সেখান থেকেই আমার পথ চলা শুরু। অনেক ঝড় ঝাপটা পেরি আজ আমি এখানে হাজি বুটিক হাউজে ওনার অফ।
..........আমার জীবনের গল্পের পড়ার অনুরোধ রইল............
...............সকল প্রসংশা আল্লাহ তাআলার...............
🕌๑▬▬๑﷽๑▬▬๑🕌
🕋আস্সালামু_আলাইকুম
ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ🕋
🤲সর্ব_প্রথম_শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা
জাপন করছি মহান রাব্বুল আলামীনের প্রতি
যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টির
সেরা জীব হিসেবে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।
আমি আরো শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহ ছোবাহান আল্লাহু তাআলার প্রতি আমাকে
🤲লক্ষ_কুটি দুরুদ ও সালাম প্রেরন করছি
মানবজাতির মুক্তির পথ প্রদর্শক পৃথিবীর
সর্ব শ্রেষ্ঠ মানব নবী কুলের শিরমনী
হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর উপর
যিনি এসে ছিলেন সমস্ত মানব জাতির
মুক্তি ও কল্যানের দূত হিসেবে।
#কৃতজ্ঞতা গ্যাপন করছি আমার শ্রদ্ধেয় মা বাবার প্রতি যাদের উছিলায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে
আসতে পেরেছি, এবং মানুষের মত মানুষ
হতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে বড় করে তুলেছেন।
এবং ভালো মন্দে সব সময় পাশে থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার মা বাবা কে সুস্থতা ও নেক হায়াত দান করেন,। আমীন।........
#শ্রদ্ধার_সাথে স্বরন করছি আমাদের সবার
প্রিয় শিক্ষক, প্রিয় মেন্টর
জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি....।
যার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম যেখানে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্দোক্তা
মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে হাজারো শুকরিয়া যাপন করছি আমাদের সবার মাঝে এমন একজন শিক্ষক পাঠানোর জন্য। স্যারের সু স্বাস্থ্য কামনা করছি আল্লাহ জেন স্যার কে নেক হায়াত দান করেন আমিন।
💞আমার_পরিচয়💞
ঝিনাইদহ জেলায় শৈলকূপা থানা, ইউনিয়ন আবাইপুর, গ্রাম, হাট ফাজিলপুর,,,,,,,,,,, আমার জন্ম ও বেড,,,,,,,,, ওঠা।
আমরা ৫ ভাই বোন। আমার থেকে বড় ৪ ভাই ও বোন।
আমি ৪ নাম্বার ভাই বোনের ভিতর।
৫ ভাই বোন সহ মা বাবা ও আমার দাদা দাদি নিয়ে ৯ জনের
পরিবার ছিলো আমাদের,একটা মধ্যবৃত্ত পরিবারে জন্ম আমাদের।
💦💦আমার বাবা💦💦
আমার বাবা এক মাএ ছেলে ছিলো দাদার
ছোট বেলায় থেকে দেখছি বাবা খুব সৌখিন মানুষ ছিলেন।চাষের কাজ ভালো পারতেন না।
ছোটবেলা থেকেই দেখছি তার একটা ছেলো মেশিন দোকান আছে।
খুবই সহজ সরল ছিলেন।
কখনোই বিজনেসে সে ভাল ভাবে উন্নতি করতে পারেন নাই।
