পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি আমার জীবনের গল্প
পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নাaমে শুরু করছি আমার জীবনের গল্প 🌷
💜 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। 💜
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহ।
👉 নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের সম্মানিত সকল ভাইয়া ও আপু, সবাই কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ইনশাআল্লাহ সবাই সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর দরবারে অনেক অনেক শুকরিয়া, যিঁনি আমাদের নিরাপত্তা প্রদান করেন।
👉 পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে স্মরণ করছি, আমার প্রান প্রিয় মা-বাবা কে। যারা আমাকে এই সুন্দর পৃথিবী অবলোকন করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। ❤️
👉 পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি, আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক,মেন্টর, তরুণ প্রজন্মের আইডল,উদ্যোগতা গড়ার কারিগর - জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে,
যার পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই সুন্দর প্লাটফর্ম।
পেয়েছি লক্ষ্য লক্ষ্য ভাই-বোন।
পেয়েছি বিশাল একটা পরিবার।
যার শিক্ষা বুকে ধারণ করে লক্ষ্য লক্ষ্য শিক্ষিত বেকার তরুণ তরুণীরাও সাহস করে, বাস্তব জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতার গল্প অনায়াসে লিখে থাকেন।
যিনি আমাদের কে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়তে, দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন,এবং
বাংলাদেশের বেকারত্ব দূরীকরনের মহৎ উদ্যোক্তা, তিনি হলেন -জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।স্যারকে স্যালুট জানাই।
👉 আজকে নিজেকে নিয়ে কিছু গল্প বা কথা তুলে ধরবো। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
👉 আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয় ঃ আমি ফয়সাল আহমেদ
১৯৯৯ সালের ২০ মার্চ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় বসন্তের মন মাতানো হাওয়া নিয়ে জন্ম হয় আমার। আমি আমার বাবা মা এর দ্বিতীয় সন্তান বড় একটা ভাই,আমার পরে দুটি বোন।বাবা কৃষক মা গৃহিণী,
আমার প্রিয় দাদী,আলহামদুলিল্লাহ সুখী পরিবার।
👉 বাবার পরিচয়: আমার বাবা ছেলেবেলায় তার বাবা মানে আমার দাদাকে হারান পরিবারের বড় সন্তান হওয়াতে তখনই তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়।পড়াশোনার প্রখর আগ্রহ থাকলেও সুযোগ পাননি মোটেই।সেই ছোটবেলা থেকে এখনও অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমার সংগ্রামী বাবা।কখনও বাবাকে পরম ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরে বলতে পারিনি বাবা তোমায় অনেক ভালোবাসি। কিন্তু বলতে ইচ্ছে করে প্রতিটিক্ষন।
👉 মায়ের পরিচয় : সে তো মমতাময়ী মা যে মা আমাকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে এক মৃত্যু যন্ত্রণা সহ্য করে আমাকে জন্ম দিয়েছেন এবং পরম যত্নে বড় করেছেন।প্রচন্ড রকমের দারিদ্র্যেতার সাথে লড়াই করে পরিবার পরিচালনা করেছেন।এক মূহুর্তের জন্য বুজতে দেননি আমি এক দারিদ্র্য পরিবারে জন্ম নিয়েছি।তিনিই আমার 'মা'
👉 ছেলেবেলা: যদিও নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম আমার তারপরেও বাবা কখনও বুজতে দেন নি কোন কিছুর বিন্দুমাত্র অভাব।না চাইতেই প্রাপ্তি যাকে বলে।তেমন কিছু মনে নেই তবে একটা ঘটনা বলি।সেদিন ছিলো ভরা পূর্ণিমা আমি তখন অভাব বলতে কিছু বুজতাম না।বাবা মা বড় ভাইসহ আমি রাতে গেলাম নার্সারিতে কাজ করতে।কারন বাবা তখন অন্যের কাজ করতো এবং তার মাঝে নিজের নার্সারির কাজ করতো।কাজ করতে যে কষ্ট হয় তাও বুজতাম না আনন্দেই গেছিলাম সেদিন কিন্তু। কিন্তু এখন বুঝি বাবা কেন গেছিল সেদিন?
