স্বপ্ন কে ধারণ করে প্রবল ইচ্ছে শক্তি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া আমি এক নারী উদ্যোক্ত রিপা রায়ের জীবনের গল্প।
🍀 আমার জীবনের গল্প। 🍀
প্রথমে সবাই কে নমস্কার 🙏🙏
জানাই পরম করুনাময় এর কাছে অসংখ্য ধন্যবাদ আদায় করছি যিনি আমাকে সুস্থ ও সবল রেখেছেন।
✍️গল্পের শিরোনাম:
স্বপ্ন কে ধারণ করে প্রবল ইচ্ছে শক্তি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া আমি এক নারী উদ্যোক্ত।
✍️আমার পরিচয়:
আমি রিপা রায়
নিজ এলাকা: রংপুর সদর বর্তমান অবস্থান: সোনারগাঁও নারায়নগঞ্জে
স্বামীর চাকুরীর সুবাদে এখানে রয়েছি বিগত ১৫ বছর ধরে।
ব্যাচ ১৯
রেজিষ্ট্রেশন নং ১০৭৬৭৬
পেইজ @জামদানী জন্মলগ্ন
✍️আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প:
প্রথমে আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করতে চাই আমার প্রিয় বাবাকে।
আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন ছোট বেলা থেকেই আমি দেখেছি বাবাকে ব্যবসা করতে।
কিন্তু আমি কখনো ভাবিনি আমি নিজেও একদিন এই কাজটাকে এতো বেশি ভালো বেসে এগিয়ে যাওয়াটাই হবে আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ।
হয়তোবা আমার জীবনে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে শক্তি টা ছিলো সেই ছোট্ট বেলা থেকেই, কিন্তু সেটা আমার অগোচরেই রয়ে গেছে কখনো বুঝতে পারিনি।
আমি আসলে কি হতে চাই? কি আমার ভালো লাগে? অবশেষে বিগত কয়েক বছর হলো আমি জেনেছি আমার মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা প্রবল ইচ্ছে শক্তির আরেক নাম হলো উদ্যোক্তা।
যা আমাকে কঠোর পরিশ্রমী হতে শিখিয়েছে।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা বলি আমি আমার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে।
দুই ভাই এক বোন আমার পরিবার। আমার পুরো গোষ্ঠী তে আমি একমাত্র মেয়ে। তাই কি পরিমান আদরে যে আমি বড় হয়েছি। কখনো কোনো দিন এক গ্লাস পানি ও নিজ হাতে নিয়ে খাইনি।
কেউ একজন আমার হাতে পানি দিয়ে গেছে তারপর আমি খেয়েছি। বাড়িতে যাতে কোনো কষ্ট না হয় সেজন্য একজন না দু তিনটে কাজের মানুষ ছিলো।
আমি ছোট বেলা থেকে খুব মিশুক আর হাসি খুশি স্বভাবের মেয়ে।
খুব সহজে সবাই কে আপন করে নেয়াটা এটা আমার বিশেষ গুন বলা যেতে পারে।
আর বিপরীত পাশে আমাকে ও সবাই খুব দ্রুত মানুষ ভালোবেসে ফেলে।
আমার বাড়িতে দুজন কাজের মানুষ ছিলো। তাদের বয়স ও সেম আমার মতো তখন আমি ক্লাস সপ্তম অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এমন হবে।
কিন্তু আমি ওদের কে একসাথে নিয়ে খেতাম খেলা করতাম। কেউ কখনো কোনো দিন বুঝতেই পারতোনা ওরা আমাদের বাসায় থাকে।
তবে শুধু প্রতি সন্ধ্যা বেলায় ওদের সাথে রাগ করতাম কেনো জানেন?
