আমি প্রথমে ১০,০০০ টাকা ইনভেন্স করি। বর্তমানে আমার ৮০,০০০ টাকার পোডাক্ট বাসায় স্টক করে সেল করছি....
🌻বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম 🌻
জিবনের গল্প সবাইর থাকে, কিন্তু কারো গল্প ডাইরিতে থেকে যায়, আর কারো গল্প উপন্যাসের পাতায় উঠে আসে।আমার জীবনে ও ছোট্ট একটা গল্প আছে,যেটা আজকে আমি লিখে রাখতে এসেছি আমার জিবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া ভবিষ্যতে বিশ্বের দরবারে শুধু একটি সফলতার নাম সবার মুখে শুনা যাবে সেই #নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প ফাউন্ডেশন প্লাটফর্ম এ⭐⭐
💐আমার জীবনের গল্প 💐
📖সবাইকে অনুরোধ করছি, ভালোবেসে আমার গল্পটি পড়ার জন্য 🌹
🌼আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহু।
🌹সর্ব প্রথম আমি শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে, যিনি আমাকে এই পৃথিবীতে সকল বিপদ আপদ থেকে এখনো পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদে রেখেছেন,আলহামদুলিল্লাহ।
💐পরম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করতে চাই আমার প্রিয় মমতাময়ী মা ও বাবাকে, যাদের উছিলায় এই সুন্দর পৃথিবীর বুকে এসে পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছি। মা বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত ভালবাসা জ্ঞাপন করছি।
🌹তারপর আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর,প্রিয় শিক্ষক,তরুণ প্রজন্মের আইডল,উদ্যোক্তা গড়ার কারিগর,পথ প্ৰদৰ্শক জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারকে - যার সুচিন্তা ও - পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। পেয়েছি লক্ষ লক্ষ ভাই বোন,পেয়েছি বিশাল একটা পরিবার। যার শিক্ষা বুকে ধারণ করে লক্ষ লক্ষ বেকার তরুণ তরুণীরা সাহস করে নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরী করার সাহস পেয়েছে। যিনি আমাদের কে একজন সফল উদ্যেক্তা ও স্বাবলম্বী করে তুলতে বিনা স্বার্থে দিন রাত সময় দিয়ে সবার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের বেকারত্ব দুর করার জন্য প্রিয় স্যার যেই মহৎ উৎদ্যোগ নিয়েছেন, তার জন্য আমি প্রিয় স্যারকে স্যালুট জানাই।
প্রিয় স্যার এর একটা শ্লোগান বদলে দিতে পারে আমার মতো আপনারও জিবন।।
চাকরি করবো না, চাকরি দিবো।
------------ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।
এই বাণী দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে আলহামদুলিল্লাহ আজ আমিও একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।।
🌻চলুন জেনে নেয়া যাক আমার জীবনের গল্প। আশা করছি আমার গল্প থেকে আপনারা কিছু শিখতে পারবেন।
🏠 জন্ম ও পরিবারঃ-
