কুয়েত প্রবাসী রিয়াদ হোসাইন এর জীবনের গল্প।
🌹বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম 🌹
🌹আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ 🥀
🥀আজকে আমার জীবনের গল্প লিখব
প্রথমে আমার পরিচয়
🌹আমি রিয়াদ হোসাইন
🏫জেলা কুমিল্লা �
উপজেলা আদর্শ সদর
🧑🤝🧑ব্যাচ নাম্বার 17
📖রেজিস্ট্রেশন নাম্বার 89394
🇰🇼বর্তমান অবস্থান কুয়েত
🙏শুরুতে আমি লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহর প্রতি যিনি এখনো আমাকে সুস্থ রেখেছেন
🥀কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি আমার মা-বাবার প্রতি যাদের উসিলায় আল্লাহ পাক আমাকে এই দুনিয়ার আলো দেখিয়েছেন। মা বাবা খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্ট করে আমাকে এত বড়ো করেছেন।আমার মা বাবাকে আল্লাহপাক নেক হায়াত দান করুন আমিন।
❤️আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি❤️ লাখো তরুণ-তরুণীর আইডল। লাখো মানুষের পথ প্রদর্শক। মানবিক ও ভালো মানুষ গড়ার কারিগর আমাদের প্রিয় মেন্টর 🥀🌹জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে 🌹🥀
🥀যিনি আমাদে দিয়েছেন নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন 🥀
🙋♂️💚আমার জীবনের গল্প 🌽🍍🇧🇩এক গরীব ঘরে আমার জন্ম 🇧🇩
👉আমরা ৭ভাই বোন আমি দ্বিতীয়
👩⚖️আমার বড় একটা বোন। 🚶♂️আমাদের ছোট বেলা কাটে খেয়ে না খেয়ে।
🌱যখন ৭টাকা কেজী আটা ৮টাকা কেজি চাউল তখন পতিদিন একবেলা খাওয়াটা চিলো সপ্নের মতো।
🍐কারণ আমার বাবার যখন ৯ বছর বয়স তখন আমার দাদা মারা যান। আর আমার দাদী এক রকম চিট আউটের মতো বাড়ী থেকে বাহির হয়ে যায়। তখন আমার বাবাকে ওনার চাচারা বছর চুক্তি কাজে দিয়ে দেয় ইন্ডিয়ায় পেটে বাতে
🤷♂️সেখান থেকে বাড়ীতে আসে ১৭বছর বয়সে।আসার পরে বলে বাড়ীর মাঝের অংশ তুমার সেখান থেকেও ওনাদের দখলে অরধেক। বাবার চাচী অসুস্থ হওয়াতে ওনাকে বিয়ে করিয়ে দেয় সংসারে কাজের জন্য। কিছুদিন পরে খালি হাতে আলাদা করে দেয়।
👨👨👧 তার পর বাবার কষ্টের সংসার জীবনে আমাদের আগমন।
🍉আমার যখন ৯বছর বয়স তখন বাবা গ্রামের হাটে তরকারি ব্যাবসা করেন একা একা তেমন লাভ হতোনা। তখন আমাকে বাবার সাথে নিয়ে যেতো আমার জীবনেও পরিশ্রম করা শুরু। বাবার সাথে বিভিন্ন হাটে সাইকেলে করে হেটে নিয়ে যেতাম আর রাএ ১০টায় বাড়িতে আসতাম তার পরে একটু পরতে বসতাম অনেক ক্লান্ত শরীর নিয়ে পড়তে ভালো লাগতোনা।কতো সময় বাকীতে ১৪টাকা দিয়ে ২কেজী আটা কিনে নিয়ে আসতাম আবার হাটের দিন টাকা দিতাম ।সবাই মিলে পানি দিয়ে জালিয়ে খেতাম। আমার বয়স যখন ১২ বছর তখন আমি শহরের কিছু এলাকায় সবজি নিয়ে হেঁটে হেটে বিক্রি করতাম সপ্তা ৩ দিন বাকী ৪দিন হাফ ইস্কুল করতাম তার পরে বাজারে যেতাম।