কারন প্রতি সন্ধ্যায় আমার মা আমাকে এক গ্লাস দুধ খাওয়ার জন্য পাঠিয়ে দিতো ওদের কারোনা কারো হাতে।
তখন ওদের বলতাম কোনো কথা হবে না পুরো গ্লাসের দুই টা যে নিয়ে আসতে তাকেই খাইয়ে দিয়ে বলতাম গিয়ে বলতে আমার মায়ের কাছে আমি দুধ খেয়েছি।
ওরা ও প্রতি সন্ধ্যায় আমার কথা মতো দুধ খেয়ে নিতো।
একদিন মা ভাবছে কি ব্যাপার রিপার তো দুধ খাওয়া নিয়ে হরেক রকম বাহানা।
ইদানীং কোনো বাহানা ছাড়াই দুধ খেয়ে নিচ্ছে। মায়ের মনে সন্দেহ তাই মা দুধ পাঠিয়ে দিয়ে পিছনে এসে দাড়িয়ে আছে।
আর আমি কাজের মেয়ে কে পুরো দুধ টা খাওয়াচ্ছি।
এটা দেখে মা তো সেই রাগ আমার উপর সেদিন দু একটা বকা ও খেয়েছি।
ছোট বেলার অনেক মজার স্মৃতি আছে আমার।
আমি মাকে মিথ্যে করে বললাম ওর নাকি আজকে অনেক দুধ খেতে মন চেয়েছে সেজন্য। অনেক দিন ও দুধ খাইনি তো তাই আমার গ্লাস টা ওকে দিয়েছি।
আমার মা বললো কে তোমাকে বলেছে ও অনেক দিন দুধ খায়নি?
আমি তো প্রতিদিন রাতে ওদের দুধ দেই খাওয়ার জন্য।
এই বলেই লাঠি নিয়ে আমার পিছনে দৌড়। আমি কি আর আছি আরেক রুমে দরজা লক করে বসে আছি।
আর অপেক্ষায় প্রহর গুনছি কখন আমার বাবা আসবে।
বাবা আসা মানেই মা আর আমাকে বকা দিতে পারবেনা।
সারাটা সময় মাতিয়ে রাখতাম পুরো বাড়ি। শুধু বাড়ি নয় পুড়ো পাড়াটাও চলতো আমার কথায়।
পাড়ার বুড়ো বুড়ি ছেলে মেয়ে সবাই কে এক করে মাতিয়ে রাখতাম আমি ছিলাম পাড়ার প্রান।
যখন খিদে লাগতো ধনী হোক গরীব হোক যার বাসায় সামনে পেতাম গিয়ে বলতাম আমার খিদে পেয়েছে।
যার ঘরে যা থাকতো তাই খেতাম। নিজের বাসায় গিয়ে খেয়ে আসা যেতো।
কিন্তু সেটাতো অনেক সময় লাগবে বাসায় যাবো তারপর খাবো তাই সামনে যার বাসা পেতাম সেখানেই খেয়ে নিতাম।
আর অনেকেই আমাকে আদর করে খাইয়ে ও দিতো হাত ধোয়ার ঝামেলাও থাকতো না।
খাওয়া শেষ মানে আবার খেলা হৈচৈ শুরু।আমার পুরো পাড়া বাড়ি মাতিয়ে রাখা আমি।
বাবা সব সময় বলতো রিপা বাসায় আছে কি না জানা যায় জিজ্ঞেস করা লাগেনা যখন বাসায় ফুল শব্দে ক্যাসেট বাজে তারমানে রিপা বাসায় আছে।
ক্যাসেট বন্ধ তারমানে বাসায় নেই। এমনি অনেক মজার মজার গল্প আছে আমার ছোট বেলায়। তবে অবাক হয়েছি আমি কখন যানেন?
