নারায়ণগঞ্জের লিজা চৌধুরী মা কাছথেকে অল্প টাকা নিয়ে আজকে একজন উদ্যোক্তা।
জীবনের গল্প )______________
🙏🏻সবাইকে গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো🥰
🤲🏻📖(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)📖~~~~
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওবারাকাতহু।।
~~~~✍️প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রব্বুল আলামীনের প্রতি যিনি আমাকে এখনো পর্যন্ত সুস্থ ও ভালো রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ ।
✍️তারপরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার মা ও বাবার প্রতি তারা না হলে হয়তো আমি এই পৃথিবীতে আসতাম না। তারা আমাকে পরম যত্ন করে ও ভালবাসা দিয়ে বড় করেছেন। মা বাবা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।
✍️আমি আরো ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রাণপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, স্বপ্নদ্রষ্টা একজন মানুষ, তরুণ প্রজন্মের আইডল ও আইকন , লাখো বেকার যুবক-যুবতীদের হৃদয়ে আলো প্রজ্জ্বলনকারী,
নিজেকে গঠন করার ও উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নটা খুব বড়ো করে দেখছি। প্রিয় স্যারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।।।।।
🌹❤️স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন, এবং লেগে থাকুন ,সফলতা আসবে ইনশাল্লাহ ।❤️❤️
🌹🌺💐👉( জীবনের মূল গল্প:)👈🌹🌺💐
✍️জীবন মানেই সুখ দুঃখ উত্থান পতন থাকবেই কারো কম কারো বেশী এটা নিয়ে একটা জীবনের গল্প।
আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
আমরা তিন ভাই বোন দুই ভাই এক বোন। বড় ভাইয়া রাজনীতিতে জরিয়ে পরার কারনে বেশি লেখাপড়া করতে পারেনি।। তারপর যে ভাই সে খুবই সংসারী।
তাই ছোট থেকেই হাল ধরেছে সংসারের তাই সেও লেখাপড়া বেশি একটা করেনি।। বাবা মা ভাইদের একটাই স্বপ্ন আমাকে অনেক লেখাপড়া করাবেন।
আমার ভাইদের সাথে আমার বয়সের অনেক ব্যবধান বড় ভাই আমার থেকে ১৬ বছরের বড়।।আমার ইমিডিয়েট বড় যে ভাই সে আমার থেকে ১১ বছরের বড়।
তাই দুইভাই থেকে সমান ভাবে বাবার মতো আদর পেয়েছি।।বোঝতে শিখেছি যখন থেকে তখন থেকেই শুনে আসছি দুইভাই বলতো।।আমাদের সপ্নগুলো তোর চোখে দেখি।
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে নিজের বলার মত একটা গল্প থাকা দরকার।
___________🧑🏻🏫🏫আমার স্কুল জীবন 👨👨👦✍🏻
আমি যখন স্কুলে ভর্তি হই তখন আমার ৪ বছর।👨👨👦 আমি ছিলাম আমার ফ্যামিলি র দুই ভাইয়ের এক বোন🥰। ফ্যামিলির সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসতো এবং আদর করত।🥰
একটা রুটিন ছিলো গোসল এবং স্কুলে দিয়ে এবং নিয়ে আসার।একদিন বড় ভাই গোসল করিয়ে দিতো পরের দিন আরেক ভাই মা বাবা।।
ঠিক সেম রুটিন স্কুল নিয়ে৷ খুবই মজার ছিলো।
প্রথম দুই বছর দুইভাই কোলে করে নিয়ে যেতো আর যত মর্জি করতাম ভাইদের সাথে। আমার সকল ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা আমার ভাইয়েরা পূরণ করত। আর আমাকে
আহ্লাদী, ডঙ্গি বলে ডাকতো সবাই।।
___👩🎓🏫ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম তাই খুব গর্ভ করতেন বাবা ভাইরা আমাকে ডাক্তার বানাবে বড় হলে। 👩⚕️
আমি যখন তৃতীয় শ্রেণির তখন আমি 📖কোরআন শরিফ নেই।। খুব ধুমধাম করে এলাকার সবাইকে মিষ্টি দিয়ে।
