✍️ আমার জীবনের গল্প✍️
✍️✍️ আমার জীবনের গল্প✍️
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে আমার জীবনের গল্প লেখা শুরু করছি। আমি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি মহান আল্লাহর প্রতি যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এক মুসলিম পরিবারে মুসলমান করে। আমি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি যাকে সৃষ্টি না করলে সমগ্র কুলকায়েনাত কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না এবং দোজাহানের রহমাতাল্লিন আলামিন সকলের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি। আমি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি আমার বাবা এবং মা এর প্রতি যারা আমাকে শত দুঃখ কষ্ট সহ্য করে লালন পালন করে বড় করেছেন। আমি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি প্রানের প্রিয় শ্রদ্বেয় স্যার,গুরুজন ব্যক্তিত,আইডল,পথ প্রদর্শক গুনী জন জনাব মোঃ ইকবাল বাহার জাহীদ স্যারের প্রতি। আমি আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সকল ভাই বোনদের প্রতি। আমি আশা ও দোয়া করি সকলেই ভালো আছেন আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
🥀 ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা
জনাব ইকবাল বাহার জাহীদ স্যারের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমার নিজ এলাকায় আমার নিজস্ব অর্থায়নে বেশ কিছু ছাত্র,যুবক, মধ্যে বয়সী এবং বৃদ্ধ নিয়ে একটা সমাজ কল্যাণ নামে সংগঠন গঠন করেছি। এই সংগঠনের সকল সদস্যদের নিয়ে এলাকার সকল রাস্তার দুই পাশের আগাছা পরিষ্কার, মাটি ভরাট করা, কবরস্থান পরিস্কার করা, রাস্তা মেরামত করা, মসজিদ, মাদ্রাসা পরিস্কার করা, গরীব দুঃখী মানুষদের দুই ঈদের মধ্যে কিছু জামাকাপড় এবং দব্ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করা, রমজানে কিছু খাদ্য দিয়ে সেহরি এবং ইফতারীর সহযোগিতা করা, এই ধরণের আরো অনেক সামাজিক মুলক কাজ করার চেষ্টা করে থাকি। প্রতি দিন একটা ছোট হোক বড়ো হোক মানবিক কাছ করার চেষ্টা করি। যেহেতু আমি একজন পল্লী চিকিৎসক তাই গরীব অসুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ এবং সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।যে পরিবারের কর্তা ভালো হয় সে পরিবারের সকল সদস্যরা ও ভালো হওয়ার চেষ্টা করে থাকে। নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের কর্তা জনাব মোঃ ইকবাল বাহার জাহীদ স্যারের মত একজন ভালো,সুন্দর,জ্ঞানী, সুশিক্ষিত, মার্জিত, বুদ্ধিমান,সুবিচারক ও ভালো মনের মানুষের যে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের আমি সহ আমরা যারা তার পরিবারের সকল ভাই ও বোনেরা আছি সবাই নিজেদের এবং নিজেকে গর্ববোধ করছি। সমাজে আজীবন বুক ফুলিয়ে বসবাস করছি।এই প্লাটফর্মের দেশ ও বিদেশের সকল সম্মানিত ভাই ও বোনদের প্রতি আমার পক্ষ থেকে কনকনে শীতের শিশির ভেজা লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার জীবনের গল্প শুরু করছি।
🥀🥀🥀 বাবা ওমা🥀🥀🥀
