অনেক সংগ্রাম করেছি তার পরে ইউটিউবে স্যারের ভিডিও দেখে ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।
,,,,,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,,,,,,,,,
আসসালামু আলাইকুম,
আমার জীবনের ঘুরে দাড়ানোর গল্প
শুরু করছি পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নামে। যিনি আমাকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং সুস্থ ও সুন্দর একটি জীবন দান করেছেন। যার অশেষ রহমতে আজ আমি এখানে।
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আমার বাবা-মা কে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ভালোবাসায় আজকের আমি।যাদেরকে ছাড়া আমার পৃথিবীটাই অন্ধকার ছিল।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি লাখো তরুনের স্বপ্ন দ্রষ্টা জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যিনি আমাদের জন্য এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন। যার অনুপ্রেরণায় আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি অদম্য শক্তি নিয়ে।
অনেক অনেক শুভকামনা এবং ভালোবাসা প্রিয় প্লাটফর্ম এর সকল ভাই-বোনদের প্রতি। যারা সবসময় একে অপরের পাশে থাকেন এবং প্রতি নিয়ত উৎস দিয়ে থাকেন।
আমি কাজী খাদিজা ইয়াসমিন। জন্ম হয় আমার যশোর সদরে। ১৯৮৮ সালের ১৫ ই জুন সোনার চামচ মুখে নিয়েই আমার জন্ম হয়েছিল। আট ভাই -বোনের সবার ছোট আমি। বাবা জাতিসংঘে চাকরি করতেন, মা ছিলেন গৃহিণী। আমাকে জন্ম দিয়েই আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সুবাদে মানুষ হই, আমি ভাই -বোনদের কাছে। সবাই আমাকে খুব ভালোবাসতো।বাকি সাত ভাই বোন একেকজন একেক নামে ডাকতো আমাকে। অবশেষে আমার নাম রাখা হলো আকিকা করে। কিন্তু তারপরেও যার যেটা খুশি সেটাই বলে আমাকে ডাকতো। ছোটবেলা থেকেই আমি পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলাম। সেজন্য আমাকে ভর্তি করা হলো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। তারপরে ক্লাস থ্রিতে আমি যশোরের নাম করা স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় দিয়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে ভর্তি হলাম। যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে, মেধা তালিকা থাকায় পরিবারের সবাই খুব খুশি। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দুঃখ কি জিনিস এটা আমি জানতামই না।ছবি আঁকা, আবৃতি, রচনা প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় আমি অনেক পুরুস্কার পেয়েছি। আমার বাবার ইচ্ছে ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবে। সেই সুবাদে নবম শ্রেণী থেকে আমি বিজ্ঞান বিভাগে পড়া শুরু করলাম। ছোট বেলা থেকে আমার মানুষের উপকার করার ইচ্ছে ছিল। হবে না কেন, মা - বাবা কে দেখতাম অসহায় কোন মানুষকে খালি হাতে ফেরত দিতেন না। যা হোক আমার টিফিনে প্রায় প্রতিদিন চল্লিশ -পঞ্চাশ টাকা হয়ে যেত।পাশে আমার এক বান্ধবী টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে পারছিল না। আমি মাকে বলে আমার টিফিনের টাকা থেকে ওর খাতা কলম কিনে দিতাম।