একজন মায়াবতীর গল্প
""গল্পে গল্পে সেল পোস্ট""
একজন মায়াবতীর গল্প,,,,,
ভোর ৬ টা চোখ থেকে যেনো ঘুম সরতেই চায় না ।
তাও যে উঠতে হবে মোবাইলের এলার্ম জানান দিচ্ছে উঠার সময় হয়ে গেছে বাচ্চাদের স্কুলের জন্য রেডী করতে হবে। নাস্তা বানাতে হবে ,
সকালের ঘুমটা তেই যেনো সকল সুখ কিছুতেই আরাম ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করছে না । তাও চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসলাম ।
আমার উঠতে যতোটা কষ্ট হয় বাচ্চাদের ডাকতেও ঠিক ততোটাই কষ্ট হয় । কিন্তু কি আর করার পড়াশোনার ব্যাপারে নো কম্প্রোমাইজ । তাই ডেকে তুলতেই হয় ।
আমিও ফ্রেশ হয়ে লেগে গেলাম জীবন যুদ্ধে ,,মেয়েদের চিরচেনা সেই হেসেল যেখানে ইচ্ছে না থাকলেও হাজারো মেয়ের বেশির ভাগ সময় কাটে সেখানেই ।
তড়িঘড়ি করে কিছু একটা বানিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ানো শেষ হলো কোনো রকম । তারপর স্কুলের জন্য টিফিন প্যাক করে নিয়ে বের হয়ে গেলাম । দিনের প্রথম কার্যক্রম শুরু,,,,
বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে বাসায় ফিরার পথে প্রয়োজনীয় বাজার ও বাসায় কার কি লাগবে সব খেয়াল করে নিয়ে বাসায় আসতে হয় রোজ ।
বাসায় এসে আবার রান্না ঘরে বড়োদের নাস্তা বানানো থেকে শুরু করে কার কি মেডিসিন নেয়া আছে সেই দিকেও খেয়াল করতে হয় ।
ছেলে বুড়ো সবাইর নাস্তা শেষ হলে নিজেও খেয়ে নিলাম এক ফাঁকে ।
ঘর গুছানো থেকে শুরু করে প্রতিটা কর্নার নিজের হাতে পরিষ্কার করা । ছোটো বড়ো সকলের ছোটো ছোটো আবদার তো থাকেই এর মধ্যেই আবার বাচ্চাদের বাসায় নিয়ে আসার সময় হয়ে যায় । ছুটে যেতে হয় আবার স্কুলে ।
এবার তো অন্য বাচ্চার ডে শিফটের স্কুল শুরু । একজনকে বাসায় রেখে আরেক জনকে নিয়ে ছুটতে হয় । এর মধ্যে দুপুরের রান্নার জন্য কি রেডী করবে কার কি পছন্দ সেটা মাথায় রেখে সে অনুযায়ী সব বলে দিয়ে যেতে হয় হেলপিং হ্যান্ড কে ।
কারণ এখন স্কুল টা বেশ দূরে তাই দিয়ে আবার বাসায় আসা সম্ভব না । এর জন্য পুরা সময় টা ওখানেই বসে থাকতে হয় । যদিও বসে থাকা টা অনেক কষ্টের কিন্তু এই সময় টা আমি আমার নিজের উদ্যোগ কে সময় দেই কারণ আমার উদ্যোগ ও আমার আরেক টা সন্তান । সে সময় টুকুতে আমি বিভিন্ন সেল পোস্ট , ভিডিও এডিটিং , পেইজে পোষ্ট , কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি কাজ করে ফেলি ।
এইভাবেই ৩/৪ ঘণ্টা সময় পার করি ।
অবশেষে বাসায় ফিরে আর ইচ্ছে করে না কিছুই করতে তাও করতেই হবে কারণ আমি না করলে করবে কে !!
সবাই যে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে আমি রান্না করলেই সবাই দুপুরের খাবার খাবে । শুরু হলো রান্না,,,, এর ফাঁকে ফাঁকে প্রিয়জন ,আত্মীয় স্বজনদের সাথে ফোনালাপ শেষ করি । রান্না খাওয়া সব শেষ হলো দিন ও প্রায় শেষ । দিন শেষে নিজের যত্ন কিছুই হয় না ।
কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে সন্ধার পর আবারও বাচ্চাদের পড়াতে
বসতে হয় ।
নয়টা পর্যন্ত পড়ানো শেষ করে এবার আমার আরেকটা পরিবার কে সময় দেয়ার সময় হয়েছে ।
আমার আরেকটা পরিবার নিজের বলার মতো একটা গল্প যেখানে আমার আত্মার ভাই বোন গুলার সাথে কথা হয় প্রিয় মেন্টর এর দেয়া সেশন থেকে নিজের ব্যাবসায়িক স্কিলস গুলা আরেকটু ঝালাই করে নেয়া হয়, সেই সাথে কিভাবে পজেটিভ থেকে ভালো মানুষ হওয়া যায় তা শিক্ষা পাই । তাই সব শেষ করে সেখানে জয়েন করতেই হয় ।
সেশন শেষ করে, রাতের খাবারের আয়োজন চলছে । সবাইকে বিছানা করে দেয়া, বড়োদের মেডিসিন দেয়া , সব শেষ করে এবার রাতের আরাম নেয়ার সময় হয়েছে ,,,,,
বিছানায় যাওয়ার আগে একটু নিজেকে যত্ন নেয়ার চেষ্টা,,, যতো যাই করি নিজের চুলের সাথে আমি কোনো কম্প্রোমাইজ করি না ।
সারাদিন সব কাজ শেষ করে প্রতিদিন রাতে আমি আমার চুলে মায়াবতী অর্গানিক হেয়ার অয়েল দিতে ভুল করি না । ৪০+ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ১০০% অর্গানিক এই তেল আমার চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে । আলহামদুলিল্লাহ্
মায়াবতী অর্গানিক হেয়ার অয়েল চুলের যত্নে একাই একশো এইটা থাকলে আমার আর কিছুই লাগে না ।
শক্ত হাতে নিজের সংসার , সন্তান , উদ্যোগ সামলানোর সাথে সাথে চুলের গোড়া শক্ত রাখতে আমি ভুলি না ।
এই ভাবেই চলে হাজারো উদ্যোক্তা নারীর দৈনন্দিন জীবন । এই ছিলো একজন মায়াবতীর গল্প,,,,
যখন আপনার চুল থাকবে মজবুত তখন আপনিও ভিতর থেকে থাকবেন মজবুত ।
💐🌿 সৈয়দা তানিয়া
💐🌿 খিলগাঁও থানা অ্যাম্বাসেডর
💐🌿 লাইভ সাপোর্ট টিম মেম্বার
💐🌿 প্রমোশন টিম মেম্বার
💐🌿 ব্যাচ : ১৬ তম, রেজি: ৭৯৯৫৮
💐🌿 জেলা : কুমিল্লা
💐🌿 বর্তমান অবস্থান: খিলগাঁও, ঢাকা।