সুখ- দুঃখ,হাসি কান্না নিয়েই আমাদের জীবনের গল্প
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
আমার জীবনের গল্প।
আমি মোঃ হিটলার জামান, হাজির হয়েছি আমার সুখ- দুঃখ ,হাসি--কান্নার "গল্প" নিয়ে ।
শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি, সৃষ্টিকর্তার কাছে এই অসুস্থ পৃথিবীতে এখনো আমাদেরকে সুস্থতার সহিত লালন করার জন্য।
লাখো কোটি দরূদ ও সালাম পৃথীবির মহামানব রাসুলে পাক হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর ওপর।
আমি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমার মা বাবার প্রতি যাদের আদর ভালোবাসায় সুন্দর এ পৃথিবীতে আমার পদার্পণ।
🎋আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, জীবন্ত কিংবদন্তী "ভালোবাসা" কে শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রবক্তা জনাব, মোঃ ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যার ইচ্ছা ও প্রচেষ্টায় এত সুন্দর একটি ভালোবাসার প্ল্যাটফর্ম উপহার হিসেবে পেয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ্।
🎋আশা করছি সবাই ভালো আছেন।
আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।
🎋 আমার জীবনের গল্প শুরু।🎋
🎋প্রতিটি জীবনের গল্পই প্রায় একই রকম।
জন্ম - মৃত্যু, প্রেম, বিয়ে সংসার লেখাপড়া, স্বপ্ন ইত্যাদি বিষয়গুলো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পার্ট বা অংশ বিশেষ।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ পার্টগুলো আমাদের জীবনে অসাধারণ কিছু মুহূর্তের সৃষ্টি করে। সম্পর্ক তৈরি হয় কিছু সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা, চরাই উতরাইয়ের সাথে।
জীবনের এই বিভিন্ন ধাপে ধাপে যারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে , বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেও সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছে তারা সুখী মানুষ। আর যারা কোন প্রকার চেষ্টা না করে থেমে গেছে তারা হয়তো দুঃখী মানুষের দলে।
🎋আমি সুখী নাকি দঃখি কোন মানুষের দলে সেটা আপনারাই ঠিক করবেন এবং কমেন্ট এ মতামত জানাবেন ইনশাআল্লাহ।
🎋জীবনের আরো অনেক টা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি।সে পথ যেমন ই হোক না কেন আমি প্রস্তুত সাদরে গ্রহণ করার জন্য।
🎋 আমার জন্ম 🎋
১৯৯৭ সালের ২০ই মে ।ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগন্জ উপজেলা অধীনস্থ বৈরচুনা ইউনিয়নের জগন্নাপুর গ্রামের বিদ্ধই নামক পাড়ায় ।
আমার বাবা: মোঃমকবুল হোসেন (৪৬-৪৮)
আমার মা: মোছাঃ হুসনেয়াররা বেগম (৪০)
আমি আমার বাবা মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। তিন ভাইয়ের মধ্য মেজ। আমার কোন বোন নেই।
🎋আমার শৈশব ও কৈশোর🎋