ফরিদপুর জেলার , সদর উপজেলার ১৯ নং চর টেপুরা কান্দী ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রামে আমার জন্ম। মধ্যবিত্ত পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে স্থান নেই আমি। আমরা চার ভাই-বোন, বর্তমানে তিন ভাই-বোন, বাবা- মায়ের চোখের মনির মধ্যে আমি দ্বিতীয় (০২)। জন্মের দেড় বছর পরে থেকে লালিত-পালিত হয় নানা-নানীর কাছে নানার বাড়িতে।বাবা-মা এর আদর খুবই কম পেয়েছি, আমার যতোটুকু মনে আছে আমি আমার নানা-নানিকে বাবা-মা বলতাম। আমার মা-বাবা আমাকে দেখতে গেলে পালিয়ে থাকতাম, তাদেরকে চিনতাম না,ভাবতাম তারা আমাকে নিয়ে যাবে।।
👌আমার শৈশবঃ-
ছোট বেলা থেকেই গ্রামেই বেড়ে উঠা। গ্রামের মাঠে ঘাটে দুরন্ত ভাবে ঘুরাঘুরি আর নদীতে দলবেঁধে সাঁতার কাটা ছেলেদের মধ্যে আমি ও একজন। আমার শৈশব কেটেছে চার দেয়ালের মাঝে বেশিরভাগই সময়। আমি ছিলাম অনেক শান্ত এবং হাসিখুশি। তবে আমি টেলিভিশন দেখা বেশি পছন্দ করতাম পালিয়ে গিয়ে দুরে কোথাও, যেহেতু আমার নানা বাড়ি টেলিভিশন ছিলো না। শৈশব ছিলো কিছুটা আনন্দের কিছুটা কস্টের। এখন মন চায় শৈশবে ফিরে যেতে।
📖📖আমার পড়ালেখাঃ-
গ্রামের স্কুলে আমার লেখাপড়ার হাতেখড়ি। প্রাইমারী টা গ্রামের স্কুলে শেষ করি। নানা বাড়ি থেকে দুরেই স্কুল ছিলো, আমার দুই মামা তারা আমাকে পড়াতো, তাদের কাজ ছিলো আমাকে পড়ানো আর ক্লাশে আমার আগে যেনো কেউ না প্রথম না হয় আমিই যেনো সবসময়ই প্রথম হই।।প্রতিটা ক্লাশে আমি সকল পরীক্ষায় প্রথম থাকতাম। ক্লাশ ফাইভে বৃওি পেয়েছিলাম। খুুব ভালো পড়াশোনার মধ্য দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ হয়। তারপর মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য ভর্তি হলাম নানা বাড়ি থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দূরে ফরিদপুর এর ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রতিদিন পায়ে হেটে যেতাম সেই কাংঙ্খিত স্কুলে। লেখাপড়ায় অনেক ভালো ছিলাম। স্যারেরা অনেক ভালবাসতো আমাকে। গ্রামের সাধারণ ছেলে আমি শহরের বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিশতে গিয়ে পড়াশোনার অবনতি হয়। বন্ধুদের সাথে মিশে টেলিভিশন দেখা, স্কুল ফাকি দেওয়া শুর হয় তারপরও পরীক্ষায় ভালো ফলাফল ছিলো। আমার যে কোন পড়া দুই- তিনবার পরলে তার উপরে নিজে থেকে লিখতে পারতাম। ক্লাশ এইটে গিয়ে আমার মামা আমাকে স্কুল চেন্জ করে, ভর্তি করেন একটা প্রাইভেট স্কুলে, সেখানেও ভালো রেজাল্ট আসে। ১বছর পর সেখানে থেকে ও স্কুল বদলি করে ভর্তি হয়, "" পুলিশ লাইন,স উচ্চ বিদ্যালয়ে।
স্কুলে যাওয়া আসা করতে অনেক কস্ট হতো তায় চলে আসলাম নিজেদের বাসায়। ছোট মামার পুরনো একটা বাই-সাইকেল ছিলো তা নিয়ে। আমার বাসা থেকে খুবই কাছে ছিলো স্কুল।
তখন সময় ২০০৭ সাল।২০০৯ সালে এস এস সি পরীক্ষায় আমি এক বিষয়ে ফেইল করি।
বন্ধু-বান্ধবের কথা চিন্তা করে, আত্নীয়-স্বজন
ও মামাদের ভয়ে , লুকিয়ে আম্মুর টাকা নিয়ে চলে গেলাম ঢাকা শহরে।
🔰🔰কস্টের জিবনের কিছু সময়ঃ🔰🔰
২০০৯ সালে ঢাকা গিয়ে সেখানে বন্ধুর সাথে গুরা ফেরা করে টাকা শেষ হয়ে গেলে ফিরে আসি বাড়িতে।
বাবা - মা বললো আর পড়াশোনা করাবে না,
