আমার প্রতি মাসে সেল ৩০-৪০ হাজার টাকা, যার ৬০-৭০% ই এ ফাউন্ডেশনে সেল হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ
পরম করুনাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি
👳♀️আমার জীবনের গল্প👳♀️
আস্সালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ
সমস্ত প্রশংসা মহান রবের দরবারে। রাসূল (সা:) এর প্রতি দুরুদ পেশ করছি (সাঃ)।
আরো শুকরিয়া জানাই আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন ভালো রেখেছেন সেই জন্য।
💚😊পরম শ্রদ্ধা জানাই আমার প্রিয় মা-বাবার প্রতি তাদের ভালোবাসায় আমি এই দুনিয়াতে বড় হতে পেরেছি।
😊💜 কৃতজ্ঞতা জানাই বর্তমান লাখ লাখ তরুণ-তরুণীদের আইডল জনাব, Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি।
যিনি আমাদেরকে নিঃস্বার্থ ভাবে শিখিয়ে যাচ্ছেন কিভাবে একজন ভালো মানুষ এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়।
🌼আমি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া এবং ভালোবাসা রইল 💚💜💚😊
--------------------------------_-------------------------------------------
প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছুনা কিছু ঘটনা থাকে। জীবনে চলার পথে অনেক ঘটনার জন্ম দিতে হয় একজন মানুষকে আমরা যাকে জীবনের গল্প বলে থাকি আমার জীবনের গল্পও এর ব্যতিক্রম নয়।
মানুষের জীবনে সফলতার পেছনে কিন্তু জীবনে সফল হওয়ার গল্প থাকে।
আমার শিশুকাল কেঁটেছে জয়েন্ট ফ্যামেলিতে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায়, জীবনের সর্বপ্রথম শিক্ষালাভ করি বাড়ির মকতবে, প্রাথমিক পর্যায়ে ছোট সূরাগুলো আয়ত্ত করি। ভর্তি করানো হয় আমাকে গ্রামের একমাত্র প্রাইমারি স্কুলে। ছোট বেলায় ছিলাম একদম শান্ত শিষ্ট।
সত্যি কথা বলতে প্রাইমারি স্কুল থেকে মাদ্রাসায় উন্নত শিক্ষা লাভের উদ্যোশ্যে ভর্তি হই তখন পড়া লেখায় ফাঁকিবাজি শুরু করি, আবার ধীরে ধীরে পড়া লেখায় মনযোগ দিতে শুরু করি।
মাদ্রাসা ছুটির ফাঁকে মামা বাড়িতে ছুটে যেতাম।
থেকে আসতাম কিছু দিন খেয়ে আসতাম মামা বাড়ির রসের পিঠা।
🌸আসলে আমাদের পরিবার ছিলো যৌথ পরিবার, খাবারের সময় লাইন ধরে চাচাতো ভাই-বোনেরা সবাই খাবার নিতো। তাহলে বুখতে পারছেন পরিবারে সদস্য সংখ্যা অনেক ছিলো, তবে সবাই ছিলো হাসিখুশি।
😊এরই মধ্য দিয়ে আমি এসএসসি( দাখিল) পাশ করি মাদ্রাসা থেকে, ভর্তি হই এইচএসসি (আলিমে) এক চান্সে পাশ করে অনার্সে ভর্তি হই, দ্বিতীয় বর্ষে উঠার পর শুরু হয় আমার জীবনের কঠিন সময়😪 এতদিন বাবার টাকায় চলতাম কিন্তু আমার সেই প্রিয় বাবা যে নাকি ছিলেন আমার ছায়াদার বটবৃক্ষ প্রবাসে থাকা অবস্থায় হটাৎ কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়, চলে আসতে হয় দেশে। দেশে চিকিৎসা নেয় এরই মধ্যে তিনার কিডনি অপারেশন করে ডান পাশের কিডনি পেলে দিতে হয়।
এমন অবস্থায় অনেক অর্থের প্রয়োজন দেখা দেয়,বিক্রি করতে হয় সম্পত্তির বেশির ভাগ। কিছু দিন পর পরীক্ষায় ক্যান্সার দেখা দেয়।
৮মাস পর প্রিয় বাবা মারা যান😪😪😪😪😪😪
তারপর শুরু হয় আমার পরিবারের সদস্যদের কষ্টের দিন দেখা দেয় খাদ্যের সংকট এই সব চিন্তায় আমার মাও হয়ে যায় অসুস্থ। আমি পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে আমার কাঁধে ফ্যামেলী সামলানোর দায়িত্ব চলে যায়। আমি তো ছাত্র, নেই কোন কাজের অভিজ্ঞতা কে দিবে আমায় চাকুরী?! তো অনেক চেষ্টার পর পেয়ে যাই একটা চাকুরী কিন্তু চাকুরী করতে আমার ভালো লাগতোনা। আরেক জনের অধীন থাকতে হবে না হয়, ছেড়ে দেই সেই চাকুরী।
