সারমিনা রহমান আপুর বাস্তব জীবনের গল্প।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সকল প্রসংশা মহান আল্লাহ তালার
💢আমার জীবনের গল্প💢
আচ্ছালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ
🌺 নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সকল দায়িত্বশীল এবং আজীবন সদস্য প্রিয় ভাইয়া ও আপুরা আশাকরি সকলেই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন,আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
🌺 প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি।যিনি আমাকে এত সুন্দর পৃথিবীতে সৃষ্টি করে পাঠিয়েছেন। এবং আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ রেখেছেন আমিন। এর পরে লাখো কোটি দূরুদও সালাম আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি।
🌺তারপরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার মা - বাবার প্রতি যারা না হলে এত সুন্দর পৃথিবীতে আমার আশা হত না। মা বাবা আমার হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছেন এবং তাদের আদর, যন্ত ভালোবাসা দিয়ে আমাকে এত বড় করেছেন।তাদের পায়ের নিচে আমার জান্নাত। তাদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসা 💞💞
🌺এরপরে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার জীবনের একজন প্রিয় ব্যক্তি যিনি না থাকলে আমার এই পর্যন্ত আশা হত না হয়ত। তার জীবন এর থেকেও আমাকে অনেক ভালোবাসত আমার ভাই। তার ভালোবাসা সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা আমাকে এগিয়ে নিয়ে আসছে।ভাইয়ের কাছে চিরো ঋণী হয়ে থাকব।
🌺 আমি আর ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার প্রান প্রিয় ভালোবাসার গ্রুপ " নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের " প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ভালোবাসার আইকন সকলের নয়নের মণি প্রান প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। তিনি না থাকলে হয়ত আপনাদের মতো ভালো মানুষের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ হত না। প্রিয় স্যারের এই এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম এর দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে নিজেকে একজন ভালো মানুষ ও সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। প্রিয় স্যার আপনার প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইল।
গল্পের শুরুটা যেখানে 👇
মানুষ এর জীবন টা কোনো গল্প নয় এগুলো সব বাস্তব। তবুও ঘটনা গুলো অতীত হয়ে গেলেই গল্পের মতো শুনতে লাগে। জীবন টা খুব ছোট , কিন্তু এই ছোট জীবনের গল্প গুলো লিখে বা বলে কখনোই শেষ করা যায় না। ছোট জীবনের গল্প গুলো লিখতে গেলে হাজারো কলম ফুরিয়ে যাবে কিন্তু জীবনের গল্প কিছু টা অংশ হয়তো লেখা হবে। বাকিটা গল্প অসমাপ্তই রয়ে যায়।
