আজ আমি সাহসী আজ আমি উদ্দ্যোগী আমাকে কেউ এত সহজে হারিয়ে দিতে পারবে না।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আমার জীবনের গল্প -----
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই অনেক আছেন। "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের '' প্রিয় স্যার, ভাই-বোন, সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজকে আমার ক্ষুদ্র জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা, চলার পথের সৃতি বিজড়িত কিছু মহূর্ত এবং হ্রদয় বিদারক কিছু সময় আপনাদের কাছে তুলে ধরার প্রচেষ্টা করব। সাফল্য এবং ব্যর্থতা বিচার করার গুরু দায়িত্ব আপনাদের কাছে সোপর্দ করলাম ।
সর্ব প্রথম মহান রবুল আলামিনের প্রতি আমি লক্ষ কোটি শুকরিয়া জানাচ্ছি যিনি আমাদের সুস্থ্য রেখেছেন, প্রতি নিয়ত তাঁর অফুরন্ত নিয়ামত ও রহমতের ডুবিয়ে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ। আবারও অনেক অনেক শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি যে, তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, পেয়ারে হাবীব হযরতে মুস্তফা (সাঃ) এর উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য দান করেছেন। এবং লক্ষ কোটি দুরুদ পেশ করছি আমাদের রাসুল পাক (সঃ) এর পবিত্র কদম মোবারকে, যার বদলে আমরা আমাদের রবকে পেয়েছি, পূর্ণাঙ্গ দ্বীন পেয়েছি, চমৎকার জীবন বিদ্বান পেয়েছি ।
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের সকালের প্রিয় স্যার প্রিয় মেন্টর, সকলে স্বপ্ন গুরু জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। যিনি আমাদের সবাইকে এত সুন্দর #নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন "" উপহার দিয়ে চিরঋণী করে রেখেছেন। যার অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় হাজার হাজার উদ্দোক্তার স্বপ্ন বাস্তবতায় রুপ পাচ্ছে এবং যারা এ প্লাটফর্মের হাত ধরে সফল হয়েছেন তাদের সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক ভাবে #Congrotalation!!!
চেষ্টা করব আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে সংক্ষিপ্ত করে লিখতে, তবুও যদি এই এলোমেলো কথাগুলো গুছিয়ে লিথতে না পারার কারণ বোরিং ফিল করেন - তার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত,
আমি সাজেদা বেগম, বানিজ্য নগরী চট্টগ্রামের জেলার অন্তর্গত লোহাগড়া উপজেলার রশিদার পাড়া গ্রামে আমার জন্ম। বাবাঃ ছালেহ আহমেদ এবং মাঃ মোবারক খাতুনের আমরা ৮ ভাই-বোনের মধ্যে আমি চতুর্থ ।শুক্রবার বারে জন্ম হয়েছিলাম বলে মা অতন্ত্য আদর করে নাম রেখেছিলেন সাজেদা বেগম যার অর্থ ধার্মিক।
রশিদার পাড়া গ্রামের কাঁদা-মাটি গায়ে মেটো হাস-মুরগী,কবুতর, ছাগল পালন সহ সহপাঠীদের সাথে খেলা ধুলা করা যেমন আমর প্রিয় ছিল তেমনি পড়াশোনা করা আমার অনেক প্রিয় ছিল। আমি হলপ করে বলতে পারি আমার অনান্য ভাই-বোন ও সহপাঠীদের চেয়ে আমি পড়াশোনায় অনেক ভাল ও মেদাবী ছিলাম।বোনরা সবাই বড় বলে আমাদের কোন বড় ভাই ছিল না । কিন্তু ছেলেদের মত সমস্ত কাজে মা'কে সহযোগিতা করা, বাজার করা, ঔষধ পাতি আানা
