"গল্পে গল্পে সেল পোষ্ট " রোহান অনেক বছর পর বিদেশ থেকে এসেছে।
গল্পে গল্পে সেল পোষ্ট
রোহান অনেক বছর পর বিদেশ থেকে এসেছে। প্রবাসে থাকা অবস্থায় রান্নায় ঝাল খেলে তাে সহ্য হয়না। তাইসে সব সময় ঝাল কম খেত তাই এখন সে সব খাবারেই ঝাল কম খায়। ঝাল খেলেই শরীর খারাপ করে মুখ লাল হয়ে অসুস্থ হয়ে যায়। রোহানের ছুটি পেয়েছে ছয় বছর পরে দেশে আসবে। দেশে এসেই সবার সাথে কুশল বিনিময় শেষ করে বাসায় এসে ক্লিন হয়ে রেস নেয়। রেস নিতে নিতেই সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়ে গেল। রোহানের মা তো অনেক খুশি কতো বছর পরে ছেলেকে চোখের সামনে দেখেছে। তাই তিনি কষ্টকরে রোহানের পছন্দের সব খাবার (মুরগি ভুনা, কৈ মাছের ভুনা, দেশি হাসের বুনা,কবুতের ভুনা,ডিমের কারি, গুরুর কোয়াব,টমেটোর চাতনি ইত্যাদি) রান্না করেছে। রোহানও বেশ পেতুক মায়ের হাতের রান্না হলে সে তৃপ্তিসহকারেই যা দিবে তাই খেয়ে নিবে। রোহান পরিবারে বাকি সবার সাথে দুপুরের খাবার খেতে বসেছে। খাবার মুখে নিয়ে আর খেতে পারছেনা কারণ ঝাল তার সহ্য হচ্ছেনা। রোহান যে ঝাল খেতে পারেনা সেটা তার মা জানতো না কারণ সেতো বিদেশী খবার খেয়েই এই অভ্যস তৈরি করেছে। রোহান খাবার না খেয়েই খাবার তেবিল থেকে উঠে যায়। সে আপেল আর কমলা খেয়েই দুপরটা পার করে। এই দিক দিয়ে তার মাও অনেক চিন্তায় পড়ে গেল বাসায় যে মরিচ আছে সেগুলোতো ঝাল তা তিনি রোহানকে জানান। রোহান তখন বলে মা তুমি চিন্তা করো না আমি তোমাকে মিষ্টি মরিচের বান্ধোবস্ত করে দিচ্ছি। মিষ্টি মরিস সেটা আবার কি বলিস তুই! হে মা মিষ্টি মরিচ আমিও জানতাম না। তোমাকে তো আগেই বলেছি প্রবাসে আমার রুম মেট রাসেলের কথা। সে নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনের সদস্য।
মা -সেটা আবার কি?
রোহান - তুমি অতো বুঝবে না তার পরেও একটু বলি শুনো সেটা হলো ফেসবুকের একটা গুরুপ। আমিও রাসেলের সাথে থাকতে থাকতে ফাউন্ডেশনের মেন্টরের কথাগুলো শুনে ভালোলাগার কারণে রেজিষ্ট্রেশন করে আজীবনের জন্য সদস্য হয়ে গেছি। তুমি তো জানো তিন বছর আগে আমি যখন চাকরি হারিয়ে ফেলি তখন ফাউন্ডেশনের কোর ভলেন্টিয়ার মাহবুব ভাই অনার বসকে বলে আমাকে অনার কোম্পানিতেই বলে কয়ে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। চাকরিটা নাহলে মা লোনের বোঝা মাথায় নিয়ে দেশে আসার বদলে আমি আত্নহত্যা করেই নিতাম। যখন কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না তখুনি রাসেল আমাকে ফাউন্ডেশনের প্রবাসি ভাইদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় না হলে তোমার রোহানকে আজকে হয়তো জীবিত দেখতেই পেতে না।
মা - বলিস কিরে তুই তো চাকরি হারানোর কথা কখনো আমাদেরকে বলস নাই।
