বরগুনা জেলার রায়হানা তামান্না হৃদির জীবনের গল্প।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম★
"আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ'
শুরুতে আমি শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত ও প্রিয় নবী, বিশ্বনবী, আখেরি নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)এর উম্মত বানিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। হাজারো, লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর উপর।
কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব
ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর প্রতি অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা করে সুন্দর একটা প্লাটফর্ম ও ভালো মানুষের পরিবার তৈরি করেছেন । যেখানে আমরা গর্ব করে বলতে পারি আমি একজন ভালো মানুষ৷৷
যার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আমরা একটা বিশাল পরিবার পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
সময়ের শেষ্ঠ শিক্ষক লক্ষ্য তরুণ তরুণীর হ্নদয়ের স্পন্দন যার পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই প্লাটফর্ম। যার শিক্ষা বুকে ধারন করে লক্ষ্য লক্ষ্য শিক্ষিত বেকার তরুণ তরুণীরাও সাহস করে বাস্তব জীবনের সফলতা ও ব্যর্থ্যতার গল্প অনায়াসে লিখছে। লক্ষ প্রবাসী দেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
চাকরি করবো না চাকরি দেবো এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে লক্ষ তরুন তরুনি যার অনুপ্রেরণা তিনি হলেন আমাদের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।
স্যার কে অন্তর থেকে স্যালুট জানাই। এবং সেই সাথে অনেক ব্যক্তি সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তাকে কেউ সাপোর্ট করে না। তিনি কোনো উপায় না পেয়ে আত্মহত্যা করবে এরকম পরিকল্পনা করেছেন হঠাৎ করেই অনলাইনে একটি ভিডিও দেখেই তাদের জীবন বেঁচে গিয়েছিল। সেই সাথে আবার প্রথম থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। সেই কথা হচ্ছে আপনিই পারবেন আপনাকে দিয়েই সম্ভব।৷
★★চলে এলাম গল্পের মূল পর্বে★★★
আমার জন্ম ১৫ই আগস্ট ২০০৪ সাল। সেই সময় হরতাল পালিত হওয়ায় আম্মুকে হসপিটালে নিয়ে যেতে পারে নেই। আব্বু একজন নার্স কে আব্বু বাসায় নিয়ে আসে। আমাকে বের করার সময় মাথাটা ধরে টেনে বের করে আমার মাথাটা অনেক লম্বা করে ফেলছিলো এবং সাড়া শরীর নীল রঙের হয়ে গেছে। তারা বলেছেন আমি মারা গেছি। আম্মুর ব্লাড পড়তে পড়তে সারা বিছানা বেশে গিয়েছে। আম্মুকে একটি সেয়েন্জি করে হসপিটালে নিয়ে যায়। সবাই জানে আমি নেই আমাকে রুমের একটা কোণায় ফেলে রেখে যায়। তারপর আমার ছোট্ট খালামনি বলে আমি দেখে আসি কি বাচ্চা হয়েছিল। তখন গিয়ে দেখে আমি বেঁচে আছি নড়াচড়া করতেছি। তখন সাথে সাথে আমাকে হসপিটালে নিয়ে ভর্তি করে। আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু যখন আমার বসার কথা ছিল তখন আমি বসি না তখনই সবাই খুজ পেলো তখনই ডক্টর কবিরাজ দেখানো শুরু হলো । তাঁরা বলছেন অক্সিজেনের অভাবে আমার নার্ভের কাজ ঠিক মতো করে নেই। আমি বুক চেঁচিয়ে চলতাম আমি যে কখনো হাঁটতে পারবো এটা কেউ আশা করেনি। আমার আম্মু আমাকে ধরে এক পা ফেলিয়ে হাঁটতে শিখাতো। আমার ব্রেনের পরীক্ষা করান ডক্টর বলেছেন আমার শুধু হাত পায়ে সমস্যা বাকি সব স্বাভাবিক।