🌺 এবার আসি আমার মূল গল্পেঃ দক্ষিণবঙ্গের পটুয়াখালী জেলায়, গলাচিপা থানা,৬ নং পূর্ব আটখালি গ্রামে মধ্যে বিত্ত পরিবার এ আমার জন্ম। ৪ ভাই বোনের ভিতরে আমি ছোট। ১৯৯৭ সালে আনুমানিক রাত ১১ টার সময়। তখন গ্রামে শীত পরছে।মা দুপুর থেকে ধান সিদ্ধ করে রাতে হাত পা ধুয়ে ঘরে প্রবেশ করে।হটাৎ করেই ব্যথা সুরু হয়।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ অশেষ রহমতে মা বাবার কোল জুরে ৪ নাম্বার সন্তান আমি কন্যা জন্ম নিলাম। সবাই অনেক খুশি কারন আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে আর ছোট বাবু ছিলো না আমিই ছিলাম সবার আদরের।
🌺 আমার ছোটো বেলাঃ
২ ভাই ২ বোনের ভিতরে আমি ছিলাম ছোটো। ছোট ছিলাম বলে সকলে আমাকে একটু বেশিই আদর করত।আমাকে নারী ছেড়া মেয়ে ডাকত।আর ছোটো বেলা থেকেই অনেক রোগা টাইপের ছিলাম। অনেক কান্না কাটি করতাম। আমদের গ্রামের এক ডক্টর বলত যে ভিটামিন এর অভাবে কান্না কাটি করি। অনেক ফকিরও দেখাইছে অবশ্য কোন লাভ হয় নি। আমার মেজো কাকি ছিলো সে আমাকে মেয়ের মত ভালোবাসত।এত কান্না কাটি করতাম মা রাতে ঘরের বাহিরে রেখে দরজা বন্ধ করে রাখত।তখন আমার ওই কাকি ও তার ছোট মেয়ে আমার চাচাও বোন নিয়ে যেতো।৭/৮ বছর পর্যন্ত এমন কান্না কাটি করছি। তখন আমি ক্লাস ৩য় শ্রেণী তে পড়ি হটাৎ একদিন আমার ডান বা অবশ হয়ে গিয়েছিলো।সবাই বলতে লাগল যে শেস বয়সে আল্লাহ আরেক টা মেয়ে দিলো তাও আবার এমন অসুস্থ। মা বাবা অনেক চিন্তায় পরে গেলো। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে কিছু দিন চিকিৎসা করানোর পরে সুস্থ হলাম।আমি এতটাই সুখনা ছিলাম যে আমাকে দেখে আমার বড় ভাবি ভয় পেয়েছিলো।আমি ছিলাম অনেক সান্ত সভাবের একটা মেয়ে।কেউ কিছু বললে আমি কিছু বলতে পারতাম না।সুদু কান্না করতাম।এই সমস্যা টা এখনও আছে। প্রতি উওর করতে পারিনা।
🌺 আমার লেখা পড়াঃ
আমার প্রথম শিক্ষক হলেন মা ও ২য় নাম্বার ভাই। মা আমাকে আদর্শ লিপি থেকে সুরু করে মোটামুটি হাতে খরি দিয়েছেন। রাতে সুয়ে সুয়ে আমাকে মুখে মুখে পড়াত।মা ৫ ম শ্রেণী প্রযন্ত লেখা পড়া করছেন। আমার মা কানে সুনতনা। আমার জন্মের আগে থেকেই এই সমস্যা ছিলো।অনেক ডক্টর দেখাইছে। সমাধান হয় নি। আমাদের ৪ ভাই বোনকে লেখা পড়া করার জন্য অনেক উতসাহ দিত। যত ক্ষন আমার ভাই বোনের পরত মা পাসে বসে থাকত। আমার মা খুব সচেতন ছিলো। আমার জন্মের ৩ মাস পরে আমার বড়ো বোনকে বিয়ে দিয়ে দেয়। বড়ো বোনের পরে আমার বড়ো ২ ভাই থাকে এবং আমি ছোট । আমার বয়স যখন ৬ বছর তখন আমাকে ২য় শ্রেণিতে ভর্তি করালো বাড়ির কাছের এক স্কুলে। ১ বছর সেখানে পরে আমাকে বাড়ি থেকে ৩/৪ কিলো দূরে একটা স্কুলে ভর্তি করায় আবার ২য় শ্রেনী তে। মোটামুটি আনন্দে কটছিলো দিন গুলো। এভাবে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পরলাম। এর পরে আমার মা কন্টিনিউ অসুস্থ হয়ে পরে। তখন ২ ভাই বোনের লেখা পড়ার খরচ ও মায়ের ডক্টর দেখানো বাবার কাছে অসম্ভব হয়ে পরে। বড় ভাইটা এর আগেই s.s.c পাশ করে আর পড়ে নি। বাবার সাথে কৃষি কাজ করে। একদিন বাবা ও বড় ভাই বলল যে আমাকে ও আমার আরেক ভাই কে পড়াবেনা একথা শুনে আমার ২য় ভাই বলল যে আমি বেঁচে থাকতে যতটুকু পারি দুই ভাই বোন পড়ে যাব। শুরু হলো আমার ভাইয়ে কষ্টের জীবন। ভাই তখন ক্লাস ৯ম শ্রেনী তে পড়ে। সে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করল ও সেই টাকা দিয়ে দুই ভাই বোনে পড়তাম। ভাই যখন ১০ম শ্রেণীতে পরে তখন ইস্কুলের পাশে এক বাড়িতে লজিম মাস্টার থাকত ও কোচিং করাত বাজারে একটা দোকান নিয়ে। এর ভিতরে বড়ো ভাইকে বিয়ে করাল মা অসুস্থ বলে। ভাবির মা ছিলো না। ৩/৪ বছর ভালোই চলছিলো। অনেক ঝামেলা করে তারা আলাদা হয়ে গেলো। বাবা মা আরো ভেঙ্গে পরল। তো কি আর করার ভাগ্যের নির্মাম পরিহাস ২য় ভাই অনেক কষ্ট করে পরিবারকে চালাত।
