পটুয়াখালী জেলার জুবায়ের হোসেন বিজয় ভাইয়ের জীবনের গল্প।
🌹🌹আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। প্রথমেই শুকরিয়া জ্ঞাপন করি সেই মহান রাব্বুল আলামিন এর কাছে। যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে এবং এখনো পর্যন্ত তার রহমত বর্ষণ করছেন আমার উপর। এবং তার রহমতে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছে এজন্য তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ।🌹🌹
⭐অল্প অল্প করে জীবনের গল্প ঘরে ঘরে সাজানো তো থাকবেই⭐
👌এরই ধারাবাহিকতায় আমার জীবনেও রয়েছে একটি ছোট্ট গল্প👌
✍️আসলে সবার জীবনে কোনো না কোনো গল্প থাকে তেমন করে আমার জীবনের গল্পটিও আমি আপনাদেরকে শোনাবো আজকে✍️
🌹🌹দয়া করে সবাই গল্পটি পড়বেন।🌹🌹
🌿🌹 লাখো কোটি দরুদ পাঠ করতেছি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর উপরে যার উম্মত হয়ে দুনিয়াতে আসতে পেরেছি🌿🌹
🥰🥰 আরো ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকলের চোখের মনি। যাকে নিয়ে আমরা সবাই গর্ব করি উদ্যোক্তা গড়ার কারিগর। যিনি তৈরি করেছেন হাজারো উদ্যোক্তা যিনি সাহস যুগিয়েছেন হাজার মানুষের মনে সে আর কেউ নয় আমাদের সবার প্রিয় আমাদের মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid এর প্রতি🥰🥰
আর স্যারের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি একজন উদ্যোক্ত হতে যাচ্ছি যে আমি ছিলাম অন্য কারো চাকরি করতাম।সেই আমি এখন নিজেই চাকরি দেয়ার জন্য চিন্তা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আর এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের জন্য।
চলুন জেনে নেয়া যাক আমার জীবনের গল্প। এখান থেকে অনেকেই অনেক কিছু শিখতে পারবেন তো চলুন শুরু করি আমার গল্পটি।
🏛️জম্ন ও পরিবার :
আমার জন্ম বরিশাল জেলার, আগৈলঝাড়া থানার একটি গ্রামে। যদিও গ্রাম বলা চলে না। তবুও গ্রামের নামটি বলতে চাচ্ছি না এটি আগৈলঝাড়ার প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। ছোটবেলা থেকে এখানেই বেড়ে উঠেছি। বেশিরভাগ সময় এখানেই থেকেছি। আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। সেই সুবাদে যদিও তার সাথে অনেক জায়গায় ঘোরা হয়েছে কিন্তু এইখানটায় জীবনের বেশিটা সময় পার করেছি। আমার বাবার জন্মস্থান মানে আমার দাদা বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানায় অবস্থিত। আর এখন বর্তমানে আমি ওখানেই আছি। আর আমার দাদা-দাদী তাদের কে কখনোই আমি দেখিনি। এবং নানা-নানীর আদরও কখনো পায়নি।আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি তখন আমার নানি মারা যায় আর এর আগেই আমার দাদা-দাদি এবং নানা মারা যায় ।সুতরাং তাদেরকে আমি দেখিওনি এবং কারো কথা মনেও নেই আর তাদের আদরও পায়নি কখনো।
💥 আমার শৈশব:
আলহামদুলিল্লাহ আমার শৈশবকাল ছিল অনেক ভালো। যদি আমি কখনো কারো সাথে খেলাধুলা করতে পারিনি তেমন। কারণ বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় থাকা হতো তাই কোন আত্মীয়-স্বজন বা মামাতো খালাতো ভাই বোন আমার ছিল না তাদের সাথে কখনো দেখা হয়নি। যদিও আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বড় হয়েছি সেই সব জায়গায় বন্ধু বান্ধবের সাথে আমার সময় গুলো ভালই কেটেছে। এবং আমি ছাত্র হিসেবেও মোটামুটি ভালোই ছিলাম ।আর ছিলাম খুব হাসি খুশি ও শান্ত স্বভাবের ।যদি একটু দুষ্টুমি করতাম তবে সবকিছু মিলিয়ে ভালোই কেটেছে আমার শৈশব। কারো আদর না পেলেও কারো বন্ধুত্ব না পেলেও আমার বাবা-মা এবং আমার বোনদের আমি অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। যেহেতু চার ভাই বোনের ভিতরে আমি ছিলাম সবার ছোট ।আর আমার বাকি তিন বোন আমার বড় তো তারা আমাকে খুব আদর করত আর সেই দিনগুলো আমার এখনো মনে পড়ে।
💥 আমার পড়া লেখা :
আসলে আমার পড়ালেখার জীবনটা একটু সবার চেয়ে আলাদা ।কারণ আমার বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হতো আর আমরাও পুরা ফ্যামিলি তার সাথে সাথে যেতাম। তাই আমার এবং আমার বোনদের পড়ালেখায় বিভিন্নভাবে সমস্যা হতো ।যদিও কিছুদিন পরপরই নতুন নতুন স্কুলে ভর্তি হতে হত আর নতুন নতুন বন্ধুবান্ধব পেতাম ।আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি তখন আমার বাবার নতুন করে বদলি হয়। এবং আমার বাসা থেকে আমার স্কুলের দূরত্ব ছিল প্রায় ৮ কিলোমিটার এবং সেখানে আমি বিভিন্ন ভাবে গাড়ি, রিক্সা, ভ্যান বিভিন্নভাবে যেতাম। যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি ।তখন আমার বাবার একটি সাইকেল ছিল সেই সাইকেল নিয়ে মাঝে মাঝে যেতাম। আমার পড়ালেখা জীবনের আরো মজার বিষয় হলো আমি স্কুল মাদ্রাসা কলেজ বিভিন্ন জায়গা থেকে পড়ালেখা করেছি। এবং অভিজ্ঞতাগুলো বিভিন্ন। তবে ইস্কুল মাদরাসায় বা কলেজে সব জায়গায় আমি ছিলাম সবার প্রিয়। কারণ মোটামুটি পড়ালেখায় ভালো ছিলাম আমি গজল, কেরাত এগুলো করতে পারতাম ক্লাসে ভালো ছাত্র ছিলাম। এবং শান্তশিষ্ট একটা ছাত্র ছিলাম আমি যদিও এখানে নিজের জন্য নিজেকে ভালো বলতেছি না এগুলো সবই সত্যি কথা। এভাবে করে এসএসসি, এইচএসসি শেষ করলাম। আমার মাথায় ভূত চেপে বসলো চাকরি করার। যদিও আমার বাবা-মা খুব নিষেধ করেছে। কারণ আমার বাবাও সরকারি চাকরি করতো আসলে চাকরি জীবনটাই কষ্টের। তাই আমার বাবা বলতো যে এত কষ্ট করে চাকরি করার প্রয়োজন নেই। আরো পড়া,লেখা কর জীবনে আরও অনেক বড় হও ।এখানে একটু কথা বলে রাখি আসলে আমার এই জীবনে আমি আমার বাবাকে তার বেতন ছাড়া। কোন জায়গা থেকে অতিরিক্ত টাকা নিতে দেখিনি ।যদিও টানাটানির মধ্যে সংসার চলেছে তবুও সে আমাদের চার ভাই বোনকে মানুষ করেছে আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক আমার মাথায় যখন ভূত চেপে বসলো ।আমি চাকরির জন্য হন্য হয়ে ছুটতে লাগলাম এবং আল্লাহর রহমতে একটি চাকরি পেয়েও গেলাম। বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বাহিনীতে যদিও আমি নিরাপত্তার স্বার্থে বাহিনীর নামটি বলতে চাচ্ছি না। তারপরে চলে গেলাম চাকরিতে। কিন্তু আমি পড়ালেখা ছারিনি। আমার নিজের খরচ দিয়ে ভর্তি হলাম ডিগ্রিতে একসময় ডিগ্রি শেষ করলাম। মাস্টার্স শেষ করলাম। কিন্তু চাকরি জীবনের শেষ হয়নি। তবে আমার চাকরি জীবনে আমি কোন টাকা পয়সা জমিয়ে রাখতে পারিনি। এইটা আমার আর একটা দুর্বলতা। আর এই চাকরির মধ্যেই ঘটে যায় আমার জীবনে বড় একটি দুর্ঘটনা। যেটা হয়তো সারা জীবনই আমাকে ঠকাবে যার জন্য সারা জীবনে আমাকে কান্না করতে হবে।
⭐ দাম্পত্য জীবন:
আলহামদুলিল্লাহ আমি দাম্পত্য জীবনে অনেক সুখী। আমার চাকরির ১০ বছর পরে ১০/২/২০২০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই আলহামদুলিল্লাহ ।এখন আমি এক পুত্র সন্তানের বাবা। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সেই আগের মত সুখটা এখন আর নেই। কারণ এখন বর্তমানে আমি বেকার আসলে সত্যিই বলতে কি একটা সময় শুনতাম যখন দারিদ্রতা আসে তখন ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায় আমার ক্ষেত্রে এরকম একটা কিছু হয়েছে জানিনা হয়তোবা আল্লার এটা ইচ্ছা ছিল। এটাই হয়তো আমার ভাগ্যে লেখা ছিল। এই বিষয়ে আমি কথা বলব নিচে। চলুন দেখে নেয়া যাক কি কারনে আজকে আমার এই অবস্থা। কেনই বা আমি বেকার আর কেনই আমার সুখী ফ্যামিলিতে এরকম অসুখ ঢুকে গেল। তো চলুন শুরু করি।
🔥 নিজের সাথে যুদ্ধ:
আসলে আমি চাকরি করতে করতে একটা সময় খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি।মূলত আমি খেলাধুলা করতাম সেখানে আমার চাকরির যখন পাঁচ বছর বয়স তখন আমি ইনজুরি হই। এবং এ যাবত আমাদের বাহিনীর এবং সিভিল ভাবে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। কিন্তু কোন কিছুতেই কোন রকম সুফল পাইনি।এবং অনেক টাকা দেনা হয়ে যায় যেই চিন্তায় আমার ঘুম হতো না আমি খুব কষ্ট পেতাম। এবং আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্য আমি অনেক কান্না করতাম আর নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে শুধু এখান থেকে মুক্তি চাইতাম। শত চেষ্টা করেও আমি কোন কিছুই করতে পারিনি।পারেনি সরকারি ভাবে অবসরে আসতে। না পেরেছি কোন চিকিৎসায় সুস্থ হতে। আমি সবকিছুই আমার ভাগ্যে আছে এটাই ভেবে নিয়েছি। তারপর একটা সময় চিন্তা করলাম আমার চাকরির চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যেই ভাবা সেই কাজ শুরু হলো আমি কিভাবে চলে আসব এই চিন্তা।অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন ভাবে কাজ হয়নি ।শেষ পর্যন্ত আমি চিন্তা করে দেখেছি আসলে এখানে আমার জীবনে টিকিয়ে রাখা বড় কষ্ট। তখন আমি চলে আসি বাড়িতে। সকল প্রকার সরকারের সুবিধা বাদ দিয়ে। কিন্তু আমার হাতে ছিল না কোন টাকা আর আমার পাশে ছিল না কেউ। তখন আমি বুঝতে পারি আসলে সবাই মুখে মুখেই আমাকে সাহস দিয়েছে আসার জন্য বলেছে। কিন্তু আমার পাশে থাকার মত কেউ নেই। শুরু হয় নিজেকে টিকিয়ে রাখার লড়াই আমি কি করবো না করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না হারালাম সব কিছু।মাত্র ১০০০০ টাকা ছিল আমার কাছে আসলে এই সামান্য টাকায় কোন কিছুই হয় না। এখানে একটু কথা বলে রাখি আমি আগে থেকেই অনলাইনে প্রতি খুব ঝুকে ছিলাম সেখান থেকে কিছু ইনকাম আসতো। তারপরে আমি বাড়িতে আসার পরে ওখানে পুরোপুরি মন দিলাম। এবং ওখান থেকে একটা পকেট খরচ আসতো। এর পর একটা দোকান নিয়ে ফেললাম। এখন বর্তমানে এই অনলাইন থেকে যেটা ইনকাম আসে এবং দোকান থেকে টুকি -টআকই যেটা করি সবকিছু মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। কিন্তু আমার পাশে কেউ নেই। সবাই একই চিন্তা করে আমি কেন চাকরি ছাড়লাম আসলে টাকায় যে সব এটাই সত্যি। এটাই তার প্রমান আর টাকার কাছে ভালোবাসা বলতে কোন কিছুই থাকে না। ভালোবাসা হার মানে টাকার কাছে ।এর বাস্তব প্রমাণ আমি ।আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ একটি টাকা দিয়েও সাহায্য করেনি ।আমি যেভাবে আল্লাহ ভরসা করে চলে আসছিলাম। যে আল্লাহ রিজিক ব্যবস্থা করবে আল্লাহ কিভাবে যেন সবকিছু অটোমেটিক করে দিতেছে আলহামদুলিল্লাহ।
🌹আমি যেভাবে এই ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িত হলাম:
আমার যখন খুব কষ্টের ভিতর থেকে দিন পার হচ্ছিল। চাকরিতে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।তখন আমি এক ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পারি ফাউন্ডেশনের কথা। তখন আমি এটা ফেসবুকে খোঁজ করি এবং পেএও জাই। আমি প্রথম জয়েন্ট হয়েছিলাম যশোর জেলা গ্রুপের সাথে। সেখান থেকে বর্তমানে আমার নিজের প্রিয় গ্রুপ প্রিয় একটা জায়গা পটুয়াখালী জেলা এবং পটুয়াখালী জেলার গ্রুপ সাথে যুক্ত হই। এখানে আমাকে সবাই খুব সাহায্য করছে। গ্রুপের সাথে জয়েন্ট হওয়ার পরে আসলে আমি নিজেকেই পাল্টে ফেলেছি। এখানে কাউকে মেনশন করে বলতে গেলে এত সবার নাম মেনশন করে বলা সম্ভব না। এক কথায় এই গ্রুপের সবাই এত আন্তরিক এত ভালো মানুষ সত্যিই অসাধারণ সবাই। যেকোনো সময় যেকোনোভাবে যে কোন টাইমে যখন যাকে আমি বলেছি সবাই আমাকে সাহায্য করেছে। আমি যখন চাকরি ছাড়া সিদ্ধান্ত নেই তখন এখানে অনেকের সাথে আলোচনা করেছি। সবাই আমাকে বলেছে ভাই বুঝে শুনে তারপরে সিদ্ধান্ত নিন কিন্তু আসলে আমি বিশ্বাস করি সারা জীবন শুধু বুঝতেই যদি থাকি যদি ভাবতেই থাকি তাহলে কাজটা করবো কখন? সেই সিদ্ধান্ত থেকেই আল্লাহ ভরসা করে আমি চলে এসেছি। আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেক ভালো আছি। আমি যখন চাকরি থেকে চলে আসি এরপর আমার খুব ইচ্ছা জাগে আমাদের প্রিয়মিনটার ইকবাল বাহার জাহেদ স্যারের সাথে দেখা করার জন্য আমি ইনশাল্লাহ সেটাও করি। এবং এখানে আমাকে সাহায্য করেছেন যাদের কথা না বললেই নয় পটুয়াখালী জেলার হাসিব ভাই, সাথী আপু, মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন, ভাই এবং যার কথা না বললেই নয় এমআই হোসাইন ভাই। এই সকল ভাইয়ের সহযোগিতায় আমি গত ১৬/১১/২০২২ তারিখে আমাদের প্রিয় মেন্টর সবার প্রাণপ্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের সাথে দেখা করি। আসলেই সত্যিই সে অসাধারণ একটি মানুষ সে আমাকে এইভাবে সম্মান প্রদর্শন করবে এত আন্তরিকভাবে কথা বলবে আমি কখনো ভাবতে পারিনি। যাই হোক তার সাথে দেখা করার পরে সে অবশ্য আমাকে একটা সাজেশন দিয়েছিল একটা কাজ করার জন্য কিন্তু আসলে সেটা আমি করতে পারিনি। তবে তার সাথে দেখা করে সে যে আমাকে উৎসাহ প্রদান করেছে তাতে আমি তার কাছ থেকে নতুন করে নতুন কোন কাজ করার উৎসাহ পেয়েছি। এবং শক্তি সঞ্চার হয়েছে আমার। আর এই গ্রুপের সেশনগুলো পাঠ করে আমি আরো বড় উপকৃত হয়েছি এবং বিভিন্ন ভিডিও দেখে বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচিত হয়ে আমি অনেক বেশি উপকৃত হয়েছি। আমি চিন্তা করেছি সবাই যদি পারে বিভিন্ন আপুরা যদি পারে ভাইয়েরা পারে আমি কেন পারব না আমার তো কোন কিছু কমতি নেই সৃষ্টিকর্তা তো আমাকে কোন কিছু কম দেয়নি। এখান থেকেই আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু ইনশাল্লাহ সবাই দোয়া করবেন আমি যেন জীবনে বড় কিছু করতে পারি ।ভালো কিছু করতে পারি। আমাকে অনেকেই অনেক কথা বলে। আমি চাকরি ছেড়ে চলে আসছি খুব কষ্ট লাগে তাদের কথা শুনলে।আমি এমন একটা জায়গায় নিজেকে নিয়ে যেতে চাই যাতে আমি কথা না তাদেরকে কাজের মাধ্যমে এই জবাব দিব ইনশাআল্লাহ।
🌿 আমার স্বপ্ন:
ছোটবেলা থেকেই আমি স্বপ্ন দেখতাম মানে যখন থেকে বুঝতে শিখছি আমি তখন থেকেই স্বপ্ন দেখি। আল্লাহর রহমতে আমি অনেক টাকা পয়সার মালিক হব গরিব দুখির সেবা করব।বিশেষ করে যখন অনেক গরিব মানুষকে দেখতাম খেতে পারত না, বা এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা অনাহারে থাকতে হতো। বা আমার বয়সী বাচ্চারা ছিঁড়ে জামা কাপড় পরতো। তখন নিজের ভিতরে খুব কষ্ট লাগতো। জানিনা কেন এমন হতো কেন এমন কষ্ট লাগতো। আর তখন থেকে আমার ভিতরে একটা চিন্তা তৈরি হয় আল্লাহ যদি আমাকে কখনো অনেক টাকা পয়সা দেয়। তাহলে আমি তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করবো। তারা যেন দুবেলা পেট ভরে খেতে পারে।খাবার কষ্ট যেন তাদের ভিতর না থাকে এটাই ছিল আমার স্বপ্ন। এখনো আমি যদিও খুবই কম টাকা ইনকাম করি। তারপরও এখান থেকে একটি অংশ এই গরিবদের কে দান করার চেষ্টা করি । আলহামদুলিল্লাহ আমার ইচ্ছা আল্লাহ আমাকে আরও টাকা পয়সা দিক আমি গরিবকে যেন আরো দান করতে পারি । আমার এখন যে পরিস্থিতি আমি এখন বুঝি যারা গরিব বন্ধুবান্ধব আছে তারা সবসময় খবর নেয়। কিন্তু যাদের টাকা পয়সা আছে ,বা যাদের পিছনে একসঙ্গে টাকা পয়সা খরচ করেছি, যাদেরকে খাইয়েছি, যাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য করেছি তারা কেউই আমার খবর নেয় না। আসলে হয়তো এটাই দুনিয়ার নিয়ম আর এটাই হবার কথা ছিল। তবে আল্লাহ পাকের কাছে অনেক শুকরিয়া আমার এই খারাপ সময়টার মাধ্যমে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আসলে এই শিক্ষাটা পাওয়া প্রতিটা মানুষের দরকার। প্রতিটা মানুষের বোঝার দরকার যে সে যদি বেকার থাকে বা টাকা পয়সা না থাকে তাহলে কেউই আপন না। আসলে কেউ আমাদের আপন না। আমরা নিজেরাই শুধু নিজেদের আপন ।এটাই আমি জানতে শিখেছি। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য আল্লাহ যেন আমাকে এরকম তৌফিক দান করে। এবং আমি যেন সবাইকে সাহায্য করতে পারি আমিন।
✍️ব্যাবসা বা উদ্যোক্তা হওয়া শুরু:
আমি যখন নিজের ইচ্ছায় চাকরি ছেড়ে চলে আসি। তখন থেকে চিন্তা করছিলাম যে আমি ব্যবসা করব। যারা আমাকে এভাবে করে অপমান, অপদস্থ, করছে। তাদেরকে এক সময় উচিত জবাব দিবো ইনশাআল্লাহ। এই ভাবা থেকেই এবং আমার প্রিয় প্ল্যাটফর্মের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং সাহস নিয়ে আমি ব্যবসায় লেগে পড়ি। আমি ব্যবসায় এসেছি বেশিদিন হয়নি মাত্র ০৮ মাস হল।ডিসেম্বর ২০২২ সালে চিন্তা করি একটা ব্যবসা শুরু করব।আলহামদুলিল্লাহ একমাস পরেই জানুয়ারি ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয় আমার উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়িক জীবন। প্রথমে আমার কাছে অল্প কিছু টাকা ছিল। সেই টাকা দিয়ে কিছু মোবাইল এবং ইলেকট্রনিক গেজেট কিনি এবং তা অনলাইনে সেল করা শুরু করি। এরপরে আমার এক ভাইয়ের কাছ থেকে মাছের কিছু জাল এবং অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে একটি অফলাইনে ছোটখাটো দোকান দেই। আমার এলাকা যেহেতু মাছের এলাকা সেখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। এর জন্য এখান থেকে আলহামদুলিল্লাহ একটা সফলতা অর্জন করি। এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে থাকি। সবকিছু মিলে আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি অনেক ভালো আছি ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আরো বড় কোন পর্যায়ে যাব আপনাদের দোয়া কামনা করছি।
💥 স্যারের যেই কথাগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে:
১/চাকরি করব না চাকরি দিব।
২/নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরি করতে হবে।
৩/বৃষ্টি সবার জন্য পড়ে কিন্তু ভিজে কেউ কেউ।
৪/আমরা সবাই ভালো মানুষ।
তাছাড়াও প্লাটফর্মের শপথনামা নতুন করে অনুপ্রেরণা যোগায়।
🌿 প্লাটফর্ম থেকে শিক্ষা:
আগে সাহস করে কিছু একটা করতে পারিনি। এখন যে কোন কিছুতে সাহস করে এগিয়ে যেতে পারি। এবং সেখানেই সফলতা আছে ইনশাল্লাহ। এবং পটুয়াখালী জেলাকে অনেক ধন্যবাদ। নিয়মিত সেশন চর্চা ক্লাস করার জন্য। আসলে সেশন চর্চা ক্লাসের মাধ্যমে অনেক কিছু শেখা যায়।এবং অনেক সাহস বেড়ে যায়।
🌿 ব্যবসার বর্তমান অবস্থা:
বলার মত তেমন কিছুই হয়নি এখনো। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো হবে এই কামনাই করি। এবং আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনাই করি আল্লাহ যেন আমার এই ব্যবসাকে উত্তরোত্তর উন্নতি দান করেন। এবং আপনাদের সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি ।
🌿 আমার জীবন থেকে শিক্ষা:
হয়তোবা আমার জীবন থেকে কারো শিক্ষা নেওয়ার কোন কিছু নেই। তবে আমি মনে করি সবার জীবন থেকেই সবার কিছু না কিছু শিখার আছে। তেমন আমি বলব স্যারের সাথে সুর মিলিয়ে সাহস করুন এবং লেগে থাকুন সফলতা আসবেই ।আর আমিও ঠিক এই কাজটাই করেছি। আসলে একটি সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে। যেটার জন্য হাজার হাজার মানুষ টাকা পয়সা দিয়েও করতে পারেনা। এমন একটি চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেকে তৈরি করা। এবং সেখান থেকে সফলতা আসা। সত্যিই এটা অনেক বড় সাহসের প্রয়োজন। এবং সেই সাহসটা আমাকে জাগিয়েছে জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার। এবং আমাদের এই প্রিয় প্ল্যাটফর্ম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন। এবং আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে আজকের আমি এখানে এসে পৌঁছেছি। আলহামদুলিল্লাহ আপনিও সাহস করুন এবং এগিয়ে চলুন সফলতা আপনার কাছেও ধরা দিবে ইনশাআল্লাহ।
🌹🌹 ধন্যবাদ :
১/জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার ।
২/যশোর জেলা টিমের সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাই এবং আপুদের। যাদের মাধ্যমে আমি এই প্লাটফর্মে আসতে পেরেছি এবং তারা আমার নিজ জেলায় সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ।
৩/পটুয়াখালী জেলা টিমের সকল ভাইয়া এবং আপুদের যারা এখন পর্যন্ত আমার সাথে আছেন। এবং আশা করি আমার পাশেই থাকবেন সব সময়।
৪/এখন যার নামটি উল্লেখ করতেছি তার নাম না বললেই নয় ।এবং উনার মাধ্যমে আমি প্রথম জানতে পারি আমাদের এই প্রিয় ফাউন্ডেশনের কথা। তিনি হলেন Md Mohibullah ভাই
পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া। এবং এই ভাই আমাকে অনেক সহযোগিতাও করেছেন।
👉 আমার প্রতিষ্ঠান:
1/ JK dream corner
2/ JK Agriculture
3/ JK -IT
আলহামদুলিল্লাহ সবগুলোই অনলাইন এবং অফলাইন।
👏 আসলে জীবনের সব গল্প কখনোই সম্পূর্ণ লেখা সম্ভব না। তাই আমিও আমার জীবনের সম্পূর্ণ গল্প লিখতে পারিনি শুধু কিছু কিছু ঘটনা আপনাদের জন্য তুলে ধরেছি। এবং আমার জানা মতে আমি যতটুকু এখানে লিখেছি সম্পূর্ণই সত্য।
🙏 লেখার মধ্যে কোন রকম ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এই কামনাই করছি।
💝 এতক্ষণ কষ্ট করে আমার গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
🌹🌹 আমি
MD Jobayer Hossain Bejoy
ব্যাচ: ১৭
রেজিঃ নং:৯১৫০৭
জেলা: পটুয়াখালী
উপজেলা: দুমকি
বর্তমান অবস্থান: দুমকি
💖 আশাকরি ভালবেসে পাশে থাকবেন। এবং আমার জন্য দোয়া করবেন ইনশাআল্লাহ।