NBMEGF এর মাধ্যমে বদলে যাওয়া জীবনের গল্প
🌹সৃস্টি কর্তা মহান 🌹🦋আদাব/নমস্কার🦋
✍️শুরু করছি পরম করুনা ময়প্রভুর নামে যিনি আমার সৃস্টি করেছেন, এত সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়েছেন,শত কোটিপ্রানাম প্রিয় বাবা মা কে,যাদের মাধ্যমে এ ভুবনে আশা,ধন্যবাদ শিক্ষাগুরু ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার,কে যিনি আমায় নতুন জীবন উপহার দিয়েছেন।
✍️আমার জন্ম ১৯৮৬, সালে বাবাঃরমেশ চন্দ্র বর্মন (সাধু) মাতাঃশেফালী রানী,
থানাঃসাঘাটা,
জেলাঃগাইবান্ধা,
গ্রামঃঝাড়াবর্ষা (৬নংঘুড়িদহ)
অতীদরিদ্র ঘরে আমার জন্য ৪বোন ৩ভাই।ভাই দের মধ্যে আমি ছোট বাবা মার আদরের সন্তান ছিলাম,কিন্ত ছাএ ভাল ছিলাম না।চিনির পটল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় লেখাপড়ার হাতে খড়ি,আজ মনে পড়ে স্কুলের সেই ক্লাসের স্মৃতি গুল সরকারি ছিল বটে, কিন্ত বসার ব্রান্চ ছিলনা,বাড়ীহতে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে গিয়ে ইহাতে বসে ক্লাস করতাম।কখনো কখনো সহপাঠিরা আমার বস্তাটি নিয়ে নিজেরাই বসত কি আর বলার সহপাঠি বলে কথা।
১টাকায় ৫ টা আইসক্রিম ৫ সহপাঠী দের সংগে খাওয়া আজও মিস করি।সাঘাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সাঘাটা ডিগ্রী কলেজও
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বগুড়া,শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করি।
বাস্তব সত্য লেখা,ছোট বেলা আমি সত্য ও সহজ সরল জীবন নিয়ে শিক্ষা জীবন শেষ করি,আমি HSC,পড়া অবস্তায় আবেগের বসেপরিবারের অমতে ভালবেসে বিয়ে করি,৬মাস পরিবার মেনে নিলেও পড়ে মেনে নিতে পাড়েনি।শুরু হল জীবন যুদ্ধো,নিজ এলাকায় প্রাথমে হোটেল ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পালন করি টানা ৮৭দিন,ভোর ৪ টা টু রাএি ১২টা,বাসায় এসে দেখতাম ভালবাসার মানুষ টি বৃষ্টির রাএে ঘুমিয়ে পড়েনি।এলাকায় অনেকেই হোটেলে দেখে ওবাক হত সমালোচনাও করত কিন্ত আমার জিৎ আমি আমার লক্ষে পৌছাব,১৮,শত টাকা বেতন,ডাল ভাত ফ্রি,কিন্ত রাএে আসার সময় রাএের খাবার টি বাসায় নিয়ে এসে দুজনে ভাগকরে খেতাম আর অঝড়ে চোখের জল ঝড়াতাম,রাএে ঘুমানোর সময় দুজন কতরাত যে কেঁদেছি আর বলেছি প্রভু আমরা ভালবেসে কি পাপ করেছি,আবার ভোর হলেই ছুটতাম হোটেল।ভোরে যাওয়া রাএে ফেরা ৮৭রাত দিন,এদিকে সারথীর বাড়ী হতে ফোনে প্রস্তাব দিয়েছে আমাকে মাইনাজ করে আসতে বিনিময়ে কোটি টাকার সম্পতি উপহার দিবে।আবার কোটি টাকার পাএর সংগে তাহাকে বিবাহ দিবে জীবনে সুখে থাকবে বলে।এদিকে আমি হোটেলে চাকরি করি বলে,বিষয় টি আমাকে যখন তিনি পেশ করলেন।তখন আমি তাহাকে বলিলাম লক্ষীটি ভুল আমার হয়েছে আমি গরীব,আমার সবি তুমি যান,ত তুমি যদি মনে করো যেতে পারো শুভ কামনা থাকবে তোমার জন্য।হয়ত কিছু দিন কণ্ঠো হবে পড়ে এমনিতে ঠিক হয়ে যাবে চলে যেতে পাড়।