🌺 আমার বৈবাহিক জীবনঃ
আলহামদুলিল্লাহ শুরু হলো নতুন অধ্যায়ের সুচনা।সাহেবের সাথে আমার পরিচয় হয় ক্লাস ৭ ম শ্রেণী থেকে। সে আমাকে প্রাইভেট পরাত। কে জানত যে সাহেবের মনে আমার স্থান হয়ে আছে।২০০৯ সালের আরবি সবান মাসের ২ য় রোযার দিন আমাকে সন্ধায় প্রপোজ করে।তখন আমি এসবের তেমন কিছু জানতাম না।তো তারা সাথে সাথে হ্যা বলে দিলাম।এক পর্যায়ে ভাইয়াকে সব কিছু বলে ভাইয়া বলে যে দুজনে লেখাপড়া করতে থাকো বাকিটা পরে ভাবা যাবে
সাহেব ছিলো আমার ৩ ব্যাচ সিনিয়র। সব কিছু খুব সুন্দর ভাবে চলতে থাকে।২০১৩ সালে আমি s.s.c পরিক্ষা দেই। এবং পারিবারিক ভাবে সবার সম্মতি তে রেজাল্ট এর পরে কাবিন করে রাখে।এবং আমার সব দায় দাইত্ব সাহেব নিয়ে নেয়।ইন্টরে ভর্তি করালো। ১ বছর পরে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রোজ সোমবার সন্ধায় আল্লাহর কালাম করমা পরে বিয়ে সম্পূর্ণ করেন।এবং সেদিন আমাদের বাড়িতে সাহেবকে নেন।কয়েক মাস পরে আমি অসুস্থ হয়ে পরি।অনেক ব্যাথা করত।আমার মেরুদণ্ড তে সমস্যা ছিলো।সাহেব ভাড়া মটরগাড়ি চালাত তা দিয়ে আমাদের দুজনার লেখা পড়ার খরচ ও আমাকে ডক্টর দেখাত। মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ বরিশালে বিভাগিও প্রধান কে দেখালাম কোন সমাধান পেলাম না।২০১৫ সালের সেশের দিকে ঢাকা পিজি হাসপাতালে দেখাই সেখানে মেরুদণ্ড ক্ষয়
এর সমস্যা ধরা পরে।ঔষধ খেয়ে মোটামুটি সুস্থ হই। আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি আমার দেবর ও ননাসের সাথে ঢাকাতে থাকত।তার জন্য আমি আমার বাবার বাড়ি থাকতাম।h.s.c পরিক্ষা দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি রেজাল্ট ও ভালো ছিলো এত অসুস্থ থাকার পরেও।
🌺 স্বপ্ন দেখাঃ
২০১৫ সালে h.s.c পাশ করার পরে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম একজন আদর্শ নার্স হবো।সাহেব কে বলি।সে রাজি হয়ে যায়। আমার স্বপ্ন পূরন করার জন্য। ভর্তি হলাম একটা বেসরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটে। সেখানে ৩ মাস পড়ার পরে এক বড় আপু বলল যে এখানে পড়লে সরকারি চাকরি হবে না।তো সেখান থেকে স্যাররা আসতে দিবেনা।অনেক কষ্ট করে বুজিয়ে বলে বের হলাম।ভর্তি হলাম অন্য একটা নার্সিং কলেজে। এবং ডিগ্রি তে ভর্তি হয়ে রইলাম। আলহামদুলিল্লাহ সব কিছু ঠিক মত চলতে থাকে।নার্সিং সেমিস্টার পরিক্ষার আগে আবার কয়েক দিন অসুস্থ হয়ে পরি। বান্ধবীরা অনেক সেবা যন্ত করে।সেমিস্টার পরিক্ষা ও দিলাম।এর ১ মাস পরে একদিন বিকালে ভাই ফোন দিয়ে বলে যে তোর আর পড়া লাগবে না বাড়ি চলে আয়।আমি কারন জানতে চাইলাম ভাই বলল যে আমাকে নাকি ধার দেনা করে লেখা পড়া করাচ্ছে। শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পরল।