👉 স্কুল জীবন: স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই রাতে গুমাতে গেলে মা আমাকে ক্লাস ওয়ান এর বই মুখস্থ করে দেন।আমাদের অনেক অভাব থাকলেও ছিলো একটা সুনাম তা হলো আমাদের ৪ ভাইবোনকেই আসেপাশের সকল মানুষ ভালো জানতো এবং সবাই আঙুল তুলে তাদের সন্তানকে উদাহরণ দিতো ওদের মতো ভালো হতে পারো ন।
পুরো প্রাথমিক এ আমি কখনও টেবিলে বসে পড়িনি মা আমাকে নিছানাতেই পড়া মুখস্থ করে দিতেন এছাড়া স্কুল শিক্ষক তো ছিলেনই।তবে সব শিক্ষকদের আলাদা একটা নজর পেতাম সবসময়।
মায়ের হাত ধরে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষ করে বাবার হাত ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন শুরু করি।এখানেও আলহামদুলিল্লাহ ভালো শিক্ষার্থীর একটা পদবি পেয়ে যাই।জে এস সি পরিক্ষা দিয়ে ক্লাস নাইন এ প্রথম দিন বিভাগ নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনের অজান্তেই ব্যবসায় শাখা নির্বাচন করি।হয়তো নিজের অজান্তেই ব্যবসা করার মনের সুপ্ত ইচ্ছার প্রতিফলন যটে ওইদিন।আলহামদুলিল্লাহ আস্তে আস্তে প্রিয় বই এখন হিসাববিজ্ঞান। ভালো একটা রেজাল্ট করে ২০১৬ সালে স্কুল জীবন শেষ হয়।
👉 কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি : আমদের পরিবার নিম্নবিত্ত থেকে ঋণমুক্ত হয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারে রুপান্তর ঘটলো।আমি পাশের থানার একটা নামকরা বেসরকারি কলেজ এ ভর্তি হলাম। বড়ভাই তার আগেই বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হলো।কলেজ জীবন আলহামদুলিল্লাহ অনেক আনন্দেই কাটলো।কারন তখন আমি প্রথম বাবা মাকে ছাড়া একা থাকি মানে একটা মুক্তির স্বাধ পাই।এবং আমার চঞ্চলতার কারনে আমাকে পুরো কলেজের সবাই চিনতো আমি অনেক উপভোগ করতাম আমার কলেজ জীবন।শ খানেক বন্ধু ছিলো আমার।মোটামুটি এভাবেই কলেজ জীবন শেষ হয়।
👉 ইউনিভার্সিটি : আর একটা কথা বলে রাখি "আমি এখনও আমাদের আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে জেনারেল সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং আমার বড় ভাই টেকনিক্যাল এ বেশি শিক্ষিত"
তাই আমাকে কেউ বোঝাতে পারেনি ইউনিভার্সিটিতে সাধারণ মানুষেরও চান্স হয়।আমি ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।২০১৮ তে এইচ এস সি শেষ করে রেজাল্টের আগেই ঢাকায় একটা কোচিং এ চাকরি করতে চলে আসি এখানে এসে অনেক কিছু জানতে পারি।তাইতো সেবছর আর অনার্স এ ভর্তি হই না।পরের বছর কোচিং শুরু করি এডমিনের কিন্তু ভাগ্য আমার সঙ্গ দেয় নি প্রচন্ড রকমের গ্যাস্টিকে সমস্যার কারনে বাড়ি ফিরে জেতে হয়।তার পরও ৫ টা ইউনিভার্সিটিতে পরিক্ষা দেই সাতকলেজসহ।যদিও প্রস্তুতি ছিলো না তার পরেও বাংলা কলেজ এ ম্যানেজমেন্ট আসে।
কিন্তু বাসা থেকে ভার্তি হওয়ার অনুমতি পাইনি কারন আমি বাহিরের খাবার খেতে পারি না।যাইকোন ন্যাশনার এ ভর্তি হই এবং এখন বি বি এ একাউন্টিং ৩য় বর্ষে আছি।