কাজ করে নিজেকে চলতে বললো, আমি আবারও ঢাকা চলে গেলাম, সেখানে এক বড় ভাই এর গার্মেন্টস এর শার্ট নিয়ে ঢাকা কলেজের সামনে ফুটপাতে ভাই এর দোকান করতাম, যা ইনকাম করতাম সব শেষ হয়ে যেতো, একবছর কেটে গেলো। এর পর ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলাম। এর পরে ঢাকা যাওয়া হলো না। একদিন নিজের এলাকার এক গৃহস্থ এর কাজ করতে গেলাম তখন রমজান মাস, প্রচন্ড গরমে পাট কেটে মাথায় করে নিয়ে আসতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে গেলাম, তখন মনে মনে ভাবলাম পড়াশোনা করলে এমন কস্ট হতো না,,কিন্তু আমি আবারও ঢাকা চলে গেলাম এবং ঢাকা কলাবাগান এ একটা ক্লাবে চাকরি নেই,, চাকরির সময়ে আমার প্রিয় প্রাইভেট স্যার আমাকে কল দেই এবং আমাকে খুব রিকোয়েস্ট করে বলে এস এস সি পরীক্ষা দিতে, আমি বললাম আমি পাশ করবো না তাহলে পরীক্ষা দিয়ে কি লাভ, স্যার বললো আমি শুধু যেনো পরীক্ষা দেই পাশ না করলে আমার সারাজীবন এর দ্বায়িত্ব সে নিবে,, স্যার এর রিকোয়েস্ট এ আসলাম, স্কুলে গেলাম, স্কুলের স্যার বললো এক চান্জ বাকী আছে কিন্তু তারা সেই চান্জ আমাকে দিবে না, আমার প্রাইভেট স্যার যে প্রাইভেট স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সেই স্কুল থেকে আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিলেন। পরীক্ষা দিলাম পাশ করলাম অনেক ভালো রেজাল্ট আসলো জিপিএ ৪.৯০।
এ-র পর ভর্তি হতে চায়লাম কলেজে বাসা থেকে বললো এস এস সি পাশ করছো আর পরতে হবে না, নিজের খরচ জোগাড় করে নিজেকে পরতে বললো।
ভর্তি হলাম কলেজে, পার্ট টাইম কাজ করতাম একটা ইলেকট্রনিকস শোরুমে এবং পরা শোনা চালিয়ে যেতে লাগলাম,কয়েকমাস পরে পরীক্ষার কারনে চাকরিটা ছাড়তে হলো,, এরপর কি করবো কোন উপায় না পেয়ে,আমার আম্মুকে অনেক হাতে পায়ে ধরে মামার দোকানের মধ্যে বিকাশ ও ফ্লাকিলোড এর দোকান দিলাম, আমার আম্মু আমাকে ৫০০০০ টাকা দিয়েছিলো।প্রতিদিন এর প্রফিট থেকে কিছু টাকা একটা সংগঠনে জমা করতাম, কিন্তুু মাস শেষে খেয়াল করলাম আমার চালানে টাকা কমে যাচ্ছে,হিসেব করেও মিলাতে পারলাম না, আমি যখন দোকান রেখে কলেজে যেতাম তখন মামার কর্মচারী দেখাশোনা করতো,অবশেষে অনেক ঘটনার পর আমার মামা আমাকে আমার ব্যবসার পুজি যা ছিলো তা নিয়ে বন্ধ করে দিতে বললো, আম্মু এ-র কাছে থেকে যে টাকা নিয়েছিলাম পুরো টাকা টা তাকে দিতে পারি নাই,, কি করবো আবার ভাবতে লাগলাম, অবশেষে আমার আম্মুকে আবার বললাম আমাকে অটোগাড়ি কিনে দিতে, আমি রাতে চালাবো দিনে বাড়া দিবো বলে আম্মুকে রাজি করলাম।।কিন্তু আম্মু বললো আগে ভাড়ায় চালিত অটো চালিয়ে তাকে দেখাতে, আমিও অটো ভাড়া নিয়ে সারাদিন কাজ করতাম, মানুষ আমাকে যেনো না চিনে সেজন্য মুখ গামছা দিয়ে আটকিয়ে কাজ করতাম, ছয়মাস পর আমার অটো এর ব্যাটারি খারাপ হয়ে গেলো,সব-মিলিয়ে আমি হতাশ হয়ে গেলাম, দেখতে দেখতে আমার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ও নিকটে চলে আসলো,অবশেষে অটোগাড়ি বিক্রি করে দিলাম, ১০,০০০টাকা লসে।
এ-র পর পরীক্ষা দিলাম উচ্চমাধ্যমিক ও পাশ করলাম ৩.৬৯ পয়েন্ট নিয়ে।