,কথা টি শোনা মাএ বিবাহর ভিডিও ডিকস্ট সহ সকল স্মৃতি আগুনে পুড়ে ছাইকরলো,আমি চুপ করে রইলাম, কারন প্রচুর জেদি মেয়ে,ভাবলাম এখন বুঝি বিদায়ের পালা কিন্ত না সকল স্মৃতি আগুনে পুড়ে আমায় বুকে জরিয়ে বলছে, প্রভু আজ হতে তুমি আমার সব তুমি গরিব হলেও তোমার ভালবাসার হৃদয় আছে, শত কষ্টও এহৃদয়ে থাকতে চাই।কথাটায় আমি পাওয়ার পেলাম ৮৭ দিন ম্যানেজার থাকা অবস্তায়, গ্রামীন ডানোন কম্পানিতে বগুড়ায় চাকরির ব্যবস্তা করলাম,হোটেলে যিনি ডানোনের দই বিক্রয় করতে, শ্রদ্ধিয় রফিকুল ইসলাম,(জুমার বাড়ী)তাহার সংগে চাকরির ভাব করি,পাড়ি জমালাম বগুড়া শহরে,
তবে কাছের মানুষ সকলে চেয়েছিল আমার জীবন দুঃখে কাটুক,এদিকে চাকরি কাহাকে বলে যানতামনা,চাকরি পেয়েও গেলাম।শুরু হল পরিশ্রম করে টাকা যোগানের পালা,চাকরি র ভাইবা দিতে গিয়ে যে লোকটির সেন্ডেল পড়েগিয়েছিলাম তাহাকে আজও সেন্ডেল
ফেরত দেওয়া হয়নি।শুরু হল পরিশ্রম করে টাকা উপাজ্নের পালা,৫টাকা বাঁচানোর জন্য ৩/৫/১৫ কিলমিটার রাস্তা হেটেছিলাম সাত মাথাটু বেতগাড়ী বনানী,তালোরা টু কাহালু দামাই,কখনো ক্লান্ত হয়নি কখনো পিছু হটিনি,সময়ের সাথে সাথে কিছু কিছু করে মুলধন সংগ্রহ করে,জীবিকা নিবাহকরি।স্বপ্ন ছিল একজন ব্যবসায়ি হবো।২০১৫ তে একপাটনারের সংগে যুক্ত হয়ে একটা jac গাড়ি ক্রয় করি, কিন্ত বিধীবাম সেখানেও লচ গুনতে হলো,তথ্য না যানার কারনে তারপর,পরিচিত এক দাদার সংগে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করি সেখানেও লচগুনতে হল,তারপড় এক ভাইয়ের সংগে ডিস্টিবিউশনে সিয়ার সেখানেও লচ গুনতে হলো।সব মিলিয়ে ১২ লক্ষ,তারপরেও চাকরি ছাড়িনি তবে তাদের কে বিশ্বাস করেছিলাম বটে তারা আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে ব্যবহার করেছে।তা আমিপড়ে বুঝেছি।
ট্রাজেডি✍️নতুন করে ব্যবসায়ি হব বলে চিন্তা করি আর বগুড়া শহরে পরিবার সহ বাস করি।হটাৎ একদিন তাহার সংগে দেখা,আমার প্রান প্রিয় বন্ধু যাহাকে একনজর না দেখলে ভাত হজম হত না,সে সামাজিক কাজে লিপ্ত ছিল।তার একটা এনজিও ছিল মাইক্রোকেডিট ছিল না,তবে সদস্য দের ভর্তির বিনিময় তাদের বছরে কিছু এান দিন।