👉 চাকরি জীবন: আমি আমার এই অল্প বয়সে অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি কিন্তু স্থায়ী হয়নি তার একটা কারন হচ্ছে আমি চাকরিতে সন্তুষ্ট ছিলাম না ব্যাবসায় এই আমার মনের সুপ্ত ইচ্ছে ছিলো।
👉 উদ্দোক্তা জীবন : বড়ভাই Md. Abu Hasanat হাত ধরেই মনের অজান্তে উদ্দোক্তা জীবনের সুচনা।করনা কালে এলাকায় টিউশনি করতাম তখন ভাই চাকরি করতো নরসিংদীতে। একদিন ফোন করে বলে ফয়সাল ১০ কেজি মধু পাঠিয়েছি কুরিয়ার করে তুই এই এই মানুষকে এই এই পরিমান পৌঁছে দিবি।সেই থেকে নিজেই ১০/২০/১৫ কেজি করে আনতে শুরু করি তবে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে না একটা বাড়তি হাতখরচ হতো তাই।সেখান থেকেই এখন আমি অর্গানিক ফুড নিয়ে কাজ করছি।আলহামদুলিল্লাহ এখনও সুনামের সাথে ব্যবসায় করছি।
👉 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা : আগামি ৫ বছর পরে ঢাকায় আমার ৫ টা আউটলেট হবে এবং ১০ বছর এ আমার সারা বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায় আমার আউটলেট থাকে ইনশাআল্লাহ।
👉 প্রিয় ফাউন্ডেশনে যুক্ত : ব্যবসায়ের হাতেখড়ি যেমন প্রিয় বড়ভাই তেমন ফাউন্ডেশনে যুক্তও বড়ভাই এর পরামর্শে। ১৬ তম ব্যাচ থেকে যুক্ত আছি আলহামদুলিল্লাহ।প্রিয় ফাউন্ডেশনে রেজিষ্ট্রেশন করতে সাহায্য করেছেন প্রিয় Ishita Jahan আপু এবং সবসময় সার্বিক সহযোগিতা করে পাশে আছেন প্রিয় Mainul Islam ভাইয়া।
সবার জন্য শুভকামনা।
👉 প্রিয় ফাউন্ডেশন নিয়ে কিছু কথাঃ
এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে, নিয়মিত সেশন চর্চা ক্লাস করে, আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
যা বিজনেসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা সেশনেই নতুন নতুন তথ্য যোগ করা হয়েছে,এবং তা বাস্তব ভিওিক।
ফাউন্ডেশনের কর্ণধারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
👉 নতুনদের উদ্দেশ্যেঃ 🙄
যারা সবেমাত্র ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই-
১. ধৈর্য ধরুন
২. সৎ থাকুন,
৩.মনোযোগ দিয়ে সেশন ক্লাস করুন,
৪.ফাউন্ডেশনের শপথ কে মনে ধারণ করুন,
৫.নিজর জরতা দূর করুন,
৬.সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করুন,
৭.সময়ের মূল্য দিন,
৮.সঞ্চয়ী হোন,
৯.পরিশ্রম করুন,
১০.লেগে থাকুন।
ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবে।
👉 আমার জীবনের গল্প সময় নিয়ে পড়ার জন্য সকল ভাই বোনদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি🌷
সকলের ব্যবসায়ীক সফলতা কামনা করছি এবং সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি 🤲
শুভকামনায় 👇
আমি- ফয়সাল আহমেদ
ব্যাচঃ ১৬
রেজিঃ৭৮৫২৬
জেলাঃবরিশাল
ওনার অফ- Sunam Food- সুনাম ফুড