আমার বাবা ও মা কে আমি আমার পীর মানি তাই আমি বছরের প্রথম ফল, পিঠা এবং আমার জীবনের যে কোন জিনিস প্রথমে তাদের খাওয়ানোর পরেই আমি ও আমার পরিবারের সবাইকে খাওয়াই কারণ আমি আজকে মানলে কালকে আমার ছেলে মেয়ে মানবে। আমার বাবা ১৯৬৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষা পাশ করে স্বাধীনতার আগে একটি জুতার কারখানায় ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে। স্বাধীনতার পর পারিবারিক ভাবে তাদের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আমার নানা বাড়ির অবস্থা ভালো হওয়ার কারণে আমাদের পরিবারে মা কে অনেক কষ্ট করতে হয়। অভাবের কারণে আমার বাবাকে ধান কাটার কাজ ও করতে হয়। আমার বাবার হাতের লেখা ভালো ও সুন্দর হওয়ার কারণে ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পর ও আবার বোট বসে ইন্টারভিউ নিয়ে তাকে নির্বাচিত করেন। বাংলাদেশ বেতারে দীর্ঘ ৩০ বছর চাকরি করার পর সম্মানের সাথে অবসরে আসেন। এখন বাবার পেনশনের টাকা এবং আমার বিদেশের টাকা মিলিয়ে সাভারে ১০ রুমের বাড়ি করেন । বাড়ি ভাড়ার টাকা এবং পেনশনের টাকা দিয়ে বর্তমানে ভালোই সুস্থ ভাবে দিন যাচ্ছে। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন আমার বাবা মা কে সেবা করতে পারি।
🚶🚶🚶 আমার শৈশব
আমার শৈশব গ্রামের সবুজ শ্যামল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। আমি পরিবারের প্রথম ছেলে ও সুন্দর হওয়ার কারণে সবারই অনেক আদরের ছিলাম। আমরা দুই ভাই দুই বোনের পরিবার। আমার বয়স যখন ৮ বছর তখন গ্রামে থেকে শহরে চলে আসি । কারণ ৮৮ সালের বন্যায় আমাদের গ্রামের ৯৯ ভাগ বাড়িতে পানি চলে আসে। তখন আমার সবচেয়ে ছোট বোনের জন্ম হয়।
🧑💻🧑💻 আমার প্রথম স্কুল
প্রথম শ্রেণী থেকে ৩য় শ্রেনী পর্যন্ত গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ি। শহরের স্কুলে ৩য় থেকে ৫ম শ্রেনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি।সে এক মজার দিন ছিল।
🏃🏃 আমার কৈশোর 🏃🏃
আমার ছোট কাল থেকেই সবার সাথে মিলে মিশে থাকার অভ্যাস ছিল।৫ম শ্রেনীতে পড়ার সময় সবাই মিলে আমাকে ক্লাসের দলনেতা বানিয়ে দিল।সে এক অদ্ভুত অন্যরকম জীবন। যেখানেই যাই সেখানেই সবাই আমাকে মানে সবসময় সামনে রাখেন। সবাই যেন আমাকে মর্যাদা দিতে থাকে। এইভাবেই শেষ হয় আমার স্কুল এবং কলেজ জীবন।
🏜️🏜️ বৈবাহিক অবস্থা 🏜️🏜️
২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে পরিবারের সবার পছন্দেই আমি বিবাহ করি । বর্তমানে আমার বড় মেয়ের বয়স ১২বছর ।সে এখন ৭ পারা কোরআন মুখস্থ করেছ । ছোট ছেলের বয়স ৫ বছর প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। আমার স্ত্রী একটি আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষীকা হিসেবে চাকরি করছেন।
🍯🍯ব্যবসায়ী অবস্থা 🍯🍯
আমার সর্ব প্রথম ইনকাম শুরু হয় একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে। সৌদি আরবে ৫স্টার হোটেল ৫ বছর কাজ করার পর দেশে ফিরে আসি। তার পর আমি এক সাথে যুব উন্নয়ন এবং ফার্মেসির কোর্স সফলতার সাথে শেষ করি ।২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মানব সেবার মাধ্যমে একজন পল্লী চিকিৎসক হিসেবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি । সাথে সাথে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন সফলতার ব্যবসা করে যাচ্ছি ।
🥰🥰 পরিশেষে 🥰🥰
আমি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য হয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। নেটওয়ার্ককে কাজ করে প্রায় ৭থেকে ৮ লক্ষ্য টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি কিন্তু এই প্রাল্টফরমের সকল সদস্য এতো ভালো যা কিনা বলে বুঝানো যাবে না। আমার আসে পাশের এবং আমার বন্ধু, আত্নীয় সজ্ন সকলকে এই নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সদস্য হওয়ার দাওয়াত দিচ্ছি।