আমার গ্রামের বাড়ী যেহেতু উওর বঙ্গের একেবারে প্রতন্ত এলাকায় সবাই যানেন শীত কালে আমাদেররএলাকায় কেমন শীত পড়ে।আমার শৈশব মানে শীত ভোর, কুয়াশার চাদরে মোড়া। টিনের চালে সারা রাত শিশিরের টুপটাপ শব্দের আবরণ। শীত কালের সকালে নাড়ার( ধান কাটার পর অবশিষ্ট অংশ) আগুন শরীর গরম করা আর তার মাঝে আলু পুড়ে খাওয়া।
আমার শৈশবে রয়েছে, গাদন, লুকোচুরি, কানামাছি, বৌ চি,বর - বৌ , আরও নানা মজার খেলার স্মৃতি। সে গল্প না হয় অন্য কোন দিন। শুনাবো।
🎋ছোট বেলার আমার ইচ্ছে ছিলো লেখা পড়া শেষ করে ভাল কোন চাকরি করে পরিবারের হাল ধরতে হবে।
🎋আমার শিক্ষা জীবন🎋
যদিও বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পুরো অংশ এখনো বাকি রয়েছে আমার।
প্রাথমিক শিক্ষা:(২০০৪-২০০৮)
শিরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মাধ্যমিক শিক্ষা:(২০০৮(৬ষ্ঠ) -২০১০(৮ম জে এস সি ১ম ব্যাচ)জগন্নাথুর দ্বিমূখি উচ্চ বিদ্যালয়।
যদিও ক্লাসের ১ম ৩ জনের মধ্যে সব সময় থাকতাম।কিন্তু পারিবারি সংঘাত আর অর্থনৈতিক সংকটে লেখাপড়াটা বন্ধ হয়ে যায়।হয়ত আমার চেষ্টা ছিল না নয়ত বিধাতা লিখন এই আরকি।
🎋জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ একজন ভালো ও সফল মানুষ হওয়া।সারাজীবন মা আর ছোট ভাইকে আগলে সন্তুষ্টিতে রাখা
"নিজের বলার মত একটা গল্প" তৈরি করা।। 🎋
🎋পরিবার নিয়ে কিছু কথা🎋
আমি একদম লোয়ার মিডিল ক্লাস পরিবারের এক সন্তান। দিনে আনে দিনে খায় যেটাকে বলে। কত দিন যে দিনে দুই বেলা খেয়ে থেকেছি তার কোন হিসেব নেই।তবু বাবা অনেক কষ্ট করে আমাদের পড়ালেখা করাতেন। লেখাপড়ায় একটু ভাল কখন বেতন দিয়ে পড়তে হয়নি। উল্টো সরকারি উপবৃত্তি পেতাম। ভালই চলছিল এভাবেই।আমাদের একটা মিষ্টির দোকান ছিল সকালে স্কুলে যেতাম। স্কুল থেকে ফিরে বাবার সাথে হাটে হাটে যেতাম দোকানের সাথে।যেদিন খুব দুরের হাট হত সেদিন যেতাম না ওই দিন গুলো একটু খেলাধুলো সুযোগ পেতাম সপ্তাহে ২ দিন।এভাবে ভালই চলছিল আমাদের সংসার।কিন্তু যখন আমি ক্লাস সিক্সে উঠলাম তার কিছুদিন পর থেকেই শুরু হল বাবা জুয়া (জুয়া বলতে আমাদের গ্রাম এলাকায় একটা খেলা আছে যেটার নাম চকরচাল)খেলার অভ্যাস। মিষ্টির দেকানটা ভালই চলতেছিল কিন্তু এই জুয়া খেলার জন্য দোকানে সময় দিত না ঠিক মত সংসারে শুরু হল অশান্তি। মাঝে মাঝে মা-বাবার ঝগড়া মারামারি লেগেই থাকত আর যৌতুকের টাকার দাবি। যৌতুকের টাকা কিছু দেয়নি মনে হয় এজন্য বাবা, আম্মাকে কখনও নানার বাড়িতে যেতেে দিত না এমন কি আমাদের কেও না।আমার বুজ হওয়ার পর কখনও দেখিনি মা তার বাবার বাড়ী বা তার কোন আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যেতে।এমন কি নানার বাড়ির কাউকে আসতে দিত না।এই ঝামেলা চলতেই থাকল। একটা সময় আম্মা আর সহ্য করতে না পেরে নানার বাড়ী চলে যায় তখন আমি ক্লাস সেভেনের ফাইনাল পরিক্ষার্থী। ৬ মাস নানার বাড়িতে থাকার পর আম্মা গাজীপুর এসে চাকরি নেয় গার্মন্টসে।তার কিছুদিন পর বড় ভাই আর আমার সব খরচ দেওয়া বন্ধ করে দিল বাবা।