আশা নয় বিশ্বাস আল্লাহ রহমতে প্রত্যেকেই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আমার জীবনের গল্প আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি,, সবাই পড়বেন ইনশাআল্লাহ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,,,
আসসালামু আলাইকুম,
আশা নয় বিশ্বাস আল্লাহ রহমতে প্রত্যেকেই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আমার জীবনের গল্প আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি,, সবাই পড়বেন ইনশাআল্লাহ
সকল প্রসংশা ও কৃতজ্ঞতা মহান রবের প্রতি। যিনি সমস্ত সৃষ্টিকূলের মালিক। হাজারো-কোটি দূরুদওসালাম বর্ষিতহোক প্রিয় নবী মায়ার নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি।যিনি পৃথীবির সকল উম্মতের জন্য রহমত হিসেবে দুনিয়াতে এসেছেন।
আমার সমস্ত দোয়া,ভালবাসা ও শ্রদ্ধা আমার পিতা-মাতার প্রতি যারা আমাকে এ পৃথীবির আলো দেখিয়েছেন।যারা আমার চাওয়া-পাওয়ার দূত হিসেবে কাজ করেছেন। আমি তাদের কাছে চির ঋণী ও কৃতজ্ঞ।
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মানবতার ফেরিওয়ালা ও আলোর দিশারী এবং লক্ষ্য লক্ষ্য বেকারদের পথপ্রদর্শক আমাদের শ্রদ্ধেয় মেন্টর #জনাব_ইকাবাল_বাহ
(নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন)। তাই তার প্রতি রইল আমার হৃদয়ের গহীন থেকে ভালোবাসা, দোয়া এবং ছালাম।
আমি এই গ্রুপের সম্মানিত আজীবন সদস্য প্রিয় ভাই-বোনদের আমার ভালোবাসা এবং ছালাম জানাচ্ছি।
বিশেষ করে আমার নিজের জেলার ভাই-বোনদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।আপনাদের অল্প সময়ের ভালোবাসা, আন্তরিকতা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। আপনাদের সাথে লম্বা সময়ধরে থাকতে চাই ইনশাআল্লাহ।
আমার পরিচয়ঃ
আমি Mehedi Hasan.... আমার জন্ম মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার মিরকাদীম পৌরসভায় এক মুসলিম পরিবারে। আমার পরিবারে আছেন বাবা-মা আমি এবং আমার ছোট বোন।
আমার বাবা ব্যবসা করেন, মা পরিবার দেখাশোনা করেন, আমি একটি প্রাইভেট ব্যাংকে জব করি এবং ছোট বোন বিবাহিত তার শশুড় বাড়ীতে থাকেন।
আমার শিক্ষা জীবনঃ
আমার শিক্ষা জীবনের শুরুটা ছিল মাদ্রাসায় নানার বাসা থেকে। সেখানে আমি তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি। তারপর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী সম্পন্ন করি। রামপাল এন.বি.এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমি এস.এস.সি শেষ করি। মিরকাদিম হাজী আমজাদ আলী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি ও অনার্স শেষ করি। সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে এম.বি.এ সম্পন্ন করি।
আমার কর্ম জীবনঃ
আমার কর্ম জীবন এক কালো অধ্যায় দিয়ে শুরু হয়। আমার এস.এস.সি পরিক্ষার পর থেকে শুরু। আমি কোন এক বন্ধুর মাধ্যমে Destiny-2000 Ltd. যুক্ত হই। সেখানে দুই বছর ছিলাম প্রায় ১,৫০,০০০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