দাদার অনেক জমি জায়গা ছিলো।
বাবা ব্যবসা করতে গিয়ে বার বার লচ করতো এবং দেনা হয়ে যেতেন। আর দাদা জমি বিক্রয় করে বাবা ভর্তুকি দিতেন।।
ছোটবেলা থেকে দেখছি বাবা অনেক ধার্মিক ছিলেন।
কখনো মানুষকে ঠকাইতেন না বরং নিজে ঠকবেন।
এজন্য বিজনেসে উন্নতি করতে পারে নাই। প্রতি বার শুধু লচ করেছেন।
সবাই বাকি নিতেন কিন্তু কখনোই বাকি টাকা কেউ দেয়নি।
💕💕আমার শৈশব 💕💕
বাবার সাথে বেশির ভাগ সময় আমার কাটছে
বাবা সাথে পানির উপর ভেসে থাকাতম আমাকে বুকের উপর রেখে আমাকে সাঁতার শিখায়তেন।যেখানে যাবেন সাথে নিয়ে যাবেন।
অনেক অনেক বেশি মজা ছিলো ছোট বেলাটা।
বাবা মা আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন এক মুহূর্ত চোখে হারাতে দিতেন না।
💞আমার মা💞
ছোট বেলায় থেকে মা কে দেখছি খুব সাদা মিঠা মনের একজন মানুষ।
নিজের আত্মসম্মান নিয়ে চলার চেষ্টা করতেন।
কখনো মিথ্যা কথা কাউকে ঠকানো আর৷ কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ কখন সে গুলো করতেন না নিজের গাম্ভের নিয়ে থাকতেন।
সবসময় মাকে দেখে আমরা পাঁচ ভাই বোনে অনেক বেশি ভয় পাইতাম।
ছোটবেলা থেকে একটা শিক্ষা দিয়েছে কখনো মিথ্যা কথা বলবো না। পরে জিনিস কখন ঘরে আনবে না।এমনকি সোনা-দানা টাকা-পয়সা গুলো পেলে কখন আনবে না। ওগুলো পরের জিনিস, সব সময় চেষ্টা করব সৎ পথে থাকার আল্লাহ তোমার সাথে থাকবে সবসময়।।
🍀আমার শিক্ষা জীবন দাম্পত্য জীবন... ✍️
আমার পড়ালেখার অধ্যায় শুরুতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। হাটফাজিলপুর✅
প্রাইমারি শেষ করলাম হাই স্কুল শুরু করলাম
৬ ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে আমি নামাজ ও পর্দা করা শুরু করলাম। ছোট বেলা থেকে একটু ধার্মিক ছিলাম। লেখাপড়াতে ভালো ছিলাম।
দেখতে শুনতে একটু ভালো ছিলাম।
ভালো চলছিলো লেখাপড়া জীবনটা
স্বপ্ন ছিলো বড় হব এমনি কিছু করতে চাই
যেটা দেখা সবাই আমাকে চিনবে।।
নবম শ্রেণীতে উঠলাম। আমার বুবু পরিবারের বড় মেয়ে তার পরে বাকি দুই ভাই,তার পরে আমি।।
বুবুর এর মাঝে বিবাহ হয়ে গেলো বুবু তখন ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে।
আমার লেখাপড়া নবম শ্রেণীর বুবুর বিয়ে ৪/৫ মাস পরে আমার বিয়ে হয়।
বুবুর বিয়ে শেষ না হইতে কিছু মধ্যে
এবার শুরু হল আমার পালা।।
গ্রামের সেরা ছিলাম নাকি আমরা দুই বোন প্রতিদিন বাড়িতে ঘটক আসে মেয়ের বিয়ের জন্য।।
মেয়ে কে বিয়ে দেন ভালো ছেলে আছে।
গ্রামের বাবা মা বুঝতে পারছেন তার মাথায় বুঝা আছে মেয়ে।।
একটা সময় এমন মনে করতো বাবা মা।
তাদের মান সম্মান অনেক বড় সেটা টাকা পয়সা দিয়ে কেন না যাই না।।।
