Life is not a bed of roses কারো জীবন ই ফুলের মতো হয় না। সবার জীবনেই কষ্ট থাকে। সুখ দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। জীবন টা অনেক গুলো পার্ট এ বিভক্ত হয়ে থাকে।
আমাার জীবনের গল্প।
আমি মোঃ মুকাদ্দিছুর রহমান ,আজ আপনাদের শোনাতে এসেছি আমার জীবনের সুখ- দুঃখ ,হাসি--কান্নার "গল্প"। প্রতিটা মানুষের জীবনেই গল্প থাকে। কারো কারো জীবনের গল্প হয় সুখের কারো জীবনের গল্প টা কষ্টে ভরা থাকে।
শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি, সৃষ্টিকর্তার কাছে এই পৃথিবীতে এখনো আমাদেরকে সুস্থতার সাথে লালন করে যাচ্ছেন তিনি। আমরা বেঁচে আছি ভালো ভাবে আলহামদুলিল্লাহ।
লাখো কোটি দরূদ ও সালাম পৃথিবীর মহামানব রাসুলে পাক হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর ওপর।
আমি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমার মা বাবার প্রতি যাদের আদর ভালোবাসায় সুন্দর এ পৃথিবীতে পদার্পণ ও মানুষের মত মানুষ হতে পেরেছি।
আমি শ্রদ্ধার ভরে স্মরন করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর, প্রিয় শিক্ষক, তরুণ প্রজন্মের আইডল, উদ্যোক্তা গড়ার কারিগর- জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারকে - যার সুচিন্তা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি, পেয়েছি লক্ষ লক্ষ ভাই বোন। পেয়েছি বিশাল একটা পরিবার। যার শিক্ষা বুকে ধারণ করে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার তরুণ তরুণীরা সাহস করে তার বাস্তব জীবনের সফলতার গল্প, ব্যর্থতার গল্প ও কষ্টের গল্প অনায়াসে লিখে থাকেন।
আমার জীবনের গল্প শুরু যেখান থেকে :
Life is not a bed of roses কারো জীবন ই ফুলের মতো হয় না। সবার জীবনেই কষ্ট থাকে।
সুখ দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। জীবন টা অনেক গুলো পার্ট এ বিভক্ত হয়ে থাকে।
কখনো আসে সুখ কখনো বা দুঃখ পালাক্রমে আসে।
আমার জীবনেও অনেক চড়াই উৎরাই পার করে আজ এই পর্যায় এসেছি। জীবনে চলার পথে যাকে সবচেয়ে প্রয়োজন ছিল তাকেই পাশে পাই নি জীবনে। তবে পাশে পেয়েছি আমার বাবার মতো বড় ভাই কে তার জন্যই আজ আমি এই খানে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। কৃতLife is not a bed of roses কারো জীবন ই ফুলের মতো হয় না। সবার জীবনেই কষ্ট থাকে।
সুখ দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন। জীবন টা অনেক গুলো পার্ট এ বিভক্ত হয়ে থাকে।জ্ঞতা বড় ভাই এর প্রতি। যার ঋণ আমি কোনো দিন শেষ করতে পারবো না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন ইনশাআল্লাহ।
আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা :
আমি জন্মের পর থেকেই যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই দেখছি আমার বাবার দুই টা ফ্যামিলি। অর্থাৎ আমার বাবা ২ টা বিয়ে করেছেন। সেই ছোট বেলা থেকেই বাবার ভালবাসা পাইনি কখনো। সে কখনো চাইতো না আমি পড়াশুনা করি। আমি যখন ক্লাস ৫ এ পড়ি তখন বাবা বড়ভাইকে বলতো আমাকে যেন কাজে দিয়ে দেয়। বলতো পড়াশুনা করিয়ে কি হবে ? কাজে দিয়ে দিলে ইনকাম হবে। এ কথা শুনে আমি খুব কষ্ট পেতাম। কিন্তু সেই কষ্ট সব ভুলে যেতাম যখন বাবার মতো বড় ভাই এর ভালোবাসা পেতাম। বড় ভাই ই আমাকে তার আদর যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন। আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন।
আমাদের ফ্যামিলিগত অবস্থা প্রথম পর্যায়ে অনেক ভালো ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে অনেক কঠিন খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয় আমাদের। ২০০৯ পর্যন্ত আমরা অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন পার করি। ২০০৯ সালে প্রথম বাড়ির বাইরে চলে আসি। এরপর আমি প্রথম একটা চাকরি নেই আমাদের একটা গরুর বাছুর বিক্রি করে ৫০০০ টাকা নিয়ে আমি যশোর চলে যায়।