○তারপর আমাকে একটা স্কুলে ভর্তি করেন। আমি পড়াশুনায় খুব ভালো ছিলাম প্রথম পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছি। আসলে আমি প্রথম হয়েছি কিন্তু আমাকে তৃতীয় বানানো হয়েছে। তখন আম্মু আমাকে পড়াশোনা করাইতো। আম্মু মিসকে বললো আমি জানি আমার মেয়ে প্রথম হয়েছে। তাহলে এখন তৃতীয় হয়েছে কিভাবে? মিস বলে আপনি কিভাবে আশা করেন একজন স্বাভাবিক বাচ্চার সাথে আপনার মেয়ে প্রথম হবে? আম্মু বলে আপনার সাথে আমার চ্যালেন্জ আপনার ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে যখন আমার মেয়ে উঠবে তখন ও প্রথম হবে কারণ আমি আমার মেয়েকে নিজে পড়াই। তারপর আমি ১ম শ্রেনিতে উঠলাম। আম্মু এমন ও দিন গিয়েছে পরীক্ষার আগের দিন রাত ২ টা পযর্ন্ত পড়াইছে আমি প্রত্যেক পরীক্ষায় ১ম হওয়া শুরু করলাম। এরপর থেকে সেই মিস এবং তার কাছে যারা পড়তো আমাকে দেখতে পারতো না আমার সাথে কথা বলতো না। কিন্তু সবাই আমাকে এক নামে চিনা শুরু করলো। আমার পরিবার সহ স্কুলের সবাই অনেক খুশি। কিন্তু আমি যখন বড় ক্লাসে উঠতে শুরু করলাম তখন থেকে আমি প্রথম হতে পারলাম না কারণ আমার হাতে সমস্যা সম্পুর্ন লিখা শেষ করতে পারিনি। সবাই প্রথমে ভাবছে আমি পড়াশুনা ঠিক ভাবে করি না। এজন্য অনেক বকা খেয়েছি। তারপর সবাই যখন বুঝতে পারে তখন থেকে আমি যেগুলো লিখে শেষ করতে পারিনি সেগুলো মুখে ধরতো আমি আবার প্রথম হতে শুরু করলাম। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে মিসরা বলতো ওর পড়া (আমার সহপাঠীদের) তোমরা শুনবে হয়েছে নাকি আমাকে বলবে শুনে। কিন্তু আমার আবার মুখস্থ ভালো হয় না কিন্তু আমি পড়ে নিজের মতো সুন্দর করে বলতাম ওরা বইয়ের মতো হুবহু হতো না দেখে মিসকে বললো আমি পারিনি এভাবে চলতো আর আমাকে প্রতিদিন মারতো মিস। কিন্তু একদিন সাহস করে বললাম মিস আপনি আমার পড়া ধরেন দেখেন আমি পারি না কি মিস আমার দিকে রেগে এসে ধরলো বললাম মিস বললো ও তো পারছে। তখন মিস বুঝলো। এভাবে আমি ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি হলাম। তখন PSC বোর্ড পরীক্ষা ছিল আমি ভাবছিলাম আমার পড়াশোনা শেষ কারণ আমার লিখতে দেরি হয়। তখন স্কুল থেকে বললো ওদের জন্য সরকার থেকে রাইটারের ব্যবস্থা আছে কিন্তু রাইটার নিচের শ্রেণিতে হতে হবে। আম্মু আমার মেজো খালামনির বাসায় গিয়ে কেঁদে দিয়েছে আমার মেয়ের মনে হচ্ছে পড়াশোনা শেষ কারণ ও তো লিখতে পারে না তারপর আমার খালা আম্মুকে নিয়ে খুঁজতে বের হয়ে গেছে। পেয়েও গেলো, পরীক্ষা শেষ পাশ করে অন্য স্কুলে ভর্তি হলাম। সেখানে বন্ধু অনেক ভালো ছিল একটা ছোট স্কুল বাসার পাশে। কিন্তু অনেকেই মনে করেছে রাইটার দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে অন্যের দয়ায় পাশ করেছি এগুলো কথা প্রতিদিন শুনতে হতো আমি বাসায় এসে কানতাম। আম্মু বললো তুই জিদ ধরে দেখিয়ে দে তোর প্রতিভা। আমি শুধু বোর্ড পরীক্ষায় রাইটার নিয়েছি। বাকি স্কুল, কলেজের পরীক্ষা নিজেই দিয়েছি। তারপর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ১ম পরীক্ষায় নিজে লিখে দ্বিতীয় হলাম এরপর থেকে কেউ কিছু বলে নাই আমাকে। দুই বছর পর ৮ম শ্রেণীতে ভর্তি হলাম। সেখানে একটি সাইন্সের স্যার আম্মুকে বললো ওদের জন্য তো আলাদা স্কুল আছে সেখানে ভর্তি করাতেন এখানে ফেল করবে। কিন্তু নিজে লিখে টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করেছি। তারপর