীক্ষা দিবো ,ঠিক তার একমাস আগে একটা কোচিং করেছি শুধু ধারণা নেয়ার জন্যে। আর এভাবেই করেই আমি এল এল বি অনার্স কমপ্লিট করি।🥺🥺
বৈবাহিক জীবন:
😔😔অনার্স শেষ হওয়ার এক বছর আগে আমার বিয়ে হয়।আমার বিয়ের আট মাসের সময় আমি অন্তঃসত্ত্বা হই।আমরা সবাই খুব খুশি।আমাকে সবাই অনেক যত্ন করেছে,,খেয়াল রেখেছে।
আমি বেশির ভাগ অসুস্থ থাকতাম ,কোনো কিছুই ভালো লাগতো না।আমি প্রতি মাসে চেক আপ করতাম মগবাজার আদ দ্বীন হসপিটালে ।মোটামুটি ভালো যাচ্ছিল সবকিছু।
🥺🥺ডাক্তারের পরামর্শ:
ডাক্তার রা সব সময় বলে যে বাচ্চাটা যেনো সারাদিন মিলিয়ে কমপক্ষে ১০থেকে১২বার নরা চরা যেনো করে।কিন্তু আমার ছেলে অনেক কম নরা চরা করত। সারাদিন রাত মিলিয়ে কমপক্ষে তিন চার বার নরা চরা করতো। আট মাস তেরো দিনের সময় আমি যখন চেক আপ করাতে যাই তখন আমার ছেলে একবার দুইবার নরা চরা করেছে ।ডাক্তার তাড়াতাড়ি ভর্তি করে ফেললো। আর 🥺🥺আমি তো শুধু কাদঁছি আর কাদছি।ওই দিন কিছুই খাই নি , আমাকে সিজার করবে বলে , একটু পানি ও পান করতে দেয় নাই।আমার বাচ্চার হার্টবিট খুঁজে পাচ্ছে না।
অনেক চেষ্টার পরও খুঁজে পাচ্ছে না।তারপর বিভিন্ন জায়গায় আমাকে পাঠানো হলো এবং টেস্ট দেয়া হলো।টেস্ট এ অনেক কিছু ধরা পড়লো। যেমন বুমেটিং,মাথা ঘোরানো, হাতে পায়ে ব্যাথা
পেসার হাই, হজম শক্তি কম, স্বাস কষ্ট, ইনফেকশন,মাইগ্রেন ওভার অল অনেক সমস্যা।
আমি শুধু কাদঁছি আর কলেমা,সূরা আর বেশি বেশি আল্লাহর নাম নিচ্ছি আর পাশাপাশি অনেক ভয়ও পাচ্ছি।ওই সময় আমার পাশে আমার আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ছিল না। ডাক্টার বললেন যে , যে কোনো একজন কে বাঁচাতে হবে,রক্ত লাগবে,তারপর আমার হাসব্যান্ড অনেক ভেবে চিন্তে বললো যে,আমার স্ত্রী কে বাঁচানোর জন্য।বাকিটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম। যাইহোক রাতেই সিজার করতে হবে।একথা শুনে আমার সারা শরীর কেঁপে উঠল এবং সমস্ত শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেলো।মনে করলাম আজকে মনে হয় আমি মারা যাব ,কারণ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন খবর শুনি যে, সিজার করতে যেয়ে মায়েরা মারা যায়।একথা মনে করে আমি আরো কান্না করছি।পরে এক পর্যায় সিজার হয়ে গেলো।এবং আমরা মা ও ছেলে দুজনেই ভালো ছিলাম ।সিজারের পরে যে কি যন্ত্রণা ,কি ব্যাথা একমাত্র আমার প্রিয় আপুরাই বুঝতে পারবে।
👏👏 সেই দিন ছিলো ৩০সে মে।আমার বড় ছেলে জন্ম হলো ফজরের আযানের সময়। ওকে চেক আপ এর জন্যে ডাক্তার এর কাছে নেয়া হলো ।সকালে সবাই আসলো আমাদের কে দেখার জন্য আমার আম্মু,আব্বু,ভাই, বোন ছোট , ও রাতেই চলে এসেছিল,দাদী ,শাশুড়ি আরও অনেকে।😥😥সারাদিন ভালই গেলো,এখন আমার ছেলে তো ঘুম ।ও আর ঘুম থেকে উঠছে না,নড়ছে না,, তাকাই না আমি তো অনেক ভয় পাচ্ছি।অনেকে বললো যে, নবজাতক শিশু এখন শুধু ঘুমাবে। কিন্তু আমার ছেলে সন্ধার পর থেকে নিয়ে রাত নয় টা পর্যন্ত কোনো সাড়া শব্দ নেই।এখন আমি ওকে জর করে ডাকছি, ধাক্কা দিচ্ছি।