রোহান - বলি নাই এই কারণে তোমরা আমাকে নিয়ে টেনশন করবে। জানো মা গত বছরে সোমাকে যে ডেলিভারির সময় রক্ত দিয়েছে তারা আর অন্য কেউ না ঐ একই ফাউন্ডেশনের মেম্বার। আমাদের ফাউন্ডেশনের যে মানবিক কাজ তার মধ্যে এটিও একটি। আমাদের যে শিক্ষক আছে না Iqbal Bahar Zahid স্যার অনি বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় রক্ত দাতাদের নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এক্টিভ ব্লাড ব্যাংক তৈরি করে দিয়েছে। সোমার ডেলিভারির দিন যখন তুমি আমাকে বলেছ যে ডাক্তার বলেছে তিন ব্যাগ রক্ত লাগবে তখন আমি ফাউন্ডেশনের গুরুপে একটি পোষ্ট করি আর সাথে সাথেই পাশের গ্রাম থেকে রনি ভাই তার বন্ধুবান্ধব নিয়ে এসে রক্ত দিয়ে যায়।
মা - হে রনিকে তো আমি সেইদিন থেকেই চিনি। ছোটবেলায় কতো দেখেছি কিন্তু এখন বয়সের কারণে বাড়ি থেকে বাহির হইতে পারিনা তাই সবার সাথে আর তেমন যোগাযোগ করা হয়না। রনি যে এতো অল্প দিনেই এতো বড় হয়ে কে জানতো।
রোহান- হে মা সেতো এখন আমাদের কলেজের উদ্যোক্তা ক্লাবের মেম্বার।
মা - উদ্যোক্তা ক্লাব কি?
রোহান - উদ্যোক্তা ক্লাব হচ্ছে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার যে নব্বইদিনের বিনামূল্যে কোর্সটি শিখানায় তা ঐ কলেজ এবং বিশ্বিবদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া এবঙ যে ষোলটি স্কিল বিনামূল্যে শিখানো হয় তা শিখে যেন সকল শিক্ষর্থী পড়ালেখা শেষ করার পরপরেই যেন একদিনও বেকার না থাকে। তুমি আরো জেনে খুশি হবে মা আমাদের স্যারের নিঃস্বার্থ এই শিক্ষাকে UK থেকে স্বীকৃত স্বরূপ এ্যাওয়ার্ডও দিয়েছেন।
মা - বুঝলাম কিন্তু তুই যে মিষ্টি মরিচের কথা বল্লি যে তা কোথাই থেকে পাবি।
রোহান - আমি একজনকে চিনি যে চট্টগ্রামে থাকে যদি সে কুমিল্লার ছেলে কিন্তু মা বাবার সাথে ছোটবেলায় ইট পাথরের শহরে আসার পর থেকেই এই শহরেই থাকে। সে সবাইকে বলে গত বিশ বছরে গুটি কয়েকজনের সাথে পরিচিত ছিলো কিন্তু এখন চট্টগ্রামে প্রত্যেক উপজেলাসহ দেশের সকল জেলা উপজেলা সবার সাথে একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কে তৈরি করতে পেরেছে এই ফাউন্ডেশনের ভলেন্টিয়ারিং করার মাধ্যমে। সে বর্তমানে হাটহাজারীর বিখ্যাত মিষ্টি মরিচের গুড়া নিয়ে কাজ করে ছেলেটার নামহলো Mohammad Yakub Hossain Sujan তার পেজের নাম BD dot আমমি এখুনি তার পেজে গিয়ে অর্ডার করে দিচ্ছি আশা করছি আগামীকাল বা পরশুর মধ্যেই হাতে পাবো। আর তখন তোমার হাতের রান্না করা অমৃত আমি পেত পুরে খাবো।
আপনার পরিবারের মসলার চাহিদার প্রয়োজনে নকদিতে পারেন ভিডি ডট এর পেজে। কাজ করছি হলুদ ২৫০/-, মিষ্টি মরিচ৪৫০/-, ঝাল মরিচ৩৫০/-, মিক্র মসলা ৪৫০/- নিয়ে।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৯২০
Date:- ২৪/০১/২০২৩ইং
মোঃ ইয়াকুব হোসেন সুজন
ক্যাম্পাস এম্বাসেডর (বাওবি)
অর্গানাইজিং টিম
রেজি ৪৬৫৮,ব্যাচ ৭ম
কুমিল্লা, নাঙ্গলকোট
এখন চট্টগ্রাম আছি।