বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে প্রথম উদ্যোগের কাচামাল ও মেশিন দেশে ফেলে চলে আসি আবার সৌদি প্রবাসে।
বৃষ্টি ভেজা আমি
সালাহ উদ্দীন (বাচ্চু) সৌদি প্রবাসী
হবিগঞ্জ জেলা, দ্বিতীয় ব্যাচ, রেজিষ্ট্রেশন ৬২২,
★ হঠাৎ করে আবু কালাম ভাই আমাকে ফোন করে বলে। তোই ব্যাবসা করার জন্য দোকান খুঁজছিলে, এখন একটা দোকান পাওয়া গেছে। তাঁর ফোন পেয়ে আমি রিয়াদ মালাজ থেকে ইসকান ছলে আসি। এবং আবু কালাম ভাই কে সাথে নিয়ে দোকানের মালিক আবু আহাম্মদ এর সাথে কথা বলি।এবং সাথে সাথেই দোকান ভাড়া নিয়ে নেই। মজার বিষয় হল দোকানে কিছু মালামাল ছিল, সেই মালামাল সহ ভাড়া নিয়েছি। তাই ব্যাবসা পরিচালনা করিতে আমার কোন অর্থের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রথম অবস্থায় আমাকে অনেক টেনশনে করিতে হয়েছে। কারণঃ দোকান নিয়েছি কিন্তু আমি দোকানে আসিতে পারতেছিনা। আমি কপিলের দোকানে কাজে থাকার জন্য। তখন আমার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম ও খালাত ভাই রেজা কে দিয়ে ব্যাবসা পরিচালনা শুরু করি আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমাকে আমার কপিল কোন ভাবেই তার দোকান থেকে যেতে দিবে না। আমি দোকান নিয়েছি প্রায় মাস দেড়েক চলে গেছে। নজরুল ইসলাম ও রেজা মিলে মিশেই চালাচ্ছে। কিন্তু তেমন সুফল পাচ্ছি না। আবার লোকশান ও হচ্ছে না।
হঠাৎ করে এক দিন প্রচুর বৃষ্টি আসে। তখন ছিল শিতকাল। রাস্তাঘাটে পানি জমা হয়েগেছে, বাংলাদেশের মতো। কপিলের ৩ তলা বিল্ডিংয়ের সাথে তার একটা ছোট বাংলাঘর আছে। ঐ বিল্ডিংয়ের ছাদের পানি এসে হাঁটু পানি জমে যাচ্ছে বাংলা ঘরের ছাদের উপরে। কিন্তু ঐ ছাদ থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে ব্যাবস্তা ছিল, সব ব্যাবস্তা ময়লা আবর্জনায় বন্ধ হয়ে আছে, ছাদ থেকে পানি নামেনি। সেই পানি নিষ্কাশনের জন্য কপিল অনেকই বলেছে। কিন্তু বৃষ্টি ও ঠান্ডার জন্য কেহ রাজি হয় না। পরিশেষে আমাকে মোবাইল করে,বলে আমি কি মরে যাব। আমি বলি কি হয়েছে। সে বললেন আমার ছোট ঘরের ছাদে পানি জমা হয়েছে। পানির জন্য ছাদ ভেঙ্গে পড়িলে, নিচে পরে আমিত মরে যাব। আমি কপিলের কথা শুনে দেড়ি না করেই বৃষ্টিতে বিজে কপিলের বাসায় আসি।আসিয়া দেখি ছাদে অনেক পানি জমে আছে। কিন্তু ছাদে উটার কোন ব্যাবস্তা নেই। তখন তার বড় দোকান থেকে একটা শিড়ি নিয়ে এসে উপরে উঠি এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইব গুলো পরিষ্কার করে দেই। কিছুতেই এক্সট্রা পানি নিষ্কাশন হয়ে যায় এবং আমার উপরে বৃষ্টি পরতাছেই, বৃষ্টি পানিতে পুরাপুরি ভিজে গেছি। কপিল ও নিচে থেকে বৃষ্টিতে ভিজতাছে। আমি আমার কাজ শেষ করে নিচে নামতেই কপিল বললেন কি খাবে?
চা/গাওয়া । আমি বলি কিছু খাব না, খেতে হলে ভিজা কাপড় পরিবর্তন করে খাব।
তাবে আমার একটা চাওয়া।
কপিল বলিলেন কি?
