এই ফাউন্ডেশন থেকে আমি প্রতিনিয়ত শিখেই চলেছি নতুন নতুন বিষয়....
🕋বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
🙋আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
🤲সকল প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন সুস্থ রেখেছেন, দুরুদ ও সালাম হযরত মুহাম্মদ (স) এর প্রতি যিনি পৃথিবীতে এসেছেন সমস্ত মানব মুক্তি ও কল্যাণের অগ্রদূত হিসেবে।
❤️শ্রদ্ধা ভরে সম্মান করছি প্রিয় বাবা মায়ের প্রতি যাদের উসিলায় সুন্দর এই পৃথিবীতে এসেছি বড় হয়েছি,তাদের ভালোবাসায় ঋণ কখনো শোধ হবেনা।
💖কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর (Iqbal Bahar Zahid) স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে ও ভালোবাসায় আমরা পেয়েছি এই ভালোবাসার প্ল্যাটফর্ম। প্রিয় নিজের বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা( জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার ) ও সকল কোর ভলেন্টিয়ার সহ মডারেটর ও কান্ট্রির এম্বাসেডর এবং থানা এম্বাসেডর ও কমিউনিটি ভলান্টিয়ার আজীবন সদস্য ভাই ও বোনদের প্রতি সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
✍️ জীবনের গল্প সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা পূর্ণতা অফুরন্ত সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়েই আমাদের জীবনকে মহান আল্লাহ-তাআলা প্রতিটা মানুষের জীবনে নানা সুরে বেধেছে প্রত্যেকের জীবন। আমার জীবনেও কিছু সুখ ও দুঃখ আছে সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু প্রকাশ করব ইনশাআল্লাহ।
👨✈️শৈশব যেভাবে কেটেছে---👨✈️
👨👨👦👨✈️আমার জন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে, 👨✈️আমি মোহাম্মদ সুমন হাউদ, জন্ম ১৯৮৪ সনে ঢাকায়। ১৭ শান্তিবাগ,পোঃ শান্তি নগর,থানা পল্টন। 👨👩👧👦👨👨👦আমরা চার ভাই এক বোন । আমার মা একজন আদর্শ মা ও গৃহিণী। আমার বাবা একজন ছোট খাটো ব্যাবসাহিক ছিলেন ।
✍️ আমার পরিবার ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আমার শৈশব কেটেছে ঢাকা শান্তি বাগ,গোলবাগ এবং রাজার বাগ পুলিশ লাইনে। সবার মত আমারও শৈশব অনেক সুন্দর কেটেছে যখন বুঝতে শিখেছি গোলবাগ প্রাইমারি স্কুলে আমার বড় ভাই ভর্তি করে দেন। প্রাইমারি পাশ করার পর শান্তিবাগ স্কুলে এন্ড কলেজ হাই স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে থাকি আর খেলাধুলা করে খুব ভালোই কাটলো শৈশব কাল। অনেক সুন্দর একটি পরিবার ছিল আমাদের সাজানো গোছানো সংসার।
♥️👨👩👧👦🌹👉আমার মা বাবা এক ভাগিনাকে নিয়ে কিছু কথা👈---
এবার বলি আমার মায়ের কথা,আমার মা একজন সৎ ও ভালো মনের মানুষ । তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। আমার মাকে পাড়া-প্রতিবেশী খুব ভালোবাসতো।আমর মা আমার পোড়া শোনা জন্য SSC পরিহ্মার রেজিস্ট্রিশ ফিস দেয়ার জন্য মায়ের গলার হার বিক্রি করে দেন🥲। 📖কিন্তুু ভাগ্য কর্মে পরীক্ষা আর দেয়া হইনি। আমার বাবা ছিলেন অতি সহজ সরল সাদা সিদা মনের মানুষ। আমার বাবাকে কোন দিন দেখিনি একটা পিপড়া বা মুশা মাছি মারতে।যদি মুশায় কামরাত তা হলে হালকা ভাবে টোকা দিয়ে উরিয়ে দিত। আমার বাবা আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন।