শুধু বাড়ীতর থাকতে দিত দাদীর কাছে চাল দিত তার রান্নার জন্য আর আম্মা টাকা দিত আর আমরা দুই ভাই রান্না করে খেতাম।এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর চলে গেলাম নানির বাড়ী।প্রায় ৪-৫ কিঃমিঃ রাস্তা(২-৩ মাস) হেটে স্কুলে আসতাম।কারন আমি সাইকেল চালাতে পারতাম না।এখনও পারি না। কোন রকম জে এস সি পরীক্ষা শেষ করেই গাজীপুর চলে আসি মায়ের কাছে।সেই যে আসছি আর নিজের বাড়ীর চেহারা চোখে দেখিনি।এর মাঝে বাবা- মা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তারা সেফারেট হয়ে গেল।আজ দীর্ঘ ১২ বছর পেরিয়ে ১৩ বছর চলতেছে বাবার মুখটা দেখিনি কথাও বলিনি। মাঝে মাঝে ভীষণ কষ্ট হয় কথা বলতে ইচ্ছে হয় কিন্তু সাহস করে উঠতে পারিনি। সেই থেকে মায়ের সাথে আমি আর ছোট ভাই থাকি। এর মাঝে বড় ভাই আসছিলো বছর ২ এর মত আমাদের সাথে ছিল তার পর রিলেশন করে বিয়ে করল অফিস কলিগ কে।আমি গাজীপুর আসছি ২০১০ এ আর বড় ভাই আসছিলো মনে হয় ২০১২ তে এস এস সি দেওযার পর। বাবা তার দ্বীতীয় সংসার নিয়ে ব্যস্ত বড় ভাই তার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আর আমার সংসারে আমার মা , ছোট ভাই আর আমি।লিখতে থাকলে তো শেষ হবে না তাই এখানেই থাক আপাতত।
🎋শখঃ ভ্রমণ করা।বাংলা নাটক দেখা।একটা সময় খুব দেখতাম এখন আর দেখা হয় না।
❤️ ভালোলাগার কাজঃ নামায পড়া,অন্যের উপকারে আসা,কম কথা বলা, চুপ থাকা।
🎋অপছন্দের কাজঃ অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা, সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠা, মিথ্যা কথা বলা।
🇧🇩পছন্দের লেখকঃ কাজী নজরুল ইসলাম।
জসিমউদদীন।
❤️ আমার ভালোবাসার মানুষ ❤️
আমার নিজের পরিবারের সবাই।
নিজের বলার মত একটা গল্প
ফাউন্ডেশনের সবাই।
🎋প্রিয় ব্যক্তিত্বঃ আমার মা
ছোট বেলা থেকেই মা কে দেখেছি কত কষ্ট করতে।অভাব অনটনের সংসারে কত দিন য না খেয়ে থেকেছেন কিন্তু আমাদের কে কখন না খাইয়ে রাখত না।আমাদের মিষ্টির দোকান ছিল আম্মা সবকিছুই তৈরী করতে পারতেন।প্রতিদিন জিরাপি, রসগোল্লা খুরমা, নিমকি তৈরী করতেন। সেই সুবাদে টুকি টাকি আমিও শিখেছিলাম।
আমার বুজ হওয়ার পর মাকে কোন দিন তার বাবার বাড়ীতে যেতে দেখিনি। এমন কি আমাদের কেও যেতে দিত না বাবা।সে অনেক কথা বলতে গেলে আর ফুরাবে না।আপনারা সকলেই দোয়া করবেন আমি যেন আমার মাকে আর ছোট ভাইকে সারাজীবন সুখে রাখতে পারি।
🎋আমার ছোট ভাইয়ের একটু ব্রানের সমস্যা আছে সকলেই তার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন ওর মেধা শক্তি স্বাভাবিক করে দেন।ছোট বেলায় নাকি ওর বসন্ত রোগ হইছিলো এটা নাকি তার সাইট ইফেক্ট।
🌿আমার কর্ম জীবন 🌿
