শুরু করছি মহান আল্লাহ তাআ'লার নামে। যিনি এতো সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করছেন।
বিসমিল্লাহি রহমানির রহিম
শুরু করছি মহান আল্লাহ তাআ'লার নামে।
যিনি এতো সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করছেন।
সৃষ্টি করছেন আমাদের কে।ঝড় তো প্রকৃতির নিয়মে আসবেই তাই বলে কি সব কিছু ধংস করে চলে যায়? নিশ্চয়ই না যার যেমন নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা ঠিক সে সেই ভাবেই টিকে থাকে।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন কথা টা ঠিক যেনও আমার সাথে যাই,যাই ভাব আসে বলা চলে
আমি এক ধনী ঘরের নাতি আবার মধ্যবিত্ত বাবার সন্তান বলতে পারেন
আমি একটু আমার নানু বাড়ির দিক থেকে শুরু করতে চাই
তিন মামার একটা বোন ছিলো বড় আদরের।
কাজ কী জিনিস কখনও তা তিনি করে নি।
ভাগ্য কী জিনিস শহরের মেয়ের বিয়ে হলো পথ ঘাট হীন এক অন্ধকার গ্রামে
যেখানে কোনো ক্যারেন্ট নাই পাকা রাস্তা নাই গাড়ি তেমন চলে না ঠিক এমন এক জায়গা তে।
তারা পর শুরু হলো সংসার জীবন আমার মায়ের
তাতেও সমস্যা ছিলো না দাদু আমার বেজাই কড়া মহিলা ছিলো, ওনি স্টেড ফরওয়ার্ড লোক বলতে পারেন। আবার একজন ভালো মানের মানুষ
আমার দাদুর ছেলে নাতি খুব পছন্দ
যখন আমি হলাম সেটাতেও ছিলো সমস্যা।
কেনও আমি মেয়ে হলাম
তার জন্য দাদা দাদু আমাকে দেখতে আসে নাই
আর তখন আমার নানু বাড়ির লোকেরা বুঝে যায় আমার দাদার পারিবারের লোকেরা কেমন।
কিন্তু বুঝলেও তো কিছু করার নাই সন্তান হয়ে গেছে।
তখন কার মানুষ তো আগে সমাজ এর কথা চিন্তা করতো।
দাদু যে খারাপ তা কিন্তু না আমি যখন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলাম তখন আদর বাড়তে থাকলো আমার।
আমিও তো সবাইকে অনেক ডাকাডাকি করতাম।
আমি হওয়ার ঠিক তিন বছর পর আম্মুর আবার বেবি হবে। তখন নানু বাড়িতে আসে আম্মু দাদু বাড়ির কথা ছিলো যদি আবারও মেয়ে হয় তাহলে আর দাদার বাড়িতে নিবে না আম্মুকে
আল্লাহ তো একটা মানুষ কে সকল দিক থেকে অসুখী করতে পারে না
আম্মুর কোল জুড়ে আসে আমার ভাই,এর পর আরেক টা ভাইও হয়।
এই হলো আমার তিন ভাই বোন নাম গুল সব মিলিয়ে রাখা শাম্মী, শাওন,সৌরভ।
এবার আমার শৈশব টা বলতে চাই
শৈশব কালঃ আদর পেয়েছি সবার কম আর বেশি সব সময় আমি আমার পরিবারে ছেলে আর মেয়ের পার্থক্য দেখেছি আর আমার দাদীকে দেখতাম সব সময় ছোট যে মাছ অথবা মাংস আছে ঐ গুলি আমার পাতে বেশি খেলে আমি ছুছড়া হয়ে যাবো জামাই বাড়ি থেকে নালিশ আসবে
শিক্ষা জীবনঃ হতে চেয়েছিলাম ডাক্তার। কেনও হতে পারি নাই জানেন আব্বু টাকা নাই বলে।বিজ্ঞান বিভাগ পড়বো প্রাইভেট কোচিং লাগবে এতে টাকা কোথা থেকে পাবো আমার প্রতি টা ধাপ ছিলো ত্যাগের মতো সব কিছু মানিয়ে নিয়ে বলতাম এটাই হয় তো আমার ছিলো কপালে,লেখা পড়া অবস্থা বলছে বিয়ে দিয়ে দিবে। স্কুল জীবনে ফুপিরা লেখা পড়ার জন্য টাকা খরচ করেছে আমাকে যে লেখা পড়া করাবে আমার কী আর বাপের কামায় আছে এই কথা বলতো সব সময় তখন থেকে মনে মনে জিদ ছিলো কিছু করে দেখাবো সবাই কে,
আমি যখন ইন্টার লেখা পড়া শেষ করে অনার্সে ওঠবো তখন ইচ্ছে ছিলো অনার্স পড়বো তখন অনেক এই বলেছিলো টাকা লাগে প্রচুর । অনার্সে অনেক খরচ তোর বাপ বেকার তোরে এতো টাকা কোথা থেকে দিবো। বাণীতে দাদু
অনেক কান্না কাটি অনেক কিছুর পর আমি অনার্সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট ভর্তি হয় তখন এর পিছনেবড় কারণ ছিলো দাদু মনীর,
আর আমার চাচা টাকা দিলো ভর্তির জন্য
ওনার সার্পোটে আমি রাষ্টবিজ্ঞানে ভর্তি হলাম নানু বাড়িতে থেকেই লেখা পড়া শুরু হলো।
এর একটাই কারণ ছিলো Julekha Khatun suma
ওনি হলেন আমার মেম ওনি বলেছিলো
শাম্মী তোমার সব থাকবে একদিকে আর তুমি তোমার লক্ষ্য স্থল স্থির রাখও ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে।
যার একটি কথায় আজকে আমি আমার গল্প লিখতে পারছি
বিজনেস জীবনে আসা অফলাইনে ঃ