✍️শান্তিবাগ বাজারে আমার বাবার মাছের দোকান ছিল,এক দিন সকাল বেলা মাছের আড়তে ফকিরা পুল যাওয়ার সময় ব্যাবসাহিক পুরো মূলধন আমি হারিয়ে ফেলি কিন্তু 💵 টাকা হারিয়ে ফেলেছি বাবা কিছুই বলেনি,আমাকে শুধু বলে ছিল বাবা তুইত হারিয়ে যাসনি। যেই পথে পথে গিয়ে ছিলাম আবার সেই পথে আসার সময় টাকা টা কুরিয়ে পেলাম। আল্লাহ্ পাক সেই টাকা আমায় মিলিয়ে দেন। আমার মনে বিশ্বাস ছিল টাকা টা পাবো এবং ভোর সকল বেলা, মানুষ শূন্য রাস্তা ঘাট সব চেয়ে বড় কথা হলো সাত জন মানুষের রিজিকের টাকা।আমি আমার বাবাকে নিয়ে সব চেয়ে বেশি গর্ব করি,কারন আমার বাবা ছিলেন একজন শৎ মানুষ।
কোন দিন কাওকে কটু কথা বা কারো সাথে রাগ করে কথা বলতেন না এবং সব সময় সবার সাথে বিনয় হয়ে কথা বলতেন।
আমি আমার বাবার কথা অনুযায়ী চলতাম কোন দিন বাবার কথার অবাধ্য হতাম না। 😭😭আজ বাবা নেই ২০২৩ সালে ১৩ রমজানের ইন্তেকাল করেন,প্রবাসী জীবন হওয়াই বাবাকে মাটি দেয়ার সুভাগ্য হইনি, এইটা যে কত বড় একটা যন্ত্রণা দায়ক বলে বুঝতে পারবো না। যে মানুষ টা আমাকে এত ভালো বাসত মৃত্যু সময় আমাকে কাছে পায়নি,সুদু ভিডিও কলে দেখেছি🥲😭।বাবা আমার জন্য চোখের পানি ছেড়ে দোয়া করছে এবং বিড় বিড় করে হয় ত বলতেছে তর মাকে আর তর বড় বোনকে ছোট ভাইকে দেখে রাখিস কারন আমার দুলাভাই মারা গেছে ২০১২ সালে ডুবাইতে।
👉✍️সেই থেকে আমার বোন এবং বাগিনা বাগনিকে আমি আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসি। আমার বোনের এক ছেলে এক মেয়ে। আমি ২০১৯ সালে যখন সফরে গেলাম বাড়িতে তখন আমার ভাগিনা বললো মামা আমি পুলিশ এর চাকরি করবো, যেই কথা সেই কাজ, আমি আর আমার ভাগিনা সব কাগজ পত্র রেডি করে ফেললাম এবং ভাগিনা ভাগ্য র্কমে সব পরীক্ষায় পাশ করে পুলিশ হয়ে গেল👮♂️🚓। আমি ভাগিনাকে বললাম বাবা তর যদি চাকরি হয় শুধু তর মায়ের দোয়ার কারনে হবে,ভাগিনা আমায় বলল মামা আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন,আপনি আমার বাবার সমতুল্য ছোট বেলা থেকে আপনি আদর সোহাগ দিয়ে মানুষ করলেন আমি বললাম বাবা আমার সব দোয়া তর জন্য। একদিন আমার ভাগিনা তার মায়ের সাথে গল্প করছে, মা জানো মামা কি করছে,আমি যখন পুলিশের চাকরির জন্য মাঠে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম কিছুটা সময়ের জন্য গেটের সামনে আসি এসে দেখি মামা আমার জন্য দুইটা ডাব এক বতল পানি নিয় দারিয়ে আছে আমার জন্য। ভাগিনা আমায় বলল মামা আপনি কি ভাবে জানেন আপনার সাথে আমি সুযোগ পেলেই আপনার সাথে দেখা করবো আমি বললাম বাবা অনেক রোদ তাই তর জন্য ডাব আর পানি বিস্কুট কিনে দারিয়ে আছি তুই যদি কোন এক ফাকে আসিস তাই এগুলো নিয়ে দারিয়ে আছি তকে খাওয়াব বলে। তখন ভাগিনা বললো এই দুইটা ডাবের ওজন কত জানেন! রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন ডাব নিয়া তখন ভাগিনার চোখের দিগে তাকিয়ে দেখি চখের পানি টলমল করছে আমি ভাগিনাকে বললাম কিরে তর চোখ গুলো কেমন যেন দেখাচ্ছে তখন বলল মামা আমাকে এত ভালো বাসেন কেন? আমি বললাম দুই আমার এক মাত্র বোনের এক মাত্র আমার ভাগিনা তুই আমার বড় ছেলে। জানেন আমার এই ভাগিনা ও আমায় ফাকি দিয়ে চলে গেল। পুলিশের চাকরিরত অবস্থান নরসিংদী পুলিশ লাইনে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে স্টক করে হাসপাতালে নেয়ার সময় মৃত্যু হয়