মা আমাকে সাপোর্ট করতো। বাবা শেখা তো দেশ প্রেম সম্পর্কে। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দেশকে ভালবেসে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের থেকে পূর্ব পাকিস্তানে ৬ মাসের ছুটিতে বাড়ি আসেন। ৩ ভাইয়ের পরে আমার বড় বোনের জন্ম হয়, ১৯৭১সালের ২রা এপ্রিল। আমার বাবা যুদ্ধে যান ১০ এপ্রিল, তারপর থেকে তার আর কোন খোঁজ ছিল না সবাই ভেবেছিলো তিনি মারা গেছেন কিন্তু যুদ্ধের ২মাস পর তিনি আহত হয়ে ফিরে আসেন এবং যুদ্ধের শেষের দিকে তার পায়ে গুলি লাগার কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যাহ হোক এবার আমার গল্পে ফেরত আসি, দশম শ্রেণি থেকে হঠাৎ কালবৈশাখীর ঘনঘটা মেঘের ছায়া আমার জীবনে এসে পড়ে। আমার নোয়া ভাই ব্যাবসা করতে গিয়ে প্রায় ৮০লাখ টাকার মতো লস খান তারপর পাওনা দারের টাকা দিতে গিয়ে আমার বাবা জমি বিক্রয় করতে বাধ্য হন। তারপরও পাওনাদারের টাকা মেটাতে সক্ষম হয় না এবং নেমে আসে আমাদের পরিবারে দুঃখের ছায়া। পারিবারিক বিভিন্ন ঝামেলার কারণে পড়াশোনা ঠিকঠাক মন বসাতে পারতাম না।টেস্টের রেজাল্ট তেমন একটা ভালো হলো না। বান্ধবীরা সবাই ঠাট্টা করতে শুরু করলো। পারিবারিক সমস্যার কারণে আমি আস্তে আস্তে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পরি।এ সময়ে প্রায় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলতাম। আমাকে ডক্টর দেখানো হলো। ডাক্তার বললো আমাকে পারিবারিক সমস্যার থেকে দূরে রাখতে। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না। মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আমার জীবন থেকে দেড় বছর হারিয়ে গেল। এই দেড় বছর কি হয়েছে আমার সাথে আমি জানি না। যখন আমার জ্ঞান ফিরল তখন আমি আমার নানা বাড়ি মায়ের সাথে।মায়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম মানসিক রোগী হওয়ায় আমাকে স্কুল থেকে এস,এস,সি পরীক্ষা দিতে দেয় নি।আমার জীবনের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। তখন আমার মনে হতো, আমি কেন সুস্থ হলাম? তখন আমি আমার নানা বাড়ির পাশে একটি মেয়ে কে দেখলাম তার দুটো পা নেই, তার পরে ও সে স্কুলে যাচ্ছে। আমি মা কে বললাম,আবার পড়াশোনা করতে চাই। মা আমার খুশির জন্য আমাকে নিয়ে যশোরে ফিরলো।কিন্তু যশোরে আমার পরিচিত সবাই আমাকে পাগল বলে ডাকতে শুরু করলো।আমাকে স্কুলে ভর্তি করতে চাইল না। আমি পাগল বলে।তখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে করতো।আমার মানসিক অবস্থা আবার খারাপ হচ্ছে দেখে। আমার মা -বাবা আমাকে বড় বোনের বাড়ি পাঠিয়ে দিল কিন্তু সেখানে ও আমি শান্তি তে থাকতে পারলাম না। তারপর সম্পূর্ণ অপরিচিত এলাকা নিয়ে আমাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এস,এস,সি প্রোগ্রামে ভর্তি করে দিল। আমি জিপিএ ৪.১৫ মানবিক বিভাগে পাশ করলাম।
বৈবাহিক সম্পর্ক :