JSC পরীক্ষার আগে রাইটার পারছি না এক সপ্তাহ বাকি। আমি অনেক ভেঙে পড়ি। আম্মু বলে আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রাখ। আল্লাহ কাউকে বিপদে ফেলে না। আমার স্যার বলেছেন রাইটার না পেলে নিজে লিখে পরীক্ষা দিবে। তুমি সম্পুর্ন লিখা না লিখেও নিজে লিখে যদি ২ পয়েন্ট পাও সেটা অনেক গর্বের তুমি তো ভালো স্টুডেন্ট। কিন্তু পরে আম্মুর কথা ঠিক হলো আল্লাহ তায়ালা ১ দিন আগে একজন কে খুঁজে দিয়েছেন। পরীক্ষা দিলাম আমি স্কুলের মধ্যে একাই গোল্ডেন এ+ পায়। এরপর সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করি।
○SSC পরীক্ষা শুরু হলো গিয়ে দেখলাম আমাকে একা এক রুমে বসালো। সেখানে কয়েকজন ছিল ওরা বুঝে না চিল্লাচিল্লি করে এবং অনেক সময় মারতেও আসছিল খাতা টান দিয়ে নিতে চেতো আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম। এজন্য পরীক্ষা খারাপ হয়ে যায় এবং এ+ আসে নেই। আর একটি কথা যতই ভালো স্টুডেন্ট হোক না কেন পরীক্ষার সময় একটু সাহায্য লাগবেই। আমার ইচ্ছা ছিল মেডিকেলে পড়বো। এরপর করোনা হওয়ায় ২ বছর গ্রামে আটকে গিয়েছি তাই পড়াশোনা করা হয় নেই। তারপর পরীক্ষার ৬ মাস বাকি তখন এসে স্যার রেখে পড়া শুরু করি। পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয় আরো নভেম্বর মাসে। জুন মাসে একটি রাইটার পারছি একজন মেয়ে আমি টেনশন মুক্ত হয়েছিলাম। কয়েক দিন আসতো এবং যাওয়ার সময় ভাড়া দিয়ে দিয়েছি একদিন ছবি তুলার জন্য ২০০ টাকা আম্মু দিয়ে দিয়েছে। সে ছবি দিয়ে ও গেছে। আম্মু তার বাসার ঠিকানা রেখে দিয়েছে। অক্টোবর মাসে তার খোঁজ খবরও নেই। একদিন আম্মু আব্বু তার বাসার ঠিকানায় গিয়ে দেখেন ঠিকানা ভুয়া। পরীক্ষার সময় বেশি দিন নেই আমি ভেঙে পড়ি। কিন্তু আম্মু আব্বু আমার খালামনি আমার জন্য দোয়া করতে থাকেন এবং আমাকে আশা দিতে থাকেন। আল্লাহর উপর ভরসা করতে বলে। আমি আবার ফেসবুকে পোস্ট দিলাম। তখন একজন পেলাম আল্লাহর রহমতে ২ দিন বাকি ছিল পরীক্ষার সময়। এবার প্রস্তুতি নিয়ে গেছিলাম আমাকে মনে হচ্ছে একা বসাতে পারেন। ঠিক তেমনই হলো। আলহামদুলিল্লাহ পরীক্ষা ভালো হচ্ছিল। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার সময় একজন হুজুর স্যার আসে। আমি মাস্ক পরে ছিলাম। হঠাৎ ধমক দিয়ে বলল মাস্ক খুলো। আমি খুলতে রাখলাম আর চিন্তা করতে লাগলাম। এই কথা ভালো ভাবে বলতে পারতো আমি ভয় পেয়ে গেলাম। পরীক্ষার সময় বলে তোমার মা-বাবার টাকা আছে? তোমার জন্য বাজার থেকে জামাই কিনে আনতে হবে। আমাকে আরো জিজ্ঞেস করলো তুমি গান পারো? না বললাম, জিজ্ঞেস করলো নাচ পারো? না বললাম, আমাকে বললো তাহলে তুমি পারো টা কি? কিছুই পারো না। আমাকে বললো পার্টি করবা তাহলে তোমার বিয়ে হবে। আমি শুধু কান্না করি নাই। আমার পরীক্ষা খারাপ হয়ে গেল। আমার নিজেকে খুব ঘৃণা হতে লাগলো। সবাই আমাকে এতো ছোট করে। কেউ বলে আমি পাগল, কেউ বলে প্রতিবন্ধী আরো অনেক কিছু বলে। আমার আবার এ+ মিস হয়ে গেছে। মেডিকেলে পরীক্ষা দিতে পারলাম না। নিজে নিজে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দেই ঘ বিভাগে হয়েছে। আবার ৭ কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেই আলহামদুলিল্লাহ ৬০ মার্ক পেয়ে উর্ত্তীণ হই। ভালো ইংলিশ সাবজেক্ট আসে কলেজ ও কাছে সরকারি বাংলা কলেজে। ভর্তি হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। অনেকের ধারণা রাইটার দিয়ে পরীক্ষা দিলে এমনই ভালো পরীক্ষা হয়। কিন্তু যারা প্রকৃত পক্ষে শিক্ষিত। তারাই বুঝতে পারে এটা কতটুকু কঠিন। আমি আমার নিজের পরীক্ষা যেভাবে লিখবো অন্যকেউ আপনার পরীক্ষা আপনার নিজের মতো করে লিখে দিবেন? নিশ্চয়ই না। অন্যজন লিখলে তার বানাই ঠিক হয়েছে কি না দেখতে হয় এবং একটি কিছু ভালো ভাবে ভেবে চিন্তে সাজিয়ে লিখবো সেই সময় পাওয়া যায় না। শুধু তাড়াতাড়ি বলতে বলে। এবং যতই ভালো স্টুডেন্ট হোক না কেন পরীক্ষার সময় কম বেশি সবাই ই সাহায্য লাগে না হলে পরীক্ষা খারাপ হয়ে যায়। সেখানে আমি একা একটি রুমে । আরো টিচারের এরকম ব্যবহার। আমার মনের অবস্থা কি ছিল কেউ বুঝতে পারবে না।
আমি ছোট বেলা থেকেই পরিবারের অনেক অভাব দেখেছি অনেক কষ্ট করে আমার মা-বাবা না খেয়ে ও আমাকে খারিয়েছেন। আমার আব্বু এখনো বাইরে থাকলে না খেয়ে থাকে হিসেব করে চলে। তাই ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে আমি কিছু করবো ইনশাআল্লাহ। তখন বাবা-মাকে নিজের জীবনের বিনিময়ে ও আমি তাদের নিজের সন্তানের মতো আগলে রাখবো। সব না পাওয়ার ইচ্ছে গুলো পূরণ করবো ইনশাআল্লাহ।
অনলাইন বিজনেসের প্রতি কোনো ধারণা ছিল না কীভাবে করে? কোথায় থেকে শুরু করে? কিন্তু আমার এক ভাই আমাকে বলে আজকাল ফিল্যাংসি করে মেয়েরা বাসায় বসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। তুমি ইউটিউব ভিডিও দেখেই শিখতে পারো। তারপর আমি শুরু করলাম প্রতিদিন প্র্যাকটিশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিলাম। আমার আঙ্কেল দেখে আমাকে গ্রুপে যুক্ত হতে বলে। তখন ও আমি কিছু বুঝতে পারছি না। কিন্তু বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হতে থাকলাম। সেই সাথে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের যুক্ত হলাম। তারপর সবার পোস্ট দেখে বুঝতে লাগলাম। ইকবাল স্যারের সেশন প্রতিদিন সামনে আসে। সেইটা পড়ে নিজের ভিতর একটা সাহস কাজ করতো। ভাবতাম সবাই পারলে আমি পারবো না কেনো?
মনে মনে ভাবলাম যারা আমাকে ছোট করে। একদিন তাদের কে দেখিয়ে দিবো এই প্রতিবন্ধী মেয়ে বড় হয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। যেটা তারা করতে পারেন নেই। আমি ভাবলাম যারা রিকশা চালান তারা তো স্বাভাবিক মানুষ। কিন্তু তারাও তো মানুষের অপমান অবহেলিত স্বীকার। তাও তো তাদের রিকশায় চড়ে তাদের চলতে হয়। আমি ও আজ থেকে আর কষ্ট পাবো না আমাকে প্রতিবন্ধী ডাকলে। আমি প্রতিবন্ধী হয়েই বেঁচে থাকবো ইনশাআল্লাহ। এবং যারা আমাকে ছোট করছে তাদেরকে আমি উল্টো চাকরি দিবো ইনশাল্লাহ আর এটাই হচ্ছে তাদের উপর প্রতিশোধ নেওয়া।
এবং আমার মতো মানুষ যারা যাদের প্রতিবন্ধী হিসেবে পরিচিত। তারা যেনো আমাকে দেখে নিজেদের কে ছোট না করে ভেঙে না পড়ে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের কাজ দিয়ে জবাব দিতে পারেন।
আমরা সবাই মানুষ সবার আগে। এটা আমরা সবাই ভুলে যায়। আমাদের বিভিন্ন ধরনের নাম রাখা হয়েছে ছোট লোক, বড় লোক, প্রতিবন্ধী ইত্যাদি।
যা যা শিখেছি আগামী ৯০ দিনের প্রতিটি ব্যাচে
১। উদ্যোক্তা হবার মানসিক প্রস্তুতি ও অনুপ্রেরণা
২। স্বপ্ন দেখানো এবং স্বপ্ন কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হয় প্রতিটি ধাপে তা শিখানো হয়
৩। কিভাবে বিজনেস শুরু করবেন? কি কি স্কিলস লাগবে?