😭🥲😭😭 (প্রবাসীর কান্না)
✍️ প্রবাসীদের জীবনে তারা কত প্রিয় মানুষ কে হারায়,দেখা ত দুরের কথা কবরে দুই মুঠো মাটি দেয়ার সুভাগ্য হয় না তাদের। আমার ছোট ছেলেটি পাঁচ মাস বয়স, এখনো কুলে নিয়ে আদর করার সৌভাগ্য হয়নি 🥲। প্রবাসীরা বুকের এক কোনে কষ্ট লুকিয়ে রেখে সুই সুতা দিয়ে শিলায় করে আবার প্রবাসীরা জীবনের চাকা চালায়। প্রবাসের কষ্ট শোনার মত মানুষ নাই ।🥲
👉ছাত্র জীবনের যুদ্ধ,👈
✍️ 👨✈️📖 আমার শুভাগ্য হয়ে ছিলো নবম শ্রেণি পর্যন্ত পোড়াশোনা করার। ১৯৯৭ সনের কথা আমি ষষ্ট শ্রেণি থাকা কালিন আমার প্রাইভেট পড়ার জন্য টাকা আমি নিজেই উপার্জন করতাম।
প্রতি দিন সকাল ভোরবেলা আমি শান্তিবাগ থেকে কমলাপুর পায়ে হেটে এসে আমি পত্রিকা নিতাম,কারন আমি বাড়ি বাড়ি পত্রিকা বিলি করতাম। কিছু দিন যাওয়ার পর মালিক পক্ষ সাইকেল কিনে দিল। কমলাপুর থেকে পত্রিকা নিয়ে মতিঝিল এজিবি কলোণি তে পত্রিকা বিলি করতাম,শুরুতে ৫০পিছ হলে ও পরে আমি ১০০,১৫০পিছ পেপার বিলি করতাম। এক বছর করার পর ছেড়ে দিয়ে পরে মৌচাক র্মাকেটের নিচ থেকে পত্রিকা নিয়ে আমি মগবাজার এরিয়া সোহাগ পরিবহন অফিস কাউন্টার সহ প্রতি দিন ২০০শ পত্রিকা বিলি করতাম মাসে বেতন ছিল ছয় শত টাকা।
এ টাকা দিয়ে আমার পোড়াশোনার খরচ চালাতাম। রমজান মাসে স্কুল বন্ধ থাকার কারনে মৌচাক মার্কেটে আনারকলি মার্কেট দোকানে এক মাসের জন্য কাজ করতাম শুধু ঈদের সিজিনে। যে টাকা পাইতাম ঈদ আমার সুন্দর মতো হত এবং বাবা মা ছোট ভাইকে ও জামা কাপড় কিনে দিতাম। এই রকম করে আমি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করি। সংসারে অভাব ছিল , আমার আব্বা আগের মত কাজ কর্ম করতে পারত না বয়সের কারনে। আমার আব্বা স্বাধীনের আগে থেকেই ঢাকায় থাকতেন। ওনার জীবনে অনেক রকমের পরিশ্রমের কাজ করছেন। আমার আব্বা ছোট থাকতেই আমার দাদা দাদি মারা জান। সেই থেকে ওনার জীবনে কষ্টকরা শুরু হয় এবং আমাদের চার ভাই এক বোন কে মানুষ করেন।২০০১সালে আমার স্ব-পরিবার বাড়িতে চলে আসি সোনারগাঁও মদনপুরে।
👉শুরু হলো কর্মজীবন👈
✍️ 👨✈️২০০১ সালে শুরুর দিকে পড়াশোনা ছেড়ে ঢাকা শান্তিনগর প্লাজায় একটি নতুন অফিসে চাকরি নেই মোটামুটি ভালো টাকায় বেতন পেতাম । পোল্ট্রি মুরগির মেডিসিনের অফিস।স্যারের ব্যাবসা ছিল নতুন সবে মাত্র শুরু করছে। স্যার সহ আমরা পাঁচ জন আফিস করতাম। এক বছর পর্যন্ত আমি পিয়নের এবং মাল ডেলিভারি দুই টা কাজ আমি করতাম। দুই বছরে মধ্যে আমাদের কোম্পানি বড় হয়ে সারা বাংলাদেশ নাম ডাক হয়ে গেল। আমাদের কোম্পানির মাল আমি বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্মে,যেমন কাজি ফার্মে, নারিস ফার্মে, ব্রাক ফার্মে,এবং ফ্রেশ কোম্পানিতে টনের টন মেডিসিন ডেলেভারি দিতাম, সারা বাংলাদেশ বেশির ভাগ জেলায় আমি ভ্রমন করেছি মেডিসিন ড্যালিভারি দিয়ার সুবাদে। তখন ভালো টাকাই ছেলারি পেতাম আমি, বিশেস করে স্যার আমাকে আনেক ভালো বাসতেন,স্যার সহ সবাই হিন্দু র্ধমের ছিলেন আমি একাই মুসলিম ছিলাম। ঈদ আসলেই আমাকে ফুল বোনাস দিতেন এবং আলাদা একটা খাম দিতেন যা বেতনের দুই গুন থাকত।