ভাই -ভাবিদের সাথে খালাতো বোনের বিয়ের দাওয়াত খেতে আসলাম। এখানে আমার হ্যাসবেন্ড আমাকে দেখেন। তার পর বিয়ের প্রস্তাব দেন। বাবা প্রথমে বিয়ে দিতে রাজি হননি। পরে পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিলো সবাই, হয়ত বিয়ের পর আমার মানসিক অবস্থা ভালো হবে। আমার হ্যাসবেন্ড আমার সব কিছু জেনে শুনে আমাকে বিয়ে করলো।বিয়ের পরদিনই টের পেলাম আমাদের এই সিদ্ধান্ত টা ছিল আরেক টা ভুল। আমার স্বামী সংসার জীবন সম্পর্কে উদাসীন। তার নিজের মা নেই, ছোট বেলা থেকে। সৎ মার সংসারে মানুষ। নাটক সিনেমাই দেখেছি শাশুড়ীর নির্যাতন। এবার বাস্তবে ঘটছে আমার জীবনে। আমি কলেজে ভর্তি হতে চাইলাম।আমার স্বামী বললো ভর্তি হতে পারো কিন্তু আমি লেখাপড়ার খরচ দিতে পারবোনা। বাবা কে বললাম। বাবা খরচ দিতে রাজি হন। কিন্তু বাধা দিল আমার শশুর বাড়ি থেকে। শুরু হলো আমার উপর শারীরিক -মানসিক নির্যাতন। বাড়ির বড় ছেলে হওয়ায় সে বাবা- মাকে কিছু বলতো না।অনেক কষ্ট সহ্য করে বাড়ির পাশে কলেজে ভর্তি হলাম।শুরু হলো আমার উপর অস্বাভাবিক শারীরিক -মানসিক নির্যাতন। সিন্ধান্ত নিলাম এভাবে আর চলতে পারে না। কলেজে ভর্তি হওয়ার অপরাধে আমাদের আলাদা করে দেওয়া হলো। আমার স্বামী তার পরিবারে বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারলো না । আমার জীবন বাঁচাতে সে আমাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিল। বাবা -মা সব কিছু শোনার পর ডির্ভোস দিতে বলেন। এরই মধ্যে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরি। স্বামী কে জানালে বলে এমনিতেই পারিবারিক ঝামেলা হচ্ছে তার ভিতর বাচ্চা নেওয়া ঠিক হবে না। আমি আরও হতাশ হয়ে পরি।ঠিক তখনই কে যেন বলছে "মা আমাকে হত্যা করো না, আমি পৃথিবীর আলো দেখতে চাই " ।আমি আমার সিদ্ধান্ত বাবা - মাকে বললাম। বাবা-মা বললো তোমাকে যদি ১৮ বছর মানুষ করতে পারি, তোমার সন্তানের ও দায়িত্ব নিতে পারবো।শুরু হলো আমার নতুন সংগ্রাম। আমার স্বামী আমার খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দিল।কোল আলো করে আসলো আমার মেয়ে। মেয়ের জন্মের পর আমার ভাবিদের চাপে আমার স্বামী দেখতে আসলো।মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ফিরে গেলাম শশুর বাড়ি। মেয়ের তিন মাস বয়সের সময় এইচএসসি পরীক্ষা দিলাম। পাশ করলাম জিপিএ ৪.৪২ পেয়ে। আমার স্বামীর ইনকাম ছিল সিমিত। আমার পড়াশোনর ইচ্ছা দেখে স্বামী উৎস দেওয়া শুরু করেন। আমি আমার অসুখের কথা ভুলে গিয়ে সংগ্রাম করা শুরু করলাম।আমাকে জীবনে কিছু করতে হবে মেয়ে কে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করতে হবে । শুরু হলো চাকরির পেছনে ছুটে চলা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় সরকারি চাকরির আবেদন করতে, করতে লিখিত পরীক্ষায় টিকতে থাকলাম। স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম আমার সরকারি চাকরি হবে।কিন্তু আমার ভাগ্য আমাকে উপহাস করলো এবার ও। আরো একবার আমি পরাজিত হলাম। মামা খালু না থাকায় , শুধু কোটায় আমার সরকারি চাকরি হলো না। আবার ঘুরে দাঁড়ালাম, স্বামীর সাথে চিংড়ি মাছের ঘের করলাম। সোনার গহনা, ঋণের মাধ্যমে টাকা নিয়ে শুরু করে দিলাম চিংড়ী মাছের চাষ । প্রথমে লাভ হলো কিন্তু আস্তে আস্তে ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকলো। ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে চাকরি নিলাম ইউনিলিভার কোম্পানির স্কুল প্রোজেক্টে।বুকের মানিক কে নানা বাড়ি রেখে ঢাকা চলে আসলাম। ঋণের পরিমাণ কমে আসলে খুলনা ফিরে আসলাম। এবারোও ভাগ্য উপহাস করলো। ২০১৬ সালে এক টানা ১১ দিনের বৃষ্টি আমাদের সব কিছু কেড়ে নিল।চোখের সামনে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মাছ সব ভেসে গেল।এবার একেবারে পথের ফকির হয়ে গেলাম। আত্মীয় স্বজনরা দূরে সরে গেল।পাওনা দার চাপ দিতে শুরু করলো। শুরু করলাম দর্জির কাজ ও টিউশনি। এতে সংসার ঠিক মতো চলছিল না।আবার পাড়ি জমালাম ঢাকায়। এবার মোবাইল কোম্পানি তে চাকরি নিলাম। সেখানেই সন্ধান পেলাম ফিজিওথেরাপি, আকুপ্রেসার ও জোন থেরাপির। ট্রেনিং করে কাজ শুরু করলাম খুলনার, রূপসা থানায়।স্বামী কে এই পেশায় নিয়ে আসলাম। আমাদের ভালো দিন ফিরে আসলো। সাথে সাথে কফি হাউজ ও ফাস্ট ফুডের দোকান শুরু করলাম। আমি আবার ও অন্তঃসত্ত্বা হলাম। ঋণ পরিশোধ হয়ে আসছিল। আনন্দের জোয়ারে ভাসতে থাকলাম। শুরু হলো করোনা।আমি গর্ভবতী অবস্থা করোনার মধ্যে প্যারালাইসিস রূগী দেখতাম। না দেখে উপায় ছিল না। প্যারালাসিস রুগী দেখতে দেখতে আমি আট মাস গর্ভবতী তখন আমার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেল। আমি জীবন মৃত্যুর সাথে সংগ্রাম শুরু হলো করলাম। আমার বাচ্চার কন্ডিশন খারাপ। ডাক্তার সিজার করতে বলে। কিন্তু ঐ মূহুর্তে আমাদের কাছে কোন টাকা ছিল না। আমি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। মোনাজাতে খুব কান্নাকাটি করি। আল্লাহ কে বলি "আল্লাহ তুমি বিপদ দিছো তুমি উদ্ধার করবা আমি কিছু জানিনা"। আল্লাহর অশেষ রহমাতে আমার দুই দিন পর নরমাল ডেলিভারি হয় বাড়িতে। আমার কোল আলো করে আসলো ফুটফুটে চাঁদের মত দ্বিতীয় কন্যা সন্তান। আমার দোকান টা বন্ধ হয়ে গেল করোনার শুরুতেই । দেড় বছর দোকান বন্ধ থাকায় আবার লস খেলাম ২ লাখ টাকা।ঘরে নবজাতক ছোট শিশু। ২৫ দিন বয়সের শিশু বড় মেয়ের কাছে রেখে কাজে বের হলাম। বড় মেয়ের বয়স তখন ১০ বছর। আবার অবস্থা ভালো হতে লাগলো ঋণের পরিমাণ কমে আসলো। এবার স্বামীর শখ হলো সরকারি খাল লিজ নিয়ে মাছ চাষ করবে। আবারও ৮০ হাজার টাকা লচ খেলো। এবার সঞ্চয়ের টাকা থেকে অতীতের ঋণ পরিশোধ করতে হলো। আবার শুরু করলাম নতুন করে পথ চলা। ফিজিওথেরাপির ইনকাম থেকে এবার নিজেদের টাকায় কিনলাম মোটরসাইকেল। ভাবলাম পাশাপাশি উদ্যোক্তা হবো। আমি চাকরির পেছনে যেভাবে ছুটেছি। আমি মাুনষ কে চাকরি দেব। আমার বাবা-মা আমার সাফল্যে অনেক খুশি। অবশেষে আমি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারছি।
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন।
"উদ্যোক্তা তৈরির কারখানা"।