আমার সব স্বপ্ন নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো। হোস্টেল এর বন্ধু বান্ধবী ও স্যার ম্যামদের অসুস্থর কথা বুজিয়ে বলে চলে এলাম এক বুক হতাশা নিয়ে বাড়িতে। কিছু দিন খুব চিন্তার ছিলাম। এর জন্য হার্টে সমস্যা হয়ে গিয়েছিলো।ব্যাথাটাও বেরে গিয়েছিলো অনেক।সারা রাত আমাকে নিয়ে সে বসে থাকত।সারাদিন গাড়ি চালিয়ে এসে।আস্তে আস্তে সব মেনে নিলাম।সাহেব তো যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন আমার জন্য। হয়ত ভাগ্যে ছিল না। ডিগ্রি ১ ম সেমিস্টার পরিক্ষা দিয়েছি এর মাজে রেজাল্ট ও হলো। আস্তে আস্তে সাহেব যে ধার দেনা করছে সব জানতে পারলাম। পরে বোন, দুলাভাই, ভাইয়ের পরামর্শে সাহেবের ধার দেনা দেওয়া শুরু করলাম। পিছনের এই সমস্যা সমাধান করার জন্য দুজনে ঢাকাতে আসি ২০১৮ সালে এসে নারায়ণগঞ্জ এ এক স্যারের মাধ্যমে একটা টেক্সটাইল কম্পানিতে জব নিলাম আমি আর সাহেব। এর তিন মাস পরে ডিগ্রি ২য় পরিক্ষার ডেট পরে আবার চলে যাই বাড়ি।পরিক্ষা দেই রেজাল্ট ও হয়। ১ বছর পরে এক মামানির পরামর্শ দেন যে বাবু নিলে হয়ত আমার এই ব্যথা থাকবে না।তার কথা অনুযায়ী বাবু কন্সেপ করলাম। ২ মাস পরে অনেক বড় একটা সমস্যা ধরা পরে জরায়ু টিউমার। ডক্টর বলে এ সমস্যা হলে কন্সেপ করে না আমার ভাগ্য ভালো যে করছে। তো বাবু টিকিয়ে রাখার জন্য ৫ টা ইনজেকশন করতে হবে। তো ১ মাস ডক্টর এর পরামর্শে চিকিৎসা নিলাম। আমার ভাই হোমিও কোর্স করছে।সেই স্যার কে সব খুলে বলল ভাইয়া।ডক্টর যেতে বলল গেলাম চিকিৎসা করলো এবং ৫ মাসেরের প্রেগ্ন্যাসিতে আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ কোন সমস্যা নেই। এর ভিতরে আবার ডিগ্রি ফাইনাল ইয়ারের ফরমফিলাপ শুরু হলো। তো অনেক চিন্তা ভাবনা করে ফরমফিলাপ করে ফেললাম।৩ বার আল্ট্রা করেছি ৩ বারেই বলছে সিজার লাগবে। তো আল্লাহ রহমতে হোমিও ডক্টর দেখিয়ে আর সিজার লাগেনি। ২০-০৮-২০১৯ সালে আমার রাজকন্যা তাবাসসুম সাঈদ তাইয়েবা গলাচিপা সরকারি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। মামনির মুখটা দেখে সব কষ্ট নিমিষেই ভুলে গিয়েছিলাম। মামনি হওয়ার ৭ দিন পরে ডিগ্রি পরিক্ষা শুরু হলো। মামনি ৮ দিন বুকের দুধ পায়নি।অনেক কষ্ট হয়েছে ওকে নিয়ে। ডিগ্রি কম্পিলিট করে ফেললাম আলহামদুলিল্লাহ। আর মেরুদণ্ড এর ব্যাথাটাও একটু কমছে।
🌺 প্রিয় মানুষের অসুস্থতা ও কষ্টের কথাঃ দিনটির কথা মনে হলে এখনও চোখ ভিজে যায়। ২০২১ সাল সারাদিন সাহেব গাড়ি চালিয়ে রাতে খাওয়া দাওয়া করে সুইছে ভালো মানুষ সকালে হটাৎ পেটে ব্যথা ও পা নরাতে পারেনা।আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই। মামনির বয়স ১ বছর ৪ মাস। ডক্টর দেখাতে নিয়ে গেলাম পরিক্ষা দিলো বলল যে তারাতাড়ি অপারেশন করাতে হবে।শুনে আমি শেস হয়ে গিয়েছি। এত টাকা কোথায় পাবো।পরিবারের সবার সাথে আলোচনা করে কিছু দিন পরে ঢাকাতে নিয়ে আসি।
🌺 কর্মজীবন শুরু ও সাহেব কে ডক্টর দেখানোঃ