যেই বয়সে সব ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া আর খেলাধুলা করে কাটিয়েছে ও মানুষের সাথে কিভাবে আচার আচরন করতে হবে তা শিখেছে। সেই বয়সেই একটায় চিন্তা ছিল কবে আম্মাকে চাকরি করা থেকে অব্যাহতি দিতে পারব।আমি যখন ৭মশ্রেণীতে পড়ি তখন পারিবারিক সংঘাতের কারণে আমার আম্মা গাজীপুর চলে আসেন।আমি কোন মত ৮ম শ্রেণীের জে এস সির প্রথম ব্যাচের পরীক্ষা দিয়েই পরদিন গাজীপুর চলে আসি।এসেই জম জম নামের এক স্পিনিং ফ্যাক্টরি চাকরি নেই ২০১০ সালে তখন আমার সেলারী ধরে ছিল ২৩০০ টাকা। ৩ মাস করার পর চাকরি পরিবর্তন করি জয়েন্ট করি যমুনা গ্রুপে অঙ্গ প্রতিষ্ঠান শামীম স্পিনিং এ সেলারী বেড়ে দাড়াল ২৯০০ তে। এর ২/৩ মাস পর সরকারী ভাবে স্কেল বেড়ে দাড়াল ৩৫০০ তে।যদিও গার্মেন্টসে তখন ধরত ৪৫০০-৫২০০ অনেক ছোট বলে গার্মেন্টসে তখন নেয় নি আমাকে।এরপর সেখানে কাজ করলাম তিন বছর এবং এর মধ্যে সেলারী বেড়ে দাড়িয়ে ছিল ৬১০০ তে এর মাঝে দুইটা ইনক্রিমেন্ট পেয়ে ছিলাম। এর পর ২০১৩ শেষে চাকরি নিলাম নিউ এশিয়া গ্রুপে ডাইং সেকশনে সেখানে ১২ ডিউটি করে পেতাম ৮০০০।
কাজটা শিখলাম মনোযোগ দিয়ে। খুব তাড়াতাড়ি কাজটা শিখে নিলাম কিন্তু পদোন্নতি হল প্রায় ২ বছর পর।২০১৬ চাকরি টা আবার চেঞ্জ করলাম চলে গেলাম ধামরাই এর শ্রীরামপুরে চাকরি নিলাম গ্রাফিক্স টেক্সটাইল এ। সেলারী হল ৮ ঘন্টায় ৯৫০০ টাকা।সেখানে ১ বছর ছিলাম । সেখান থেকে চলে গেলাম ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল এ সেলারী হল ১১৫০০ টাকা ২০১৭ তে।২০১৮ এর মাঝা মাঝি সরকারী স্কেল বেড়ে হল, ১৪০০০ টাকা। ও এর মাঝে বলাই হয় নাই যে আম্মা সেই ২০০৮ এর মাঝামাঝি থেকে চাকরি করত গার্মেন্টসে । ২০১৮ এর মাঝামাঝি আম্মাকে চাকরি থেকে এক প্রকার জোর করেই অব্যাহতি নেওয়ালাম।আমি থাকতাম রাজেন্দ্রপুর আর আম্মা আর ছোট ভাই থাকত সফিপুর দুই জায়গায় রুম ভাড়া খাওয়া খরচ চালানো হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম এর মাঝেই ২০২০ এ পলমল গ্রুপ থেকে অফার পেলাম। ১২ ঘন্টা ডিউটি ১৯০০০ সেলারী। আলহামদুলিল্লাহ চলতে ছিল ভালই । এর মাঝে প্রথম করুনার সময় কম্পানি থেকে লোক ছাটাইয়ের তালিকা পড়ে যাই।কারন সেখানে জয়েন্ট করা মাত্র ২ মাস হয়েছে । প্রায় ২ মাস কোন রোজকার নাই তিনজন মানুষ গাজীপুরেই কোন ইনকাম ছাড়া বসে খেয়েছি।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালা উত্তম ফয়সালা কারী। কম্পানি যখন আবার পুরো দমে আবার রানিং হয় প্রথমে যে কয়েকজনকে রি জয়েন্ট করায় তাদের মধ্য আমি ছিলাম একজন।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালার অশেষ রহমত এবং মায়ের দোয়ায় যা ইনকাম করতেছি তাতেই আলহামদুলিল্লাহ।
🎋স্যারের একটা সেশন আছে না মা-বাবার দোয়ার কারণে সব মিরাক্কেল ঘটে আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে মায়ের দোয়ার কারণে আমি মাত্র জে এস সি পাশ হওয়া সত্যেও আমার ইনকামের রাস্তা তৈরী করে দিয়েছেন আল্লাহতালা।
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ।
🎋চাকরির পাশাপাশি আমি স্বপ্ন দেখি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার
🇧🇩 আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প 🇧🇩