আমার বড় ভাইয়ার কাছে কিছু পোলাপান এসে বলে তোর বোনকে তুলে নিয়ে যাবো বিয়ে না দিলে।
এটা শোনার পর বাবার মাথায় তো বাচ পড়ে। মেয়েটা কে তো আর লেখাপড়া করানো যাবে না মনে হয়।
মান সম্মান চলে যাবে।।
যদি এই ছেলে পেলে গুলো এমন করে আমি মুখ দেখাতে পারবো না সমাজে😢
কারণ একটাই আমি দেখতে সুন্দর ছিলাম।
শেষ করলাম নবম শ্রেণী।
এর ভেতর ছেলে পক্ষের সাথে বাবার কথা পাকাপাকি হয়ে গেছে আমাকে দেখতে আসবে। এটা আমি জানতাম না।
একদিন স্কুলে গেছে দুপুর বেলায় ভাইয়া আমাকে আনতে গেছেন। বলে মনি আজ
বাড়িতে চলো আমি জানতে চায় কেন ভাইয়া
বলে এমনি, চলো।।।
😢যদি ও মানুষ টা আজ আমাদের মাঝে নাই আল্লাহ তুমি আমার কালিজার ভাইয়া কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করো সে আমার জীবনের একটা অংশ ছিলো।
,,,,,,,৷৷৷ বাড়িতে এসে দেখি অনেক মানুষ।
মেহমানের ঘর ভরা,, মেহমানদের সাথে জোহরের নামাজ শেষ করি,,,,,।
যার পাশে নামাজ পড়ি সে ছিলো নাকি আমার হবো শাশুড়ী মা, আমি জানতাম না।
পরে জানতে পারি।
💟ছেলে থাকে দেশের বাহিরের ছেলের মা মেয়ে কে প্রথম দেখে নাকি বলছিলো একটা সাদা পরি আমার সাথে নামাজ পড়ছে।
আমি এই মেয়েকে ছেলের বউ বানাবো, তখন তো ভালো করে জানি না বিয়ে টা কি😕
😢😢😢আমার জীবন কাহিনি শুরু😢😢
শুরু হল জীবনের অন্য রকম কিছু।
মা কে বলাম আমি বিয়ে করবো না, মা বলে আমি কিছু জানি না তোমার বাবা ও ভাইয়া জানে।
ভাইয়া কে বলি ভাইয়া বলে অনেক ভালো ছেলে বাড়ি গাড়ি, সব আছে, আমাকেও দেশে বাহিরে নিয়ে যাবে।
সেদিন আমার কথার আর কোন মূল্য নাই ছিলো না ওখানে।
বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো।
আমার রেমিটেন্স যুদ্ধার সাথে।
জীবনে আরো বড় হতে পারলাম না সেটা ভাবে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
অনেক অনেক কান্না করছিলাম কিন্তু
তাতে কোন লাভ হয়নি। বুকের ভেতর অনেক কষ্ট জমা হয়ে গেলো। কাউকে কিছু বুঝতে পারছি না আমি।।।
যেখানে বড় হওয়ার আগে
স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যাই এই তো জীবন আমার।
❤️বিয়ে হয়ে গেলো।।
আসলাম শ্বশুর বাড়ি।
শুরু হল নতুন জীবনের নতুন অধ্যায়।
নতুন সংসার
হাসব্যেন্ড ছিলো ৭ ভাই বোন
সে ছিলো একমাএ ছেলে।
মানুষ টা ভালো ছিলো।
নামাজি ছিলো এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে।
নতুন পরিবার জানিনা অনেক কিছুই
অনেক মানুষের ভিড়ি এসে নতুন করে আবার শুরু করতে লাগলাম।
কত বা বয়স হবে আমার কি বা জানি আর কি বা বুঝি জীবন সংসারের।
কোন কাজ করতে পারি না।
তবে চেষ্টা করছি সব সময় করতে বা
শিখতে।
কিছু পরি না বলে অনেক কথা শুনতে হয়েছে জীবনে।।।
মনের ভিতর কষ্ট গুলো কে জমা রাখতে লাগলাম।