ইত্যাদি সব কাজ আমি করতাম। একথায় আম্মুর হাজারো দুঃচিন্তার আমি ছিলাম সবচেয়ে বড় সাহস, আম্মুর হাতের লাঠি, আম্মুর সব কাজের হেল্পার।
শিক্ষা ও বৃত্তি ঃ
আমার বয়স যখন তিন বছর, তখন আমাদেরকে আরবি পড়ানোর জন্য বাসায় একজন হুজুর (মুজিব হুজুর) আসতেন। তিনি আবার সুফিয়া আলিয়া মাদ্রাসার পড়তেন । ওনার হাত ধরে সুফিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হই । মাত্র চার মাসের মধ্যে আমি ক্লাস ওয়ানের চারটি বই পুরোপুরি মুখস্ত করে ফেলি এবং বাসায় মুজিব হুজুরকে বলি হুজুর এই বই গুলো আমি আর পড়ব না আমার এগুলো পড়া শেষ। হুজুর আমাকে দমক দিয়ে বলে কি পড়া শেষ? আরো পড়তে হবে পড়। হুজুরকে অনেক বার বলেছি এই বই গুলো আমার সব পড়া হয়ে গেছে আমি আর পড়ব না। তারপর ও হুজুর প্রতিদিন আমাকে ক্লাস ওয়ানের সেইম বই গুলো বার বার পড়তে বলেন।
তাই নিজে বুদ্ধি করলাম আজকে মাদ্রাসায় গিয়ে বড় হুজুরকে বলব। যেমন বুদ্ধি তেমম কাজ, ক্লাসে হযরত মাওলানা নুরুচ্ছাফা হুজুর ঢুকার সাথে সাথে হুজুরকে বললাম হুজুর এই বই গুলো আমি আর পড়ব না।
হুজুর বললেন কেন? আমি বললাম এই বই গুলো আমি সব শিখে ফেলেছি। আপনি জিজ্ঞেস করেন, আমি সব বলতে পারব। হুজুর কিছুতেই বিশ্বাস করছিলেন না পরে আমি আবার ও বললাম হুজুর আপনি আমাকে জিজ্ঞেস তো করুন। আমি বলতে পারি কিনা দেখুন। উনি বাধ্য হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করা শুরু করেন। আমি একটা একটা করে সব কিছুর উত্তর হুজুরকে দিলাম। হুজুর অনেক খুশি হলেন এবং ক্লাসের সবাইকে বললেন দেখ তোমরা সবাই সাজেদার মতো পড়া শুনা করবা , তাহলে ভালো পাশ করতে পারবে এবং আমাকে কোলে নিয়ে অনেক আদর করলেন। আমার এখনো মনে আছে ঐদিনের ঐ অনুপ্রেরণা আমার সারা জীবনের জন্য পথের পাথেয় হয়ে কাজ করল---
এরপর দ্বিতীয় তলা থেকে আমার বাসার মুজিব হুজুরকে ডাকতে পাঠালেন। মুজিব হুজুরকে বললেন তোমার ছাত্রীতো মাশাআল্লাহ পুরো বই মুখস্থ করে ফেলেছে। সে নাকি আর ক্লাস ওয়ানে পড়বে না তুমি কি বল? মুজিব হুজুর বললেন হুজুর সাজেদা আমাকে প্রতিদিনই বলে কিন্তু আমি কি করব হুজুর? হযরত মাওলানা নুরুচ্ছফা হুজুর বললেন, আমি আগামীকাল একটা পরীক্ষা নিব সাজেদার কাছ থেকে। যদি সব পারে তাহলে সাজেদাকে ক্লাস টুতে ডাবল পারমিশন দিয়ে দিব। আগামীকাল তুমি সহ আমার সাথে প্রিন্সিপাল হুজুরের সাথে দেখা করতে যাবে। মুজিব হুজুর বললেন , ঠিক আছে হুজুর আমি আসব এবং আপনার সাথে প্রিন্সিপাল হুজুরের সাথে কথা বলব।
পরের দিন যথাসময়ে আমার পরীক্ষা নেওয়া হলো আমি সব বিষয়ে খুব ভালো নাম্বার পেলাম এবং আমাকে আমাদের প্রিন্সপাল হুজুর ও অনেক আদার করলেন এবং দোয়া করেদিলেন। আমি ক্লাস টুতে ডাবল পারমিশন নিয়ে ভর্তি হলাম এবং আলহামদুলিল্লাহ বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে তৃতীয় শ্রেণিতে উঠলাম।
এই মাদ্রাসাতে যখন আমি সপ্তম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীতে উঠব তখন আমাদের নতুন বাড়িতে (আজিজনগর) চলে আসি।
নতুন বাড়ি থেকে মাদ্রাসা অনেক দূরে তাই আজিজিনগর চাম্বী হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতেই ভর্তি হলাম এবং অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে আমাদের ৬ জনের মধ্যে আলহামদুলিল্লাহ একমাত্র আমিই বৃত্তি পেয়েছিলাম।