আমি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি তখন আমি বাসার ছাদ ঢালাই কেমন হয়েছে এটা দেখার জন্য ছাদে যাই।
কিন্তু না বুঝেই ছাদের কর্নারে গিয়ে কর্নার ভেঙে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাই।
কপাল গুনে আমি বেঁচে যাই ঠিকই কিন্তু প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছি। যেটা বাসায় কাউকে বলিনি মা রাগ করবে বকা দিবে এই ভেবে।
আমি পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছি তারপর ও তরিঘরি করে দাড়িয়ে মিথ্যে বললাম আমি ব্যাথা পাইনি।
রাত দশটা আমি চুপচাপ তারাতাড়ি খাওয়া করে নিজের রুমে এসে শুয়ে আছি। পাশের রুমে সবাই টিভি দেখছে আমার বড় দাদা বাসায় এসে জিজ্ঞেস করলো রিপা নাকি পড়ে গিয়েছে?
মা বললো হু।
ব্যাথা পায়নি দাদা বললো কই ও?
মা বললো ঘুমোচ্ছে।
দাদা বলে কি এতো তারাতাড়ি। আমার ঘরে এসে লাইট টা জালিয়ে বললো কিরে ব্যাথা পাস নি? আমি বললাম না।
দাদা বললো তাহলে শুয়ে আছিস কেনো? এই বলে দাদা যেই হাত দিলো তেমনি আর লুকিয়ে রাখতে পারিনি।
কি পরিমান ব্যাথা সহ্য করে চুপ করে ছিলাম। নিমিষেই ব্যাথা যেনো ক্রমাগত বাড়িতেই লাগলো।
এক পর্যায়ে আমি অগান হয়ে পড়ি আমাকে নিয়ে দাদা রংপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
পরের দিন আমি দেখি পুরো পাড়ার লোক আমার কেবিনে।
সবাই কিছু না কিছু নিয়ে এসেছে আমাকে দেখতে।
এসেছিলো একজন রিকশা চালক তার কামাই করা টাকা দিয়ে দুটো কলা নিয়ে আমাকে দেখতে এসেছে অদ্ভুত ভালোবাসা সেদিন আমি অনুভব করেছি।
এখন আসি আমার উদ্যোক্তা জীবনে যেই মেয়েটা কখনো নিজ হাতে এক গ্লাস পানি নিয়ে খায়নি সেই মেয়েটা আজ কি পরিমান পরিশ্রমী এটা ভাবলে আমার মা অবাক হয়ে যায়।
বলে একি আমার সেই রিপা। সংসার ছেলে, স্কুলের টিচারি, করে সকল ধরনের ট্রেনিং এ অংশ গ্রহণ করে নিজে পন্যের মার্কেট যাচাই করে, সারাদিনের সকল কাজ শেষ করে রাতে ১২ টা পর্যন্ত কাজ করা এই আমি একজন নারী উদ্যোক্তা তারপর ও ক্লান্তি নেই যেনো।
একটা অদৃশ্য শক্তি আমাকে প্রতিনিয়ত শক্তি যোগিয়ে আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আর এই শক্তিটার নাম হলো ইচ্ছে শক্তি।
নিজের একটা নাম নিজের একটা পরিচয় এটা যে কতোটা শান্তির সত্যি সেটা আমি প্রতিনিয়ত নিজের মাঝে খুজি এর এটার জন্য আমার যুদ্ধ আর আমি আশা করি আমি যুদ্ধে জয়ী হবোই।
✍️নিজের বলার মতো ফাউন্ডেশন আমাকে যা দিয়েছে ও পরিবর্তন করেছে ও যা শিখিয়েছে:
এই ফাউন্ডেশন থেকে আমি যা পেয়েছি সবার আগে বলতে হয় পেয়েছি এমন এক অভিভাবক যা আমাদের চলার পথকে অনেক টা সহজ সরল ও সুন্দর করেছে।
এমন একজন মেন্টর Iqbal Bahar Zahid স্যারকে পেয়েছি। যা আমি স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি আশা করি স্যারের দেখানো পথে চলে সফল উদ্যোক্তা হয়ে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে পারবো।