এর পর আর পড়াশোনা করার উপায় হলো না, চলে গেলাম ঢাকা চাকরির জন্য, আমার এক বড় ভাই এ-র সাহায্যে নিয়ে স্টার বাল্ব কোম্পানিতে চাকরি হলো,সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোদে,বৃষ্টিতে ভিজে পায়ে হেঁটে অর্ডার এ-র জন্য দোকানে দোকানে গুরে অর্ডার নিতাম,২ মাস চাকরি করে চলে আসলাম বাড়িতে, এরপর আর গেলাম না ঢাকায়।
কয়েকমাস বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে গুরে বেড়াতাম, এর পর ভাবলাম বিদেশে পাড়ি দিবো, টাকা ইনকাম করবো বড়লোক হবো,সবাইকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে কাটাবো। যেই কথা সেই কাজ।
🔰🔰আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় কিছু ট্রাজেডি যেটা আমি লিখতে পারলাম না,
কারন আমি কথাগুলো মনে পরলে নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না, শুধু ঘটনাগুলোর হেডলাইন লিখে রাখছি।।
✅১ম : ক্লাস ফাইভে পড়াশোনার সময় এক রোগ হয়, কোন খাবার খেতে পারতাম না খেলেই সব বের হয়ে যেতো, ৭-৮ মাস সারাবাংলাদেশে বড় বড় হসপিটালের ডাঃ দেখিয়ে ও কিছু হয় নাই, পরিবারে সেখানে থেকেই আরও খারাপ সময় নেমে আসে, অবশেষে ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কিন্তু যাওয়ার আগ মুহুর্তে গ্রামের এক পল্লী চিকিৎসক এর ওষুধ কাজ করে।
✅২য় : জীবনের প্রথম ঘটে যাওয়া আমার বড় বোনের আত্মহত্যা করে মৃতু্বরণ ।
✅৩য় : ক্লাশ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনার সময় স্কুল থেক বেরোনোর সময় রোড দুর্ঘটনার স্বীকার হয়, দুজন পুলিশ স্পট মৃতু্বরণ করেন আল্লাহর রহমতে আমার শুধু হাত -পা ভেঙে পাঁচ মাস হসপিটালে থাকি।
✅৪র্থ: আমার বাবা ছিলেন ড্রাইভার,রাস্তায় বাবাকে ডাকাত দল কুপিয়ে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেয়, ৭-৮ মাস ঢাকাতে বাবার চিকিৎসা হয়। পরিবারের অনেক কিছু বেচা-কেনা করে বাবার চিকিৎসা করা হয়।
✅৫ম : আমার বিদেশে আসার ১ বছর পর বাবা হার্ট অ্যাটাক করেন,আবার বাবাকে ঢাকা নিয়ে হার্ট এর চিকিৎসা করানো হয়।
সবকিছু মিলিয়ে জীবনে অনেক বাস্তবতার স্বীকার হয়েছি, অনেক কস্ট এ-র মধ্যে দিয়ে পরিবার টিকে আছে,, আলহামদুলিল্লাহ এখন মোটামুটি ভালো রেখেছেন আল্লাহপাক।
🏠🏠বিদেশের উদ্দেশ্য ঃ
বিদেশে পাড়ি দিবো কিন্তু কোন কাজ জানি না তায় আমার যে ভাই বড় ভাই আমাকে বিদেশে পাঠাবে সে বললো ঢাকা থেকে ফ্রিজ-এসির কাজ শিখে ০৩ মাস তারপর যেতে, তার জন্য দশ হাজার টাকা লাগবে। ০২ মাসে কাজ শিখলাম হটাৎ একদিন এক বাসায় কাজে গিয়ে বিদ্যুৎ এ-র শক লাগলো এবং মৃত্যুর হাতে থেকে আল্লাহপাক আমাকে বাচিয়ে রাখলেন।আম্মুকে বললাম আমি ইলেকট্রনিকস এ-র কাজে বিদেশে যাবো না,
ভাই বললো তাহলে বিভিন্ন এজেন্সিতে ভালো কাজের ইন্টারভিউ দিতে এবং ঢাকা থাকতে, ঢাকা কোথায় থাকবো, সে জন্য আমার গ্রামের এক চাচার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতে ও থাকতে বললো, যখন ইন্টারভিউ দিতে হবে গিয়ে দিবো আর সেখানে কাজ করবো।০১ বছর অনেক ইন্টারভিউ দিলাম, আর রাত দিন দিয়ে অনেক কাজ করতাম, চাচার গার্মেন্টস এ। অবশেষে একটা কোম্পানিতে ভিসা হলো ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে।