নবম শ্রেণিতে কমার্স নিয়ে পড়তে হলো কেননা আজিজনগর চাম্বী হাই স্কুলে সাইন্স থাকলেও কোনো স্যার ছিল নাহ। কিন্তু নিয়তির কি নিষ্ঠুর খেলা হঠাৎ -করে একদিন আমার ঘুমের মধ্যে প্রচন্ড কাঁপুনী দিয়ে খিচুনি শুরু হলো। এই বুঝি শেষ জীবনের মিস কল এসে হাজির হলো, সবাই নাকি বলেছিল আমি মরে যাব। আমাকে চট্টগ্রাম চকবাজার মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলো দীর্ঘ একমাস ধরে চিকিৎসার পর সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আমি পড়া লেখা করতে পারতেছি না। পড়তে বসলেই মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে এবং বমি হচ্ছে চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়তেছে। এভাবে চলে গেল পুরো একটা বছর পরের বছর আম্মুকে বললাম আম্মু আমার মনে হয় আমি মাদ্রাসার পড়া বাদ দিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়েছি তাই মনে হয় এত অসুখ বিসুখ হচ্ছে। তুমি আমাকে আবারও মাদ্রাসায় ভর্তি করে দাও। আম্মু আমাকে বলে এত দূরে থেকে গিয়ে তুমি মাদ্রাসায় পড়তে পারবে না। এখান থেকে গাড়ি ও ঠিক ঠাক পাওয়া যায় না।তোমার আব্বু ও অনুমতি দিবে না। আর তাছাড়া তুমি অনেক পড়ালেখা করছো এখন আর পড়তে হবে না । ঘরে বসে বসে আমার কাছে কুশিকাটার কাজ শিখো। আমি বললাম ঠিক আছে তোমার কাছে কুশিকাটার কাজ শিখব। কিন্তু তুমি আমাকে আগে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দাও।
আমার কথাশুলো কেউ শুনল না, আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিল না। আমি ও কম জেদি না, আমার একটা মুরগ ছিল সেটা মগ পাড়ায় বিক্রি করে সোজা লোহাগড়ায় খালার বাসায় চলে আসি এবং মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে তারপর বাড়িতে আসি। সপ্তাহে দু-একদিন করে ক্লাস করে যাচ্ছি। কিন্তু আব্বু আমার উপর অনেক রাগ, আব্বুর একটাই কথা এত দূর থেকে গিয়ে পড়া শুনা করা যাবে না, তুমি আমার কথা না শুনে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে সেটা ঠিক কর নাই। আব্বুর সাথে আমার অনেক দিন মান অভিমান চলে। এর মধ্যে হঠাৎ করে আমাকে না জানিয়ে আব্বু আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। কোন ভাবেই বিয়ে ঠেকানো গেল না। বিয়ে হয়ে গেল। শ্বশুর বাড়ি - অনেক বড় পরিবার তার উপর বিশাল বড় লোক। কিন্তু আমার পড়া শুনা করার কোনো সুযোগ সেখানে নেই। কিন্তু মনের মধ্যে পড়াশোনা করতে না পারার তীব্র একটা কষ্ট রয়েই গেল।
অনেকদিন পরে আমার ছোট বোন কোহিনুর আমাকে পরমর্শ দিল , আপু তুমি চাইলে উন্মুক্ত থেকে আবার পড়াশোনা শুরু করতে পারবে। উন্মুক্ততে রিগুলার ক্লাস করার কোন প্যারা নাই, যখন সুযোগ পাও ক্লাস করবে আবার যদি -সময় না পাও তাহলে, বাসায় একটু ভালো করে পড়ে পরিক্ষাগুলো দিয়ে এস.এস.সি কমপ্লিট করে নিতে পারো ।আমি কহিনুরের কথা শুনে অবাক হলাম। সেই সাথে অনেক খুশি হলাম কারণ আমি আসলেই জানতাম না যে পড়াশোনায় গ্যাপ হয়ে গেলে উন্মুক্ত থেকে আবার শুরু করা যায়। তাই আমি ডান - বাম কিছু চিন্তা না করে শ্বশুর বাড়ির কাওকে না জানিয়ে বাড়ির পাশে গুলজার বেগম হাইস্কুল এ উন্মুক্তের এস.