আমি বললামঃ- আমি চাকরি করিব না। নিজে ব্যাবসার জন্য দোকান ভাড়া নিয়েছি। আপনার নামে কাগজ করে ব্যাবসা করিব। কপিল বলিলেন কোন সমস্যা নেই। যাও আজ থেকে, তুমি তোমার ব্যাবসা শুরু করেন। কিন্তু প্রতি মাসে আমাকে ফায়দা দিতে হবে। সেই বৃষ্টির দিন থেকে আমার প্রবাসে ব্যাবসা কার্যক্রম শুরু হয়, আলহামদুলিল্লাহ।
🛒 কয়েক বছর ব্যাবসা অতিবাহিত হওয়ার পর পরেই একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠার আগ্রহ জাগলো মনে। তখন থেকেই আমি ইউটিউবে বিভিন্ন ব্যাবসার আইডিয়া নিয়ে চার্জিং দেওয়া শুরু করি। হঠাৎ করে পেয়ে যাই প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটি ভিডিও। সেই ভিডিও থেকেই নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হই। তখন দ্বিতীয় ব্যাচ চলমান এবং ৬৪ জেলার ও ১১ বিদেশি প্রবাসী বাংলাদেশের ৬ হাজার তুরণ তরুণী যুক্ত ছিল, শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য। দ্বিতীয় ব্যাচ খুব সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করি। এবং দ্বিতীয় ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার জন্য আমি সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ চলে আসি। এবং সর্ব প্রথম আমাকেই, "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এর পক্ষে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয়েছে।
তখন উপস্থিত ছিলেন ৩/৪ জন সহ।
MD Ashraful Alam( মারুফ) ভাই
2nd Batch | Registration No: 08 |
Moderator & Dhaka Zela Ambassador
Co-Founder: @Enter24
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় ভাই কে।
আমি দেশে আসার ২/৩ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হয় নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর দ্বিতীয় ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান। এবং স্যার আমাকে ১১টা বিদেশর প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সম্মাননা পদক দিয়ে সকল প্রবাসীদের কে সম্মাননা করেন। তাই সকল প্রবাসীর পক্ষে প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
🌱উদ্যোগ গ্রহণ: প্রবাসে আর নয়, দেশে একটা কিছু করিব এনিয়ে পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ছোট পরিসরে পরিচালনা শুরু করি। ২০১৮ সালে দেশে আসার পরে একটা মাত্র প্রডাক্ট নিয়ে। সেই প্রডাক্ট এর জন্য মেশিন ও কাচামাল নিয়ে কিন্তু তাহা ১০০% কেমিক্যাল দিয়ে তৈরী। [বি,এস,টি,আই ] এর সিলেট আঞ্চলিক অফিসে যোগাযোগ করি। এ প্রডাক্ট নিয়ে ব্যাবসা করার জন্য মতামত প্রকাশ করি। তখন তারা বলে আপনাকে দেখা যায় ভালো মানুষ , তাহলে এ নিয়ে ব্যাবসা করিবেন কেন। তবে করিতে পারিবে কোন সমস্যা নেই। এটার [BSTI ] এর সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে না। তাদের কথায় আমার মন ভেঙ্গে যায়। তাই অন্য কোন প্রডাক্ট নিয়ে ব্যাবসা শুরু করার পরিকল্পনা করিতে হবে। সারাদিন গুড়ে ফেড়ে বাসায় আসি। আসার পর ফ্যামেলি থেকে আমাকে ব্যাবসার জন্য অনুমতি দেয় না। সারাজীবন প্রবাসে ছিলাম বলে।তারা মনে করে আমি দেশের কিছুই বুঝি না। এবং মুলধনের ও সমস্যা। যাহা ছিল তাহা ভিন্ন ভাবে খরচ হয়ে গেছে। এ দিকে আমার ও ছোটির দিন শেষ হয়ে আসিতেছে। আমার ফ্যামেলি চায়না। আমি দেশে ব্যাবসার জন্য ভিসা নষ্ট করি। কারণ বিদেশে আমার ব্যাবসা আছে এবং আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছে। বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে প্রথম উদ্যোগের কাচামাল ও মেশিন দেশে ফেলে চলে আসি আবার সৌদি প্রবাসে। প্রবাসে এসে আবার মনযোগ দিয়ে নিজের ব্যাবসায় সময় দেই এবং নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে গুরুত্ব সহকারে শিক্ষা গ্রহণ করা শুরু করি।তাই সেই গ্রুপ থেকে পেয়ে যাই প্রবাসীদের জন্য দিক নির্দেশনা। প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের কিছু পোস্টে। যাহা সকল প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যাহা রোজী করি সব টাকাই আমরা ফ্যামেলিতে পাঠিয়ে দেই, এটা আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত। আমাদের কিছু সঞ্চয় করা প্রয়োজন। এবং
প্রবাসে থেকেই আমরা দেশে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে, বিদেশ জীবন ত্যাগ করা। যাতে দেশে গিয়ে বেকার না থাকতে হয় এক দিন ও। এবং ব্যাবসার নামে নিজের টাকা অন্যের হাতে তুলে না দেওয়া।
✈️অনেক গুলো বিবেচনা করে প্রবাস থেকে ১০ বছরের একটা পরিকল্পনা করি। আগামী ১০ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চাই। এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করি। এ পরিকল্পনায় ছিল ফ্যামেলির সবার জন্য সুন্দর একটা বাড়ি, নিজেদের জন্য একটা কোম্পানি, এবং এলাকায় উন্নয়নের জন্য মা,বাবার নামে একটা ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।এছাড়া অর্থ এলাকার বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য, একটি উদ্যোক্তা লাইব্রেরী। যাহা হবে প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের নামে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমি কিছু সমস্যায় পড়ি । কিন্তু আমি ভেংঙ্গে পরিনি। নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য লেগে থাকি। এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ আমি আমার পরিকল্পনার সব গুলি পূর্ণ করিব ইনশাল্লাহ। আমি আমার প্রবাস জীবন শেষ করার পূর্বে
শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার সেরা বাগানের সেরা চা নিয়ে, চায়ের কোম্পানির জন্য "গল্প চা " নামে ট্রেডমার্ক করি, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর প্রিয় ইসমত হাসান ভাই এর মাধ্যমে। সে মডারেটর ও ঢাকা জেলা এম্বাসেডর
মেম্বার রিসার্চ অ্যান্ড প্রোমোশন টিম
ব্যাচঃ ৬,রেজি.নংঃ৯২৫৩,জেলাঃফেনী
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে -৯৫৪
তারিখ ৩০-০৭-২০২৩