বর্তমানেই আইসিটি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে পরেছে।
জীবনের গল্প.....
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সকলকে পড়ার অনুরোধ রইলো,,,,,,,,,,,,,,,
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ,,,,
সকল প্রসংশা মহান রব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে এবং একটি সুস্থ জীবন দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ ।
দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি।
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রিয় বাবা-মাকে। যাদের উছিলায় সুন্দর এই পৃথিবীতে এসেছি। বড় হয়েছি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়। যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর ,, শিক্ষক, লক্ষ তরুণ-তরুনীর স্বপ্নদ্রষ্টা , পথহারা বেকারদের পথের দিশারি জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে ভালোবাসার প্লাটফর্ম "নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন" তৈরি হয়েছে।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি প্রিয় #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প প্লাটফর্মের সকল দায়িত্বশীল ও আজীবন সদস্য ভাইবোনদের প্রতি। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
---------- ----------
জীবন জীবনের মতই, আমরা চাইলেই কেউ গল্পটা পরিবর্তন করতে পারবোনা। দুঃখ -সুখ জীবনের অংশ। হাঁসি -কান্না, আনন্দ - বেদনা, পাওয়া -নাপাওয়া এসব নিয়েই মানুষের জীবন
আমার পরিচয়,,,ঃ
বাবা-মায়ের একমাত্র বড় ছেলে আমি এবং আমার ছোটো তিন বোন আছে। আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়াতে আমার বাবা আমার দু ছোটো বোনকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। এক ছোটো বোন ইবতেদায়ি মাদরাসায় লেখা পড়া করতেছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের পরিবার ভালো চলতেছে।,,,,,,,
আমার বাবার খুব অল্প বয়ষেই আমার দাদা মারা যান। এরপর থেকে আমার বাবা আর লেখাপড়া করতে পারিনি। ক্লাস পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করেছেন। বাবা ছোটো বেলা থেকেই পরিবারের হাল দরেন। ছোটো বেলা থেকে বাবা খুভ কষ্ট করে চলেছেন। আমার তিন চাচাকে প্রবাসে পাঠিয়েছেন এবং আমার তিন ফুফুকে বিয়ে দিয়েছেন। আমার দাদা থাকা অবস্থায় দুই ফুফুর বিয়ে হয়েছে।,,,,,,,,,
আমার বাবা একজন কাচাঁমাল ব্যাবসায়ি
এখন বাবার বয়ষ প্রাই ৫৫ বছর হতে চলেছে।
এখন আমার পরিবারের হাল দরার সময় এবং আমি আমার বাবার সাথে আমার বাবার ব্যাবসা দেখাশোনা করতেছি।,,,,,,,
আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন,,,,,,,ঃ
আমি ২০১২সনে খাসকান্দি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল সম্পন্ন করি।,,,,,,,,,,,,,
আমার স্বপ্ন,,,,,,,,,,,
আমি অষ্টম শ্রেণী থাকায় অবস্থায় ঢাকা উত্তরা তিন নাম্বার সেক্তরে অল্প কিছুদিন সেকোরিটি গার্ডের চাকরি করি। but ঐ সময় আমি কিছু বুঝতাম না। কোনটা চাকরি, কোনটা উদ্যোক্তা জীবন। ছোটোবেলা থেকেই আমি চেষ্টা করতাম কিছু একটা করার। যেখানে সুযোগ পেতাম, সেখানেই আমি ছুটাছটি করতাম ছোটো ছোটো বাচ্চাদের মতো। সবসময় ভাবতাম হয়তোবা এখাান থেকে কিছু একটা হবো। ছোটোবেলা থেকে আমার চেষ্টা ছিলো নিজে কিছু একটা হবো। আর আমি একটা ক্রিকেট খেলা পাগল মানুষ ছিলাম, আমি সপ্ন দেখতাম মো: আশরাফুলের মতো বড় তারকা খেলোয়ার হবো। গ্রামে থাকিতো সেজন্য সেটা আর হয়ে উঠিনি। আমার বাবা-মাও খেলা সমন্দ্বে কিছু বুঝতোনা। খেলায়ার হতে গেলে একজন অভিভাবকের কি কি আইডিয়া থাকা প্রোয়োজন সেটা আমার বাবা-মার ছিলো না। আমার শিক্ষা প্রতিস্ঠানেও খেলার সুযোগ সুবিদা ছিলো না, আর সেটা এখোনো হয়ে উঠেনি। এখনো সেই অবহেলিতো রয়ে গেছে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমি চাই আমার এলাকা থেকে মেহেদি মিরাাজের মতো, অজপাড়া গা থেকে খেলোয়ার তৈরি হয়ে আসুক। এবং আমি আমার এলাকায় আইসিটি নিয়ে কাজ করতে চাই। আমার এলাকায় প্রতিটি ঘরে ঘরে আইসিটির আলো পৌছে দিতে চাই। ভবিষ্যতে আইসিটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে,, কারন বর্তমানেই আইসিটি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে পরেছে।
নিজেকে ডেভেলপ করছি যাতে আমি আমার নিজ এলাকা সহ দেশেও অবদান রাখতে পারি, সবার কাছে দোয়ার দরখাস্ত রইল।
বৈবাহিক জীবন,,,,,,,,,,,,
আমি ২০১৭সনে বিবাহবন্দ্বনে আবদ্দ্ব হই। আমার বৈবাহিক জীবন এখন পাচঁ বছর চলতেছে। আমার এক মেয়ে সারে তিন বছর এবং ছেলের এক বছর চলতেছে আল্লাহর রমতে আপনাদের দোআয়। এবং আমি মালোয়েশিয়ার কলিং ভিসা নিয়েছি চেষ্টায় আছি বাহিরে যাবার। এখোনো ভিসার কাজ রানিং অবস্থায় আছে।,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমার জন্য ও দোয়া করবেন,, যেন লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে পারি,,,,,, একজন ভালো মানুষ হতে পারি