🌹🥀তখন থেকে ৩ বেলা কোনো রকম খেতে পারি। এইরকম অনেক কষ্ট করতে করতে। এস এস সি পযন্ত লেখা পরা করি। তার পর আর লেখা পড়া করতে পারিনি।২০০৬সালে তখন আমাদের ১০হাজার টাকা জমা হয়। আমি পাসপোর্ট করি বিদেশে যাবো বলে কিন্তু টাকা পাবো কোথাই কতো রিলেটিভ বলতো আমরা দিবো। সময় যখন হয় তখন আর কেউ দিবেনা।
👫২০০৮সালে আমাদের জমা আছে ৪০হাজার সেটাও বাবার চাচাতো ভাইয়ের কাছে ওনিও দিতে পারবেনা ওনাকে আরো ৪০ হাজার টাকা দিলে ৪শতক পুকুরের জয়গা দিবে পরে দাদার জমি দেয় ১০শতক বাকি গুলি আর দেয়নি এই জমিটা বিক্রি করি ১৫০০০০টাকা এই টাকা থেকে পুকুরের বাকী ৪০হাজার দেই আর বড় বোন বিয়ে দেই ৩০হাজার টাকা।
🌎২০০৮সালে আমার ভিসা আসে ভিসার দাম দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা। আমাদের জমি বিক্রি আর জমানো টাকা আছে ১লক্ষ টাকা কেও আর দিতে রাজি হয়না। যদি মাইর যায় কোথায় থেকে দিবো।
তখন কোনো উপাই না পেয়ে আমাকে বিয়ে দেয় ১লক্ষ টাকার বিনিময়ে। ৩০হাজার টাকা সুদের উপরে নিয়ে বিয়ের ১৪ দিন পরে চলে যাই দুবাই সেখানে গিয়ে৬৫০ দিরহাম বাংলা টাকায় ১৩হাজার টাকা করে ৩০মাস থাকি তার পরে নতুন বউয়ের টানে ছুটিতে আসি ২মাস ১৭ দিন পরে আবার চলে যাই ধুবাই। চবার কাজে জয়েন্ট করলাম ২০১১ সালে দুবাইয়ের সরকার সুযোগ করে দেন যেসব শ্রমিক মিনিমাম দুই বছর একটা কোম্পানিতে চাকরি রত আছেন তাদেরকে যে কোন কোম্পানিতে ভালো বেতনে ভিসা টান্সফার করার সুযোগ দিয়েছেন বিনা খরচে এবং 28 দিনের মধ্যে আমি এই সুযোগ নেওয়ার জন্য একটা কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দেই। ইন্টারভিউতে সিলেক্ট হয়ে আমার ১৫০০দিরহাম বেসিক বাংলা প্রায় 30 হাজার টাকার মতো অফার লেটার পাওয়ার পর আমি পুরনো কোম্পানি থেকে রিজাইন দেই। ভিসা ক্যানসেলেশন পেপার নিয়ে নতুন কম্পানিতে জমা দেই ওনারা আমাকে বলেছিল এক সপ্তাহ সময় লাগবে 28 দিনের প্রয়োজন নাই। তখন আমি পুরানো কোম্পানির রুম ছেড়ে দিয়ে নতুন কোম্পানির রুমে চলে যাই।ওই কোম্পানির রুমে গিয়ে দেখি আমাদের কোম্পানির দশজন আমরা একসাথে।দুই দিন পরে ডিউটি দেয় কিনতু দুঃখের বিষয় 28 দিন দেখতে দেখতে প্রায় পার হওয়ার পথে তখন নতুন কোম্পানিতে আমরা তিনজনের ওয়ার্ক পারমিট হয়েছে যখন ভিসা ডেলিভারি হওয়ার সময় হয়েছে তখন নতুন কোম্পানির লাইসেন্স এর নামে একটি মামলা হয় যার জন্য লাইসেন্স ব্লক হয়ে যায়। এই লাইসেন্স এর সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে দীর্ঘ ৫মাস মাস। যখন 28 দিন এক মাস পার হয়ে যায় কোম্পানিকে বলেছিলাম যদি বিসা না লাগে আমার পাসপোর্ট টা যেন কোনো লাল কালির দাগ না লাগে আমাকে টিকিট করে দেশে পাঠিয়ে দাও ঠিক হলে বিসা ডেলিভারি হলে আমাকে পাঠিয়ে দিবেন আমি চলে আসবো।