কিভাবে আসলাম :ইউটিউবে বিভিন্ন জাতের ছাগল পালনের ভিডিও দেখতাম। হঠাৎ একদিন স্যারের একটা ভিডিও সামনে আসলো। মনোযোগ দিয়ে দেখলাম। ভিডিও টা ছিল "বৃষ্টি সবার জন্য পরে। কিন্তু কেউ ভিজে, কেউ ভিজে না"। এতো ভালো লাগলো যে একে একে অনেক গুলো ভিডিও দেখে ফেললাম। আমার স্বামীকে ও দেখালাম। তারপর একটা ভিডিও তে আমাদের বাগেরহাটের রেশমা আক্তার আপু । যিনি মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে বিজনেস শুরু করেন।এভাবে কয়েক টা ভিডিও দেখে ফেললাম। রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম খুঁজে পেলাম। কিন্তু ১ মাস চেষ্টা করে ও রেজিষ্ট্রেশন করতে পারলাম না। তারপর বড় মেয়ের সহযোগিতা নিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারলাম। মেইন গ্রুপে ও যুক্ত হলাম। খুলনার সম্মলোনের ভিডিও দেখলাম। খুলনার গ্রুপের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য পোস্ট দিলাম কিন্তু কোন সারা পেলাম না। তারপর রেশমা আপুর ফোন নাম্বার ভিডিও থেকে সংগ্রহ করলাম। আপু কে ফোন দিলাম খুলে বললাম সব কিছু তারপর আপুর সাথে দেখা করলাম। আপু আমাকে ময়না আপুর সহযোগিতার মাধ্যমে যুক্ত করে দিল খুলনা গ্রুপে। অবশেষে ভালো মানুষের গ্রুপে যুক্ত হয়েছি। গ্রুপে ও মিট আপ সেশন চর্চা যুক্ত না হলে হয়তো জানতে পারতাম না। পৃথিবীতে ভালো মানুষ হওয়ার মিলন মেলা ও চর্চা করা হয়। এখানে যুক্ত হয়ে জানতে পারছি আমার অতীত জীবনের ব্যর্থতা কারণ। স্যারের প্রতি টা সেশন মনে হয়েছে আমার জন্যেই দিয়েছেন। স্যারের প্রতি ভালোবাসা থেকে মহাসম্মেলনে যোগ দান করেছি।ভালো মানুষের মিলন মেলায় অংশ গ্রহন করেছি সহ পরিবারে। এতো মানুষের ভালো বাসা আমি একসাথে কোথাও পায়নি। এতো ভাই-বোন পেয়েছি যে আমি আমার অতীত কে সাথে নিয়ে সাফল্যের পথে পাড়ি দেওয়ার সাহস আবার ফিরে পেলাম। এবার আমার বিশ্বাস আমি সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছি। আল্লাহর রহমতে শেষমেষ ভালো পথের সন্ধান পেয়েছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আমার সন্তানদের উদ্যােক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারি। ওরা যেন চাকরি করবো না, চাকরি দেব এই স্লোগান বুকে ধারণ করতে পারে। আমরা পুরো পরিবার এখন, নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের আজীবন গর্বিত সদস্য।
আমার স্বপ্ন : সবাই বলে পুরুষের সফলতার পিছনে নারীর হাত থাকে। আমি বলবো আমার সফলতার পিছনে আমার বাবা-মা এবং প্রিয় বন্ধু আমার স্বামীর হাত আছে। আমার বাবা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতো আমি ডাক্তার হবো। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। দেশ ও সমাজের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো মৃত্যুর আগ মুহূর্তে পর্যন্ত।চাকরি করবো না চাকরি দেব এই শ্লোগান বুকে ধারণ করে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। অবশেষে আমি সেই প্লাটফর্মের দেখা পেয়েছি। "নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন " আমার স্বপ্ন কে আজ বাস্তবে পরিণত করে দিয়েছে। স্যারের শিক্ষা বুকে ধারণ করে আমি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছি আর আমার সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৯২৩
Date:- ১৩/০২/২৩ ইং
নাম:কাজী খাদিজা ইয়াসমিন
নিজ জেলা :খুলনা,রূপসা,হোসেনপুর
ব্যাচ নং :২০/১০৮৯৬৭
মোবাইল নম্বর :০১৯১৯৮৬৬৭০০