আমার কথা গুলো সেদিন সোনার মানুষ ছিলো না।।।
তখন আমার কাছে এক এক টা দিন মনে হয়েছে কালবৈশাখী ঝড় নেবে এসেছে। সবার কাছে কথা শুনি, যেখানেই কথা শুনেছি সেখন থেকে শিখতে চেষ্টা করছি আলহামদুলিল্লাহ
বিয়ে মাএ ২ মাস বয়স
স্বামীর সংসারে আসা,
তিন মাসে ছুটি তে আসছে
দিন গুলো খুব তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে মনে হয়।
পরিবারের সবার চায় আমি যেনো মা হয়নি
আর যদি বেবি না হয় তাহলে আমি হয়তো বা বাবা বাড়ি তে গেলে আর ফিরে আসবো না। আমি ছোট মানুষ ছিলাম। আসলে এটা তাদের ভুল ধারণা ছিলো।
আমি যেন মা হয় সে চিন্তা
দিসে হারা পরিবারে সবাই।
সেটা আমি জানতাম না।
তাদের ইচ্ছে পূরণ হবে।
🥲ছুটি শেষ চলে গেলেন।
বেশ কিছু দিন পর থেকে
আমি আস্তে আস্তে অসুস্থ হয়ে পড়ি
ডাঃ কাছে যাই, রিপোর্ট দেখে বলে আমি নাকি মা হব।
মাথা আকাশ ভেঙে পড়লো ভেবেছিলাম স্বামী চলে গেলে পড়াশোনা শুরু করব।
কিন্তু আমার ভাবনা সেটা ভাবনা হয়ে থাকলো।
দিন যত যাই আমি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি।
কোন ভাবে সুস্থ হতে পারছি না।
শেষ পর্যন্ত তিন মাসে সেলাইন দেওয়া লাগলো আমাকে।
কিছু দিন পরে শ্বশুর বাড়িতে উপস্থাপনা করি আমি পড়তে চাই,, শ্বশুর,, আমাকে বলে কি হবে আর পড়া লেখা করে মা।
আমার ছেলে কি কম আছে।
তুমি লেখা পড়া করবে নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হবে,
, ,, শশুর,, ছিলো খোলা মনের একজন মানুষ,, সে তখন আমাকে বলে।
আমার ছেলে কে রেখে কাকে আবার তোমার ভালো লেগে যাবে, তখন আমার ছেলের কি হবে মা, দরকার নেই আর লেখাপড়া করার।
কথা গুলো শুনে মনটা অনেক খারাপ হয়ে
গেলো।
শেষ হয়ে গেলো আমার জীবন টা আর কিছু করতে পারবো না আমি হয়তো বা।
সেটা ভেবে।
মনে হল বাবা মা জন্য আমার জীবন টা শেষ করে দিয়েছেন।।।
,,,,,,শুরু হল জীবনের আরো একটা অধ্যায়ে
অনেক অসুস্থ তার মাঝে জীবন যাপন করতে লাগলাম।
একটা মেয়ের কাছে তার স্বামী সব হয় কিন্তু তখন আমার পাশে ছিলো না সে, অনেক বেশি কষ্ট হয়েছে,, বিশেষ করে যখন অসুস্থ থাকি তখন তার প্রিয়জনকে পাশে চাই।।
সে সময় আমি বাবার বাড়িতে যেতে পারবো না।
কারন গেলে যদি বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাই।
তার জন্য স্বামী ঘরে থাকতে হবে বাচ্চা না হয় পযন্ত তো।
আর গেলো মাএ ৬/৭ দিনের জন্য এর বেশি সময় থাকা যাবে না।
তখন আমার কাছে মনে হয়েছে প্রতি টা দিন একটা বছর সমান।,
আমি অনেক অসুস্থ স্বামী দেশের বাইরে দিনগুলো অনেক কষ্টের ছিলো। এভাবে চলে গেলো অনেক টা মাস, আমার কোল জুড়ে আসলো ফুটফুটে রাজপুত্র।
আমার সাথে আমার বেবি ও অসুস্থ।