😥😥 ও হঠাৎ নরা দেয়ার পর আমি দেখি যে,ওর চোখ দুটো উপরে উঠে গেছে, সাড়া শরীর নীল হয়ে শক্ত হয়ে গেছে।আমি আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলাম না,ওই ব্যাথা যন্ত্রণা নিয়েই আমি অনেক জোড়ে চিৎকার করে সিস্টার কে ডাক দিলাম ,ওরা আমার ছেলে কে নিয়ে চেকআপ করে বললো এখনই" আই সি ইউ"তে ভর্তি করতে হবে।ভর্তি করানো হলো সেই রাতে।তারমানে আমার ছেলে কিছুক্ষন সময়ের জন্য ছিলো আমার কাছে । ডাক্টার বললো যে ,ওর নাকি ইনফেকশন হয়েছে ভর্তি করতে হবে। এভাবে করে সাত দিন পাড় হচ্ছে ,আমাকে কেও আমার ছেলের কাছে নিয়ে গেলো না।পরে আমি অনেক রাগারাগি করার পর আমাকে আমার ছেলের কাছে যেতে দিল।😥😥আমি যেয়ে দেখি যে, আমার ছেলের এমন কোনো জায়গা নেই যে কেনেল্ বসানো হয় নাই।আমি ওখানে দাঁড়িয়ে কাঁদতে ছিলাম। আর বললাম যে আমি অবশ্যই এখন থেকে তোমাকে নিয়ে যাবো।
পরে আমি ডাক্তারের সাথে দেখা করে বললাম যে, আমি ওকে কবে বাসায় নিয়ে যাবো। ডাক্তার বললো ওর এন্টিবায়োটিক আরও তিনটি দিতে হবে।আমি বললাম যে, অন্য হসপিটাল থেকে এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে কি না।উনি বললেন, ইয়েস দেয়া যাবে।😄😄😄
😄😄আমি তো খুশিতে আত্মহারা। খুব তোরী ঘুরী করে সমস্ত ফর্মালিটি শেষ করে
ওই দিন রাতে ই বাসায় চলে আসলাম।এবং তিনটা ওষুধ কাছের হসপিটাল থেকে দিয়ে দিলাম।এবং আল্লাহর কাছে লাখ লাখ কোটি কোটি শুকরিয়া যে আমার ছেলেকে সুস্থ করে দিয়েছেন।
ব্যার্থ তার পর ও যে সফলতা পেয়েছি আমার ছেলেকে কাছে পেয়ে।
সফলতা:
❤️এখন আমার ছেলের বয়স সাড়ে সাত বছর।সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।আমার ছেলে এখন চার ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, কোরআন শরীফ পড়ে।আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন।❤️
উদ্যোক্তা জীবন:
আমার অনেক দিনের আশা যে ঘরে বসে কিছু একটা করবো।আমি এই ফাউন্ডেশন এসে অনেক কিছু শিখছি ও জানতে পারছি এবং আরও কিছু জানবো।আমার বিশ্বাস,আমি এখানে লেগে থাকলে অবশ্যই কিছু একটা অর্জন করতে পারবো।
যুক্ত হওয়া:
🙋🙋আমি যখন থেকে এখানে যুক্ত হয়েছি তখন থেকেই আমার খুব ভালো লাগছে।এই প্লাটফর্মে ভাইয়া এবং আপুরা সবাই আপন জন।এক কথায় এটা একটা পরিবার।সবার আচার ব্যবহার খুব সুন্দর।
স্যারের প্রতি দিন আমাদের যে সেশন গুলো দিচ্ছেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রিয় গ্রুপে যুক্ত হয়ে আমি নিজেকে গর্ব বোধ মনে করছি।
আমি এই ফাউন্ডেশন থেকে অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছি।চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে,মানুষের জন্য কিছু করতে আর স্যারের দেয়া সেশন গুলো প্রতিদিন অনুশীলন করতে পারি।
💝💝স্যার কে আমি ধন্যবাদ জানাই যে এই প্লাটফর্মে এসে আমি আমার জীবনের কষ্টের গল্পঃ আপনাদের মাঝে বলতে পেরে আমি গর্বিত। আবারও স্যার কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।💝💝
💖স্যারের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।💖
পরিশেষে আমি আমার পরিচয় দিয়ে নিবো।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৯০৭
তারিখ ২৫-১১-২০২২ইং
আমি শারমিন মুন
ব্যাচ:২০
রেজি:১০৮৭২৭
যোন:ওয়ারী
থানা:গেন্ডারিয়া
জেলা: ঢাকা
সবাইকে ধন্যবাদ যে অনেক ধর্য নিয়ে আমার এই গল্পঃ পড়ার জন্য।কোনো ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
💗💗 ধন্যবাদ💗💗