তবে শুরু থেকেই আমার ব্যবসা করার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। চিন্তা করতে করতে ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে সেল পোস্ট দেওয়া শুরু করি কিন্তু কোন বিক্রি হয়না।
আবার আমার দু-চোখে নেমে আশে অন্ধকার, মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে অনেক চিন্তা।
এবার পাই ৪/৫ টা ছাত্রকে পড়ানোর অফার, লুপে নেই সেই অফার। কিন্তু ঠিক মতো বেতন পাইনা এক মাসের বেতন অন্য মাসে, আবার শুরু হয় দুঃচিন্তা। চাকুরী নেই একটা দোকানে কোন রকম পেটে ভাতে চলছে দিন, হটাৎ শুরু হলো করোনা ভাইরাস বন্ধ হয়ে গেলো মার্কেট চলে আসতে হলো বাড়ি।
এরপর নতুন উদ্যমে ৬হাজার টাকা মূলধন নিয়ে শুরু করি অনলাইন ব্যবসা, করি কিছু কৌশল অবলম্বন এবার অর্ডার আসতে শুরু করে অল্প অল্প। তারপরও কিছুটা হতাশায় ছিলাম সঠিক গাইড লাইনের অভাবে।
ঠিক তখনই সামনে আসে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন নামে উদ্যোক্তা গ্রুপ। করে ফেলি জয়েন গ্রুপে, তারপর ঘুরে ঘুরে দেখি ও বুজার চেষ্টা করি গ্রুপকে। তখন গ্রুপের প্রতি আমার ভারোবাসা বেড়ে যায়, কারন এতদিন যে সাপোর্ট, আইডিয়া গুলোর অভাবে ভুগছিলাম ঠিক সেই সাপোর্ট ও আইডিয়া গুলুই গ্রুপে পেয়ে গেছি প্রিয় মেন্টরের সেশন পোষ্টের মাধ্যে। তারপর দেরি না করেই রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলি ১৪তম ব্যাচে। এবং টানা ৯০দিনের কোর্স সম্পূর্ণ করি এরই মধ্যমে অনেকের সাথেই পরিচিত হই। যুক্ত হই নিজ জেলার মেসেঞ্জারে সবার সাথে ধীরে ধীরে সম্পর্ক বৃদ্ধি হতে থাকে পাই ব্যাপক আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা।
বিশেষ করে এক ভাইয়ের কথা না বললেই নয় যিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ যোগিয়েছেন তিনি হলেন আমাদের জেলা এম্বাসেডর ও সম্মানিত মডারেটর Nasir Mirza ভাই। ভাইয়ের মূল্যবান পরামর্শ নিয়ে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করি ও ফাউন্ডেশনে লেগে থাকি।
এরপর থেকেই বর্তমানে মোটামুটি আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন আমার প্রতি মাসে সেল ৩০-৪০ হাজার টাকা, যার ৬০-৭০% ই এ ফাউন্ডেশনে সেল হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। আমার পণ্য সমূহ হচ্ছে- সকল প্রকার মধু, ঘি, মিক্স ড্রাই ফ্রুটস, কালোজিরার তৈল, কুমিল্লার রসমালাই, শাহী হালুয়া,ও মধুময় বাদাম এবং আলকুশির গুড়ো।
এই ব্যবসা করতে গিয়ে এলাকার অনেকের হাসি তামাশার পাত্র হতে হয়েছি, কিন্তু বর্তমানে তারাই আমার কাস্টমার আলহামদুলিল্লাহ।
এই যারা আমাকে বাধা দিয়েছেন তাদের সাথে আমি কিন্তু কখনো খারাপ আচরণ করিনি তাই তারা আমার ভক্ত হয়ে যায়।
এই অবদান প্লাটফর্মের, ফাউন্ডেশন আমাকে একজন ভালো মানুষ হতে শিখিয়েছেন। আর যদি বলি ফাউন্ডেশনের পরিবারের সদস্যরা আমার সাথে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন এটাই সত্য হবে। আর নিজ জেলার সবাই কমবেশি আমাকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছেন সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন এর মধ্যে একজন তিনি হচ্ছেন Mohammad Hanif ভাই সম্মানিত মডারেটর।
আরেক ভাই Mosiur Neamul এবং MD Mosleh Uddin ভাই এবং Hasna Yeasmin Zumur আপু।
সবশেষে বলতে চাই আমার বর্তমান লক্ষ্য হচ্ছে নিজের একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা এবং বেকার যুবকদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। সমগ্র বিশ্বে আমার উদ্যোগ পৌছিয়ে দেয়া। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৯৪৫
Date:- ৩০/০৫/২৩ইং
রিয়াজুর রহমান
লক্ষ্মীপুরের ছেলে
১৪তম ব্যাচ
রেজিষ্ট্রেশন নং-৬৬৫৮৬