আমার চাকরি জীবন :
আমি প্রথম চাকরি তে জয়েন করি গ্রীন বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটা কোম্পানি তে। যশোর অফিসে জয়েন করি আমি। পাম্প গাছের বিজনেস ছিল তাদের। সেখান থাকা খাওয়া নিয়ে যা পেতাম টা দিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছিল না। পরবর্তীতে বড় ভাই আমাকে ঢাকা নিয়ে আসেন। একজন এডভোকেট এর আন্ডারে কাজ নিয়ে দেন । তখন এডভোকেটের সাথে কাজ করা অবস্থায় আমার বেতন কত সেটা আমি জানতাম না ২/৩ মাস জব করার পর যখন বেতন নিয়ে আসতে গেলাম তখন এডভোকেট আমাকে এক হাজার টাকার একটা খাম ধরিয়ে দিলেন এটাই নাকি ছিল আমার বেতন, খাওয়া সহ সার্বিক যত খরচ আছে সবকিছু আমার বড় ভাই বহন করতো।
পরবর্তীতে চাকরিটা ছেড়ে চলে যাই বাড়িতে। আবার লিখাপড়া করবো চিন্তা করি। কিন্ত ফ্যামিলির অবস্থা ভালো না হওয়ায় আমি আবার বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হই।
আমি আবার ও সেই এডভোকেট এর ল ফার্ম এ জয়েন করি। এবার আমার বেতন ধরা হয় তিন হাজার টাকা। আমি সেখানে থেকে কাজ শিখার চেষ্টা করি। কিন্তু ওই এডভোকেট এর কাছ থেকে আমি কিছুই শিখতে পারতাম না। তাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে সে ঠিক মতো বলতো না। কিছু জিজ্ঞেস করলে বলতো তোমার জানার দরকার নেই , সময় হলে জানতে পারবে। আমার ভিতরে জেদ হলো আমাকে জানতে হবে ,শিখতে হবে। আমি আমার নিজের মতো করে চলতে থাকি এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে এলএল.বি , এলএল.এম কমপ্লিট করি।
এর পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ একাকী কর্ম জীবন শুরু করলে আমার প্রথম ইনকাম হয় ৫২০০০/- টাকা। সেই থেকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
মনে মনে ভাবি বিজনেস করবো। আমি আমার মতো বিভিন্ন বিজনেস করার চেষ্টা করি। আমি নিজেও কোম্পানি করার চেষ্টা করেছি বিভিন্ন ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হয়েছি। ২০১৮ সালে এসে আমি ফ্লাই অ্যান্ড টাচ লিমিটেড নামে ট্রাভেল এজেন্সি করি। আমার কয়েকজন বিজনেস পার্টনার ছিল। পরবর্তীতে আমি তাদের বিভিন্ন অসাধু আচরণ ও তাদের বিভিন্ন সমস্যার কারণে সেই বিজনেস এ সফল হতে পারি নি।
আমার পড়াশোনা :
আমি এলএল.বি ও এলএল.এম কমপ্লিট করেছি। ২০১২ সালে দলিল লেখক লাইসেন্স করি।
দলিল লেখক পেশা টা আমার একটা প্যাশন। ভালো লাগার একটা পেশা।
চাকরির পাশাপাশি আমি স্বপ্ন দেখি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার
আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা ও নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার গল্প:
২০১২-২০১৩ সালের দিকে আমার পরিচয় হয় রবিউল ভাই এর সাথে।
রবিউল ভাই আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়ে আসতেছে, বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে আসতেছে। প্রথম ২০১৩ -১৪ সালের দিকে একটা ওয়েবসাইট করেছিলাম। সেই থেকেই রবিউল ভাই এর সাথে পরিচয়। রবিউল ভাই আমাকে আসলে অনেক মোটিভেটেড করতে থাকে তো পরবর্তীতে রবিউল ভাই আমার ট্রাভেল এজেন্সির অনেক কাজ করে দেন।
এরপরে রবিউল ভাই আমাকে জয়েন করিয়ে দেয় নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন এ।
তিনি নিজের হাতে আমাকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দেয়।