এস.সি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে গেলাম। যদিও আমার শ্বশুর বাড়ির সবাই উচ্চ শিক্ষিত, কিন্তু তাদের বাড়ির বৌ এখন আবার এস.এস.সি দিবে, এটা কখনো হয়ত তারা মেনে নিত পারবে নাহ। আর তাছাড়া বাড়িতে অসুস্থ শ্বশুরের দেখা শোনার সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব আমরা উপরই। তাই এসময়ে তো কোনভাবেই পড়া শোনা করার জন্য ছাড় পেতাম না। কিন্তু আমিও হার মানার পাত্রী নয়। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম কোন ভাবেই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। তাই কাওকে না জানিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু দূরভাগ্য যেন আমার পিছুই ছাড়ে নাহ
সংসারের হাজার কাজের মধ্যে কোনদিন আদ ঘন্টা, কোন দিন এক ঘন্টা পড়ছি কিনা মনে পড়ে না । এমন অনেক দিন গেছে সারাদিন বই গুলো একটু ছুঁয়ে ও দেখতে পারি নাই , কারো কাছ থেকে টিউশন নিব তো অনেক দূরের কথা। এভাবে পরিক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে যখন ২০১৪ সালে ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিচ্ছি, সেইদিন ছিল আমার অংক পরীক্ষার দিন, ঠিক সেই দিন আমার শ্বশুর ভিশন অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। যার করণে পরীক্ষার পৌঁছাতে পুরো ৩০ মিনিট দেরি হয়ে গেল । দেরি করে গেলাম কেন উত্তর দিতে দিতে আর ও ১৫ মিনিট চলে গেল । যতক্ষণ পরীক্ষা দিচ্ছিলাম কেঁদে কেঁদে পরীক্ষা দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ তারপর ও আমি ৪.৭৫ পেয়েছি। এর মধ্যে আমার শ্বশুর ও অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছিলেন, তাই সুযোগ বুজে আমিও শ্বশুরকে —
জানালাম আব্বা আমি পড়া শুনা করতে চাই" এবং কিভাবে আমি সংসারের সব কিছু ম্যানেজ করে এস.এস.সি পরিক্ষা দিয়েছি এবং ভাল রেজাল্ট করেছি এ খবর শুনে আমার আব্বা শ্বশুর অনেক খুশি হলেন এবং আরো পড়াশোনা কররা অনুমতি দিলেন ।
এইস এস সি বাকলিয়া কমার্স কলেজ থেকে ২০১৪/১৫ সেশনে কমপ্লিট করি। সেখানে ও আলহামদুলিল্লাহ জিপিএ ৫ পেয়ে সুনামের সহিত পাশ করি। তারপর ২০১৬/১৭ মহসিন কলেজে যেতে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করলাম,,
--মিসকল!!
জীবনের এই কলগুলো যদি আমার জন্য মিসকল না হতো, তাহলে হয়তো জীবনটা আজ ঐখানে থেমে যেত,যাইহোক বেঁচে আছি বলেই আপনাদের এত ভালোবাসা আমি প্রতি নিয়তি পেয়ে যাচ্ছি,আলহামদুলিল্লাহ
তবে এজীবনের স্বাদে - বিস্বাদে, সুখে - দুঃখে আমি নিজেকে নিজে চিনার বড় একটা সুযোগ পেয়েছি।
১/আমার বয়স যখন ৪ বছর তখন আমার মেঝ চাচা নতুন বিয়ে করেন, বউ নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাবে কিন্তু নতুন চাচী আমাকে ছাড়া যাবে না তার বাপের বাড়িতে, আমি ও মহা খুশি চলে গেলাম, চাচীর বাপের বাড়ি ছিল বড় হাতিয়া উনাদের তিন তলা মাটির বাড়ি,ঐখানে যাওয়ার দ্বিতীয় দিন, আমরা সবাই মিলে তয় তলার চাদে লুকোচুরি খেলছিলাম, আমি লুকাতে চলে গেলাস তয় তলার জানালার বাহিরে কিন্তু কি মহা বিপদ! যেই আমি জানালার পিচনে লুকানোর জন্য নামলাম এমনি জানালা সহ তিন তালা থেকে ভেঙে পড়ে