তার পরে আস্তে আস্তে সবাই সুস্থ হয়ে উঠলাম। বেবি বয়স ৬ মাস বয়স তখন হঠাৎ করে রাত ২, টার সময় পেটে পেন ওঠে প্রচুর পরিমাণে সে রাতে সবাই আমাকে গাড়ি ভাড়া করে হসপিটালে ভর্তি করে পরীক্ষার পরে জানা গেল অ্যাপেন্টিস লিক হয়ে গেছে। আর কিছু সময় থাকলে হয়তো বা আমার এক্সিডেন্ট হতে পারতো জীবন মরণ।
এভাবে চলতে লাগল কিছু দিন তার পরে আড়াই বছর পর ছেলের বাবা ছেলেকে দেখতে আসে। এই আড়াই বছরে জীবনে অসংখ্য দিন পার করলাম অনেক ঝড় অনেক ঝাপটা সত্য মিথ্যা অনেক কিছু সম্মুখীন হতে হয়েছে এই দিন গুলো ভিতর।
এভাবে চলে গেলো অনেক গুলো বছর
কখনো নিজের ইচ্ছা বলে কিছু ছিলো না ভালো লাগা বলে কিছু ছিল না।ছিলো না এখনো আমার ইচ্ছা কোন মূল্য।।
কখন বাবার বাড়ি যেতে পারি নাই মন চাইলে।
কখন জানতাম না মাসের শেষের স্বামী টাকা গুলো কোথায় দেয়।
কখন জানতাম না কত টাকা সেলারি পাই।
এভাবে কেটে গেল আরো ৬/৭বছর
২য় বার মা হব।
আমার কলজুড়ে আসলো একটা রাজকন্যা
অনেক ঝড় ঝাপটা প্রতিকূল পেরিয়ে দ্বিতীয়বার মা হওয়ার।
দিনগুলো ভালই যাচ্ছিলো হঠাৎ ১৫ মাসের মাথায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়লাম।
ধরা পড়লো গলব্লাডারে পাথর হয়েছে
মেয়ের বয়স তখন ১৫ মাস।
অপারেশন শুরু হল
সাকসেস হলো অপারেশন। আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠলাম।
এভাবে চলে গেল অনেক গুলো দিন।
,,,,,,,,🥲আমার জীবনে নেমে আসলো অন্ধকার।
হঠাৎ খবর আসলো আমার বড় ভাইয়া এক্সিডেন্ট করেছে
বড় ভাইয়া ছিলেন রেমিটেন্স যোদ্ধা বিদেশ থেকে বাসায় আসে কিছুদিনের জন্য বেড়াতে
হঠাৎ রোড এক্সিডেন্ট এ জায়গায় মারা যান আমার কলিজার টুকরা ভাইটা
মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলো আমার মা
মা সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যায়। ভেঙে গেল তার মাজার হাড় একদিকে সন্তান হারানোর ব্যথা অন্যদিকে নিজের হাড় ভাঙ্গা ব্যথা
মা আমার সহ্য না করতে পেরে প্রায় পাগল হয়ে গেলেন কিছুদিন চলতে থাকলে এভাবেই
🥲মায়ের সামনে ছেলের মৃত্যু এর থেকে কষ্ট আর কি হতে পারে।
অনেকদিন পর আস্তে আস্তে মার ব্রেন ঠিক হলো।
এবার চিন্তা শুরু হল রেখে গেছে বউ বাচ্চা তাদের কি হবে,,,,,,,,,,।
এভাবে চলে গেলো আরো গুলো দিন।
🥲এবার চলে গেলো আমার প্রান প্রিয় দাদা।
বছর ঘুরতে নেমে আসে দুঃখ । দাদা মৃত্যু বছর দেড়েক পরে চলে গেলেন আমার প্রান প্রিয় নানা।
,,,,মা আবার ভেঙে চুরমার হয়ে গেলেন।
এভাবে চলে কিছু দিন আবার বছর ঘুরতে চলে গেলেন আমার প্রান প্রিয় বড় মামা আবার নেমে আসে দুঃখ।
,,, জীবন টা বড় অদ্ভুত আসা আর চলে যাওয়া
এই তো জীবন।