৪। কোম্পানি ফরমেশান কিভাবে করবেন? কি কি লিগ্যাল ডকুমেন্ট লাগবে?
৫। বিজনেস আইডিয়া কিভাবে নিবেন?
৬। খুব অল্প পুঁজিতে কি বিজনেস শুরু করা যায়?
৭। আপনার মুল্ধন কিভাবে এবং কোথা থেকে জোগাড় করবেন?
৮। স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন...... কিভাবে লেগে থাকতে হয় কোন কাজে?
৯। কিনবেন/উৎপাদন কিভাবে করবেন, বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ, বিক্রয় করবেন কোথায়? কাস্টমার কারা?
১০। মার্কেটিং প্ল্যান এবং নেটওয়ার্কিং
১১। মূল্যবোধ বৃদ্ধি, শেয়ারিং ও কেয়ারিং
১২। জীবনের সফলতার ৪ "স" - সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সম্পদ,
১৩। সবার আগে একজন ভালোমানুষ হওয়া
১৪। ৯০ দিন ধরে বিজনেস শেখা, পার্টনার পাবার সুযোগ, ব্যবসা করা, কেনাবেচার সুযোগ, এবং ভালোমানুষি চর্চা
১৫। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো “সাপ্তাহিক অনলাইন হাট”
১৬। সামাজিক ও মানবিক কাজ ও ভলান্টিয়ারিং
এছাড়াও অনলাইনে যে ১১টি স্কিলস শেখানো হয় ঃ
১। বিজনেস চালানোর দক্ষতা
২। মার্কেটিং এবং নেটওয়ার্কিং – সেলস স্কিলস
৩। লিডারশীপ স্কিলস
৪। কথা বলার জড়তা কাটানো, প্রেজেন্টেশান স্কিলস
৫। কমিউনিকেশান স্কিলস
৬। ইমোশানাল ইন্টিলিজেন্স স্কিলস
৭। বেসিক আইটি ট্রেনিং ও ই-কমার্সে বিজনেস করার ট্রেনিং – আইসিটি দক্ষতা
৮। ইংরেজিতে কথা বলা, বোঝা ও লিখার দক্ষতা
৯। উদ্যোক্তাদের জন্য বেসিক অ্যাকাউন্টিং স্কিলস
১০। মেয়েদের বিভিন্ন হাতের কাজের প্রশিক্ষণ
১১। কৃষি উদ্যোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ।
শেখাঃ
এই ফাউন্ডেশনে শেখার কোন শেষ নেই আমি এই প্ল্যাটফর্মের ফলে আমি পেয়েছি ভালো মানুষ হওয়ার সুযোগ
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে যা শিক্ষা৷
ভালো মানুষির চর্চা করা।
মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।
জীবনে সংগ্রাম করে বেচে থাকা।
সময়কে মূল্যায়ন করা।
অসৎ কাজ বা ব্যবসা না করা।
ধর্য্যশীল হওয়া।
কথা দিয়ে কথা রাখা এবং কাওকে না ঠকানো।
মা বাবাকে সেবা যত্ন করা।
অসহায় মানুষের পাশে থাকা।
সফল না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকা।
নিজেকে ভালোবাসতে শিখা।
অসংখ্য ধন্যবাদ ইকবাল স্যারের জন্য এতো সুন্দর পরিবার তৈরি করে দেওয়ার জন্য। দোয়া ও শুভকামনা রইল স্যারের জন্য।৷৷
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি এতক্ষণ যাবত সময় করে আমার জীবনের গল্পটি পড়ার জন্য৷৷ অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য৷৷
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে -৯৭১
তারিখ -০৮/১২/২০২৩ ইং
------ধন্যবাদান্তে -----
আমি রায়হানা তামান্না হৃদি
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য৷
ব্যাচ নং ২৩
রেজি নংঃ ১২৩৫৪৬
নিজ জেলাঃ বরগুনা
থানা :পাথরঘাটা
বর্তমান অবস্থান : ঢাকা মিরপুর