✍️আমি একটা বড় ভুল করে ফেলি ড্রাইভিং শিখে🚗 গাড়ি চালানোর নেশায় পায় আমায়। আমাদের আরেক কোম্পানি ছিল মদিনা ডাইং এর ড্রাইভার তুহিন ভাই এর কাছে ড্রাইভিং কমপ্লিট করি।তুহিন ভাই খুব ভালো মনের মানুষ।তিনি এখন আমার বন্ধু। 👫👩❤️👩২০০৫ সালে আমি বিয়ে করি।বিয়ের কথা শুনে স্যার আমাকে বেতন বাড়িয়ে দিল।২০০৫ সাল পর্যন্ত ভালো ভাবে চাকরি করি এই বছর শেষের দিকে এসে আমার ম্যানেজার স্যার এর সাথে কোন একটা বিষয় নিয়ে ভুল বুজা বুজি হয়,পরে আমি চাকরিটি ছেড়ে দেই, আমারই ভুল ছিল।🙏🥲
🚘🚛 👉(ড্রাইভিং র্কম জীবন) 👈🚗
✍️ প্রফেশনাল ভাবে ২০০৫ সালের শেষের দিকে নতুন ড্রাইভিং চাকরি নিলাম ঢাকায়, বাড়ি থেকে ঢাকা আসা যাওয়া করে চাকুরী করতে সমস্যা হইত। তার পরও দুই তিন বছর চাকুরী করে ছেড়ে দিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ বিসিকে র্গামেন্টস প্রতিষ্ঠানে ডেলেভারি গাড়ির ড্রাভার এর চাকুরিী নেই।
চার পাঁচ বছর হয়ে গেল চাকুরীর বয়স। যা বেতন পাইতাম সংসার চালাতে কষ্ট হইত কারন বাবা মা ভাই এবং আমি তখন দুই সন্তানের বাবা। পরে আমার বাবার সাথে পরামর্শ করি,যে বাবা আমি যে টাকা বেতন পাই এই টাকা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয় কি করা যায়।
তখন আমার বাবার একটা জমি বিক্রি করে চার লাখ টাকা আমকে দেয় বিদেশ যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমি বিদেশ গিয়ে চাকুরী করব আমার পছন্দ ছিলোনা। পরে বাবার সম্মতিতে আমি একটা নারায়ণগঞ্জের রেজিস্ট্রেশন করা🚗 CNG নতুন গাড়ি কিনি।
আমি চাকুরী করি সেই পাশাপাশি CNG গাড়িটা ভাড়া দিতাম এখন আমার সংসার মোটামুটি ভালোই চলছিল আট নয় মাস যাওয়ার পর দেখি আমার গাড়ির জমা ঠিকমতো পাচ্ছিনা অনেক সমস্যা করতেছে ড্রাইভার। পরে আমি আমার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ২০১০ সালে আমার নিজের CNG চালানো শুরু করি ভালোই চলছিল। আমাদের পুরোনো ঘড়টা বেশি একটা ভালো ছিলো না কিন্ত CNG চালিয়ে বাড়িতে একটা ঘর দেই এবং সংসারে অভাব অনাটন নাই বললেই চলে।
✈😭👉প্রবাসী জীবন 👈✈️
✍️ পাঁচ, ছয় বছর CNG চালানোর পর ২০১৬ সালে সরকার মেইন রোডে বা সরকে cng চালানো নিষেধাজ্ঞা জারি করে🥲,আমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের মদনপুর হওয়াই কারন আমার বাড়ি থেকে বের হলেই মেইন রোড হাইওয়ে রোড় তাই অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হলাম পাঁচ ছয় মাসে আমার অবস্থা খারাপের দিকে চলে গেল,কামাই রোজগার নাই ।
👨👩👧👦সংসার আমার চলছিলনা,কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। মা বাবা, বৌ,ছেলেদের নিয়ে একটা বড় সংকটে পরে গেলাম,গাড়ি নিয়ে বের হতাম অলি গলি দিয়ে চালাতাম কিন্তু তেমন আয় রোজগার হতনা তাই দুপুর বেলা না খেয়ে থাকতে হত ।
