স্যারের সেশনটা যদি আগে পেতাম তাহলে ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতাম "চাকরি করবো না চাকরি দিবো"।
🖤🖤🖤🖤 জীবনের গল্প 🖤🖤🖤🖤
সবাইকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে নমস্কার/ আদাব /সালাম
🥰 আমার নিজের বলার মত একটা গল্পে আপনাদের কে স্বাগতম 🥰
💞 সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ সবল অবস্থায় রেখেছেন ৷
💞 মা বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি। যারা আমাকে আদর, যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন।
💕 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর, শিক্ষক,লক্ষ তরুণ তরুণীর আইডল ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে ভালোবাসার প্লাটফর্ম " নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন " তৈরি হয়েছে।
🧡💚 শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি ❤️🤍
💦 নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সকল দায়িত্বশীল ও আজীবন সদস্য প্রিয় ভাই বোনদের প্রতি।
❤️🖤 কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ইনায়া ইসলাম বৃষ্টি আপুকে যিনি আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছেন ফাউন্ডেশনে ১২ তম ব্যাচে ৷
💚💛 আন্তরিক ধন্যবাদ কোর ভলেনন্টিয়ার ও মডারেটর মোঃ জালাল উদ্দিন আকন্দ (নানা ভাই )কে যিনি আমাকে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত করেছেন।
🍀🍀 ধন্যবাদ জানাচ্ছি নারায়ণগঞ্জ জেলার কোর ভলেন্টিয়ার মো: জামান ভাইকে যিনি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে আমাদের সাহায্য করেন।
🍀🍀 আরোও ধন্যবাদ জানাই মালেশিয়ার কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর সোহেল আরমান ভাইকে এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার অ্যাম্বাসেডর ও মডারেটর লোপা আপু কে যাদের সংস্পর্শে না আসলে হয়তো আজ আমি এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না ৷
🖤💜 💛💚❤️💙🤍🧡🤎🖤💜💛💚❤️👉আমার জীবনের গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো 👈
🧡🤎 ছোট বেলা 🧡🤎
🍁 নিম্ন মধ্যবৃত্ত একান্নবর্তী পরিবারের সাত ভাই বোনের মধ্যে আমি ছিলাম ষষ্ঠতম।ভাইদের মধ্যে আমি ছিলাম তিন নাম্বার। মা বাবা আমাদের অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যেও মানুষ করেছেন ৷ কৃষি প্রধান পরিবারের একমাত্র বাবাই ছিল উপার্যনক্ষম ব্যাক্তি |কৃষিকাজ করে বাবার যা উপার্জন ছিল তাতে আমাদের ৯জন সদস্যের পরিবারে কোন মতো দিন কাটত ৷ সারাদিন দুই বেলা রুটি খেয়ে থাকতে হতো এবং কোন কোন দিন এক বেলা ভাত খেতাম আমরা ৷ তাও সেই ভাতটা মা অন্যের বাড়ি থেকে কাজের বিনিময়ে নিয়ে আসতো ৷ ছোটবেলায় দেখতাম মা অন্যের বাড়িতে কাজ করত ৷ কাজের বিনিময়ে তারা যে খাবার দিত তা "মা" নিজে না খেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসত সবাই মিলে আমরা এই খাবার ভাগ করে খেতাম ৷ এভাবেই বেশ কিছু দিন কেটে যায় ৷
😘 অর্থের অভাবে বড় দুই ভাইকে কিছু টাকার বিনিময়ে অন্যের বাড়িতে কাজে দিয়ে দেওয়া হয় ৷ সেখান থেকে কিছু টাকা আসত ৷ সেই টাকা দিয়ে বড় দুই বোনের বিয়ে দিয়ে দিলেন |ছোট থেকেই আমি লাজুক প্রকৃতির ছিলাম ।প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে তেমন কোন কথা বলতাম না ৷ খেলাধুলা খুব পছন্দ করতাম আমি ৷ আমি আমার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে খেলাধুলার বন্ধুবান্ধবী পেয়ে সেখানেই থেকে যায় ৷
. 💚💙 স্কুল জীবন 💙💚