দীর্ঘ ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতার কারনে বিভিন্ন স্যার বস দের ব্যবহার দেখে নিজেকে পরাধীন মনে হত সব সময়। ভাবতে থাকি কবে মুক্ত হব এই জীবন থেকে। ভাবতে ভাবতেই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সন্ধান পেলাম। স্যারের দেওয়া অসাধারণ সেশন গুলো প্রতিনিয়ত করতেছি এবং শিখতেছি।এর মাঝেই ছোট্ট পরিসরে ছেলে ও মেয়েদের কেডস সু আইটেম নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।সকলেই ভালবেসে পাশে থাকবেন এবং বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবেন।
🎋ভবিষৎ পরিকল্পনা
আমার বাড়ি যেহেতু কৃষি প্রধান এলাকায় ভবিষ্যতে কৃষি পন্য নিয়ে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।
🌹আমাদের সকলের প্রিয় প্ল্যাটফর্ম
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার গল্প।
🎋২০২২ইং সালের ২৩ জুলাই ১৮ তম ব্যাচের ৮৭ তম সেশনের দিন youtube এ ভিডিও দেখতে দেখতে স্যারের U tv live এর একটা ভিডিও সামনে আসে সেই ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফেসবুকে গিয়ে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন লিখে সার্চ করে যুক্ত হয়ে যাই এবং নীজে
নীজে নীজেই রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলি।অবশ্য ব্যাচ নং ভুল করে ২০ দেই। পরবর্তী তে ফাউন্ডশনের এক ভাইয়ার সাহায্যে ঠিক করে ফেলি।ফাউন্ডেশনের যুক্ত হয়ে এমন কিছু ভাল মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি এক কথায় অসাধারণ তাদেরকে যে কোন সময় যে কোন পরামর্শের জন্য নক করলে হাজার ব্যস্ততার মাঝেও সময় দিয়েছেন বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে পাশে থেকেছেন। বিশেষ করে মাহমুদ ভাইয়া, সুমন ভাইয়া,মুমিন সরকার ভাই,খান জুয়েল,আল মামুন ভাই,স্বপ্না আপুৃ,সনিয়া সারমিন আপু,জাহিদ বাবু ভাই, বকুল চন্দ্র দাদা ঠাকুরগাও জেলা এম্বাসেডর এছাড়া ফাউন্ডেশনের যে কাউকে নক করলে সকলেই আন্তরিকতার সাথে সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা হলে ভাইয়া বা আপুদের যে কাউকে নক করলে তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেন।
ভাইয়া এবং আপুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
🎋প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর অনেক ভালো মনের অধিকারী ভাই ও বোনদের সাথে পরিচিত হই ,দিনে দিনে প্ল্যাটফর্মের প্রতি আমার ভালোবাসা বাড়তে থাকে, এবং আমাদের নিজের বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্মের প্রেমে পড়ে যাই, স্যারের দেওয়া সেশন গুলি প্রতিদিন মনোযোগ সহকারে পড়ি ও অতন্দ্র গাজীপুর জেলার সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত হয়ে সেশন গুলি চর্চা করি।
🎋গ্রুপের সকল প্রিয় ভাইয়া-আপুদের কাছে চির কৃতজ্ঞ, যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাকে অনুপ্রেরণা যোগানোর চেষ্টা করছেন।