যখন আমি মেইন রোডে গাড়ি চালাতাম তখন আমার টার্গেট ছিল প্রতি দিন বার শত থেকে পনের শত টাকা। টার্গেট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরতাম না জেদ করতাম। আলহামদুলিল্লাহ্ মোটামুটি কম বেসি ইনকাম হইত। এখন আমার অবস্থা খারাপের দিকে এমন সময় আমি একটা কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসার খবর পাই আমার ভাই এর মাধ্যমে।✈️ পরে গাড়ি বিক্রি করে ২০১৬সালে আমি কুয়েতে চলে আসলাম, মোটামুটি কিছু টাকা ঋণে পরে গেলাম, আবার নতুন জীবন শুরু করলাম,ভাষা বুঝতাম না কাজ আর কাজ,এই দেশের কালচার আমার দেশের কালচার এক না, তাই প্রচুর সমস্যা হইত।🥲প্রচুর তাপের কারণে নাক দিয়ে রক্ত পরত ঝর ঝর করে, এই দেশের আবওয়া খুবই জঘন্যতম । নতুন অবস্থায় আমার বেতন ছিল কম মোটামুটি সংসার চালাতে পারতাম। অনেক সময় ভাবতাম দেশে চলে যাই, পরিবারের কথা ভাবলে আর দেশে যাওয়ার ইচ্ছা হতনা কিছুই ভালো লাগত না। যাক যত দিন যাচ্ছে তত পুরোন হতে লাগলাম ভাষা কিছুটা বুজি পরিবেশ সুট করল আর সমস্যা হচ্ছিলনা ধিরে ধিরে আমার বেতন ও বারলো। এখন আলহামদুলিল্লাহ্ মোটামুটি ভালো একটা এমাউন্ট বেতন পাই শুকরিয়া আল্লাহ্।ছয় বছরে দুই বার দেশে গেলাম এখন সাত বছর চলছে। বিদেশের বাড়িতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় রাত দিন সমান।সাত বছর যাবত ৪,৫ ঘন্টা ঘুম কি বলতে পারিনা দুই বারে তিন বারে এই ঘুম পূরণ করতে হয়।
💖🔎👉 ফাউন্ডেশনে আসার গল্প👈▶️🔎👈
✍️করোনার সময় সরা বিশ্ব অফিস আদালত কাজর্কম সব বন্ধ ছিল,রোম থেকে বাহির হতাম না,একা একা রুমে থাকতাম আর টেলিভিশন ও মোবাইল দেখতাম। এমন সময় দেখি ▶️🔎ইউটুবে স্যার এর একটা ভিডিও উদ্যোক্তা কি ভাবে হওয়া যায়, এই রকম ভাবে আমাদের ফাউন্ডেশনের অনেক ভাইয়া আপুদের জীবনের গল্প শুনেছি। আমার কাছে খুব ভালো লাগত। মাঝে মাঝে দেখতাম স্যারে ভিডিও গুলো আর মনে মনে ভাবতাম আমি ও উদ্যোক্তা হব বা ব্যাবসা করব।অনেক দিন যাওয়ার পর ২০২৩সালে জানুয়ারি মাসে ফেইসবুকে মেজবাহ রহমান ভাই এর একটা ভিডিও দেখলাম নিজে বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে বলতেছেন কি ভাবে রেজিস্ট্রেশন করে যুক্ত হতে পারবেন। পরে আমি আমার একটা ছবি পোস্ট করলাম রেজিস্ট্রেশন করতে চাই।
💐💐রেজিস্ট্রেশন করতে সাহায্য করেন ইয়ানা ইসলাম বৃষ্টি আপু। আমি বাংলাদেশ টাইম রাত আনুমানিক বারোটা বা একটা সময় হবে ছবি টা পোস্ট করেছিলাম, সেই সময় আপু আমকে মেসেনজারে নক করে বললেন রেজিস্ট্রেশন লিংক দিলে করে নিতে পারবেন, আমি বললাম পারবো। লিংক পেয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিলাম। আপুর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
♥সর্ব প্রথম কুয়েত কান্টি এম্বাসেডর এমডি খাইরুল ইসলাম ভাই NRB Kuwait শৃঙ্খলায় একধাপ এগিয়ে মেসেঞ্জারে যুক্ত করে দেন
♥ নারায়ণগঞ্জ জেলা এম্বাসেডর শামীম বাটিক ভাই আমার নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জ ৫ মেসেঞ্জারে যুক্ত করে দেন।
♥ মালশিয়ান কান্টি এম্বাসেডর এমডি সোহেল আরমান ভাই আমার নিজ উপজেলায় সোনারগাঁও মেসেঞ্জারে যুক্ত করে দন
🤲ভাইয়া দের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