🍁আমি যখন আমার বড় বোনের বাড়িতে খেলা করতাম তখন আমার বন্ধুরা সবাই স্কুলে যেত ৷ সেটা দেখে আমার বড় বোন আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয় ৷ সেই থেকে আমি বড়বোনের বাড়িতেই থেকে যাই এবং লেখাপড়া শুরু করি | প্রথমে আমি খুব একটা ভালো মানের ছাত্র ছিলাম না ৷ তবে বন্ধু-বান্ধবীদের সহযোগিতায় মোটামুটি ভালো মনের ছাত্র হয়ে উঠি অল্প দিনের মধ্যেই ৷ প্রাইমারি শেষ করার পর হাইস্কুলে ভর্তি হই ৷ এভাবেই দিন কাটতে থাকে এবং ২০০৯ এসএসসি পরীক্ষার সময় চলে আসে ৷ ভাগ্যের নির্মম পরিহাস অপ্রত্যাশিত রেজাল্ট S.S.C তে এক সাবজেক্টে ফেল চলে আসে ৷ আমার জীবনের এই একটা রেজাল্ট আমাকে পরিবর্তন হতে বাধ্য করে ৷ বাস্তবতার অনেক সোয়া পেয়েছি একটা বছরে ৷ অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে ৷ কাছের সকল বন্ধু-বান্ধবীরা পরীক্ষায় ফেল করার পর থেকে দূরে সরে যেতে থাকে ৷ পরের বছর ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ৩.৮১ নিয়ে সাইন্স থেকে পাস করি ৷ মনের মধ্যে তখন থেকেই একটা আশা ছিল লেখা পড়া শেষ করে চাকরি করে পরিবারের পাশে দাঁড়াবো৷
💕 আমার শিক্ষা 💕 : দক্ষতা তৈরি হয় অভিজ্ঞতা থেকে, আর অভিজ্ঞতা আসে ব্যর্থতা থেকে, তাই ব্যর্থতা খারাপ কিছু নয় এটা সাফল্যের প্রথম ধাপ।
🧡💛 কলেজ জীবন 💛🧡
🍁 ২০১০ সালে এসএসসি শেষ করে। ভর্তির জন্য ফর্ম উঠালাম সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ৷ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে চান্স পেয়ে গেলাম এবং ভর্তি হলাম বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের "ইলেকট্রনিক্স "টেকনোলজিতে । তখন পর্যন্ত আমার লেখাপড়া সকল খরচ বহন করছে আমার সেই বড়বোনের জামাই ৷ ভাগ্য গুনে আমি আমার দু'জন মাকে পেয়েছি একজন হচ্ছে আমার জন্মধাত্রি মা এবং অন্যজন হচ্ছে আমার মাওই মা ৷ যিনি আমাকে ছোট থেকেই খুব আদর যত্ন সহিত মানুষ করেছেন ৷ আমার তাওই মশাই ছিলেন একজন মাটির মানুষ ৷ ওনার ছত্র ছায়ায় ছিলাম বলে আমি আজ এই অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি ৷ আরো একজনের কথা না বললেই নয় ৷ তিনি হলেন আমার বোনের দেবর অর্থাৎ আমার বিয়াই আমার জীবনের এই পর্যায়ে আসার পিছনে তার অনেক অবদান রয়েছে ৷ স্কুলে আমি কাদের সাথে মেলামেশা করি ৷ স্কুলে কি কি করি তার সমস্ত খোঁজখবর রাখতেন ৷ এভাবেই খারাপ ছাত্র থেকে একসময় অনেক ভালো ছাত্র হয়ে উঠি ৷ এরপর থেকে আর শিক্ষা জীবনে আমায় কোন ব্যর্থতার স্পর্শ করতে পারেনি ৷
😘 আমার জীবন পরিবর্তনের যাদের অবদান রয়েছে আমি তাদের প্রত্যেকের কাছে চির কৃতজ্ঞ |😘
🍀 আমার শিক্ষাঃ সময় নিন, সময় দিন,সময় বদলাবে,সময়ই সব ঠিক করে দিবে।
💕 ২০১৪ সালে কৃতিত্বের সাথে ডিপ্লোমা শেষ করি৷
🌿 ২০১৫ সালে প্রথম আমি ঢাকাতে আসি এবং এসি.আই কোম্পানির "স্বপ্ন সুপার শপে সেলস ম্যানের চাকরি নেই ৷ ৬ মাস চাকরি করার পর সেখান থেকে চাকরি চেঞ্জ করে মিনিস্টার মাই অন কোম্পানিতে জয়েন করি ৷ মিনিস্টার মাই ওয়ান কোম্পানিতে সাড়ে তিন বছর চাকরি করার পর সেখান থেকে চাকরি চেঞ্জ করে ২০১৯ সালে সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি" কনকা " তে ৷ এই সময়ের মাঝে চাকরির পাশাপাশি বিএসসি টাও কমপ্লিট করে ফেলি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিথেকে (EEE) | এই দীর্ঘদিন চাকরি করার মাধ্যমে বুঝতে পারি শুধু চাকরি করলে হবে না চাকরি পাশাপাশি নিজেকে আর কিছু করতে হবে সেই তাগিদ থেকে অনলাইনে সার্চ করতে থাকে কিভাবে বাড়তি ইনকাম করা যায় ৷ হঠাৎ একদিন আমার সামনে চলে আসলো ইকবাল জাহিদ স্যারের একটি ভিডিও | আমি দীর্ঘদিন স্যারের চ্যানেলের ভিডিও গুলো দেখতে থাকি এবং একটা পর্যায়ে এসে জানতে পারি ফেসবুকে একটি গ্রুপ আছে ৷ নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন নামে ৷ এবং ফাউন্ডেশনে যুক্ত হই ২০২১ সালে ৷ এরপর থেকে ফাউন্ডেশন এর লেগে আছে এবং লেগে থাকবো আমি শিখে যাচ্ছি এবং শিখব, প্রতিনিয়ত শিখছি ৷