✍️পরিবর্তন হয়েছে আমার চিন্তা ভাবনা স্যারের প্রতিটি সেশন চর্চা ক্লাস প্রতিনিয়ত শিখিয়েছে অনেক কিছু। সেজন্য স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ৯০ দিনের সেশন চর্চায় যুক্ত হতে পেরে আমি ধন্য।
✍️যা শিখেছি আমি এই ফাউন্ডেশন থেকে :
তাহলো একজন ভালো মানুষ হয়ে একে অপরের পাশে থেকে নিজের উদ্যোগ পাশাপাশি সকলে একসাথে এগিয়ে গিয়ে দারুণ এক নেটওয়ার্কিং তৈরি করা। আর সকলের প্রতি ভালো বাসার মনোভাব তৈরি করে একসাথে কাজ করা।
✍️আমার দুঃখ :
একটা মেয়ে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে দুই জন পুরুষ কে। একজন তার বাবা আরেকজন তার স্বামী।
আমিও আমার বাবাকে খুব ভালো বাসাতাম। আমি আজও ভুলতে পারিনা সেই দিনটির কথা বাবার আদর সোহাগ ভালোবাসা সব কিছু থেকে আমি বঞ্চিত।
আমি যদি কখনো কান্না করতাম বাবা আমার কান্না সহ্য করতে পারতোনা। বাবা জানতো আমি আইসক্রিম খুব পছন্দের তাই আমি কান্না করলেই বাবা আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে আসতো। আমাকে ঘুস দিতো যেনো আমার কান্না থেমে যায়।
এখন ও আমি কাদি কিন্তু আমার সেই ঘুসটা আর কেউ আমায় দেয়না আদর করে। বুকে জড়িয়ে ধরে বলেনা মা কাদিস না তুমি কাদলে আমার কষ্ট হয়।
মাঝে মাঝে যখন আমি কাদি তখন খুব বেশি ইচ্ছে হয় এমন আদর পেতে। কতোটা সময় পার হয়ে গেছে বাবা তোমায় দেখিনা তোমার আদর পাইনা।
সবচেয়ে বেশি কষ্ট কি জানেন আপনার প্রিয় মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণার সাক্ষী হওয়াটা।
আমার চোখের সামনে আমার বাবা মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। আমার হাতটা আমার বাবার হাতের উপর। বাবার চোখ বেয়ে পড়ে যাচ্ছে পানি আর বলছে মা আমি বাচতে চাই।
তোদের মাঝে থাকতে চাই কি যে কষ্ট সেই মুহূর্ত টা। আজো এই মুহূর্ত সেই দিনের বাবার সেই কথা গুলো আমাকে রক্তাক্ত করে। ঝড় ওঠে মনের মাঝে তীব্র কষ্ট অনুভব করি আমি।
আমার হাতে হাত রেখে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই বাবা মারা যায়। নিমেষেই আমার হাত টা ছেড়ে দেয় বাবা। 😭😭
আর কোনোদিন ও বাবা আমার হাতটা ধরে বলবে না মা চলো বাইরে যাই বেড়াতে। আমি আমার বাবার মৃত্যু টা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারিনি। অনেকটা সময় আমি ডিপ্রেশনে ছিলাম।
বাবার মৃত্যু যন্ত্রণা কি ভয়াবহ স্মৃতি আমাকে তাড়াকরে বেড়াতো সবসময়। আমি কখনো শান্তি পেতাম না। আমার বাবার মৃত্যুর একটাই কারন ছিলো সেটা হলো ব্যবসা।
আমার বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলো। কোনো দিন ও কাউকে একটা গালি পর্যন্ত দিতো না আমার বাবার। ব্যবসার কর্মচারীদের নিজের ছেলের মতো ভালোবাসতো,।।