,,,,একজন উদ্যোক্তা হবো
না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকবো,,, মানবিক কাজ করবো
মানুষের জন্য কাজ করবো,,,,মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাবা- মায়ের সেবা করবো ইনশাআল্লাহ,,,,
এবং কিছু স্বপ্ন আছে,,
আামার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন আমি আমার বাবা-মাকে নিয়ে মক্কা ও মদিনায় যাবো ইনশাআল্লাহ ,,,,, আল্লাহ যদি তৌফিক দান করে
এবং মা বাবা ছাড়া অসহায় শিশুর জন্য কিছু করতে চাই,,,,, এবং ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা যদি তৌফিক দান করে,,,
সবাই দোয়া করবেন,,,, দোয়ার দরখাস্ত
প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার গল্প,,
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ফেসবুক গ্রুপ এ প্রথম যুক্ত হই আমি নিজেই কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন যে করতে হয় তা আমি যানতাম ই না,,,, গ্রুপ এর পোস্টগুলো প্রতিদিন ই দেখতাম,, একদিন চোখে পরলো একটা পোস্ট। পোস্টে লেখা ছিল আপনি কি রেজিষ্ট্রেশন করেছেন না করলে কমেন্ট করেন,,,
ওই পোস্টে আমি কমেন্ট করি যে আমি রেজিষ্ট্রেশন করতে চাই,,, তখন আমার ইনবক্সে নক দেয় আমার এক অপরিচিতো বড় ভাই। ভাই আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়। আমার আইডি রিপোর্ট খাওয়ার পর আমার নতুন আইডি চালু করি।এরপর ভাইয়ের আইডি হারিয়েফেলেছি। ভাইয়ের নামটা আমার সঠিক মনে নেয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই তারপর শুধু গ্রুপ এর পোস্ট দেখি,,,,
ভাই আমাকে আমার জেলা মেসেন্জারে যুক্ত করে দেয় Samiya Sharmin আপুর মাধ্যমে। তারপর আমার জেলার সকল ভাই-বোনদের সাথে পরিচিতো হয় এ পরিচয় হতে পেরে আমার খুব ভালো লাগলো। তারপর থেকে ফাউন্ডেশনের প্রতি আমার আগ্রহ আরো বাড়তে লাগলো।
এবং স্যারের সেশন গুলো প্রতিনিয়ত পরি ,,,এবং সেশন চর্চা ক্লাস মিট আপ এ যুক্ত হই,,, অনেক কিছু শিখতে পারি
স্যারের বিশেষ করে কয়েকটি কথা,,মনে গেথে গেছে
যেমন
জীবনের বলার মতো একটা গল্প থাকা দরকার,,
স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন,, সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ।,,
সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে সততা ও কমিটমেন্ট,,
বৃষ্টি সবার জন্যই পড়ে তবে ভিজে কেউ কেউ,,
মানুষের জন্য কাজ করলে জীবিকার অভাব হয় না,, এই কথাটাও আমাকে খুব বেশি অনুপ্রাণিত করেছে
চাকরি করবো না চাকরি দেবো। এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি । নিজের পরিচয়ে বাঁচবো ইনশাআল্লাহ।,,, দোয়া করবেন সবাই,,,
প্রিয় প্লাটফর্ম থেকে প্রাপ্তি
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে নিয়মিত হওয়ার পর যে শিক্ষা গুলো পেয়েছি,,,
নিজেকে এবং অন্যকে ভালবাসতে শিখেছি।
একজন পজিটিভ মানুষ হওয়ার শিক্ষা পেয়েছি।
কিভাবে একে অপরের সহযোগী হয়ে চলা যায় তা শিখতে পেরেছি।
আত্মবিশ্বাস বেড়েছে নিজের পায়ে দাঁড়াবার।
একজন ভালোমানুষ হয়ে বেঁচে থাকার আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
ভুল ধারণা ও সংশয় গুলো কেটে গেছে।
রাগ কন্ট্রোল করতে শিখেছি আগের মতো
যখন তখন রেগে যাই না।
মানবিক কাজ করার ইচ্ছে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
মনের ভিতর সাহস ফিরে পেয়েছি,,,,,
ভালো মানুষের পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
বিশেষ ভালোবাসা প্রকাশ করতে চাই মুন্সিগঞ্জ জেলা টিমের ভাই বোনদের প্রতি। যাদের ভালোবাসায় আমি নিজেকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছি।
ভালোবেসে লেগে আছি প্রিয় ফাউন্ডেশন এর সাথে থাকবো একজন সফল উদ্যেক্তা না হওয়া পর্যন্ত এবং নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি না হওয়া পর্যন্ত।
ইনশাআল্লাহ,,,,
সকলের দোয়া ও ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করি সবাই সহযোগী হয়ে পাশে থাকবেন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এতো সময় ধরে আপনার মুল্যবান সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে আমার অগোছালো জীবনের,,,
অগোছালো গল্পটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,,,।
আমার লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,,,, ভালো থাকবেন,,,,
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৯১৮
তারিখ ২১-০১-২০২৩ ইং
ধন্যবাদান্তে,,,,,
নামঃ Md Sohel Hossain
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য
ব্যাচঃ ১৯
রেজিঃনং১০২৮৬৯
নিজ জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ
থানাঃ সিরাজদিখান
অবস্থানঃ সিরাজদিখান
ফেছবুক লিংকঃ https://www.facebook.com/profile.php?id=100085631941034&mibextid=ZbWKwL