অবশেষে এই অল্প বয়সে পাড়ি জমালাম প্রবাসে। এখান থেকে আমার জীবনের মোড় ঘুরে গেলো।তবে এবারের জার্নিটা ছিলো আমার জন্য অনেক কঠিন। কারন আমি তখন অল্প বয়সে প্রবাসে আসি তাই জানি ও না বুঝি ও না বাইরের দেশ সম্পর্কে। তবে আল্লাহর রহমতে কোনো অসুবিধা হয় নি। তবে কাজ ও আরব দেশের রোদের তিব্রতা অনেক কস্টের ছিলো।এর পরে আমার জন্য খুবই খারাপ সময় আসে, আমার বিদেশ আসার ৭ মাস পরেই কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায় সবাইকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া শুর করে এক এক করে, সে দিন ছিলো আমার জন্য খুবই কষ্টের একটা দিন। খুব কান্না করেছিলাম আজ ও কান্না আসে সেই দিনের কথা মনে পরলে। আল্লাহর রহমতে নিজের পড়াশোনার দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে ইংরেজিতে আমি একটা লেটার লিখে পাঠিয়ে দেয় আমার এ দেশের অফিসে, আমার আম্মু বললো (০৪) লক্ষ টাকা খরচ করে গিয়ে এখন সব শেষ করে বাড়ি আসলে পরিবারের আর কিছু থাকবে না, লেটার পাঠানোর কয়েকদিন পর কোম্পানি থেকে বলা হলো নিজের পছন্দের কোন কোম্পানি থাকলে সেখানে যেতে, তারা যা ডকুমেন্ট লাগবে দিবে। শুর হলো জিবনের নতুন যুদ্ব। সকাল ৬:০০ টায় বের হতাম রাত ৯:০০ টায় বাসায় আসতাম, সারা কাতার শহরের ভিবিন্ন কোম্পানিতে ইনটারভিও দিতে লাগলাম। ২০ দিন পর অবশেষে সুখের মুখ দেখলাম, একটা নামীদামি কোম্পানির সেলসম্যান এর পদে চাকরি হলো। আল্লাহ ছিলো আমার ভরসার এক মাত্র জায়গা। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো সে দেশে ফিরে যেতো। কিন্তু আমি সবর করেছিলাম এবং আল্লাহর উপর ভরসা করেছিলাম। এর পরে আল্লাহর রহমতে সব কিছু সামলে নেই।আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। সব কিছু ঠিক হয়ে গেলো ,আর্থিক সমস্যা ও সমাধান হয়ে গেলো, এর পরে আমি দীর্ঘ ৫ বছর পরে ছুটি তে যাই পরিবারের সাথে দেখা করতে, এর পরে আলহামদুলিল্লাহ পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ৫মাস ১০ দিন ছুটিতে ছিলাম গিয়ে। ১বছর ৬ মাস হলো ছুটি থেকে আসলাম। আলহামদুলিল্লাহ এক মাস হলো আমার একটা কণ্যা সন্তান হয়েছে। আমি বর্তমানে কাতারে সুনামধন্য কোম্পানি NASTO international er (GEEPAS) কোম্পানিতে অবস্থান রত আছি ।
🫂🫂আমার প্রিয় ব্যক্তিঃ-❤️
আমার বাবা -মায়ের পরে যাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি সে হলেন আমার স্ত্রী- সন্তান ।
🌹যার অনুপ্রেরণায় আমি এতদুর পর্যন্ত আসতে পেরেছি।
তার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি আমার
♥️♥️প্রিয় মেন্টর প্রিয় স্যার, জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার। যার অনুপ্রেরণায় ভবিষ্যতে কিছু করার সাহস পাই।
🌹চাকরি করবো না চাকরি দিবো।