সদস্য ভর্তি ফি ২২০৳মাসিক জমা ৫০৳৫বছরে দ্বিগুন টাকা ফেরত। এভাবেই ১৭টা অফিস পরিচালনা করত ১টি মাএ জেলায়। সদস্য সংখ্যা ছিল১ লক্ষ.+সদস্যদের বছরে ৩ বার অনুদান দিত,১২০০ টাকার মধ্যে,জিজ্ঞেস করেছিলাম,তথ্যর আমাকে বলাহত,আমাদের বিদেশি ডোনার আছে। একদিন আমায় বলাহল চাকরিটি ছেড়ে দিয়ে তুমি আমার অফিসে আসো দায়িত্ব নাও,দেশের জন্য কিছু করো নিজেকেওপরির্তন করো।তোমাকে নিয়ে আমার অনেক প্লান আছে, আকাশ ছোয়া স্বপ্ন আছে, আমার মানেইত,তোমার কি বলো,কি আর করার না ভেবেই তাই করলাম।
আমাকে অনেক ফিউচার বললো ১মাস অতিবাহি হতে না হতেই বিল আট কে ছে বলে আমার কাছ হতে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেয়,সেই সংগে ৫৫ হাজার টাকা দামের DEALল্যাপটপও।এদিকে১৭ কোটি টাকার চেক দেখায়ে ন্যাশনাল ডিপ্লপমেন্ট ব্যাংকের,৩ দিন পড় দিবে বলে।এ দিকে আমিপরিবার ছেড়ে ছুটলাম স্বপ্নের পিছে,অফিসে জয়ন্ট করলাম,অফিসে জয়েন্ট করার ১ মাস পড় মনে ফটকা লাগলো। কিন্ত কেন যানি মনে হল ভুল করলাম,৬ মাস চাকরী অতিবাহিত হল ১২ মাস অতিবাহিত হল ২ বছর অতিবাহিত হল কিন্তু বেতনের খবর নাই টাকা দেওয়ার নাম নাই,২ বছরের বেতনের টাকাওনেই।
বিধীর কি বিধানঃ করোনা শুর হল সকল অফিস বন্ধ হলো সবাই কে বাসায় যেতে বললো অফিসে শুধ তালা রইল।
যে ভাবে তাদের কাছে হেরে 🚴পিছনে ফিরে আসা,আমায় বলত তুই চালিয়ে নে তুইত আমার পরিবারের সদস্য তোর ভবিস্যৎ আমি দেখবো, অনেকের কথায় কানদিবিনা,আমার মানে ত সবই তোর।তখন উওর দিতে পারতামনা মায়ার বাধনে,
🌷আবার খালি হাতে বাসায় ফিরলাম শহরে বসবাস পরিবার সহ,তখন ফুল লকডাউন চলছে, না পারছি চাকরি করতে না পারছি ব্যবসা,কাছের প্রিয় যারা সবাই অ প্রিয় হয়েগেল,অনেকে অভিনয় পাকা হতে শুর করলো,টাকা সহযোগিতা চাইলেও ফোন কেটে দিত,বাসা ভাড়া বাবুর স্কুল বেতন, ডিসকাউন্টের সুযোগ তাহারা দেয়নি।অবশেষে করানা আক্রান্ত হয়েগেলাম।চুপটি করে ঘরোয়া পরিবেশে চিকিৎসা করি আরপ্রভুকে শরন করি স্তী, সন্তান, মা,এক বিছানায় আর আমি মেঝেতে ঘুমায় অন্যরুমে,পাশের বাসার অনেকেওকথা বলতনা মিসত না,তবে চুপটি করে কিছু এন্টিবেটিক ঔষধ আমায় উপহার দিত সরকারি হাসপাতালের কর্মচারি গোপাল দাদা,
মোটামুটি সুস্ত হলাম কিন্তু পকেটে টাকা নেই,মোট ২বছরে আমার সকল সন্চয় শেষ,চুপটি করে সহধর্মিণী তার সকল গহনা বিক্রি করে,আমায় দিয়ে বলে ভালবাসার শেষ উপহার তোমায় দিলাম,সে আমার পাশে সাহস যোগাত, কিন্ত শেষ রক্ষা হলনা,বাসা ভারা বাচ্চার লেখাপড়ায় বাকি টাকা পরিশোধ করে শেষ করলাম কিন্তু চলবো কি করে, কোন মতে একটা চাকরি সংগ্রহ করলাম শহরের বাহিরে সকাল খেয়ে না খেয়ে সাইকেল চালিয়ে২৭কিঃমিঃ।