💞 আমার শিক্ষাঃ স্যারের সেশনটা যদি আগে পেতাম তাহলে ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতাম "চাকরি করবো না চাকরি দিবো"।
🌿 আমার ভুল 🌿
💕 পার্টনারশিপে বরগুনাতে শাড়ির ও লুঙ্গির ব্যবসা শুরু করি তিন বন্ধু মিলে ৷ মোটামুটি ভালই চলছিল আমাদের ব্যবসা ৷তবে ব্যবসাটা বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি ৷ ৬ মাস ব্যবসাটা চলার পর নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি শুরু হয় এবং একটা পর্যায়ে গিয়ে বিজনেসটা বন্ধ করে দিতে হয় ৷ যাকে হিসাব নিকাশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মনে হচ্ছিল সে হিসেবে গড়মিল করছে ৷ তাই ব্যবসায় লাভ হওয়া সত্ত্বেও পার্টনারশিপের বিজনেসটা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই ৷ তাই কারো সাথে বিজনেস পার্টারে গেলে তার সম্বন্ধে ৷ ৬ মাস থেকে ১ বছর জানবেন এবং তার অর্থনৈতিক সক্ষমতা যাচাই করতে হবে এবং সে কোন টাইপের মানুষ এবং ব্যক্তিগতভাবে তার অফিস বা বাড়ি পরিদর্শন করুন ৷ তার সম্বন্ধে ভালোভাবে জেনে শুনে তারপর পার্টনারশিপে যাবে এতে করে প্রতারিত হরার সম্ভাবনা কম থাকবে ৷
💕 ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা 💕
স্যারের এই উক্তিটি আমাকে বিশেষ ভাবে ভাবতে শেখায় এবং স্বপ্ন দেখতে শেখায় ৷
👉 স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন -সাফল্য আসবেই 💕
স্যারের এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলছে নিজের উদ্যোগ নিয়ে সফল উদ্যোক্তা হবার পথে ৷
💞 প্রিয় গ্রুপে যুক্ত হওয়াঃ
🍀 প্রতিদিনের মত ঐদিন ও ইউটিউব দেখছিলাম হঠাৎ স্যারের একটি লাইভ চোখে পড়লো, কথাগুলো শুনে ভালো লাগলো । আমি এই ব্যাপারটা নিয়ে ঘাটতে শুরু করলাম। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গ্রুপে রেজিঃ করে ফেলি ১২ তম ব্যাচে।
💞 প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষাঃ
🍀 মানুষের জীবনে শিক্ষার কোনো শেষ নাই। এই ফাউন্ডেশন থেকে আমিও প্রতিনিয়ত শিখেই চলেছি নতুন নতুন বিষয়। এর মধ্যেঃ
👉 জীবনে বড়, সফল ও সুখী হবার জন্য পজিটিভিটির কোনো বিকল্প নাই।
👉 সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে সততা ও কমিটমেন্ট।
👉 সময় নিন, সময় দিন,সময় বদলাবে, সময়ই সব ঠিক করে দিবে।
👉 যে নিজেকে ভালো রাখে এবং অন্যকেও ভালো রাখে - তিনিই একজন ভালো মানুষ।
👉 জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে একজন ভালো মানুষ হওয়া।
👉 জীবনে এগিয়ে যাবার কোনো চমক দিতে পারে শুধু মাত্র মা বাবার দোয়া।
💞 প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে অর্জনঃ
🍀 ভালোবেসে এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছি ১২ তম ব্যচ থেকে। এখানে পেয়েছি ভালোমানুষদের একটি বাগান। এই বাগানে উদ্যোক্তা হওয়ার পথে হাঁটছি। আশা নয় বিশ্বাস করি ভালোবেসে সবাই পাশে থাকবেন।
🍀 বিজনেসে কোনো শর্ট কাট নেই। লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে। এটা একটা লম্বা রেস, দ্রুত দৌড়ে দম শেষ করে ফেলা যাবে না। তাই শিখছি আর অল্প অল্প করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি । সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
রাম কুমার সরকার
👉 ব্যাচঃ ১২ তম
👉 রেজিঃ ৪৮১৫০
👉 নিজ জেলা: সিরাজগঞ্জ
👉 উপজেলা : রায়গঞ্জ
👉 বর্তমান অবস্থান :সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ
👉 পেইজ :তাঁতপল্লী
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে- ৯৫৩
তারিখ ২৮-০৭-২০২৩