২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জ এ আসি সাহেবকে পিজি হাসপাতালে পরিক্ষা করাই ও ইবনে সিনা হাসপাতালে MRI টেস্ট করাই রিপোর্ট এ আসে যে মেরুদণ্ড এর ভিতরের হাড় ও রগ একজাস্ট হয়ে আছে ও লিভার এ চর্বি জমছে। ডক্টর বলল ঔষধ খেলে ভালো হয়ে যাবে। সাহেবকে ডক্টর সম্পূর্ণ রেস্ট এ থাকতে বলল। অনেক টেন্শন এর পরে গেলাম। কি করে সাহেবকে চিকিৎসা করাবো আর কি করে মামনিকে নিয়ে সংসার চালাবো। ভাবতে লাগলাম অনেক ভাবনা চিন্তা করে দেখলাম যে আমাকে কিছু একটা করতে হবে। মামনিকে আমার শ্বাশুড়ির কাছে বাসায় রেখে আমি আবার নতুন করে সেই আগের অফিসে স্যারের সাথে যোগাযোগ করে জবটা নিলাম। কারন সংসার ও তার চিকিৎসা তো চালাতে হবে। স্যারের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই বিপদের সময়ে আমাকে জবটা দিয়ে সহযোগিতা করছেন। কয়েক মাস ঔষধ খেলো মোটামুটি সুস্থ হলো। এক ভাইয়ের পরামর্শে গাজীপুর এক হোমিও ডক্টর দেখিয়ে আল্লাহ রহমতে এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। সাহেবের অনেক স্বপ্ন যে একদিন বড়ো একজন ব্যাবসায়ি হবেন। এখন সে মোটামুটি ছোট করে একটা ব্যাবসা শুরু করছেন তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
🌺 চাকরির পাশাপাশি উদ্যেক্তা হয়ে ওঠার গল্পঃ
চাকরিতে জয়েন্ট করার ৩-৪ মাস পরে অনলাইনে এক ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়। সেই ভাই আমাকে উদ্যেক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন।ভাই আমাকে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর কথা বলেন।
এবং আমাকে ১৬ তম ব্যচে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দেন। মোটামুটি গুরুপ টা ঘুরে দেখলাম। ভালো লাগত স্যারের অনুপ্রেরণা মূলক সেশন পড়ে। কিন্তুু ব্যস্ততার কারণে ঠিক মত সময় দিতে পারিনা। ১ বছর পরে মোটামুটি ফ্রী হলাম আবার প্রিয় ভাই এর মাধ্যমে আমার জেলা পটুয়াখালী ম্যাসেন্জার গুরুপে ও বর্তমান অবস্থান নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাসেন্জারে যুক্ত করে দিলো। পটুয়াখালী জেলার এক দায়িত্বশীল আপু প্রিয় ফাউন্ডেশন সম্পর্কে বিস্তারিত আমাকে বুজিয়ে দিন।সব সময় সহযোগিতা করেন। আলহামদুলিল্লাহ সত ব্যস্ততার মাজেও প্রিয় ভাইয়া ও আপুদের পরামর্শে প্রতিদিন সেশন ক্লাস গুলো তে যুক্ত আছি এবং থাকার চেস্টা করছি।
স্যারের যে কথাগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে
*জীবনে বলার মতো একটা গল্প থাকা দরকার।
*স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন...... সাফল্য আসবেই।
* বৃষ্টি সবার জন্য পরে তবে ভিজে কেউ কেউ
🌺 স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন লেগে থাকুন সফলতা একদিন আসবেইঃ
প্রিয় স্যার আপনার এই অনুপ্রেরণা মূলক কথা আমি মনে ও বুকে ধারন করে প্রিয় প্লাটফর্ম এর এক ভাই এর সহোযোগিতায় চাকরির পাশাপাশি আমার স্বপ্নের প্রতিস্ঠান ""খাঁটি মার্কেট"" পেইজ দিয়ে ০ হাতে উদ্যেক্তা হওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছি।আলহামদুলিল্লাহ বেশ সারাও পাচ্ছি। প্রিয় স্যার আমার ও আমার সাহেবের এবং আমার উদ্যেগের জন্য দোয়া করবেন আমি যেনো একদিন আমার এই ব্যর্থতার ও সফলতা গল্প সারাসরি আপনার সাথে শেয়ার করতে পারি। প্রিয় এই প্লাটফর্ম এর সাথে যদি আরো আগে যুক্ত হতে পারতাম। তাহলে হয়তো নিজেকে ভালো পজিশন এ নিতে পারতাম ও একজন সফল উদ্যেক্তা হতে পারতাম।
🌿ফাউন্ডেশন থেকে আমার পাওয়াঃ
১। প্রিয় স্যারের মতো একজন ভালো ও মানবিক মানুষ পেয়েছি।