শুরু হল জীবনের দিন গুলো দুঃখ কষ্ট অতি বাহির করতে লাগলাম ছেলে মেয়ে লেখা পড়ার জন্য চলে আসলাম শহরে কিছু টা দিন কেটে গেলো ভালো ভাবে আবার বছর ঘুরতে
আমার প্রাণ প্রিয় শশুর অসুস্থ হয়ে গেলেন অনেক ডাঃ দেখি কোন লাভ হল না। হসপিটালে চিকিৎসা অবস্থায় মারা গেলেন নেমে আসে অন্ধকার। কোন ভাবে মেনে নিতে পারছি না এটা।।।
এটা হয়তো বা জীবন, তত দিন স্বামী দেশের বাইরে সব দায়িত্ব এবার আমার কাধে এসে পড়লো।
,, কিছু পরে দেশে আসে সব কিছু ভালো চলছে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো আর বিদেশ করার দরকার নাই।।
ফাইনালে চলে আসলাম হাজব্যান্ড
কিন্তু আমার একটা স্বপ্ন ছিল পরিবার ধরে আমরা সবাই একসাথে ওমরা হজ্জ করবো
অনেক চেয়েছি আল্লাহ পাকের কাছে
আমার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে।
সবকিছু ঠিকঠাক
তত দিনে আমি আবার ৩য় মা হতে চলেছি
আমি তখন ৪মাসে অতসত্তা ওভাবে চলে গেলাম উমরাহ হজ্জ করতে।
আল্লাহ পাকের এত রহমত আমি একটা বারে জন্য অসুস্থ হয়নি খুব সুন্দর ভাবে হজ্জ শেষ করে বাড়িতে আসলাম খুব ভালো ছিলাম কোন সমস্যা হয়নি,
,,,,,,,,,,,,,আমার জীবনের সব থেকে কষ্টের মুহূর্ত,,,,,,,,,,, সাল টা ছিলো ২০১৯.
এটা আমি যতবার মনে করি আমার চোখ দিয়ে পানি অঝুরে ঝরতে থাকে।
৩য় বেবি দুনিয়াতে আসবে হঠাৎ করে ডেটের আগে আমার পেন উঠে খুব বেশি সেটা দেখে ডাঃ আমার গায়ে হাত দিতে ভয় পাই।
৯টা শুরু আর
অশেষ ৩ টাই আমাকে অটিতে নিয়ে যাই এক পর্যায়ে দুজনে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যায় আমি দুজনেই একজন কে নাকি বাচানো যাবে না।
মরার পথে যাত্রী হয়ে গেলাম মনে হয়।
কোন ভাবেই কিছুই করতে পারছি না
🤲অবশেষে একটা ফুটফুটে রাজপুত্র সন্তান জন্ম হয়
🥲কিন্তু শেষ রাখ হল না
তখন পর্যন্ত আমি ভীষণ অসুস্থ এতটাই অসুস্থ ছিলাম যে রাজপুত্রের মুখটা দেখতে পর্যন্ত দেখতে পাইনি।
২/৩ ঘন্টা ছিলো সে, বাবা দেওয়া আজান শুনেছে।। ঘন্টা তিনিক পরে সে না ফের দেশে পাড়ি দেয় 🥲🥲
যত সময় ছিলো একটা মুহুর্তে জন্য আমি তাকে দেখতে পাইনি ভাগ্যের নির্মাণ পরিহাস
পরে যখন আমার কাছে আনছে তখন তাকে দাফনের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলো।
দুর্ভাগ্য আমার,,,,,,,,,,,,,,
রাজপুত্রকে হারিয়ে আমি প্রায় পাগল হয়ে গেলাম। মাথায় আর কোন কাজ করে না
এভাবে কেটে গেল একটা বছর
পরে সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু একটা করতে হবে
নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে।
তখন আমরা দুজনই বেকার একেবারে
দুটো ব্যথা একটা সাথে সন্তান হারানোর ব্যাথা।
আর একটা সমস্যা কোন ইনকাম নাই
চারিদিকে দেনাদাইক
জা ছিলো সেগুলো শেষ।
তখন মাথা আসে কিছু করতে হবে
কি করবো জানি না।