তারপর যখন 🏫৫ম শ্রেনীতে জিপিএ ৫ পাই।। গোষ্ঠীসহ এলাকা বাসির কাছে আমার নতুন পরিচয় আমি ভালো স্টুডেন্ট।।👩🎓
_______ কখনো এক গ্লাস পানিও ঢেলে খেতে হয়নি।।
মা স্টোক করেন আমি যখন ক্লাস সেভেনে।।🥲
সব কাজ বড় দুই ভাই করতেন।। আমাকে কিছু কাজ করতে দিতো না।।। বলতো থালাবাসন ধুলে ঘর মুছলে আমার হাত কালো, হয়ে যাবে তাই।।
বরাবর ভালো রেজাল্ট ছিলো সব সময় পরিক্ষার সময় যখন রাত জেগে পড়তাম।।। মা আমার পাশে কোরআন শরিফ পরতেন।। যাতে আমি বোরিং না হই , ঘুমিয়ে না পড়ি।।।
_____👉👩🎓🏫আমি ৯ম শ্রেণিতে যখন তখন বড় ভাইয়া বিয়ে করেন।।💒
ভাইয়া প্রথম দিন ভাবিকে বলে দিয়েছে তার থেকে বেশি খেয়াল যাতে আমার রাখেন।।
কথা মতো ভাবি তাই করতেন আমার স্কুল ব্যাগ গুছিয়ে দিতেন।।
স্কুলের ড্রেস জুতা ধুয়া মুছার দায়িত্ব পালন করতেন।। বলার আগে সব সামনে রাখতেন।।।
👉🏻❤️ভাইয়ার বিয়ের পর প্রথম ঈদ আমি রমজান ৫ হলেই সব গিফট পেয়ে যেতাম।। চাচ্চুরা খালামনিরা সবাই খুবই সুন্দর ড্রেস দিতেন ১৯/২০ হতো না জানতেন ভাইয়ার পছন্দ না হলে আমাকে পড়তে দিবে না।।
বাবা ভাইয়া মার্কেট নিয়ে অনেক ঘুরতেন মা বিরক্ত হতো মাঝে মধ্যে।।
🛍️ভাবির বাবার বাড়ি থেকে ড্রেস বানিয়ে দিয়েছে।।।
তাই আমি অনেক রাগ করেছি।। আমি ছোট থেকে ভাবতাম গরিব মানুষ ড্রেস বানিয়ে পড়ে আমি তো গরিব না।। সেই নিয়ে ভাবি বাবার বাড়ি লোক দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা জানতো না তাই পরে আবার কিনে দিয়েছে।।
___🌺🌹👉আমি ছোট থেকেই টি শার্ট পরেছি বাসায় কারন আমার ইমিডিয়েট বড় ভাইয়া যিনি ও গার্মেন্টস বিজনেস করতেন।।।
স্যাম্পলের যত টি শার্ট আমাকে পরাতো।। এলাকার সবাই বলতো কই পাই এতো সুন্দর কারেকশন।।।
😔আমার জীবনের সব চেয়ে বড় কষ্ট
ভাইয়াকে হারানো😭
২০১৬ সালে হঠাৎ ভাইয়া অসুস্থ রাজনীতি করতেন উল্টো পাল্টা খাইতো তাই অসুস্থ হয়ে মাস খানেক ও হয়নি আল্লাহর ডাকে উপরে।।
আমার পৃথিবী অন্ধকার ভাইয়াকে ছাড়া আজ-অব্দি।।
🗓️🥺পুরো ১টা বছর লেগেছে আমাকে স্বভাবিক হতে।।। এখনো রাত জেগে বারান্দায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাইয়াকে খুঁজি।। এই শোক কাটিয়ে উঠার আগেই বাবা ও পরপারে পুরো সংসারটা এলোমেলো হয়ে যায়।।😢
নারায়ণগঞ্জ বিবি মরিয়ম গার্লস স্কুল থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পাস করি।
👉👨👩তারপর ভাইয়া, মা, আমি বলতে আমাদের সংসার।।
ভাইয়া বিয়ে করেন।। প্রথম ফুপি হই সে এক অন্য রকম অনুভূতি যাইহোক।।।।ভাইয়া
💼👉 ( কেনো উদ্যোক্তা হতে চাইছি )👈💼
বর্তমানে মা আমি বলতে আমাদের সংসার।।
আমি ডিগ্রি কমপ্লিট করতে পারিনি।।
আরো ৩ বছর লাগবে।।
~👨👩👧 সংসার খরচ ভাইয়া বহন করেন।।
আজ অব্দি আগের মতই আদর যত্ন করেন ।।
কোন অভাব বুঝতে দেন না।।।
চাওয়ার আগেই সবকিছু হাজির রাখেন।। ভাইয়া যা খরচ দেন মা আমি "
আলহামদুলিল্লাহ ভালো চলতে পারি।। কখনো বাবার অভাব বুঝতে দেননি।।।
__________সংসার
🍁💭👩🎓 সেই থেকে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখি।💭👩🎓
আমার মা পর্দা করেন।৷ ভাইয়া ছাড়া কারো সাথে দেখা করেন না।।। এবার নিয়ে ১৫ বছর এত্তেকাফ করেছেন।। গত দুটি বছর মা এত্তেকাফে বসার আগে আমার জন্য অনেক কান্না করেন।।
যদি মা আল্লাহর ডাকে চলে যান আমার কি হবে এই ভেবে।।।
👉🏻গত ১ বছর ধরে ভাবছি কি করা যায়।