গেল নিচে, দুপুর বেলা কেউ নেই শুধু আমরা ছোট ছোট চারজানে মিলে খেলা করতেছিলাম, তখন সৌভাগ্য বশত আমার চাচীর আব্বা দোকান থেকে দুপুরের খাবার খেতে বাড়িতে আসছিলেন ঐ সময় উনার ঠিক সামনে আমি উপর থেকে পড়ে যাই, (উনাকে আল্লাহ তায়ালা হয়ত ফেরেশতা বানিয়ে আমাকে বাঁচানোর জন্য পাঠিয়েছিলেন,) উনি আমাকে ধরে ফেলেন, আমার কোনো ক্ষতি হয়নি তবে ঐ দিন নানুভাইয়ের মাথায় লোহার রড় পড়ে উনি প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছিলেন, কিন্তু আমাকে বাঁচাতে পেরে উনি মহা খুশি হয়ে ১২/১৫ জন ফকিরকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ভাত খাওয়ালেন, আমি আমার জীবনে আমার রব থেকে আসা প্রথম কলটি মিস করলাম কতইনা ভালো হতো এতদিনে আমি থাকতাম আল্লাহর সেই বেহেশতের ফুলের বাগিচায়, কিন্তু দুঃখের বিষয় আজো আমি এখানে,
২/আরেকবার আমি দুপুর বেলা আম্মুকে ঘুম পাড়িয়ে চুরি করে খেলতে গিয়েছিলাম, আমার চাচাতো ভাই মাশুকের সাথে, আমাদের নতুন পুকুর খনন করা হয়েছে মাত্র দুদিন আগে, আমি এবং মাশুক পানি নেওয়ার জন্য নিচে নামলাম এমনি কে যেন আমাদের দু'জনকে একত্রে টেনে নিচে নামিয়ে ফেলে, মহা বিপদ আমি এবং মাশুক কেউ সাতার কাটতে জানি না, আমরা প্রাণ পন চেষ্টা করে যাচ্ছি একে অপরকে ধরে বাঁচতে কিন্তু পারতেছিনা আমার এখানে মনে আছে আমি মাশুককে- মাশুক আমাকে ধরে আছে শক্ত করে কেউ কারো হাত ছাড়িনি, , প্রায় ডুবে গেছি। একটু একটু চুল পানির উপরে দেখা যাচ্ছে, এমন সময় আমার এক ফোপাঁত ভাই আমাকে দেখতে পাই - যে কালো কালো কিছু চুল পানিতে ভাসছে ভালো করে বুঝা যাচ্চে না, ্যএমনি উনি পানিতে লাফ দিয়ে আমাকে চুল ধরে টেনে উপরে তুলার চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু আমি মাশুকের হাত চেড়ে দিয়নি কেননা আমরা কেউ সাঁতার কাটতে জানতাম না, একজন অপরজনকে ধরে বাঁচতে চেয়েছিলাম, ঠিক ঐ সময় শামসুদ্দিন ভাই এসে আমাদের দুজনকে বাঁচিয়েছিলেন, এ মরন যাত্রায় ও আমাকে আল্লাহ তায়ালা মিস কল দিয়েছিল আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিতে পারলাম না, শামসুলদ্দিন ভাই আমাকে আমার রবের কাছে যেতে দিলেন না, মিস হয়ে গেল রবের মিসকল!!
আরেকদিন আমি
৩/একদিন সন্ধ্যার সময় আমার বড় খালার বাড়িতে বেড়াতে গেলাম আমি যেইদিন তাদের বাড়িতে গেলাম, ঐদিন তাদের ওখানে বিদ্যুৎ চলে গেছে আমার শ্রদ্ধেয় ডোবাই ফেরত খালু চেরাগ ধরালেন। আমার গায়ে ছিল একটা জরজেট কাপড়, হটাৎ করে চেরাগটি উপর থেকে আমার গায়ে এসে পড়ে,এবং আমার পুরো শরীরে আগুন ধরে যায়। আমি নিজ থেকে নাড়াচাড়া করার হুঁশ হারিয়ে ফেললাম, আমার খালু হাত দুটো ধরে দিলেন পুকুরে এক মেলা। মূহুর্তের মধ্যে হৈচৈ শুরু হয়ে গেল পুরো বাড়িতে আগুন! আগুন!! আগুন!!
কি আশ্চর্য বিষয় পুরো শরীরের কোনো অংশে আগুন লাগেনি কিন্তু আমার পুরো কাপড়টি সেইদিন পুড়ে গেছে , তখন আমার বয়স সাত বছর আমি এখন এক ডুব দিয়ে পুকুরের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে যেতে পারি, দারুন সাতার কাটতে পারি, এই যাত্রায় ও আল্লাহ আমাকে তার কাছে চলে যাওয়ার জন্য মিস কল দিয়েছিল, আমি অধম তার ডাকে সাড়া দিতে পারলাম না!! মিস হয়ে গেল মিসকল!