🌹স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন, লেগে থাকুন সফলতা আসবেই, ইনশাআল্লাহ।
স্যারের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে এবং স্যারের শিক্ষা বুকে লালন করে প্রবাস জীবনের পাশাপাশি আমিও শুরু করেছি নিজের উদ্দোক্তা জীবন।
কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রিয় স্যারের প্রতি।
🔰🔰আমার স্বপ্নঃ-
ছোটো বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল টাকা পয়সা ইনকাম করে গরীব দুখি ও ইয়াতিমদের পাশে দাড়াবো ইনশাআল্লাহ। এই সপ্ন পুরন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
এবার আমার লক্ষ্য এক জন সফল উদ্যোক্তা ও ভালোমানুষ হওয়া। সব সময় যেন মানুষের সেবা করতে পারি, সকলের কাছে আমি দোয়া চাচ্ছি,,
তবে আমার এবারের স্বপ্ন একজন সফল উদ্দোক্তা হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করা এবং দেশের মানুষের সেবা করা।
ইনশাআল্লাহ আমিও হবো একজন সফল উদ্দোক্তা।
🔰🔰বিজনেসের শুরুঃ-
ছোট বেলা থেকেই ব্যবসা পছন্দ করতাম। তাই ভাবলাম আমি ও কিছু শুরু করতে পারি অল্প করে হলে ও। বেশি দিন হয়নি আমার বিজনেসে আসা ০৭মাস হয়েছে।
২০২২ সালের নবেম্বর শুরুতে এক পরিচিত ভাইয়ের কাছ থেকে রিসেলিং শুরু করি কারণ আমার বিজনেসের তেমন সবকিছু সম্পর্কে আইডিয়া তৈরী করার জন্য। তবে প্রথম মাসেই আমি সবার সহযোগিতায় ১০,০০০ প্রফিট করি । এটা আমার অনেক বড় প্রাপ্তি বলে আমি মনে করি। তবে এটা সেল করি আমার পরিচিত মানুষের কাছে। এর পরে অপরিচিত মানুষের কাছে ও সেল করি, তারা
আামকে বিশ্বাস করেছিলেন। তাদের বিশ্বাস আমি ধরে রাখতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমানে আমার কিছু রিপিট কাস্টমার রয়েছে।
এরপর থেকে আমার সাহস আরও বেড়ে গেল। আমার মনে হল আমিও পারবো।
🌹প্রিয় প্লাটফর্মে আগমনঃ-
আমি এমন কিছু খুজছিলাম যেটা আমাকে ফ্রী'তে কিছু শিখতে সাহায্য করবে। কারন চাকরির পাশাপাশি সময় ও ছিলো না, প্রবাস জীবন খুবই ব্যস্ত জীবন হয়ে থাকে। তো হঠাৎ করে আমার একটা প্রবাসি আপু লিপি রহমান নদী( কমিউনিটি ভলান্টিয়ার) গাইবান্ধা জেলা লালমনির হাট।আপু বললো এই নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন প্লাটফর্মের কথা। তার পরে লিপি আপু বললো কি ভাবে কি করতে হবে। আমি লিপি রহমান নদী আপু কে বললাম সব সময় সময়তো পায় না। তবে আপু বললো আমি যেনো স্যারের ভিডিও দেখি তাই করলাম কাজের মধ্যে ফ্রি থাকলে ডিডিও দেখতাম সত্যি কথা আমার খুবই ভালো লাগলো। তার পর আপুকে বললাম কি ভাবে রেজিষ্ট্রেশন করবো? আপু আমাকে রিতা আক্তার আপুর আইডি দিয়ে মেসেজ দিতে বললো। কিছুক্ষণ পরে @anjana aktari rita আপুর ইনবক্সে নক দেই। আমি ডিটেইলস দেই আপাকে। তারপর @anjana aktar rita আপুর মাধ্যমে আমি প্রিয় প্লাটফর্মে রেজিষ্ট্রেশন করেছি। আপু অনেক সাহায্য করেছে আমাকে। এবং আমাকে আমার জেলা মেসেন্জার গ্রুপে এড হওয়ার জন্য সাহায্য করেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপুকে। এর পর আমি আমার ছোট ভাই,আমার পরিবারের ০৬ জন সদস্যকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে দেয়।