পকেটে টাকা ছিলনা,থাকলেও ৫টাকা খরচের আগে পরিবারের সকলের ছবি ভেসে উৎত,খুদাকে নিবারন করার জন্য পানি খেয়ে থাকতাম,দুপুরের খাবার শরুপ বাসা হতে ছোলা বুট (ভিজেরাখা)খেয়ে দুপুর পারি দিতাম,রাতে এসে বাসায় খেতাম।সারাটা দিন শুধু প্রভুকে শরন করতাম আর,বলতাম আমায় যত কষ্ট দিবে দাও মায়ের আগে আমায় নিওনা,তাহলে পথেপথে মা আমায় খুজে পাবেনা, মা কে আমি যে খুব ভালবাসি, তখন আমি মরেও শান্তি পাবোনা।কি যে দুঃখে জীবন অতিবাহিত হয়েছে তা আর লিখতে পারবোনা।
এভাবেই চলতেনথাকে কিন্তু সন্চয় আর আমায় ধরা দেয়না।❤️মনে মনে দুরর্বলতার কাজ করছে শেষে ডিপরেশনে পড়ে যাই,ওপেন হাডসার্চারির ডাঃশফিকুল স্যার আমায় চিকিৎসা করে তিনি আমায় বললেন যদি সুস্থ থাকতে চাও পরিবারে বেশি সময় দাও,মনে মনে জপকরো আমার কিছু হয়নি আর হাটো,বেশি বেশি কথা বলো মানুষের ভিরে থাক তোমার ত কিছু হয়নি শ্যামল।ফিরে আসলাম বাসায়,অনেক কস্টে একটা মোবাইল ক্রয় করলাম শুরু হল ফ্রেজ বুক চালানে
ফ্রেজবুক টাচ করতে গিয়ে ইকবালবাহার জাহিদ স্যারকে ফলো করি,এবং তার আত্নবিশ্বাস কথা গুল আমায় নতুন করে বাচার পেরনা যোগায়,লাইবেরিয়াটিমে যুক্ত হয়ে, খোরশেদ ভাইয়ের সহযোগিতায় রাত ৩ টায় ক্লাশ করে রেজিষ্ট্রেশন করি,মনির ভাই রফিকুল ভাইদের সহযোগিতায় নাসরিন আপুর মাধ্যমে মানবিক বগুড়া জেলাটিমে যুক্ত হয়ে ক্লাস করে,আজ আমি যা শিখেছি তা আমার জীবনে কোনকিছু র বিনিময়ে শোধহবে না,আজ স্যার যে শিক্ষা আমায় দিয়েছেন,পৃথিবীতে এমন কেই নেই আমায় আর কেউ ঠকাতে পারে/বা ব্যবহার করতে পাড়ে, আমি আর নিজেকে একা মনে করিনা এতবড় একটা পরিবার পেয়ে আমি সুস্থ আছি/,শিল্পী রানী ২০/১০৭৯৮০তিনি আমার জীবন সারথী তিনি আমার পাশে থেকে কখনো হাল ছাড়েন নি।
🌹স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন লেগে থাকুন সফলতা আসবেই🌹বৃষ্টি সবার জন্য পড়ে ভেজে কেউ কেউ।
বর্তমান,শুভ দিন ✅ফাউন্ডেশন যুক্ত থেকে টানা ৯০ ক্লাস শেষ করে, আজ আমরা ২ জন মিলে একটা,
এস এ এস এগ্রো ফুডস্ (বন্ধন) 🌶️🥖কম্পানি করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।চাকরি করবো না চাকরি দিবে এটাই আমার স্বপ্ন। বৃস্টি সবার জন্য পড়ে ভেজে কেউ কেউ।
ধন্যবাদ সকল ভাই বোন দের এত সময় ধরে আমার সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনী পড়ার জন্য,আমার জন্য আশির্খবাদ রাখবেন সকলে ভালথাকবেন,সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
স্ট্যাটাস অফ দি ডে: ৯৫০
তারিখঃ ২১- ০৭- ২৩