তারপর এইচ.এস.সি শেষ করার পর অবসর সময় কাটানোর জন্য কিছুদিন আগারগাঁও IDB Bhaban এ কাজ করি আমার খালাতো বোনের হাসবেন্ড এর দোকানে।
সেখান থেকে আশার পর একবছর এক কিন্ডার গার্ডেনে জব করি। তারপর আমরা তিনজন মিলে একটি কোচিং ছেন্টার করি সেখানে দুই বছর কাজকরি। তারপর একটি এজেন্ট ব্যাংকে জব করি দুই বছর। এখন বর্তমানে একটি প্রাইভেট ব্যাংকে (যমুনা ব্যাংক) আছি। এর মাঝে কিছু ছোট ছোট বিজনেসের সাথে জরিত ছিলাম।
রিলেশনশিপ স্টাটাসঃ
আমি এখনও সিঙ্গেল।
আমার মনে পড়ার মত কিছু গল্পঃ
আব্বু-আম্মুর একমাত্র ছেলে হিসেবে অনেক আদরের ছিলাম। ছোট বেলায় লেখাপড়া শুরু করি নানার বাসায় থেকে মাদ্রাসাতে।
সেখানে এক হুজুর ছিল আমাকে অনেক আদর করত। তিনি যখন ক্লাশে আসতেন আমাকে দিয়েই ছবক দিতে। আমি তার ভয়ে পেছনে লুকিয়ে থাকতাম। কিন্তু তিনি ক্লাশে এসে আমাকে খুজে বের করে তার সাথে নিয়ে বসাতেন প্রতিদিন যা ছিল আমার কাছে খুব বিরক্তের।
আমি মাদ্রাসার শেষ বছর অর্থাৎ তৃতীয় শ্রেনীতে যখন পড়ি আমাদের মাদ্রাসাটি ছিল আলিয়া মাদ্রাসা যেখানে ছেলে মেয়ে একসাথে বসত (স্কুলের মত)।
আমার নিজের অজান্তেই একটা মেয়েকে পছন্দ হয়। আমি এই মেয়ের দিকে তাকাতাম মেয়েটি আমার দিকে তাকাত। কিন্তু কেউ করো সাথে কথা বলতাম না। দীর্ঘ সময় এটা চলতে থাকল। এক পর্যায়ে আমার এক বন্ধু এতা মেনে নিতে পাড়ল না ও সবাইকে জানিয়ে দিল। তারপর এটা মাদ্রাসার বড় হুজুর পর্যন্ত জানতে পাড়ল। তারপর তিনি একদিন বিরতির সময়ে আমাদের দুইজনকে ডাকল। মাদ্রাসার সকল স্টুডেন্টকে বের করে দরজা জানালা লাগিয়ে মাদ্রাসার একটি বড় রুমে ডাকে।সেখানে আমি, মেয়েটি আর হুজুর। তারপর হুজুর আমাদের জিজ্ঞেস করল তোমরা একে অপরকে পছন্দ করকিনা? তারপর আমরা উভয়ই উত্তর দিলাম দুইজন একে অপরের দিকে তাকাতাম কিন্তু কোন কথা বলতাম না এটা দীর্ঘ সময় ধরে ছিল। তারপড় হুজুর আমাদের বুঝিয়ে সাবধান করে দিল। এর কয়েক মাস পড়ে মাদ্রাসা থেকে চলে আসি। এরপরে মেয়েটর সাথে আর দেখা হয়নি।কিন্তু গত কয়েক বছর আগে মেয়েটাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল। তারপর শুনলাম মেয়েটির বিয়ে হয়েগেছে। এই স্মৃতিটা এখনও আমার মনে পড়ে।
আমার স্কুল জীবনে তখন ক্লাস নাইনে পড়ি একদিন আমরা ক্লাস থেকে সবাই বের হয়ে যাই স্কুল ছুটি মনেকরে। তারপর প্রধান শিক্ষক সবাইকে মেরে ক্লাসে প্রবেস করতে বলে আমরা আর জাই নাই। তারপর সব বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ আর স্কুল নয়। আজ যাব কিশোরগঞ্জ চরে নদীরপাড়ে। যেই ভাবা সেই কাজ আমরা প্রায় ৫০জনের মত সেখানে যাই প্রত্যেকের সাইকেল দিয়ে।সারাটা দিন সেখানে কাটাই। এতটা আনন্দ করেছিলাম যা এখনও আমার মনে পড়ে। কত ধরনের খেলা খাওদাওয়া মনে হচ্ছে আবার সবাই মিলে সেখানে যাই কিন্তু তা আর সম্ভবনা।