নিজের বলার বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন এ যুক্ত হয়ে আমি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে তার ভিডিও দেখতে শুরু করি। স্যার এর ভিডিও গুলো আমাকে এতো বেশি অনুপ্রাণিত করে যে বলে বুঝতে পারবো না। পুরো করোনার সময়ে যখন মানুষ ঘরে বন্ধী তখন আমি আমার স্বপ্ন দেখতাম কিভাবে বিজনেস শুরু করবো।
আমি যেহেতু ল-ইয়ার , একজন দলিল লেখক তাই আমি চিন্তা করি আমি জমি সংক্রান্ত বিজনেস করবো। সেই ভাবনা থেকেই দারুন বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটা প্রতিষ্ঠান করি। আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি দুইটা প্রতিষ্ঠানের সময় দিই একটা হচ্ছে ল' সলিউশন এখানে আমি লিগ্যাল এডভাইজার হিসেবে আছি ও আরেকটা হচ্ছে দারুন বাংলাদেশ লিমিটেড দুইটাই আমার প্রতিষ্ঠান আলহামদুলিল্লাহ। দারুন বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমি আর আমার মা হচ্ছেন চেয়ারম্যান। আলহামদুলিল্লাহ আমার দুটো বিজনেস ই ভালো চলছে। একটা সময় অনেক অলস ছিলাম। জীবনের শুরুটা অনেক কষ্টে কেটেছে। যখন গ্রামে ছিলাম তখন মানুষের ক্ষেতে খামারেও কাজ করেছিলাম এক সময়। কিন্তু আজ আমি অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমার জীবনে চারজন মানুষ এর প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো একজন আমার মা, ২য় আমার বড় ভাই , ৩য় রবিউল ভাই ও ৪র্থ আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।
এছাড়া জারিক লিমিটেড এর সাথে আমার পরিচয় হয় রবিউল ভাই এর মাধ্যমেই রবিউল ভাই অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। তার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ তাকে অনেক ভালো রাখুক। জারিক লি: ও এপল লি: জয়েন্টভেঞ্চারে আমার প্রতিষ্ঠানের আইটি সাপোর্ট দিয়ে থাকেন। আমি রবিউল ভাই এবং জায়েদ হাসান এমরান ভাইয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞ।
আমার শখ : মানুষের জীবনের একটাই উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সেটা হলো মানব সেবা। আমি নিজেকে একজন মানব সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই (এইটা আমার মায়ের নিদেশ) । আমি আসলে ঘুরতে ভালোবাসি আর সবচেয়ে বেশি যেটা পছন্দ করি সেটা হচ্ছে মানুষের উপকার করতে . উপকার করাটা যেন আমার নেশা , উপকার করাটা যেন আমার পেশা , আমি আমার জীবন বাজি রেখে হলেও মানুষকে উপকার করতে পছন্দ করি। আমি কমিউনিটি পছন্দ করি। যেহেতু গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের সাথে বিভিন্ন সময়ে পরিচয় হয়েছে ,পরিচয় হচ্ছে ,পরিচয় হবে সব সময়ই সকলের উপকার করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর অনেক ভালো মনের অধিকারি ভাই ও বোনদের সাথে পরিচিত হই ,দিনে দিনে প্ল্যাটফর্মের প্রতি আমার ভালোবাসা বাড়তে থাকে, এবং আমাদের নিজের বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্মের প্রেমে পড়ে যাই, স্যারের দেওয়া সেশন গুলি প্রতিদিন মনোযোগ সহকারে পড়ি এবং স্যার এর ভিডিও গুলো আমি নিয়মিত দেখি।
প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর অনেক ভালো মনের অধিকারি ভাই ও বোনদের সাথে পরিচিত হই ,দিনে দিনে প্ল্যাটফর্মের প্রতি আমার ভালোবাসা বাড়তে থাকে, এবং আমাদের নিজের বলার মত একটা গল্প
সকলের অনুপ্রেরণায় আমার এই পথ চলা। নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন এর সকল দায়িত্বশীল ভাই বোনেরা সত্যিই প্রকৃত পক্ষে মহৎ মানুষ তাদের কোন তুলনা হয় না।
সকলেই অনেক হেল্পফুল। সবাই পরোপকারী।
আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমার জীবনের গল্পটা এত সময় নিয়ে যারা পড়লেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
সকলেই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।