তাই আজ আমি ভাবি ---
কতক মৃত্যু আমায় সাথে করতে পারিনি
আলিঙ্গন
আজ আমি সাহসী
আজ আমি উদ্দ্যোগী
আজ আমি কাল দিগন্তের সাক্ষী
আমাকে কেউ এত সহজে হারিয়ে দিতে পারবে না,
বৃথা চেষ্টা করে না
আমি নতুন পথের সন্ধানে চুটি
অবিরাম দৃপ্তি শিখায় আগুন জ্বালিয়ে রাখি
আরও একটু কাব্য করে বলতে চাই
ছুটছে পুরুষ ছুটছে নারী
হোক না হেঁটে, নয়তো গাড়িতে
আমি ও সাওয়ার হইলাম
তাদের সাথী হয়ে --
প্রিয় স্যারের আদর্শগুলোকে বুকে ধারণ করে এবং বাস্তবে পরিণত করে সফল হতে চাই, সবার কাছে হাত জোর করে দোয়া চাই, দোয়া দিয়ে যাবেন।
আমার ভাই বোনের পরিচিতি
আমরা ৫ বোন ৩ ভাই..।
১/ বড় বোন ঃ রোকেয়া বেগম পেশায় একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার।বর্তমানে ঢাকায় দীর্ঘ ১২ বছর ধরে নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখছেন।
২/ মেঝ বোন ঃ ছোটবেলায় দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়েছিলো। ডাক্তরা সে মারা যাবে বলে জবাব দিয়ে দেয়। ভাগ্যবসত মারা না গেলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেনি। তাকে বিয়ে দেননি এখনও আব্বা-আম্মার সাথেই আছে।
৩/ তৃতীয় বোনঃ কোহিনুর আক্তার , শ্বশুর বাড়ি কলাউজান সেখানে পদুয়া হাসপাতালের অধিনে হ্যাল্থে সরকারি চাকরি করছে এবং তার স্বামী সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক।
৪/ আমি ঃ চতুর্থ
৫/ ছোট বোন ঃ ফাতেমা বেগম শাহিন, সে ও পেশায় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। ঢাকা সাভারে পরিবার সহ থাকে। তার স্বামী পেশায় আইনজীবী, পাশাপাশি বিজনেসম্যান।
৬/ প্রথম ভাই ঃ ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংকে (ইউ.সি.বি) চাকরি করছে।
৭/ দ্বিতীয় ভাই ঃ দোবাই প্রবাসী।
৮// তৃতীয় ভাই ঃ আলহামদুলিল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত সি আর পি তে তৃতীয় বর্ষে ফিজিওথেরাপি নিয়ে পড়াশুনা করছে। এবং পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্স নিয়ে অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যায়নরত আছে।
এ প্লাটফরমে কি ভাবে আসলাম ঃ
একদিন ইউটিউবে কিভাবে সফল ঊদ্দ্যোক্তা হওয়ার যায়? লিখে চার্জ দিলাম দেখি জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ভিডিও গুলো সামনে আসে। তখন স্যারের ভিডিও গুলো দেখা শুরু করি। যত দেখি তত ভালো লাগে, স্যারের এত সুন্দর এবং সহজ ভাযায় বুঝানোর ক্ষমতা আমাকে আকৃষ্ট করে। ঐ দিনেই গ্রুপে একটা পোস্ট দিলাম সাথে সাথে Alim Dar ভাইয়া রিপ্লাই দিলেন আপু আপনাকে ইনবক্স করেছি আপনি চেক করুন। আমি সাথে সাথে চেক করলাম, এবং সব তথ্য গুলো দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করলাম।তিনি আমাকে পরিচিত পোস্ট দিতে সহযোগিতা করেছিলেন। আমি ভাইয়ার কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ উনি আমাকে খুব সহজেই রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছেন এবং এখনো সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানায় আমাকে এত সুন্দর একটা পরিবেশে যুক্ত করার জন্য।
প্রিয় প্লাটফর্মের সব ভাই বোন, ও শ্রদ্ধেয় গুরুজন যারা এতক্ষণ পযন্ত আমার অগোছালো গল্পটি ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে পড়েছেন তাদের সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা। সেই সাথে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনাদের মাঝে আমাকে এত আপন করে নেওয়ার জন্য এবং এত এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৯১৩
Date:- ১২/১২/২০২২ইং
_______________শুভেচ্ছান্তে_______________
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন আজীবন গর্ভিত সদস্য।
পরিচয়
নামঃ সাজেদা বেগম।
ব্যাচঃ ২০ তম
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারঃ ১০৯২৭৮
উপজেলাঃ লোহাগড়া
বর্তামান অবস্থানঃ চট্টগ্রাম চকবাজার
আমার পেইজবুক আইডি লিংক ঃ https://www.facebook.com/shajeda.bagum.35
আমার বিজনেস পেইজ লিংক