আর তারাই আমার বাবার ভালোমানুষের সুযোগ নিয়ে বাবাকে সর্বশান্ত করে ফেলে। হঠাৎ করে বাবা তাদের এই নতুন চেহারা আর ব্যবসার লস এটা মেনে নিতে পারছিলো না।
আমার বাবা শুরু করে তখন প্রচন্ড সিগারেট খাওয়া। আর প্রচন্ড সিগারেট খাওয়ার কারনে আমার বাবার গলায় ক্যান্সার হয়।
আমাদের তিন ভাই বোনের নামে তিনটি বাড়ি ছিলো সেসময় রংপুর শহরের মধ্যে।
বাবার চিকিৎসার জন্য দুটো বাড়ি শেষ করে দেয়া হলো তারপর ও বাবাকে বাচানো গেলো না।
আমার বাবার শেষে খুব বাঁচতে চেয়েছিল যখন মৃত্যু আমার বাবাকে হাত বাড়িয়ে ডাকছে।
কিন্তু আমরা শুধু চেয়ে দেখেছি কিছু করতে পারিনি।
পরিবারে বাবা মারা যাওয়ার পর ব্যবসাটাকে কেউ পছন্দ করেনা। আমি নিজেও করতাম না সব সময় মনে হয়েছে এই ব্যবসার কারনে আমি আমার বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত।
কিন্তু আমার বাবা খুব ভালো বাসতো ব্যবসা টাকে। কেনো যানি হঠাৎ করেই বাবার ব্যবসার প্রতি সেই ভালোবাসাটা আমার মাঝে জাগ্রত হয়েছে।
আর আমি চাই যতো কষ্ট হোক আমি সফল হবোই।
আজোও যখন আমার শরীর খারাপ থাকে খুব অসুস্থ বোধ হয় ঘুমের ঘোরে মনে হয় বাবা এসে আমাকে আদর করে দিয়ে গেলো এই বুঝি।
কতোবার বাবা বলে আমি জেগে উঠি চোখ মেলে দেখি বাবা নেই। বাবা যা পারেনি আমি তা করে দেখাতে চাই সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
✍️জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল : খুব অল্প সময়ে মানুষ কে বিশ্বাস করা আর আপন ভাবা বিনিময়ে শুধু কষ্ট পাওয়া। প্রতিটা মানুষ সুযোগ বুঝে আমার বিশ্বাস এর প্রতিদান স্বরূপ বুঝিয়ে দেয় আমি সত্যি কতোটা বোকা।
✍️পড়াশোনা : সত্যি বলতে অনেক মন দিয়ে পড়াশোনা করছিলাম আমি। আমার বাবার মৃত্যু
আর দ্বিতীয় পুরুষ হিসেবে আমার ভালোবাসার মানুষ এর আগমন আমার জীবনে
অনার্স ২য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার পর আর পড়াশোনা করিনি সকলে অনেক বার বলেছে পড়াশোনা টা কম্পিলিট করতে কিন্তু আমার ইচ্ছে ছিলো না পড়াশোনা কারার আমার অনার্স ছিলো একাউন্ট।
✍️ব্যবসার প্রথম মুলধন ছিলো ৩০ হাজার টাকা।
✍️পন্যসমুহ আমার : জামদানী শাড়ি, গহনা, থ্রিপিচ ও,নিজের হাতের তৈরি ওয়াল হ্যাগিং।
✍️ব্যবসার বয়স: প্রায় তিন বছর।
✍️ফাউন্ডেশন থেকে সেল:
আমি এই ফাউন্ডেশনে নতুন তারপর আমার সেল হচছে খুব ভালো আমার সেলের বেশিটা এখান থেকেই হয়।
✍️বর্তমান মাসে সেল : একেক মাসে একেক রকম।
✍️নিজেকে ভালো মানুষ মনে করার কারন:
আমি নিজেকে একজন ভালো
মানুষ মনে করারা প্রধান কারন হলো আমি কখনো কোনোদিন কারো খারাপ চাই না এবং কখনো কোনো সময় ঠকাই নি সবার ভালো চাই আর মানুষ কে খুব আপন ভাবি।
✍️৫ বছর পর আমি :একটা, শোরুমের মালিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় এর পাশাপাশি সফল নারী উদ্যোক্তা হতে চাই আর কিছু নারীর কর্ম সংস্থান করতে চাই।