♥️এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে সবার ভালোবাসা পেয়েছি, আজ আমি নিজের জীবনের গল্প লিখতে পেরেছি, তার জন্য বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল দায়িত্বশীল এবং ভাই ও বোনদের, যারা আমার জীবনের গল্প লেখার উৎসাহ দিয়েছেন,
সবার জন্য আমার মন থেকে দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
চাকরি করব না চাকরি দিব এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ।
🤲আমার উদ্যোগ🤲
✍️আমাদের এলাকাতে আগে গ্যাসের লাইন ছিল ৷ ইদানিং গ্যাসের লাইনে প্রচুর পরিমাণে সমস্যা থাকার কারণে প্রতিটা বাড়িতে রান্না-বান্নার কাজে প্রচুর সমস্যা হচ্ছে ৷ এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমি এল.পি.জি সিলিন্ডার গ্যাস নিয়ে কাজ করছি ৷ আমি এল.পি.জি গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল গুলো হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকি ৷ এর পাশাপাশি আমি শাড়ি ও থ্রি-পিস নিয়ে কাজ করছি ৷ আমার একটি স্বপ্ন আছে ৷ আগামীতে আমি একটি সুপার শপ দিব ৷ সেই স্বপ্নকে লালন করেই ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ৷ ফাউন্ডেশনে আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইয়া ও আপু দের সবার প্রতি রইল আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন এবং সব সময় আমার ও আমার উদ্যোগের পাশে থেকে সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সকলের প্রতি ৷
♥প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষাঃ
মানুষের জীবনে শিক্ষার কোনো শেষ নাই। এই ফাউন্ডেশন থেকে আমিও প্রতিনিয়ত শিখেই চলেছি নতুন নতুন বিষয়। এর মধ্যেঃ
👉 জীবনে বড়, সফল ও সুখী হবার জন্য পজিটিভিটির কোনো বিকল্প নাই।
👉 সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে সততা ও কমিটমেন্ট।
👉 সময় নিন, সময় দিন,সময় বদলাবে, সময়ই সব ঠিক করে দিবে।
👉 যে নিজেকে ভালো রাখে এবং অন্যকেও ভালো রাখে - তিনিই একজন ভালো মানুষ।
👉 জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে একজন ভালো মানুষ হওয়া।
👉 জীবনে এগিয়ে যাবার কোনো চমক দিতে পারে শুধু মাত্র মা বাবার দোয়া।
♥ প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে অর্জনঃ
♥ভালোবেসে এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছি ২১তম ব্যচ থেকে। এখানে পেয়েছি ভালো মানুষদের একটি বাগান। এই বাগানে উদ্যোক্তা হওয়ার পথে হাঁটছি। আশা নয় বিশ্বাস করি ভালোবেসে সবাই পাশে থাকবেন।
👉 আমার বাস্তব জীবনের গল্পটি মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।সকলে ভালবেসে লাইক কমেন্ট করবেন। প্রিয় ভাইয়া ও আপুরা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার লেখায় ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
👨✈️✍️(আমি মোঃ সুমন হাউদ)
✅ব্যাচঃ ২১
✅রেজিঃ ১১৪২৬০
✅জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ
✅উপজেলাঃ সোনারগাঁও
✅বর্তমান অবস্থানঃ কুয়েত
( যুক্ত আছি NRB KUWAIT টিমের সাথে )
স্যাটাস অব দ্যা ডে ৯৫৭
তারিখ ১১-০৮-২০২৩