২। প্রিয় প্লাটফর্মে বিভিন্ন জেলা সহ নিজের জেলার কিছু প্রিয় ভাই ও বোন পেয়েছি যারা সবসময় পাশে থাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন।
৩। নিজেই নিজেকে প্রতিদিন তৈরি করতে পারছি, হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারছি।
৪। নতুন করে জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার শক্তি ও সাহস অর্জন করতে পারছি।
৫। প্লাটফর্মে স্যারের সেশন ও ১৬ টি স্কিলস অর্জন করার চেষ্টা করছি।
৬। নিজের পরিচিতি ও নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করতে পারছি।
৭। প্রাণপ্রিয় স্যারের জ্বালাময়ী একটা উক্তি "স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন, লেগে থাকুন, সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ"। স্যারের এই উক্তির উপরে চলার চেষ্টা করছি।
৮। মনের মধ্য থেকে সকল ধরনের নেগেটিভিটি দূর হয়ে যাচ্ছে এবং যতদিন বেঁচে থাকব কাউকে কোনদিন ঠকাবে না এটা নিজের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
৯। সর্বপরি একজন ভালো মানুষ হবার চেষ্টা করছি।
আর এইসব অসাধ্য সাধন করতে পারছি, প্রতিদিনে আমাদের যে সেশন চর্চা হয় সেখানে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে।
🌺 আমার স্বপ্নঃ
আমি আমার জীবন কে বদলাতে চাই, হতে চাই একজন ভাল মানুষ। দাড়াতে চাই অসহায় মানুষের পাশে, পুরন করতে চাই নিজের স্বপ্ন ও তৈরি করতে চাই কিছু মানুষের ভাগ্য। যাতে করে নিজের জীবনে নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরি করতে পারি।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারি।
🌺 আমার খাঁটি মার্কেট এর পন্য সমূহ হলোঃ-
👉সুন্দরবন এর প্রাকৃতিক চাকের শত ভাগ খাঁটি মধু।
👉 কালোজিরা ফুলের।
👉 গ্রাম্য চাকের খাঁটি মধু।
👉 লিচু ফুলের মধু।
👉 বড়াই ফুলের মধু
👉 সরিষা ফুলের মধু।
👉 খাঁটি গাওয়া ঘী।
👉 তেঁতুল কাঠের ঘানিতে ভাংগানো সরিষার তেল।
👉 হাতে তৈরি নারিকেল তেল।
👉 এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হেয়ার অয়েল তেল।
🌺 পআমি আমার জীবন কে বদলাতে চাই, হতে চাই একজন ভাল মানুষ। দাড়াতে চাই অসহায় মানুষের পাশে, পুরন করতে চাই নিজের স্বপ্ন ও তৈরি করতে চাই কিছু মানুষের ভাগ্য। যাতে করে নিজের জীবনে নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরি করতে পারি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারি।রিশেষেঃ
প্রিয় প্লাটফর্মের ভাইয়া ও আপুদের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইল। মহান আল্লাহ তালা সকলকে সফল উদ্যেক্তা হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমরা সবাই একে অপরের পাশাপাশি থেকে সাহায্য সহযোগিতা করে সফল উদ্যেক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিবেন ইংশহআল্লা।
সবাইকে আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।আপনার অতি মূল্যবান সময় নষ্ট করে অনেক ধর্য সহকারে আমার গল্পটি পড়ার জন্য। সকলের জন্য রইল আমার অবিরাম ভালোবাসা। আজ এ পর্যন্তই
💢 সারমিনা রহমান
💢 ব্যাচঃ ১৬
💢 রেজিষ্ট্রেশন নংঃ ৮০৪৬০
💢 নিজ জেলাঃ সাগর কন্যা পটুয়াখালী
💢 উপজেলাঃ গলাচিপা
💢 বর্তমান অবস্থানঃ নারায়ণগঞ্জ