✍🏻নিজের বলার মতো একটি গল্প প্লাটফর্মে
আসার গল্প:
আমার মনের ভিতর একটা স্বপ্ন জাগলো কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়। তাই আমি অনলাইনে উদ্যোক্তা বিষয় নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাটি করলাম।
🔎🔎 ▶️আমি ইউটিউব সার্চ করে দেখি অল্প টাকা দিয়ে কি করতে পারি ঘরে বসে।।মেয়েদের পেইজে ঘুরতাম লাইভে দেখতাম কি ভাবে প্রডাক্ট প্রেজেন্ট করে।।।
_______🌹👨👨👦ভাইয়াকে না বলে মার থেকে টাকা নিয়ে শুরু করি অর্গানিক হেয়ার অয়েল নিয়ে কাজ।।।
কাউকে শেয়ার করতে পারিনি তাই খুবই কষ্ট হয়েছে যোগান দিতে।।। রাস্তা ঘাট চিনি না,,,,,
লেভেল সহ সব কিছু কমপ্লিট করতে যা টাকা খরচ করেছি। এখন হিসেব করে দেখি অর্ধেক টাকা বেশি খরচ করছি।। না বুঝার কারনে।।।
~<<<<<যাইহোক আল্লাহ নামে মায়ের দোয়া নিয়ে শুরু করি।।।এফবিতে পোস্ট করার পর।।।ভাইয়ার সমন্ধি আমাকে বলে এভাবে বেশি ভালো কিছু করতে পারবে না।।।
_👉তখন আমাকে লিংক দেন এই প্লাটফর্মের।। আর বলে এখানে তোমাকে কথা বলা থেকে প্রডাক্ট সেল যোগান সব শিখানো হবে।।
✍️আমি জয়েন হই রেজিষ্ট্রেশন করি।।নিয়মিত সেশনচর্চা ক্লাস করি।।। অন্য রকম শিক্ষা উদ্যোগতা থেকে ভালো মানুষ হওয়া পর্যন্ত।। চমৎকার সময় কাটছিলো সেশনচর্চা ক্লাস জয়েন হলে মা সামনে বসে শুনতেন।। এতো সুন্দর করে কথা বলে।। দায়িত্বশীল থেকে শুরু করে আজীবন সদস্য সবাই এত বেশি আন্তরিক।।।মালয়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ স্পন্সর হই এবং একটিভ সদস্য হিসেবে দুটি ক্রেস্ট পাই আরো বেশি ইন্সপায়ার হই কাজ করার গতি বেড়ে যায় বিশেষ করে চির কৃতজ্ঞতা আমাদের নারায়ণগঞ্জের গর্ব।
~~~নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে আছেন।।সম্মানিত প্রিয় হাসিনা রহমান লোপা আপু।। নারায়গঞ্জের ৬০০ তম মিটআপ অনুষ্ঠানে আপু আমাকে শ্রদ্ধায় স্যারের সামনে প্রতিবেদন পাঠের মাধ্যমে স্যারের সামনে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।।
____👉(আমি এই প্লাটফর্ম জয়েন হবার পর) 👈___
✍️আলহামদুলিল্লাহ কথা বলার জড়তা কাটিয়ে উঠাতে পেরেছি। এবং প্রোডাক্ট সেল করার জন্য কাস্টমারদের সাথে যেভাবে কথা বলা যায় শিখতে পেরেছি। সাহস করে গত ঈদে অর্গানিক হেয়ার অয়েল সহ জামদানী শাড়ি, প্রিমিয়াম পাঞ্জাবি নিয়ে কাজ করি।। আলহামদুলিল্লাহ ৩০ হাজার টাকার মতো মায়ের টাকা থেকে নিজের উর্পাজন করি।।।
~~~~~~ইতিমধ্যে ভাইসহ আত্নীয়সজন জেনে যায়।।।বাইরের মানুষের কমেন্ট শুনে ভাইয়া খুবই রাগ।। তার বোন অনলাইনের কাপড় বেচে।।এই পরিনতি কেনো ভাই কি সংসার খরচ দেন না।।
গত মাসে এই নিয়ে অনেক সমস্যা তাই এক মাস চুপ করে বসে ছিলাম।। এক পর্যায়ে ভাইয়ার খুব কাছের বন্ধু তাকে বুঝিয়ে বললাম সে ভাইয়াকে মানালো এবং বুঝালো ভাইয়াকে রাজি করালাম তারপর
আলহামদুলিল্লাহ এখন সবকিছু পিছনে রেখে সামনে এগোতে চাই।। নিজে স্বাবলম্বী হতে চাই।।।
একজন ভালো উদ্যোক্ত হতে চাই আপনাদের সহযোগিতায় সেটাও সম্ভব এই প্লাটফর্মে এসে বুঝতে পেরেছি।।।
লিজা চৌধুরী
নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জ
ব্যাচ নং ২১
রেজিস্ট্রেশন নং ১১৩৮২১
আজীবন গর্বিত সদস্য
এবং প্রোমোশন টিম মেম্বার।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে - ৯৫৩
তারিখ -২৮-০৭-২০২৩