আমার ব্যবাসায়িক সকল কাজে আমাকে আমার ছোট ভাই সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং সে ও প্লাটফর্ম এর শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, দোয়া ও ভালোবাসা রইলো প্রিয় ছোট ভাই Delower hossain এর প্রতি।
🌹🌹প্লাটফর্ম থেকে শিক্ষাঃ-
আমি প্লাটফর্ম থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমি আগে কারো সাথে কথা বলতে গেলে ভয় লাগতো, ঠিক করে বলতে পারতাম না, কিন্তু এখন আমি কথা বলতে পারি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ফরিদপুর জেলা টিমকে, নিয়মিত সেশন চর্চার ক্লাসের আয়োজন করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ আমার কথা বলার জড়তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি এই প্লাটফর্মের জন্য।
🌹🌹স্যারের যে কথায় অনুপ্রাণিত হইঃ-
১.স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন, লেগে থাকুন,সফলতা আসবেই।
২.চাকরি করবো না, চাকরি দিবো।
৩.বৃষ্টি সবার জন্য পড়ে, ভিজে কেউ কেউ।
৪. নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করতে হবে।
৫. আমরা সবাই ভালো মানুষ।
তাছাড়াও প্রিয় প্লাটফর্মের শপথ বাক্য নতুন করে অনুপ্রেরণা দেয়।
🌻🌻বিজনেসের বর্তমান অবস্থাঃ-
এখনো বলার মতো কিছুই হয় নি তবে আলহামদুলিল্লাহ,আমার বিজনেস গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে । আমি প্রথমে ১০,০০০ টাকা ইনভেন্স করি। বর্তমানে আমার ৮০,০০০ টাকার পোডাক্ট বাসায় স্টক করে সেল করছি কিছু পোডাক্ট রিসেল ও করি।আলহামদুলিল্লাহ আমার বর্তমানে লেগে থাকার কারনে মোটামুটি সেল হচ্ছে । আরো একটিভ হলে ভবিষ্যতে আমি এক জন সফল উদ্যোক্তা হবো ইনশাআল্লাহ,
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
🌹🌹এই গল্প থেকে শিক্ষাঃ-
১.যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে,সাহস হারালে চলবে না, এবং ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।
২.নিজের লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে আমিও পারবো।
তাহলে আমরাও পারবো ইনশা-আল্লাহ।
🌹🌹আমার কাজঃ-
🏷️শাড়ি, লেহেঙা,থ্রি-পিছ,বেড কভার,
🏷️শার্ট , প্যান্ট, টি-শার্ট, কাতুয়া,শীতের পোশাক,গিফট কম্বো প্যাকেজ সহ ছেলে-মেয়েদের যাবতীয় পোশাক আইটেম।
🙏লেখার মাঝে ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
💖এতক্ষন গল্পটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
🏠🏠আমার পরিচয়ঃ-
🔰নামঃ- সেলিম আহমেদ
🔰ব্যাচ নাম্বার-১৮
🔰রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার-১০২০৩৩
🔰জেলা: ফরিদপুর
🔰উপজেলা : ফরিদপুর সদর
🔰প্রমোশন টিম মেম্বার
🔰 এগ্রো ফোরাম সদস্য
🔰এসো কোরআন শিক্ষা এর ছাএ
🔰নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের একজন আজীবন সদস্য
🔰বর্তমান অবস্থান কাতার
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে -৯৫৪
তারিখ ৩০-০৭-২০২৩