🎋০৫ নভেম্বর অতন্দ্র গাজী জেলার নবীনবরণ ও উদ্যোক্তা মিলন মেলার অসাধারণ কিছু অনুভূতি যা আমার জীবনের গল্পের সাথে যুক্ত না করলে মনে হচ্ছে গল্পটা অপরিপূর্ণ থেকে যাবে তাই একটু শেয়ার করি।
নবীন বরণ ও উদ্যোক্তা মিলন মেলা সফল করার লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আপনারা না থাকলে হয়তোবা এত সুন্দর প্রোগ্রাম দেখার সৌভাগ্য আমাদের হতোই না এবং প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না।
উক্ত প্রোগ্রাম থেকে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আমার পরবর্তী জীবনে অনেক কাজে লাগবে বলে আমি আশাবাদী।
🎋আশা করছি ভবিষ্যতে আরও সফল ভাবে এগিয়ে যাবে আমাদের নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন।তৈরী হবে লাখ লাখ উদ্যোক্তা কর্মসংস্থান হবে কোটি কোটি মানুষের 🎋
🎋🇧🇩ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে যা শিখতে পেরেছি🇧🇩
🎋সবার আগে নিজেকে কিভাবে ভালবাসতে হবে।
🎋কিভাবে একজন ভাল মানুষ হওয়া যায়।
🎋কিভাবে পজিটিভ মানুষ হওয়া যায়।
🎋কিভাবে বাবা-মাকে ভালবাসতে হবে।
🎋কিভাবে ভলেন্টিয়ারিং করতে হয়।
🎋কিভাবে কথা বলার জড়তা কাটাতে হয়।🎋কিভাবে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে।
🎋 কিভাবে নিজের কাজের প্রেমে পড়তে হয়।
🎋কিভাবে অন্যের সমালোচনার জবাব কাজের মাধ্যমে দিতে হয়।
🎋দেশের মানুষের জন্য কিছু করার মন মানুসিকতা তৈরীকরা।
🎋মানুবিক কাজ করা।
🎋জীবনে অন্নত একজন মানুষের ভাগ্য বদলাতে সা়হায্য করা।
🎋যদি কারো উপকারে না আসতে পারি তবে আমার দ্বারা যেন কারো ক্ষতি না হয়।
🎋আমার করা ভাল কাজ🎋
🎋সেপ্টেম্বর ২১ তারিখ একজন ব্যাল্ড ক্যনস্যার রোগিকে এক ব্যাগ রক্ত দান করার তৌফিক দিয়েছেন আল্লাহ তালা🎋
🎋সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার বাবা মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
🎋আমার জীবনের গল্পটি পড়ে আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
আমার লেখার ভুল ত্রুটিগুলো দয়া করে ক্ষমা - সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
🎋 প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইলো।
🎋অতন্দ্র গাজীপুর জেলার কোর ভলান্টিয়ার ও মডারেটর এবং জেলা এম্বাসেডর ও উপজেলা এম্বাসেডর , কমিউনিটি ভলান্টিয়ার আজীবন সদস্যগণ সকলের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা অবিরাম। , সবাই সবাইকে অনেক ভালবাসে এবং সহযোগীতা করে সকলের
অনুপ্রেরণায় আমার পথ চলা। অতন্দ্র গাজীপুর জেলার সকল দায়িত্বশীল ভাই বোনেরা সত্যিই প্রকৃত পক্ষে মহৎ মানুষ তাদের কোন তুলনা হয় না ,সুন্দরভাবে অতন্দ্র গাজীপুর টিমকে নির্দেশনা ও ভালবাসা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
স্ট্যাটাস অফ দি ডেঃ ৯১০
তারিখঃ ০২-১২-২২
🎋ধন্যবাদান্তে🎋
🎋আমি মোঃহিটলার জামান
🎋ব্যাচ: ১৯ তম
🎋রেজিস্ট্রেশন: ১০২৯৭৭
🎋