আমার এলাকাতে আমরা ৬-৭জন বন্ধু আছি যারা প্রত্যেকেই ভাল এবং শিক্ষিত। আমরা প্রতি মাসে কোন যায়গায় ট্যুর কিংবা নিজেরা রান্না করে খাওয়াদাওয়া করি। যা আমাকে অনেক আনন্দ দেয়। আমরা সবাই মিলে সামাজিক কার্যক্রম করি গ্রামের সকলের এক আস্থার নাম এখন আমরা। এখন গ্রামের লোকজন যেইকোনো ব্যাপারে আমাদের ডাকে। আমরা সবসময় আমাদের গ্রাম নিয়ে ভাবি অন্যরকম আদর্শ সমাজ গঠন করব। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
এই ছিল আমার ছোট করে একটি গল্প।
এই প্লাটফর্মে আসার গল্পঃ
Search English নামে একটি প্লাটফর্ম আছে যা আপনারা অনেকেই জানেন বা যুক্ত আছেন। ধানমন্ডিতে এই গ্রুপের একটি মিটআপ অনুষ্ঠান হয় সেখানে আমি যাই। সেখানে দুইজন ভাইয়ের সাথে পরিচিত হই তারা বলছিল তারা এই অনুষ্ঠান শেষ করে আরেকটি অনুষ্টানে যোগ দিবে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে।
এই গ্রুপ থেকে কি পেলামঃ
সত্যি কথা বলতে এই গ্রুপ আমাকে নতুন করে চিনতে এবং বুঝতে শিখিয়েছে। আমি জীবনে অনেক ভুল করেছি , অনেক জায়গায় আমি ঠকেছি কারন আমি তখন বুঝতে পারতাম না কোন টা সঠিক আর কোনটা সঠিক না। আলহামদুলিল্লাহ নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন এ যুক্ত হওয়ার পরে থেকে আমার ভুল গুলো বুঝতে পারছি । শিখতে পারছি কি ভাবে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হয়। আমি এখন সপ্ন দেখতে শিখেছি, লেগে থাকতে শিখেছি, ইনশাআল্লাহ স্যার এর দেওয়া শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই স্যার কে এতো সুন্দর একটা গ্রুপ৷ আমাদের কে উপহার দিয়েছেন।এখানে পেয়েছি আরেকটি পরিবার,পেয়েছি লাখ ভাই বোন সবাই এখানে এতো ভালো মানুষ । সবাই একে অন্যে কে সম্মান করে, ভালো বাসে।
এখান থেকে শিখেছি একটি আয়ের উপর নির্ভর করলে চলবেনা আরেকটি আয়ের ক্ষাত কিভাবে করতে হবে।
Networking is the power of Business. এটা এখান থেকে শিখেছি। আলহামদুলিল্লাহ তার ফলও পেয়েছি।
সবচেয়ে বড় কথা হল আমি একজন ভাল মানুষ হতে শিখেছি।
আমার সামাজিক কার্যাবলিঃ
আমি বর্তমানে চাকরির পাশাপাশি আমাদের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন আছে সেখানকার কোষাধক্ষ্য হিসেবে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ করছি।
আমার স্বপ্নঃ
আমার ছোট বেলা থেকেই একটি স্বপ্ন যে আমি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্নধার হব।
সেখান থেকেই আমার চাওয়া-পাওয়া পূরন করব ইনশাআল্লাহ। নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে যাবো যদি আল্লাহ তাআলা বাঁচিয়ে রাখেন।
আপনাদের ধন্যবাদ যে আপনারা মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার গল্পটি পড়েছেন। সেই সাথে ক্ষমা চাচ্ছি আমার লিখার কোন ভুলক্রটির জন্য।
সকলে ভাল থাকবেন।সুস্থ থাকবেন। নিরাপদে থাকবেন। আমার জন্য আপনারা দোয়া করবেন, আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করি, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা