পার্টনারশিপ ব্যবসায় লস করে ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা।
জীবনের গল্প )...........
সবাইকে আমার জীবনের গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো
.....(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)......
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওবারাকাতহু।
প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীনের প্রতি যিনি আমাকে এখনো পর্যন্ত সুস্থ ও ভালো রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। সেই সাথ হাজার দূরুদ ও সালাম জানাচ্ছি আমাদের সকলের মুক্তি দূত হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি।
তারপরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার গর্ভধারণী মা ও বাবার প্রতি।তারা ব্যতীত হয়তো আমি এই পৃথিবীতে আসতাম না। মা বাবা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমার মা-বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমিন
আমি আরো ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের প্রাণপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম "নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, তরুণ প্রজন্মের আইডল ও আইকন,লাখো বেকার যুবক-যুবতীদের আশার আলো প্রদানকারী, (প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি) । যিনি নিজেও স্বপ্ন দেখেন ,এবং অন্যকে স্বপ্ন দেখান।প্রিয় স্যারের প্রতি রইল অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।
পারিবারিক পরিচয় ও শৈশবকাল)
আমি মোঃ শফিকুল ইসলাম,
নিজ জেলা গোপালগঞ্জ সদর, এখানেই আমার শৈশব এবং বেড়ে ওঠা, আমি একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, আমরা ছয় ভাই ,ছয় বোনের মধ্যে আমি সবার ছোট, আমি সব ভাই বোনের খুব আদরের ছোট ভাই ছিলাম।
আমার বড় চার ভাই এবং চার বোনের বিয়ে আমি দেখিনি, আমি যখন একটু একটু বুঝি তখন থেকে দেখি আমার চার ভাই বিয়ে করে আলাদা বাড়ি করে থাকেন, আমি ও, আমার এক ভাই, মা বাবা ,দুই বোন ও দাদি কে নিয়ে ছিল আমাদের পরিবার, (আমার দাদা আমার জন্মের আগেই মারা গিয়েছেন ), (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের সংসারে খুব অভাব ছিল, আমার মাকে দেখেছি মানুষের বাড়িতে কাজ করতে, বিনিময় চাউল নিয়ে আসতেন, এবং রান্না করে আমাদের খাওয়াতেন, আমার বাবাকে আমি কোনদিন দেখিনি কোথাও কোন কাজ করতে, কোনদিন একবেলা আটার রুটি খেয়েছি কোনদিন খাইনি এভাবেই চলত আমাদের দিনরাত, আমার বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি ছিল আমাদের গ্রামেই, আমার মাঝে মধ্যে খিদা লাগলে বড় বোনের বাড়িতে যেতাম, বড় বোন জিজ্ঞেস করতো ভাত খাইছিস, আমি বলতাম না, তারপর আমাকে ভাত দিত আমি খেয়ে চলে আসতাম, আমি ছোটবেলায় খুব রাগি ছিলাম, আমি যা চাইতাম সেটা মায়ের কাছ থেকে আদায় করে নিতাম। আমার বাবা ছিলেন একজন সৎ লোক, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন, কোনদিন দেখিনি এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করতে, এবং গ্রামের সব মানুষ খুব ভালো জানতেন আমার বাবাকে, লোক মুখে শুনেছি আমার দাদার অনেক সম্পত্তি ছিল, এখনো লোকে বলে এটা তোমার দাদার জমি ছিল ,ওইটা তোমার দাদার বাড়ি ছিল? আমার জন্মের পর আমার দাদাকে আমি দেখিনি, আমাদের গ্রামের একটি বাড়িতে একটি পাকা করা কবর রয়েছে ,আমার বাবার মুখে শুনেছি ওটা আমার দাদার কবর, এবং ওই বাড়িটি ছিল আমার দাদার, ওই বাড়িটি আমার বাবা বিক্রি করে দিয়েছেন? এবং ওই গ্রামেই অন্য জায়গায় গিয়ে বাড়ি করেছে।
🙋স্মৃতিময় কিছু কথা)
একদিন পাশের বাড়ির এক মহিলা আমাদের বাড়িতে এসে বলে আমার মাকে নিয়ে শহরে যাবে রোগী দেখার জন্য , ওই মহিলাকে আমি নানি বলে ডাকতাম, তখন আমি বললাম আমিও যাব, কিন্তু আমার মা আর নানি বলল তোমাকে যেতে হবে না ,আমরা শুধু যাব আর আসবো, আমি বললাম না আমি যাব, তখন আমার মা আর নানি আমাকে না নিয়ে হাঁটা শুরু করেন শহরের দিকে, প্রায় আমাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি নদী আছে, ওই নদীতে নৌকা পার হয়ে শহরে যেতে হয়, আমার মা আর নানী আমাকে না নিয়েই নৌকায় করে নদীর মাছ পথে চলে যান, তখন আমি নদীতে নেমে হেঁটে হেঁটে প্রায় আমার গলা পানি পর্যন্ত চলে যাই, এরপর আমার মা আমাকে দেখে নৌকাওলাকে বলেন নৌকা ঘুরিয়ে আবার এপারে চলে আসেন, পরে আর শহরে যান নেই মা আমাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন, এক কথায় আমি ছিলাম এমন।
(আমার স্কুল জীবন)
আমার বাবা আমাদের গ্রামের একটি ব্রাক স্কুলে ক্লাস ওয়ান ভর্তি করিয়ে দেন। ব্রাক স্কুল থেকে আমি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করি, এরপর ভর্তি হই গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে, ওইখানে ক্লাস ফোর থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করি, এরপর ভর্তি ওই পাশের গ্রামের হাই স্কুলে ক্লাস সিক্সে, এরপর সংসারে অনেক অভাব অনটন দেখা দেয় এবং আমার আর লেখাপড়া করা হয়নি।
(শুরু হলো কর্মজীবন)
একবেলা ত্রিশ টাকা রোজে অন্যের জমিতে কাজ শুরু করি, সারাদিন কাজ করলে ৫০ টাকা দিত, আমার বড় যে ভাই ওকে সারাদিন কাজ করলে ৭০ টাকা দিত? দুই ভাইয়ের ১২০ টাকায় চলত আমাদের সংসার, এইভাবে কিছুদিন চলার পর, আমার এক আত্মীয়ের কাঠের ফার্নিচারের দোকান ছিল, আমার বাবা সেখানে আমাকে কাজে দেন,এর মধ্যেই চলতে থাকে আমার ফার্নিচারের দোকানের কাজ, সারা মাস কাজের বিনিময়ে আমাকে নয়শ টাকা দিত, এরপর এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তিনি ছিলেন ঘরের কাঠমিস্ত্রি, কাঠের ঘর তৈরি করতেন, ওই ভাইয়া বললেন ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করার জন্য ভাইয়া আমাকে মাসে দিবেন ১২০০ টাকা, এরপর থেকেই কাঠমিস্ত্রির কাজ করি, একদিন হঠাৎ একটি ঘরের কাজ পাই?
ওই ঘরের মালিক ঢাকায় থাকেন, শুনেছি ওই ভাইয়ার ঢাকায় একটি গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এর ছোট কারখানা আছে, একদিন আমি ওই ভাইয়াকে বললাম ভাইয়া আমি ঢাকায় যাব এবং আপনার ওখানে কাজ করতে চাই আমি কি কাজ করতে পারবো? ওই ভাইয়া বললেন পারবে তবে শর্ত আছে আমার ঘরের কাজটা আগে শেষ কর, ভাইয়ার ঘরের কাজ শেষ করলাম, এরপর একদিন ওই ভাইয়াকে ফোন করলাম যে ভাইয়া আপনার কাজ শেষ আমি ঢাকায় কবে আসবো, এর আগে আমি আর কখনো ঢাকা শহরে আসিনি, ওই ভাইয়া বললেন তুমি একা আসতে পারবে না আমার একজন লোক আছে তুমি ওই লোকের সঙ্গে আসো, এরপর বাড়ি থেকে ৫০০ কিংবা ৬০০ টাকা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
(শুরু হলো শহরের কর্মজীবন)
সময়টা ২০০৫ অথবা ৬ সাল হবে,ওই ভাইয়ার এখানে কাজ শুরু করলাম মাসিক বারোশো টাকা বেতনে, নিজের খাওয়া খরচ,এবং থাকা ছিল কারখানার ভিতরে, ওখানে কয়েক বছর কাজ করার পর, ওই ভাইয়া আমাকে একটি চাকরি দিলেন ঢাকার মতিঝিলে ২৫০০ টাকা বেতনে, ওখানে কয়েক মাস চাকরি করার পর ওই ভাইয়া আবারও একটি নতুন চাকরি দিলেন সাভারের আশুলিয়া খেজুরবাগান, বেতন ছিল ৩ হাজার টাকা, এইখানে কয়েক বছর কাজ করার পর কোম্পানি একটি আধুনিক মেশিন নিয়ে আসেন, এবং মেশিনের সহকারি অপারেটর হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেন, এখানে কয়েক বছর কাজ করার মাধ্যমে মেশিনের অপারেটিং সিস্টেম ,এবং টেকনিক্যাল কাজগুলো আমি শিখি, এরপর আমি নিজে একটি নতুন চাকরির ঠিক করি সায়দাবাদ গোলাপবাগ, এখানে ৭০০০ টাকা বেতনে।
বিবাহিত জীবন
২০১১ সালের শেষের দিকে একটি নতুন চাকরি নেই আদমজী ইপিজেটে এরপর পরিবারের চাপে বিবাহ করি ২০১২ সালে, এখন আমার এক মেয়ে ,ও দুই ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে সুখে আছি,আলহামদুলিল্লাহ।আমার স্ত্রী খুবই ভালো মনের মানুষ এবং আমার স্ত্রী এখন সংসার সামলানোর পর সেও উদ্দোক্তা হয়েছেন নকশি কাঁথা ,থ্রি পিস, বেডশিট নিয়ে অনলাইন অফলাই দুই ভাবে পন্য সেল করে থাকেন ৷ আমাকেও সবসময় বিজনেস করতে উৎসাহ দেন, আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া ভালোই চলছে আমার বিবাহিত জীবন।
আমার ভুল :
পার্টনারশিপে ব্যবসা করি। সর্বপ্রথম ঢাকায় যে ভাইয়ের কাছে এসেছিলাম ওই ভাইয়া একদিন ডাকলেন আমাকে, বললেন আস একসঙ্গে ব্যবসা করি পার্টনারে, আমি হ্যাঁ বলে দেই কোন কিছু না বুঝেই, কারন আমার ব্যবসা করার খুব ইচ্ছা ছিল , কোন লিখিত বা স্ট্যাম্প ছাড়াই হাতে টাকা দেয় ৩ লক্ষ, একটি মেশিন কিনা হয় পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে, এবং ওই বড় ভাইয়ার কারখানাতে মেশিন সেট করা হয়, এরপর আমাকে বলেন চাকরি ছেড়ে চলে আসতে, আমি ওনার কথায় চাকরি ছেড়ে দেই, এবং মেশিনের কাছে আসি, এরপর দেখি ওই ভাইয়া কাজের কোন হিসাব দেন না টাকা পয়সার কোন হিসাব দেন না এবং গরমিল শুরু করেছেন, তখন আমি বলি আমি আপনার সাথে বিজনেস করবো না হয় টাকা দেন না হলে মেশিন দেন, তিনি কোনটাই দিতে অস্বীকৃতি জানান, এরপর থানা পুলিশ এবং বিচার সালিশ করে কিছু টাকা উঠায়,, এরপর পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে যাই, অনেকদিন শহরে থাকার সুবাদে কৃষি নির্ভর গ্রামে আমি কোন কাজ করা সম্ভব হইনি আবার নারায়ণগঞ্জে একটি নতুন চাকরির সন্ধান পাই এবং জয়েন্ট করি বেতন বর্তমান বাইশ হাজার প্লাস।
প্রথম করোনা ভাইরাস কোভিড উনিশ।
শুরু হলো কোভিড উনিশ, শুরু হলো লকডাউন চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার? করোনাভাইরাস শিখিয়ে গেছে মানুষকে কেউ কারো নয় কাছের খুব মানুষসহ পর হয়ে গেছে এই কোভিড কারণে
বন্ধ হয়ে গেল ফ্যাক্টরি এবং বেতন ৬৫ পার্সেন্ট, গাড়ি বন্ধ আটকা পড়ে গেলাম নারায়ণগঞ্জ কিল্লারপুল এলাকায়, তখন আমার বড় ছেলের বয়স ৬ মাস, প্রায় ১৫ দিনের মতো বন্দি থাকার পর, একদিন আল্লাহর নাম নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম ফজরের নামাজ পড়ে, গন্তব্য গোপালগঞ্জ গ্রামের বাড়ি, ১৫০ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ইজিবাইক ও ভ্যান গাড়িতে করে বাড়িতে গিয়েছি, যেখানে বাসে গেলে সময় লাগে মাত্র চার ঘন্টা, ঐদিন আমার সময় লেগেছে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা, তখন পদ্মা সেতু ছিল না, অনেক কষ্টে পদ্মা নদী পার হয়েছি ফেরীর মাধ্যমে এবং রাস্তায় অনেক জায়গায় সেনাবাহিনী গাড়ি আটকে দিয়েছে,
বাড়িতে যাওয়ার পর আমার আগের থেকে একটু কাশি ছিল, বাড়ির আশেপাশের লোকজন সবাই কানাঘষা করতে লাগলো আমার নাকি করোনা ভাইরাস হয়েছে, একদিন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি লোক পাঠানো হলো আমাদের বাড়িতে, এবং আমাকে বলা হলো আমাদের গোপালগঞ্জ শহরে ওই দিনই সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু, এবং আমাকে টেস্ট করাতে হবে আমি যেহেতু নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে গিয়েছি, তাই সবার কথায় চাপে পড়ে শহরে যায় টেস্ট করাতে, যারা টেস্ট করেন ডাক্তাররা বললেন যদি তোমার রিপোর্ট ভালো হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই আর যদি রিপোর্ট খারাপ হয় তাহলে তোমার বাড়ি পুলিশে ঘিরে ফেলবে তিনদিন পর যে কথা সেই কাজ, ৩ গাড়ি পুলিশ যায় আমার বাড়িতে এবং আমাকে তুলে নিয়ে আসে, আলাদা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে, সেদিন ঘর থেকে বের হয়ে মাকে দূর থেকে শুধু বলেছি মা তুমি আমার স্ত্রী সন্তানদেরকে দেখো, সেদিন আমার মনে হয়েছিল আমি একটি বাঘ এবং মানুষ আমাকে খাঁচার মধ্যে দেখছে, যেভাবে চিড়িয়াখানায় আমরা দেখি বাঘ থাকে খাঁচার মধ্যে মানুষ থাকে খাচার বাহিরে,
আমাকে শহরে হাসপাতাল নিয়ে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখা হলো, আমি হলাম গোপালগঞ্জ জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম কোভিড ১৯ রুগি
পলিথিনের ভিতর করে আমাকে খাবার দেওয়া হতো, এবং আমাকে ১৫ দিন আটকে রাখে, এর মধ্যে আরো চারবার টেস্ট করা হয়, তিনবার নেগেটিভ রেজাল্ট আশায় আমাকে ১৫ দিন পর মুক্তি দেয়।
বর্তমানে উদ্দ্যোক্তার জীবন :
অতীতের সকল ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ও নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলে আবারও শুরু করে দেই স্বপ্নের উদ্যোক্তা জীবন ৷ অতীতে আমার সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে আমি বিজনেসের প্রতিটি পদে পদে ভুল করেছি ৷ এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই শিখেছি কিভাবে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হয় এবং ঘুরে দাঁড়াতে হয় ৷ তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই চাকরি না ছেড়ে , চাকরির পাশাপাশি কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায় ৷ স্যার সবসময় একটা কথা বলেন ৷ উদ্যোক্তা জীবনে রিস্ক নিতে হবে ৷ তবে সেই রিস্ক টা নিতে হবে ক্যালকুলেটিভ ভাবে ৷ তাই আমিও ক্যালকুলেটিভ ভাবেই রিস্ক টা নিয়েছি ৷ চাকরির পাশাপাশি উদ্যোগ শুরু করেছি ৷ ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা নিয়ে চাকরির পাশাপাশি আমি এখন ব্যবসা করছি আলহামদুলিল্লাহ্ , উদ্যোক্তা জীবনের প্রথম অবস্থায় তেমন কোন সাড়া পায়নি ৷ তবে আমি হাল ছাড়িনি | ফাউন্ডেশন থেকে শিখেছি কিভাবে উদ্যোক্তা জীবনে লেগে থাকতে হয় ৷ একজনের কাছে গিয়ে যদি সেল না হতো তাহলে ১০ জনের কাছে যেতাম এবং দশজনের কাছে গিয়ে যদি সেল না হতো তাহলে পরের দিন আরো ২০জনের কাছে ৩০ জনের কাছে যেতাম তাতেও যদি পন্য বিক্রি না হতো তখন ভেঙ্গে পরতাম ৷ মনে মনে ভাবতাম আমাকে দিয়ে হবে না ৷ কিন্তু পরেক ক্ষনই আবার স্যারের সেশন পড়ে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ৫০ ,১০০জনের কাছে যেতাম এভাবেই প্রতিদিন নাম্বার বাড়ানোর মাধ্যমে তিল তিল করে আমি গড়ে তুলেছি , আমার বিজনেসের নেটওয়ার্ক এখন আর আমাকে বেশি কষ্ট করতে হয় না ৷ আমার কাস্টমাররা আমার কাছে এসে প্রোডাক্ট নিয়ে যায় ৷ সত্যি বলতে এই ফাউন্ডেশন না থাকলে আমি কখনোই উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার সাহস পেতাম না ৷ স্যারের সেশনের এই পজিটিভিটি চর্চার মাধ্যমে আমি আবার উদ্যোক্তা জীবনে ফিরে আসতে সাহস করতে পেয়েছি ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় স্যারের প্রতি ৷ আমাদের সঠিক গাইডলাইন দিয়ে উদ্যোগে লেগে থাকার সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে উদ্যোক্তা জীবন সফল করার জন্য ৷ আমার একটি পেজ রয়েছে "JS fashion'' নামে। আমি মূলত কাজ করি গার্মেন্টস এক্সেসরিজ আইটেম নিয়ে, লেবেল, বাটন, হ্যান্ডটেক, ইত্যাদি এবং কেমিক্যালের খালি ড্রাম ও প্লাসটিকর দড়ি নিয়ে। অফলাই ও অনলাইন দুই ভাবেই ব্যবসা ভালো হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ্ । এর পাশাপাশি আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য নকশি কাঁথা ,থ্রি পিস, বেডশিট নিয়ে ও ব্যবসা করছি। সকলে আমার ও আমার উদ্যোগের জন্য দোয়া করবেন ।
ফাউন্ডেশনে যুক্ত
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যে ভাবে যুক্ত হলাম।আমার অফিস সহকারী জহিরুল নামের এক ছোট ভাইয়ের মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের খোঁজ পাই। আমাকে রেজিস্ট্রেশন করতে সহযোগিতা করেছেন
১ ইনাইয়া ইসলাম বৃষ্টি আপু। ২ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
জেলা মেসেঞ্জারে যুক্ত করেছেন ।মোঃ সবুজ রাজ ভাই,
ভাইয়া ও আপু প্রতি রইল অনেক কৃতজ্ঞতা।এই ফাউন্ডেশনে এসে আমি শিখতে পেরেছি পার্টনারশিপের বিজনেস করার নিয়ম। এখানে এসে আমার কথা বলার জরতা কেটেছে এখন আমি দু চার পাঁচ জন মানুষের সামনে বুক ফুলিয়ে কথা বলতে পারি। পেয়েছি একটি ভালবাসার পরিবার। যে কোন প্রবলেমে ফাউন্ডেশন এর ভাই-বোনদের সাথে আলোচনা করা যায়। বিভিন্ন অফলাইন এবং অনলাইন মিটাপ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল দায়িত্বশীল ও আজীবন গর্বিত সদস্য প্রিয় ভাই-বোনদের প্রতি। যাদের সহযোগিতায় আজকে আমি অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছি। সকলের প্রতি অনেক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার গল্পটি মনযোগে সহকারে পড়ার জন্য
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৯৬৮
Date:- ২৩ /১০/২০২৩ইং
ধন্যবাদতে
আমি মোঃ শফিকুল ইসলাম
ব্যাচ নাম্বার : ১৯
রেজিস্ট্রিশন : ১০৮২৬৩
নিজ জেলা গোপালগঞ্জ সদর
বর্তমান অবস্থান নারায়ণগঞ্জ সদর।