পরে সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু ড্রেস নিয়ে আসি
নিজের জমানো ৮ হাজার টাকা ছিলো
সেটা দিয়ে শুরু করলাম।
আস্তে আস্তে সেল শুরু হল
একটু একটু করে বিজনেস টা বড় হতে শুরু করলো।
সে তখন আমাকে বাসার নিচে ছোট একটা,,,, হাজি বুটিক হাউজ নামক দোকান করে দেই,,
তার পরে করোনা ভয়াবহ তা এসে গেলো
সবাই ঘর বন্দী হয়ে গেল বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেল।
তারপরে যখন একটু স্বাভাবিক হলো
তখন আবার সেল শুরু হলে আলহামদুলিল্লাহ মাসে তখন আমি লাখ টাকা সেল করেছি।
পরে আবার যখন স্বাভাবিক হয়ে গেল
তখন সেলটা আবার কমে গেল।
🎯প্রিয় ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়া🎯
তার পরে একদিন আমাদের প্ল্যাটফর্মের প্রিয় হাফিজা সুলতানা আপুর সাথে পরিচয় হয়
আপু আমাকে পরামর্শ দিয়ে গেল রেজিস্ট্রেশন করার জন্য করে ফেলাম রেজিস্টেশন।
সেখান থেকেই আমার পথ চলা শুরু।
অনেক ঝড় ঝাপটা পেরি আজ আমি এখানে
হাজি বুটিক হাউজে ওনার অফ।
🔥প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে প্রাপ্তি🔥
আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রিয় প্লাটফর্ম " তরুণ তরুণীকে নিয়ে
প্রানের ফাউন্ডেশন কার্যক্রম শুরু করেছেন আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার।
যা বিরতি হীনভাবে চলার কারণে এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন কৃত আজীবন সদস্যে হতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ
যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো ।
যার ফলে আমাদের সবার মাঝে একটা চমৎকার আন্তরিকতা ও নিবিড় ভাল বাসা তৈরি হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ সুন্দর একটা পরিবেশ গড়ে উঠেছে।
পৃথিবীর আর কোথাও নেই এত সুন্দর প্ল্যাটফর্ম।
টানা ৯০ দিন করে এক একটা ব্যাচ শুরু করে
বিনামূল্য পরিষেকক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন।
আমি ভালো বেসে ফাউন্ডেশনে রেজিস্ট্রেশ
১৮ তম ব্যাচ এর
🙏সবশেষে🙏
সকলের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইল৷ সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন৷
প্রিয় ভাই ও বোনেরা এতক্ষন যারা কষ্ট করে আমার জীবনের গল্প পড়েছেন সবাইকে আমার অন্তরের অন্তর স্থল অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
🎯আশা করি, সকলেই একটা লাইক ও একটা কমেন্ট করে আমার পাশে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
স্ট্যাটাস অফ দি ডেঃ৯০৮
তারিখঃ ২৭-১১-২২
🍀আমিঃ ফারহানা রাজু
🍀জন্মস্থানঃ শৈলকূপা
🍀বর্তমান ঠিকানাঃ ঝিনাইদহ জেলা
🍀রেজিষ্ট্রেশন নংঃ ৯৬৪৮৯
🍀ব্যাচঃ১৮