তখন নতুন কোম্পানির মালিক বলিলেন আমি জরিমানা দিয়ে তোমাদের ভিসা ডেলিভারি করাবো অসুবিধা নাই অপেক্ষা করুন।এইদিকে পুরনো কোম্পানি থেকে ফোন দিয়ে বলেন আমাদেরকে ভিসা কপি দিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে যাও। আমারা রিকুয়েষ্ট করে আরো ১মাসের সময় নিয়েছি। দের মাস পরে ডিউটি বন্ধ হয়ে যায় আকামার কারণে রুমে বসে আছি আরো ২মাস খাবারের টাকা চিলোনা ২দিনে একবার খাইতাম কতো কষ্ট করেছি খাবারের। পুরাতন কোম্পানি থেকে আবার ফোন দিয়ছে আমি আবারো বলেছি আর ১৫ দিন সময় দিন আমরা অবৈধ হবোনা। পরে আরো ১৫ দিন সময় নিয়েছি কিনতু নতুন কোম্পানি বলেছেন১৫ দিনে হয়ে যাবে। ১৫দিন জখন শেষ তখন নতুন কোম্পানি বলে আর ৮দিন লাগবে। ওই দিকে পুরাতন কোম্পানি পাসপোর্ট এর নামে ইনহাস কেইচ দিয়ে দেয় আমরা জানিনা। ৮দিন পরে বিসা ডেলিভারি করতে গিয়ে দেখি হয়না। তখন পুরাতন কোম্পানিতে গিয়ে দেখি।ওনারা বলে ৪০হাজার টাকা দিলে পাসপোর্ট এনে দিবে নতুন কোম্পানি থেকে ৪০হাজার টাকা এডভান্স নিয়ে আসি। তারপর ৩ দিন পরে পুরাতন কোম্পানি জানায় দেশে চলে যেতে হবে আর না হয় জেল খাঠতে হবে। তখন নতুন কোম্পানি বলে দেশে গেলে বিসা ডেলিভারি করে নিয়ে আসবে ২০১২সালে এবং দেশে চলে আসি ১মাসের জন্য কিনতু বাংলাদেশ সরকার রাশিয়াকে ভোট দেওয়ার কারনে দুবাইয়ের বিসা বন্ধ হয়ে যায়। আর যাওয়া হলোনা তখন দেশে ইলেকট্রিক কাজ করি ২০০টাকা পতিদিন তখন দেখি পকেট খরছও হয়না। পারে ১বছর ভাড়ায় c.n.g.চালাই ২০১৩ সালে বড় চেলে আসে দুনিয়াতে তার পর ঢাকা রামপুরা বনশ্রীতে আমার এক চাচার বড়একটি থাই গ্লাস এবং এস এস এর কারখানা এবং শোরুম চালানোর দায়িত্ব নেই যেখানে পতি মাসে ২লাখ টাকা খরচ আমার জন্য অনেক বড় কষ্ট কর চিলো তবুও দিনে রাএে পরিশ্রম করার পরে ভালো কিছু বিল্ডিং এর কাজ পাই লছ কাটিয়ে উঠতে পারি কিনতু চাচা কোনো সময় দিতোনা যে কোনো কারণে আমি রাগ করে ছেড়ে দিয়ে চলে আসি কুয়েতে এখানে আশার পরেও আমি ওই কারখানাটাকে অনেক মিস করি কারণ আমি একজন ব্যাবসা পাগল মানুষ টাকার জন্য কোনো ব্যাবসা করতে পারিনি। এখন নিজের বলার মতো একটা গল্প পাউন্ডেশন থেকে শিখে ইনশাআল্লাহ একদিন বড় একজন ব্যাবসায়ী হওয়ার আশা হতে পারি বা না পারি একজন ভালো মানুষ হবো ইনশাআল্লাহ মানবিক কাজে অংশ গ্রহন করতে পরবো।
🙏সবাইকে ধন্যবাদ আমার জীবনের গল্প পরার জন্য ভুলগুলো খমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন🙏