একদিন Julekha Khatun Suma মেম এর শো রুমে যায় আমার মোবাইল এর এড দেখে।
আমার মুখ তখন বেশ ব্রণের দাগ আরও ব্রণ ছিলো।মেম তখন বল্লো শাম্মী ব্রণের জন্য এই জিনিস গুলি নিতে পারো।
মেম বলতেই আমি অন্ধ ১সপ্তাহ পর দেখি একদম মুখ ফ্রেশহ হয়ে গেলো।
তার পর মেম বলো তুমি কাজ করতে পারো তোমার কোনো পুঁজি লাগবে না আমার কাছ থেকে নিয়ে সেল করতে পারো।এভাবে আস্তে আস্তে মানুষ আমাকে অফ লাইনে চিনেছে❣️🤩সেটা ছিলো ২০১৯ সাল।
এর পর আস্তে আস্তে যুক্ত হতে থাকি অনলাইনে।
লেখা পড়ার পাশাপাশি বেসরকারি স্কুল জব+ টিউশানিও করতাম আমি তখন থাকতাম নানু বাড়িতে ❣️
তার পাশাপাশি কাজ করতাম অনলাইনে।
মাঝে মাঝে ভাবতাম আমি মনে হয় পারবো না।
এর ভিতর দিয়ে একদিন আমার চাচী মা যাকে মায়ের ২য় স্থান বলি আমি ওনি আমাকে বলে দুপুরে হঠাৎ ফোন দিয়ে বলে শাম্মী তুমি ঢেঁকি কুটা মাষকলাই এর ডাল নিয়ে কাজ করো, অনলাইনে তা কেউ করে।
আর তিন ছিলো প্রথম কাস্টমার, ওনি নিজেও একজন বিজনেস মেন।
তার পর আমার শ্রদ্ধিয় মেম ২য় কাস্টমার হয়।
চাচী মা সব সময় আমাকে দামি দামি জিনিস দেয় এখন দেয় যদি বলি কম হয়ে যাবে অভাব অপূর্ণ্য রাখে নাই আমার।
যখন যা বলেছি ওনি যখন যা দেখেছে তা আমার জন্য কিনতো🤩
ফুপিরা এই বিষয় টা একটু কম অবশ্য যে কোনো কিনার বিষয়ে।
চাচী মা আমার সব বিষয়ে সার্পোট করে🤩
আর সেটা যাই হোক অসম্ভব আদরি একটা মানুষ ❣️❣️
Julekha Khatun Suma মেম একটা কথাই বলতো তোমাকে তো হারতে শিখাই নি আমি।
এর পরেই আমাকে যুক্ত করলেন
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন - উদ্যোক্তা তৈরির প্রতিষ্ঠান
আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দিয়েছিলো মেম এর পরিচিত আমাদের গ্রুপের একজন মেম্বার,
কুমিল্লার বাসিন্দা Abdul Halim ভাই আমাকে রেজি করিয়ে দেয়।
প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি টা কথাই আমি আমার জীবনের সাথে মিলাতে থাকি।
কে কী বলো তা দিয়ে আমার কিছু হবে না আমি যদি নিজ কিছু করতে চাই অনেক এর কথা ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে।
আসলেই তাই আমি নিন্দুকের কথা ঝেড়ে ফেলতে শিখে গেছি।
যে দাদু আমাকে বলেছিলো বিজনেস করে লেখা পড়া খাস না।
আর এখন সেই দাদু বলে আরও দুই ভাইকে শাম্মীর থেকে শিখ।
লেখা পড়াও করছে আবার বিজনেসও করছে
যে বাবা বলেছিলো আমার যদি বড় ছেলে থাকতো হয় তো এতো দিন এ চাকরি হয়ে যেতো।
আর এখন সেই বাবা আমার অন্য দুই ভাইকে বলে আমার মেয়ের মতো হয়ে দেখিয়ে দে তোরা
আমার মা সব সময় দোয়া করতো শাম্মী তুমি মেয়ে বলে সবাই তোমাকে ছোট চোখে দেখো একদিন ওদের প্রত্যাক এর মুখে তোমার নাম থাকবে আসলেই তাই আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রিয় চার টা মানুষলর জন্য
১.আমার মা যে সাহস দিতো।
২. Julekha Khatun sumaযিনি আমাকে পথে হাত ধরে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
৩. আমার চাচী মা
৪.প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার যার প্রতিটা কথা আমার কোমল হৃদয়ে গেঁথে রেখেছি।প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার যার প্রতিটা কথা আমার কোমল হৃদয়ে গেঁথে রেখেছি।
এতো কষ্টের পর আজ আমি আমার পজিশন একটু হলো শক্ত করেছি।
কত লোক কত কী বলেছে
কোমল মনে দাগ কেটেছে শুধু এখন এসব এর কোন ধার ধারি না।
আমাকে নিয়ে সমালোচনা করে আমার ব্যাপার টা খারাপ লাগতো তখনি মেম কে ফোন দিয়ে দিয়ে বলতাম আমাকে অমুকে এসব বলে।
ওনি হাসতেন আর বলতেন আরে বোকা তোমার উন্নতি হচ্ছে বিধায় সমালোচক রা সমালোচনা করে।
এখন দেখি কথা সত্য।
জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতিটা কথা আমাকে আরও সাহসি করে তোলছে।
""বৃষ্টি সবার জন্য আসে না
ভিজে কেউ কেউ""
আমর ঘুরে দাঁড়ানোর পথ সহজ ছিলো না যদি না আমি ঘর থেকে না বাহির হতম।
সবি আল্লাহ ইশারা
আমাকে যে করেই হোক আরি বহুদূর হেঁটে যেতে হবে।