দৈনিক যুগান্তর প্রত্রিকায় " নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন" -" বিনামূল্যে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ"
প্রযুক্তির কল্যাণকর অগ্রযাত্রার এ সময়ে মানুষ ঘরে বসে উপভোগ করছেন নাগরিক সব সেবা। করোনাকালীন এ প্রবণতা আরও বেড়েছে। প্রযুক্তির আশীর্বাদে চাইলেই ঘরে বসে যে কোনো কোর্স করে নিচ্ছেন। মহামারির প্রভাবে চাকরি হারানো শত শত কর্মজীবী নিজেই হয়েছেন উদ্যোক্তা। বাংলাদেশেও লাখো তরুণ চাকরির পেছনে না দৌড়ে নিজেই কিছু করার চেষ্টা করছে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে অনলাইনে বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যের কোর্স শেষে উদ্যোগ নিয়ে আজ সফল তারা। দেশের অর্থনীতিতেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এসব উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও অনুপ্রেরণা দিতে কাজ করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। তেমনই একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘নিজের বলার মতো একটি গল্প’ ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশের একমাত্র ফাউন্ডেশন যেখানে ‘প্রতিদিন’ উদ্যোক্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বিনামূল্যে-
২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করা ফেসবুকভিত্তিক কমিউনিটি গ্রুপটি বর্তমানে রূপ নিয়েছে উদ্যোক্তা তৈরির সেরা প্রশিক্ষণ প্ল্যাটফরমে। মাত্র ৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন প্রায় সাত লাখ।
বর্তমানে মহৎ এ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৩ লাখ ৭০ হাজার প্রায়। ফেসবুক পেজে রয়েছে ৬ লাখ ৫৫ হাজারের মতো এবং ইউটিউবে-১ লাখ ৫০ হাজার সাবস্ক্রাইবার।
এখন পর্যন্ত ১ লাখের বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে প্ল্যাটফরমটির মাধ্যমে। যারা দেশে প্রায় ৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। ‘নিজের বলার মতো একটি গল্প’ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ। যিনি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে নিরলস বিনা পারিশ্রমিকে ও নিঃস্বার্থভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উন্নয়নে।
এনবিএমইজির প্ল্যাটফরমে উদ্যোক্তা বিষয়ক ১৬টি স্কিলস শেখানো, মূল্যবোধ, লিডারশিপ ও ভলান্টিয়ারিং চর্চাসহ বিভিন্ন অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়। ১৯টি ব্যাচের সফল প্রশিক্ষণ শেষে বর্তমানে ২০তম ব্যাচ চলছে। দেশের ৬৪ জেলায়, ৪৯২টি উপজেলায় ও ৫০টি দেশে সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করে ৩০০০ জন দায়িত্বশীল ভলান্টিয়ার দিয়ে এ ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। টানা ১০০০ দিনের অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস, যুক্তরাজ্যে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে প্ল্যাটফরমটির প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার। তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণদের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে তাদের জীবন মান উন্নত ও মূল্যবোধ তৈরি করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। আগামী ২ বছরের মধ্যে আমাদের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশে ১০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে এ ফাউন্ডেশন।
এমনভাবে আমরা আমাদের অনলাইন প্ল্যাটফরম তৈরি করেছি যেখানে প্রায় ৭ লাখ তরুণ সংযুক্ত, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ নারী। নিজের বলার মতো গল্প প্ল্যাটফরমটি মার্কেটপ্লেসে রূপ নিয়েছে ইতোমধ্যে। যেখানে সদস্যরা কোন বিপণন খরচ ছাড়াই লাখ লাখ টাকার পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। আমাদের প্ল্যাটফরম তাদের বিশাল নেটওয়ার্কিং সুযোগ দেয় এবং সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।